নিয়োগ পরিক্ষার জন্য ১০০% কমন পদ এক সাথে, যেকোন চাকরির পরীক্ষায় বার বার আসা কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদ, পদ ব্যাংক বিসিএস সরকারি চাকরির জন্য কমন উপযোগী গুরুত্বপূর্ণ, নিয়োগ পরিক্ষা আসা গুরুত্বপূর্ণ পদ এক সাথে, বিভিন্ন পরীক্ষায় আসা ৫০০+ গুরুত্বপূর্ণ পদ

নিয়োগ পরিক্ষার জন্য ১০০% কমন পদ এক সাথে, যেকোন চাকরির পরীক্ষায় বার বার আসা কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদ

১) নিম্নরেখ পদগুলির বিশেষণের শ্রেণি নির্ণয় করুন।

ক) প্রীতম লাল জামা গায়ে দিয়েছে।
খ) লোকটি দ্রুত হেঁটে আসছে।
গ) বাজার থেকে দশকিলো চাল আনবে।
ঘ) কনকনে শীতে ঘাসের উপর শিশির ঝরে।

উত্তরঃ
ক) লাল = গুণবাচক বিশেষণ
খ) দ্রুত =ক্রিয়া বিশেষণ
গ) দশকিলো =সংখ্যাবাচক বিশেষণ
ঘ) কনকনে = ধ্বন্যাত্মক বিশেষণ
২) কোন্‌টি কোন্‌ শ্রেণির বিশেষ্য নির্ণয় করুন।

ক) ও আমার দেশের মাটি তোমার পরে ঠেকাই মাথা।
খ) তাঁহাদের নৌকা বহর হইতে দূরে পড়িয়াছিল।
গ) হিংসায় উন্মত্ত পৃথ্বী, নিত্য নিঠুর দ্বন্দ্ব।
ঘ) আনন্দ রয়েছে জাগি ভুবনে তোমার।

উত্তরঃ
ক) মাটি =বস্তুবাচক বিশেষ্য
খ) বহর = সমষ্টি বাচক বিশেষ্য
গ) পৃথ্বী =সংজ্ঞা বাচক বিশেষ্য
ঘ) আনন্দ = ভাব বাচক বিশেষ্য
৩) কোন্‌টি কোন্‌ শ্রেণির সর্বনাম নির্ণয় করুন।

ক) কোন কোন বই তোমার পছন্দ ?
খ) তিনি স্বয়ং উপস্থিত ছিলেন।
গ) সকলের তরে সকলে আমরা।
ঘ) তুমি নও অন্য কেউ কাজটি করেছে।
উত্তরঃ
ক) কোন কোন = প্রশ্নবোধক সর্বনাম।
খ) স্বয়ং =আত্মবাচক সর্বনাম।
গ) সকলের =সাকল্য বাচক সর্বনাম।
ঘ)কেউ =অনির্দেশক সর্বনাম।
৪) কোনটি কোন শ্রেণির অব্যয় নির্ণয় করুন।

ক) দুঃখ বিনা সুখ লাভ হয় কি মহীতে ?
খ) সেই থেকে দুজনের ভাব-ভালোবাসা।
গ) শিক্ষিত মানুষ দেশ তথা সমাজের জন্য উপযোগী।
ঘ) সে তো এখনও এলো না !

উত্তরঃ
ক) বিনা =ব্যতিরেকাত্মক অব্যয়।
খ) থেকে = সীমা বাচক অব্যয়।
গ) তথা =সংযোজক অব্যয়।
ঘ) তো =বাক্যালঙ্কার অব্যয়।
৫) বাক্যে প্রয়োগ করে উদাহরণ দিনঃ বিয়োজক অব্যয়, বাক্যাশ্রয়ী বিশেষণ , সামীপ্যবাচক সর্বনাম , অবস্থাবাচক বিশেষ্য ।
ক) বিয়োজক অব্যয়- উত্তরঃ- নয়, অথবা (জয় অথবা বিজয় কেউ একজন স্টেশনে যাবে)।
খ) বাক্যাশ্রয়ী বিশেষণ— উত্তরঃ- এমন, অনেক (অনেক কাজে পারদর্শী, এমন লোককে রাম বাবু হন্যে হয়ে খুঁজছেন)
গ) সামীপ্যবাচক সর্বনাম— উত্তরঃ- এঁরা, ওঁরা (এঁরা আজি এসেছেন)।
ঘ) অবস্থাবাচক বিশেষ্য— উত্তরঃ- শ্রদ্ধা, বিনয় (গুরুজনের প্রতি শ্রদ্ধা হারাতে নেই)।
৬) উদাহরণ সহ সংজ্ঞা দিন: ক্রিয়াবাচক বিশেষ্য , অনির্দেশক সর্বনাম , পূরণবাচক বিশেষণ , পদান্বয়ী অব্যয়।

উত্তরঃ
ক) ক্রিয়াবাচক বিশেষ্য— যে বিশেষ্য ক্রিয়ার নাম নির্দেশ করে, তাকে ক্রিয়াবাচক বিশেষ্য বলে। উদাহরণ— আমার দিনে ঘুমানোর অভ্যাস নেই।
খ) অনির্দেশক সর্বনাম— অনির্দিষ্ট বস্তু, ব্যক্তি বা ভাব বোঝাতে যে সর্বনাম ব্যবহার করা হয় তাকে বলা হয় অনির্দেশক সর্বনাম। উদাহরণ— যে কেউ আমার সঙ্গে আসতে পারো।
গ) পূরণবাচক বিশেষণ— যা দিয়ে সংখ্যা পূর্ণ হয় অর্থাৎ পূরণের বোধ যে শব্দ দিয়ে সূচিত হয়, তাঁকে বলা হয় পূরণবাচক বিশেষণ। উদাহরণ— তুমি দশম শ্রেণিতে পড়ো।
ঘ) পদান্বয়ী অব্যয়— যে অব্যয় বাক্যস্থ বিভিন্ন পদের মধ্যে অন্বয় বা সম্পর্ক স্থাপন করে তাঁকে পদান্বয়ী অব্যয় বলে। উদাহরণ— ‘মাটিয়া পাথর বিনা না আছে সম্বল।’
৭) শ্রেণিবাচক বিশেষ্য কাকে বলে ? দুটি উদাহরণ দিন। বিশেষ্য পদের পাঁচটি প্রকারভেদ লিখুন।
উত্তরঃ শ্রেণিবাচক বিশেষ্য— যে বিশেষ্য পদের দ্বারা ব্যক্তি, বস্তু, প্রাণী বা বিষয়ের সমগ্র শ্রেণি বা জাতিকে বোঝায় তাঁকে শ্রেণিবাচক বিশেষ্য বলে। উদাহরণ— মানুষ, গোরু-বাছুর।
বিশেষ্য পদের শ্রেণিবিভাগ—
ক) সংজ্ঞাবাচক, খ) শ্রণিবাচক, গ) বস্তুবাচক, ঘ) সমষ্টিবাচক, ঙ) গুণবাচক, চ) ভাববাচক ও ছ) ক্রিয়াবাচক বিশেষ্য ইত্যাদি।
৮) পূরণবাচক বিশেষণ কাকে বলে ? উদাহরণ দিয়ে এর সাথে সংখ্যা বিশেষণের পার্থক্য লিখুন।
উত্তরঃ পূরণবাচক বিশেষণঃ কোনো সংখ্যার ক্রমমাণ নির্দেশ করে যে বিশেষণ তাকে পূরণবাচক বিশেষণ বলে। যেমন- নবম শ্রেণি । তৃতীয় পাণ্ডব ।

পূরণবাচক ও সংখ্যাবাচক বিশেষণের পার্থক্য হল—
ক) সংখ্যা বিশেষণ কোনো সংখ্যার মোট কে বোঝায়। আর পূরণবাচক বিশেষোণ সংখ্যার ক্রমমাণ নির্দেশ করে । যেমন- দশটা দিন— এখানে সংখ্যাবাচক বিশেষণ সংখ্যাবাচক শব্দ বিশেষ্যের সংখ্যা নির্দেশ করে।

আর দশম দিন— এখানে পূরণবাচক বিশেষণ বিশেষ্যের ক্রম নির্দেশ করে।

খ) সংখ্যাবাচক শব্দের সঙ্গে টি, টা, খানি, প্রভৃতি যোগ করা যায়। উদা— সাতখানা ডিঙ্গি।

পূরণবাচক বিশেষণে ‘ম’/ ‘তম’ ,য়’ ইত্যাদি ব্যবহৃত হয়। যেমন- পঞ্চম , উনিশতম ইত্যাদি।

৯) পদ ও শব্দের দুটি পার্থক্য লিখুন। প্রাতিপাদিক কাকে বলে ? উদাহরণ দিন।
উত্তরঃ পদ ও শব্দের দুটি পার্থক্য হল—
ক) শব্দের বিভক্তিযুক্ত রূপ হল পদ।
আর শব্দ হল বাগ্‌ধ্বনি বা বাগ্‌ধ্বনির সমষ্টি (অর্থযুক্ত ধ্বনি সমষ্টি)।
খ) পদের উদাহরণ—রামকে বাজারে যেতে হল। এখানে ‘রামকে’ হল পদ ।
আর শব্দের উদাহরণ হল — রামকে – কে = রাম ।
প্রাতিপাদিক— বিভক্তিহীন নাম শব্দকে বলে প্রাতিপাদিক। যেমন— আমরা সবাই রাজা।
১০) প্রকৃতি কাকে বলে ? শ্রেণিবিভাগ করে দুটি করে উদাহরণ দাও।
উঃ প্রকৃতি— কোনো অর্থবহুল রূপের যে অংশকে বা যে শব্দকে আর কোনো ক্ষুদ্রতম অংশে ভাগ করা যায় না, তাকে প্রকৃতি বলে।
প্রকৃতি দুই প্রকার। যথা— ক) নাম প্রকৃতি বা প্রাতিপাদিক = অথবা, মতো।
খ) ধাতু বা ক্রিয়ামূল = পড়্‌, কর্‌।

পদের প্রকারভেদ

  • বিশেষ্য পদ
  • বিশেষণ পদ
  • নির্ধারক বিশেষণ
  • বিশেষণবাচক ‘কী’
  • বিশেষণ সম্বন্ধ
  • বিশেষণের অতিশায়ন (degree)
  • সর্বনাম পদ
  • সাপেক্ষ সর্বনাম
  • সর্বনামের পুরুষ [PERSON]
  • অব্যয় পদ
  • অব্যয়ের প্রকারভেদ
  • কিছু বিশেষ অব্যয়
  • অনুকার বা ধ্বন্যাত্মক অব্যয়
  • অনুসর্গ অব্যয়
  • অনন্বয়ী অব্যয়
  • সমুচ্চয়ী অব্যয়

পদ : বাক্যে ব্যবহৃত প্রতিটি শব্দকে পদ বলে।

বাক্যে যখন শব্দ ব্যবহৃত হয়, তখন শব্দগুলোর মধ্যে সম্পর্ক সৃষ্টির জন্য প্রতিটি শব্দের সঙ্গে কিছু অতিরিক্ত শব্দাংশ যুক্ত হয়। এগুলোকে বলে বিভক্তি। যে সব শব্দে আপাত দৃষ্টিতে মনে হয় কোন বিভক্তি যুক্ত হয়নি, সে সব শব্দেও একটি বিভক্তি যুক্ত হয়। একে প্রথমা বিভক্তি বা শূণ্য বিভক্তি বলে। ব্যাকরণ অনুযায়ী কোন শব্দ বাক্যে ব্যবহৃত হলে তাতে বিভক্তি যুক্ত হতে হয়। আর তাই কোন শব্দ বাক্যে বিভক্তি না নিয়ে ব্যবহৃত হলেও তার সঙ্গে একটি বিভক্তি যুক্ত হয়েছে বলে ধরে নিয়ে তাকে শূণ্য বিভক্তি বলা হয়।

অর্থাৎ, বিভক্তিযুক্ত শব্দকেই পদ বলে

পদের প্রকারভেদ : পদ প্রধানত ২ প্রকার- সব্যয় পদ ও অব্যয় পদ।

কমন পদ চাকরির পরীক্ষার জন্য

সব্যয় পদ আবার ৪ প্রকার- বিশেষ্য, বিশেষণ, সর্বনাম ও ক্রিয়া।

অর্থাৎ, পদ মোট ৫ প্রকার

১. বিশেষ্য

২. বিশেষণ

৩. সর্বনাম

৪. ক্রিয়া

৫. অব্যয়

[শব্দের শ্রেণীবিভাগ হলো- তৎসম, অর্ধ-তৎসম, তদ্ভব, দেশি ও বিদেশি। অন্যদিকে পদের শ্রেণীবিভাগ হলো- বিশেষ্য, বিশেষণ, সর্বনাম, ক্রিয়া ও অব্যয়। দুইটিই ৫ প্রকার।]

Most Important পদ চাকরির পরীক্ষা

যখন পর্যন্ত কোন শব্দ বাক্যে ব্যবহৃত হচ্ছে না, তখনো সেটি কোন পদ নয়। কোন শব্দ কোন পদ হবে তা নির্ভর করে বাক্যে কিভাবে ব্যবহৃত হলো তার উপর। তাই কোন শব্দকে আগেই বিশেষ্য বা বিশেষণ বলে দেয়া ঠিক নয়। যেমন-

তোমার হাতে কি?

ডাকাত আমার সব হাতিয়ে নিয়েছে।

জঙ্গীরা হাত বোমা মেরে পালিয়ে গেলো।

প্রথম বাক্যে হাত শব্দটি বিশেষ্য। আবার দ্বিতীয় বাক্যে এই হাত শব্দটিই একটু পরিবর্তিত হয়ে ক্রিয়া হয়ে গেছে। আবার তৃতীয় বাক্যেই আবার হাত শব্দটি ব্যবহৃত হয়েছে বিশেষণ হিসেবে।

[তবে প্রশ্নে শুধু শব্দ দিয়ে সেটি কোন পদ জিজ্ঞেস করলে সাধারণত শব্দটি যে পদ হিসেবে ব্যবহৃত হয় সেটি দিতে হবে। এক্ষেত্রে খেয়াল রাখতে হবে, প্রতিটি শব্দই সাধারণত একেক পদ হিসেবে ব্যবহৃত হওয়ার সময় একেক রূপ নেয়। যেমন, ‘হাত’ শব্দটি বিশেষণ হিসেবে কোন বিভক্তি নেয়নি, কিন্তু বিশেষ্য হিসেবে ব্যবহৃত হওয়ার সময় বিভক্তি নিয়েছে। আবার ক্রিয়া হিসেবে ব্যবহৃত হওয়ার সময় প্রত্যয় নিয়েছে। এভাবে প্রশ্নের শব্দটিকে বিভিন্ন বাক্যে ব্যবহার করে কোন পদ নির্ণয় করা যেতে পারে।]

বিশেষ্য পদ

চাকরির জন্য গুরুত্বপূর্ণ পদ

কোন কিছুর নামকেই বিশেষ্য বলে।

যে পদ কোন ব্যক্তি, বস্ত্ত, প্রাণী, সমষ্টি, স্থান, কাল, ভাব, কর্ম, গুণ ইত্যাদির নাম বোঝায়, তাকে বিশেষ্য পদ বলে।

বিশেষ্য পদ ৬ প্রকার-

১. নামবাচক বা সংজ্ঞাবাচক বিশেষ্য

(ক) ব্যাক্তির নাম : নজরুল, ওমর, আনিস, মাইকেল

(খ) ভৌগোলিক স্থানের নাম : ঢাকা, দিলিল, লন্ডন, মক্কা

(গ) ভৌগোলিক নাম (নদী, পর্বত, সমুদ্র ইত্যাদির নাম) : মেঘনা, হিমালয়, আরব সাগর

(ঘ) গ্রন্থের নাম : গীতাঞ্জলি, অগ্নিবীণা, দেশেবিদেশে, বিশ্বনবী

২. জাতিবাচক বিশেষ্য : (এক জাতীয় প্রাণী বা পদার্থের নাম) মানুষ, গরু, গাছ, পাখি, পর্বত, নদী, ইংরেজ

৩. বস্তুবাচক বা দ্রব্যবাচক বিশেষ্য : বই, খাতা, কলম, থালা, বাটি, মাটি, চাল, চিনি, লবন, পানি

৪. সমষ্টিবাচক বিশেষ্য (ব্যক্তি বা প্রাণীর সমষ্টি) : সভা, জনতা, পঞ্চায়েত, মাহফিল, ঝাঁক, বহর, দল

৫. ভাববাচক বিশেষ্য (ক্রিয়ার ভাব বা কাজের ভাব বা কাজের নাম বোঝায়) : গমন, শয়ন, দর্শন, ভোজন. দেখা, শোনা, যাওয়া, শোয়া

৬. গুণবাচক বিশেষ্য : মধুরতা, তারল্য, তিক্ততা, তারুণ্য, সৌরভ, স্বাস্থ্য, যৌবন, সুখ, দুঃখ

বিশেষণ পদ

যে পদ বাক্যের অন্য কোন পদের দোষ, গুণ, অবস্থা, সংখ্যা, পরিমাণ ইত্যাদি প্রকাশ করে, তাকে বিশেষণ পদ বলে।

অর্থাৎ, বিশেষণ পদ অন্য কোন পদ সম্পর্কে তথ্য বা ধারণা প্রকাশ করে, বা অন্য পদকে বিশেষায়িত করে।

[কিছু বিশেষণ পদ : (‘একটি ফটোগ্রাফ’ কবিতা থেকে)

সফেদ দেয়াল

শান্ত ফটোগ্রাফ

জিজ্ঞাসু অতিথি

ছোট ছেলে

নিস্পৃহ কণ্ঠস্বর

তিনটি বছর (সংখ্যাবাচক বিশেষণ)

রুক্ষ চর

প্রশ্নাকুল চোখ

ক্ষীয়মাণ শোক

সহজে হয়ে গেল বলা (ক্রিয়া বিশেষণ)]

[বিশেষণ শব্দ; ভাষা অনুশীলন; একটি ফটোগ্রাফ]

বিশেষণ পদ ২ প্রকার- নাম বিশেষণ ও ভাব বিশেষণ।

নাম বিশেষণ : যে বিশেষণ পদ কোন বিশেষ্য বা সর্বনাম পদকে বিশেষায়িত করে, অর্থাৎ অন্য কোন পদ সম্পর্কে কিছু বলে, তাকে নাম বিশেষণ বলে। যেমন-

  • বিশেষ্যের বিশেষণ : নীল আকাশ আর সবুজ মাঠের মাঝ দিয়ে একটি ছোট্ট পাখি উড়ে যাচ্ছে।
  • সর্বনামের বিশেষণ : সে রূপবান ও গুণবান।

ভাব বিশেষণ : যে বিশেষণ পদ বিশেষ্য বা সর্বনাম পদ ছাড়া অন্য কোন পদকে বিশেষায়িত করে, অর্থাৎ অন্য কোন পদ সম্পর্কে কিছু বলে, তাকে ভাব বিশেষণ বলে। ভাব বিশেষণ ৪ প্রকার-

  • ক্রিয়া বিশেষণ : ধীরে ধীরে বায়ু বয়। পরে এক বার এসো।
  • বিশেষণের বিশেষণ (কোন বিশেষণ যদি অন্য একটি বিশেষণকেও বিশেষায়িত করে, তাকে বিশেষণের বিশেষণ বলে) :
  • নাম বিশেষণের বিশেষণ : সামান্য একটু দুধ দাও। এ ব্যাপারে সে অতিশয় দুঃখিত।
  • ক্রিয়া বিশেষণের বিশেষণ : রকেটি অতি দ্রুত চলে।
  • অব্যয়ের বিশেষণ (অব্যয় পদ বা অব্যয় পদের অর্থকে বিশেষায়িত করে) : ধিক তারে, শত ধিক নির্লজ্জ যে জন।
  • বাক্যের বিশেষণ (কোন পদকে বিশেষায়িত না করে সম্পূর্ণ বাক্যটিকেই বিশেষায়িত করে) : দুর্ভাগ্যক্রমে দেশ আবার নানা সমস্যাজালে আবদ্ধ হয়ে পড়েছে। বাস্তবিকই আজ আমাদের কঠিন পরিশ্রমের প্রয়োজন।

[না-বাচক ক্রিয়া বিশেষণ :

নি-

  • এখনো দেখ নি তুমি?
  • ফুল কি ফোটে নি শাখে?
  • পুষ্পারতি লভে নি কি ঋতুর রাজন? রাখি নি সন্ধান
  • রহে নি, সে ভুলে নি তো

না-

  • বসন্তে বরিয়া তুমি লবে না কি তব বন্দনায়?
  • রচিয়া লহ না আজও গীতি।
  • ভুলিতে পারি না কোন মতে।

নাই-

  • শুনি নাই, রাখি নি সন্ধান
  • নাই হল, না হোক এবারে
  • করে নাই অর্ঘ্য বিরুন?]

[না-বাচক ক্রিয়া বিশেষণ; ভাষা অনুশীলন; তাহারেই পড়ে মনে]

নির্ধারক বিশেষণ : দ্বিরুক্ত শব্দ ব্যবহার করে যখন একের বেশি কোনো কিছুকে বোঝানো হয় তাকে নির্ধারক বিশেষণ বলে। যেমন-

রাশি রাশি ভারা ভারা ধান (সোনার তরী)

লাল লাল কৃষ্ণচূড়ায় গাছ ভরে আছে।

নববর্ষ উপলক্ষে ঘরে ঘরে সাড়া পড়ে গেছে।

এত ছোট ছোট উত্তর লিখলে হবে না।

[নির্ধারক বিশেষণ; ভাষা অনুশীলন; সোনার তরী]

[বিশেষণবাচক ‘কী’

কী-শব্দটির একটি লক্ষণীয় দিক হচ্ছে বিশেষণ হিসেবে এর ব্যবহার।

যেমন, ‘একটি ফটোগ্রাফ’ কবিতায় :

এই যে আসুন, তারপর কী খবর?

নিজেই চমকে, কী নিস্পৃহ, কেমন শীতল।

কী সহজে হয়ে গেল বলা। (ক্রিয়াবিশেষণের বিশেষণ/ বিশেষণের বিশেষণ)]

[বিশেষণবাচক ‘কী’; ভাষা অনুশীলন; একটি ফটোগ্রাফ]

[বিশেষণ সম্বন্ধ

পাথরের টুকরো

আমাদের গ্রামের পুকুর

গ্রীষ্মের পুকুর

শোকের নদী

আমার সন্তান]

[বিশেষণ সম্বন্ধ; ভাষা অনুশীলন; একটি ফটোগ্রাফ]

বিশেষণের অতিশায়ন (degree)

বিশেষণ পদ যখন দুই বা ততোধিক বিশেষ্য বা সর্বনাম পদের মধ্যে তুলনা বোঝায়, তখন তাকে বিশেষণের অতিশায়ন বলে। বাংলা ভাষায় খাঁটি বাংলা শব্দের বা তদ্ভব শব্দের একরকম অতিশায়ন প্রচলিত আছে, আবার তৎসম শব্দে সংস্কৃত ভাষার অতিশায়নের নিয়মও প্রচলিত আছে।

ক) বাংলা শব্দের বা তদ্ভব শব্দের অতিশায়ন

১. দুয়ের মধ্যে অতিশায়ন বোঝাতে দুইটি বিশেষ্য বা সর্বনামের মাঝে চাইতে, হইতে, হতে, থেকে, চেয়ে, অপেক্ষা, ইত্যাদি ব্যবহৃত হয়। প্রায়ই প্রথম বিশেষ্যটির সঙ্গে ষষ্ঠী বিভক্তি (র, এর) যুক্ত হয়। যেমন-

গরুর থেকে ঘোড়ার দাম বেশি।

বাঘের চেয়ে সিংহ বলবান।

ব্যতিক্রম : কখনো কখনো প্রথম বিশেষ্যের শেষের ষষ্ঠী বিভক্তিই হতে, থেকে, চেয়ে-র কাজ করে। যেমন-

এ মাটি সোনার বাড়া। (সোনার চেয়েও বাড়া)

২. বহুর মধ্যে অতিশায়নে বিশেষণের পূর্বে সবচাইতে, সর্বাপেক্ষা, সবথেকে, সবচেয়ে,সর্বাধিক, ইত্যাদি শব্দ ব্যবহৃত হয়। যেমন-

তোমাদের মধ্যে করিম সবচেয়ে বুদ্ধিমান।

পশুর মধ্যে সিংহ সর্বাপেক্ষা বলবান।

৩. দুয়ের মধ্যে অতিশায়নে জোর দিতে গেলে মূল বিশেষণের আগে অনেক, অধিক, বেশি, অল্প, কম অধিকতর, ইত্যাদি শব্দ যোগ করতে হয়। যেমন-

পদ্মফুল গোলাপের চাইতে বেশি সুন্দর।

ঘিয়ের চেয়ে দুধ বেশি উপকারী।

কমলার চাইতে পাতিলেবু অল্প ছোট।

খ) তৎসম শব্দের অতিশায়ন

১. দুয়ের মধ্যে তুলনা বোঝালে বিশেষণের শেষে ‘তর’ যোগ হয়

বহুর মধ্যে তুলনা বোঝালে বিশেষণের শেষে ‘তম’ যোগ হয়। যেমন-

গুরু- গুরুতর- গুরুতম

দীর্ঘ- দীর্ঘতর- দীর্ঘতম

[তবে কোনো বিশেষণের শেষে ‘তর’ যোগ করলে সেটা যদি আবার শ্রচতিকটু হয়ে যায়, শুনতে খারাপ লাগে, তখন বিশেষণটির শেষে ‘তর’ যোগ না করে বিশেষণের আগে ‘অধিকতর’ শব্দটি যোগ করা হয়। যেমন- ‘অধিকতর সুশ্রী’।]

২. আবার, দুয়ের মধ্যে তুলনা বোঝালে বিশেষণের শেষে ‘ঈয়স’ প্রত্যয় যুক্ত হয়

বহুর মধ্যে তুলনা বোঝালে বিশেষণের শেষে ‘ইষ্ঠ’ প্রত্যয় যুক্ত হয়। যেমন-

লঘু- লঘীয়ান- লঘিষ্ঠ

অল্প- কনীয়ান- কনিষ্ঠ

বৃদ্ধ- জ্যায়ান- জ্যেষ্ঠ

শ্রেয়- শ্রেয়ান- শ্রেষ্ঠ

[দুয়ের তুলনায় এই নিয়মের ব্যবহার বাংলায় হয় না। অর্থাৎ, বাংলায় লঘীয়ান, কনীয়ান, জ্যায়ান, শ্রেয়ান, ইত্যাদি শব্দগুলোর প্রচলন নেই। তবে ‘ঈয়স’ প্রত্যয়যুক্ত কতোগুলো শব্দের স্ত্রীলিঙ্গ বাংলায় প্রচলিত রয়েছে। যেমন- ভূয়সী প্রশংসা।]

সর্বনাম পদ

বিশেষ্য পদের পরিবর্তে যে পদ ব্যবহৃত হয়, তাকেই সর্বনাম পদ বলে।

অনুচ্ছেদে বা প্যারাগ্রাফে একই বিশেষ্য পদ বারবার আসতে পারে। সেক্ষেত্রে একই পদ বারবার ব্যবহার করলে তা শুনতে খারাপ লাগাটাই স্বাভাবিক। এই পুনরাবৃত্তি রোধ করার জন্য বিশেষ্য পদের পরিবর্তে অনুচ্ছেদে যে বিকল্প শব্দ ব্যবহার করে সেই বিশেষ্য পদকেই বোঝানো হয়, তাকে সর্বনাম পদ বলে।

[সর্বনাম পদগুলো সব বিশেষ্য বা নামের পরিবর্তে বসতে পারে বলে এদেরকে ‘সর্বনাম’ বলে।]

‘বাংলাদেশ অত্যন্ত সুন্দর একটি দেশ। এই দেশটি যেমন সুন্দর, এই দেশের মানুষগুলোও তেমনি ভালো। তারা এতোটাই ভদ্র ও মার্জিত যে, তাদের কাছে ভিখারি ভিক্ষা চাইতে আসলে তারা তাদের বিতাড়িত করে না। বরং মার্জিতভাবে বলে, মাফ করেন।’

উপরের অনুচ্ছেদে মূলত ৩টি বিশেষ্য সম্পর্কে বলা হয়েছে- ‘বাংলাদেশ’, ‘বাংলাদেশের মানুষ’ ও ‘ভিখারি’। এবং প্রথমবার উল্লেখের পর দ্বিতীয়বার কোন বিশেষ্যই আর উল্লেখ করা হয়নি। পরের বার থেকে ‘বাংলাদেশ’-র বদলে ‘এই দেশ’; ‘বাংলাদেশের (এই দেশের) মানুষ’-র বদলে ‘তারা’ ও ‘তাদের’ এবং ‘ভিখারি’-র বদলে ‘তাদের’ শব্দগুলো ব্যবহৃত হয়েছে। বিশেষ্য পদের বদলে ব্যবহৃত এই শব্দগুলোই হলো সর্বনাম পদ।

সর্বনাম পদগুলোকে মূলত ১০ ভাগে ভাগ করা যায়। যেমন-

১. ব্যক্তিবাচক বা পুরুষবাচক     : আমি, আমরা, তুমি, তোমরা, সে, তারা, তাহারা, তিনি, তাঁরা, এ, এরা, ও, ওরা

২. আত্মবাচক             : স্বয়ং, নিজ, খোদ, আপনি

৩. সামীপ্যবাচক          : এ, এই, এরা, ইহারা, ইনি

৪. দূরত্ববাচক             : ঐ, ঐসব, সব

৫. সাকল্যবাচক           : সব, সকল, সমুদয়, তাবৎ

৬. প্রশ্নবাচক                      : কে, কি, কী, কোন, কাহার, কার, কিসে

৭. অনির্দিষ্টতাজ্ঞাপক             : কোন, কেহ, কেউ, কিছু

৮. ব্যতিহারিক            : আপনা আপনি, নিজে নিজে, আপসে, পরস্পর

৯. সংযোগজ্ঞাপক                 : যে, যিনি, যাঁরা, যাহারা

১০. অন্যাদিবাচক                 : অন্য, অপর, পর

সাপেক্ষ সর্বনাম : কখনও কখনও পর্সপর সম্পর্কযুক্ত একাধিক সর্বনাম পদ একই সঙ্গে ব্যবহৃত হয়ে দুটি বাক্যের সংযোগ সাধন করে থাকে। এদেরকে বলা হয় সাপেক্ষ সর্বনাম। যেমন-

যত চাও তত লও (সোনার তরী)

যত চেষ্টা করবে ততই সাফল্যের সম্ভাবনা।

যত বড় মুখ নয় তত বড় কথা।

যত গর্জে তত বর্ষে না।

যেই কথা সেই কাজ।

যেমন কর্ম তেমন ফল।

যেমন বুনো ওল তেমনি বাঘা তেঁতুল।

[সাপেক্ষ সর্বনাম; ভাষা অনুশীলন; সোনার তরী]

সর্বনামের পুরুষ [PERSON]

[বিশেষ্য, সর্বনাম ও ক্রিয়াপদের পুরুষভেদে ভিন্ন রূপ দেখা যায়। বিশেষণ ও অব্যয় পদের কোন পুরুষভেদ নেই।]

পুরুষ ৩ প্রকার। সুতরাং, সর্বনাম পদের পুরুষও ৩টি-

উত্তম পুরুষ : বাক্যের বক্তাই উত্তম পুরুষ। অর্থাৎ, যেই ব্যক্তি বাক্যটি বলেছে, সেই উত্তম পুরুষ। উত্তম পুরুষের সর্বনামের রূপ হলো- আমি, আমরা, আমাকে, আমাদের, ইত্যাদি।

মধ্যম পুরুষ : বাক্যের উদ্দিষ্ট শ্রোতাই মধ্যম পুরুষ। অর্থাৎ, উত্তম পুরুষ যাকে উদ্দেশ্য করে বাক্যটি বলে, এবং পাশাপাশি বাক্যেও উল্লেখ করে, তাকে মধ্যম পুরুষ বলে। অর্থাৎ, প্রত্যক্ষভাবে উদ্দিষ্ট শ্রোতাই মধ্যম পুরুষ। মধ্যম পুরুষের সর্বনামের রূপ হলো- তুমি, তোমরা, তোমাকে, তোমাদের, তোমাদিগকে, আপনি, আপনার, আপনাদের, ইত্যাদি।

নামপুরুষ : বাক্যে বক্তা অনুপস্থিত যেসব ব্যক্তি, বস্ত্ত বা প্রাণীর উল্লেখ করেন, তাদের নামপুরুষ বলে। অর্থাৎ, বক্তার সামনে নেই এমন যা কিছুর কথা বক্তা বাক্যে বলেন, সবগুলোই নামপুরুষ। নাম পুরুষের সর্বনামের রূপ হলো- সে, তারা, তাহারা, তাদের, তাহাকে, তিনি, তাঁকে, তাঁরা, তাঁদের, ইত্যাদি।]

[সমস্ত বিশেষ্য পদই নামপুরুষ।]

অব্যয় পদ

অব্যয় শব্দকে ভাঙলে পাওয়া যায় ‘ন ব্যয়’, অর্থাৎ যার কোন ব্যয় নেই।

যে পদের কোন ব্যয় বা পরিবর্তন হয় না, তাকে অব্যয় পদ বলে। অর্থাৎ, যে পদ সর্বদা অপরিবর্তনীয় থাকে, যার সঙ্গে কোন বিভক্তি যুক্ত হয় না এবং পুরুষ বা বচন বা লিঙ্গ ভেদে যে পদের রূপের বা চেহারারও কোন পরিবর্তন হয় না, তাকে অব্যয় পদ বলে।

অব্যয় পদ বাক্যে কোন পরিবর্তন ছাড়াই ব্যবহৃত হয় এবং বাক্যে ব্যবহৃত হয়ে কখনো বাক্যকে আরো শ্রচতিমধুর করে, কখনো একাধিক পদ বা বাক্যাংশ বা বাক্যের মধ্যে সম্পর্ক সৃষ্টি করে।

বাংলা ভাষায় ৩ ধরনের অব্যয় শব্দ ব্যবহৃত হয়-

১. বাংলা অব্যয় শব্দ : আর, আবার, ও, হাঁ, না

২. তৎসম অব্যয় শব্দ : যদি, যথা, সদা, সহসা, হঠাৎ, অর্থাৎ, দৈবাৎ, বরং, পুনশ্চ, আপাতত, বস্ত্তত।

‘এবং’ ও ‘সুতরাং’ এই দুটি অব্যয় শব্দও তৎসম, অর্থাৎ সংস্কৃত ভাষা থেকে এসেছে। তবে এ দুটি অব্যয় শব্দের অর্থ বাংলা ভাষায় এসে পরিবর্তিত হয়ে গেছে। সংস্কৃতে ‘এবং = এমন’ আর ‘সুতরাং = অত্যন্ত, অবশ্য’

বাংলায় ‘এবং = ও’     আর ‘সুতরাং = অতএব’

৩. বিদেশি অব্যয় শব্দ : আলবত, বহুত, খুব, শাবাশ, খাসা, মাইরি, মারহাবা

অব্যয়ের প্রকারভেদ

সাজেশন সম্পর্কে প্রশ্ন ও মতামত জানাতে পারেন আমাদের কে Google News <>YouTube : Like Page ইমেল : assignment@banglanewsexpress.com

অব্যয় পদ মূলত ৪ প্রকার-

১. সমুচ্চয়ী অব্যয় : যে অব্যয় পদ একাধিক পদের বা বাক্যাংশের বা বাক্যের মধ্যে সম্পর্ক স্থাপন করে, তাকে সমুচ্চয়ী অব্যয় বলে। এই সম্পর্ক সংযোজন, বিয়োজন বা সংকোচন যে কোনটিই হতে পারে। একে সম্বন্ধবাচক অব্যয়ও বলে।

সংযোজক অব্যয় : উচ্চপদ ও সামাজিক মর্যাদা সকলেই চায়। (উচ্চপদ, সামাজিক মর্যাদা- দুটোই চায়)

তিনি সৎ, তাই সকলেই তাঁকে শ্রদ্ধা করে। (তাই অব্যয়টি ‘তিনি সৎ’ ও ‘সকলেই তাকে শ্রদ্ধা করে’ বাক্য দুটির মধ্যে সংযোগ ঘটিয়েছে।

এরকম- ও, আর, তাই, অধিকন্তু, সুতরাং, ইত্যাদি।

বিয়োজক অব্যয় : আবুল কিংবা আব্দুল এই কাজ করেছে। (আবুল, আব্দুল- এদের একজন করেছে, আরেকজন

করেনি। সম্পর্কটি বিয়োগাত্মক, একজন করলে অন্যজন করেনি।)

মন্ত্রের সাধন কিংবা শরীর পাতন। (‘মন্ত্রের সাধন’ আর ‘শরীর পাতন’ বাক্যাংশ দুটির একটি

সত্য হবে, অন্যটি মিথ্যা হবে।)

এরকম- কিংবা, বা, অথবা, নতুবা, না হয়, নয়তো, ইত্যাদি।

সংকোচক অব্যয় : তিনি শিক্ষিত, কিন্তু অসৎ। (এখানে ‘শিক্ষিত’ ও ‘অসৎ’ দুটোই সত্য, কিন্তু শব্দগুলোর মধ্যে

সংযোগ ঘটেনি। কারণ, বৈশিষ্ট্য দুটো একরকম নয়, বরং বিপরীতধর্মী। ফলে তিনি অসৎ

বলে তিনি শিক্ষিত বাক্যাংশটির ভাবের সংকোচ ঘটেছে।)

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

এরকম- কিন্তু, বরং, তথাপি, যদ্যপি, ইত্যাদি।

২. অনন্বয়ী অব্যয় : যে সব অব্যয় পদ নানা ভাব বা অনুভূতি প্রকাশ করে, তাদেরকে অনন্বয়ী অব্যয় বলে। এগুলো বাক্যের অন্য কোন পদের সঙ্গে কোন সম্পর্ক না রেখে স্বাধীনভাবে বাক্যে ব্যবহৃত হয়। যেমন-

উচ্ছ্বাস প্রকাশে                : মরি মরি! কী সুন্দর সকাল!

স্বীকৃতি বা অস্বীকৃতি প্রকাশে  : হ্যা, আমি যাব। না, তুমি যাবে না।

সম্মতি প্রকাশে                : আমি আজ নিশ্চয়ই যাব।

অনুমোদন প্রকাশে            : এতো করে যখন বললে, বেশ তো আমি আসবো।

সমর্থন প্রকাশে                 : আপনি তো ঠিকই বলছেন।

যন্ত্রণা প্রকাশে                  : উঃ! বড্ড লেগেছে।

ঘৃণা বা বিরক্তি প্রকাশে      : ছি ছি, তুমি এতো খারাপ!

সম্বোধন প্রকাশে               : ওগো, তোরা আজ যাসনে ঘরের বাহিরে।

সম্ভাবনা প্রকাশে               : সংশয়ে সংকল্প সদা টলে/ পাছে লোকে কিছু বলে।

বাক্যালংকার হিসেবে         : কত না হারানো স্মৃতি জাগে আজ মনে।

                                   : হায়রে ভাগ্য, হায়রে লজ্জা, কোথায় সভা, কোথায় সজ্জা।

৩. অনুসর্গ অব্যয় : যেসব অব্যয় শব্দ বিশেষ্য ও সর্বনাম পদের বিভক্তির কাজ করে, এবং কারকবাচকতা প্রকাশ করে, তাকে অনুসর্গ অব্যয় বলে। অর্থাৎ, যেই অব্যয় অনুসর্গের মতো ব্যবহৃত হয়, তাকে অনুসর্গ অব্যয় বলে। যেমন-

ওকে দিয়ে এ কাজ হবে না। (এখানে ‘দিয়ে’ তৃতীয়া বিভক্তির মতো কাজ করেছে, এবং ‘ওকে’ যে কর্ম কারক, তা নির্দেশ করেছে। এই ‘দিয়ে’ হলো অনুসর্গ অব্যয়।)

[কারক ও বিভক্তি]    [অনুসর্গ]

৪. অনুকার বা ধ্বন্যাত্মক অব্যয় : বিভিন্ন শব্দ বা প্রাণীর ডাককে অনুকরণ করে যেসব অব্যয় পদ তৈরি করা হয়েছে, তাদেরকে অনুকার বা ধ্বন্যাত্মক অব্যয় বলে।

মানুষ আদিকাল থেকেই অনুকরণ প্রিয়। তারা বিভিন্ন ধরনের শব্দ, প্রাকৃতিক শব্দ, পশুপাখির ডাক, যেগুলো তারা উচ্চারণ করতে পারে না, সেগুলোও উচ্চারণ করার চেষ্টা করেছে। এবং তা করতে গিয়ে সে সকল শব্দের কাছাকাছি কিছু শব্দ তৈরি করেছে। বাংলা ভাষার এ সকল শব্দকে বলা হয় অনুকার বা ধ্বন্যাত্মক অব্যয়। যেমন-

বজ্রের ধ্বনি- কড় কড়

তুমুল বৃষ্টির শব্দ- ঝম ঝম

স্রোতের ধ্বনি- কল কল

বাতাসের শব্দ- শন শন

নূপুরের আওয়াজ- রুম ঝুম

সিংহের গর্জন- গর গর

ঘোড়ার ডাক- চিঁহি চিঁহি

কোকিলের ডাক- কুহু কুহু

চুড়ির শব্দ-টুং টাং

শুধু বিভিন্ন শব্দই না, মানুষ তাদের বিভিন্ন অনুভূতিকেও শব্দের আকারে ভাষায় প্রকাশ করার চেষ্টা করেছে। ফলে বিভিন্ন ধরনের অনুভূতি প্রকাশের জন্য তারা বিভিন্ন শব্দ তৈরি করেছে। এগুলোও অনুকার অব্যয়। যেমন-

ঝাঁ ঝাঁ (প্রখরতা)

[ বি:দ্র:এই সাজেশন যে কোন সময় পরিবতনশীল ১০০% কমন পেতে পরিক্ষার আগের রাতে সাইডে চেক করুন এই লিংক সব সময় আপডেট করা হয় ]

খাঁ খাঁ (শূণ্যতা)

কচ কচ

কট কট

টল মল

ঝল মল

চক চক

ছম ছম

টন টন

খট খট

কিছু বিশেষ অব্যয়

১. অব্যয় বিশেষণ : কোন অব্যয় বাক্যে ব্যবহৃত হয়ে বিশেষণের কাজ করলে, তাকে অব্যয় বিশেষণ বলে।

নাম বিশেষণ : অতি ভক্তি চোরের লক্ষণ।

ক্রিয়া বিশেষণ : আবার যেতে হবে।

বিশেষণীয় বিশেষণ : রকেট অতি দ্রচত চলে।

২. নিত্য সম্বন্ধীয় বিশেষণ : কিছু কিছু যুগ্ম অব্যয় আছে, যারা বাক্যে একসাথে ব্যবহৃত হয়, এবং তাদের একটির অর্থ আরেকটির উপর নির্ভর করে। এদের নিত্য সম্বন্ধীয় বিশেষণ বলে। যেমন- যথা-তথা, যত-তত, যখন-তখন, যেমন-তেমন, যে রূপ-সে রূপ, ইত্যাদি। উদাহরণ-

যত গর্জে তত বর্ষে না।

যেমন কর্ম তেমন ফল।

৩. ত প্রত্যয়ান্ত বিশেষণ : ত প্রত্যয়ান্ত কিছু তৎসম অব্যয় বাংলায় ব্যবহৃত হয়। সংস্কৃততে প্রত্যয়টি ছিল ‘তস্’, বাংলায় তা হয়েছে ‘ত’। যেমন- ধর্মত, দুর্ভাগ্যবশত, অন্তত, জ্ঞানত, ইত্যাদি।

2016 – 2024 সালের সকল নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্ন ও সমাধান পেতে ক্লিক করুন

‘পদ’ বাংলা ব্যাকরণে বর্ণিত একটি সংজ্ঞাবাচক শব্দ। বাংলা ব্যাকরণ মতে বাক্যে ব্যবহৃত প্রতিটি শব্দকে পদ বলে। সহজ কথায় বিভক্তিযুক্ত শব্দকেই পদ বলে। বাক্যের অন্তর্গত প্রতিটি শব্দই বিভক্তিযুক্ত। বাংলা ভাষায় ব্যবহৃত শব্দগুলোকে পদ হিসেবে নির্ধারণ করার সময় অধিকাংশ ক্ষেত্রে বিশুদ্ধ শব্দ হিসেবে পাওয়া যায় না। কারণ অধিকাংশ ক্ষেত্রে এর সঙ্গে অতিরিক্ত কিছু ধ্বনি পাওয়া যায়। ওই সকল শব্দ লিখিত আকারে প্রকাশের সময় বাড়তি বর্ণ যুক্ত করতে হয়। যেমন : ‘দেশ’ একটি বিশুদ্ধ শব্দ। কিন্তু ‘ দেশের মানুষ’ যখন লেখা হয়, তখন ‘ দেশ’ শব্দের সঙ্গে অতিরিক্ত ‘র’ যুক্ত হয়। ফলে ‘দেশ’ শব্দটি বিশুদ্ধ রূপ হারিয়ে ফেলে। বাংলা ভাষায় ‘ দেশের’ শব্দটি ভুল বলে বিবেচনা করা হয় না। মূল শব্দের সঙ্গে যুক্ত অতিরিক্ত বর্ণ বা বর্ণগুচ্ছকে বিভক্তি বলা হয়। পদ নির্ণয় করার ক্ষেত্রে বিভক্তিকে বাদ দিয়ে মূল শব্দ অনুসন্ধান করতে হয়। যেমন ‘ দেশের’ শব্দটির পদ নির্ণয় করার জন্য প্রথমে এর অন্তঃস্থ-র বাদ দিয়ে ‘দেশ’-কে বিশুদ্ধ শব্দ হিসাবে বিবেচনায় আনতে হবে। এক্ষেত্রে ‘দেশ’ শব্দটি পদ হবে আর অন্তঃস্থ-র হবে ‘ দেশ’ পদের বিভক্তি । যেসব শব্দের সাথে কোনো বাড়তি বর্ণ পাওয়া যায় না, তা হবে বিভক্তিহীন। ব্যাকরণে বিভক্তিহীন শব্দকেও বিভক্তিযুক্ত বলা হয়। একে বলা হয় শূন্য বিভক্তি।

আরো ও সাজেশন:-

যে শব্দটিতে আপাত দৃষ্টিতে কোনো বিভক্তি চিহ্ন দৃশ্যমান হয় না সেটিতে শূন্য বিভক্তি আছে। অর্থাৎ কাজের অন্তর্গত প্রতিটি শব্দই কোনো না কোনো বিভক্তিযুক্ত। যেমন- বর্তমান, বাস্তব, তাড়না, মানুষ, অস্থির; মানুষ, প্রাণ, রূপ, চিন্তা, স্তুপ, চাপা, পড়, আছ। এগুলো সবই শব্দ। এদের প্রত্যেকের স্বতন্ত্র অর্থ রয়েছে। এ শব্দগুলো যখন বাক্যে ব্যবহৃত হয় তখন এদের রূপ পরিবর্তিত হয় এবং সম্প্রসারিত অর্থও প্রকাশ করে। অর্থাৎ এ শব্দগুলো একটি সম্প্রসারিত বা পরিপূর্ণ ভাব প্রকাশের জন্যে যখন বাক্যে ব্যবহৃত হয় তখন অপর কোনো বর্ণনা বর্ণ সমষ্টির সাহায্যে একটি শব্দের সঙ্গে অপর শব্দের সম্পর্ক স্থাপন করে। একটি শব্দের সঙ্গে অপর শব্দের সম্পর্ক স্থাপনের জন্যে যে বর্ণ বা বর্ণ সমষ্টি যুক্ত হয় সেগুলোকে বরে বিভক্তি। এ বিভক্তিগুলোই বাক্যের অন্তরর্গত শব্দকে পদে রূপান্তরিত বা পরিবর্তিত করে। অতএব, বিভক্তিযুক্ত শব্দই পদ।

আমরা উপরের শব্দগুলোকে বাক্যে ব্যবহার করলে দেখব বর্তমানের বাস্তবের তাড়নায় মানুষ অস্থির মানুষের প্রাণের রূপ চিন্তার স্তুপে চাপা পড়ে আছে।
বর্তমান এর বাস্তব + এর তাড়না + য় মানুষ + ০ অস্থির + ০; মানুষ + এর প্রাণ + এর রূপ + ০ চিন্তা + র ¯তূপ + এ চাপা + ০ পড় + এ মাছ + এ
উপরের বাক্যে-এর, -য় ০ (শূন্য)-এর -এ, এগুলো বিভক্তি। যে শব্দে বিভক্তির চিহ্ন স্পষ্ট নয় সে শব্দগুলো ০ (শূন্য) বিভক্তিযুক্ত পদ হিসেবেই বিবেচিত হয়। সুতরাং নিঃসন্দেহে সংজ্ঞায়িত করা যায় যে, বাক্যে ব্যবহৃত প্রতিটি শব্দই এক একটি পদ বা বিভক্তিযুক্ত শব্দই পদ।

১.১ ॥ পদের প্রকারভেদ বা শ্রেণিবিভাগ বা পদ প্রকরণ :
পদ প প্রধান্তত পাঁচ প্রকার : ১. বিশেষ্য ২. বিশেষণ ৩. সর্বনাম ৪. অব্যয় ও ৫. ক্রিয়া।

১.২॥ বিশেষ্য (Noun)
যে পদ দ্বারা কোনো ব্যক্তি বস্তু, জাতি, বিষয়, স্থান, ভাব, গুণ ও কার্যের নাম বোঝায় তাকে বিশেষ্যপদ বলে। যেমন : কামাল, মানুষ, গোরু , ঢাকা, বাঙালি, গণিত, সততা, পাঠ প্রভৃতি।
প্রকৃতি, ধরণ ও বৈশিষ্ট্য বিবেচনায় বিশেষ্য পদকে প্রধানত ছয়ভাগে ভাগ করা হয়েছে। যেমন :
১. ব্যক্তিবাচক : যে পদ দ্বারা কোনো নির্দিষ্ট ব্যক্তি, বস্তু, বা স্থানের নাম বোঝায় তাকে ব্যক্তিবাচক বিশেষ্য বলে। যেমন- মাহবুবা, সিরাজুমমুনীরা, নাফিমা, তৃণা, জাকিরুল, সেতার, গীটার, ঢাকা, কুমিল্লা, নবীনগর ইত্যাদি।
২. জাতিবাচক : যে বিশেষ্যপদ দ্বারা কোনো জাতি ভুক্ত সকল প্রাণী, সম্প্রদায় বা পদার্থ বোঝায় তাকে জাতিবাচক বিশেষ্য বলে। যেমন- বাঙালি, ফরাসি, ইংরেজ, জার্মান, গরু, পাখি, হিন্দু, মুসলমান, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান (খ্রিস্টান), গাছ, আকাশ, পাহাড়, নদী, মাছ ইত্যাদি।
৩. বস্তুবাচক বিশেষ্য : যে বিশেষ্যপদ দ্বারা কোনো বস্তুর নাম বোঝায় তাকে বস্তুবাচক বিশেষ্য বলে। যেমন- দুধ, পানি, খাতা, কলম, বস্ত্র, স্বর্ণ, রৌপ্য, লৌহ ইত্যাদি।
৪. সমষ্টিবাচক বিশেষ্র : যে বিশেষ্য পদ দ্বারা কোনো দল, গোষ্ঠী, বা সমষ্টির নাম বোঝায় তাকে সমষ্টিবাচক বিশেষ্য বলে। যেমন- সমিতি, জনতা, বাহিনী, সভা, দল ইত্যাদি।
৫. গুণবাচক বিশেষ্য : যে বিশেষ্যপদ দ্বারা কোনো বস্তুর দোষ গুণ বা অবস্থার নাম বোঝায় তাকে গুণবাচক বিশেষ্য বলে। যেমন- তারুণ্য, সততা, মূর্খতা, মমতা, সৌন্দর্য ইত্যাদি।
৬. ক্রিয়াবাচক বিশেষ্য : যে পদ দ্বারা ক্রিয়ার ভাব বা কোনো কার্যের নাম বোঝায় তাকে ক্রিয়াবাচক বিশেষ্য বা ভাববাচক বিশেষ্য বলে। যেমন- ঘুমানো, বর্জন, গ্রহণ, পাঠ, গসন ইত্যাদি।

১.৩ ॥ বিশেষণ

 যে পদ দ্বারা বিশেষ্য বা সর্বনাম পদের দোষ, গুণ, বৈশিষ্ট্য, অবস্থা, সংখ্যা, প্রকার, পরিমাণ বা ধরন বোঝায় তাকে বিশেষণ পদ বলে। লাল, লাখ, ভালো, তাড়াতাড়ি ইত্যাদি।
বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী বিশেষণ পদকে ৪টি প্রধান ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. বিশেষ্যের বিশেষণ ২. বিশেষণের বিশেষণ ৩. ক্রিয়া বিশেষণ ৪. ক্রিয়া বিশেষণের বিশেষণ।
১. বিশেষ্যের বিশেষণ : যে বিশেষণ পদ দ্বারা বিশ্বেষ্যের গুণ, অবস্থা, বা সংখ্যা বা অবস্থা বোঝায় তাকে বিশেষ্যের বিশেষণ বলে। যেমন- সুন্দরী বালিকা, পাকা আম, কোটি টাকা, রূপালি ইলিশ ইত্যাদি।
বিশেষ্যের বিশেষণকে আরও কয়েক ভাগে ভাগ করা যায়। যথা-
ক. গুণবাচক : সৎলোক উপকারি বন্ধু, অসৎ ব্যবসায়ী ইত্যাদি।
খ. অবস্থাবাচক : মুমূর্ষু ব্যক্তি, অসুস্থ স্ত্রী, বিপদগ্রস্ত নারী ইত্যাদি।
গ. সংখ্যাবাচক : এক লাখ টাকা, লাখ জনতা ইত্যাদি। (লক্ষ অর্থ লাখ এবং লক্ষ অর্থ খেয়াল করা)
ঘ. বৈশিষ্ট্য বাচক : লাল শাড়ি,, সবুজ পাহাড়, হরিৎ বৃক্ষ ইত্যাদি।
ঙ. সর্বনাম বাচক : সেই লোকটি, যার কথা, ঐ এলাকা ইত্যাদি।
চ. অংশবাচক : দুই তৃতীয়াং জল, সিকি ভাগ ইত্যাদি।
২. বিশেষণের বিশেষণ : যে বিশেষণ পদ দ্বারা বিশেষণের অবস্থা বোঝায় তাকে বিশেষণের বিশেষণ বলে। যেমন- ছেলেটি খুব ভালো ছাত্র। মেয়েটি খুবই সুন্দরী ইত্যাদি।
৩. ক্রিয়া বিশেষণ : যে বিশেষণ পদ দ্বারা ক্রিয়ার প্রকৃতি বা অবস্থা বোঝায় তাকে ক্রিয়া বিশেষণ বলে। যেমন- এমন ভালো মানুষ কখনও দেখিনি এমন সুস্বাদু ফল কখনো খাইনি ইত্যাদি।
৪. ক্রিয়া বিশেষণের বিশেষণ : যে বিশেষণ পদ দ্বারা ক্রিয়া বিশেষণের বিশেষ অবস্থা প্রকাশ করে তাকে ক্রিয়া বিশেষণের বিশেষণ বলে। যেমন- আপনাকে খুব তাড়াতাড়ি আসতে হবে। ছেলেটি অত্যন্ত দ্রুততার সঙ্গে চলে গেল।

১.৪॥ সর্বনাম
যে পদ বিশেষ্যের পরিবর্তে ব্যবহার করা হয় তাকে সর্বনাম পদ বলে। যেমন- তৃণা ভালো ছাত্রী। সে নিয়মিত ক্লাশে উপস্থিত থাকে। এখানে ‘সে’ হচ্ছে বিশেষ্য। আমি, তুমি, সে, তিনি, তাহা, এ, এই, ইনি, উনি, ইহা, উহা, ও, ঐ কে, কেহ, কোন, প্রভৃতি বাংলা ভাষার সর্বনাম।
বিভক্তি ও বচনভেদে সর্বনামগুলো নিম্নরূপে পরিবর্তিত হয়-
একবচন : আমি, তুমি, যে, তিনি, উহা, উনি, ইনি, যিনি, কে ইত্যাদি একবচন।
বহুবচন : আমরা, তোমরা, আপনারা, তাঁহারা, ইহারা, যাহারা, কাহারা, এগুলো ইত্যাদি বহুবচন।
বিভক্তি বেদে পরিবর্তন : আমাকে, তোমাকে, তাহাকে, যাহাকে, উহাকে, আমার, তাহার, যাহার, সে, উহার ইত্যাদি।
সর্বনামের শ্রেণি বিভাগ :
১. ব্যক্তিবাচক বা পুরুষবাচক : আমি, তুমি, যে, তিনি, আমরা, তোমরা তারা, এরা, ওরা ইত্যাদি।
২. আত্মবাচক : আপনি, নিজ, নিজ, নিজে, যোদ, স্বয়ং ইত্যাদি।
৩. ব্যতিহারিক : আপনা আপনি, নিজে নিজে, আপসে, পরস্পর ইত্যাদি।
৪. সাকল্যবাচক : সকল, সমুদয়, সমূহ, অর্থাৎ ইত্যাদি।
৫. সামীণ্যবাচক : এ, এই, এরা, ইনি, ইনারা উনারা, এরা, ইহারা ইত্যাদি।
৬. অনির্দিষ্ট বাচক : কোনো, কিছু, কেহ, কেউ ইত্যাদি।
৭. দূরত্ববাচক : ঐসব, ওসব, উহা, উনি, ঐ ইত্যাদি।
৮. সংযোগবাচক : যারা, তারা, যে, যিনি।
৯. অন্যাদিবাচক : অপর, পর, অন্য ইত্যাদি।
১০. অনিশ্চয়বাচক যৌগিক সর্বনাম (ঈড়সঢ়ড়হহফ রহফরভরহরঃব ঢ়ৎড়হড়ঁহ) কেউ-না-কেউ, যে- কেউ, আর ক্,ে কে-ই-বা, অন্যকিছু, আর কিছু ইত্যাদি অনিশ্চয় বাচক সর্বনাম। যেমন-
এই দুঃসময়ে কেউ-না- কেউ তো থামবেই, এটাই মানবধর্ম।
এমন সহজ কাজ ‘যে- কেউ’ করতে পারবে।
আপনাদের সঙ্গে কি আর কেউ যাবে?
এই বৃষ্টি ভেজা অন্ধকার রাত কে-ই-বা’ আসবে?
তোমাকে কিছু টাকা দেওয়া হল, আর অন্য কিছু চেয়ো না।
তোমাকে একশত টাকা এবং কিছু খাবার দেওয়া হল ‘আর কিছু’ লাগবে?
এই দুদিনে ‘যা-কিছু’ পারেন দান করেন।
অসুখ-বিসুকে ‘যা-তা’ খাওয়া যায়?
সৈয়দ নিছার আলী তিতুমীর ‘যে-সে’ লোক ছিলেন না।
লতিফুর রহমান মাহেব যে কোনও’ দিন থামতে পারেন।
মাপেক্ষ সর্বনাম বা প্রতি নির্দেশক সর্বনাম :
যত-তত, যখন-তখন, যেখানে- সেখানে, যে- সে, যেমন- তেমন, যিনি তিনি, যার তার ইত্যাদি জোড়া সর্বনামগুলো একই শব্দে ব্যবহৃত হয়ে দুটো বাক্যের মধ্যে সংযোগ সাধন করে। এসব সর্বনামকে বরে সাপেক্ষ সর্বনাম বা প্রতিনির্দেশক সর্বনাম। যেমন-
যত চাও তত লড তরণী পরে।
যখন সমস্যা সৃষ্টি হবে, তখন দেয়া যাবে কি করা যায়। যখন ও গল্প করতে শুরু করতো, তখন কাউকে কথা বলার সুযোগ দিতো না।
যেই কথা সেই কাজ
যেখানে বাঘের ভয় সেখানে রাত হয়
এ অনুষ্ঠানে যিনি আসবেন তিনি একজন নাট্যকার।
এ দুর্বৃত্তদেরকে যেখানে পাওয়া যাবে সেখানেই আটক করতে হবে। যেমন কর্ম তেমন ফল।
যে এখানে বেড়াতে আসবে সে আমার ছোট ভাই।
যার নুন খাব সারাজীবন নতার গুণ গাব
* সর্বনাম ও বিশেষণ পদ হিসেবে ব্যবহৃত ‘কী’ এর ব্যবহার সর্বনাম ও বিশেষণ পদ হিসেবে ব্যবহৃত ‘কী’ শব্দটির বানানে দীর্ঘ-ঈ- কার হয়। যেমন-
ক. তুমি এখন কী করছো? (কোন কাজ করছো)
খ. তুমি কী খাবে? (চা, কফি, না ভাত এরকম)
গ. তুমি এখন কী পড়ছ? (ইংরেজি, বাংলা, কিংবা অন্য বিষয়)
ঘ. শরীর সুস্থ রাখার সঠিক পন্থাটা কী? কোন পন্থা)
ঙ. তাঁর কাছে তোমার কী প্রয়োজন?
চ. কী গান আমি কী শুনাব আজি এ আনন্দ ধাসে।
ছ. আহা কী আনন্দ আজ আকাশে বাতাসে।
তবে অব্যয় পদ হিসেবে ব্যবহৃত ‘কি’ শব্দের বানানে সর্বদাই হ্রস্ব-ই-কার হয়। যেমন-
ক. তুমি কি এখন ভাত খাবে?
খ. তুমি আগামী কাল স্কুলে যাবে কি?
গ. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘চোখের বালি’ উপন্যাসটি পড়েছ কি?

১.৫॥ অব্যয় পদ (Invariants)
যে শব্দের কোনো ব্যয় বা পরিবর্তন হয় না অর্থাৎ বাক্যের সর্বত্র সবসময় অপরিবর্তিত থাকে থাকে এ সব পদকে অব্যয় বলে। অথবা যে সব শব্দ বা পদ বচনে- লিপে-বিভক্তিতে কোনো রকম পরিবর্তিত হয় না সে সব শব্দ বা পদকে অব্যয় পদ বলে। যথা- এবং, কিন্তু, অতচ, তবু, তথাপি, ও, আর, তাই, সুতরাং, অতএব, বরং, কিংবা, অথবা, নতুবা অন্যথা, নচেৎ, বা, না হয়, নয়তো, যদি, যদিও, ফলত, যেন, তো বটে ইত্যাদি। এসকল শব্দ বা পদ নিজস্ব বৈশিষ্ট্য বা স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য নিয়ে বাক্যে ব্যবহৃত হয়।
দুটো বাক্য বা বাক্যাংশের মধ্যে সংযোগ সাধন করা এবং বাক্যের শোভা বর্ধন করা অব্যয়ের কাজ। এসব অব্যয় পদের মধ্যে কোন বিভক্তির চিহ্ন যুক্ত হয় না এবং এদের লিঙ্গান্তর কিংবা একবচন বা বহু বচন ও হয় না।
বাংলা ভাষায় তিন প্রকার অব্যয় শব্দ রয়েছে : ক. বাংলা অব্যয় খ. তৎসম ব্যয় (গ) বিদেশি অব্যয়।।
ক. বাংলা অব্যয় শব্দ : আর, আবার, ও, হা, না, কিন্তু, এবং সুতরাং, অতএব,
খ. তৎসম বা সংস্কৃত অব্যয় : সদা, যদি, যথা, হঠা, সহয় যদ্রপি, তথাপি, অর্থাৎ, দৈবাৎ, বরং, পুনশ্চ, বারংবার, বস্তু, আপাতত, ইত্যাদি।
গ. বিদেশি অব্যয় শব্দ : আলবত, বহুত, খুব, সাবাস, মহিরি, মারহাবা, থামা ইত্যাদি।
অব্যয়ের প্রকারভেদ : অব্যয় পদকে প্রধানত চার ভাগে ভাগ করা যায়। যথা- ১. সমুচ্চয়ী অব্যয় ২. পদান্বয়ী অব্যয় ৩. অনন্বয়ী অব্যয় ৪. অনুকার অব্যয়।
১. সমুচ্চয়া অব্যয় : যে অব্যয়পদ বাক্যস্থিত একটি পদের সঙ্গে অন্য একটি পদের অথবা একটি বাক্য বা বাক্যাংশের সঙ্গে অপর একটি বাক্য বা বাক্যাংশের সংযোজন, বিয়োজন বা সংকোচন ঘটায় তাকে সমুচ্চয়ী অব্যয় বা সম্বন্ধবাচক অব্যয় বলে।
সমুচ্চয়ী অব্যয় তিন প্রকার। যথা ক. সংযোজন অব্যয় খ. বিয়োজন অব্যয় গ. সংকোচন অব্যয়।
সংযোজক অব্যয়গুলো হল : ও, এবং, আর, সুতরাং, তাই, তথা, অধিকন্তু ইত্যাদি।
উদাহরণ : লতিফ ভাই অত্যন্ত পরোপকারী একজন মানুষ, তাই সকলেই তাকে ভীষণ শ্রদ্ধা করে।
বিয়োজক অব্যয়গুলো হন : কিংবা, নতুবা, অথবা, অন্যথা, কিন্তু নচেৎ, না, বা, না-হয়, নয়, তো, কি- কি ইত্যাদি
যেমন-
ক. তিনি স্কুল কলেজে লেখাপড়া করেন নি। কিন্তু জ্ঞান অর্জন করেছেন নিরলসভাবে।
খ. ঢাকায় খুব সাবধানে চলবে, নতুবা যে কোনো মুহূর্তে বিপদে পড়তে পার।
গ. মন্ত্রের সাধন কিংবা শরীর পাতন।
ঘ. কি উপন্যাস কি পাঠক সাহিত্যের উভয় শাখায় তিনি খ্যাতিমান।
ঙ. যথাসময়ে বাড়ি ভাড়া দিবেন নচেৎ বাড়ি ছেড়ে দিবেন। এখানে কিন্তু, নতুবা, কিংবা, কি কি, নচো অব্যয়গুলো দুটি বাক্যের বিয়োজন ঘটিয়েছে।
সংকোচক অব্যয় : সংকোচক অব্যয় পদগুলো হল : কিন্তু, অথচ, পরন্ত, বরং, তবু, তথাপি, বরঞ্চ, তবে ইত্যাদি।
সংকোচক অব্যয় বাক্যের অর্থকে সংকুচিত করে দেয়। যেমন-
ক. লোকটি উচ্চ শিক্ষিত অথচ ইতর প্রকৃতির।
খ. সে এমন একটা মারাত্মক অন্যায় করল তবু তার বিচার হল না।
এখানে অথচ, ও তবু অব্যয় পদ দুটো বাক্যের অর্থকে সংকুচিত করেছে।
২. পদান্বয়ী অব্যয় বা অনুসর্গ অব্যয় : বাংলা ভাষায় যে অব্যয় শব্দগুলো কখনও স্বাধীনভাবে পদরূপে, আবার কখনও শব্দ বিভক্তির ন্যায় বাক্যে ব্যবহৃত হয়ে বাক্যের অর্থ প্রকাশে সাহায্য করে, সেগুলোকে অনুযর্গ অব্যয় বা পদান্বয়ী অব্যয় বলে। যেমন- প্রতি, বিনট, ব্যতীত, দ্বারা, দিয়া, কর্তৃক, হইতে, চেয়ে ইত্যাদি।
উদাহরণ : মন দিয়া কর সবে বিদ্যা উপার্জন
ক. মন দিয়া কর সবে বিদ্যা উপার্জন
খ. আমার কর্তৃক এ কাজ হবে না সাধন
গ. কুকুর হতে সাবধান
ঘ. দুঃখ বিনা মুখ লাভ হয় কি সহীতেু?
৩. অনন্বয়ী অব্যয় : যে অব্যয় পদগুলো বাক্যের অন্তগর্ত অন্য পদের সঙ্গে কোনো সম্বন্ধ বা অন্বয় না রেখে স্বাধীনভাবেহ প্রকাশ করে তাদের অনন্বয়ী অব্যয বলে। যেমন-সরি সরি, আলবত, নিশ্চয়ই, যখন, বেশতো, নাঃ, হায়, ছিঃ ইত্যাদি।
উদাহরণ :
ক. মরি মরি! কী চমৎকার সুন্দরী! (উচ্ছাস প্রকাশ)
খ. আলবত আমি যাব। (সম্মতি প্রকাশে)
গ. উঃ! মাথায় প্রচ- লেগেছে (যন্ত্রণা প্রকাশে)
ঘ. ছিঃ এমন একটি জঘন্য কাজ তুমি করলে! (ঘৃণা প্রকাশে)
ঙ. কি যন্ত্রণা! এত বিরক্ত করছে কেন লোকটা! (বিরক্তিসূচক)
চ. আপনি যা বলছেন তা সঠিকই হবে। (সমর্থনসূচক)
৪. অনুকার অব্যয় : বাংলা ভাষায় অনকরণে সৃষ্ট ব্যক্তি, বস্তু ও প্রাণীর ক্রিয়া ও অনুভূতি প্রকাশক অর্থহীন অথচ দ্যোতনা সৃষ্টিকারী কতকগুলো শব্দ পাওয়া যায়, এগুলোকে অনুকার অব্যয় বা ঋণাত্মক অব্যয় বলে। যেমন- ভনভন, কনকন, শনশন, শোঁ শোঁ, পতপত, শাঁশাঁ ইত্যাদি।
উদাহরণ :
ক. কেমন কনক কনে শতি পড়েছে।
খ. পতপত করে উড়ছে আমাদের জাতীয় পতাকা।
গ. শোঁ শোঁ করে বাতাস বয়ে চলেছে।
যোজক
যেসব শব্দ বা পদ একটি বাক্যের সঙ্গে অন্য একটি বাক্যের কিংবা বাক্যে অবস্থিত একটি পদের সঙ্গে অন্যপদের সংযোজন, বিয়োজন বা সংকোচন ঘটায়, তাদেরকে যোজক বা সমুচ্চয়ী অব্যয় বা সম্বন্ধবাচক অব্যয় বলে। যেমন- ‘ও’ ‘এবং’ যে, ‘আর’ ‘কিন্তু’, ‘সুতরাং ‘তবু’, তথাপি’, ‘অথবা, ‘নতুবা’, ‘তাই’, ‘অধিকন্তু’, কি, ‘যদি’, ‘যদি’, ‘কিংবা’, ‘অথচ’, ‘বরং’, ‘বরঞ্চ’ ইত্যাদি।
যোজক বা সমুচ্চয়ী অজয় নিম্নোক্তভাবে ব্যবহৃত হয়।
ক. সংযোজক অব্যয় : সংযোজক অব্যয়গুলো হলো : এবং, ও, আর, তাই, তথা, অধিকান্ত, সুতরাং।
বাক্যে প্রয়োগ : তিনি সৎ তাই সকলে তাকে সম্মান করে। করিম এবং কামাল খালাতো ভাই। জামাল আর আমি এক সাথে চলি।
খ. বিযোজক অব্যয় : বিয়োজক অব্যয়গুলো হলো : কিংবা, কিন্তু, বা, অথবা, নতুবা, নয়তো, ইত্যাদি।
বাক্যে প্রয়োগ : কামাল কিংবা জামাল এ দুজনের একজন তো অবশ্যই এ ঘটনার জন্য দায়ী। আমরা অনেক চেষ্টা করেছি কিন্তু সফল হতে পারিনি।
গ. সংকোচক অব্যয় : সংকোচক অব্যয়গুলি হল- অথচ, তবু, তথাপি, বরং, বরঞ্চ ইত্যাদি
বাক্যে প্রয়োগ : তিনি জ্ঞানী, অথচ অসৎ ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত। তিনি বিদ্বান, অথচ তাঁর কোনো প্রকাশনা নেই। লোকটি খুব অভাবে আছে তবু সুযোগ পেয়েও চুরি করেনি।

ক্রিয়া-বিশেষণ
সংজ্ঞা : যে বিশেষণ পদ দ্বারা ক্রিয়ার বিশেষ অবস্থা বোঝায় তাকে ক্রিয়া বিশেষণ বলে। অথবা বিশেষণ পদ ক্রিয়া সংঘটনের ভাব কাল ও রূপ নির্দেশ করে তাকে ক্রিয়া বিশেষণ বরে। যেমন- সে দ্রুত দৌড়াতে পারে। এখানে দ্রুত শব্দটি হচ্ছে ক্রিয়া বিশেষণ।
তেমনি তাড়াতাড়ি বাড়ি চলো। মেয়েটি ভালো গায়। ভদ্রলোক আস্তে হাঁটে। তুমি হনহন করে কোথায় যাচ্ছ? উপরের বাক্যগুলোতে তাড়াতাড়ি এবং ভালো, আস্তে, হনহন, শব্দগুলো ক্রিয়া বিশেষণ।
বাক্যে নিম্নোক্ত উপায়ে ক্রিয়া-বিশেষণের ব্যবহার লক্ষ করা যায়
১. বিভক্তি চিহ্ন ব্যতিত ক্রিয়া বিশেষণ। যেমন- জলদি এসো। ভালো বলেছ। একটি যদি পাই অমনি করে সাপুসসুপুস খাই। উপযুক্ত বাক্যে জলদি, ভালো, সাপুসসুপুস ক্রিয়া বিশেষণ।
২. বিভক্তি চিহ্ন যোগে ক্রিয়া-বিশেষণ। যেমন- তিনি সাইকেলে চড়ে বিশ্ব ভ্রমণ করলেন।
৩. অসামিকা ক্রিয়া যোগে ক্রিয়া বিশেষণ। যেমন- মিটমিট করে করিয়া ইয়া তারাগুলো জ্বলছে। লোকটি চেঁচিয়ে কথা বলে।

আবেগ শব্দ
যে সকল শব্দ বাক্যের অন্য পদের সঙ্গে কোনো সম্বন্ধ না রেখে বিভিন্ন আবেগসূচক ভাব প্রকাশে ব্যবহৃত হয়, সেসকর সম্পর্কে আবেগ-শব্দ বলে। এসব শব্দকে অনন্বয়ী অব্যয় ও বলা হয়। এই আবেগ শব্দগুলি বাক্যের মূল সংগঠনের বাইরে দাঁড়িয়ে থাকে। লক্ষ করা যায়, অনেক আভিধানিক শব্দও আবেগ শব্দ হয়ে প্রকাশিত হয়। যেমন- বাহ্! যার!, মরিমরি! কী রূপ মাধুরী!, উঃ!, পালা!, ছিঃ! ইত্যাদি।

সবার আগে Google News আপডেট পেতে Follower ক্লিক করুন

১ম থেকে ৪৩তম বিসিএস প্রশ্ন ও সমাধান লিংক

Professor Primary Assistant Teacher book লিংক

ইংরেজি

ইংরেজি ব্যাকরণ

প্রশ্ন বিগত ৩০ বছরের নিয়োগ পরীক্ষায় আসার প্রশ্ন ও উত্তর
Parts of Speech বিগত সালের নিয়োগ পরীক্ষায় আসার প্রশ্ন ও উত্তর লিংক
Article বিগত সালের নিয়োগ পরীক্ষায় আসার প্রশ্ন ও উত্তর লিংক
Appropriate Preposition  বিগত সালের নিয়োগ পরীক্ষায় আসার প্রশ্ন ও উত্তর লিংক
Preposition বিগত সালের নিয়োগ পরীক্ষায় আসার প্রশ্ন ও উত্তর লিংক
Right forms of verb বিগত সালের নিয়োগ পরীক্ষায় আসার প্রশ্ন ও উত্তর লিংক
Voice বিগত সালের নিয়োগ পরীক্ষায় আসার প্রশ্ন ও উত্তর লিংক
Narration বিগত সালের নিয়োগ পরীক্ষায় আসার প্রশ্ন ও উত্তর লিংক
Phrase and Idioms বিগত সালের নিয়োগ পরীক্ষায় আসার প্রশ্ন ও উত্তর লিংক
prefix and suffix বিগত সালের নিয়োগ পরীক্ষায় আসার প্রশ্ন ও উত্তর লিংক
Word Meaning বিগত সালের নিয়োগ পরীক্ষায় আসার প্রশ্ন ও উত্তর লিংক
Synonym-Antonym বিগত সালের নিয়োগ পরীক্ষায় আসার প্রশ্ন ও উত্তর লিংক
Spelling বিগত সালের নিয়োগ পরীক্ষায় আসার প্রশ্ন ও উত্তর লিংক
Translation /Vocabulary বিগত সালের নিয়োগ পরীক্ষায় আসার প্রশ্ন ও উত্তর লিংক
Sentence Correction বিগত সালের নিয়োগ পরীক্ষায় আসার প্রশ্ন ও উত্তর লিংক
English literature বিগত সালের নিয়োগ পরীক্ষায় আসার প্রশ্ন ও উত্তর লিংক
One word Substitutions বিগত সালের নিয়োগ পরীক্ষায় আসার প্রশ্ন ও উত্তর লিংক
প্রায় ৩০০টি প্রশ্ন উত্তরসহবিগত সালের নিয়োগ পরীক্ষায় আসার প্রশ্ন ও উত্তর লিংক
আজকের :নিয়োগ পরিক্ষার জন্য ১০০% কমন পদ এক সাথে, যেকোন চাকরির পরীক্ষায় বার বার আসা কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদ

Leave a Comment