পুলিশ ক্লিয়ারেন্স,পুলিশ ক্লিয়ারেন্স আবেদন করার নিয়ম,পুলিশ ক্লিয়ারেন্স আবেদন রিজেক্ট

পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট এর জন্য আবেদন করতে বাংলাদেশ পুলিশ এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইট ব্যবহার করতে পারেন।

প্রথমে বাংলাদেশ পুলিশের অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে একটি একাউন্ট ক্রিয়েট করে প্রয়োজনীয় তথ্যগুলো দিয়ে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট এর জন্য আবেদন করা যায়। এবং পরবর্তীতে তথ্যগুলো যাচাই-বাছাই করে আপনাকে আপডেট জানানো হবে।

পুলিশ ক্লিয়ারেন্স,পুলিশ ক্লিয়ারেন্স আবেদন করার নিয়ম,পুলিশ ক্লিয়ারেন্স আবেদন রিজেক্ট

এখান যদি আপনাদের পুলিশ ক্লিয়ারেন্স চেক করার পরে দেখেন আবেদন রিজেক্ট হয়েছে সেক্ষেত্রে আপনারা কি করবেন। এবং কি কারনে  মুলত পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেটর আবেদন রিজেক্ট করা হয় চলুন জেনে নেয়া যাক।

পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট কি? ২০২৪

পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট হল একটি প্রশাসনিক প্রত্যয়ন পত্র । আপনি এই দেশের একজন সুনাগরিক কিনা তার প্রমান পত্র বা যাচাই পত্র। সাধারণত চাকরি এবং উচ্চ শিক্ষার জন্য বিদেশ ভ্রমণের ক্ষেত্রে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট এর প্রয়োজন।

আপনার নামে কোন ফৌজদারি এবং রাজনৈতিক মামলা আছে কিনা অথবা আপনি অপরাধ জাতীয় কোন কাজের সাথে জড়িত কিনা সেইগুলো যাচাই করে একটি পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়। আপনি যদি এসকল কোন অপরাধের সাথে জড়িত থাকেন সেক্ষেত্রে আপনাকে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট প্রদান করা হবে না।

পুলিশ ক্লিয়ারেন্স রিজেক্ট হলে করনীয়

পুলিশ ক্লিয়ারেন্স রিজেক্ট হলে রিজেক্ট হওয়ার কারন দর্শানো ভুলগুলো সংশোধন করে পুনরায় পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট এর জন্য আবেদন করতে হবে। বিভিন্ন কারণে আপনার পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট এর আবেদন রিজেক্ট হতে পারে। তবে প্রথমে এপ্লাই করা ফরমটি পুনরায় এডিট করে আবার আবেদন করার কোনো সুযোগ নেই।

যদি আপনার পুলিশ ক্লিয়ারেন্স রিজেক্ট হয় সেক্ষেত্রে আপনাকে পুনরায় পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট এর জন্য আবেদন করতে হবে। সাধারণত যে সকল কারণে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট রিজেক্ট হয় সেগুলো নিচে উল্লেখ করা হয়েছে। পুনরায় আবেদনের ক্ষেত্রে অবশ্যই খেয়াল রাখবেন নিচে দেওয়া সর্তকতা ও কারণ গুলো যথাযথ মেনে আবেদন করার জন্য।

পুলিশ ক্লিয়ারেন্স রিজেক্ট হওয়ার কারণ ২০২৪

সাধারণত যে সকল কারণে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট এর আবেদন রিজেক্ট হয়ে থাকেঃ

  • আবেদনকারীর নামে থানায় ফৌজদারি এবং রাজনৈতিক কোনো মামলা থাকলে।
  • আবেদনকারী দেশদ্রোহী এবং আইনত দণ্ডনীয় কোন ধরনের অপরাধমূলক কাজের সাথে জড়িত থাকলে।
  • অনলাইনে আবেদন করার ক্ষেত্রে Personal Information ইনফর্মেশন এ কোন ধরনের ভুল থাকলে।
  • আবেদনের ক্ষেত্রে ঠিকানায় কোন ধরনের ভুল থাকলে।
  • প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস এর জায়গায় শুধুমাত্র পাসপোর্ট দিয়ে তথ্য সাবমিট করলে। ( এখানে যত সম্ভব আপনার জন্ম
  • নিবন্ধন সনদ এবং ভোটার আইডি কার্ড ও ওয়ার্ড কমিশনার এর থেকে সার্টিফিকেট নিয়ে সবগুলো তথ্য সাবমিট
  • করার)  সাধারণত আমরা এই ভুলটা বেশি করে থাকে শুধুমাত্র পাসপোর্টের আবেদন করে। শুধুমাত্র পাসপোর্টের আবেদন করার ক্ষেত্রে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স রিজেক্ট হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি থাকে।
  • আপলোডকৃত ডকুমেন্টস গুলো অবশ্যই JPG – PNG – GIF – PDF এই ফরম্যাটে আপলোড করতে হবে এবং ফাইল সাইজ থাকবে সর্বোচ্চ 200KB, এটা যথাসম্ভব A4 সাইজ রাখার চেষ্টা করবেন (শুধুমাত্র ডকুমেন্টস এর ক্ষেত্রে)
    এবং ছবিগুলো হবে 150KB ও সাইজ হবে 300 – 300
  • আপনার ডকুমেন্টস গুলো অবশ্যই একজন উচ্চ লেভেলের সরকারি কর্মকর্তা থেকে সত্যায়িত করতে হবে। যদি
  • আপনার ডকুমেন্টস গুলো কোন BCS ক্যাডার তথা নবম গ্রেডের সরকারি প্রশাসনিক কর্মকর্তা দিয়ে সত্যায়িত করতে হবে। (আপলোডকৃত ডকুমেন্টস গুলো হল পাসপোর্ট, ভোটার আইডি কার্ড, জন্ম নিবন্ধন সনদ ইত্যাদি)
  • অনলাইনে চালান জমা দেওয়ার পরে ফর্ম ডাউনলোড করে আবেদনের সময় আপলোড করতে না করলেপুলিশ ক্লিয়ারেন্স রিজেক্ট হয়।
  • চালান এর বিস্তারিত তথ্য গুলো সঠিক ভাবে না দেওয়ার কারণে। যেমনঃ চালান নাম্বার, চালান তারিখ ইত্যাদি।
    চালান আপলোড করতে হবে সর্বোচ্চ 300KB এরমধ্যে, এবং  PNG, JPEG, GIF, PDF ফরমেটে।
  • সকল ইনফরমেশন পূরণ করার পরে আমাদের সামনে একটি প্রিভিউ দেখাবে। এখান থেকে সর্বপ্রথম চেক করে নিতে হবে
  • সকল ইনফরমেশন গুলো ঠিক আছে কিনা। অনেক সময় এগুলো ঠিক না করার কারণে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স রিজেক্ট হয়।
  • এছাড়াও অনেক সময় আমরা পাসপোর্ট জমা দেয় – কিন্তু পাসপোর্ট এর ইসু নাম্বার, ইস্যুর তারিখ, পাসপোর্ট এর ঠিকানা সঠিক দেইনা, যার কারণে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স রিজেক্ট হতে পারে।
  • এছাড়াও আপনি যদি ঠিকানা বিহীন লোক হন সেক্ষেত্রে আপনার পুলিশ ক্লিয়ারেন্স বাতিল হবে। এখানে ঠিকানাবিহীন বলতে বোঝানো হয়েছে আপনি যেই ঠিকানা দিয়েছেন সেখানে আপনাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না সেক্ষেত্রে আপনার পুলিশ ক্লিয়ারেন্স বাতিল হবে।
  • অথবা আপনি যেই মোবাইল নাম্বারটি দিয়েছেন সেই নাম্বারে আপনাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না তাহলেও পুলিশ ক্লিয়ারেন্স রিজেক্ট হতে পারে।

আশাকরি উপরে যেই বিষয়গুলো সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে যদি আপনার পুলিশ ক্লিয়ারেন্স রিজেক্ট হয় তাহলে পরবর্তীতে আবেদন করার আগে অবশ্যই এই বিষয়গুলোর দিকে লক্ষ্য রাখবেন। এই ইনফর্মেশন গুলো সঠিকভাবে দিয়ে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স এর জন্য আবেদন করলে আশাকরা যায় আপনার পুলিশ ক্লিয়ারেন্স রিজেক্ট হবে না।

পুলিশ ক্লিয়ারেন্স রিজেক্ট হলে পুনরায় আবেদন ২০২৪

পুলিশ ক্লিয়ারেন্স রিজেক্ট হওয়ার পরে ওই আবেদনটি কে পুনরায় এডিট করে সাবমিট করার কোনো সুযোগ নেই, আপনাকে আবার পুলিশ ক্লিয়ারেন্স এর জন্য আবেদন করতে হবে। অনলাইন থেকে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স এর জন্য আবেদন করার সহজ পদ্ধতি হলোঃ

প্রথমে https://pcc.police.gov.bd/ এই ওয়েবসাইটটিতে প্রবেশ করে একটি একাউন্ট ক্রিয়েট করে নিতে হবে। এরপরে “Apply” অপশন এ ক্লিক করে পূর্বের ন্যায় পুনরায় পুলিশ ক্লিয়ারেন্স এর জন্য সকল তথ্য পূরণ করে সাবমিট করতে হবে। তবে তথ্য পূরণের ক্ষেত্রে অবশ্যই উপরে দেখানো ভুল গুলো এড়িয়ে চলবেন।

পুলিশ ক্লিয়ারেন্স এর আবেদন করতে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস ২০২৪

পুলিশ ক্লিয়ারেন্স এর জন্য আবেদন করার আগে অবশ্যই আপনাকে এই ডকুমেন্টগুলো সংগ্রহ করে নিতে হবেঃ

  • কমপক্ষে ৩ মাস মেয়াদী একটি পাসপোর্ট।
  • বিদেশে বসবাসরত বাংলাদেশী নাগরিকদের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট দেশ থেকে বাংলাদেশে দূতাবাস কর্তৃক সত্যায়িত পাসপোর্টের তথ্য স্ক্যানড কঁপি।
  • আবেদনকারীর ঠিকানা অবশ্যই পাসপোর্ট অনুযায়ী বর্তমান ও স্থায়ী ঠিকানা মেট্রোপলিটন বা জেলা পুলিশের আওতাধীন হতে হবে ।
  •  (১-৭৩০১-০০০১-২৬৮১) পুলিশ ক্লিয়ারেন্স চালান কোড করা ৫০০/- সোনালী ব্যাংক অথবা বাংলাদেশ ব্যাংক ক্রেডিট ও ডেবিট কার্ড এবং বিকাশ এর মাধ্যমে চালান পরিশোধ করতে পারবেন।
  • অতিরিক্ত ডকুমেন্ট হিসেবে জন্ম নিবন্ধন, ভোটার আইডি কার্ড, ওয়ার্ড কমিশনার কর্তৃক সার্টিফিকেট সংগ্রহ করে রাখতে হবে। এবং উক্ত ডকুমেন্টস গুলো নবম গ্রেডের সরকারি প্রশাসনিক কর্মকর্তা (BCS ক্যাডার) দ্বারা সত্যায়িত করতে হবে।

আশা করি, পুলিশ ক্লিয়ারেন্স রিজেক্ট হলে করনীয় সম্পর্কে আপনারা বুঝতে পেরেছেন। পুলিশ ক্লিয়ারেন্স রিজেক্ট হলে পুনরায় পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট এর জন্য আবেদন করতে হবে।

[ বি:দ্র: উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট পেতে কতদিন সময় লাগে ২০২৪

বন্ধুরা পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেটের জন্য আপনারা যারা অনলাইনে আবেদন করেছেন। তারা অনলাইনে মাধ্যমে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট চেক করতে পারবেন যে আপনাদের সার্টিফিকেট কোন অবস্থানে রয়েছে।

এছাড়াও সচরাচর পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেটের জন্য অনলাইনে আবেদন করার পর ০৭ থেকে ১০ কার্ড যদি দিবসের মধ্যেই আপনার পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেটটি আপনি পেয়ে যাবেন।

বন্ধুরা এছাড়াও বিভিন্ন কারণে আপনার পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট পেতে হয়তো কিছুদিন বেশি সময় লাগতে পারে সর্বোচ্চ 15 দিনের মধ্যে আপনি আপনার পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট হাতে পেয়ে যাবেন।

আশা করি আপনারা বিষয়টা বুঝতে পেরেছেন পুলিশ ক্লিয়ার সার্টিফিকেট পেতে কত দিন সময় লাগে।

পুলিশ ক্লিয়ারেন্স রিজেক্ট হলে করনীয় এছাড়াও পুনরায় কিভাবে পুলিশ ক্লিয়ার সার্টিফিকেটের জন্য আপনারা অনলাইনে আবেদন করবেন এবং কি কি তথ্য আপনারা আপনাদের আবেদন পত্র রিজেক্ট হয়ে গেলে আবার পুনরায় আবেদন করতে পারবেন।

এই সম্পর্কে আমাদের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আপনাদেরকে বিস্তারিত তথ্য জানানো হয়েছে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স রিজেক্ট হলে করনীয় সম্পর্কে।

বন্ধুরা আপনারা যারা আমাদের ওয়েবসাইটের আর্টিকেল লেখা পুলিশ ক্লিয়ারেন্স রিজেক্ট হলে করনীয় একদম শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়েছেন তারা অবশ্যই বিস্তারিত তথ্য বুঝতে পেরেছেন আপনাদের আপনাদের পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট রিজেক্ট হয়ে গেলে আপনাদের কি কি তথ্য পুনরায় দিয়ে আবার আবেদন করতে হবে।

এছাড়াও আরো জানতে পেরেছেন পুলিশ ক্লিয়ারেন্স রিজেক্ট হওয়ার কারণ সম্পর্কে আমাদের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করেছি এবং পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট কি এই সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা দেয়ার চেষ্টা করেছি আপনাদেরকে।

আমাদের ওয়েবসাইটের আর্টিকেল লেখা পুলিশ ক্লিয়ারেন্স রিজেক্ট হলে করনীয় পড়ে যদি আপনাদের ভালো লাগে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে আপনাদের মতামত জানিয়ে দিবেন।

এছাড়াও আমাদের ওয়েবসাইটের আর্টিকেলটি পুলিশ ক্লিয়ারেন্স রিজেক্ট হলে করনীয় আপনার বন্ধু-বান্ধবদের মাঝে ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য যেকোনো সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করে  তাদেরকে পড়ার সুযোগ করে দিবেন।

আজকের বিষয়: পুলিশ ক্লিয়ারেন্স রিজেক্ট হলে করনীয়, পুলিশ ক্লিয়ারেন্সের আবেদন বাতিল হলে করণীয়

পুলিশ ক্লিয়ারেন্স রিজেক্ট হলে করনীয় FAQ

পুলিশ ক্লিয়ারেন্স কি?

সাধারণত চাকুরি বা উচ্চশিক্ষার্থে বিদেশ গমণের ক্ষেত্রে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট প্রয়োজন হয়। এই সার্টিফিকেটে সার্টিফিকেট প্রাপ্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে থানায় কোনো ফৌজদারী অপরাধের রেকর্ড নেই – এই মর্মে প্রত্যয়ন করা হয়।
সূত্র: BD AKS

পুলিশ ক্লিয়ারেন্স পেতে কোথায় এবং কিভাবে আবেদন করতে হয়?

অনলাইন পুলিশ ক্লিয়ারেন্সের জন্য http://pcc.police.gov.bd এ আবেদন করা যায়।
সূত্র: BD AKS

পুলিশ ক্লিয়ারেন্স এর আবেদন পত্রে কোন ঠিকানা (স্থায়ী/অস্থায়ী) দিতে হয়?

উত্তর: স্থায়ী এবং অস্থায়ী উভয় ঠিকানাই দিতে হয়।
সূত্র: BD AKS

কোন প্রার্থীর বর্তমান (অস্থায়ী) ঠিকানা যদি পাসপোর্টে প্রদত্ত ঠিকানা থেকে ভিন্ন হয় সে ক্ষেত্রে করণীয় কি?

উত্তর: এ ক্ষেত্রে বর্তমান ঠিকানার ওয়ার্ড কাউন্সিলর এর নিকট হতে একটি প্রত্যয়ন পত্র আবেদন পত্রের সাথে দাখিল করতে হবে। সূত্র: BD AKS

পুলিশ ক্লিয়ারেন্স এর আবেদন পত্রের সাথে কি কি ডকুমেন্ট জমা দিতে হয়?

উত্তর: (ক) ১ম শ্রেণির গেজেটেড কর্মকর্তা কর্তৃক পাসপোর্টের তথ্য পাতার সত্যায়িত ফটোকপি, (খ) বাংলাদেশ ব্যাংক/সোনালী ব্যাংকের ৫০০/- টাকা ট্রেজারি চালানের ফটোকপি বা অনলাইন পেমেন্টের ক্ষেত্রে ই-চালানের ফটোকপি এবং (গ) প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে ওয়ার্ড কাউন্সিলর এর নিকট হতে একটি প্রত্যয়ন পত্রের সত্যায়িত ফটোকপিসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় ডুমেন্টের সত্যায়িত ফটোকপি।
সূত্র: BD AKS

এক জনের পুলিশ ক্লিয়ারেন্সের জন্য কি অন্য কেউ আবেদন করতে পারবেন?

উত্তর: যে কেউ নিজের নামে বা অন্য কারো নামে আবেদন করতে পারবেন।
সূত্র: BD AKS

কেউ দেশের বাইরে থেকে পুলিশ ক্লিয়ারেন্সের জন্য আবেদন করতে চাইলে তিনি কিভাবে আবেদন করতে পারবেন?

উত্তর: প্রবাসী বাংলাদেশীরা সংশ্লিষ্ট দেশে বাংলাদেশ দূতাবাস কর্তৃক এবং বিদেশী নাগরিকরা নিজ দেশের জাস্টিস অব পিস কর্তৃক পাসপোর্টের তথ্য পাতার সত্যায়িত কপির স্ক্যানকপি, এবং অনলাইনে ই-চালানের স্ক্যানকপিসহ অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। সূত্র: BD AKS

পুলিশ ক্লিয়ারেন্স পেতে কত টাকা লাগে এবং কিভাবে সে টাকা দিতে হয়?

উত্তর: পুলিশ ক্লিয়ারেন্স পেতে ৫০০/- টাকা লাগে। বাংলাদেশ ব্যাংক/সোনালী ব্যাংকের যে কোনো শাখা হতে (১-৭৩০১-০০০১-২৬৮১ কোডে) ট্রেজারি চালানের মাধ্যমে বা অনলাইন পেমেন্টের মাধ্যমে বাংলাদেশ সরকারের অনুকূলে উক্ত ৫০০/- টাকা জমা দিতে হয়। সূত্র: BD AKS

পুলিশ ক্লিয়ারেন্স এর তদন্তের সময় প্রার্থীকে কি থানায় যেতে হয়, নাকি তদন্তকারী পুলিশ অফিসার প্রার্থীর ঠিকানায় তদন্ত করতে যাবেন?

উত্তর: প্রার্থীকে থানায় যেতে হয় না; তদন্তকারী পুলিশ অফিসার প্রার্থীর ঠিকানায় তদন্ত করতে যাবেন। সূত্র: BD AKS

পুলিশ ক্লিয়ারেন্স এর তদন্তের সময় তদন্তকারী পুলিশ অফিসারকে কি প্রার্থীর কোন ডকুমেন্ট (কি কি) দিতে হয়?

উত্তর: (ক) পাসপোর্টের তথ্য পাতার ফটোকপি, (খ) ট্রেজারি চালানের বা অনলাইন পেমেন্টের ফটোকপি এবং (গ) প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে ওয়ার্ড কাউন্সিলর এর নিকট হতে প্রাপ্ত প্রত্যয়ন পত্রের ফটোকপি ও অন্যান্য ডকুমেন্ট। বি: দ্র: তদন্তকারী পুলিশ অফিসার চাইলে এ সকল ডকুমেন্টের মূল কপি প্রদর্শন করতে হবে।
সূত্র: BD AKS

পুলিশ ক্লিয়ারেন্স পেতে সর্বোচ্চ কতদিন সময় লাগে?

উত্তর: আবেদন সাবমিট করার পর ঢাকার মধ্যে ৭ কর্মদিবস আর ঢাকার বাইরে হলে ১০ কর্মদিবস এর বেশি নয়। সূত্র: BD AKS

পুলিশ ক্লিয়ারেন্স কোথা থেকে সংগ্রহ করতে হয়?

উত্তর: মেট্রোপলিটন এলাকায় সংশ্লিষ্ট মেট্রোপলিটন হেডকোয়ার্টার্স এর ওয়ান স্টপ সার্ভিস সেন্টার হতে এবং জেলার ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট জেলার ডিএসবি অফিস (পুলিশ সুপারের কার্যালয়) থেকে। সূত্র: BD AKS

পুলিশ ক্লিয়ারেন্স পেতে প্রার্থীকে যদি কোন প্রকার হয়রানির শিকার হতে হয় সে ক্ষেত্রে প্রার্থী কোথায় অভিযোগ করতে পারবেন?

উত্তর: মেট্রোপলিটন এলাকার ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট মেট্রোপলিটন এর উপ-পুলিশ কমিশনার (সদরদপ্তর ও প্রশাসন) বরাবর এবং জেলার ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট জেলার পুলিশ সুপার বরাবর অভিযোগ জানাতে পারবেন। সূত্র: BD AKS

প্রশ্ন ও মতামত জানাতে পারেন আমাদের কে ইমেল : info@banglanewsexpress.com

আমরা আছি নিচের সামাজিক মাধ্যম গুলোতে ও

Leave a Comment