উপন্যাস: লালসালু, লালসালু’ উপন্যাসে স্কুল প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নিয়েছিল কে?

উপন্যাস: লালসালু

৩। শাহাজাহান মিয়ার দ্বিতীয় স্ত্রী জুলেখা ঘুমকাতুরে। এ মেয়েটি ঠিকমতাে নামাজ পড়ে না, সারাক্ষণ ঘুম আর ঘুম। কিন্তু শাহাজাহান মিয়া এ বিষয়ে খুবই কঠোর। নামাজ না পড়ার অপরাধে সে স্ত্রীকে কঠোর শাস্তি দিতেও দ্বিধা করে না। এ রকম এক পরিস্থিতিতে একদিন সে তার প্রথম স্ত্রীকে বলে, “খােদার কামে ঐ সব ফাইজলামি চলে না। যাও, গিয়ে তারে ঘুম থিক্যা তােল, তারপর নামাজ পড়বার কও”।

ক. ‘লালসালু’ উপন্যাসে স্কুল প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নিয়েছিল কে?

উত্তর: লালসালু উপন্যাসে স্কুল প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নিয়েছিল আক্কাস মিঞা।

খ. ‘জোরে হাইস না বইন, মাইনষে হনবাে।’ উক্তিটির অর্থ কী? বুঝিয়ে দাও।

উত্তর: ‘জুড়ে হাইস না বইন, মাইনষে হুনবাে’ উক্তিটি দ্বার জমিলাকে উচ্চস্বরে না আসার জন্য ধর্মীয় অপব্যাখ্যা করা হয়েছে।

গ্রামের চপলা চঞ্চলা কিশােরী মেয়ে জমিলা সংসারের অভাব এ কারণে তার বিয়ে হয় মজিদের মতাে বৃদ্ধের সাথে। তারপরও তার মধ্যে পল্লীর দুরন্ত কিশােরীর স্বভাবটা রয়েই যায়,

যা তার হাসিতে ফুটে উঠে। হাসতে হাসতে সে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। বিচিত্র ভাবে জীবন্ত সে হাসি ঝরনার অনাবিল গতির মত ছন্দময়ী দীর্ঘ সমাপ্তহীন ধারা।

এতে ভয় পেয়ে মসজিদের ওপর বউ রহিমা প্রশ্নোক্ত উক্তিটি করেছিল।

গ. উদ্দীপকের জুলেখা ‘লালসালু উপন্যাসের কোন চরিত্রের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ? ব্যাখ্যা কর।

উত্তর; উদ্দীপকের জুলেখা লালসালু উপন্যাসের জমিলা চরিত্রের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। লালসালু উপন্যাসের মজিদের দ্বিতীয় স্ত্রীর। নাম জমিলা।

সে গ্রামের চপলা চঞ্চলা বালিকা মজিদের ঘরে সে তার চপলতা প্রকাশ করতে না পারলেও মজিদের সৃষ্ট কঠিন নিয়ম মানতে পারেনা। ফলে তাঁর চরিত্রে অভদ্রতা প্রকাশ পায় সন্ধ্যা হতে না হতেই সে নামায না পড়ে ঘুমিয়ে যায়।

নিদারুণ ঘুমের জন্য নামাজ তাে দূরের কথা মাঝে মধ্যে তার খাওয়া দাওয়ায় হয়ে উঠে না। উদ্দীপকে শাহাজাহান মিয়ার দ্বিতীয় স্ত্রী জুলেখা ও লালসালু উপন্যাসের জমিলা চরিত্রের অনুরূপ।

ঘুমকাতুরে জুলেখা জমিলার মত ঠিকমতাে নামাজ পড়ে না। এ অপরাধে স্বামীর কাছে কঠোর শাস্তি ভােগ করলেও তার অবস্থার পরিবর্তন হয়না। তাই জুলেখা জমিলা চরিত্রের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।

ঘ. উদ্দীপকটি ‘লালসালু উপন্যাসের একটি বিচ্ছিন্ন অংশমাত্র, সর্বাংশ নয়। মন্তব্যটির যথার্থতা নিরূপণ কর।

উত্তর: লালসালু উপন্যাসের একটি বিচ্ছিন্ন অংশমাত্র, সর্বাংশ নয়। মন্তব্যটি যথার্থ। আমাদের সমাজকে যারা পিছনের দিকে ধাবিত করে তাদের মধ্যে অন্যতম হলাে ধর্ম ব্যবসায়ীরা। আর ধর্ম যেহেতু মানুষের সবচেয়ে অনুভূতিশীল বস্তু তাই মানুষ খুব সহজে ধর্মের অপব্যাখ্যা বিশ্বাস করে।

ফলে এসব ধর্মব্যবসায়ী ধর্মকে নিজের স্বার্থে ব্যবহার করে। শাহজাহান মিয়া লালসালু উপন্যাসের মজিদের চরিত্রের প্রতিনিধিত্ব করে। সেও স্ত্রীকে নামাজ না পড়ার কারণে শাস্তি দিতে দ্বিধা করে ন।

শাহাজাহান মিয়া ধর্মীয় বিষয়ে অত্যন্ত কঠোরতা প্রকাশ পায়।। লালসালু উপন্যাসে এমনই একটি চরিত্র হলাে মজিদ। মিথ্যাবাদী ভনড ধর্ম ব্যবসায়ী সে পুরনাে এক কবরকে পীরের কবর বলে চালিয়ে দিয়েছে। মহব্বতনগর গ্রামের সাধারণ মানুষের ধর্ম বিশ্বাসকে পুঁজি করে নিজের স্বার্থে ব্যবহার করে চলেছে। অবিরামভাবে।

Leave a Comment