৮ম শ্রেণির বাংলা সাহিত্য কণিকা বইয়ের ‘ভাব ও কাজ’ প্রবন্ধে কর্পূরের উল্লেখ আছে

Google Adsense Ads

কর্পূর ( Camphor) মোমের মতন দেখতে স্বচ্ছ কঠিন পদার্থ ।এটি দাহ্য এবং তীব্র সুগন্ধযুক্ত। এটি তার্পিনঘটিত যৌগ যেগুলিকে টার্পিনয়েড (terpenoid) বলে। কর্পূরের রাসায়নিক সংকেত

হলো C10H16O। কর্পূর গাছ ( বৈজ্ঞানিক নাম Cinnamomum camphora)-এর কাঠের থেকে কর্পূর নিষ্কাশন করা হয়। এটাই হলো প্রাকৃতিক উৎস। রাসায়নিক পদ্ধতিতেও কর্পূর করা যায়।

বনজ সম্পদ কর্পূর গাছ থেকে কর্পূর তৈরি একটি শতাব্দী প্রাচীন পদ্ধতি। কর্পূর গাছের কাঠের ছোট ছোট টুকরোকে তাপজারিত করে যে উদ্বায়ী বাষ্প পাওয়া যায় তাকে ঘণীভবন প্রক্রিয়ায় ঠাণ্ডা করে এবং পরে মিহিগুঁড়ো কাঠে স্টিম চালনা করে যে বাষ্প পাওয়া যায় তাকে ঠাণ্ডা করে কর্পূর পাওয়া যায়।

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

প্রাচীনকাল ও মধ্যযুগে ইউরোপে মিষ্টিজাতীয় খাদ্য সুগন্ধি করতে কর্পূর ব্যবহার করা হতো। গাছ থেকে মোমের মতো যে রস বের হয় তা থেকেই তৈরি হয় কর্পূর। একটি পরিণত গাছ থেকে চার-পাঁচ কেজি কর্পূর পাওয়া যায়। কাণ্ড, পাতা, ডাল সব কিছুতেই কর্পূর আছে। কর্পূরের স্বাদ তেতো, তবে সুগন্ধি; রং সাদা। কর্পূরগাছের কাঠ থেকে পাতন পদ্ধতিতে কর্পূর সংগ্রহ করা হয়। বর্তমানে তারপিন থেকে কৃত্রিমভাবে কর্পূর উৎপাদন করা হয়।

কর্পূরগাছ চিরসবুজ মাঝারি উচ্চতার ছায়াবৃক্ষ। এর বৈজ্ঞানিক নাম Cinnamomum camphora। বাংলাদেশের ২০১২ সালের বন্য প্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইনের তফসিল-৪ অনুযায়ী এ প্রজাতিটি সংরক্ষিত।

কর্পূর কঠিন অবস্থায় সংগ্রহ করা হয়। একে তাপ দিলে বা খোলা স্থানে রাখলে কঠিন অবস্থা থেকে সরাসরি বাষ্পে পরিণত হয়। এর তরল অবস্থা হয় না। কর্পূরের অনেক গুণ। আঘাত পাওয়া জায়গায় কর্পূর মালিশ করলে দ্রুত উপকার পাওয়া যায়। ত্বকের যত্নে অন্যতম উপকারী উপাদান এই কর্পূর। এটি ত্বকের অ্যালার্জি দূর করে, নখে ফাঙ্গাশ সংক্রমণ ঠেকায়, ক্যান্ডিডা প্যারাপসিলোসিস, ট্রাইকোফাইটন মেন্টাগ্রোফাইটস জাতীয় ছত্রাকের সংক্রমণ দূর করে। এটি শ্বাসনালিতে ঘা, সর্দি-কাশিও দূর করে। এ ছাড়া ছারপোকা ও পিঁপড়ার উপদ্রব থেকে রক্ষা করে।

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

কর্পূরের ধোঁয়া বা কর্পূর থেকে তৈরি ধূপকাঠির ধোঁয়া পরিবেশবান্ধব। মশা প্রতিরোধক হিসেবে কর্পূরের ধোঁয়া কার্যকরী।

কর্পূর ত্বকের যত্নেও উপকারী। অন্য তেলের সঙ্গে কয়েক ফোঁটা কর্পূর এসেনশিয়াল অয়েল মিশিয়ে ব্রণ আক্রান্ত ত্বকে মালিশ করলে ব্রণ ও ব্রণের দাগ দূর হয়। তেলের এই মিশ্রণ চুলে ব্যবহার করলে চুল ঝরার পরিমাণ কমে যায়। চুলে শ্যাম্পু করার আগে এটি মাথার তালুতে ও চুলে মাখলে খুশকির সমস্যাও ধীরে ধীরে দূর হবে।

এ ছাড়া প্লাস্টিক শিল্পের শুরুর দিকে নাইট্রোসেলুলোজ থেকে সেলুলয়েড তৈরি করতে এর নমনীয়তা বাড়ানোর জন্য প্লাস্টিসাইজার হিসেবে প্রচুর পরিমাণে কর্পূর ব্যবহৃত হতো।

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

Google Adsense Ads

Google Adsense Ads

Leave a Comment