Advertisement
সারা দুনিয়া জুড়ে কোটি কোটি মানুষ ব্যবহার করছেন এই গুগল, এবং অনেকের কাছেই এটি তাদের ইন্টারনেট কার্যক্রমে এক গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে উঠেছে।
গুগল অবশ্য এখন আর শুধুই একটি সার্চ ইঞ্জিন নয়, এক বিশাল প্রযুক্তি কোম্পানি।
তাদের ২১ বছর পূর্তির দিনে জেনে নিন এমন ২১টি তথ্য – যা হয়তো আপনার অজানা ছিল, অবশ্য যদি আপনি ইতোমধ্যেই এই তথ্যগুলো ‘গুগল করে’ জেনে নিয়ে না থাকেন!
১. প্রথমটিতে হয়তো বিস্মিত হবার তেমন কিছু নেই। গুগুল হচ্ছে পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি ভিজিটেড ওয়েবসাইট, অর্থাৎ ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের অধিকাংশই এই ওয়েবসাইটটিতে অন্তত একবার ঘুরে গেছেন।
২. গুগল শুরু করেছিলেন দু’জন কলেজ ছাত্র – তাদের নাম ল্যারি পেজ এবং সের্গেই ব্রিন। তারা চেয়েছিলেন এমন একটা ওয়েবসাইট তৈরি করতে – যার মাধ্যমে অন্য ওয়েবপেজগুলোর একটা তুলনামূলক তালিকা করা যাবে। এর ভিত্তি হবে অন্য ওয়েবসাইটগুলোর মধ্যে কতগুলো তাদের সাথে সংযুক্ত হয়েছেন ।
৩. গুগল শব্দটা উৎপত্তি ‘গুগোল’ (googol) থেকে – যা একটি বিশেষ সংখ্যার নাম। সংখ্যাটা হলো : ১ এর পিঠে ১০০টা শূন্য বসালে যা হয় – তাই। কেন এই নাম বেছে নিয়েছিলেন ল্যারি আর সের্গেই? তাদের ওয়েবসাইট যে বিপুল পরিমাণ উপাত্ত ঘাঁটাঘাঁটি-অনুসন্ধান করবে – সেটাই এই নাম দিয়ে বোঝাতে চেয়েছিলেন তারা।
৪. প্রথম গুগল ডুডল – অর্থাৎ গুগলের হোম পেজে কোন গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা বা দিনের স্মারক হিসেবে যে ছবি ব্যবহৃত হয় – তা তৈরি করা হয়েছিল ১৯৯৮ সালে, বার্নিং ম্যান নামের একটি উৎসব উদযাপনের জন্য। গুগলেল প্রতিষ্ঠাতারা ভেবেছিলেন এর মাধ্যমে তারা জানিয়ে দেবেন যে কেন তারা অফিসে অনুপস্থিত।
Advertisement
৫.গুগলের সবচেয়ে স্মরণীয় ডুডলগুলোর অন্যতম হচ্ছে চাঁদে পানির আবিষ্কার, এবং জন লেননের ৭০তম জন্মদিন উদযাপনের জন্য। জন লেননের ডুডলটি আবার ছিল প্রথম ভিডিও ডুডল।
৬.প্রথম গুগল সার্ভার রাখা হয়েছিল লেগো দিয়ে তৈরি একটি কাস্টম কেসে।
৭. গুগলের হেডকোয়ার্টার পরিচিত ‘গুগলপ্লেক্স’ নামে এবং এটি অবস্থিত ক্যালিফোর্নিয়ার সিলিকন ভ্যালিতে।
৮.গুগলপ্লেক্সে টি-রেক্স জাতীয় ডাইনোসরের একটি বিশাল মূর্তি আছে – যার ওপর প্রায়ই অসংখ্য প্লাস্টিকের তৈরি গোলাপি ফ্ল্যামিঙ্গো বসে থাকতে দেখা যায়। গুজব রয়েছে যে এটা হচ্ছে কর্মচারীদের প্রতি এক সতর্কবার্তা যেন তারা কখনো গুগলকে বিলুপ্ত হয়ে যেতে না দেন।
৯. গুগলের হেডকোয়ার্টারটি বিশাল এবং এর ভেতরে অনেক সবুজ জায়গা আছে। এখানে ঘাস কাটার জন্য লন-মোয়ার মেশিন ব্যবহার করা হয় না। এ জন্য গুগল বাইরে থেকে ছাগল ভাড়া করে নিয়ে আসে।
১০. গুগল হচ্ছে প্রথম বড় প্রযুক্তি কোম্পানি যারা তাদের কর্মচারীদের বিনামূল্যে খাবার পরিবেশন করে। তা ছাড়া কর্মচারীদেরকে তাদের পোষা কুকুর অফিসে নিয়ে আসতে দেয়া হয়।
১১. ২০০১ সালে চালু করা হয় গুগল ইমেজ সার্চ -যার অনুপ্রেরণা ছিল ২০০০ সালের গ্র্যামি পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে জেনিফার লোপেজের পরা সবুজ পোশাক। এটি গুগলের সবচেয়ে জনপ্রিয় সার্চে পরিণত হয়েছিল।
১২. গুগলের নিজস্ব ইমেইল সেবা জিমেইলের কথা ঘোষণা করা হয় ২০০৪ সালে ১লা এপ্রিল বা এপ্রিল ফুলস ডে-তে। অনেকেই ভেবেছিলেন যে এটা আসলে একটা রসিকতা।
১৩. গুগলকে একটি ক্রিয়াপদ হিসেবে (‘গুগল করা’ অর্থে) প্রথম অভিধানে অন্তর্ভুক্ত করা হয় ২০০৬ সালে। মিরিয়াম-ওয়েবস্টার অভিধান লিখেছিল, গুগল করা মানে হচ্ছে ‘ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব থেকে কোন তথ্য অনুসন্ধান করার জন্য গুগল সার্চ ইঞ্জিন ব্যবহার করা।’
১৪. ইউটিউব গুগল পরিবারের সদস্য হয় ২০০৬ সালে। দেড়শ’ কোটি ডলারেরও বেশি দামে ইউটিউবকে কিনে নেয় গুগল।এখন ইউটিউবের মাসিক ব্যবহারকারী প্রায় ২০০ কোটি। প্রতি মিনিটে ইউটিউবে আপলোড হয় ৪০০ ঘন্টার ভিডিও।
১৫. গুগলের একজন ইঞ্জিনিয়ার ২০০৯ সালে একবার ইন্টারনেট ব্যবস্থা ‘ধসিয়ে দিয়েছিলেন’ । তিনি দুর্ঘটনাবশত: গুগলের ব্লকড ওয়েবসাইটের রেজিস্ট্রিতে ফরোয়ার্ড স্ল্যাশ (‘/’) চিহ্নটি যোগ করে ফেলেছিলেন। যেহেতু প্রায় প্রতিটি ওয়েবসাইটেই ‘/’ চিহ্নটি আছে, তাই সেসময় অনলাইনে কোন ওয়েবসাইটেই ঢোকা যাচ্ছিল না।
১৬.গুগল সার্চে ১৫ শতাংশ অনুসন্ধানই হচ্ছে একেবারে নতুন – যা আগে কখনো সার্চ করা হয় নি।
১৭. গুগল ২০১৮ সালের এপ্রিলে পরিণত হয় প্রথম কোম্পানিতে যারা শতভাগ নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহার করছে। এর অর্থ হচ্ছে তারা প্রতি এক কিলোওয়াট বিদ্যুত খরচ করার সাথে সাথে এক কিলোওয়াট বিদ্যুত ক্রয় করছে।
১৮. গুগলের আসলে ৬টি জন্মদিন আছে। কিন্তু তারা সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে শুধু ২৭ সেপ্টেম্বরকেই তারা জন্মদিন হিসেবে পালন করবে।
১৯. গুগলের হাতে নানা রকম কূটকৌশল আছে। যেমন আপনি যদি এস্কিউ (askew) শব্দটি ইংরেজিতে সার্চ করেন তাহলে দেখবেন পুরো পেজটাই একদিকে কাত হয়ে গেছে।
২০. এ্যাপোলো ১১তে চড়ে চাঁদে মানুষ পাঠাতে যতটুকু কম্পিউটিং ক্ষমতা ব্যবহৃত হয়েছিল – এখন মাত্র একটি গুগল সার্চে প্রায় সেই পরিমাণ কম্পিউটিং ক্ষমতা কাজে লাগানো হয়।
২১. গুগল এখন শুধু একটি সার্চ ইঞ্জিন নয়। ভবিষ্যতে এখানে থাকবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, স্ট্রিমিং-ভিত্তিক গেম খেলার ব্যবস্থা, এমনকি ড্রাইভারবিহীন গাড়ি।
[ বি:দ্র:এই সাজেশন যে কোন সময় পরিবতনশীল ১০০% কমন পেতে পরিক্ষার আগের রাতে সাইডে চেক করুন এই লিংক সব সময় আপডেট করা হয় ]
Advertisement 2
গুগল আসার আগের জীবনের কথা কি আপনি মনে করতে পারেন? তখন আপনি কি করতেন, যখন হঠাৎ করে, তাড়াতাড়ি কোন বিষয়ে তথ্য খুঁজে বের করার দরকার হতো?
যা কিছুই আপনি খোঁজেন না কেন- হয়তো একটি শব্দের সঠিক বানান, একটি রেস্তোরার ঠিকানা, বিশেষ কোন দোকান, অথবা পাহাড়ি কোন হৃদের নাম, সব কিছুর জন্যই হয়তো আপনি এখন গুগল করেন।
গুগল প্রতি সেকেন্ডে গড়ে ৪০ হাজার অনুসন্ধানের জবাব বের করে- প্রতিদিন যার মানে সাড়ে তিন বিলিয়ন অনুসন্ধান (ফোর্বসের হিসাব)।
এতসব কিছুর মাঝে বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় এই সার্চ ইঞ্জিন শুধুমাত্র কোন সার্চ ইঞ্জিনের চেয়েও বেশি কিছু হয়ে দাঁড়িয়েছে। এটা একটা বিজ্ঞাপনী মাধ্যম, একটি ব্যবসা মডেল আর ব্যক্তিগত তথ্যের এক নিরলস সংগ্রাহক।
ঠিক তাই, প্রত্যেকবার যখন আমরা গুগলে কোন অনুসন্ধান করি, গুগল আমাদের ব্যক্তিগত পছন্দ-অপছন্দ এবং অভ্যাস সম্পর্কে খানিকটা জেনে ফেলে- কিন্তু আপনি গুগল সম্পর্কে কতটা জানেন?
এখানে গুগল সম্পর্কে বেশ কিছু তথ্য রয়েছে, যা হয়তো আপনাকে অবাক করে দিতে পারে।
১. নাম
গুগল নামের মানে কি, আপনি জানতে চাইতে পারে। আসলে এর কোন মানেই নেই।
গুগল নামটি আসলে এসেছে গাণিতিক হিসাবের গোগল (googol) ভুল করে লেখার মাধ্যমে-যার হলো ১ এর পর একশোটি শূন্য।
এ নিয়ে এখন অনেক গল্প প্রচলিত আছে যে, একজন প্রকৌশলী বা ছাত্র আসল নামের বদলে এই ভুল বানানটি লিখেছিলেন। সেই ভুল নামই পুরো দুনিয়ার সামনে চলে আসে।
এর পরের ঘটনা তো ইতিহাস।
২. ‘ব্যাকরাব’
গুগলের প্রতিষ্ঠাতা ল্যারি পেজ এবং সের্গেই ব্রিন এই প্রতিষ্ঠানের প্রথম নাম দিয়েছিলেন ব্যাকরাব।
যে পদ্ধতিতে একটি ওয়েবসাইট আরেকটি ওয়েবসাইটকে খুঁজে বের করে এবং সেগুলোর অতীত লিংকের ওপর নির্ভর করে ওয়েবপেইজে র্যাংকিং নির্ধারণ করে, তাকেই বলা হয় ব্যাকরাব।
৩. সব কিছুই হিসাব নিকাশ নয়
গুগলের সব কিছুই ব্যবসা নয়। সেখানে অনেক মজার ব্যাপারসাপারও আছে।
যেমন “askew” এই শব্দটি গুগলে লিখে দেখতে পারেন।
৪.গুগলের ছাগল
গুগল সবসময়েই বলে, তারা সবুজ উদ্যোগ সমর্থন করে। এরই একটি হলো ছাগলের মাধ্যমে লনের ঘাসকাটা।
ক্যালিফোর্নিয়ায় গুগল সদর দপ্তরের লনের ঘাসগুলো নিয়মিতভাবে কেটেছেটে ঠিকঠাক রাখতে হয়। সুতরাং আপনি যদি কখনো সেখানে যান, দেখতে পাবেন প্রায় ২০০ ছাগল সেখানে ঘুরে বেড়াচ্ছে আর ঘাস খেয়ে লনের ঘাস ঠিকঠাক রাখছে।
৫. ক্রমবর্ধমান ব্যবসা
জিমেইল, গুগল ম্যাপস, গুগল ড্রাইভ, গুগল ক্রোম…এসবের বাইরে ২০১০ সাল থেকে গুগল প্রায় প্রতি সপ্তাহেই একটি করে কোম্পানির মালিক হচ্ছে।
Advertisement 4
আপনি হয়তো টের পাবেন না, কিন্তু অ্যান্ড্রুয়েড,ইউটিউব, ওয়ায, অ্যাডসেন্স-এসব প্রতিষ্ঠানের মালিক গুগল, এরকম আরো সত্তুরটি কোম্পানি রয়েছে।
৬. ডুডল
অফিসের বাইরে বার্তা যোগাযোগের মাধ্যমে প্রথম গুগল ডুডল চালু হয় ১৯৯৮ সালের ৩০ অগাস্ট।
যখন ল্যারি আর সের্গেই একটি উৎসবে নেভাদা গিয়েছিলেন, তখনি প্রথম এই আইডিয়াটি আসে।
এরপর থেকেই ডুডল গুগলের একটি ঐতিহ্যে পরিণত হয়। বিশেষ বিশেষ দিন বা ব্যক্তিত্বের উপলক্ষে বিশেষভাবে করা শিল্প গুগলের চেহারায় ভেসে ওঠে।
৭. অনেকের জন্য সুযোগের হাতছাড়া, কিন্তু গুগলের জন্য নয়
১৯৯৯ সালে ল্যারি এবং সের্গেই গুগলকে ১ মিলিয়ন ডলারে বিক্রির চেষ্টা করেছিলেন…..কিন্তু সেটা কেনার মতো কোন গ্রাহক ছিল না। এমনকি দাম কমিয়ে দেয়ার পরেও কোন গ্রাহক মেলেনি।
এখন গুগলের মোট সম্পদের পরিমাণ ৩০০ বিলিয়ন ডলার। হয়তো কেউ কেউ সেই সুযোগ হাতছাড়া করার জন্য এখন আফসোস করতে পারে।
৮.গুগলের আদর্শ
গুগলের মৌলিক আদর্শগুলোর একটি ”কখনো দুষ্টতে পরিণত হয়ো না”।
কিন্তু এই কোম্পানি এখনো সেই আদর্শে আছে কিনা, সেই সিদ্ধান্ত আপনার।
৯. খাবার খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটা ব্যাপার
ফোবর্সের তথ্য অনুযায়ী, গুগলের পিতা সের্গেই ব্রিন প্রথম দিকেই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন যে, গুগলের অফিস কখনোই খাবার প্রাপ্তির স্থান থেকে ৬০ মিটারের বেশি দূরত্বে হবে না।
গুজব আছে যে, তখন কোম্পানির সবচেয়ে জনপ্রিয় খাবার ছিল ‘সুইডিশ ফিশ’, একটি চিবানোর মতো মিষ্টি। কিন্তু এখন গুগলের লোকজনের জন্য নানা ধরণের মাংস আর ভালো মানের কফির ব্যবস্থা রয়েছে।
১০. গুগলের সবচেয়ে ভালো বন্ধু
গুগলে যারা কাজ করেন, এমনকি যারা নতুন কাজ করতে এসেছেন, তারা সবাই নিজের কুকুর সঙ্গে করে নিয়ে আসতে পারে। তবে এটা প্রমাণ করতে হবে যে, তারা অফিসের ধরণের ক্ষেত্রে প্রশিক্ষিত, যেখানে সেখানে হাগুমুগু করে নোংরা করবে না।
আরো কয়েকটি বোনাস পয়েন্ট….
যদিও গুগলের ইনডেক্স সেই ১৯৯৯ সালের তুলনায় এখন ১০০গুণ বড়, কিন্তু এটি ১০ হাজার গুণ বেশি গতিতে আপডেট করছে।
প্লাস্টিক নির্মাণ খেলনা লেগোর ভক্ত গুগল, এ কারণে প্রথম গুগল কম্পিউটারের স্টোরেজ ইউনিট লেগো ইট দিয়ে তৈরি করা হয়েছিল।
সাজেশন সম্পর্কে প্রশ্ন ও মতামত জানাতে পারেন আমাদের কে Google News <>YouTube : Like Page ইমেল : assignment@banglanewsexpress.com
গুগল ইনকরপোরেটেড মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইন্টারনেট ও সফটওয়্যার সেবাদানকারী বহুজাতিক কোম্পানি। বিশেষভাবে তাদের গুগল সার্চ ইঞ্জিন, অনলাইন বিজ্ঞাপন সেবা ও ক্লাউড কম্পিউটিং সেবার জন্য এটি প্রসিদ্ধ। গুগলের আয়ের মূল উৎস বিজ্ঞাপন, যা ‘এডওয়ার্ডস’ প্রোগ্রামের মাধ্যমে পরিচালিত হয়। গুগলের প্রধান কার্যালয় ক্যালিফোর্নিয়ার মাউন্টেইন ভিউ শহরে। গুগলের মূল কাজ হলো ‘বিশ্বের সব তথ্য সন্নিবেশিত করে সবার জন্য সহজলভ্য করে দেওয়া’। গুগলের অপ্রাতিষ্ঠানিক স্লোগান হলো ‘Don’t be evil’। স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের দুজন পিএইচডি ছাত্র ল্যারি পেজ ও সের্গেই ব্রিন গুগলের প্রতিষ্ঠাতা।
১৯৯৮ সালের ৪ সেপ্টেম্বর গুগল প্রথম ইনকরপোরেট প্রাইভেট কোম্পানি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে এবং প্রথম শেয়ার (আইপিও) বাজারে আসে ২০০৪ সালের ১৯ আগস্ট। ল্যারি পেজ, সের্গেই ব্রিন ও এরিক স্কমিট গুগলে ২০ বছরের (২০২৪ সাল পর্যন্ত) জন্য একসঙ্গে কাজ করতে একমত হন। ২০০৬ সালে গুগল মাউন্টেইন ভিউতে স্থানান্তরিত হয়।
গুগল শুধু সার্চ ইঞ্জিনই নয়, অনলাইন আরও নানা ধরনের সেবা, যেমন: জিমেইল (ই-মেইল সেবা), গুগল ডকস (অফিস সেবা), ইউটিউব (ভিডিও সেবা), গুগল ড্রাইভ (স্টোরেজ সেবা), গুগল প্লে স্টোর (অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপস সেবা), গুগল ক্যালেন্ডার, গুগল ম্যাপস, গুগল ট্রান্সলেটর, ব্লগার, গুগল প্লাস (সামাজিক নেটওয়ার্কিং সেবা) প্রভৃতি ছাড়া আরও অনেক সেবা প্রদান করে থাকে। গুগলের পণ্য ইন্টারনেট ছাড়াও ডেস্কটপেও ব্যবহার হয়। যেমন: গুগল ক্রোম (ওয়েব ব্রাউজার), পিকাসা (ছবি সংগঠিত এবং সম্পাদন করার সফটওয়্যার) এবং গুগল হ্যাংআউট (ইনস্ট্যান্ট ম্যাসেজিং অ্যাপ্লিকেশন) প্রভৃতি। গুগল মোবাইল অপারেটিং সিস্টেমের জন্য অ্যান্ড্রয়েড এবং গুগল ক্রোম অপারেটিং সিস্টেমের জন্য ব্রাউজার অপারেটিং সিস্টেম, যা শুধু বিশেষ ল্যাপটপ ক্রোমবুকে পাওয়া যায়। গুগলের ইলেকট্রনিকস পণ্যের মধ্যে রয়েছে গুগল গ্লাস, গুগল পিক্সেল ২ (মোবাইল ফোন), গুগল পিক্সেল বুক, গুগল হোম (স্পিকার), গুগল ওয়াই-ফাই প্রভৃতি।
গুগলকে আমরা মূলত একটি সার্চ ইঞ্জিন হিসেবেই জানি। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে নিত্যনতুন পণ্য ও সেবা তৈরি করে গুগল প্রতিনিয়ত নিজেদের আকার ও উপযোগিতা মানুষের কাছে বাড়িয়ে তুলতে সক্ষম হয়েছে। একই সঙ্গে নতুন কোম্পানি কিনে ও ভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে অংশীদারত্ব এবং বিজ্ঞাপন জগতে নিজেদের অবস্থান সুদৃঢ় করার মধ্য দিয়ে নিজকে বহুমুখী হিসেবে সমৃদ্ধ করেছে। ফলে তথ্য খোঁজার পাশাপাশি বর্তমানে ই-মেইল, সামাজিক নেটওয়ার্কিং, ভিডিও শেয়ারিং, অফিস প্রোডাকটিভিটি, ইলেকট্রনিকস পণ্য তৈরি, বিজ্ঞাপন প্রভৃতি বিষয়ে গুগলের সেবা রয়েছে।
বর্তমান বিশ্বে ইন্টারনেট ব্যবহার করে, কিন্তু গুগল সার্চ ইঞ্জিন ব্যবহার করে না, এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের মধ্যে ৯১ দশমিক ৬৩ শতাংশ (২০১৮, ফেব্রুয়ারি ) মানুষ গুগল ব্যবহার করে থাকে । গুগলের মূল আয়ের উৎস হলো বিজ্ঞাপন, যা থেকে গুগলের প্রায় ৯৯ শতাংশ আয় আসে। গুগল জানায়, ২০১৭ অর্থবছরে ৩১ দশমিক ৯১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় করেছে তারা।
[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]
কোনো তথ্য দরকার? হুটহাট করেই গুগলের সার্চ বক্সে গিয়ে সে বিষয়ে খোঁজ করা শুরু করেন অনেকেই। কেউ খোঁজেন খাবারের রেসিপি কেউবা খোঁজেন অনলাইন ব্যাংকিং, অর্থ স্থানান্তর বা অনলাইনে নানা ওষুধ। যাঁরা সবকিছুতেই গুগলের ওপর নির্ভর করেন, তাঁদের মনে রাখতে হবে এসব কনটেন্ট কিন্তু গুগল নিজে তৈরি করে না। গুগল কেবল একটি অনলাইন প্ল্যাটফর্ম দেয় যেখানে বিভিন্ন ওয়েবসাইটের তথ্য দেখা যায়। তাই গুগলে দেখা সব তথ্য যে সঠিক ও নির্ভুল হবে, এটা মনে করার কোনো কারণ নেই। গুগলে দেখা অনেক জিনিস আপনার জন্য ক্ষতির কারণ হতে পারে। গুগলের অনুসন্ধান বাক্সে কয়েকটি বিষয় খোঁজা একেবারেই বন্ধ করা উচিত। এতে অনলাইনে আপনি নিরাপদ থাকবেন। জেনে নিন এমন ১০টি বিষয় সম্পর্কে:
অনলাইন ব্যাংকিং: আপনি যে ব্যাংকে লেনদেন করেন তাদের অনলাইন ঠিকানাটা মনে রাখবেন। সঠিক ইউআরএল বা লিংক ছাড়া অনলাইনে খুঁজে তাদের সাইট বা সেবা সম্পর্কে জানার চেষ্টা করবেন না। অনেক সময় ব্যাংকের ওয়েবসাইটের আদলে ফিশিং সাইট তৈরি করে রাখে দুর্বৃত্তরা। আপনি ভুলে এমন কোনো সাইটে গিয়ে নিজের আইডি-পাসওয়ার্ড দিয়ে ফেললেই সর্বনাশ। অনলাইন ব্যাংকিং সম্পর্কিত তথ্য তাই গুগলে সার্চ না করাই ভালো।
গ্রাহক সেবার নম্বর: দুর্বৃত্তরা অনলাইনে বিভিন্ন সেবার ভুয়া নম্বর ও ওয়েবসাইট দিয়ে রাখে। অনেকেই গুগলে গিয়ে ভুয়া সাইটের নম্বর নিয়ে ফোন করে প্রতারিত হন। গুগলে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি স্ক্যামের শিকার হন গ্রাহক সেবার নম্বর খোঁজ করতে গিয়ে। তাই গুগল থেকে কোনো গ্রাহক সেবার ফোন নম্বর নিয়ে প্রতারণা এড়িয়ে চলতে সতর্ক থাকুন।
অ্যাপ ও সফটওয়্যার ডাউনলোড: কোন দরকারি সফটওয়্যার খুঁজতে গুগলে গিয়ে প্রতারণার ফাঁদে পড়তে পারেন। মোবাইল অ্যাপ বা সফটওয়্যার ডাউনলোড করতে সরাসরি অ্যান্ড্রয়েডের জন্য গুগল প্লে বা আইফোনের জন্য অ্যাপ স্টোরে যান। গুগলে সার্চ করে কোনো অ্যাপ ডাউনলোড করবেন না। কারণ, দুর্বৃত্তরা কারসাজি করে অনেক সফটওয়্যার ডাউনলোডের জন্য প্রলুব্ধ করতে পারে। মনে রাখতে হবে, ভুয়া অ্যাপ বা সফটওয়্যার ডাউনলোড করলে আপনার ডিভাইসে ম্যালওয়্যার চলে আসতে পারে। এতে আপনার ব্যক্তিগত তথ্য চুরি হতে পারে।
ওষুধ: আপনি কোনো সমস্যায় ভুগলে সরাসরি চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন। গুগলে দেওয়া তথ্য সব সময় সঠিক হয় না। গুগলে দেখা তথ্য অনুযায়ী ওষুধ কিনে বিপদে পড়তে পারেন। তাই স্পর্শকাতর বিষয়গুলোতে গুগল সার্চের ওপর নির্ভর করা উচিত নয়।
শেয়ার বাজারের তথ্য: স্বাস্থ্য বিষয়ক তথ্যের মতোই আর্থিক বিষয়গুলোতেও গুগলের ওপর নির্ভর করা মোটেও ঠিক নয়। আর্থিক সফলতার বিষয়গুলো একেকজনের ক্ষেত্রে একেক রকম হতে পারে। বিনিয়োগের ক্ষেত্রে গুগল সার্চের তথ্যের ওপর নির্ভর না করাটাই আপনার জন্য সবচেয়ে ভালো হবে।
সরকারি তথ্য: ব্যাংকের ওয়েবসাইটের মতোই সরকারি নানা সাইটের ভুয়া তথ্য তৈরি করে রাখে দুর্বৃত্তরা। স্ক্যামারদের প্রাথমিক লক্ষ্য থাকে সরকারি বিভিন্ন সাইটের আদলে সাইট তৈরি করে ব্যবহারকারীকে বোকা বানানো। গুগল সার্চে দেখা অনেক ওয়েবসাইট প্রকৃত মনে হলেও পরে তা প্রতারণা বলে প্রমাণিত হয়। গুগলে সার্চ করার বদলে সংশ্লিষ্ট ওয়েবসাইটের ইউআরএল জেনে নিয়ে সেখানে গেলে নিরাপদ থাকা যায়।
সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম: সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমের লগইন পেজটি কখনো গুগলে সার্চ করবেন না। গুগলের অ্যাড্রেস বক্সে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমের ওয়েবসাইটের লিংকটি লিখে সেখানে যাবেন। গুগল সার্চের মাধ্যমে গেলে আপনি ফিশিং আক্রমণের মুখে পড়তে পারেন। আপনি ভুয়া কোনো ওয়েবসাইটে চলে যেতে পারেন।
গুগলে অফারের খোঁজ: অনেকেই গুগলে গিয়ে অনলাইন সাইটগুলোর অফারের খোঁজ করেন। গুগলে এমন হাজারো অফার পাবেন। এসব অফারের ফাঁদে ফেলে আপনার গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হাতিয়ে নিতে পারে দুর্বৃত্তরা। তাই গুগলে সরাসরি কোনো অফারের খোঁজ করবেন না। যে সাইটে কেনাকাটা করতে চান সরাসরি তাদের ওয়েবসাইট থেকে পণ্য কিনুন।
বিনা মূল্যের অ্যান্টিভাইরাস: অনেকেই গুগলে গিয়ে ‘ফ্রি অ্যান্টিভাইরাস’ খোঁজ করেন। গুগলে ‘ফ্রি অ্যান্টিভাইরাস’ খোঁজ করলে অসংখ্য ভুয়া সফটওয়্যার পাবেন, যা আপনার ডিভাইসের জন্য ক্ষতির কারণ হতে পারে। গুগলে খোঁজ করে আসল-নকল বের করা অনেকের জন্য কঠিন।
ছাড় পেতে কুপন: অনেকেই কেনাকাটার জন্য ছাড় পেতে গুগলে নানা কুপনের খোঁজ করেন। এ ধরনের কুপন খোঁজ করতে গেলে আপনি ভুয়া কুপনের চক্করে পড়ে ভুয়া সাইটে চলে যাবেন। এখান থেকে আপনার কার্ডের তথ্য চুরি হয়ে যেতে পারে। তাই গুগলে ছাড় খোঁজা বন্ধ করুন। তথ্যসূত্র: গ্যাজেটস নাউ।
[ বি:দ্র:এই সাজেশন যে কোন সময় পরিবতনশীল ১০০% কমন পেতে পরিক্ষার আগের রাতে সাইডে চেক করুন এই লিংক সব সময় আপডেট করা হয় ]
Facebook এর একটি প্রচলিত Status “মনের কথা কেউ বুঝলো না , শুধু Google মামাই বুঝলো ”। এমন কিছু নাই, যা গুগল মামা জানে না। মামার কাছে সব কিছুর খবর আছে ।
আপনাকে শুধু ইন্টারনেট কানেকশন অন করে, গুগল করতে হবে। এরপর বাকিটা ইতিহাস। আপনি কি জানেন, গুগল শুধু আপনার মামা না,গুগল 219+ দেশের মামা।
আর এই ২১৯+ টি দেশের মানুষ এর যত জিজ্ঞাসা আছে, তার সব জিজ্ঞাসার উওর দিয়ে থাকে গুগল। আর প্রতিদিন প্রায় বিলিয়ন বিলিয়ন Search হয় গুগলে।
কখনো কি ভেবে দেখেছেন, গুগল কিভাবে প্রতিদিন বিলিয়ন + সার্চ এর সঠিক উওর দিয়ে থাকে?
কি ভাবে গুগল সার্চ কাজ করে থাকে?, কি ভাবে আপনার কাঙ্খিত উওর আপনার সামনে তুলে ধরে?।
আর এই সকল প্রশ্নের উওর যদি পেতে চান তাহলে এই Artical টি পুরো পুরি পড়তে হবে।
গুগল কিভাবে কাজ করে?
প্রতিদিন গুগলে বিলিয়ন বিলিয়ন সার্চ হয়। ওই হিসাবে মানুষ প্রতিদিন গড়ে 4-5 বার গুগল সার্চ করে। বর্তমানে তো গুগল আমাদের জিবনের সঙ্গে জড়িত। আপনি হয় তো জানেন না।
আপনার প্রতিদিন এর ব্যবহৃত Youtube, Google Map, Photos, Drive,এমনকি আপনার মোবাইল এর অপারের্টিং সিস্টেম Android গুগল এর একটি পন্য।
এই জন্যই আমরা গুগল এর উপর এতোটা নির্ভরশীল।
ওকে কাম টু দ্যা পয়েন্ট।
এখন প্রশ্ন হলো, গুগল নিজে একটি ওয়েব সাইট হয়ে ,কিভাবে অন্য ওয়েব সাইড এর ডাটা নিজের কাছে রাখে ।
এবং সার্চকারীকে সেই রেজাল্ট শো করায় (অনেকে হয়তো জানেন না যে, গুগল নিজেই একটি ওয়েব সাইড)। সহজ কথা গুগল কাজ কি ভাবে করে।
গুগল সব ওয়েব সাইট এর ডাটা নিজের কাছে কেন রাখে?
যেহেতু গুগল একটি সার্চ ইন্জিন । তাই এর কাজ হলো, ব্যবহারকারী কে তার কাঙ্খিত উওর দেওয়া। প্রতিদিন এই যে, এতো পরিমান সার্চ হয়।
প্রতিটি সার্চ অনুযায়ী গুগল যদি ,ওই সময় প্রতিটি ওয়েব সাইট ভিজিট করে ,ওই তথ্য আনতে যায় তাহলে তার অনেক বেশি সময় লাগবে।
আর এই কারনেই , গুগল আগে থেকেই সকল ওয়েব সাইট এর ডাটা নিজের কাছে রাখে।বা নিজের ডাটাবেসে ইনডেক্স করে।
এর ফলে অল্প কিছু সময়ের মধ্যেই ব্যবহারকারীকে তার কাঙ্খিত রেজাল্ট দেওয়া সম্ভব হয়। এখন প্রশ্ন হলো ,ইন্ডেক্স কি ভাবে করে?
ইনডেক্স কি?
প্রথমে বুঝতে হবে ইনডেক্স কি? সহজ ভাষায় বলতে গেলে ইনডেক্স বলতে বুঝায় : সূচিপত্র। কোন বইয়ের প্রথম পাতায় যেমন থাকে সূচিপত্র তেমনই কিছুটা।
অর্থাৎ ওই সূচিপত্র এর সাহায্যে গুগলে বুঝতে পারে । তার ডাটাবেসে কোথায় কোন ডাটা রাখা আছে।এর ফলে সহজেই সার্চকারীকে তার কাঙ্খিত রেজাল্ট শো করায়।
গুগল প্রতিটি ওয়েব সাইট এর ডাটা , ইন্ডেক্স করার জন্য।প্রতিটি ওয়েব সাইট ভিজিট করে , ক্রলার /স্পাইডার এর সাহায্যে ক্রল করে ।
ওয়েব সাইটি বিশ্লেষণ করে। যদি সাইটি কোন স্প্যাম /Malicius সাইট হয় তাহলে গুগল ওই সাইট ইনডেক্স করে না।
নতুন কোন ওয়েব সাইট এর , ডাটা ইনডেক্স করতেও গুগলে কিছু সময় নিয়ে থাকে।
এখানে একটি প্রয়োজনীয় কথা, গুগল যেসব ওয়েব সাইট এর ডাটা ইনডেক্স করে রাখে ,শুধু মাত্র সেই সব ওয়েব সাইট এর ডাটা আমাদের দেখাতে পারে।
* এমন না যে, গুগল এর কাছে সব ওয়েব সাইট এর তথ্য আছে, কেউ যদি তার ওয়েব সাইট কে গুগলে ইন্ডেক্স না করায় অথবা হাইড করে রাখে তাহলে।
সেই ওয়েব সাইট এর ডাটা গুগল ইন্ডেক্স করতে পারবে না।
কিভাবে গুগল ডাটা ইনডেক্স করে?
গুগল এর কাছে যে, ডাটা লিষ্ট বা ওয়েব ডাটা ইনডেক্স আছে । তা কিভাবে গুগল ইনডেক্স করে। কোন প্রোগ্রাম বা algorithm ব্যবহার করে।
এমন না যে, নতুন কোন ওয়েব সাইট এলে তার ডাটা অটো গুগলের কাছে চলে আসবে। আর এই জন্য গুগল যে প্রোগ্রাম ব্যবহার করে তার নাম Google Spider বা ক্রলার।
যখন কোন ওয়েব সাইট গুগলে ইনডেক্স করার জন্য Google Search Console সাবমিট করা হয়। তখন গুগল কিছু সময় নেয় ওই ওয়েব সাইট এর ডাটা স্ক্যান বা ক্রল করার জন্য।
ওই ওয়েব সাইট এর ডাটা ক্রল করার জন্য । গুগল তার প্রোগ্রাম স্পাইডার কে পাঠায়।
গুগল স্পাইডার সেই ওয়েব সাইটে গিয়ে , সমস্ত ডাটা স্ক্রল করবে। এবং ওয়েব সাইটে থাকা সব Hyperlink এ যাবে।
এবং ওই লিঙ্ক এ গিয়ে ওই ওয়েব সাইট এর ডাটাও নিজের কাছে ইনডেক্স করবে। এবং ইনডেক্স করা সমস্ত ডাটা গুগল তার নিজের সার্ভারে রাখবে।
Advertisement 2
ডাটা গুলো বিভিন্ন ক্যাটাগরির , বিভিন্ন মেটা ট্যাগ, টাইটেল,দেশে হিসাবে ইনডেক্স করে।
এমন না যে, শুধু নতুন কোন ওয়েব সাইট এর ডাটা , স্পাইডার স্ক্রল করবে। প্রতিদিন মিলিয়ন মিলিয়ন ওয়েব সাইট এ পোষ্ট করা হচ্ছে।
ওই পোষ্ট গুগলের কাছে ইনডেক্স করার জন্য প্রতিনিয়ত স্পাইডারকে সমস্ত ইন্টারনেট স্ক্রল করতে হয়। প্রতিনিয়ত মিলিয়ন মিলিয়ন স্ক্রলার ইন্টার নেট স্ক্রল করছে।
গুগল এর ইনডেক্স কৃত ডাটা কোথায় রাখা হয়?
প্রতিনিয়ত গুগল যে ,ডাটা স্ক্রল করছে ওই সকল ডাটা গুগল কোথায় ইনডেক্স করে? ওই সমস্ত ডাটা ইনডেক্স করার জন্য।
গুগল তার নিজস্ব ডাটা সেন্টার ব্যবহার করে গুগলের আছে পৃথিবীর সব থেকে বড় ডাটা সেন্টার যেখানে, সমস্ত গুগল ইউজারকারীর ডাটা ষ্টোর করা আছে।
গুগলের 36+ এর বেশি নিজস্ব ডাটা সেন্টার আছে বিভিন্ন দেশে। আমেরিকায় আছে 12+ মতো। তাছাড়াও কানাডা, জার্মানি, নেদারল্যান্ড,ইংল্যন্ড, ব্রাজিল,প্যারিস ইত্যাদি দেশে।
এমন কি ইন্ডিয়ায় ও গুগলের একটি ডাটা সেন্টার আছে মুম্বাই তে।
আর এই ডাটা সেন্টার এর ধারন ক্ষমতা 470 exabytes এর বেশি। দিন দিন আরো বৃদ্ধি পাচ্ছে।
গুগল কিভাবে সার্চ রেজাল্ট দেখায়?
এতোক্ষন তো বুঝলাম, গুগল ওয়েব ডাটা কিভাবে ইনডেক্স করে, কোথায় রাখে ইত্যাদি।
কিন্তু গুগল ডাটাগুলো ইনডেক্স করার পর । কিভাবে আমাদের সামনে শো করায়।
কখনো কি আপনার মনে প্রশ্ন জেগেছে? আপনি কখনো কিছু সার্চ করলে যে ,রেজাল্ট দেখতে পান তা কি ভাবে লিস্ট আকারে আপনার সামনে আসে?
কি ভাবে গুগল ওই ওয়েব সাইড গুলোকে লিষ্টিং করে?
-গুগল তার সার্চ রেজাল্ট ইউজার এর সামনে তুলে ধরার জন্য বিভিন্ন Alogrithm ব্যবহার করে।
আর এই এ্যালগরিদম কিছু বছর পর পর গুগল চেন্জ করে বা আপডেট করে । ব্যবহারকারী কে আরে ভালো রেজাল্ট দেখানোর জন্য।
ওকে কাম টু দ্যা পয়েন্ট, আপনি যখন কোন কিছু সার্চ করেন ।
প্রথমে তো গুগল তার ইনডেক্স ফাইল থেকে খুজবে কোন কোন ওয়েব সাইটের টাইটেল,মেটা ট্যাগ, ডেসক্রিপশনের সাথে মিল আছে ।
ওই ওয়েব সাইট গুলোর একটি সর্ট লিষ্ট করবে।
এরপর আরো কিছু বিশ্লেষন করবে , যেমন: Title, Tag, Description,Backlink, Site Authority, URL Authority,Website Speed, Who is country,
CTR,Engagement, Page Duration, Traffic, Content Quality, ইত্যাদি আরো নানা কিছু বিবেচনা করে ওয়েব সাইটির Page Rank করা হয়।
আর এ সব বিশ্লেষণ করে গুগলের এ্যালগরিদম ।
প্রতিটি সার্চ এর পিছনের কাহিনী এতোটা লম্বা। কিন্তু আমার রেজাল্ট পাই মাত্র কিছু সেকেন্ড এর মধ্যে। যা হয় ন্যানো সেকেন্ডে।
তো এতো কিছু করে গুগলের কি লাভ হয়?
প্রতিনিয়ত , মানুষের প্রতিটি প্রশ্নের উওর দিচ্ছে গুগল। কিন্ত গুগল কেনো এতো কিছু করছে? কিভাবে গুগল টাকা ইনকাম করে?
গুগল তো আমাদের কাছে কোন টাকা পয়সা নিচ্ছে না। তারে সার্চ রেজাল্ট দেখানোর জন্য। তো কিভাবে গুগল টাকা ইনকাম করে।
আপনি কে কখনো খেয়াল করে দেখেছেন? আপনি কোন কিছু সার্চ করলে তার উপরের একটি অংশে ছোট করে লেখা থাকে ads।
হ্যা , এই এ্যাডস থেকে গুগল টাকা ইনকাম করে। প্রতি সেকেন্ডে গুগলের ইনকাম $615 এর বেশি।
গুগল সার্চ সম্পর্কে কিছু অজানা তথ্যঃ
*গুগল আমাদের যে, সার্চ রেজাল্ট দেখায়। তা সমস্ত ইন্টারনেট দুনিয়ার মাত্র 20% বাকি 80% আমাদের অজানাই থেকে যায়।
এমন নয় যে, গুগলে যে রেজাল্ট শো না করে, ওই রেজাল্ট অন্য কোথায় নেই।
অথবা অন্য কোন সার্চ ইন্জিন / ডিপ ওয়েবে থাকতে পারে।
* আপনি যদি কোন পন্যের নাম , গুগলে সার্চ করেন। তাহলে দেখতে পাবেন, আপনার Faceook ও অনান্য জায়গায় ওই পন্যের বিজ্ঞাপন।
* আপনি হয়তো জেনে অবাক হবেন, আপনি কি ধরনের মানুষ?, আপনি কি পছন্দ করেন? তা আপনার থেকেও গুগল ভালো জানে। এখন বলতে পারেন কিভাবে?
Well, আপনি কি ,কি সার্চ করেন, কি কি ব্রাউজ করেন । এই সমস্ত ডাটা গুগলে কাছে আছে। আর সেই হিসাবে আপনাকে বিভিন্ন প্রোডক্ট এর বিজ্ঞাপন দেখায়।
আর এটাই বাস্তবতা যে, গুগলের কাছে প্রতিটি ব্যবহারকারী এক এক জন কাস্টমার।
* আপনি যখন সার্চ বারে কোন ওয়ার্ড লিখেন , তার সাথে সাথে সেই ওয়ার্ড এর পরবর্তীতে কি হবে তা সার্চ করা শুরু করে দেয়। এবং আপনি ওকে /বা এন্টার দেওয়ার আগেই গুগল তার সার্চ শুরু করে ।
*পুরো পৃথিবীতে প্রতি মিনিটে গুগল সার্চ হয় ৩.৮ মিলিয়ন। প্রতি ঘন্টায় ২২৮+ মিলিয়ন, প্রতিদিন ৫.৬ বিলিয়ন এবং প্রতিবছর ২ ট্রিলিয়ন সার্চ হয়। যার দিন দিন বেড়েই চলছে।
*ব্যবহারকারী কে আরো ভারো রেজাল্ট দেওয়ার জন্য গুগল AI(Artificial Intelligent ) প্রোগ্রাম কে আরো উন্নত করছে।
আপনি মনে মনে যা ভাববেন তাই আপনার সামনে সার্চ রেজাল্টে শো করবে। আপনি আপনার মাইন্ড এর সাহায্যে সব কিছু সার্চ করতে পারবেন।
সবার আগে সাজেশন আপডেট পেতে Follower ক্লিক করুন
১ম থেকে ৪৩তম বিসিএস প্রশ্ন ও সমাধান লিংক
Professor Primary Assistant Teacher book লিংক
ইংরেজি
বাংলা
বাংলা ব্যাকরণ
গণিত
সবার আগে Google News আপডেট পেতে Follower ক্লিক করুন
Advertisement 5
- বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স এর ট্রাফিক হেলপার (ক্যাজুয়াল) পদের প্রশ্ন সমাধান pdf ২০২৪
Advertisement 5
- BMTTI এর কম্পিউটার অপারেটর পদের প্রশ্ন উত্তর pdf ২০২৪
- Tax এর উচ্চমান সহকারী পদের প্রশ্ন উত্তর pdf ২০২৪, ট্যাক্স নিয়োগ পরীক্ষা উচ্চমান সহকারী পদের প্রশ্ন সলিউশন ২০২৪
Advertisement 3