৭ম শ্রেণি, বিষয়: বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়, ৪র্থ এসাইনমেন্ট উত্তর

৭ম শ্রেণি, বিষয়: বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়, ৪র্থ এসাইনমেন্ট <
এ্যাসাইনমেন্টের ক্রম: নির্ধারিত কাজ-২

অধ্যায় ও বিষয়বস্তুর শিরােনাম:
পঞ্চম অধ্যায়: বাংলাদেশ ও বাংলাদেশের নাগরিক

পাঠ-১: সুনাগরিকের গুণাবলী
ষষ্ঠ অধ্যায়: বাংলাদেশের নির্বাচন ব্যবস্থা।

পাঠ-৩: নির্বাচন কমিশন, নির্বাচনী এলাকা ও নির্বাচনী আচরণবিধি
এ্যাসাইনমেন্ট/নির্ধারিত কাজ:
নিচের প্রশ্নগুলাের উত্তর দাও:

১. একজন সুনাগরিক হিসেবে নিজেকে গড়ে তােলার ক্ষেত্রে তােমার যা করণীয় আছে তার একটি কর্মপরিকল্পনা তৈরি করাে।

২. তােমার এলাকায় নির্বাচনের সময় যেসব নির্বাচনী আচরণবিধি পালন করা হয় তা বর্ণনা কর।

মূল্যায়ন নির্দেশক:
বিষয়বস্তুগত জ্ঞানের যথার্থতা
নিভূল তথ্য ও যুক্তিসম্মত ব্যাখা প্রদান
ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার সমন্বয়
প্রশ্নের চাহিদা অনুযায়ী উত্তর প্রদান

উত্তর দেখুন:

একজন সুনাগরিকের গুণাবলি ও আমায় এলাকার নির্বাচনী আচরণ বিধি

একজন সুনাগরিক হিসেবে নিজেকে গড়ে তোলার ক্ষেত্রে তোমার যা করনীয় তার একটি কর্ম পরিকল্পনা তৈরি করো:
উত্তর: একজন সুনাগরিক হিসেবে নিজেকে তৈরি করার জন্য প্রথমে আমাকে জানতে হবে সুনাগরিকের গুণাবলী গুলো সম্পর্কে।

একজন সুনাগরিক একটি রাষ্ট্রের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। জন্ম থেকে কেউ সুনাগরিক হয়ে জন্মায় না এবং দেশের সকল নাগরিক সুনাগরিক নয়।

একজন সুনাগরিকের তিনটি মৌলিক গুণাবলী রয়েছে:

১. বুদ্ধি
২. আত্মসংযম
৩. বিবেক বিচার
১. বুদ্ধি:

একজন সুনাগরিকের অন্যতম মৌলিক গুণ হচ্ছে বুদ্ধি। বুদ্ধির পর্যাপ্ত ব্যবহারের মাধ্যমে সে রাষ্ট্রের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কাজে সহযোগিতা করতে পারে।

বুদ্ধিমান নাগরিক উপযুক্ত প্রতিনিধি নির্বাচন করে, দক্ষতার সাথে দেশ পরিচালনা, রাষ্ট্রের উন্নয়নে সফলতায় সহ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।

নাগরিকের বুদ্ধিমান হওয়ার জন্য সবচেয়ে বড় উপায় হচ্ছে সঠিক শিক্ষা অর্জন করা।

২. আত্মসংযম:
একজন সুনাগরিকের আরেকটি অন্যতম গুণ হচ্ছে আত্মসংযম। ‌ নাগরিককে অসৎ কার্যাবলী যেমন দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি, স্বার্থপরতা, পক্ষপাতিত্ব ইত্যাদি ও অনৈতিক কাজ থেকে বিরত রাখে।

সুনাগরিক হওয়ার জন্য আত্মসংযম অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আত্মসংযম একজন নাগরিককে দেশ ও সমাজের সাথে কাজ করতে এবং নিয়মাবলী মেনে চলতে অনুপ্রাণিত করে।

আত্মসংযম অন্যের মতামতকে শ্রদ্ধা করতে শেখায় এবং নিজের স্বার্থের চাইতে দেশের স্বার্থকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া শেখায়।

তাই একজন সুনাগরিক কে অবশ্যই আত্মসংযম অর্জন করতে হবে।

বিবেক বিচার:
একজন সুনাগরিকের শুধু বুদ্ধিমানও আত্মসংযমী হলেই হয় না তাকে অবশ্যই বিচারের সঠিক ব্যবহার জানতে হয়। বিবেক বিচার হলো ভালো-মন্দের জ্ঞান ও দায়িত্ব কর্তব্যের জ্ঞান।

বিবেক সুনাগরিকের জাগ্রত শক্তি অতএব নাগরিক নিজে বিবেকবান হবে অন্যদেরও বিবেক বুদ্ধি সম্পন্ন হতে উৎসাহিত করবে।

সুনাগরিক হিসেবে গড়ে ওঠার জন্য আমার পরিকল্পনা:
একজন সুনাগরিক হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য অবশ্যই আমাকে যথেষ্ট পরিকল্পনা প্রণয়ন করতে হবে।
সুনাগরিক হিসেবে গড়ে ওঠার জন্য আমি নির্মুক্ত পরিকল্পনা গ্রহণ করেছি-

১. সঠিক শিক্ষা অর্জন: নিজেকে সুনাগরিক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য আমি অবশ্যই সঠিক পথের সঠিক ভাবে পর্যাপ্ত শিক্ষা অর্জন করার চেষ্টা করব।

দেশ পরিচালনা এবং সমাজের মানুষদের উপকারে আসে এরকম কার্যাবলী সম্পর্কে অবগত হয়ে নিব।

২. সুনাগরিকের কার্যাবলী সম্পর্কে জানা: একজন সুনাগরিক হয়ে ওঠার জন্য আমি সুনাগরিকের কার্যাবলী ও দায়িত্ব সম্পর্কে অবগত হব।

আমার ব্যক্তিগত ডায়েরিতে সুনাগরিকের দায়িত্ব ও কর্তব্যসমূহ লিপিবদ্ধ করে সে অনুযায়ী কার্যক্রম পরিচালনা করার চেষ্টা করব।

৩. আত্মসংযমী হওয়া: নিজেকে সুনাগরিক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য আমি অবশ্যই আত্মসংযমী হওয়ার চেষ্টা করব।

কখনোই অনৈতিক কর্মকান্ডে নিজেকে জড়িত করবো না। দুর্নীতি স্বজনপ্রীতি স্বার্থপরতা ও পক্ষপাতিত্ব ইত্যাদি কার্যক্রম থেকে বিরত থাকব।

৪. দেশের নিয়ম-কানুন মেনে চলা: অবশ্যই আমি দেশে নিয়মকানুন সম্পর্কে জেনে তার প্রতি অনুগত হব এবং সেগুলো মেনে চলার চেষ্টা করব।

৫. সঠিক প্রতিনিধি নির্বাচন: একজন সুনাগরিক হিসেবে আমাকে অবশ্যই দেশ পরিচালনার দায়িত্ব দিতে হবে এমন কাউকে যে দেশের স্বার্থে অনৈতিক পন্থা অবলম্বন না করে সঠিক পথে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।

নিজের বিবেক বুদ্ধি এবং নীতি-নৈতিকতাকে কাজে লাগিয়ে আমি সঠিক জনপ্রতিনিধি নির্বাচন করব।

৬. দেশের আইন শৃঙ্খলা মেনে চলা: আমি অবশ্যই দেশের আইন-শৃঙ্খলা সম্পর্কে অবগত হবে এবং সেগুলো পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে মেনে চলার চেষ্টা করব।

উপরুক্ত কার্যাবলী গ্রহণ করে আমি একজন সুনাগরিক হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা করে যাবো ইনশাল্লাহ।

তোমার এলাকায় নির্বাচনের সময় যেসব নির্বাচনী আচরণবিধি পালন করা হয় তা বর্ণনা কর:
নির্বাচনী আচরণ বিধি:

নির্বাচন হলো এমন একটি পদ্ধতি বা প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে দেশের নাগরিকগণ ভোটাধিকার প্রয়োগ করে তাদের উপযুক্ত প্রতিনিধি বাছাই করে।

সঠিকভাবে নির্বাচন পরিচালনা করার জন্য নির্বাচন কমিশনকে অবশ্যই একটি নির্বাচনী আচরণবিধি তৈরি করতে হয়। কারণ স্বাভাবিক ও শান্তিপূর্ণ আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের পূর্ব শর্ত।

আমাদের এলাকায় নির্বাচনের সময় যেসকল আচরণ বিধি অনুসরণ করা হয় তা নিম্নে উল্লেখ করা হলো-
আমাদের অঞ্চলে নির্বাচন পরিচালনার ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশন নির্বাচনের সময় নাগরিকেরা কি ধরনের আচরণ করবে তার একটি নীতিমালা তৈরি করে দেয় সেই আলোকে নির্বাচনে আচরণবিধি পরিচালিত হয়।

নিম্নে কয়েকটি নির্বাচনে আচরণবিধি তুলে ধরা হলো-
১. মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় সমাবেশ বা মিছিল করা হয় না;

২. দেয়ালে বা অন্য কোথাও কোন কিছু লেখা বা পোস্টার লাগানো হয় না;

৩. কোন রাস্তায় বা সড়কে জনসভা করা হয় না;

৪. রশিতে পোস্টার বা প্লেকার্ড ঝুলানো হয়;

৫. প্রচারের জন্য কোন গেট তৈরি বা কোন প্রকার আলোকসজ্জা করা হয় না;

৬. মোটরসাইকেল বা কোন প্রকার যানবাহনে মিছিল করা হয় না;

৭. নির্বাচনী ক্যাম্পে ভোটারদের কোন উপহার খাদ্য বা পানীয় পরিবেশন করা হয় না;

উপরোক্ত নির্বাচনী আচরণ বিধি অনুসরণ করে আমাদের এলাকায় সবগুলো জাতীয় ও স্থানীয় নির্বাচন পরিচালিত হয়।

এই ছিল তোমাদের জন্য সপ্তম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বিষয়ের একজন সুনাগরিকের গুণাবলি ও আমায় এলাকার নির্বাচনী আচরণ বিধি সম্পর্কে আলোচনা।

সব এ্যাসাইনমেন্টর উত্তর লিংক 

More Assignment Answer Links==>>Click

Leave a Comment