X-RAY করার খরচ,X-RAY কেন করা হয়,X-RAY কি

 

https://jobspointbd.com/

My Ads

Google Adsense Ads

X-RAY করার খরচ,X-RAY কেন করা হয়,X-RAY কি, X-RAY এর কাজ কী?

এক্স-রে হল এক ধরণের বিকিরণ যাকে ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক তরঙ্গ হিসাবে সংজ্ঞায়িত করা হয়। এক্স-রে ইমেজিং শরীরের বিভিন্ন অংশের সাথে সম্পর্কিত ছবি তৈরি করে। প্রক্রিয়া চলাকালীন, চিত্রগুলি কালো এবং সাদার বিভিন্ন শেডের নির্দিষ্ট শরীরের অংশগুলিতে ফোকাস করে৷ এটি প্রধানত কারণ বিভিন্ন টিস্যু বিকিরণের একটি ভিন্ন অনুপাত শোষণ করে। এটা স্পষ্ট যে হাড়ের ক্যালসিয়াম অন্যান্য টিস্যুর তুলনায় এক্স-রে বিকিরণ বেশি শোষণ করে; তাই তারা সাদা দেখায়। 

যাইহোক, চর্বি এবং অন্যান্য নরম টিস্যু কম শক্তি শোষণ করে, এবং এইভাবে তারা ধূসর দেখায়। এক্স-রে প্রযুক্তি প্রধানত শরীরের বিভিন্ন অংশ নিরীক্ষণ করে, উদাহরণস্বরূপ, হাড় এবং দাঁত, বুক, পেট, ইত্যাদি। তাই, এক্স-রে একটি দ্রুত এবং ব্যথাহীন ডায়াগনস্টিক টুল হিসাবে কাজ করে যা রোগ নির্ণয় এবং চিকিত্সা নিশ্চিত করতে কাজ করে। পরীক্ষা কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া রিপোর্ট করে না, এবং পেশাদাররা প্রযুক্তির সাথে একটি চূড়ান্ত রিপোর্ট রিপোর্ট করার চেষ্টা করে।

Table of Contents

এক্স-রে (X-Ray) সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য

১. এক্স-রে কি?

এক্স-রে হল এক ধরনের ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক রশ্মি যা উচ্চ শক্তি সম্পন্ন এবং মানুষের চোখে দেখা যায় না। এটি শরীরের ভিতরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ, হাড় বা টিস্যুর ছবি তুলতে ব্যবহৃত হয়।

২. এক্স-রে এর কাজ কী?

  • হাড়ের ফ্র্যাকচার বা ফাটল শনাক্ত করা।
  • ফুসফুসের সমস্যা (যেমন নিউমোনিয়া, টিবি) নির্ণয়।
  • দাঁতের সমস্যা (ডেন্টাল এক্স-রে)।
  • ক্যান্সার বা টিউমার শনাক্ত করা।
  • পেটের ভিতরের অস্বাভাবিকতা (যেমন পাথর) দেখা।

৩. এক্স-রে কি ধরনের প্রযুক্তি?

এক্স-রে আয়নাইজিং রেডিয়েশন প্রযুক্তি, অর্থাৎ এটি টিস্যু ভেদ করে ইমেজ তৈরি করে। এটি ডিজিটাল বা ফিল্ম-ভিত্তিক হতে পারে।

Google Adsense Ads

৪. এক্স-রে এর ব্যবহার

  • মেডিক্যাল ইমেজিং: সিটি স্ক্যান, এমআরআই, ম্যামোগ্রাফি।
  • শিল্পক্ষেত্রে: ধাতব বস্তুর ফাটল পরীক্ষা।
  • বিমানবন্দরে: বাগেজ স্ক্যানিং।
  • গবেষণায়: ক্রিস্টাল স্ট্রাকচার বিশ্লেষণ।

৫. এক্স-রে এর ভালো ও খারাপ দিক

ভালো দিকখারাপ দিক
দ্রুত ও ব্যথাহীন ডায়াগনোসিসঅতিরিক্ত এক্সপোজারে ক্যান্সার বা টিস্যু ক্ষতি
অস্ত্রোপচার ছাড়াই ভিতরের অংশ দেখাগর্ভবতী মহিলাদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ (ভ্রূণের ক্ষতি)
কম খরচে পরীক্ষাবারবার এক্স-রে করালে রেডিয়েশন জমা হয়

৬. এক্স-রে কেন গুরুত্বপূর্ণ?

  • দ্রুত রোগ নির্ণয় করে চিকিৎসা শুরু করা যায়।
  • অস্ত্রোপচার ছাড়াই ভিতরের সমস্যা বোঝা সম্ভব।
  • ক্যান্সার ও হাড়ের জটিলতা শনাক্তে অপরিহার্য।

৭. এক্স-রে ব্যবহারের সতর্কতা

  • গর্ভবতী মহিলাদের এক্স-রে এড়ানো উচিত (বিশেষ করে পেট ও pelvic অঞ্চল)।
  • শিশুদের কম ডোজ ব্যবহার করা হয়।
  • লেড প্রোটেকশন (থাইরয়েড ও জননাঙ্গ ঢেকে রাখা)।
  • বারবার এক্স-রে না করা।

৮. এক্স-রে থেরাপি ও এর প্রভাব

  • রেডিওথেরাপি: ক্যান্সার কোষ ধ্বংস করতে এক্স-রে ব্যবহার করা হয়।
  • প্রভাব:
  • ক্যান্সার কোষ মারা যায়, কিন্তু পার্শ্ববর্তী সুস্থ কোষও ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
  • পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া: ত্বকে জ্বালাপোড়া, ক্লান্তি, বমি বমি ভাব।

৯. এক্স-রে করার সময় সতর্কতা

  • গহনা বা ধাতব বস্তু খুলে ফেলুন।
  • রেডিওলজিস্টকে গর্ভাবস্থা বা অন্য কোনো শারীরিক অবস্থা জানান।
  • অপ্রয়োজনে এক্স-রে এড়িয়ে চলুন।

সর্বোপরি, এক্স-রে আধুনিক চিকিৎসার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ, তবে সঠিক ব্যবহার ও সতর্কতা জরুরি।

পরিশেষে : X-RAY ব্যবহার,X-RAY ভালো খারাপ দিক,X-RAY কেন গুরুত্বপূর্ণ?,X-RAY ব্যবহার সতর্কতা,X-RAY থেরাপি এবং এর প্রভাব সম্পর্কে জানতে চাই,X-RAY করার সময় কোন কোন বিষয়গুলির প্রতি সতর্ক থাকতে হবে?,
বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস সর্বশেষ খবর পেতে Google News অনুসরণ করুন

আরো পড়ুন:

Google Adsense Ads

Leave a Comment