৬ষ্ঠ শ্রেণীর বিষয়: খ্রীষ্টান ধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা, ৫ম এসাইনমেন্ট উত্তর, ৬ষ্ঠ শ্রেণীর খ্রীষ্টান ধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা উত্তর

শ্রেণি: ৬ষ্ঠ, বিষয়: খ্রিষ্টধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা, ৫ম এসাইনমেন্ট এর প্রশ্ন
এ্যাসাইনমেন্টের ক্রম: নির্ধারিত কাজ-২

অধ্যায় ও বিষয়বস্তুর শিরােনাম:
পঞ্চম অধ্যায়: ঈশ্বরের আহ্বানে ইসাইয়ার সাড়াদান
ষষ্ঠ অধ্যায়: মুক্তিদাতা যীশুর জন্ম ও শৈশব
নবম অধ্যায়: সত্যবাদিতা, শৃংখলা ও সেবা
এ্যাসাইনমেন্ট/নির্ধারিত কাজ:
বর্ণনামূলক প্রশ্ন :

১। শয়তানের প্রলােভনে কিভাবে মানুষের পতন ঘটেছিল ব্যাখ্যা কর।
২। পাপের প্রলােভন জয় করার উপায় বর্ণনা কর।
৩। মানুষের প্রতি ঈশ্বরের আহ্বানের অর্থ ব্যাখ্যা কর।
৪। মুক্তিদাতা যীশুর জন্মের তাৎপর্য লিখ।
৫। ব্যক্তি, সমাজ ও রাষ্ট্রীয় জীবনে সত্যবাদিতার গুরুত্ব বর্ণনা কর।
৬। পরিবার, সমাজ; মণ্ডলী ও রাষ্ট্রে সেবার গুরুত্ব ব্যাখ্যা কর।
মূল্যায়ন নির্দেশক:
উত্তর দানের ধরণ ঠিক আছে কী-না
বিষয়বস্তুর গভীরতা কতটুকু
গাছ লাগানাের গুরুত্ব অনুধাবন করেছে কী-না।
শিক্ষার্থীরা পাঠ্যপুস্তকের আলােকে লিখেছে কী-না
শিক্ষকগণ শিক্ষার্থী প্রদত্ত উত্তরের মধ্যে জ্ঞান, অনুধাবন, উচ্চতর ও প্রয়ােগ দক্ষতার ধাপ অনুসরণ করেছে।
কী-না মূল্যায়ণ করবেন।

উত্তর

বর্ণনামূলক প্রশ্ন :
১। শয়তানের প্রলােভনে কিভাবে মানুষের পতন ঘটেছিল ব্যাখ্যা কর।

উত্তর: লিংক

২। পাপের প্রলােভন জয় করার উপায় বর্ণনা কর।
উত্তর:

(ক) পিতা যেমন আমাকে ভালবেসেছেন, আমিও তেমনি তোমাদের ভালবেসেছি। তোমরা আমার ভালবাসার আশ্রয়ে
থেকো। যদি আমার সমস্ত আদেশ পালন কর, তবেই তোমরা আমার ভালবাসার আশ্রয়ে থাকবে, আমিও যেমন আমার
পিতার সমস্ত আদেশ পালন করেছি আর আছি তাঁর ভালবাসার আশ্রয়ে। এ সব কথা তোমাদের বললাম, যাতে আমার
আনন্দ তোমাদের অন্তরে থাকতে পারে এবং তোমাদের আনন্দ যেন পরিপূর্ণ হতে পারে।
আমার আদেশ হল এই : আমি নিজে যেমন তোমাদের ভালবেসেছি, তোমরাও তেমনি পরস্পরকে ভালবাসবে। বন্ধুদের
জন্য প্রাণ দেওয়ার চেয়ে বড় ভালবাসা মানুষের আর কিছুই নেই। তোমরা আমার বন্ধু Ñ অবশ্য আমি তোমাদের যা করতে
বলছি, তোমরা যদি তা-ই কর। … তোমাদের আমি এই আদেশ দিচ্ছি : তোমরা পরস্পরকে ভালবাসবে!”
(খ) একদিন লোকে ভিড় দেখে যীশু কাছের পাহাড়টায় গিয়ে উঠলেন। তিনি সেখানে বসলেন; তখন শিষ্যেরা
তাঁর কাছে এগিয়ে এলেন এবং তিনি তাঁদের উপদেশ দিতে সুরু করলেন। তিনি এই কথা বললেন:
“অন্তরে যারা দীন, ধন্য তারা Ñ স্বর্গরাজ্য তাদেরই।
দুঃখে-শোকে কাতর যারা, ধন্য তারা Ñ তারাই পাবে সান্ত¡না!
কোমলপ্রাণ বিনম্র যারা, ধনা তারা Ñ প্রতিশ্রুত দেশ একদিন হবে তাদেরই আপন দেশ।
ধার্মিকতার দাবি পূরণের জন্যে তৃষিত ব্যাকুল যারা, ধন্য তারা Ñ তারাই পরিতৃপ্ত হবে।
দয়ালু যারা, ধন্য তারা Ñ তাদেরই দয়া করা হবে।
নির্মল যাদের অন্তর, ধন্য তারা Ñ তারাই ঈশ্বরকে দেখতে পাবে।
শান্তি স্থাপন করে যারা, ধন্য তারা Ñ তারাই ঈশ্বরের সন্তান ব’লে পরিচিত হবে।
ধর্মনিষ্ঠ ব’লে নির্যাতিত যারা, ধন্য তারা Ñ স্বর্গরাজ্য তাদেরই।
আর ধন্য তোমরা, আমার জন্যে লোকে যখন তোমাদের অপমান করে, নির্যাতন করে, যখন তোমাদের নামে
তারা নানা মিথ্যা অপবাদ রটায়। তখন আনন্দ ক’রো, উল্লাস ক’রো তোমরা, কারণ স্বর্গলোকে তোমাদের জন্যে সঞ্চিত
হয়ে আছে এক মহা পুরস্কার। তোমাদের আগেকার প্রবক্তারাও তো ঠিক একই ভাবে নির্যাতিত হয়েছিলেন।”
সারসংক্ষেপ: ঈশ্বর সৃষ্টিকর্তা, তিনি নিখিল বিশ্বের প্রভু। তিনি বিশ্বচরাচরের সমস্ত কিছুই সৃষ্টি করেছেন। মানুষকে তিনি তাঁর
নিজ প্রতিমূর্তিতে সৃষ্টি করেছেন। মানুষকে তিনি অনেক মর্যাদা দিয়ে, স্বাধীন ইচ্ছা দিয়ে সৃষ্টি করেছেন। ঈশ্বর আমাদের সৃষ্টি
করেছেন ইহজগতে ও পরজগতে তাঁর সান্নিধ্যে সুখময় জীবন যাপন করার জন্য। মানুষের কাছে ঈশ্বরের আহŸান হচ্ছে
ঈশ্বরসন্তানসুলভ ভক্তি ও ভালবাসার পথ অবলম্বন করে, ঈশ্বরের ভালবাসার আদেশ পালন করে পবিত্র হয়ে ওঠা। যীশু
বলেন: “স্বর্গে বিরাজমান তোমাদের পিতা যেমন সম্পূর্ণ পবিত্র, তেমনি তোমাদেরও হতে হবে সম্পূর্ণ পবিত্র” (মথি
৫:৪৮)।
অষ্ট কল্যাণবাণী বা সুখ-পন্থা হচ্ছে যীশুর শিক্ষার সারকথা। আসলে প্রকৃত সুখী মানুষের চিত্র বর্ণিত হয়েছে এই কল্যাণবাণী
বা সুখ-পন্থায়। মানুষ মাত্রই তো সুখী হতে চায়। সুখী হতে চাওয়া হচ্ছে মানুষের মনের গভীরতম আকাক্সক্ষা। এই আকাক্সক্ষা
পূরণের জন্যই মানুষ প্রতিনিয়ত সাধনা করে। এই সাধনপথ কষ্টসাধ্য কিন্তু এর পরিণাম শুভ। যীশু নিজেই এই পথের
দিশারী। একমাত্র যীশুই প্রকৃত সুখী মানুষ যিনি ঈশ্বরের ইচ্ছা অক্ষরে অক্ষরে পালন করেছেন। আমরাও সবাই সুখলাভের
জন্য আহূত।
“ঈশ্বর আমাদের এই পৃথিবীতে রেখেছেন যেন আমরা তাঁকে জানতে, ভালবাসতে ও সেবা করতে পারি, এবং এভাবে স্বর্গে
যেতে পারি। পরমসুখ আমাদেরকে “ঐশস্বরূপ” ও অনন্ত জীবনের সহভাগী করে তোলে। পরমসুখ নিয়ে মানুষ প্রবেশ
করে খ্রীষ্টের গৌরবে ও ত্রিব্যক্তি পরমেশ্বরের জীবনানন্দে। এই পরমসুখ মানুষের জ্ঞান ও ক্ষমতার অতীত। পরমসুখ ঈশ্বরের
অনুগ্রহপুষ্ট স্বেচ্ছাকৃত দান থেকেই আসে: সেই কারণে, ঐশ্বরিক আনন্দে প্রবেশ করার জন্য প্রদত্ত অনুগ্রহ যেমন অলৌকিক,

৩। মানুষের প্রতি ঈশ্বরের আহ্বানের অর্থ ব্যাখ্যা কর।
উত্তর:

ঈশ্বর আমাদেরকে মানব পরিবারে জন্ম দিয়েছেন।আমাদের সকলেরই দেহ, মন ও আত্মা আছে । দেহের মধ্যে যেসব অঙ্গপ্রত্যঙ্গ থাকার কথা তার সবই আছে।তবুও আমাদেরকে ঈশ্বর মানুষ হওয়ার জন্য ডাকেন ।এর অর্থই কী ?আমাদের মা-বাবাও অনেক সময় আমাদেরকে বলেন‘মানুষ হও’।তারা এর দ্বরা কী বুঝতে চান তা আমরা জানি।তাঁরা আমাদেরকে মানবিক গুণ ও মূল্যবোধগুলো অর্জন করতে বলেন।ঈশ্বর আমাদের সামনে উদাহরণ হিসেবে তাঁর পুত্র যীশুকে রেখেছেন ।যীশূ একই সঙ্গে পূর্ণ ঈশ্বর এবং পূর্ণ মানব।যীশুর মধ্যে মনুষ্যত্বের সবগুলো গুণ ছিল। আমরা তাঁকে অনুসরণ করলে খাঁটি মানুষ হতে পারি। অর্জিত গুণ ও মূল্যবোধগুলো আমরা যতই অপরের কল্যাণে ব্যবহার করি,ততই আমরা প্রতিদিন ‘মানুষের মতো মানুষ’ হতে থাকি ।

৪। মুক্তিদাতা যীশুর জন্মের তাৎপর্য লিখ।
উত্তর:

নিজস্ব জন্ম দিন আছে। অনেকে জন্ম দিন জাকযমকের সাথে পালন করে। সমার্থ না থাকলে অনেকেই পালন করে না। আবার অনেকের জন্মদিন স্মরনেই থাকে না।

আজ এমন একজন মহামানবের জন্মদিন সমন্ধে বলতে চাই যার পৃথিবীতে জন্ম গ্রহন সমন্ধে ভাববাদীরা শত শত বছর পূর্বে ভাববাণী করেছিল। কালের পূর্ণতায় সেই সকল ভাববাণী পূর্ণতা লাভ করেছে। প্রভু যীশু খ্রীষ্টের জন্ম দিনকেই আমরা বড়দিন বলি।

২৫ শে ডিসেম্বর তিনি জন্ম গ্রহন করেছেন। সময়ের দিক থেকে ২৫ শে ডিসেম্বর দিনটি একটি ছোট দিন। কারন ২২ শে ডিসেম্বর সবচেয়ে ছোট দিন এবং ২১ শে জুন সবচেয়ে বড়দিন। ২৫ শে ডিসেম্বর দিনটিকে বড়দিন বলা হয় এই কারনে, যারা যীশুকে ত্রানকর্তা মুক্তিদাতা বলে বিশ্বাস করে,হ্নদয়ে ধারন করে এবং প্রভু বলে মুখে স্বীকার করে, তাদের কাছেই যীশুর জন্মদিন বলে বিবেচিত।

সহজেই আমরা বুঝতে পারি যে এ দিনটি আকারে বা ঘন্টায় “বড়” নয়। বরং বলা যেতে পারে যে এটি বছরের খুব ছোট আকারের দিনের একটি। কিন্তু এ দিনটি “বড়” কারণ এর মহিমা বা গৌরব অনেক গভীর। এ দিনেই প্রভু যীশু জন্ম নিয়েছিলেন আমাদের মধ্যে যেন মানুষ স্বর্গের বাসিন্দা হতে পারে-যেন যে কেহ এই দিনের গভীরতা বুঝে প্রভু যীশুর কাছে আসে, সে বিনষ্ট না হয়,কিন্তু অনন্ত জীবন পায়। আনন্দের হলেও এ দিনটির গভীরে দুঃখ লুকিয়ে ছিল।

পিতা-তারঁ একজাত পুত্রকে আমাাদের পাপের জীবন হতে মুক্তির জন্য পাঠিয়ে দিয়েছেন-তিনি জানেন সমস্ত মানব জাতির পরিবর্তে প্রভু যীশুকে মৃত্যু-বরণ করতে হবে।

দিনের পর দিন রাতের পর রাত তাকে দুঃখ-কষ্টের মধ্য দিয়ে চলতে হবে। তাই পিতার চোখে জল। কিন্তু আমরা আনন্দিত। যা আমাদের পক্ষে সম্ভব ছিল না, এমন কি বহু ভাববাদী, ঈশ্বরের লোক ঈশ্বরের পক্ষে কাজ করেও এ অসাধ্য সাধন করতে পারেন নি, তা প্রভু যীশু এ জন্মের মধ্য দিয়ে শুরু করেছিলেন।

তিনি জন্মেছিলেন বলেই আমরা আর মৃত্যুভয় করি না, তিনি দুঃখিত হয়েছিলেন বলেই আমরা আনন্দ করি। কারণ আমরা স্বর্গের সন্তান। লূক ২:১৪ পদ; ঊধর্বলোকে ঈশ্বরের মহিমা, পৃথিবীতে [তাঁহার] প্রীতিপাত্র মনুষ্যদের মধ্যে শান্তি”।

ডাঃ লূক প্রভু যীশুর জন্ম কাল সমন্ধে বিস্তারিত বর্ননা দিয়েছেন। রোম সম্রাট আগস্ত কৈসরের শাসন আমলে প্রথম নাম গণনা করা হয়। যোষেফ ও মরিয়ম নাম লিখে দেবার জন্য গালীলে নাসরৎ নগর থেকে যিহুদার বৈৎলেহমে দায়ুূদের নগরে গিয়েছিলেন।

সকলের উচিত রড়দিনের তাৎপর্য অনুধাবন করা।বড়দিনের তাৎপর্য বুঝতে হলে ৪টি বিষয় অনুসরন করতে হবে।

৫। ব্যক্তি, সমাজ ও রাষ্ট্রীয় জীবনে সত্যবাদিতার গুরুত্ব বর্ণনা কর।
উত্তর:

সততা ও সত্যবাদিতার রজ্জুকে দৃঢ়ভাবে ধারণ করার জন্য মহান রব্বুল আলামীন ঈমানদার বান্দাগণের প্রতি আহŸান জানিয়ে ইরশাদ করেছেন: ‘হে ঈমানদারগণ, তোমরা আল্লাহকে ভয় কর এবং সত্যবাদীদের অন্তর্ভূক্ত হও।’ -সূরা আত্ তাওবাহ: আয়াত ১১৯।

বস্তুত: সততা ও সত্যবাদিতা ব্যক্তি জীবন, সামাজিক জীবন, রাষ্ট্রীয় জীবন ও আন্তর্জাতিক জীবনের অঙ্গনে সম্মান ও মর্যাদালাভের অন্যতম বৈশিষ্ট্য। এই গুণের পরিচয় আল্লাহ জাল্লা শানুহু এভাবে প্রদান করেছেন। আল কোরআনে ইরশাদ হয়েছে: প্রকৃত তারাই মুমিন যারা আল্লাহ ও তার রাসুলের প্রতি ঈমান এনেছে এবং এ ব্যাপারে কোন সন্দেহ পোষণ করেনি এবং নিজেদের জান মাল দিয়ে আল্লাহর পথে সংগ্রাম করেছে। তারাই সত্যবাদী।

হুজরাত: আয়াত ১৫। যার মাঝে এ গুণের সমাহার থাকবে সমাজের সকল শ্রেণীর মানুষই তাকে ভক্তি ও শ্রদ্ধার দৃষ্টিতে দেখবে এবং পরকালেও সে মহান আল্লাহ পাকের নিকট হতে উত্তম প্রতিদান পাবে।

সততা ও সত্যবাদিতার প্রতি গুরুত্ব আরোপ করে পিয়ারা নবী মোহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ সা. বলেছেন: সত্যবাদিতা পুণ্যের কাজ। আর পুণ্য জান্নাতে পৌঁছিয়ে দেয়। অপর দিকে মিথ্যাকে সকল পাপের উৎস হিসাবে আখ্যায়িত করে বলা হয়েছে, প্রকৃতই মিথ্যা সকল পাপের জননী। সমাজ জীবনে যারা মিথ্যাবাদী ও মিথ্যাচারী তার সকলের নিকট মিথ্যাবাদী ও ঘৃণিত ব্যক্তি বলে পরিচিতি লাভ করে। সকল মানুষই তাদের ঘৃণার চোখে দেখে এবং তাদের সংস্পর্শ ও সংশ্রব থেকে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে চলে। অপর দিকে যারা সত্যবাদী ও সত্যাশ্রয়ী তাদের শ্রদ্ধা ও সম্মান প্রদর্শন করে এবং তাদের সান্নিধ্যের জন্য ব্যকুল হয়ে উঠে।

বস্তুত: যাবতীয় পানাহার ও কামাচার পরিত্যাগ করার নামই হচ্ছে সিয়াম সাধনা। এই সাধনা শুধুমাত্র এতেই সীমাবদ্ধ নয়। বরং এই সাধনা করতে হবে আল্লাহর জন্য, আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে এবং আল্লাহর নির্দেশ মোতাবেক পূর্ণাঙ্গ জীবন অতিবাহিত করার স্থির সংকল্প সহকারে। কেউ যদি এই ভাবধারাকে অক্ষুণœ রেখে সিয়াম পালন করে, তাহলে তাকে অবশ্যই মিথ্যা কথা বলা ও মিথ্যাচারীতা পরিত্যাগ করতে হবে। সিয়াম সাধনা যে আল্লাহর জন্য নিবেদিত সেই আল্লাহর পূর্ণাঙ্গ বিধান পালন করে জীবনের সকল অঙ্গনে পূর্ণ মাত্রায় সংহতি ও সুসামঞ্জস্য সংস্থাপন করতে হবে।

সিয়াম পালন করা ও সেই সঙ্গে মিথ্যা কথা বলা, মিথ্যা ও অশ্লিল কাজ কর্ম করা সম্পূর্ণরূপে পরস্পর বিরোধী কাজ। ইসলামের পূর্ণাঙ্গ বিধানের উদ্দেশ্যই হলো মানব জীবনের সকল দিকের সাথে সামঞ্জস্য স্থাপন করা। কিন্তু যে ব্যক্তি রোজা রেখেও মিথ্যা কথা বলে ও মিথ্যা কাজ করে সে মূলত: সিয়াম সাধনাকে অপমান করে এবং মানুষের সামনে সিয়াম সাধনাকে উপহাসের বস্তুতে পরিগণিত করে।

৬। পরিবার, সমাজ; মণ্ডলী ও রাষ্ট্রে সেবার গুরুত্ব ব্যাখ্যা কর।
উত্তর:

“রাজা দেমেত্রিয়স যুদেয়ায় পাঠালেন নিকানোরকে। তিনি ছিলেন রাজার বিশিষ্ট সেনানায়কদের অন্যতম।
তিনি ইস্রায়েলীয়দের পছন্দ করতেন না, তাদের শত্রæই ছিলেন। রাজা তাঁকে আদেশ দিলেন গোটা জাতির
মানুষদের নিশ্চিহ্ন করে ফেলতে। বিপুল বাহিনী সঙ্গে নিয়ে নিকানোর জেরুসালেমে এসে হাজির হলেন। যুদা তাঁর ভাইদের
কাছে লোক পাঠিয়ে তিনি শান্তি রক্ষার ভুয়া প্রস্তাব জানালেন। তিনি বললেন: “আমার ও আপনার মধ্যে যেন কোন
হানাহানি না হয়! আমি সামান্য কিছু সৈন্য নিয়ে আপনাদের সঙ্গে বন্ধু হিসেবেই দেখা করতে আসবো!” তিনি যখন যুদার
কাছে এসে হাজির হলেন, তখন তাঁরা দুজনে দুজনকে বন্ধু ভাবেই সম্ভাষণ জানালেন, যদিও শত্রæরা তখন যুদাকে সেখান
থেকে জোর করে ধরে নিয়ে যাওয়ার জন্য তোড়জোর করছিলো। তবে তাদের আসার পেছনে যে ছলচাতুরী রয়েছে,
সেকথা পরে জানতে পেরে যুদা ভয় পেয়ে নিকানোরের সঙ্গে দেখা করতে আর রাজী হলেন না। নিকানোর তখন সম্মুখযুদ্ধ করবেন বলে এগিয়ে গেলেন। সেদিন নিকানোরের কমবেশি পাঁচশো জন লোক নিহত হলো। অন্যেরা পালিয়ে গিয়ে
আশ্রয় নিলো দাউদ-নগরীতে। … তারপর নিকানোর জেরুসালেম ছেড়ে বেথ্-হরোনে এসে সেনাছাউনি বসালেন। অন্য
একটি সিরীয় সৈন্যদল সেখানে তাঁর বাহিনীতে যোগ দিল। যুদা নিজে তখন তিন হাজার সৈন্য সঙ্গে নিয়ে আদাসায় এসে
নিজের সেনাছাউনী বসালেন। তিনি এই প্রার্থনা করলেন: “একদিন রাজার প্রেরিত ব্যক্তিরা যখন তোমার নিন্দা করেছিলো,
তখন তোমার দিব্য দূত এসে তো ওদের এক লক্ষ পঁচাশি হাজার লোককে হত্যা করেছিলেন। তাই আজ আমাদের সামনে
তুমি একইভাবে ওই সেনাবাহিনীকে চূর্ণবিচূর্ণ কর! অন্য সবাই জানুক, এ লোকটা তোমার পুণ্যস্থানটি সম্বন্ধে যে-সব কথা
বলেছে, তা কত অন্যায়! ও যেমন নষ্টামি করেছে, সেইমতোই শাস্তি দিয়ো ওকে!” দু’পক্ষের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হলো আদার
মাসের তেরো তারিখে। নিকোনোরের সেনাবাহিনী চূর্ণবিচূর্ণ হয়ে গেলো আর তিনি নিজেই প্রথমে এই যুদ্ধে নিহত হলেন।
তিনি যে নিহত হয়েছেন, তা দেখে তাঁর সৈন্যেরা তাদের অস্ত্রশস্ত্র মাটিতে ফেলে দিয়ে পালিয়ে যেতে লাগলো।”
অনুধ্যান ঃ পরিবার সমাজের সবচেয়ে ছোট ইউনিট বা কোষ। খুব সাধারণভাবে আমরা বুঝে থাকি, কয়েকটি পরিবার নিয়ে
সমাজ এবং সমাজের সমষ্টি হলো রাষ্ট্র। পরিবারের ভালোমন্দ, ন্যায়-অন্যায় রাষ্ট্রে প্রতিফলিত হয়। পরিবারের সমস্যা
পরিণামে রাষ্ট্রীয় সমস্যায় পরিণত হয়। আবার অনুরূপভাবে রাষ্ট্রের প্রভাব পরিবার ও সমাজে প্রতিফলিত হয়। সহিংসতার
বেলায়ও তা সত্য। উপরে বর্ণিত সেনাপতি নিকানোরের রণ অভিযানের ঘটনায় আমরা দেখতে পাই, সহিংস আচরণ
কীভাবে সমাজের সবাইকে প্রভাবিত করেছে। কত লোক অকালে প্রাণ হারিয়েছে। মিথ্যা ছলনা কীভাবে বিশ্বাস ও শান্তি
নষ্ট করেছে। যুদ্ধ, সহিংসতা, মারামারি, খুন, হত্যা কখনও পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রে শান্তি ও আনন্দ আনতে পারে না।
অযোগ্য নেতা ও নেতৃত্বের কারণে জনজীবনে সহিংস আচরণ বাড়ে। বর্তমানে পারিবারিক সহিংসতা ভীষণ বেড়ে গেছে।
নারী ও শিশুরা পরিবারে নানাভাবে নির্যাতিত হচ্ছে, খুন হচ্ছে এবং তারা নিরাপত্তা পাচ্ছে না।
মনে রাখি ঃ নরহন্তা যারা, তারা সজ্জনকে ঘৃণার চোখে দেখে; কিন্তু সত্যনিষ্ঠ যারা, তারা সজ্জনের সঙ্গ পেতে চায়।

৬ষ্ঠ শ্রেণীর গণিত সমাধান, ৫ম এসাইনমেন্ট উত্তর

৬ষ্ঠ শ্রেণীর বিষয়: বিজ্ঞান, ৫ম এসাইনমেন্ট উত্তর

৬ষ্ঠ শ্রেণীর বিষয়: ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা, ৫ম এসাইনমেন্ট উত্তর

৬ষ্ঠ শ্রেণীর বিষয়: হিন্দুধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা, ৫ম এসাইনমেন্ট উত্তর

৬ষ্ঠ শ্রেণীর বিষয়: খ্রীষ্টান ধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা, ৫ম এসাইনমেন্ট উত্তর

More Assignment Answer Links==>>Click

 ৫ম সপ্তাহের এ্যাসাইনমেন্টর সাজেশন PDF Download Now

সব এ্যাসাইনমেন্টর উত্তর লিংক 

৪র্থ সপ্তাহের এ্যাসাইনমেন্টর সাজেশন:

৩য় সপ্তাহের এ্যাসাইনমেন্টর সাজেশন:

More Assignment Answer Links==>>Click

মাধ্যমিকের বোর্ডের এর ৪র্থ সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর এক সাথে 

More Assignment Answer Links==>>Click

ষষ্ঠ শ্রেণির ৪র্থ অ্যাসাইনমেন্ট সব উত্তর সহ PDF ডাউনলোড

  1. ষষ্ঠ শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় সমাধান ৪র্থ এসাইনমেন্ট উত্তর
  2. ৬ষ্ঠ শ্রেণীর ইংরেজি সমাধান ৪র্থ এসাইনমেন্ট উত্তর
  3. ৬ষ্ঠ শ্রেণীর বিজ্ঞান সমাধান ৪র্থ এসাইনমেন্ট উত্তর

৭ম শ্রেণির ৪র্থ অ্যাসাইনমেন্ট সব উত্তর সহ PDF ডাউনলোড

  1. ৭ম শ্রেণি, বিষয়: বিজ্ঞান, ৪র্থ এসাইনমেন্ট উত্তর
  2. ৭ম শ্রেণি, বিষয়: বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়, ৪র্থ এসাইনমেন্ট উত্তর 
  3. ৭ম শ্রেণি, বিষয়: ইংরেজি, ৪র্থ এসাইনমেন্ট উত্তর

৮ম শ্রেণির ৪র্থ অ্যাসাইনমেন্ট সব উত্তর সহ PDF ডাউনলোড

  1. ৮ম শ্রেণি, বিষয়: বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়, ৪র্থ এসাইনমেন্ট উত্তর
  2. ৮ম শ্রেণি, বিষয়: ইংরেজি, ৪র্থ এসাইনমেন্ট উত্তর
  3. ৮ম শ্রেণি, বিষয়: বিজ্ঞান, ৪র্থ এসাইনমেন্ট উত্তর

৪র্থ  সপ্তাহের ৯ম শ্রেণির অ্যাসাইনমেন্ট সব উত্তর এক সাথে 

  1. ৪র্থ  সপ্তাহের ৯ম শ্রেণির অ্যাসাইনমেন্ট সব উত্তর এক সাথে 
  2. ৯ম শ্রেণি, বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্বসভ্যতা, ৪র্থ এসাইনমেন্ট সমাধান
  3. ৯ম শ্রেণি, বিষয়: রসায়ন, ৪র্থ এসাইনমেন্ট সমাধান
  4. ৯ম শ্রেণি, বিষয়: ইংরেজি, ৪র্থ এসাইনমেন্ট সমাধান
  5. ৯ম শ্রেণি ব্যবসায় উদ্যোগ ৪র্থ এসাইনমেন্ট সমাধান
  6. ৯ম শ্রেণি গণিত ৪র্থ এসাইনমেন্ট সমাধান

মাদ্রাসা বোর্ডের এর ৪র্থ সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর এক সাথে 

ইবতেদায়ি ৫ম শ্রেণির, বিষয়: আকাইদ ও ফিকহ, ৪র্থ সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর

ইবতেদায়ি ৫ম শ্রেণির, আরবি ২য়,  ৪র্থ সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর

দাখিল ৬ষ্ঠ শ্রেণি। আরবি ২য় পত্র অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর। ৪র্থ সপ্তাহ 

দাখিল ৭ম শ্রেণি। আরবি ২য় পত্র অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর। ৪র্থ সপ্তাহ 

দাখিল ৮ম শ্রেণি। আরবি ২য়। ৪র্থ সপ্তাহের এ্যাসাইনমেন্টর উত্তর 

দাখিল নবম শ্রেণি আরবি ১ম। ৪র্থ সপ্তাহের এ্যাসাইনমেন্টর উত্তর

আকাইদ ও ফিকহ দাখিল – ৯ম শ্রেণি এসাইনমেন্ট। ৪র্থ সপ্তাহের এ্যাসাইনমেন্টর উত্তর

More Assignment Answer Links==>>Click

সব এ্যাসাইনমেন্টর উত্তর লিংক 

More Assignment Ans Links==>>Click

৪র্থ সপ্তাহের এ্যাসাইনমেন্টর সাজেশন:

৯ম শ্রেণির ৪র্থ অ্যাসাইনমেন্ট প্রকাশিত PDF Download Now

৮ম শ্রেণির ৪র্থ অ্যাসাইনমেন্ট প্রকাশিত PDF Download Now

৭ম শ্রেণির ৪র্থ অ্যাসাইনমেন্ট প্রকাশিত PDF Download Now

৬ষ্ঠ শ্রেণির ৪র্থ অ্যাসাইনমেন্ট প্রকাশিত PDF Download Now

Leave a Comment