কর্ণফুলী টানেল বিস্তারিত তথ্য, ই-বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও বাংলাদেশ ইলেকট্রনিক বর্জ্য বা ই-বর্জ্য বলতে কি বুঝো,সবুজ কর (Green Tax ) কাকে বলে, সবুজ কর (Green Tax ) মূল উদ্দেশ্য কি?

প্রশ্ন সমাধান: কর্ণফুলী টানেল বিস্তারিত তথ্য, ই-বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও বাংলাদেশ ইলেকট্রনিক বর্জ্য বা ই-বর্জ্য বলতে কি বুঝো,সবুজ কর (Green Tax ) কাকে বলে, সবুজ কর (Green Tax ) মূল উদ্দেশ্য কি?

কর্ণফুলী টানেল

কর্ণফুলী টানেলের অফিশিয়াল নাম বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল, যা কর্ণফুলী নদীর নিচে অবস্থিত নির্মাণাধীন সড়ক সুড়ঙ্গ। টানেলটি সংযুক্ত করবে চট্টগ্রাম নগরীর পতেঙ্গা ও দক্ষিণের আনোয়ারা প্রান্তকে। সম্ভাব্য ডিসেম্বর ২০২২-এ উদ্বোধন হতে যাওয়া কর্ণফুলী টানেলটি বাংলাদেশের ইতিহাসে নদীর তলদেশে নির্মিত প্রথম এবং দীর্ঘতম সড়ক সুড়ঙ্গপথ।

কর্ণফুলী টানেল নির্মাণের ফলে ঢাকা-চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের মধ্যে আধুনিক যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে উঠবে এবং এশিয়ান হাইওয়ের সঙ্গে সংযোগ স্থাপিত হবে। ২০১৯ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি টানেলের বোরিং কাজের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। যৌথভাবে এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে সেতু ও সড়ক মন্ত্রণালয় এবং চায়না কমিউনিকেশন কনস্ট্রাকশন কোম্পানি লিমিটেড। টানেলটি নির্মাণে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ১০ হাজার ৩৭৪ কোটি টাকা।

মূল টানেলের দৈর্ঘ্য ৩ দশমিক ৩২ কিলোমিটার। এর মধ্যে টানেলের প্রতিটি সুড়ঙ্গের দৈর্ঘ্য ২ দশমিক ৪৫ কিলোমিটার। দুই সুড়ঙ্গে দুটি করে মোট চারটি লেন থাকবে। কর্ণফুলী নদীর তলদেশ দিয়ে ১৮ থেকে ৩১ মিটার গভীরতায় সুড়ঙ্গ তৈরি হয়েছে। প্রতিটি ৩৫ ফুট প্রশস্ত ও ১৬ ফুট উচ্চতার।

মূল টানেলের সঙ্গে পশ্চিম ও পূর্ব প্রান্তে ৫ দশমিক ৩৫ কিলোমিটার সংযোগ সড়ক থাকবে। আর আনোয়ারা প্রান্তে রয়েছে ৭২৭ মিটার দীর্ঘ উড়ালসেতু। ফলে চীনের সাংহাইয়ের আদলে চট্টগ্রামও হয়ে উঠবে ওয়ান সিটি টু টাউন। দেশের জিডিপি-প্রবৃদ্ধিসহ জিডিপি প্রবৃদ্ধিসহ সামগ্রিক অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা রাখবে কর্ণফুলী টানেলটি।


আরো ও সাজেশন:-

ই-বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও বাংলাদেশ ইলেকট্রনিক বর্জ্য বা ই-বর্জ্য বলতে

ই-বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও বাংলাদেশ ইলেকট্রনিক বর্জ্য বা ই-বর্জ্য বলতে পরিত্যক্ত বৈদ্যুতিক বা ইলেকট্রনিক সরঞ্জাম বা পরিত্যক্ত যন্ত্রপাতিকে বোঝায়। ইংরেজিতে এগুলো Wast Electrical and Electronic Equipment সংক্ষেপে WEEE এবং বাংলায় ই-বর্জ্য হিসেবে পরিচিত।

বাংলাদেশ সরকার দেশের ই-বর্জ্য এবং কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনার লক্ষ্যে ‘ই-বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিধিমালা, ২০২১’ প্রণয়ন করেছে। সমন্বিত বর্জ্য ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে তিনটি R নীতি – Reduce (কমানো), Re use (পুনব্যবহার) এবং Recycle (পুনশ্চক্রীকরণ) পরিচালনা করেছে সরকার।

ঢাকা সিটি করপোরেশন ও জাপান আন্তর্জাতিক সহযোগী সংস্থা (জাইকা) এর যৌথ উদ্যোগে ঢাকার বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য ক্লিন ঢাকা মাস্টারপ্ল্যান নামে মহাপরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। সোশ্যাল বিজনেস এন্টারপ্রাইজ ওয়েস্ট কনসার্ন, বাসাবাড়ি পর্যায়ে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার কাজ করছে। ইউনিসেফ সিটি করপোরেশন ও পৌরসভাগুলোতে বর্জ্য পুনর্ব্যবহার ও নিয়ন্ত্রণের কাজ শুরু করেছে।

এ ছাড়া ই-বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় সরকার ‘বাংলাদেশ এনভায়রমেন্টাল সাসটেইনেবিলিটি অ্যান্ড ট্রান্সফরমেশন প্রজেক্ট’ এবং হাইটেক সিটিতে ‘ই-বর্জ্য ব্যবস্থাপনা প্ল্যান্ট’ এর পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে।

অর্থ্যাৎ সব বর্জ্য পরিকল্পনায় আওয়তায় সরকার ই-বর্জ্য ব্যবস্থাপনাকে গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছে। বাংলাদেশ মোবাইল ইমপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন দেশে ই-বর্জ্য রোধ করতে সংযোজনকারী ও বড় আমদানিকারকের ই-বর্জ্য সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে দিয়েছে।

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

সবুজ কর (Green Tax ) মূল উদ্দেশ্য কি?

সবুজ কর হলো পরিবেশ দূষণকারী কর্মকাণ্ডের ওপর আরোপিত আবগারি শুল্ক। সবুজ করের অর্থ- পরিবেশের উন্নয়ন করা, পরিবেশের ওপর নেতিবাচক প্রভাব হ্রাস করা বা পরিবেশগতভাবে টেকসই পরিবেশ তৈরি করতে সহায়তা করা।

সবুজ কর পরিবেশগত সমস্যা সমাধানের জন্য এক ধরনের অর্থনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে কাজ করে। এই করকে কখনো সবুজ কর (Green tax), কখনো পরিবেশগত কর (Environmental tax), কখনো দূষণ কর (Pollution tax), আবার কখনো বাস্তুসংস্থান কর (Ecological tax) বলা হয়ে থাকে। ডিকার্বনাইজড অর্থনীতি তথা টেকসই উন্নয়নের পথে অগ্রসর হওয়ার মূল চাবিকাঠি হিসেবে সবুজ করের গুরুত্ব অপরিসীম।

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (IMF) এর প্রস্তাব হচ্ছে যেসব দেশ সবচেয়ে বেশি গ্রিন হাউস গ্যাস নির্গমন করে তাদেরকে কার্বন ডাই-অক্সাইড নির্গমনের ওপর কর দিতে হবে। আইএমএফ এর মতে এই হার ২০৩০ সালে প্রতি টন ৭৫ মার্কিন ডলার অথবা ৬৮ ইউরো হতে হবে। ফ্রান্সে ২০০৮ সালে সবুজ কর চালু হয়েছে। এছাড়াও ইতালি, জার্মানি, যুক্তরাজ্য, স্পেন, সুইডেন, ডেনমার্ক ইত্যাদি দেশে সবুজ কর চালু রয়েছে।

বাংলাদেশ সরকার জুন ২০১৪ থেকে দূষিত কারখানা, মূলত ট্যানারিগুলোর ওপর এক শতাংশ হারে সবুজ কর আরোপ করেছে। এর মাধ্যমে উৎপাদনকারী শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের নিয়মিত করের সঙ্গে কতটা পরিবেশদূষণ করছে তার ওপর নির্ধারিত সবুজকর প্রদান করে। জলবায়ুর লাগামহীন পরিবর্তন রোধ করে পরিবেশগতভাবে টেকসই ভবিষ্যত নিশ্চিত করতে সবুজ কর আরোপ একটি উৎকৃষ্ট অর্থনৈতিক সমাধান।

প্রশ্ন ও মতামত জানাতে পারেন আমাদের কে ইমেল : info@banglanewsexpress.com

আমরা আছি নিচের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুলোতে ও

Leave a Comment