আত্মকর্মসংস্থানের পেশাগ্রহণ করার ক্ষেত্রে যেসকল যোগ্যতা যাচাই করা প্রয়োজন সেগুলাে উল্লেখ কর।, কর্মসংস্থানের উপায় হিসেবে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে আত্মকর্মসংস্থানের ভূমিকা ব্যক্ত কর।

আত্মকর্মসংস্থানের পেশাগ্রহণ করার ক্ষেত্রে যেসকল যোগ্যতা যাচাই করা প্রয়োজন সেগুলাে উল্লেখ কর।

কর্মসংস্থানের উপায় হিসেবে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে আত্মকর্মসংস্থানের ভূমিকা ব্যক্ত কর।

উত্তর সমূহ :

আত্মকর্মসংস্থানের পেশাগ্রহণ করার ক্ষেত্রে যেসকল যোগ্যতা যাচাই করা প্রয়োজন সেগুলাে উল্লেখ কর।

উত্তর :

নোয়াখালীর সানজিদা ইসলাম স্থানীয় কলেজ থেকে স্নাতক পাস করেও যোগ্যতা অনুযায়ী চাকরি লাভে ব্যর্থ হন।বেশ কিছুদিন বেকার থাকার পর তিনি স্থানীয় যুব উন্নযন কার্যালয় থেকে ফুল চাষের উপর প্রশিক্ষণ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। প্রশিক্ষণ শেষে এক একর জমিতে ফুল চাষ করেন। প্রথম মৌসুমে আর্ন হলো ৫০হাজার টাকা।লাভের টাকা পেয়ে তার আগ্রহ বহুগুণ বেড়ে গেল।এরপর তিনি ঢাকায় গিয়ে ফুল চাষের উপর দিনব্যাপী কর্মশালায় যোগ দিলেন ও পুষ্পমেলা ঘুরে দেখলেন।এখান থেকে তিনি নতুন দেশি-বিদেশি জাতের ফুলের বীজ নিয়ে চাষ করে অনেক আর্ন করলেন। কঠোর পরিশ্রম আর সুযোগের সঠিক ব্যবহারের কারণে তার ব্যবসায় ৫ বছরে অনেক বড় আকার ধারণ করে।তিনি সম্প্রতি তার জেলায় সেরা নারী উদ্যোক্তার পুরস্কার পান। পুরস্কার গ্রহণকালে তিনি আগত সবাইকে আত্মকর্মসংস্থানের নিম্নোক্ত প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে অবগত করেন।

 [Note: Sample Answer: Md Rakib Hossain Sojol (Bangla News Express)]

কর্মসংস্থানকে প্রধানত তিনভাগে ভাগ করা যায়–মজুরি বা বেতনভিত্তিক চাকরি,আত্মকর্মসংস্থান ও ব্যবসায়।

কর্মসংস্থানের প্রধান উৎস সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান।জনসংখ্যা বৃদ্ধির সাথে সাথে শ্রমজীবী ও চাকরীজীবী লোকের সংখ্যা বৃদ্ধি পায়।কর্মসংস্থানের চাহিদা যে হারে বৃদ্ধি পায় সে হারে কর্মসংস্থানের সংখ্যা বৃদ্ধি পায় না।

অন্যান্য পেশায় আযের সম্ভাবনা সীমিত। কিন্তু আত্মকর্মসংস্থান থেকে প্রাপ্ত আর্ন প্রথমদিকে সীমিত ও অনিশ্চিত হলেও পরবর্তীতে এ পেশা থেকে আর্ন বৃদ্ধির সম্ভাবনা অসীম।

বর্তমানে আত্মকর্মসংস্থানের আওতা ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।আগের তুলনায় বর্তমানে আত্মকর্মসংস্থানে নিয়োজিত ব্যক্তিদের সামাজিক মর্যাদা বৃদ্ধি পেয়েছে।

আত্মকর্মসংস্থানের সবচেয়ে বড় মূলধন হলো নিজের দক্ষতা।কর্মসম্পাদনের জন্য যে যন্ত্রপাতি ও কাঁচামাল প্রয়োজন তার অর্থসংস্থান করাও অনেকটা সহজ।

আত্মকর্মসংস্থান একটি স্বাধীন পেশা। আর এ ব্যবসায় যেহেতু অনেক সময় নিজের বাড়িতে বা জমিতে করা যায় সেহেতু আলাদা খরচ হয় না।

 [Note: Sample Answer: Md Rakib Hossain Sojol (Bangla News Express)]

আত্মকর্মসংস্থানে নিয়োজিত থাকলে তরুণ সমাজ নানা সমাজেবিরোধী কাজে লিপ্ত না থেকে সমাজ ও দেশের উন্নয়নে অবদান রাখতে পারবে।

আত্মকর্মসংস্থানের মাধ্যমে শহরমুখী জনস্রোত নিয়ন্ত্রণ ও গ্রামীণ সমাজ ও অর্থনীতির উন্নয়ন নিশ্চিত করা যায়।

বাংলাদেশের জনসংখ্যা বেশি হওয়ায় এখানে মজুরি কম। আবার আমাদের দেশে মৌসুমি বেকারত্বের সমস্যাও প্রকট। এসকল সমস্যা সমাধানে আত্ম কর্মসংস্থান গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারে।

আত্মকর্মসংস্থানের মানসিকতা যুবসমাজকে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করে এবং স্বেচ্ছামূলক কাজে উৎসাহিত করে।

আত্মকর্মসংস্থানের জন্য বয়স কোনো সমস্যা নয়।এর মাধ্যমে যে কোনো বয়সের মানুষ তার দক্ষতা অনুযায়ী অর্থ্ উপার্জন করতে পারে।

সানজিদা ইসলামে এ আলোচনা থেকে কর্মসংস্থানের কোন কোন গুরুত্ব তুমি অনুধাবন করতে পেরেছ? এছাড়াও আর যেসব কারণে আত্ম কর্মসংস্থান গুরুত্বপূর্ণ বলে তোমার মনে হয় তা থেকে ৫টি কারণ নিম্নে লিখ :

 [Note: Sample Answer: Md Rakib Hossain Sojol (Bangla News Express)]

বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থা বিবেচনায় আত্মকর্মসংস্থানের উপযুক্ত ও লাভজনক ক্ষেত্র ( Suitable and Profitable Areas of Self-Employment in Socio-Economic Context of Bangladesh)

আত্মকর্মসংস্থানের অনুপ্রেরণায় নিজ মালিকানা ও ব্যবস্থাপনায় চালিত যেকোনো ক্ষুদ্র ব্যবসায় নিয়োজিত থেকে যেমন সম্মানজনক জীবিকা উপার্জন করা যায়,তেমনি দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নেও অবদান রাখা যায়। চাহিদা আছে এমন পণ্য উৎপাদন ও বিক্রয় করে বা সেবাদান করে অর্থ উপার্জন করা যেতে পারে। সবসময় খেয়াল রাখতে হবে, আমাদের যেসকল সম্পদ রয়েছে তার সঠিক ব্যবহার করে কীভাবে সম্মানজনক জীবিকা উপার্জন করা যায়। এসব বিষয় বিশ্লেষণ করে আমরা আত্মকর্মসংস্থানের বেশকিছু উপযুক্ত ও লাভজনক ক্ষেত্র চিহ্নিত করতে পারি।

 [Note: Sample Answer: Md Rakib Hossain Sojol (Bangla News Express)]
আত্মকর্মসংস্থানের উপযুক্ত ও লাভজনক ক্ষেত্র-
হস্তচালিত তাঁতমাদুর বা ম্যাট তৈরিমৃৎ শিল্পবাঁশজাত দ্রব্য প্রস্তুতকরণলবণ উৎপাদনটেইলারিংপোশাক প্রস্তুতকরণমাছের জাল তৈরিকাঠের আসবাব তৈরিষ্টিলের আসবাবপত্র তৈরিমাটির বাসন প্রস্তুতকরণকামারের কাজসেরিকালচারনৌকা তৈরিমাছ শুকানোগোল আলুর ময়দা তৈরিপাটের ম্যাট তৈরিআলুর চিপস তৈরিগৃহস্থালির দ্রব্যাদি তৈরিবাইসাইকেল মেরামতখেলনা তৈরিরাবারের দ্রব্য ও বল তৈরিরাবার চাষমাখন তৈরিবলপেন ও কলম তৈরিবাইসাইকেল নির্মাণসবজি চাষছাতা মেরামতগবাদি পশু ও হাঁস-মুরগির খামারবেতের সামগ্রী তৈরিকাঁচের তৈজসপত্র তৈরিপিতল ও কাঁসার দ্রব্যাদি প্রস্তুতপাটের শৌখিন দ্রব্যাদি তৈরিগেঞ্জি তৈরিচামড়াজাত দ্রব্যাদি উৎপাদনঝিনুক দ্রব্যাদি প্রস্তুতবেকারিআটা ময়দা প্রস্তুতভোজ্য তেল উৎপাদনখাদ্যজাত দ্রব্যাদি উৎপাদননিটিং দ্রব্য প্রস্তুতএমব্রয়ডারিসুতা কাটাকাঠের খেলার সরঞ্জাম তৈরিপ্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিংপ্লাস্টিক দ্রব্যাদি প্রস্তুতজুয়েলারিমোমের দ্রব্যাদি তৈরিস্ন্যাকসকর্ণফ্লেক্স তৈরিকাঠের ও বাঁশের টুথপিক তৈরিআইসক্রিম চামচ তৈরিপ্যাড থ্রেসারফটো ফ্রেম তৈরিফটোস্ট্যাট ব্যবসায়
 [Note: Sample Answer: Md Rakib Hossain Sojol (Bangla News Express)]

স্বনিয়োজিত পেশা গ্রহণের পূর্বে লক্ষ্য নির্ধারণের প্রক্রিয়া

হিসাবে আত্মকর্মসংস্থান বেছে নেওয়ার পূর্বে নিজের লক্ষ্য যথাযথভাবে নির্ধারণ করা আবশ্যক। লক্ষ্য নির্ধারণে নিম্নলিখিত প্রশ্নগুলোর উত্তর খুঁজে বের করা প্রয়োজন:

তোমার দীর্ঘ মেয়াদি লক্ষ্য কি? কীভাবে তুমি তা অর্জন করতে চাও?
কোন নির্দিষ্ট তারিখে এ লক্ষ্য অর্জ্ন করতে চাও?
তোমার স্বল্প মেয়াদি লক্ষ্য কি?
স্বল্প মেয়াদি লক্ষ্য গুরুত্বপূর্ণ্ কেন?
তা অর্জন করার জন্য কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেছো কি?
লক্ষ্য অজর্নে কী কী বাধা থাকতে পারে?
বাধাগুলো কীভাবে অতিক্রম করবে?
সমস্যা সমাধানের ব্যাপারে তোমার পরিকল্পনা কি?
সমস্যা সমাধানের জন্য কী কী সাহায্য প্রয়োজন হতে পারে?
সাহায্যকারী হিসাবে কাকে পছন্দ করবে?

প্রশ্নের উত্তর খোঁজার মধ্যে সঠিক লক্ষ্য নির্ধারণের পথ খুঁজে পাওয়া যাবে।

আত্ম কর্মসংস্থানের উপযুক্ত ক্ষেত্র নির্বাচনে বিবেচ্য বিষয় (Factors Considered for Selecting Suitable Field for Self-Employment)

আত্মকর্মসংস্থানমূলক ব্যবসায় পরিচালনার ক্ষেত্রে সাফল্য ও ব্যর্থতা অনেকাংশে নির্ভর করে আত্মকর্মসংস্থানের উপযুক্ত ক্ষেত্র নির্বাচনের সময় নিম্নোক্ত বিষয়গুলোর দিকে লক্ষ্য রাখা প্রয়োজন।

 [Note: Sample Answer: Md Rakib Hossain Sojol (Bangla News Express)]

সঠিক পণ্য নির্বাচন:

ব্যবসার জন্য সঠিক পণ্য নির্বাচন সাফল্য লাভের অন্যতম পূর্বশর্ত।পণ্য নির্বাচনের পূর্বে বাজারে পণ্যটির চাহিদা ও গ্রহণযোগ্যতা যথাযথভাবে নিরুপণ করতে হবে।

ব্যবসায় সফলতার সাথে পরিচালনার জন্য স্থায়ী ও চলতি মূলধন পর্যাপ্ত হওয়া বাঞ্ছনীয়।প্রয়োজনীয় মূলধন নির্ধারণ ও সংগ্রহ করতে ব্যর্থ হলে ব্যবসায়ের পূর্ণ ক্ষমতা ব্যবহার করা সম্ভব হয় না।চলতি পুঁজির অভাবে বাংলাদেশের অনেক শিল্প-কারখানা উৎপাদন ক্ষমতার মাত্রা অনুযায়ী পরিচালিত হতে পারে না।

 [Note: Sample Answer: Md Rakib Hossain Sojol (Bangla News Express)]

কর্মসংস্থানের উপায় হিসেবে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে আত্মকর্মসংস্থানের ভূমিকা ব্যক্ত কর।

উত্তর :

আত্মকর্মসংস্থানের জন্য প্রয়োজন ব্যক্তিগত দক্ষতা ও স্বনির্ভর পেশায় নিয়োজিত থেকে জীবিকা অজর্নের প্রবল ইচ্ছা শক্তি।যেহেতু দেশে চাকরির সুযোগ সীমিত এবং ইচ্ছা করলেই সরকারি বা বেসরকারি উদ্যোগে এত অধিক কর্ম্ সংস্থান সৃষ্টি করা সম্ভব নয় তাই একমাত্র বিকল্প হচ্ছে নিজেই নিজের কর্মসংস্থান করা।

কিন্তু এ দেশের যুব সমাজের নিকট আত্ম কর্ম্ সংস্থানের ধারণা স্বচ্ছ ও যথেষ্ট নয়। অন্যদিকে দীর্ঘ্ দিনের সামাজিক মূল্যবোধ ও পুঁথিগত পড়াশুনার কারণে যুবসমাজ জীবিকা বলতে চাকরিকে বুঝে থাকে। ফলে শিক্ষিত-অশিক্ষিত নিবির্শেষে বেকারের সংখ্যা প্রতিদিন বেড়েই চলেছে। বর্ত্ মানের যুব ও তরুণসমাজ ও আগামী প্রজন্মের আত্ম কর্ম্ সংস্থানে উদ্বুদ্ধ করতে বিভিন্নপদক্ষেপ গ্রহণ করা জরুরি।

যেমন :

শিক্ষার্থীদের অনুপ্রাণিত করতে হবে এ বলে যে,কোনো পেশা বা কাজই ছোট ও অপমানের নয়।

স্ব স্ব এলাকায় আত্ম কর্ম্ সংস্থানের মাধ্যমে যারা স্বাবলম্বী ও সফল হয়েছে তাদেরকে বিদ্যালয়ের এনে শিক্ষার্থীদেরকে তাদের জীবনকাহিনী শোনাতে হবে।

স্ব স্ব এলাকার আত্ম কর্ম্ সংস্থানের উপযুক্ত ক্ষেত্রগুলোর তালিকা প্রণয়ন করে বিদ্যালয় ও ইউনিয় পরিষদের দেয়ালে প্রচারের ব্যবস্থা করা যেতে পারে।

বিদ্যালয় বা কলেজ থেকে যে সকল শিক্ষার্থী ঝরে পড়ে কিংবা নিয়মিত বিদ্যালয়ে আসার সুযোগ পায় না তাদেরকে বিভিন্ন উপযুক্ত ক্ষেত্রে প্রশিক্ষণ ও ঋণদানের ব্যবস্থা করতে হবে।

 [Note: Sample Answer: Md Rakib Hossain Sojol (Bangla News Express)]

নবম ও দশম শ্রেণির শিক্ষাক্রমে বৃত্তিমূলক,কারিগরি ও কর্মমুখী শিক্ষাকে পর্যাপ্তভাবে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।

আত্মকর্ম-সংস্থানকে সামনে রেখে যুব উন্নয়ন ব্যাংক ও শিক্ষা ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করে সহজ শর্তে ঋণদানের ব্যবস্থা করতে হবে।

বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের মধ্যে যারা বর্ত্ মানে সফল উদ্যোক্তা ও ব্যবসায়ী হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করেছে তাদেরকে বিদ্যালয় পর্যায়ে সংবধর্না ও সম্মাননা দেওয়ার উদ্যোগ নিতে হবে।

আত্ম-কর্মসংস্থানে প্রশিক্ষণের প্রয়োজনীয়তা ( Necessity of Training in Self-Employment)

কোনো বিশেষ কাজ যথার্থ ভাবে সম্পাদন করার স্বার্থে এবং জ্ঞান ও দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য প্রশিক্ষণ একান্ত প্রয়োজন। প্রশিক্ষণ কর্ম্ দক্ষতা ও যোগ্যতা বৃদ্ধি করে।বড় প্রতিষ্ঠানের ন্যায় ক্ষুদ্রায়তন প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্মীদের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য প্রশিক্ষণ ব্যবস্থা করা উচিত।নিয়োগ পদ্ধতি ও প্রশিক্ষণের একটি সুস্পষ্ট কর্ম্ সূচি থাকলে অভিজ্ঞ ও যোগ্য কর্মীর জন্য বাইরে থেকে কর্মী নিয়োগের প্রয়োজন পড়ে না।প্রশিক্ষন হলো সর্ব্স্তরের কর্মীদের জ্ঞান ও দক্ষতা বৃদ্ধি এবং মানসিকতা বিকাশের অবিরাম ও নিয়মিত প্রচেষ্টা যাতে তাদের যোগ্যতা ক্রমশ: বৃদ্ধি পেতে থাকে এবং প্রতিষ্ঠানটিও লাভবান হয়।কোনো কর্মীকে সঠিক কাজে নিয়োগ করার পূর্বে তাকে প্রশিক্ষণ বা ট্রেনিং দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।এ প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানের উদ্যোক্তাসহ নতুন ও পুরাতন সকলকর্মীর জন্যই অপরিহার্য্। নিম্নে প্রশিক্ষণের প্রয়োজনীয়তা ব্যাখ্যা করা হলো –

কার্য্প্রকৃতি ও পরিবেশের সাথে পরিচিতি :

প্রতিষ্ঠানের কর্মের প্রকৃতি ও কর্ম পরিবেশের সাথে পরিচিত হওয়া নবনিযুক্ত কর্মীদের জন্য আবশ্যক।প্রশিক্ষণ ব্যবস্থা নতুন কর্মীদের কর্ম্ পরিবেশের সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়।

দক্ষ ও অভিজ্ঞ কর্মীদের অপ্রতুলতা দূরীকরণ :

প্রতিষ্ঠানের পক্ষে সবসময় উপযুক্ত শিক্ষাপ্রাপ্ত ও অভিজ্ঞ ব্যক্তি সংগ্রহ করা সম্ভব হয় না।সেজন্য নিয়োগের পর কর্মীদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সে প্রয়োজন পূরণ হয়।এভাবে প্রতিষ্ঠানের দক্ষ ও অভিজ্ঞ কর্মীর অভাব দূরীভূত হয়।

 [Note: Sample Answer: Md Rakib Hossain Sojol (Bangla News Express)]

কর্মীর দক্ষতা বৃদ্ধি :

প্রশিক্ষণ কর্মীর কর্ম দক্ষতা বৃদ্ধি করে।তাই নতুন পুরাতন সকল কর্মীর জন্য প্রশিক্ষণ দেওয়ার প্রয়োজন হয়।

সম্পদের সদব্যবহার :

প্রশিক্ষণের মাধ্যমে কর্মীদের কর্ম দক্ষতা বেড়ে যায়।ফলে উদ্যোক্তা বা কর্মী কর্তৃক প্রতিষ্ঠানের যন্ত্রপাতি, সাজ-সরঞ্জাম ও অন্যান্য সম্পদের উৎকৃষ্ট ব্যবহার সম্ভব হয়।

নৈতিক বল বৃদ্ধি :

প্রশিক্ষণ উদ্যোক্তা বা কর্মচারীদের মনোভাবের উন্নতি সাধন করে। ফলে তাদের নৈতিক বল বৃদ্ধি পায়। প্রশিক্ষণ কর্মীদের মধ্যে সহযোগিতা ও সমন্বয় আনয়নে সহায়তা করে। ফলে প্রতিষ্ঠানের কার্য্ কাম্য গতিতে চলতে পারে।

(৩২)

অপচয় ও দুর্ঘ্টনা হ্রাস :

প্রশিক্ষিত কর্মীগণ অধিকতর দক্ষতা ও মিতব্যয়িতার সাথে কার্যসম্পাদন করতে পারে। এতে প্রতিষ্ঠানের কার্য সম্পাদনের ক্ষেত্রে অপচয় হ্রাস পায়।প্রশিক্ষণ কর্মীদেরকে নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা গ্রহণের বিবিধ কলা-কৌশল সম্পর্কে জ্ঞান দান করে।ফলে কারখানার যন্ত্রপাতি ব্যবহারসহ অন্যান্য দুর্ঘ্টনা এড়ানোও সহজ হয়।

 [Note: Sample Answer: Md Rakib Hossain Sojol (Bangla News Express)]

পরিশেষে বলা যায়, কর্মীর দক্ষতা ও যোগ্যতা বৃদ্ধির মাধ্যমে সুষ্ঠুভাবে ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের কার্য্ নির্বাহের জন্য প্রশিক্ষণের প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম।নতুন ও পুরাতন উভয় প্রকার কর্মীকেই উপযুক্ত প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ করে তুলতে না পারলে তাদের দিয়ে ভালো কাজ আশা করা যায় না। তাই কর্মীদেরকে প্রশিক্ষণ দিয়ে উপযুক্ত করে গড়ে তোলা প্রতিষ্ঠানের আবশ্যকীয় কতর্ব্য।

আত্ম-কর্মসংস্থানের সহায়ক প্রশিক্ষণ প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান (Training Institutes for Helping Self-Employment)

যে সমাজ ও দেশে উদ্যোক্তার সংখ্যা যত বেশি,সে সমাজ বা দেশ অর্থনৈতিকভাবে তত উন্নত।বাংলাদেশে আত্মকর্মসংস্থানে সহায়তাকারী বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান আছে।এ সকল সংগঠন ভূমিহীন, বিত্তহীন জনগণকে আত্ম কর্ম্ সংস্থানমূলক কাজ গ্রহণে উদ্বুদ্ধকরণ,দক্ষতা উন্নয়নের প্রশিক্ষণ দান,ক্ষুদ্র ব্যবসায় স্থাপনের জন্য ক্ষুদ্র ঋণ প্রদান, ঋণ ব্যবহার তত্ত্বাবধান প্রভৃতি কার্য্ক্রমের মাধ্যমে দু:স্থ লোকদের আয়ের সুযোগ সৃষ্টি করেছে।এগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব ম্যানেজমেন্ট,মহিলা বিষয়ক মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ড্, গ্রামীণ মহিলাদের কর্ম্ সংস্থানের প্রকল্প, যুব প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, নট্রামস উল্লেখযোগ্য।নিম্নে এগুলোর কার্য্ক্রম ব্যাখ্যা করা হলো :

১. বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ম্যানেজমেন্ট (Bangladesh Institute of Management)

বাংলাদেশ ব্যবস্থাপনা ইনস্টিটিউট শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীন একটি সায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান। নির্দিষ্ট ফি-এর বিনিময়ে এটি আত্ম কর্ম্ সংস্থান ও উদ্যোগ উন্নয়নের বিভিন্ন বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকে। প্রধান প্রধান কর্ম্ সূচির মধ্যে রয়েছে ক্ষুদ্র শিল্প স্থাপন প্রক্রিয়া ও ব্যবস্থাপনা, নতুন শিল্প প্রতিষ্ঠাকরণ,মহিলা উদ্যোক্তা উন্নয়ন প্রভৃতি।

২. মহিলা বিষয়ক মন্ত্রণালয় (Ministry of Women Affairs)

 [Note: Sample Answer: Md Rakib Hossain Sojol (Bangla News Express)]

মহিলা বিষয়ক মন্ত্রণালয় মূলত মহিলাদের জন্য উন্নয়ন কর্মসূচি গ্রহণ করে থাকে।বিশেষ করে গ্রামের দুস্থ, শিক্ষিত,অর্ধ-শিক্ষিত মহিলাদেরকে স্বকর্মসংস্থানের সুযোগ করে দেওয়া এর মূল উদ্দেশ্য।এটি উদ্যোগী মহিলাদের কারিগরি দক্ষতা উন্নয়নের লক্ষ্যে অনানুষ্ঠানিক কারিগরি ও প্রযুক্তিগত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করে।

৩. বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ড (Bangladesh Rural Development Board)

বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ড্ বা বিআরডিবি গ্রামের দুস্থ ও ভূমিহীন নারী-পুরুষদের আত্ম কর্ম্ সংস্থানের জন্য বিভিন্ন বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকে যাতে প্রশিক্ষণ গ্রহণের পর তারা স্বাধীনভাবে একটি পেশা বেছে নিয়ে উপার্জন করতে পারে। দেশের সকল জেলা ও উপজেলায় বিআরডিবির কার্য্ক্রম বিস্তৃত।

(৩৩)

৪. গ্রামীণ মহিলাদের কর্মসংস্থান প্রকল্প ( Employment Generation Project of Rural Women)

এ প্রকল্পের মাধ্যমে পল্লি অঞ্চলের মহিলাদেরকে বিভিন্ন পেশায় প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় এবং প্রশিক্ষণ শেষে তাদের মধ্যে ঋণ বিতরণ করা হয়। শুধুমাত্র প্রশিক্ষণপ্রাপ্তরাই ঋণ পাওয়ার যোগ্য বলে বিবেচিত হয়।

৫. যুব প্রশিক্ষণ কেন্দ্র (Youth Training Centre)

 [Note: Sample Answer: Md Rakib Hossain Sojol (Bangla News Express)]

যুব প্রশিক্ষণ কেন্দ্র,যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় কর্তৃক পরিচালিত প্রশিক্ষণ কেন্দ্র।দেশের প্রতিটি থানায় এর কেন্দ্র রয়েছে।এ সকল কেন্দ্রের মাধ্যমে বেকার যুবক-যুবতীদেরকে বিভিন্ন পেশায় প্রশিক্ষণ দেওয়াহয়।যেমন:হাঁস-মুরগীর খামার তৈরি,মৎস্য চাষ,সবজি বাগান,নার্সারি করা,সেলাইয়ের কাজ,কুটির শিল্পের কাজ,কম্পিউটার চালনা প্রভৃতি। এসকল বিষয়ে প্রশিক্ষণ নিয়ে প্রশিক্ষণার্থীরা আত্মকর্মসংস্থানের সুযোগ পায়।

৬. নট্রামস (Notrams)

নট্রামস শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক পরিচালিত একটি প্রতিষ্ঠান।বিভিন্ন ধরনের কম্পিউটার প্রোগ্রামিং ও কম্পিউটার চালনা শিক্ষা দেওয়াই এ প্রতিষ্ঠানের প্রধান কাজ।এ প্রতিষ্ঠান থেকে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেও বহু শিক্ষিত বেকার যুবক-যুবতী আত্ম কর্মসংস্থানের সুযোগ করে নিয়েছে।

পরিশেষে বলা যায়, আলোচ্য প্রতিষ্ঠানসমূহ বিভিন্ন ধরনের প্রশিক্ষণ কর্মসূচি গ্রহণ করে আত্ম কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করছে। তাদের এ কার্য্ক্রমের ফলশ্রুতিতে দেশের অথনৈতিক উন্নয়ন সাধিত হচ্ছে।

৭. এনজিও ( NGO)

 [Note: Sample Answer: Md Rakib Hossain Sojol (Bangla News Express)]

বর্ত্ মানে দেশের বিভিন্ন এনজিও বেকার যুব সমাজকে জীবন ও জীবিকা সম্পর্কে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ প্রদান করে থাকে। যেমন: ব্র্যাক, আহছানিয়া মিশন,প্রশিকা ইত্যাদি।

 [Note: Sample Answer: Md Rakib Hossain Sojol (Bangla News Express)]

Assignment

1 thought on “আত্মকর্মসংস্থানের পেশাগ্রহণ করার ক্ষেত্রে যেসকল যোগ্যতা যাচাই করা প্রয়োজন সেগুলাে উল্লেখ কর।, কর্মসংস্থানের উপায় হিসেবে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে আত্মকর্মসংস্থানের ভূমিকা ব্যক্ত কর।”

Leave a Comment