চাকরির বিকল্প হিসাবে আত্মকর্মসংস্থানের লক্ষ্যে যৌথভাবে কয়েকজন বন্ধু মিলে উদ্যোগি হয়ে একটি দুগ্ধ খামার প্রতিষ্ঠাকল্পে খামার পরিচালনা ও বাজারজাতকরণে আয়, ব্যয় ও মুনাফার হিসাব দেখিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রস্তুত কর।

চাকরির বিকল্প হিসাবে আত্মকর্মসংস্থানের লক্ষ্যে যৌথভাবে কয়েকজন বন্ধু মিলে উদ্যোগি হয়ে একটি দুগ্ধ খামার প্রতিষ্ঠাকল্পে খামার পরিচালনা ও বাজারজাতকরণে আয়, ব্যয় ও মুনাফার হিসাব দেখিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রস্তুত কর।

উত্তর:

খামার পরিকল্পনা

খামার পরিকল্পনা হচ্ছে একটি পরিবর্তনশীল, ক্রিয়া যার মাধ্যমে কৃষি পণ্যের মধ্যে কোনটির উৎপাদন লাভজনক সে সম্পর্কে সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও তার বাস্তবায়ন করা। খামার পরিকল্পনার অর্থ হচ্ছে কৃষকের সম্ভাব্য বিকল্পগুলোর থেকে অর্থনৈতিকভাবে সবচেয়ে লাভজনক ফসল/  তরল সম্পদ, পণ্য বা উপকরণ বেছে নেয়া ও বাস্তবতা প্রয়োগ করা।

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর টি আলু চাষা থেকে নেওয়া হয়েছে বুঝে ব্যবহার করুন   (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

খামার পরিকল্পনার ধাপসমূহ

১। খামারের সহজ পরিকল্পনা প্রণয়ন। যেমন: ফসল/  তরল সম্পদ নির্বাচন, জমি নির্বাচন, উপকরণ ইত্যাদি।

২। ফসল/  তরল সম্পদ ও কৃষি পন্য উৎপাদনের সকল উন্নত প্রযুক্তি ও পদ্ধতিসমূহ প্রয়োগ।

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর টি আলু চাষা থেকে নেওয়া হয়েছে বুঝে ব্যবহার করুন   (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

৩। একটি পূর্ণাঙ্গ বাজেট। অর্থাৎ খামারের সকল ফসল/  তরল সম্পদ ও পণ্য দ্রব্যের সম্ভাব্য আয় ব্যয় নিরূপণ করা। খামার স্থাপনের জন্য যেসব বিষয় বিবেচনা নেয়া প্রয়োজন সেগুলো হলোক) খামার মালিক বা পরিচালকের ব্যক্তিগত বৈশিষ্ট্যসমূহ যেমন- শিক্ষা ও অভিজ্ঞতা, বয়স, স্বাস্থ, রুচি ও চাহিদা।

খ) ভূতাত্ত্বিক বিষয়সমুহ, যেমন- মাটির ধরন, আবহাওয়া ও জলবায়ু, ভূমির উচ্চতা।

গ) অর্থনৈতিক বিষয়সমূহ, যেমন- উন্নত প্রযুক্তির প্রাপ্যতা, উপকরণ সরবরাহ ও দান, ঋন প্রাপ্যতা, শ্রমিক সহজলভ্যতা, জমির মূল্য উৎপাদিত পন্যের পরিবহন, বাজারজাতকরন ও দাম। মাঠ ও উদ্যান ফসলের খামার স্থাপনের পরিকল্পনা সীমিত ব্যয়ে স্বল্প শ্রমে অধিক মুনাফা ও লাভজনক খামারে পরিণত করার জন্য একটি খামার স্থাপন পরিকল্পনা প্রয়োজন।

মাঠ ও উদ্যান ফসলের খামার স্থাপনের পরিকল্পনার জন্য যেসব বিষয় বিবেচনায় আনতে হবে সেগুলো হল:

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর টি আলু চাষা থেকে নেওয়া হয়েছে বুঝে ব্যবহার করুন   (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

ভূতাত্ত্বিক বিষয়সমূহ

১। খামারের অবস্থান: সাধারণত শহরে ও বন্দরের আশেপাশে গড়ে উঠে। খামারের চারপাশে রাস্তাঘাট, বসতবাড়ি, পান উৎস, সেচ ও নিস্কাশনের ব্যবস্থা থাকতে হবে।

২। মাটির ধরন: উর্বর সুনিস্কাশিত মাটি ফসল/  তরল সম্পদ ও উদ্যান খামার স্থাপনের জন্য উপযোগী।

৩। আবহাওয়া ও জলবায়ু: আবহাওয়া ও জলবায়ুর উপর নির্ভর করে একেক অঞ্চলের একেক ধরনের কৃষি খামার গড় উঠছে।

৪। ভূমির উচ্চতা: উঁচু জমিতে যেখানে বন্যার পানি উঠে না যেখানে উদ্যান ফসলে খামার ও নার্সারী স্থাপনের জন্য উপযোগী।

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর টি আলু চাষা থেকে নেওয়া হয়েছে বুঝে ব্যবহার করুন   (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

অর্থনৈতিক বিষয়সমূহ:

১। উন্নত প্রযুক্তির প্রাপ্যতা: কৃষিজ দ্রব্য উৎপাদনের জন্য আধুনিক প্রযুক্তির প্রাপ্যতার উপর খামার স্থাপন নির্ভর করে বিভিন্ন ফসলের উন্নত বীজ, কৃষি যন্ত্রপাতির প্রাপ্যতা সহজলভ্য হতে হবে।

২। উপকরণ সরবরাহ ও দাম: কৃষি খামার স্থাপনের জন্য ন্যায্যমূল্যে কৃষি উপকরণ সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে।

৩। ঋন ব্যবস্থা: খামার ব্যবস্থা ঝুঁকিপূর্ণ বিধায় কৃষি ঋনের ভূমিকা অপরিসীম। সহজশর্তে ঋণের সুবিধা পেলে খামার স্থাপনে আগ্রহ সৃষ্টি হবে।

৪। জমির মূল্য: জমির মূল্য কম এবং যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো সেখানে খামার গড়ে তোলা উচিত কারণ খামারের জন্য অনেক বেশি জমি প্রয়োজন।

৫। কৃষি পন্যের পরিবহন, বিপনন ও মূল্য: উৎপাদিত কৃষি পণ্য সহজেই পচে যায়। পণ্য সামগ্রী সঠিক সময়ে পরিবহন ও

বিপনন করা যায় যে ব্যবস্থা থাকতে হবে। পরিবেশে খামার স্থাপনের আগে উদ্যোক্তারা উৎপাদিত পণ্য সামগ্রীর পরিবহন, বিপনন ও ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে হবে।

খামারের অধিক উৎপাদনশীল করতে নিমèবর্ণিত কার্য সম্পাদন করতে হয় যেমন:

১। টেকসই ও পরিবেশ বান্ধব উপকরণ ব্যবহার করতে হবে।

২। উপকরণ এর সহজ প্রাপ্যতা বিবেচনায় নিতে হবে।

৩। যোগাযোগ ব্যবস্থাপনা উন্নত হতে হবে।

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর টি আলু চাষা থেকে নেওয়া হয়েছে বুঝে ব্যবহার করুন   (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

৪। উৎপাদন উপকরণ যথোপযুক্ত ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।

৫। সঠিক সময়ে উৎপাদন কার্য পরিচালনা করতে হবে।

৬। শ্রমিকের সহজলভ্যতা ও যোগান নিশ্চিত করতে হবে।

৭। খামারকে লাভজনক করতে আধুনিক প্রযুক্তি ও উন্নয়ন

৮। উৎপাদিত পণ্য যথাসময়ে উৎপাদন, প্রক্রিয়াজাতকরণ ও বাজারজাত করতে হবে।

খামার ব্যবস্থাপনা

খামার ব্যবস্থাপনার সাথে লাভ লোকসানের সাথে সম্পর্কযুক্ত সিদ্ধান্তগুলোই বিজ্ঞানের আলোচ্য বিষয়। একটি খামার

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর টি আলু চাষা থেকে নেওয়া হয়েছে বুঝে ব্যবহার করুন   (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

সাধারণত: ক) জমি,

খ) শ্রম,

গ) মূলধন,

ঘ) যন্ত্রপাতি নিয়ে গঠিত।

এ্যান্ডুবসের সংজ্ঞানুসারে, খামার ব্যবস্থাপনা হলো

“খামারের উৎপাদন সংগঠন ও সংশ্লিষ্ট পরিচালনা কাজে ব্যবসায়িক ও বৈজ্ঞানিক নীতিমালার প্রয়োগ। জি.এফ. ওয়ারেন

এর মতে খামার ব্যবস্থাপনা হচ্ছে এমন একটি বিজ্ঞান যা ধারাবাহিকভাবে সর্বোচ্চ মুনাফা লাভের উদ্দেশ্যে খামারের বিভিন্ন

ফসল/  তরল সম্পদ বা পণ্য সামগ্রী উৎপাদনের সাংগঠনিক ও ব্যবস্থাপনাগত দিক নিয়ে আলোচনা করে থাকে। খামার ব্যবস্থাপনার উদ্দেশ্য খামার ব্যবস্থাপনার মূল উদ্দেশ্য হল বৈজ্ঞানিক উপায়ে জমি, শ্রম, পুঁজি ও যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে উৎপাদন ও মুনাফা বৃদ্ধিকরণ।

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর টি আলু চাষা থেকে নেওয়া হয়েছে বুঝে ব্যবহার করুন   (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

 খামার ব্যবস্থাপনার উদ্দেশ্যগুলো হতে পারে-

১. স্বল্প খরচে উৎপাদন বাড়ানো

২. খরচের সাথে মুনাফা সর্বাধিক করা

৩. বিভিন্ন ধরনের উৎপাদন ঝুঁকি কমিয়ে আনা

৪.পারিবারিক সচ্ছলতার জন্য পণ্য সামগ্রী উৎপাদন করা।

৫. প্রাকৃতিক উৎসের বা সম্পদের সর্বোচ্চ ব্যবহার করা।

খামার পরিচালনা

খামার পরিচালনা বলতে উৎপাদনের প্রয়োজনীয় উপকরণ সংগ্রহ করা এবং খামারের বিভিন্ন কার্যাবলী সুষ্ঠু পরিকল্পনার মাধ্যমে সম্পন্ন করার জন্য উপাদানসমূহের সমন্বয় সাধন করাকে বুঝায়। খামার পরিচালনার নীতিমালাগুলো নিম্নে বর্ণিত

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর টি আলু চাষা থেকে নেওয়া হয়েছে বুঝে ব্যবহার করুন   (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

হলো

১। ক্রমহ্রাসমান আয়নীতি

২। ব্যয় নীতি

৩। প্রতিস্থাপন নীতি

১। ক্রমহ্রাসমান আয় নীতি: উৎপাদনের সকল উপাদান এর পরিমান অপরিবর্তিত রেখে শুধুকেবল উপাদানের পরিমান বাড়ানো হয়। প্রথমে উপাদান বৃদ্ধির সাথে সাথে উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে, কিন্তু একটি নির্দিষ্ট বৃদ্ধির পর প্রথমে প্রান্তিক

উৎপাদন এবং পরে গড় উৎপাদন হ্রাস পেতে থাকবে। এটাই ক্রমহ্রাসমান আয় নীতি। এর উৎকৃষ্ট উদাহরণ হতে পার জমিতে রাসায়নিক সারের ব্যাবহার। জমিতে অতিরিক্ত ফসল/  তরল সম্পদ উৎপাদন কোন নির্দিষ্ট জমিতে প্রয়োজনের তুলনায় বেশি

রাসায়নিক সার ব্যবহার করলে ফলন বৃদ্ধি পাবে। একটি নির্দিষ্ট সীমা পর্যন্ত রাসায়নিক সারের ব্যবহার ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি করা গেলেও পরে আর ফলন বৃদ্ধি পায় না।

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর টি আলু চাষা থেকে নেওয়া হয়েছে বুঝে ব্যবহার করুন   (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

২। ব্যয় নীতি: খামারের উৎপাদনের লাভ লোকসান নির্ধারনে এ নীতি ব্যবহার করা হয় উৎপাদনে দুই ধরনের খরচ হয়। স্থির খরচ যেমন কর্মচারীর বেতন, খামার নির্মান ব্যয়, জমির খাজনা। অস্থায়ী বা পরিবর্তনশীল খরচ উৎপাদনের সাথে

উঠানামা করে। মোট উৎপাদন খরচ যদি উৎপাদন আয়ের চেয়ে কম হয়। তবে খামারে আরো মূলধন বিনিয়োগ করা যাবে ততক্ষন মূলধন ব্যবহার করা যাবে যতক্ষন পর্যন্ত মোট উৎপাদন আয় ও পরিবর্তন ব্যয় সমান না হয়।

৩। প্রতিস্থাপন নীতি: প্রতিস্থাপন নীতি দ্বারা কোন ফসল/  তরল সম্পদ লাভজনক তা নির্ধারণ করা যায়। এ নীতি ব্যবহার করে কম লাভজনক ফসলের উৎপাদন বন্ধ রেখে অন্য লাভজনক ফসল/  তরল সম্পদ উৎপাদন করা সম্ভব। এ নীতি ২টি বিষয়ের উপর নির্ভর করে

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর টি আলু চাষা থেকে নেওয়া হয়েছে বুঝে ব্যবহার করুন   (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

প্রতিস্থাপন অনুপাত= প্রতিস্থাপিত ফসলের ফলন

11 9

চাষকৃত ফসলের ফলন মূল্য অনুপাত= চাষকৃত ফসলের একক পরিমানের মূল্য

প্রতিস্থাপিত ফসলের একক পরিমানের মূল্য উদাহরণ হিসাবে আউশ ধানের বাজারদর কমে যাওয়ায় খামারী যদি সে জমিতে পাট লাগানোর ইচ্ছে করেন, এক্ষেত্রে আউশ ধান প্রতিস্থাপিত ফসল/  তরল সম্পদ এবং দুধ হলো চাষকৃত ফসল/  তরল সম্পদ। যদি প্রতিস্থাপন অনুপাত মূল্য অনুপাতের চেয়ে ছোট হয় তবে ফসল/  তরল সম্পদ প্রতিস্থাপন করতে হবে। অর্থাৎ আউশ ধানের বদলে দুধ চাষ করতে হবে। আর প্রতিস্থাপন অনুপাত মূল্য অনুপাতের চেয়ে বড় হয় তবে ফসল/  তরল সম্পদ প্রতিস্থাপন করা যাবে না। তখন দুধ লাগানো যাবে না।

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর টি আলু চাষা থেকে নেওয়া হয়েছে বুঝে ব্যবহার করুন   (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

দুগ্ধ খামার প্রতিষ্ঠাকল্পে খামার পরিচালনা ও বাজারজাতকরণে আয়, ব্যয় ও মুনাফার হিসাব দেখিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রস্তুত

মানুষের খুব কাছাকাছি থেকে নানাভাবে উপকৃত করে এমন প্রাণীর মধ্যে গরু অন্যতম।  মহান আল্লাহর একটি সৃষ্টি যা মানুষের পুষ্টির চাহিদা পূরণ করে। এর গোশত ও দুধ মানবদেহের সব প্রয়োজন পূরণ করে। দুধ হলো আদর্শ খাদ্য। যা খাদ্যের প্রায় সব উপাদান বহন করে। সুস্থ সবল গাভী হতে পরিমিত দুধ পাওয়া যায়। আমাদের দেশের গাভীগুলোর দুধ উৎপাদন ক্ষমতা অন্যান্য দেশের তুলনায় কম। এর পেছনে কিছু পরিবেশগত কারণ ও জাতগত কারণ রয়েছে। একেক জাতের গাভীর দুধ উৎপাদন ক্ষমতা একেক রকম। আমাদেশে দেশে জাত ছাড়াও বিষয় আছে যা দুধ উৎপাদন বাড়াতে সহায়ক। আগে জেনে নেয়া যাক, যে বিষয়গুলোর ওপর দুধ উৎপাদন নির্ভরশীল-


১. গাভীর আকার : গাভীর আকার এর ওপর উৎপাদন অনেকটা নির্ভর করে। সাধারণত বড় আকারের গাভী হতে বেশি দুধ পাওয়া যায়।
২. বাছুর প্রসবের সময় : বাছুর প্রসবের সময়ের ওপর দুধ উৎপাদন নির্ভর করে। শরৎকালে গাভীর বাচ্চা প্রসবে বসন্ত ঋতুতে প্রসব অপেক্ষা প্রায় ১০% অধিক দুধ উৎপাদিত হয়, এর কিছু আবহাওয়াগত কারণ রয়েছে।
৩. পুষ্টি : গাভীর পুষ্টির উপর অনেকাংশে দুধ উৎপাদন নির্ভর করে। দুধ নিঃসরণকারী কোষে দুধ সৃষ্টি করতে পারে যদি পর্যাপ্ত পুষ্টি পায় আর গাভীর পুষ্টির উৎস দুইটি তার নিজের দেহ এবং যে খাদ্য সে খায়।
৪. বয়স : গাভীর বয়সের সাথে সম্পর্কিত দুধ উৎপাদন ক্ষমতা সাধারণত গাভী তার ৩ থেকে ৬ (বাছুর সংখ্যা) দুধকাল সর্বোচ্চ পরিমাণ দুধ দেয়।
৫. স্বাস্থ্য : গাভীর স্বাস্থ্য ভালো থাকলে দুধ উৎপাদন অনেকটা ভালো থাকে।
৬. আদর্শ ব্যবস্থাপনা : দুধ দোহনের উপযুক্ত ব্যবস্থাপনা ও বাসগৃহ এবং সামগ্রীর পরিচালনায় দুধ উৎপাদন প্রভাব রয়েছে।

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর টি আলু চাষা থেকে নেওয়া হয়েছে বুঝে ব্যবহার করুন   (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]


ফ্যাট                   ৩৫-৪৫%
প্রোটিন                 ৩.৫ – ৫%]
ল্যাকটোস              ৪-৫%    
অ্যাস (মিনারেল)     ৭০ – ৮০%।
টোটাল সলিড         ১৩-১৪%
পানি                    ৮৭ .৫%
কোসিন                ২.৬%
অ্যালবুমিন গ্লোবুলিন   ০.৫%
 

যে বিষয়গুলোর দিকে দৃষ্টি রাখলে উৎপাদন বাড়বে-
১. ড্রাই পিরিয়ড বৃদ্ধি : ড্রাই পিরিয়ড বলতে সেই সময়কে বোঝায় যখন গাভীর বাছুর বড় হওয়ার পর থেকে পুনরায় গর্ভবর্তী হওয়ার আগ পর্যন্ত সময়কে। এ সময় সাধারণত ৫০-৬০ দিন হলে ভালো হয়। এ সময়ে গাভীর তার দুর্বলতা কাটিয়ে উঠতে পারবে এবং পরবর্তী বাছুরের জন্য নিজের দেহকে সুষ্ঠুভাবে তৈরি করতে পারবে। আজ এটা বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত ড্রাই পিরিয়ড বৃদ্ধি পেলে দুধ উৎপাদন বাড়ে।
 

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর টি আলু চাষা থেকে নেওয়া হয়েছে বুঝে ব্যবহার করুন   (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

২. সুষম খাদ্যের সরবরাহ : গর্ভবতী গাভীর জন্য প্রয়োজন সুষম খাদ্য সরবরাহ। এ সময় প্রচুর পরিমাণ পুষ্টি প্রয়োজন। যা গাভীর নিজের জন্য ও বাছুরের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। গাভীর পুষ্টির উপর নির্ভর করে গাভীর দুধ উৎপাদন ক্ষমতা ও বাচ্চার দেহ গঠন। তাই গর্ভবতী গাভীকে বিশেষভাবে সুষম খাদ্য সরবরাহ করতে হবে।
 

৩. পর্যাপ্ত বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ : দেহের পরিপাক তন্ত্র সঠিকভাবে পরিচালিত হওয়ার জন্য পর্যাপ্ত সুষম পানি  প্রয়োজন। পানি দেহের পরিমিত পানি দেহের মেটাবলিজম সঠিক রাখে।
 

৪. বাছুর প্রসব কালের গাভীর পরিচর্যা নিশ্চিত করা : গাভীর বাছুর প্রসবকালে নিতে হবে বাড়তি পরিচর্যা। এ সময় গাভীকে নরম বিছানার (খড় বিছিয়ে) ব্যবস্থা করতে হবে। সাধারণত বকনা গরুর ক্ষেত্রে প্রথম বাছুর প্রসবকালে সমস্যা একটু বেশি হয়। তাই বাছুর হওয়ার সাথে সাথে গাভীকে কিছু কুসুম গরম পানি ও তার সাথে ভিটামিন সি সদৃশ্য কিছু খাওয়াতে হবে। এতে করে গাভীর শরীর ঠিক থাকে।
 

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর টি আলু চাষা থেকে নেওয়া হয়েছে বুঝে ব্যবহার করুন   (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

৫. এই সময় মিল্ক ফিভার (দুস্থ জ্বর) যাতে না হয় সেজন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ ক্যালসিয়াম খাবারের সাথে দিতে হবে। বাছুর প্রসবের প্রায় ১ সপ্তাহ আগে ভিটামিন ডি খাওয়ালে গাভীর জন্য সহায়ক হয়।
 

৬ গাভীকে নিয়মিত পরিষ্কার রাখা : বাছুর প্রসবের পর গাভীকে সঠিকভাবে গোসল করাতে/ পরিষ্কার করতে হবে। শীতের দিন  হলে হালকা গরম পানি দিয়ে হলেও তা পরিষ্কার করতে হবে। যা দেহের বহিঃপরজীবী দূর করতে এবং তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সহায়তা করে। আর তাপমাত্রার সাথে দুধ উৎপাদন এর একটা সম্পর্ক রয়েছে।
 

৭. বাছুর প্রসবের পর এমনিতেই দেহের দুর্বলতা ভাব প্রকাশ পায়। এই সুযোগ নিয়ে জীবাণু সহজে বংশ বিস্তার ও রোগ ছড়াতে পারে। আর জীবাণু পরজীবীর জন্য উপযুক্ত পরিবেশ হলো অপরিচ্ছন্নতা। সেই দিকে খেয়াল রাখতে হবে। নিয়মিত পরিষ্কার রাখতে হবে।

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর টি আলু চাষা থেকে নেওয়া হয়েছে বুঝে ব্যবহার করুন   (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]


গরমকালে প্রতিদিন না হলেও সপ্তাহে অন্তত ২ বার গোসল করানো ভালো। শীতকালে তেমন সম্ভব না হলে ব্রাশ দিয়ে শরীরের লোম পরিষ্কার করতে হবে।  এতে করে লোমের অর্থাৎ সারা শরীরে রক্ত প্রবাহ ঠিক থাকে। যা দুধ উৎপাদনে সহায়ক।  
 

৮. গাভীর বাসস্থান পরিচ্ছন্ন রাখা : যে স্থানে গাভীকে রাখা হয় তার উপর গাভীর স্বাস্থ্য ও দুধ অনেকটা নির্ভর করে। ভালো ভ্যান্টিলেশন শুকনো ও স্যাঁতসেঁতে মুক্ত পরিবেশে গাভীকে রাখতে হবে। এতে করে লোমের অর্থাৎ সারা শরীরে রক্ত প্রবাহ ঠিক থাকে। যা দুধ উৎপাদন সহায়ক।
 

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর টি আলু চাষা থেকে নেওয়া হয়েছে বুঝে ব্যবহার করুন   (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

৯. বাচ্চা প্রসবের আগে ও পরে কিছু দিন বাসস্থানকে আগে আরাম দায়ক করতে শুকনো খড় ব্যবহার করা উত্তম।
কোন রকম ময়লা আবর্জনা সেখানে রাখা উচিত নয়। এতে করে পরবর্তীতে কৃমি বৃদ্ধি পেতে পারে। সপ্তাহে অন্তত ২ বার ব্লিচিং পাউডার দ্বারা গাভীর স্থানের মেঝে পরিষ্কার করতে হবে। এতে করে জীবাণুর প্রাদুর্ভাব অনেকাংশে কমানো যায়।
 

১০. পর্যাপ্ত কাঁচা ঘাসের সরবরাহ করা : গাভীর দুধ উৎপাদন  বাড়াতে কাঁচা ঘাসের কোনো বিকল্প নেই। সুষম খাদ্যের পাশাপাশি কাঁচা ঘাস দুধ উৎপাদন বাড়ায়। ঘাসের বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন ও মিনারেল এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের উপস্থিতিতে দুধ উৎপাদন বাড়ায়।
 

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর টি আলু চাষা থেকে নেওয়া হয়েছে বুঝে ব্যবহার করুন   (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

১১. নির্দিষ্ট সময়ে দোহন করা : প্রতিদিন একই সময়ে দুধ দোহন করলে এর উৎপাদন ভালো থাকে। গাভীর দেহের হরমোন তখন ভালো কাজ করতে পারে। নির্দিষ্ট সময়ে একই ব্যক্তি দ্বারা দুধ দোহন করলে দুধ উৎপাদনের মান ভালো থাকে বলে প্রমাণিত হয়েছে। অন্য ব্যক্তি বা পদ্ধতির পরিবর্তন হলে গাভী অনেকটা  বিরক্ত হয়। ফলে দুধ উৎপাদন কমে যায়।
 

১২. নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে দোহন শেষ করা : দুধ নিঃসরনের  সাথে  জড়িত হরমোন অক্সিটোসিন মাত্র ৮ মিনিট কাজ করে । এজন্য ওই সময়ের মধ্যে সর্বোচ্চ দুধ পেতে দোহন শেষ করতে হবে।
 

১৩. দুধ দোহনের সংখ্যা : দুধ উৎপাদনের পরিমাণের ওপর দুধ দোহন সংখ্যা নির্ভর করে। সাধারণত সকাল ও বিকালে  দুধ দোহন করা হয়। এতে দুধ উৎপাদন পরিমাণ বাড়ে।
 

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর টি আলু চাষা থেকে নেওয়া হয়েছে বুঝে ব্যবহার করুন   (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

১৪. ব্যায়াম করানো : দীর্ঘদিন পেটে বাছুর/ গর্ভবর্তী থাকায় প্রায় অনেকটা অলস হয়ে থাকে গাভীগুলো। তাই বাছুর হওয়ার পর থেকে গাভীকে একটু ব্যায়াম (হাঁটানো) এর ব্যবস্থা করতে হবে। এতে করে


১৫. বাছুরকে দুধের পাশাপাশি অন্য কিছু দেয়া : গাভীর দুদ্ধ প্রদান কালে বাছুরকে তার মায়ের দুধের পাশাপাশি অন্য কিছু খাওয়াতে হবে। এতে  করে দুধ এর চাহিদা কম হবে। যার ফলে বাছুর প্রয়োজনের অতিরিক্ত দুধ গাভী তার মালিককে প্রদান করবে। এ আলাদা খাদ্যকে বলা হয় কাফ স্টাটার (Calf Startar) যাতে পুষ্টিমান থাকবে ২০% উঈচ ধহফ ৭০% TDN এটা প্রোটিন, মিনারেল ও ভিটামিন ও অ্যান্টিবায়োটিকের  সমন্বয়ে তৈরি করা হয়।
 

১৬. উপযুক্ত পারিপার্শ্বিক অবস্থা : ঘরের পরিবেশ আরামদায়ক ও সন্তুষ্ট অবস্থায় দুধ দোহন করা উত্তম। এতে দুধ দোহন এর গতি ধারাবাহিকতা বজায় রাখে। ঘরের পরিবেশ শান্ত হওয়া বাঞ্ছনীয়। উচ্চ শব্দ, কুকুর, আগন্তক অযথা চিৎকার ও অন্যান্য উদ্ভূত পরিস্থিতি অবশ্যই পরিহার করা।  এসব হলে দুধ নিঃসরনে ব্যঘাত ঘটে।
 

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর টি আলু চাষা থেকে নেওয়া হয়েছে বুঝে ব্যবহার করুন   (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

 ১৭. দোহন কালে খাওয়ানো : দৈনিক রেশনের দানাদার কিছু অংশ দোহনের সময় সরবরাহ করলে গাভীর মনোযোগ খাওয়ার দিকে থাকে। এ সময় হরমনের কাজ ভালো হয় ফলে দুধ নিঃসরন পর্যাপ্ত হয়। এ পদ্ধতি বদমেজাজি গাভী দোহনের সহায়ক হয়।
 

১৮. ভিটামিন ও মিনারেল প্রিমিক্স খাওয়ানো  : বর্তমানে বাজারে অনেক ধরনের মিক্সড পাউডার পাওয়া যায়। যা ভিটামিন, মিনারেলের ঘাটতি পূরণ করে দুধ উৎপাদন বাড়ায়। ভিটামিন ডি বি’সহ বিভিন্ন নামে বাজারে পাওয়া যায়। যা খাবারের সাথে সরবরাহ করতে হয়।
উপরোক্ত ব্যবস্থা ঠিকমতো গ্রহণ করলে দুধের উৎপাদন অনেকাংশে বাড়ানো সম্ভব। যা দেশের জাতীয় চাহিদা পূরণের একটি পদক্ষেপ বলে গণ্য হবে।

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর টি আলু চাষা থেকে নেওয়া হয়েছে বুঝে ব্যবহার করুন   (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

H.S.C

1 thought on “চাকরির বিকল্প হিসাবে আত্মকর্মসংস্থানের লক্ষ্যে যৌথভাবে কয়েকজন বন্ধু মিলে উদ্যোগি হয়ে একটি দুগ্ধ খামার প্রতিষ্ঠাকল্পে খামার পরিচালনা ও বাজারজাতকরণে আয়, ব্যয় ও মুনাফার হিসাব দেখিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রস্তুত কর।”

Leave a Comment