বুক ধুকপুক করলে যা যা করবেন

Google Adsense Ads

আমাদের হৃৎপিণ্ড জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত বিরামহীনভাবে কাজ করে থাকে। কার্বনডাই অক্সাইডযুক্ত দূষিত রক্ত হৃৎপি-ের ডানদিকে জমা হয়ে ফুসফুসে গিয়ে বিশুদ্ধ হয়ে বাঁদিকে আসে। অক্সিজেনসমৃদ্ধ এ বিশুদ্ধ রক্ত অ্যাওর্টা (অড়ৎঃধ) দিয়ে পুরো শরীরে প্রবাহিত হয়।

মানব হৃৎপিণ্ডের ধারাবাহিক সংকোচন ও প্রসারণ পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ ছন্দময় নৃত্য, যা জীবনকে দেয় গতি। এর আরেক নাম বেঁচে থাকা। মানুষের বেঁচে থাকার চালিকাশক্তি এ সংকোচন ও প্রসারণ আমরা সাধারণত অনুভব করি না।

হৃৎপিণ্ড মিনিটে ৬০ থেকে ১০০ বার সংকুচিত ও প্রসারিত হয়, যা এক কথায় ঐবধৎঃ নবধঃ নামে পরিচিত। যখন হার্টবিট অনুভব করা যায়, তখন তাকে বলা হয় পালপিটেশন। দ্রুত, আস্তে বা অনিয়মিত হৃদস্পন্দন, যা অনুভূত হয়, তার নামই চধষঢ়রঃধঃরড়হ বলা যায়।

পালপিটেশনের ৪৩ শতাংশ হার্টের সমস্যার জন্য, ৩১ শতাংশ মানসিক রোগের কারণে, বিবিধ কারণে ১০ শতাংশ এবং অজানা কারণে ১৬ শতাংশ হয়ে থাকে। পালপিটেশন বা বুক ধুক ধুক বা বুকে ধাক্কা খাওয়ার অনুভূতি হয়নি, এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া কঠিন।

সাধারণ টেনশন বা অতিরিক্ত চা/কফি পান থেকে শুরু করে ফুসফুস ক্যানসারের মতো জটিল সমস্যা- এমন হাজারো কারণে পালপিটেশন হতে পারে। তাই কারণ নির্ণয় করে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা করাতে হবে। সময়মতো কারণ অনুসন্ধান করে চিকিৎসা শুরু করলে দ্রুত সুস্থতা লাভের পাশাপাশি শ্রম, অর্থ ও সময় বাঁচে।

পালপিটেশন হলেই জরুরিভাবে চিকিৎসা প্রয়োজন হয় না। এ সমস্যার সঙ্গে যেসব বিষয় উপস্থিত থাকলে দ্রুত ও জরুরিভাবে চিকিৎসার প্রয়োজন হয় তা হলো- বুকব্যথা বা শ্বাসকষ্ট, অজ্ঞান হয়ে যাওয়া, প্রায় সময় মাথাব্যথা, মাথা হালকা লাগা, মাথা ঘোরা, হঠাৎ ঘাম হওয়া।

মানবজীবন খুবই ক্ষণস্থায়ী। তাই পরিকল্পনা মাফিক, ধারাবাহিকভাবে, মাথা ঠা-া রেখে সময়মতো যথাসাধ্য কাজ করে যেতে হবে। কোনো দৈহিক বা মানসিক সমস্যা হচ্ছে, এমন মনে হলে চিকিৎকের পরামর্শ ও নিজের চেষ্টায় স্বাভাবিক জীবনযাপনের চেষ্টা করতে হবে। এভাবেই চধষঢ়রঃধঃরড়হ থেকে দূরে থেকে সুস্থ, সুন্দর ও আনন্দময় জীবন উপভোগ করা সম্ভব হবে।

লেখক : ডায়াবেটিস, হৃদরোগ ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ; শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল

Google Adsense Ads

Google Adsense Ads

Leave a Comment