করোনাকালে সবাই ঘরবন্দি। অনেকেই হয়তো পুরনো রোগে কাতর। যথাযথ চিকিৎসা করানো সম্ভব হচ্ছে না। কিন্তু জটিল যে কোনো রোগের চিকিৎসা নেওয়া প্রয়োজন। হাসপাতালগুলোও প্রস্তুত সেবা দিতে। তবু রোগ সহনীয় মাত্রায় থাকলে ঘর থেকে বের না হওয়াই উত্তম। ক্লামাইডিয়া পুরুষের অতিসাধারণ যৌনবাহিত সংক্রমণ। অনেকেই হয়তো জানেন না, তাদের এ রোগের সংক্রমণ রয়েছে। কারণ রোগটির উপসর্গ সবার ক্ষেত্রে প্রকাশ পায় না। রোগটি যৌনসঙ্গিনীকেও সংক্রমিত করতে পারে এবং গুরুতর তাতে জটিলতা দেখা দেয়। আক্রান্ত হতে পারে নবজাতকও।
যেভাবে সংক্রমণ ঘটে : সংক্রমণ ঘটায় যে জীবাণু, তার নাম ক্লামাইডিয়া ট্রাকোমাটিস। এ জীবাণুগুলো ব্যাকটেরিয়ার মতোই। সংক্রমণ সাধারণত যৌনসঙ্গমের সময় এক দেহ থেকে অন্য দেহে ছড়ায়। এগুলো অস্বাভাবিক যৌন সম্পর্ক স্থাপনের জন্য পায়ু এলাকায়ও হতে পারে। পুরুষের ক্ষেত্রে ক্লামাইডিয়া সাধারণত মূত্রনালি সংক্রমিত করে। মূত্রনালির সংক্রমণের নাম ইউরেথ্রাইটিস। ক্লামাইডিয়া এপিডিডাইমিস বা প্রোস্টেট গ্রন্থিও সংক্রমিত করতে পারে। এপিডিডাইমিস হলো ছোট একটি গ্রন্থি, যা অ-কোষের সঙ্গে যুক্ত থাকে। এটি শুক্রাণু উৎপাদনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। প্রোস্টেট গ্রন্থি থাকে পুরুষাঙ্গের গোড়ায়। এটি শুক্রাণুর জন্য পুষ্টি উপাদান তৈরি করে। পায়ুপথে সঙ্গম করলে মলদ্বার এবং মলনালিও সংক্রমিত হতে পারে।
উপসর্গ : তেমন কোনো উপসর্গ থাকে না। যদি মূত্রনালি সংক্রমিত হয়, তা হলে যেসব উপসর্গ থাকতে পারে তা হলোÑ পুরুষাঙ্গের মাথা থেকে রস নিঃসৃত হয়, প্রস্রাব করার সময় ব্যথা বা জ্বালাপোড়া করে, এপিডিডাইমিস সংক্রমিত হলে অ-কোষে ব্যথা করে। প্রোস্টেট গ্রন্থি সংক্রমিত হলেÑ মূত্রনালি থেকে নিঃসরণ হবে, প্রস্রাব করার সময় কিংবা প্রস্রাব করার পর ব্যথা বা জ্বালাপোড়া করে অথবা অস্বস্তি বোধ হয়, যৌনসঙ্গমের সময় কিংবা যৌনসঙ্গমের পর ব্যথা করে, পিঠের নিম্নভাগ বা কোমরে ব্যথা করে। কখনো কখনো প্রোস্টেট কিংবা এপিডিডাইমিসের সংক্রমণ হঠাৎ তীব্র হয়। এ ধরনের সংক্রমণের ফলে জ্বর হয় অথবা অসুস্থতার অন্য লক্ষণগুলো দেখা দেয়। পায়ুপথ সংক্রমিত হলেÑ এটির চারপাশে জ্বালাপোড়া করে, পায়খানা করার সময় ব্যথা করে।
চিকিৎসা : সাধারণত সঠিক অ্যান্টিবায়োটিক গ্রহণে সংক্রমণ সেরে যায়। বেশিরভাগ মূত্রনালির সংক্রমণে ৭ দিন অ্যান্টিবায়োটিক গ্রহণের প্রয়োজন হয়। কখনো কখনো একক মাত্রার অ্যান্টিবায়োটিক দিয়ে সংক্রমণের চিকিৎসা করা যেতে পারে। প্রোস্টেট গ্রন্থির সংক্রমণের জন্য ২ থেকে ৪ সপ্তাহ চিকিৎসার প্রয়োজন হতে পারে।
সূত্র/ আমাদের সময়
- কেন আপনার ওষুধের বাক্সে প্যারাসিটামল থাকা উচিত,কীভাবে প্যারাসিটামলের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া চিনবেন
- শীর্ষ ১০টি সবচেয়ে জনপ্রিয় অ্যানিমে কী কী?, সর্বকালের সেরা ২০টি সবচেয়ে জনপ্রিয় অ্যানিমে
- ঠান্ডার লক্ষণগুলির জন্য প্যারাসিটামল ভালো,কীভাবে প্যারাসিটামলের লেবেল পড়ে সঠিকভাবে ব্যবহার করবেন
- যৌনমিলন করার উপকারিতা, নিয়মিত সহবাসের দশটি উপকারিতা,নিয়মিত সহবাসের উপকারিতা কী?
- hsc result 2024