বিষয়: নৈতিক শিক্ষা ও মূল্যবোধ
নৈতিক শিক্ষা ও মূল্যবোধ
অথবা, নৈতিক শিক্ষা
অথবা, মূল্যবোধ
ভূমিকা
নৈতিক মূল্যবোধ মানবচরিত্রকে করে তোলে সুষমামণ্ডিত। শিক্ষার মূল লক্ষ্য হলো নৈতিক শিক্ষা ও মূল্যবোধ তৈরি। এরিস্টটল বলেছেন : Education is the creation of sound mind in a sound body. অর্থাৎ, সুস্থ দেহে সুস্থ মন তৈরি করার নামী শিক্ষা। এই সুস্থ মন এর সঙ্গে নৈতিক শিক্ষা ও মূল্যবোধের নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে। বৃক্ষলতা সহজেই বৃক্ষলতা কিন্তু মানুষ প্রাণপণ চেষ্টায় মানুষ। নৈতিক মূল্যবোধ মানুষের প্রাণপণ চেষ্টারই ফলশ্রুতি। মানব জীবনের পরিপূর্ণ বিকাশে নৈতিক শিক্ষা ও মূল্যবোধের গুরুত্ব অপরিসীম।
নৈতিক শিক্ষা কী
অনেক শিক্ষাবিদই মনে করেন শিক্ষার্থীর নৈতিক চরিত্র গঠনই শিক্ষার প্রধান লক্ষ্য হওয়া উচিত। সাধারণভাবে মানব আচরণ ও দৃষ্টিভঙ্গির কতকগুলাে দিককে নৈতিক চরিত্রের অন্তর্গত করা হয়েছে। এগুলাে হচ্ছে
১। জীবনে উচ্চ মূল্যবােধের উপলব্ধি ও চর্চা (realization and practice of higher values in life)
২। মনের প্রশিক্ষণ বা ইচ্ছাশক্তি (training of mind or will-power)
৩। সুশৃঙ্খল সহজাত প্রবৃত্তি (discipline of instincts) এবং
৪। সহজাত প্রবৃত্তিমূলক আচরণকে নৈতিক আচরণে রূপান্তর করা (changing instinctive behavior into moral behavior)
সর্বোপরি, নৈতিক শিক্ষা ও মূল্যবােধ এর মাধ্যমে ব্যক্তির চারিত্রিক গুণাবলি বিকাশের ক্ষেত্রে নিচের বিষয়গুলাে গুরুত্ব পাওয়া প্রয়ােজন-
১. মানবিক গুণাবলির সমাহার হিসেবে ধৈর্য, সাহস, আনুগত্য, সততা, সৌজন্য, নির্ভরযােগ্যতা, কৃতজ্ঞতাবােধ, সহজ অমায়িকতা, পরহিতব্রত ইত্যাদি।
২. শৃঙ্খলা, সময়ানুবর্তিতা, সহিষ্ণুতা, শিষ্টাচার ইত্যাদি সামগ্রিক আচার-আচরণ-অভ্যাস।
৩. দেশপ্রেম, অসাম্প্রদায়িকতা, জাতীয়তাবােধ, আন্তর্জাতিক সৌভ্রাতৃত্ব, মানবপ্রেম ইত্যাদি সংগঠিত ভাবাবেগ
৪. হিংসা, বিদ্বেষ, কুটিলতা ইত্যাদি মানসিকতা পরিহার এবং বদ অভ্যাস বা প্রবৃত্তি দমন.
৫. ন্যায়বিচার, মানবকল্যাণ, পরহিতব্রত ইত্যাদি মানবিক গুণাবলিকে জীবনের চালিকাশক্তি হিসেবে গ্রহণ।
মূল্যবোধ কী
সাধারণ অর্থে নৈতিকতা সম্বন্ধে সচেতনতা জাগানাের শিক্ষাকে মূল্যবােধ শিক্ষা বলা হয়। দীর্ঘ অনুশীলনের পর গ্রহণ বর্জন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে যে সকল বিশ্বাস, দৃষ্টিভঙ্গি ও মূল্যবােধকে গ্রহণ ও লালন করা হয় যেগুলাে ব্যক্তি ও সমাজের জন্য কল্যাণকর, সঠিক ও কাঙ্ক্ষিত।
সামাজিক ন্যায়নীতি, বিশ্বাস, আচরণ ইত্যাদি বিষয়ে যে ধ্যান ধারণা তাই মূল্যবােধ। মানবিক মূল্যবােধের মধ্যে পড়ে মানুষের প্রতি মানুষের ভালােবাসা, স্নেহ, প্রীতি, সহমর্মিতা, সহনশীলতা ইত্যাদি। মানবিক মূল্যবােধের সাথে নৈতিকতার সম্পর্ক জড়িত। মানবিক মূল্যবােধ যার নেই তার নৈতিকতাবােধও নেই বলা চলে। শিশুরা মানবিক মূল্যবােধ নিয়ে জন্মায় এটি তাদের অর্জিত গুণ। শিশুরা পরিবার, সমাজ থেকে মূল্যবােধ ও নৈতিকতার শিক্ষা পায়। তবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বা বিদ্যালয়ও মূল্যবােধ ও নৈতিকতা শিক্ষা লাভের উৎকৃষ্ট স্থান।
নৈতিকতা ও মূল্যবােধের স্বরূপ
নৈতিকতা ও নৈতিক মূল্যবােধ একই সূত্রে গাঁথা। নৈতিক শিক্ষা ও মূল্যবােধের মাধ্যমেই কেবল একজন মানুষ সাম্যভাব, শান্তস্বভাব, মার্জিত আচরণ এবং প্রজ্ঞার অধিকারী হতে পারে। নৈতিক শিক্ষা ও মূল্যবােধ মানুষকে সুখী হতে এবং তার মানবতাবােধ জাগ্রত করতে সহায়তা করে। এজন্যে সুখী, সমৃদ্ধ ও সর্বাঙ্গীনভাবে সুস্থ জীবনধারার মধ্যেই নৈতিকতা ও মূল্যবােধ-এর স্বরূপ নিহিত।
নৈতিক মূল্যবােধের চর্চার গুরুত্ব
মানুষের জীবন ক্ষুদ্র স্বার্থপরতা সংকীর্ণতার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে না এবং মানুষ ন্যায়-অন্যায়, ভালাে-মন্দ বিচার করবে এবং মানবতার পরিচয় দিবে এটাই নৈতিক মূল্যবােধ চর্চার মূল কথা। নৈতিক আদর্শ সম্বলিত সমাজে কোনাে অনাচার থাকবে না, ঘুষ, দুর্নীতি, বঞ্চনা, শােষণ, স্বার্থপরতা এসব থেকে সমাজ মুক্ত থাকলে তাতে নৈতিকতার আদর্শ প্রতিফলিত হয়। সকল প্রকার দুর্নীতি থেকে মুক্ত জীবনই আদর্শ-জীবন। ধর্মীয় রীতিনীতি মেনে চলা, সত্য ও ন্যায় পথের অনুসারী হওয়া, অপরের ক্ষতি থেকে বিরত থাকা, পরােপকারের মহান ব্রতে নিজেকে নিবেদিত করা এসব গুণ নিয়েই নৈতিকতার বিকাশ। মানবিকগুণে সমৃদ্ধ চরিত্রই নৈতিক মূল্যবােধের ফল।
নৈতিক মূল্যবােধ ব্যক্তিজীবনকে উচ্চ মর্যাদায় অধিষ্ঠিত করে, তার আদর্শ সবার কাছে অনুসরণীয় হয়। সত্যকে সত্য বলে চিনতে পারা, মিথ্যাকে মিথ্যা হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া নৈতিক মূল্যবােধের ফল। মূল্যবােধের চেতনা দিয়ে ন্যায়ের আদর্শকে সমুন্নত রাখা সম্ভব। শিক্ষা ব্যবস্থার মূল লক্ষ এই নৈতিক মূল্যবােধ সংবলিত মানুষ ও নাগরিক সৃষ্টি করা।
নৈতিক শিক্ষা ও মূল্যবোধের প্রয়োজনীয়তা
নৈতিক শিক্ষা ও সামাজিক মূল্যবোধ দ্বারা সমাজকে সুন্দর করে তোলা যায়। সত্যকে সত্য বলা, অন্যায়কে অন্যায় বলা এবং ন্যায় অন্যায় ও সত্য মিথ্যার পার্থক্য জেনে ও বুঝে চলা নৈতিক ও সামাজিক মূল্যবোধসম্পন্ন মানুষের দ্বারাই সম্ভব। নৈতিক ও সামাজিক মূল্যবোধসম্পন্ন মানুষ দেশ ও জাতির গর্ব। সমাজের এই ধরণের মানুষের সংখ্যা যত বাড়বে সেই সমাজ ও জাতির গৌরব ততই বৃদ্ধি পাবে। সুতরাং আমাদের প্রত্যেকেরই নৈতিকতার চর্চা করা উচিত।
নৈতিক মূল্যবোধের অভাব হলে সমাজে অশান্তি দেখা দেয়। সামাজিক অসাম্য, অবিচার, সীমাহীন দুর্নীতি ইত্যাদি বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সমাজজীবনকে বিপর্যস্ত করে তোলে, মানবকল্যাণ ব্যাহত হয়।যুদ্ধগ্রহ, হত্যা, লুন্ঠন ও সন্ত্রাস বেড়ে যায়। নৈতিক ও সামাজিক মূল্যবোধের অভাব আছে বলেই বর্তমানে বিশ্বজুড়ে অশান্তি ও নৈরাজ্য বিরাজ করছে। এমতাবস্থায় প্রত্যেকের উচিত নৈতিক মূল্যবোধের চর্চা করা।
সমাজে নৈতিক মূল্যবােধহীনতার প্রভাব
আমাদের দেশে লক্ষ করলে দেখা যায় সর্বত্রই একটা অস্থিরতা। সকলেই যেন কোন না কোনাে অসুস্থ প্রতিযােগিতায় লিপ্ত। শিক্ষার প্রতি অনুরাগ, ন্যায়ের প্রতি কারও আগ্রহ নেই। বেড়েছে ভােগবাদী প্রবণতা, কর্তব্যের প্রতি অবহেলা, সহানুভূতির পরিবর্তে মানুষের প্রতি মানুষের অবহেলা, স্বার্থ সাধনের জন্যে ব্যাপক তৎপরতা, জনকল্যাণের প্রতি অনীহা। এসব মূল্যবােধহীনতা মানুষের জীবনকে অস্থির করে তুলেছে। অথচ দেশে শিক্ষার বা স্বাক্ষরতার হার (৬৪%) বেড়েছে, বেড়েছে মাথাপিছু আয় (৩৬৯ মার্কিন ডলার) সঞ্চয়ও কিছুটা বেড়েছে। শিক্ষার হার বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মানুষের নিরাপত্তা বাড়ার কথা ছিল সামাজিক মূল্যবোধ বাড়ার কথা ছিল। সামাজিক অগ্রগতি ত্বরান্বিত হওয়ার কথা ছিল কিন্তু এসব না হয়ে হয়েছে উল্টোটাই।
পত্রিকার পাতা খুললেই দেখা যায় সমাজ, রাষ্ট্র, বিশ্বের অসুস্থতা আর মানবিক হাহাকারের খবর। এই অবস্থার নিরসন না হলে মানবসভ্যতা একদিন সত্যি সত্যি ধ্বংস হয়ে যাবে। সারা পৃথিবী পরিণত হবে ভয়ানক এক স্থানে। তাই পরিবার, সমাজ, দেশ ও জাতির স্বার্থে নৈতিক মূল্যবােধ সম্পন্ন মানুষ হিসেবে নিজেকে গড়ে তােলা একান্ত প্রয়ােজন।
নৈতিক অধঃপতনের কারণ
নৈতিক অধঃপতনের নানা কারণ বিদ্যমান। অবশ্য নৈতিক শিক্ষা ও মূল্যবােধের অভাবই এর প্রধান ও একমাত্র কারণ। তদুপরি বিস্তৃত পরিসরে আলােচনা করতে গেলে যেসব কারণ উল্লেখ করা যেতে পারে তা নিম্নরূপ :
১। ব্যক্তির সুস্থ ও স্বাভাবিক জীবন যাপনের জন্য দৈহিক, মনস্তাত্ত্বিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক বিকাশ সাধনে পর্যাপ্ত সুযােগ থাকা।
২। মানুষের মধ্যে ভােগবাদী প্রবণতা বেড়েছে।
৩। অর্থনৈতিক বিপর্যয় নৈতিক অধঃপতনের আরেকটি কারণ। দেশে অর্থনৈতিক বিপর্যয় দেখা দিলে অর্থনীতি ভারসাম্যহীন হয়ে পড়ে। ফলে শ্রেণিবৈষম্য দেখা দেয়।
৪। রাজনৈতিক সংকট দেখা দিলেও কোন জাতির নৈতিক অবক্ষয় নেমে আসতে পারে।
৫। সন্ত্রাসী কার্যকলাপ ও স্বেচ্ছাচারিতা নৈতিক অধঃপতনের অপর একটি কারণ।
৬। সর্বোপরি নৈতিক শিক্ষার জন্য সমাজে যে আদর্শ থাকার কথা তা ক্রমেই নানাকারণে হ্রাস পেয়েছে, ফলে নৈতিক মূল্যবােধের শূন্যতা দেখা দিয়েছে।
৭। গ্রামজীবনের যুথবদ্ধতা ভেঙে নগরজীবনে প্রবেশ।
৮। একান্নবর্তী পরিবার ভেঙে যাওয়া।
৯। মহাপুরুষদের আৰ্দশ অনুসরণ না করা।
নৈতিক অধঃপতন থেকে উত্তরণের উপায়
দেশ ও জাতির কল্যাণের জন্য আমাদেরকে নৈতিক মূল্যবোধের অবক্ষয় রোধ করতে হবে। এজন্য সমাজের সকল স্তরে ন্যায়নীতি ও সততা প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
১। সুষ্ঠু সমাজ গঠনের জন্য অসুস্থ প্রতিযােগিতা থেকে আমাদের সন্তানদের ফিরিয়ে আনতে হবে। আর এ কাজের প্রাথমিক দায়িত্ব বাবা-মা বা অভিভাবকের।
২। শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যসূচিতে এমন বিষয় অন্তর্ভুক্ত করা উচিত যাতে শিশুরা উৎকৃষ্ট ও কল্যাণকর মূল্যবােধ ও নৈতিকতায় বলীয়ান হয়।
৩। আর্নল্ড টয়েনবি (Arnold J. Toynbee) এবং দাইসাকু ইকেদা তাদের লেখা সৃজনমূলক জীবনের দিকে বইতে বলেছেন, সুস্থ সমাজ গঠনে, পরিশীলিত ও রুচিবোেধ সম্পন্ন মানুষ তৈরিতে সৃজনশীল পাঠ একান্ত জরুরি।
৪। দূর অতীত হতে সুসভ্য ও সুষম সমাজ গঠনের জন্য যুগে যুগে পৃথিবীতে আদর্শবাদী মানুষের জন্ম হয়েছে। তাদের সে সকল আদর্শের বাণী, যা সমাজকে স্থিতিশীল, সুসংগঠিত, ধৈর্যশীল, প্রকৃতিপ্রেমিক, পরিবেশ-বান্ধব ইত্যাদি করতে পারে। তাই মনীষীদের জীবনী পাঠ করা একান্ত কর্তব্য।
৬। ধর্মীয় শিক্ষাও নৈতিক চরত্র গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
৭। শৈশব থেকেই বাবা-মা বা অভিভাবক তাদের সন্তানকে মানুষ হিসেবে গড়ে তােলার জন্য সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে। ধর্মীয় শিক্ষার পাশাপাশি নৈতিক শিক্ষা জোরদার করতে হবে। শিক্ষার্থীদের সকল পর্যায়ে পাঠ্য বইয়ের পাশাপাশি সৃজনশীল পাঠে উদ্বুদ্ধ করতে হবে। মানুষ ও প্রকৃতির প্রতি যাতে মমত্ববােধ জন্মায় তার জন্য শিক্ষার্থীদেরকে মটিভেশনাল শিক্ষা দিতে হবে।
উপসংহার
পরিশেষে কবি জীবনানন্দ দাশের ভাষায় বলতে গেলে বলা যায় :
“মানুষের সভ্যতা যতদূর উন্নত হয়েছে, ততদূর সফল হয়েছে মানুষের বিবেক”
মানুষের আত্মিক ও সামাজিক উৎকর্ষের জন্যে এবং জাতীয় জীবনে উন্নয়ন ও অগ্রগতি নিশ্চিত করার জন্য সমাজে নৈতিক মূল্যবােধের লালন, চর্চা ও বিকাশের গুরুত্ব অপরিসীম। ১৯৭১ সালে যুদ্ধ জয়ের মাধ্যমে আমরা অর্জন করি স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ। অনেক রক্তের বিনিময়ে আমরা অর্জন করেছি আমাদের স্বাধীনতা, আমাদের বিজয়। সমগ্র দেশবাসীর আকাঙ্ক্ষা ও আত্মত্যাগের ফলেই এই স্বাধীনতা লাভ সম্ভব হয়েছিল। তাই আমাদের প্রয়ােজন ও কর্তব্য নৈতিক শিক্ষায় শিক্ষিত সুনাগরিক হিসেবে গড়ে ওঠে একটি সুখী-সমৃদ্ধ জাতি গড়ে তােলা।
[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)] |
Paragraph & Composition/Application/Emali | উত্তর লিংক | ভাবসম্প্রসারণ | উত্তর লিংক |
আবেদন পত্র/প্রতিবেদন/ চিঠি ও ইমেল | উত্তর লিংক | প্রবন্ধ, অনুচ্ছেদ রচনা | উত্তর লিংক |
এখানে সকল প্রকাশ শিক্ষা বিষয় তথ্য ও সাজেশন পেতে আমাদের সাথে থাকুন ।
প্রশ্ন ও মতামত জানাতে পারেন আমাদের কে ইমেল : info@banglanewsexpress.com
আমরা আছি নিচের সামাজিক মাধ্যম গুলোতে ও