৮ম শ্রেণীর বিষয়: গার্হস্থ্য বিজ্ঞান ।। ৬ষ্ঠ সপ্তাহের এ্যাসাইনমেন্টর উত্তর

শ্রেণি: ৮ম, বিষয়: গার্হস্থ্য বিজ্ঞান, ৬ষ্ঠ এসাইনমেন্ট

অ্যাসাইনমেন্টের ক্রম: নির্ধারিত কাজ-২

অধ্যায় ও বিষয়বস্তুর শিরােনাম:

পঞ্চম অধ্যায়: রােগ সম্পর্কে সতর্কতা

পাঠ-১: শিশুর সাধারণ রােগব্যাধি

পাঠ-২: ডায়রিয়া।

পাঠ-৩: সর্দি, কাশি, ইনফ্লুয়েঞ্জা ও কৃমি

পাঠ-৪: হাম, যক্ষ্মা, পােলিও, মাইলাইটিস, মাম্পস।

পাঠ-৫: সংক্রমণ মুক্তকরণ টিকা, ইনজেকশন

সপ্তম অধ্যায়: বিভিন্ন প্রতিকূল অবস্থা থেকে নিজেকে রক্ষা করা

পাঠ-১: মাদকাসক্তি

পাঠ-২: বাল্যবিবাহ, যৌতুক

পাঠ-৩: যৌন নিপীড়ন

অষ্টম অধ্যায়: খাদ্য পরিকল্পনা

পাঠ-১: মেনু পরিকল্পনার নীতি

পাঠ-৪: ১১ থেকে ১৫ বছরের শিশুর খাবার

পাঠ-৫: ওজনাধিক্য শিশুর খাদ্য পরিকল্পনা

এ্যাসাইনমেন্ট/নির্ধারিত কাজ:

১। সৃজনশীল প্রশ্ন: ১

সম্প্রতি করিম চাচা বিদেশ থেকে এসে দুই সপ্তাহ তাঁর ঘরে একা অবস্থান করলেন৷ কোনাে সমস্যা না হওয়ায় এরপর থেকে পরিবারের অন্যদের সাথে মেলামেশা করতে শুরু করলেন

) উদ্দীপকে কোন রােগের সচেতনতার প্রতি ইঙ্গিত করা হয়েছেব্যাখ্যা কর৷

) উদ্দীপকের রােগটিকে কীভাবে প্রতিরােধ করা যায়বর্তমান পরিস্থিতির আলােকে মূল্যায়ন করা

রােগের নাম প্রতিরােধক টিকার চার্ট তৈরি কর

যৌন হয়রানি বা যৌন নিপীড়নের শিকার হলে কী কী সাবধানতা অবলম্বন করা প্রয়ােজন?

৪। সৃজনশীল প্রশ্ন: ২

মুন্না চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র সে খেতে খুব পছন্দ করে চকলেট, চিপস, ড্রিংকস তার খুব পছন্দ৷ ইদানীং সে সিঁড়ি দিয়ে উঠতে গেলে হাঁপিয়ে যায় বন্ধুদের সাথে মাঠে খেলতে যায়না৷ অল্প পরিশ্রমে ক্লান্ত হয়ে পড়ে তার মা পুষ্টিবিদের শরণাপন্ন হলেন৷

) উদ্দীপকের ছেলেটির সমস্যার কারণ ব্যাখ্যা কর

) মুন্নার সমস্যা উত্তরণের উপায় বিশ্লেষণ কর

মূল্যায়ন নির্দেশক

১। ক) • রােগের নাম/ধারণা • পাঠ্যপুস্তক ও উদ্দীপকের আলােকে রােগ/ধারণার ব্যাখ্যা প্রদান।

রােগের নাম/ধারণা পাঠ্যপুস্তক ও উদ্দীপকের আলােকে রােগ/ধারণার ব্যাখ্যা প্রদান প্রতিরােধের উপায় নির্ধারণ এবং শিক্ষার্থীদের নিজস্ব সংশ্লেষণ/বিশ্লেষণ/ মন্তব্য প্রদান

চার্ট তৈরিতে সঠিকতা • সঠিক তথ্য উপস্থাপন।

বিষয়বস্তুর ধারণা প্রদান। • বিষয়বস্তুর ধারণার ব্যাখ্যা প্রদান • কমপক্ষে ৫টি সাবধানতা নির্ধারণ

৪। ক) • বিষয়বস্তুর ধারণা প্রদান। • ধারণার ব্যাখ্যা (পাঠ্যপুস্তক ও উদ্দীপকের আলােকে)

সমস্যা থেকে উত্তরণের উপায় নির্ধারণ

ব্যাখ্যা প্রদান পাঠ্যপুস্তক ও উদ্দীপকের আলােকে সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ

উত্তর:

১। ক) উদ্দীপকে কোন রােগের সচেতনতার প্রতি ইঙ্গিত করা হয়েছে- ব্যাখ্যা।

উত্তর: আলোচ্য অংশে কভিড – ১৯ নামক রোগের সচেতনতা প্রতি ইঙ্গিত করা হয়েছে ।

ব্যাখ্যা: বর্তমানে আমরা সকলেই কভিড – ১৯ ভাইরাসের শ্রেষ্ঠ মহামারী দ্বারা আক্রান্ত। আলোচ্য অংশে উক্ত রোগের দ্বারা সৃষ্ট মহামারীর কথা বলা হয়েছে। এখানে করিম চাচা নামক এক ব্যক্তি বিদেশ থেকে এসে তার ঘরে দুই সপ্তাহ একা অবস্থান করবেন। অর্থাৎ তিনি যেহেতু অন্য একটি দেশ থেকে বাংলাদেশে এসেছেন এখন তিনি নিশ্চিত নয় যে তার শরীর ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত কি না। যেহেতু তিনি নিশ্চিৎ নন যে তিনি ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত বা আক্রান্ত নন এই বিষয়ে। তাই তিনি বিদেশ থেকে এসে আলাদাভাবে তার ঘরে অবস্থান করছেন।

আবার এখানে আরেকটি বিষয় রয়েছে, এই ভাইরাসটি কারো শরীরে আক্রমণ করেছে কিনা তা তাৎক্ষণিক জানার কোন উপায় নেই। তাই এই ভাইরাসটি যাতে অন্য কারো শরীরে ছড়িয়ে না পড়ে সেজন্য তাকে অন্তত ১৪ দিন আলাদা ভাবে থাকতে হবে । ১৪ দিনের মধ্যে যদি তার কোনো সমস্যা না হয় তাহলে বুঝতে হবে তিনি ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত নন । আর যদি জ্বর সর্দি-কাশি দ্বারা আক্রান্ত হয় তাহলে তাকে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে ।

খ) উদ্দীপকের রােগটিকে কীভাবে প্রতিরােধ করা যায়- বর্তমান পরিস্থিতির আলােকে মূল্যায়ন কর।

উত্তর: বর্তমানে covid-19 নামক ভাইরাস টি সকল মানুষের মধ্যে একটি আতংকের সৃষ্টি করেছে। তবে এতে খুব একটা আতঙ্কিত হবার কোন কারণ নেই । কারণ আমরা একটু সচেতন হলেই এই রোগটাকে প্রতিরোধ করতে পারি। এই রোগটিকে প্রতিরোধ করতে হলে প্রথমে সকল শ্রেণীর সকল পেশার মানুষকে সচেতন করতে হবে। অতি প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে বেরোনো যাবে না। কারণ এই রোগটির ভাইরাসটি বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে এবং যেকোনো সময় যে কারো শরীরে লেগে যেতে পারে। সুতরাং অতি জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে না বেরোনোই ভালো।

এই মহামারী কে প্রতিরোধ করতে হলে অবশ্যই সকলকে মাস্ক পরিধান করতে হবে। কেননা এই রোগটি মুখ নাক ও চোখ দিয়ে প্রবেশ করতে পারে । সুতরাং আমরা যদি মাস্ক পরিধানের মাধ্যমে মুখ ও নাক ঢেকে রাখতে পারি তাহলে মহামারী ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা অনেকটাই কমে যায়।

এছাড়াও আমাদের সকলকে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে কাজ করতে হবে। এখানে সামাজিক দূরত্ব বলতে একে অপরের থেকে কিছুটা শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে চলা কে বোঝায়। এমন ভাবে চলাফেরা করতে হবে যেন একে অন্যের শরীর থেকে অন্তত তিন ফুট দূরত্ব বজায় থাকে। জরুরি কোনো প্রয়োজন ছাড়া কোন ব্যক্তির সাথে গল্প বা সাক্ষাৎ না করা উচিত। কারণ এক্ষেত্রে যে কোন এক ব্যক্তি যদি ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হয়ে থাকেন তাহলে অপর ব্যক্তির আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। মানুষের যাতায়াত বেশি এমন সকল জায়গা এড়িয়ে চলাই ভালো । যেমন: বাস,ট্রেন যেকোনো ধরনের যানবাহন বা চায়ের দোকান। চায়ের দোকানে যেহেতু অনেক লোকের আনাগোনা হয় সে কারণে সেখানে ভাইরাস ছড়াতে পারে। তাই এ সকল জায়গা পরিহার করাই ভালো।

প্রতিদিন কমপক্ষে ১৫ মিনিট সূর্যের আলোয় বা তাপে থাকার চেষ্টা করতে হবে। কেননা এই রোগের ভাইরাস সূর্যের তাপে ধংস্ব হতে পারে। এই ক্ষেত্রে শরীরের বাইরের ভাইরাস থাকলে সেটা থেকে রোক্ষা পাওয়া যাবে। তাছাড়া বাইরে থেকে বাড়ি এসে গরম তাপে বা আইরন করলেও জামা কাপড় থেকে ভাইরাস ধংস্ব হবে।

তাই বলতে পারি যে, সকলের সচেতনতা এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে এবং ভাইরাস না ছড়ানোর পন্থাগুলো অনুসরণ করলে এই রোগটি প্রতিরোধ করা যাবে।

২। রােগের নাম ও প্রতিরােধক টিকার চার্ট তৈরি কর।

উত্তর: সক্ৰমণমুক্তকরণ টিকা, ইনজেকশন | ব্লোগ প্রতিকারের চেয়ে রােগ প্রতিরােধই উত্তম। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থসেবায় সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচি (ইপিআই) একটি গুরুত্বপূর্ণ, উল্লেখযােগ্য ও সময় উপযােগী পদক্ষেপ। ইপিআই একটি বিশ্বব্যাপী কর্মসূচি যার মূল লক্ষ্য হচ্ছে সংক্রমণ ব্লোগ থেকে শিশুদের অকাল মৃত্য ও পঙ্গুত্ব ব্রোধ করা। তাই বিশ্বব্যাপী রোগ প্রতিরােধের উপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়। এছাড়া ব্লোগ হওয়ার আগে প্রতিরােধ করা অনেক সহজ এবং কম ব্যয় সাপেক্ষ।

আমাদের দেশে টিকাদান কর্মসূচির উদ্দেশ্য হচ্ছে, শিশু ও মাতৃ মৃত্যুর হার কমানাে। এক বছরের কম বয়সের শিশুদের রােগাক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি এবং বেশির ভাগ ব্লোগ এই বয়সেই হয়ে থাকে। তাই শিশুকে রােগ | প্রতিরােধক সব কয়টি টিকা নিয়মানুযায়ী যত তাড়াতাড়ি সব দিতে হবে ।

ইপিআই কর্মসূচির মাধ্যমে টিকা দিয়ে যে রােগগুলাে প্রতিরােধ করা যায় সেগুলাে হচ্ছে –

বিসিজি টিকা – যক্ষ্মা রােগে বিসিজি টিকা দেওয়া হয়। এই টিকা দেওয়ার ২ সপ্তাহ পর টিকার স্থান লাল হয়ে ফুলে যায়। আরও ২/৩ সপ্তাহ পর শক্ত দানা, ক্ষত বা ঘা হতে পারে। ধীরে ধীরে এই ক্ষত বা ঘা শুকিয়ে যায়, দাগ থাকে। জন্মের পরই এই টিকা দেওয়া হয়।

ওপিভি টিকা – ওপিভি (ওরাল পােলিও ভ্যাকসিন) টিকা পােলিও (পােলিও মাইলাইটিস) রােগ প্রতিরােধ করে। জন্মের পর ৬ সপ্তাহের মধ্যে ১ম ডােজ, ২৮ দিন পর ২য় ডােজ, পরবর্তী ২৮ দিন পর ৩য় ডােজ এবং ৯ মাস পূর্ণ হলে ৪র্থ ডােজ দিতে হয়।

পেন্টাভ্যালেন্ট ভ্যাকসিন – এই টিকা ৫টি রােগ যেমন- ডিপথেরিয়া, হুপিংকাশি, ধনুষ্টংকার, হেপাটাইটিস-বি এবং হিমােফাইলাস ইনফ্লুয়েঞ্জা-বি প্রতিরােধ করে। জন্মের ৬ সপ্তাহ পর প্রথম ডােজ এবং ২য় ও ৩য় ডােজ ২৮ দিন অন্তর অন্তর দিতে হয়।

হামের টিকা – হামের টিকা শিশুকে হাম রােগ থেকে প্রতিরােধ করে। শিশুর বয়স ৯ মাস পূর্ণ হলে এই টিকা দিতে হয়।

টিটি টিকা (টিটেনাস টক্সয়েড) – টিটি টিকা ধনুষ্টংকার রােগ থেকে রক্ষা করে। ১৫ থেকে ৪৯ বছর বয়সের সকল মহিলাকে এবং যে সকল শিশুর ডিপিটি/পেন্টাভ্যালেন্ট টিকা দেওয়ার পর খিচুনি হয়েছে তাদের এই টিকা দিতে হবে।

৩। যৌন হয়রানি বা যৌন নিপীড়নের শিকার হলে কী কী সাবধানতা অবলম্বন করা প্রয়োজন?

উত্তর: সাধারণত যৌন বিষয়ক কথাবার্তার মধ্যে একটু গােপনীয়তা, একটু সংকোচ জড়িয়ে থাকে। আমাদের চারপাশে যৌন নিপীড়নের যেসব করুণ চিত্র ঘটে চলেছে, সেগুলাের পরিণতি হয় খুবই বেদনাদায়ক। এসব প্রতিকূল অবস্থা থেকে নিজেকে রক্ষা করা ও অন্যদেরকে সতর্ক করা খুবই জরুরি। কী করলে যৌন | নিপীড়নের মতাে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা থাকবে না তা জানতে হবে। তাই সুস্থ স্বাভাবিক জীবনের লক্ষ্যে এ পাঠটিকে তােমরা অত্যন্ত জরুরি একটি পাঠ মনে করবে। যৌন নিপীড়ন সম্পর্কে সকলকে সচেতন করার জন্য এ পাঠটির গুরুত্ব অনেক বেশি।

যৌন বিষয়ক কথা, ইঙ্গিত, অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি দিয়ে কাউকে বিরক্ত করা হলাে যৌন হয়রানি। আর অন্যের দ্বারা শরীরের গােপন অংশে স্পর্শ বা আঘাত যৌন নিপীড়নের মধ্যে পড়ে। বয়ঃসন্ধিকালে বিপরীত লিঙ্গের প্রতি আকর্ষণ ও যৌন বৈশিষ্ট্যের কারণে অনেক সময় অনেক বিপজ্জনক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।

ফাইনাল পরীক্ষা শেষ। কয়েকদিনের জন্য রাশেদা বেড়াতে এসেছে আত্মীয়ের বাড়িতে। কিশােরী রাশেদার আনন্দ আর ধরে না। বিকাল হতে না হতেই পাশের বাড়ির পরিচিত ভাইয়ের সাথে ঘুরতে বের হয় সে। নদীর পাড়ের বাঁধা রাস্তার পাশ দিয়ে আখের ক্ষেত, নদীর সৌন্দর্য, মাঝি, নৌকা ইত্যাদি উপভােগ করতে করতে প্রায় সন্ধ্যা হয়ে যায়। ফেরার পথে কিশাের ছেলেটির মাথায় খারাপ চিন্তা আসে। সে রাশেদার হাতটি ধরে এবং কাছে আসতে চায়। রাশেদা সজোরে হাত ছাড়িয়ে নেয় এবং দ্রুত হেঁটে নিজেকে রক্ষা করে। ঘটনাটি সে কাউকে বলতে পারে না। প্রায়ই ঘটনাটি তার মনে কষ্ট দেয়। রাস্তায় যে কোনাে কিশাের দেখলে ভয়ে চমকে উঠে। তােমরা কি কখনাে ভেবে দেখেছ যে, এরকম পরিস্থিতিতে তােমরাও পড়তে পার?

যে কোনাে বয়সে যৌন হয়রানি ও যৌন নিপীড়নের মতাে ঘটনা ঘটতে পারে। তবে কৈশােরে এসব ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা অন্য সব বয়সের চেয়ে বেশি থাকে। যারা যৌন হয়রানি বা নিপীড়নের শিকার হয় তাদের মধ্যে অনেক ধরনের প্রতিক্রিয়া হতে পারে

সব সময় ঐ ঘটনা মনে পড়তে থাকে, মন থেকে আতংক বা ভয় দূর হয় না।

কাউকে বলতে না পারায় মানসিক চাপ পড়ে, ফলে পড়াশােনায় মনােযােগ আসে না।

অনেক ক্ষেত্রে লজ্জা ও অপমান সহ্য করা নিজের ও পরিবারের জন্য কষ্টদায়ক হয়।

আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে কৈশোরে ছেলেমেয়েদের যৌন হয়রানি ও নিপীড়ন এর ঝুঁকি বেশি থাকে। পাড়ার বখাটের দল কিংবা সহপাঠীদের দ্বারা যৌন হয়রানির মতো ঘটনা ঘটতে পারে। কিন্তু যৌন নিপীড়ন সমবয়সী ছাড়াও নিকট আত্মীয়, পরিচিত ব্যক্তি, বয়স্ক যে কোনাে সদস্যদের দ্বারা হতে পারে। এসব প্রতিকূল অবস্থা থেকে নিজেদের রক্ষা করার জন্য আমাদের সাবধানতা অবলম্বন করা প্রয়ােজন। আমাদের যে যে বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে সেগুলাে হলাে

বাড়িতে একা থাকলে সাবধানে থাকা

পরিচিত, অপরিচিত কারও সাথে একা বেড়াতে না যাওয়া

মন্দ স্পর্শ টের পেলে অবশ্যই তা সঙ্গে সঙ্গে মা-বাবাকে জানানাে

কোনাে হয়রানির সম্মুখীন হলে কৌশলে পরিস্থিতি মােকাবিলা করা এবং বাবা-মা, শিক্ষক ও আপনজনকে জানানাে

যৌন নিপীড়নের আর এক ধরনের ভয়ংকর চিত্র তােমাদের জানা দরকার। অনেক সময় শৈশবের ছেলেমেয়েরা পরিবার ও সমাজের বয়স্ক সদস্য কর্তৃক যৌন নিপীড়নের শিকার হয়। পরিবারের খুব কাছের আত্মীয় বা পরিচিত ব্যক্তি শিশুটিকে যে কোনাে সময়ে একা পেয়ে এ ধরনের গর্হিত কাজ করতে পারে। ব্যক্তিটির সাথে পরিবারের সম্পর্ক খুব ঘনিষ্ট থাকে বলে তার সাথে সন্তান একা বাড়িতে থাকলে মা-বাবার কোনাে রকম দুশ্চিন্তা হয় না। ছেলে শিশুরাও পুরুষ ব্যক্তির দ্বারা শরীরের গােপন অঙ্গে আঘাপ্রাপ্ত হতে পারে। এ ধরনের নিপীড়নে শিশুরা প্রচণ্ড ভয় পায়। অপরাধী শাসায় বলে তারা বিষয়টি কাউকে বলতে পারে

এতে তাদের নানা ধরনের মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা দিতে পারে। দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমাদের সমাজে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে যে নিপীড়নের শিকার হয় তাকেই দোষারােপ করা হয়। আমাদের উচিত অপরাধীর মুখােশ সকলের কাছে খুলে দেওয়া এবং তার বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হওয়া। শিশুদের জন্য নিরাপদ পরিবেশ তৈরি করার দায়িত্ব প্রত্যেক মা-বাবার এবং আমাদের সকলের।

৪। সৃজনশীল প্রশ্ন: ২

৪। ক) উদ্দীপকের ছেলেটির সমস্যার কারণ ব্যাখ্যা কর।

উত্তর: ১১-১৫ বছর বয়সের শিশুদের বিদ্যালয়গামী শিশু বলা হয়। এই বয়সে শারীরিক বর্ধন দ্রুত হয়, ছেলেদের চেয়ে মেয়েরা এই বয়সে দ্রুত লম্বা হয়। এই বয়সে ছেলেদের তুলনায় মেয়েদের ক্ষেত্রে পুষ্টির চাহিদা বেশি হয়। বর্ধনের গতি বৃদ্ধির কারণে শক্তির চাহিদা বাড়ে। এছাড়াও প্রােটিন, ভিটামিন ও ধাতব লবণের চাহিদাও বাড়ে। এই বয়সের শিশুরা খেলাধুলা করে তাই তাদের শরীরের বিভিন্ন অঙ্গের সঞ্চালন ঘটে বলে বেশি শক্তির খরচ হয়। বিদ্যালয়গামী শিশুদের পেশি, দাঁত, হাড়, রক্ত ইত্যাদির গঠনের জন্য বিভিন্ন পুষ্টি উপাদানের চাহিদা বেশি হয়।

বিদ্যালয়গামী (১১-১৫ বছর বয়সের) শিশুদের পুষ্টির গুরুত্ব –

১১-১৫ বছর বয়সের শিশুদের দ্রুত বর্ধন বজায় রাখার জন্য পর্যাপ্ত প্রােটিন জাতীয় খাদ্য গুরুত্বপূর্ণ।

বিদ্যালয়গামী শিশুদের শরীরের স্বাভাবিক কর্মক্ষমতা, পড়ালেখা এবং বিভিন্ন ধরনের খেলাধুলায় অংশগ্রহণের জন্য যথেষ্ট শক্তির প্রয়ােজন হয়। এই শক্তি মেটানাের জন্য কার্বোহাইড্রেট ও ফ্যাট জাতীয় খাদ্যের প্রয়ােজন হয়।

ভিটামিন ও ধাতব লবণ সমৃদ্ধ খাদ্য রােগ প্রতিরােধ ক্ষমতা তৈরির জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

বিদ্যালয়গামী শিশুদের দাঁত ও হাড় গঠনের জন্য ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন-ডি গুরুত্বপূর্ণ।

ছেলেদের চেয়ে মেয়েদের লৌহ ও ফলিক এসিড বেশি প্রয়ােজন হয় কারণ মেয়েদের মাসিকের জন্য প্রতিমাসে যে রক্তের অপচয় ঘটে তা পরিপূরণের জন্য অর্থাৎ রক্ত গঠনের জন্য প্রয়ােজন হয়।

ত্বক ও চোখের সুস্থতার জন্য ভিটামিন এ, বি ও সি সমৃদ্ধ খাদ্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

অতএব আমরা দেখতে পাই যে, ১১-১৫ বছর বয়সের শিশুদের স্বাভাবিক ওজন, উচ্চতা, সুস্থতা, পড়ালেখা, খেলাধুলার ক্ষমতা ও দক্ষতা বজায় রাখার জন্য প্রতিদিন খাদ্যে ছয়টি পুষ্টি উপাদানেরই পর্যাপ্ত উপস্থিতি অত্যাবশ্যক। তাই প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় প্রয়ােজনীয় পুষ্টি উপাদান পেতে হলে মৌলিক খাদ্য গােষ্ঠির প্রতিটি গ্রুপ থেকে বিভিন্ন ধরনের খাদ্য প্রতিদিনই নির্বাচন করতে হবে। এই বয়সী শিশুদের খাদ্য তালিকা তৈরির সময় কয়েকটি বিষয় লক্ষ রাখতে হবে। যেমন

(ক) ১১-১৫ বছর বয়সের শিশুদেরকে প্রতিদিন কমপক্ষে তিন বেলা প্রধান খাবার ও দুইবার হালকা নাশতা দিতে হবে। এই বয়সে শিশুরা বেশ দীর্ঘ সময় স্কুলে থাকে। স্কুলে পড়ালেখার পাশাপাশি তারা খেলাধুলাও করে থাকে, ফলে প্রচুর শক্তির খরচ হয়। তাই স্কুলে থাকাকালীন একবার এবং বাসায় আরও একবার পুষ্টিকর নাশতা দিতে হবে। তাহলে অপুষ্টিজনিত বিভিন্ন রােগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা কমে যাবে।

(খ) প্রতি বেলার প্রধান খাবারে অর্থাৎ সকাল, দুপুর ও রাতের বেলায় মৌলিক খাদ্য গােষ্ঠির বিভিন্ন শ্রেণির বিভিন্ন ধরনের খাদ্য গ্রহণ করতে হবে।

(গ) প্রতিদিনই উদ্ভিজ্জ ও প্রাণিজ উভয় উৎস থেকেই প্রােটিন গ্রহণ করতে হবে। দিনে অন্তত একবার প্রাণিজ প্রােটিন গ্রহণ করতে হবে।

(ঘ) প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় বিভিন্ন ধরনের মৌসুমী ও রঙিন যেমন- হলুদ, সবুজ, লাল, বেগুনি ইত্যাদি বর্ণের টাটকা শাকসবজি ও তাজা টক জাতীয় ফল অবশ্যই থাকতে হবে।

(ঙ) পর্যাপ্ত পরিমাণ তরল জাতীয় খাদ্য প্রতি বেলায় গ্রহণ করতে হবে।

(চ) মিষ্টি জাতীয় খাবার ও অতিরিক্ত তেলে ভাজা খাবার গ্রহণে সচেতন হতে হবে। যারা পরিশ্রমের কাজ কম করে বা একেবারেই করে না বা খেলাধুলা করে না তারা এই খাদ্যগুলাে গ্রহণ থেকে অবশ্যই বিরত থাকবে। তা না হলে শরীরের ওজন বেশি বেড়ে যাবে অর্থাৎ ওজনাধিক্যে আক্রান্ত হবে এবং নানা ধরনের জটিল রােগের সূচনা হবে।

3

খ) মুন্নার সমস্যা উত্তরণের উপায় বিশ্লেষণ কর।

উত্তর: পাঠ ৫-ওজনাধিক্য শিশুর খাদ্য পরিকলনা

একবিংশ শতাব্দিতে শিশুদের ওজনাধিক্য একটা মারাত্মক জনস্বাস্থ্য সমস্যা হিসাবে চিহ্নিত হয়েছে। এই সমস্যাটি বর্তমানে নিম্ন ও মধ্য আয়ের দেশগুলােতেও দেখা যাচ্ছে। আমাদের দেশের মধ্যবিত্ত পরিবারের শিশুদের মধ্যে এই সমস্যা বাড়ছে।

ওজনাধিক্য কাকে বলে?

এক কথায় ওজনাধিক্য হচ্ছে শরীরের ওজন স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি হওয়া। অর্থাৎ বলা যায় যে, কারও শরীরের ওজন যখন স্বাভাবিকের চেয়ে বেড়ে যায়, তখন সেই অবস্থাকে ওজনাধিক্য বলে। প্রত্যেক বয়সের জন্য স্বাভাবিক ওজনের নিম্ন সীমা ও উচ্চ সীমা আছে। দেহের ওজন যখন সেই বয়সের জন্য নির্ধারিত সর্বোচ্চ সীমা অতিক্রম করে যায় তখনই ওজনাধিক্য দেখা দেয়।

ওজনাধিক্যের কারণ

দেহের ওজন বেড়ে যাওয়ার প্রধান কারণ হলাে প্রয়ােজনের চেয়ে বেশি খাওয়া। আমরা প্রতিদিন যদি ক্যালরি বহূল খাদ্য দেহের প্রয়ােজনের চেয়ে | বেশি গ্রহণ করি এবং পরিশ্রম কম করি ও অনিয়ন্ত্রিত জীবন যাপন করি তা হলে এই অতিরিক্ত ক্যালরি আমাদের দেহে ফ্যাট আকারে জমা হবে এবং ধীরে ধীরে দেহের ওজন বৃদ্ধি পাবে। এই ভাবে দেহের ওজন বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে ওজনাধিক্য দেখা দিবে।

শুধু খাদ্য গ্রহণ করলেই সুস্থ থাকা যাবে না। সুস্থ থাকতে হলে সুষম খাদ্য গ্রহণ যেমন প্রয়ােজন তেমনি প্রয়ােজন নিয়মিত শারীরিক পরিশ্রম, খেলাধুলা ও নিয়ন্ত্রিত জীবন যাপন।

ওজনাধিক্যের কুফল

শরীরের ওজন বৃদ্ধি পাওয়ার সাথে সাথে বিভিন্ন ধরনের অসংক্রামক রােগে আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা বেড়ে যায়। যেমন- উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, হৃদরােগ, স্ট্রোক, পিত্তথলির পাথর, রক্তে চর্বির আধিক্য ইত্যাদি। এই কারণে শরীরের ওজন কোনােভাবেই বাড়তে দেওয়া ঠিক নয়। শিশুকালে ওজন বৃদ্ধি পাওয়া শরীরের জন্য একেবারেই ভালাে লক্ষণ নয় কারণ এর ফলে অল্প বয়সেই বিভিন্ন ব্রনের অসংক্রামক রােগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা অনেক গুণ বেড়ে যায়।

ওজনাধিক্য শিশুর খাদ্য ব্যবস্থা

শরীরের ওজন বেশি হলে অবশ্যই খাদ্য সংক্রান্ত নিম্নলিখিত নিয়ম কানুন মেনে চলতে হবে।

শস্য ও শস্য জাতীয় খাদ্য যেমন- ভাত, রুটি, চিড়া, মুড়ি ইত্যাদি নির্ধারিত পরিমাণে খেতে হবে। এই খাবারগুলাে বেশি খেলে ওজন বেড়ে যাবে। মনে রাখতে হবে ভাত রুটির পরিবর্তে সমপরিমাণ পােলাও, খিচুরি, পরটা ইত্যাদি খাওয়া যাবে না। কারণ এই খাবারগুলােতে তেল বা ঘি থাকায় ভাত ও রুটির চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ পরিমাণ ক্যালরি পান্না যায়। তাই পোলাও, খিচুরি, পরটা ইত্যাদি খেতে হলে ভাত ও রুটির অর্ধেক পরিমাণে গ্রহণ করাই বাঞ্চনীয়।

প্রতিবেলার খাদ্য ছালিকাতে যথেষ্ট পরিমাণ শাকসবজি, মৌসুমী ফল ও টক ফল থাকতে হবে। এই খাবারগুলাে বেশি খাওয়া যাবে।

প্রতিদিন প্রয়ােজনীয় প্রােটিনের চাহিদা মেটানোর জন্য ডাল, বাদাম, মাছ, মাংস ও ডিম পরিমিত পরিমাণে খাওয়া যাবে।

শিশুদের খাদ্য তালিকায় দুধ থাকা প্রয়োজন। তাই চিনি বা পুড় ছাড়া দুধ গ্রহণের অভ্যাস করতে হবে এবং দুধের তৈরি বিভিন্ন মিষ্টি জাতীয় খাবার বাদ দিতে হবে।

নাশতা হিসাবে সব সময় কম ক্যালরিযুক্ত খাদ্য যেমন- শাকসবজি ও ফল বাছাই করতে হবে। যে সকল খাদ্যে ক্যালরি বেশি থাকে সেই খাদ্য গ্রহণে শরীরের ওজন আরও দ্রুত বৃদ্ধি পাবে। তাই ক্যালরি বলে খাদ্য যেমন- তেলে ভাজা-ভুনা খাদ্য, ঘি, মাখন, চিনি ও গুড় দিয়ে তৈরি মিষ্টি জাতীয় খাদ্য, বেকারির তৈরি খাদ্য, কেক, পেস্ট্রি, বিস্কুট, সব ধরনের সফট ড্রিংকস, চকলেট, ক্যাভি, আইসক্রিম, ইত্যাদি বাদ দিতে হবে।

ওজন কমানোর জন্য শাকসবজি, মাছ, মাংস, ডিম ও অন্যান্য খাবার রান্নার সময় অবশ্যই কম তেল দিয়ে রান্না করে খেতে হবে। ছেলের ব্যবহার কমাতে হবে। অর্থাৎ রান্নার সময় খুব কম তেল দিয়ে রান্না করতে হবে। দুবাে তেলে ভাজা সব ধরনের খাবার খাদ্য তালিকা থেকে বাদ দিতে হবে।

ক্ষুধা লাগলে বিজ্ঞি ভাজা, প্যাকেটজাত ও বেকারির খাবারের পরিবর্তে মৌসুমী ফল খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে।

সফট ড্রিংকস ও বােতলজাত কেনা জুসের পরিবর্তে ডাবের পানি ও রসালাে ফল খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে। এতে করে যেমন অর্থের সাশ্রয় হবে তেমনি বেশি পুষ্টি পাওয়া যাবে এবং শরীরের ওজন কমাতে সাহায্য করবে।

মনে রাখতে হবে শরীরের বাড়তি ওজন কমানাের জন্য অবশ্যই নিয়মিত প্রতিদিন ব্যায়াম বা পরিশ্রম করতে হবে। পরিমিত আহারের পাশাপাশি নিয়মিত ব্যায়াম বা পরিশ্রম, নিয়মতান্ত্রিক জীবন যাপন ও পর্যাপ্ত ঘুম এবং সর্বোপরি সার্বিক সচেতনতা শরীরের ওজন কমাতে সাহায্য করবে।

বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস পাঠকদের জন্য উত্তর:

শিক্ষার সব খবর সবার আগে জানতে বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস এর সাথেই থাকুন। 

বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস এর কোনো পোষ্ট/Post কপি করলে তাই নিচে আমাদের লিংক দেওয়ার অনুরোদ করা হলো।

#আরো_দেখুন

৯ম শ্রেণীর সব বিষয়, ৬ষ্ঠ  সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্টর উত্তর লিংক:

৮ম শ্রেণীর সব বিষয়, ৬ষ্ঠ  সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্টর উত্তর লিংক:

৭ম শ্রেণীর সব বিষয়, ৬ষ্ঠ  সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্টর উত্তর লিংক:

মাদ্রাসা ও দাখিল বোর্ডের ৬ষ্ঠ সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট প্রকাশ

৬ষ্ঠ সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট প্রশ্ন প্রকাশ

ভোকেশনাল ৯ম শ্রেণি ইঞ্জিনিয়ারিং ড্রয়িং । ৪র্থ সাপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর

কম্পিউটার অ্যাপ্লিকেশন ১। ১ম সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর

#মাধ্যমিকের_ও_মাদ্রাসা_বোর্ডের_এর_৫ম_সপ্তাহের_সকল_বিষয়_উত্তর

মাধ্যমিকের_ও_মাদ্রাসা_বোর্ডের_এর_৫ম_সপ্তাহের_সকল_বিষয়_উত্তর

৫ম সপ্তাহের এ্যাসাইনমেন্টর উত্তর:

More Assignment Answer Links==>>Click

৯ম শ্রেণীর সব ৫ম এসাইনমেন্ট উত্তর লিংক:

৮ম শ্রেণীর সব বিষয়,  ৫ম সপ্তাহের এসাইনমেন্ট উত্তর লিংক:

৭ম শ্রেণীর সব ৫ম এসাইনমেন্ট উত্তর লিংক:

৬ষ্ঠ শ্রেণীর সব ৫ম এসাইনমেন্ট উত্তর লিংক:

#মাদ্রাসা বোর্ডের , ৫ম সপ্তাহের এ্যাসাইনমেন্টর উত্তর

মাদ্রাসা বোর্ডের ৫ম সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট প্রকাশ

 ৫ম সপ্তাহের এ্যাসাইনমেন্টর সাজেশন PDF Download Now

সব এ্যাসাইনমেন্টর উত্তর লিংক 

৪র্থ সপ্তাহের এ্যাসাইনমেন্টর সাজেশন:

৩য় সপ্তাহের এ্যাসাইনমেন্টর সাজেশন:

More Assignment Answer Links==>>Click

মাধ্যমিকের বোর্ডের এর ৪র্থ সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর এক সাথে 

More Assignment Answer Links==>>Click

ষষ্ঠ শ্রেণির ৪র্থ অ্যাসাইনমেন্ট সব উত্তর সহ PDF ডাউনলোড

৭ম শ্রেণির ৪র্থ অ্যাসাইনমেন্ট সব উত্তর সহ PDF ডাউনলোড

৮ম শ্রেণির ৪র্থ অ্যাসাইনমেন্ট সব উত্তর সহ PDF ডাউনলোড

৪র্থ  সপ্তাহের ৯ম শ্রেণির অ্যাসাইনমেন্ট সব উত্তর এক সাথে 

মাদ্রাসা বোর্ডের এর ৪র্থ সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর এক সাথে 

More Assignment Answer Links==>>Click

সব এ্যাসাইনমেন্টর উত্তর লিংক 

More Assignment Ans Links==>>Click

৪র্থ সপ্তাহের এ্যাসাইনমেন্টর সাজেশন:

More Assignment Links==>>Click

বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস পাঠকদের জন্য উত্তর:

শিক্ষার সব খবর সবার আগে জানতে বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস এর সাথেই থাকুন। 

বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস এর কোনো পোষ্ট/Post কপি করলে তাই নিচে আমাদের লিংক দেওয়ার অনুরোদ করা হলো।

এ্যাসাইনমেন্টর সাজেশন উত্তর  ভাই আমাদের শিক্ষরা আমাদের সাইডে ও ইউটিউবে দেন তো তাই

subscribe our channel:   Rakib Study

https://www.youtube.com/channel/UCc_Fuinzyd2QsNnLaBxPlTQ

৮ম শ্রেণীর বিষয়: গার্হস্থ্য বিজ্ঞান ।। ৬ষ্ঠ সপ্তাহের এ্যাসাইনমেন্টর উত্তর ,

অ্যাসাইনমেন্টর ৬ষ্ঠ সপ্তাহের উত্তর গার্হস্থ্য বিজ্ঞান,  

 #৮ম_শ্রেণীর_গণিত_গার্হস্থ্য বিজ্ঞান,  

৮ম শ্রেণীর বিষয়: কৃষি শিক্ষা উত্তর ৬ষ্ঠ অ্যাসাইনমেন্টর উত্তর , 

#৬ষ্ঠ _এসাইনমেন্ট_উত্তর_অষ্টম_শ্রেণীর_গার্হস্থ্য বিজ্ঞান_সমাধান,

৮ম সপ্তাহের এ্যাসাইনমেন্টর সাজেশন PDF Download Now গার্হস্থ্য বিজ্ঞান,

শ্রেণি: ৮ম বিষয়: গার্হস্থ্য বিজ্ঞান ৬ষ্ঠ এসাইনমেন্ট,

উত্তর লিংক গার্হস্থ্য বিজ্ঞান ৬ষ্ঠ এসাইনমেন্ট,

Class 8, Subject: Garhasthya Assignment Solution, 6th Week Assignment Answer, 

এ্যাসাইনমেন্টর ৮ম গার্হস্থ্য বিজ্ঞান,  

 #গার্হস্থ্য_বিজ্ঞান_উত্তর_৮ম_শ্রেণীর,

গার্হস্থ্য বিজ্ঞান ৮ম শ্রেণীর সমাধান ৬ষ্ঠ অ্যাসাইনমেন্টর উত্তর , 

#অষ্টম_শ্রেণীর_গার্হস্থ্য_বিজ্ঞান_সমাধান ৬ষ্ঠ _এসাইনমেন্ট_উত্তর,

গার্হস্থ্য বিজ্ঞান ৬ষ্ঠ সপ্তাহের এ্যাসাইনমেন্টর সাজেশন PDF Download Now,

গার্হস্থ্য বিজ্ঞান শ্রেণি: ৮ম ৬ষ্ঠ এসাইনমেন্ট,

গার্হস্থ্য বিজ্ঞান ৬ষ্ঠ এসাইনমেন্ট উত্তর লিংক,

Garhasthya_Class_8_Assignment_Solution_6th_Week_Assignment_Answer,

#Garhasthya_Class_8_Assignment_Solution_6th_Week_Assignment_Answer 

Leave a Comment