How does the internet work?, ইন্টারনেটের কি ভাবে কাজ করে?, আমরা যে প্রতিদিন এত ডাটা ইন্টারনেট এ খরচ করি তার উৎস বা উৎপন্ন কোথায় হয়?,ইন্টারনেট কি এবং কিভাবে কাজ করে ?,ইন্টারনেট কিভাবে কাজ করে

আজকের বিষয়: How does the internet work?, ইন্টারনেটের কি ভাবে কাজ করে?, আমরা যে প্রতিদিন এত ডাটা ইন্টারনেট এ খরচ করি তার উৎস বা উৎপন্ন কোথায় হয়?,ইন্টারনেট কি এবং কিভাবে কাজ করে ?,ইন্টারনেট কিভাবে কাজ করে

আজ ইন্টারনেট কোনখানে নেই ? লোকেদের ঘরে ঘরে, অফিসে, বিভিন্ন কার্যালয়ে  এবং মোবাইলের মাধ্যমে আমাদের হাথে হাথে ইন্টারনেট রয়েছে।

এবং, এই কম্পিউটার নেটওয়ার্কের মাধ্যমে আমরা একে আরেকজনের সাথে অনেক সহজে সংযুক্ত বা কানেক্ট হয়ে থাকতে পারছি। সত্যি বললে, এর ব্যবহার ছাড়া এখনের সময়ে কিছুই কাজ সম্ভব না।

ইন্টারনেট কাকে বলে (Internet Meaning In Bangla) এর ব্যাপারে সবটাই আমি আপনাকে বলবো। কিন্তু, তার আগেই জেনে রাখুন, আজকাল লোকেরা না খেয়ে, না ঘুমিয়ে, বিনা বিদ্যুৎ সেবায় থাকতে পারবে কিন্তু, এই Internet ছাড়া তো কখনোই থাকতে পারবেনা।

আপনি হয়তো ভাবছেন, এইটা কেবল বলার কথা। কিন্তু, আজ বাচ্চার থেকে young ছেলে মেয়েরা এবং তাদের থেকে মধ্যম বয়েসের লোকেরা, সবাই নিজের নিজের মোবাইল ডিভাইসে ব্যস্ত হয়ে থাকেন। এবং, যদি আপনি তাদের জিগেশ করেন যে তারা কি করছেন, তখন উত্তর পাবেন “Internet“.

কেও হয়তো, অনলাইন ভিডিও দেখছেন আবার কেও হয়তো একে আরেকজনের সাথে কথা বলছেন আবার অনেকেই হয়তো বিভিন্ন বিষয়ে জ্ঞান নেয়ার জন্য ইন্টারনেট ব্যবহার করছেন। সোজা ভাবে বললে, এ আপনাকে পুরো ২৪ ঘন্টা ব্যস্ত করে রাখতে পারবে।

সত্যি বললে, ইন্টারনেটের এই সুবিধা আমাদের জন্য একটি অবদান। এবং, এর ব্যবহার না করে থাকাটা আজ আমাদের জন্য একটি অসম্ভব বেপার হয়ে দাঁড়িয়েছে।

তাহলে চলুন, ইন্টারনেট মানে কি ? কিভাবে কাজ করে , এর লাভ ও সুবিধা এবং এরকমি কিছু আরো জিনিস ইন্টারনেটের ব্যাপারে আমরা নিচে ভালো করে জেনেনেই।

ইন্টারনেট কি ? (What Is Internet In Bangla)

ইন্টারনেট (Internet), আধুনিক টেলিযোগাযোগের (Telecommunication) একটি নেটওয়ার্ক বা মাধ্যম যেটা telephone lineতার (cables)satellitesবেতার সংযোগ (wireless connections) ব্যবহার কোরে কম্পিউটার বা অন্য ডিভাইস গুলিকে World Wide Web (www) এর সাথে আমাদের সংযুক্ত (connect) করে।

World Wide Web (www) হলো ইন্টারনেটে তথ্য গ্রহণের পদ্ধতি। এই পদ্ধতিতে, হাইপারটেক্সট লিংক (hypertext link) এর মাধ্যমে ইন্টারনেটে থাকা বিভিন্ন ডকুমেন্ট (document) বা ফাইল একে একের সাথে সংযুক্ত হয়ে থাকে।

ফলে, এই hypertext link এর ব্যবহার করে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা তাদের প্রয়োজন হিসেবে, একটি ডকুমেন্ট বা তথ্যের থেকে আরেকটি ডকুমেন্ট বা তথ্যের দিকে এগিয়ে যেতে পারেন।

এবং, প্রয়োজন হিসেবে নিজের কম্পিউটারে সেই তথ্য বা ডকুমেন্ট গুলি প্রাপ্ত করতে পারেন।

আজ, সব ধরণের কম্পিউটার ডিভাইস যেমন modern computer, laptop, smartphone, smart TV এবং আরো অন্য ডিভাইস ইন্টারনেটের সাথে কানেক্ট হতে পারে।

সোজা ভাবে ইন্টারনেট কাকে বলে ?

ইন্টারনেট এমন একটি কম্পিউটার নেটওয়ার্ক যেই নেটওয়ার্ক পৃথিবীর সব থেকে বড়ো এবং ব্যস্ত। সোজা ভাবে বললে, বিশ্বের সব কম্পিউটার গুলি যেই নেটওয়ার্ক দ্বারা একে আরেকটির সাথে সংযুক্ত হয়ে আছে, সেই নেটওয়ার্কটি হলো ইন্টারনেট।

যখনি আমরা, আমাদের মোবাইল বা কম্পিউটারের মাধ্যমে, এই নেটওয়ার্কের (ইন্টারনেট) সাথে সংযুক্ত হয়ে যাই, তখন আমরা নেটওয়ার্কের একটি বিশাল জালের ভাগ হয়ে দাড়াই। এবং একে “Global network” বলা হয়।

এখন, যেই Global network এর সাথে আমরা সংযুক্ত (connect) হয়ে আছি, তার সাথে কানেক্টেড (connected) যেকোনো কম্পিউটারে থাকা যেকোনো তথ্য আমরা আমাদের কম্পিউটার বা ডিভাইসে প্রাপ্ত করতে পারি।

আসলে, একটি ডিভাইসের মাধ্যমে, এই Global network এর সাথে connect হয়ে, বিশ্বের অন্য অন্য কম্পিউটারে থাকা বিভিন্ন তথ্য, ফাইল বা ডকুমেন্ট গ্রহণ করার জন্য ব্যবহার করা কম্পিউটার নেটওয়ার্কটি (computer network) হলো ইন্টারনেট (Internet).

তাহলে, “ইন্টারনেট মানে  কি” এবেপারে আপনার কিছু জ্ঞান হয়তো এখন হয়েছে।

ইন্টারনেট কিভাবে কাজ করে ? (How Does Internet Works)

এখন প্রশ্ন এটাই আসে যে, নেটওয়ার্ক এর এই বিশাল জাল, যাকে আমরা ইন্টারনেট বলি সেটা কাজ কিভাবে করে ? আমরা ইন্টারনেটের সাথে কিভাবে কানেক্ট হতে পারি ? মানে ইন্টারনেটের কাজ করার উপায় বা প্রক্রিয়া কি।

আমি ওপরে আপনাদের বলেছি, ইন্টারনেট হলো সেই কম্পিউটার নেটওয়ার্ক যেটা বিশ্বের বিভিন্ন কম্পিউটারের সাথে যোগ (connect) হয়ে আছে। ঠিক সেভাবেই, যেভাবে আমাদের ঘরের ল্যান্ডলাইন ফোন (landline phone) একে আরেকটির সাথে তারের মাধ্যমে connect হয়ে আছে।

ইন্টারনেটের সঠিক ভাবে কাজ করার জন্য তাকে তার Global network এর সাথে তার (wire) বা বেতার (wireless) যেকোনো একটির  মাধ্যমে সংযুক্ত হয়েই থাকতে হবে।

এবং তারপর, গ্লোবাল নেটওয়ার্কে জড়িত থাকা বিভিন্ন কম্পিউটারের সাথে আমাদের কম্পিউটার “Router” এবং “Server” এর মাধ্যমে সংযোগ (connect) হয়ে, বিভিন্ন data এবং information সংগ্রহ করে নেয়। এভাবেই কাজ করে ইন্টারনেট।

এখন, ইন্টারনেট (internet) কাজ করার জন্য ৩ টি জিনিসের প্রয়োজন। 

  • একটি ডিভাইস (device) যেখান থেকে ইন্টারনেট ব্যবহার বা চালু করা যাবে।
  • Internet service provider (ISP) থেকে ইন্টারনেট সেবা গ্রহণ করা।
  • একটি ওয়েব ব্রাউসার (Web browser) বা এপ্লিকেশন।

১. একটি ডিভাইস (Device) এর প্রয়োজন 

ইন্টারনেট কাজ করার জন্য প্রথমেই হবে একটি ডিভাইস এর প্রয়োজন। সেই ডিভাইস, একটি কম্পিউটার (Computer), ল্যাপটপ (Laptop), স্মার্টফোন (smartphone) বা ট্যাবলেট (Tablet) যেকোনো একটা হতে পারে। আজকাল বিভিন্ন স্মার্ট টিভি বের হয়ে গেছে জেগুলিতেও ইন্টারনেট ব্যবহার করা যায়।

এখন, একটি ডিভাইসের (device) পর আমাদের প্রয়োজন হবে একটি ইন্টারনেট কানেক্শনের (connection).

২. ISP থেকে ইন্টারনেট সেবা নিতে হবে 

ইন্টারনেট কানেক্শন (Internet connection) নেয়ার পর আমরা আমাদের ডিভাইস বা কম্পিউটারকে ইন্টারনেটের সাথে সংযুক্ত করে, Global network এর সেই বিশাল জালের সাথে কানেক্ট করতে পারি।

আমরা অনেক সহজেই, আমাদের আসে পাশে থাকা Internet Service Provider (ISP) গুলির থেকে ইন্টারনেট সেবা (internet service) নিয়ে নিতে পারি। Airtel, Vodafone, Idea বা BSNL এই কোম্পানি গুলি আমাদের telecommunication services দেয়ার সাথে সাথে internet service ও প্রদান করেন।

তাই, এগুলিও একটি internet service provider বা ISP.

ISP গুলির থেকে ইন্টারনেট সেবা কিনে বা নিয়ে আমরা তারপর তার (wire) বা বেতার (wireless) যেকোনো মাধ্যমে নিজেদের কম্পিউটারে ইন্টারনেট সেবা কানেক্ট করে নিতে পারি।

ইন্টারনেট কানেক্ট হয়ে যাওয়ার পরের অবস্থাটাকে “অনলাইন” বলা হয়।

৩. ডিভাইসে একটি ওয়েব ব্রাউজারের প্রয়োজন 

মনে রাখবেন, যেকোনো ডিভাইসে, ইন্টারনেট কাজ করার জন্য বা ইন্টারনেট ব্যবহার করার জন্য, আপনার একটি ওয়েব ব্রাউজার (web browser) বা অন্য কিছু এপ্লিকেশন (application) এর প্রয়োজন হবে।

ওয়েব ব্রাউজার এমন একটি সফটওয়্যার বা এপ্লিকেশন, যে আপনাকে আপনার কম্পিউটার বা ব্যবহার করা ডিভাইস থেকে ইন্টারনেটের সেই নেটওয়ার্কের জালের সাথে সংযুক্ত হতে দেয় যাকে আমরা “গ্লোবাল নেটওয়ার্ক” বলি।

এবং, তারপর ডোমেইন (Domain)আইপি (IP) এবং ওয়েবসাইটের মাধ্যমে গ্লোবাল নেটওয়ার্কের সাথে কানেক্টেড অন্য অন্য কম্পিউটার থেকে তথ্য, ফাইল বা ডকুমেন্ট দেখতে বা গ্রহণ করতে পারি।

মনে রাখবেন, আধুনিক ইন্টারনেটের সেবার দ্বারা আমরা অন্য অনেক কাজ করতে পারি। যেমন, অনলাইনে ভিডিও কল (video call), অনলাইন মেসেজে চ্যাটিং (online chatting), ফটো বা ভিডিও শেয়ার করা, ভিডিও দেখা আরও অনেক।

এবং, ইন্টারনেটের এই আলাদা আলাদা অনলাইন সেবা ব্যবহার করার জন্য আপনার কিছু আলাদা আলাদা এপ্লিকেশন বা সফটওয়্যারের প্রয়োজন হতে পারে।

কেবল, ওয়েব ব্রাউসার দিয়েই সবটা সম্ভব না।

তাহলে, ইন্টারনেট কিভাবে কাজ করে, এবেপারে হয়তো আপনি ভালো করেই বুঝে গেছেন।

ইন্টারনেটের ইতিহাস (History Of Internet)

ইন্টারনেটের আবিস্কার করাটা কিন্তু সহজ কাজ কখনোই ছিলোনা। এবং, কেবল একজনের পক্ষেও এই টেকনোলজি (Technology) খুঁজে বের করা সহজ কাজ না। Internet আবিস্কার করার জন্য, অনেক programmer, scientist এবং engineer দেড় প্রয়োজন হয়েছিল।

আমেরিকার একটি এজেন্সী (american agencyARPANET স্থাপনা হয়েছিল ১৯৬৯ শনে। এবং, এই এজেন্সির কাজ ছিল, একটি কম্পিউটার কে আরো একটি কম্পিউটারের সাথে সংযোগ বা কানেক্ট করার।

পরে, ১৯৮০ সনের পরে পরে গিয়ে এই টেকনোলজির নাম “ইন্টারনেট” হয়ে দাঁড়ালো।

১৯৮৩ সনের ১ তারিখে ইন্টারনেটের আরম্ভ হয়েছিল। ইন্টারনেট শুরু হওয়ার সময় একে বলা হতো  “Network of network” যদিও আজকের modern society তে এর নাম “Internet” হয়ে দাঁড়িয়েছে।

কিন্তু, আগেই অনলাইনের দুনিয়া এতো ভাবে স্বীকার করার যোগ্য (recognizable) ছিলোনা। কিন্তু, ১৯৯০ র পর যখন “computer scientist Tim Berners-Lee” উদ্ভাবিত (invented) করলো world wide web (www) এর, তখন লোকেদের জন্য এই ইন্টারনেট অনেক কাজের, মজার এবং স্বীকার করার যোগ্য হয়ে দাঁড়ালো।

ইন্টারনেটের মালিক কে ? ইন্টারনেট কে উদ্ভাবন (invent) করেছে 

এখন, আমরা যদি বলি যে, ইন্টারনেট কে আবিস্কার করেছে বা ইন্টারনেটের মালিক কে, তাহলে তার কোনো সোজা জবাব নেই।

যা আমরা ওপরে বললাম, ARPANET নামের এজেন্সিতে অনেক scientist, programmer এবং engineer কাজ করেছে। এবং, তারাই ইন্টারনেটের বিষয়ে গবেষণা (research) করা শুরু করলেন। এবং, সত্যি বললে এরা সবাই ইন্টারনেটের উদ্ভাবনের জন্য দায়ী।

কিন্তু, internet বললে আমরা এর সবথেকে জরুরি ভাগ “TCP/IP PROTOCOL” টাকেই ভাবি। এবং, এই “TCP/IP PROTOCOL” টি উদ্ভাবন (invent) করেছিলেন Vincent Cerf [sic] and Robert Kahn.

ইন্টারনেটের (internet) ব্যবহার (Uses Of Internet)

আজ ২০১৯ এ, ইন্টারনেটের ব্যবহার এবং কাজের কোনো সীমা নেই। প্রত্যেকটি কাজের জন্য আমরা অনলাইন টেকনোলজির (Online technology) ব্যবহার করছি।

সে, অনলাইন ওয়েবসাইটে গিয়ে data, information বা document গ্রহণ করার থেকে লাইভ ভিডিও কল করা, ইন্টারনেটের মাধ্যমে টিভি দেখা, দেশ বিদেশের লোকেদের সাথে call বা messages এর মাধ্যমে কথা বলা এবং ঘরে বসেই শিক্ষা গ্রহণ করা। সবটাই ইন্টারনেটের ব্যবহার করে সম্ভব।

আজ, যেকোনো জিনিসের ব্যাপারে আমরা নিমিষের মধ্যেই জ্ঞান পেয়ে যেতে পারি ইন্টারনেট ব্যবহার করে। এবং, এরকম আরও অনেক ধরণের কাজ আমরা করতে পারি যেগুলি কোনোদিন ধারণাও করা হয়নি।

ইন্টারনেটের সঠিক ব্যবহার, আমাদের জীবন অনেক সহজ এবং সোজা কোরে দিতে পারে।

তাহলে  চলুন, নিচে আমরা ইন্টারনেটের কিছু ব্যবহার জেনেনি যেগুলি এখনকার দিনে অনেক গুরুত্বপূর্ণ বা প্রচলিত।

ইন্টারনেটের ৭ টি সেরা ব্যবহার ও লাভ 

Electronic mail (Email) : ইন্টারনেট ব্যবহার করে আমরা email বা electronic mail পাঠাতে পারি। Email অনলাইন যোগাযোগের একটি অনেক বিখ্যাত (famous) মাধ্যম। আজ ৮০ % ইন্টারনেট ব্যবহার কারীরা, সহজ এবং দ্রুত যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে email বা electronic mail service এর ব্যবহার করেন।

File download করা : আমরা অনেক সহজে বিভিন্ন server বা website থেকে file, video, গান, ছবি, সফটওয়্যার, ডাউনলোড কোরে নিজের কম্পিউটার বা মোবাইলে ব্যবহার করতে পারি। এভাবে, যেকোনো ফাইল আমরা ঘরে বসেই অনেক সহজে পেয়ে যাচ্ছি।

Educational benefits : আজ যেকোনো জিনিসের বিষয়ে যদি আপনি জানতে চান বা শিখতে চান, তাহলে চিন্তা করবেননা। A to Z সব জিনিসের বিষয়ে আপনি শিখে নিতে পারবেন। ইন্টারনেটে সব কিছুর information আপনি পাবেন।

Online shopping : কিছু বছর আগে, এই ব্যাপারে কোনো রকমের ভাবও কারো মনে ছিলোনা। কিন্তু আজ, ইন্টারনেটের মাধ্যমে অনলাইন শপিং (online shopping) করাটা এক ধরণের প্রচলন হয়ে দাঁড়িয়েছে।

ভাবুন তো, আপনি ঘরে বসেই ইন্টারনেটের ব্যবহার করে যা যা কিনতে চান সেগুলি মোবাইলেই দেখে অর্ডার (order) করছেন।

এবং, আপনার অর্ডার করা জিনিস আপনার কাছে এসে যাচ্ছে। Modern internet technology র এ এক ধরণের উপহার বললে আমি ভুল হবোনা।

যোগাযোগ করার মাধ্যম (Fast communication) : ইন্টারনেটের অধিক ব্যবহার আমরা একে আরেকজনের সাথে অনলাইন যোগাযোগের জন্য ব্যবহার করি। এর মাধ্যমে, আমরা দেশে বিদেশের যেকোনো জায়গার থেকে আমাদের পরিবারের প্রিয়জনের সাথে অনেক সহজে দ্রুত যোগাযোগ করতে পারি।

সে, ভিডিও কলসোশ্যাল মিডিয়া চ্যাটিংইমেইল বা ভয়েস কল যেকোনো মাধ্যমে হতে পারে।

Entertainment বা বিনোদনের জন্য : আজ ৫০% ইন্টারনেট ব্যবহার কারীরা কেবল entertainment বা মনোরঞ্জনের জন্য ইন্টারনেট ব্যবহার করছেন। এবং, মনোরঞ্জনের এই মডার্ন টেকনোলজির সামনে অন্য কোনো মাধ্যম আমাদের ভালো লাগেনা।

আজ, সিনেমা দেখা, গান শুনা, সিরিয়েল দেখা, সবটাই হাথের আঙুলে রয়েছে। আপনার যেটা দেখার বা শোনার মন, কেবল নিজের মোবাইল বা কম্পিউটারে মাধ্যমে ইন্টারনেটে সার্চ করলেই পেয়ে যাবেন।

যদি আপনি YouTube এর ব্যাপারে জানেন, তাহলে হয়তো ভালো করেই বুঝে গেছেন, আমি কি বলতে চাই।

এখনকার ছেলে মেয়েরা টিভি (TV) বা  dvd এগুলির ব্যাপারে কোনো রুচি রাখেনা। কারণ, ইন্টারনেটের সুবিধা থাকতে, তাদের আর অন্য কোনো entertainment এর মাধ্যমের প্রয়োজন হয়না।

তথ্য খোঁজার জন্য (search information) : আজ লোকেরা অনলাইন অনেক বেশি সময় থাকছেন বিভিন্ন বিষয়ে তথ্য (information) খোঁজার জন্য। যা আমি আগেই বলেছি , ইন্টারনেটের মাধ্যমে দেশ বিদেশের যেকোনো তথ্য আমরা নিমিষের মধ্যে পেয়ে যেতে পারি। Internet আপনার কাছে থাকতে, যেকোনো information আপনি সেকেন্ডের মধ্যে পেয়ে যাবেন।

ঘরে বসেই ইনকামের মাধ্যম (online income) : ওপরে আমি বলা ব্যবহার গুলির বাইরেও ইন্টারনেটের একটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ ব্যবহার এখনের সময়ে অনেক দেখা যাচ্ছে। এবং সেটা হলো, অনলাইন টাকা ইনকাম।

হে, এটা সত্যি এবং ঘরে বসে টাকা আয়ের অনেক লাভজনক মাধ্যম।  আজ অনেকেই, YouTube channelbloggingFreelancing এবং আরো অন্য অনেক মাধ্যম ব্যবহার কোরে ইন্টারনেট থেকে টাকা আয় করছেন।

তাই, ইন্টারনেটের এমন অনেক লাভজনক ব্যবহারের ব্যাপারে কিন্তু কখনোই ভাবা জাইনেই। কিন্তু, এতে হচ্ছে এবং অনেকেই ইন্টারনেট কে নিজের আয়ের মাধ্যম বানিয়ে নিয়েছে।

তাহলে, ইন্টারনেটের লাভ ব্যবহার এবং সুবিধা গুলি হয়তো আগে আপনি জানতেননা। আশা করি, আপনাকে আমি ইন্টারনেটের বিষয়ে অনেক কিছুই জানিয়ে দিতে পারলাম। 

ইন্টারনেটের ব্যাপারে জানাটা কেন জরুরি ?

এখনকার দিনে, সবথেকে বেশি পরিমানে knowledge এবং information ইন্টারনেটের মাধ্যমেই পাওয়া যেতে পারে। এবং, সব ধরণের মানুষেরা নতুন নতুন জিনিসের ব্যাপারে জানার অনেক ইচ্ছুক থাকেন।

তাছাড়া, online video বা article এর মাধ্যমে আমরা যেকোনো বিষয়ে শিখে নিয়ে নিজের দক্ষতা (skill) এবং ক্ষমতা মাড়িয়ে নিতে পারি।

আজ, বেশির ভাগ লোকেরা ইন্টারনেট থেকে রোজ কিছু নতুন শিখে সেগুলি নিজের জীবনে প্রয়োগ (apply) করছেন। এবং, অনেকেই আজ ইন্টারনেট থেকে কিছু নতুন শিখে সফল হয়ে দাঁড়িয়েছেন।

তাছাড়া, আজকাল ইন্টারনেট যোগাযোগের জন্য সব থেকে বেশি ব্যবহার হচ্ছে। তাই, আপনি যদি ইন্টারনেটের বেপারে জ্ঞান না রাখেন, তাহলে অনেক পিছিয়ে থাকবেন এবং এতে আপনার ক্ষতি। সময়ে, এই যোগাযোগের মাধ্যম আপনার অনেক কাজে লাগতে পারে।

শেষে, আজকাল অফিস (office) এর কাজেও ইন্টারনেট অধিক পরিমানে ব্যবহার করা হয়। তাই, এবেপারে জ্ঞান না থাকলে আপনার চাকরি পেতেও অসুবিধে হতেই পারে।

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

যদিও এই প্রশ্ন নিজে থেকেই তেমন একটা ভ্যালিড নয় (আর্টিকেলের শেষে নিজেই বুঝে যাবেন, কেন এমনটা বলছি), কিন্তু তারপরেও সোস্যাল মিডিয়াতে বা আমাকে অনেকে ইনবক্স করে এমন প্রশ্ন করে থাকেন। আপনি আপনার প্রশ্ন করার মানেটা বুঝতে পারছি ভাই, এমন প্রশ্ন বছর দশেক আগে আমার মাথায়ও ঘোরপাক খেত। মনে করতাম ইন্টারনেট নির্দিষ্ট কোন সোর্স থেকে আসছে, আর এটা আজব কোন জিনিস!

কিন্তু প্রকৃত পক্ষে এই কনসেপ্ট টা অনেক বেশি সহজ! বিশ্বাস করুন, আমাকে অন্যান্য আর্টিকেলের মতো এটা বুঝাতে হাজার শব্দও খরচ করতে হবে না। তবে আর্টিকেলের মূল বিষয় বস্তুর পাশাপাশি আরো কিছু বোনাস পয়েন্ট নিয়েও আলোচনা করবো, তো শুরু করা যাক…


ইন্টারনেটের সোর্স কোথায়?

উত্তরটা একেবারেই সহজ, আবার সম্পূর্ণ ব্যাপারটা এতোটাও সহজ নয়। দেখুন, সত্যি বলতে ইন্টারনেটের নির্দিষ্ট তেমন কোন সোর্স ই নেই। ভাবছেন, এ আবার কেমন কথা, রাইট? — এর আগে এক আর্টিকেলে আলোচনা করেছিলাম, কেন ইন্টারনেট ধ্বংস করে ফেলা সম্ভব নয় সেই ব্যাপারে। — সেই আর্টিকেলে আমি ইউনিক ভাবে বুঝিয়েছিলাম, সম্পূর্ণ ইন্টারনেট সিস্টেমটাই আসলে কিভাবে গঠিত!

আপনি গিয়ে আগের আর্টিকেলটি পড়ে আসতে পারেন, কেননা সেখানেও ইন্টারেস্টিং অনেক তথ্য রয়েছে কিন্তু এই আর্টিকেলের খাতিরে ব্যাপারটা আবার উল্লেখ্য করছি।

ধরুন, আপনার বাসায় ধরুন ৩-৪ টা ডিভাইস রয়েছে যেগুলো লোকাল নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে একে অপরের সাথে কানেক্টেড রয়েছে। এর মানে আপনি চাইলে একটি ডিভাইস থেকে আরেকটি ডিভাইসের মধ্যে যেকোনো ডাটা বা যে কোন ফাইল এর লোকাল নেটওয়ার্কের মাধ্যমে আদান-প্রদান করতে পারবেন।

এখন মনে করুন আপনার প্রতিবেশী বন্ধু আপনার এই লোকাল নেটওয়ার্কের সাথে যুক্ত হয়ে আপনার কম্পিউটার থেকে সেও কিছু ফাইল ডাউনলোড করতে চায় বা কিছু ডাটা আদান-প্রদান করতে চায়। আবার আপনিও একই ভাবে বন্ধুর কম্পিউটার থেকে কোন ফাইল আদান প্রদান করতে চান। তাহলে কি করতে হবে?

তাহলে এখন ওয়্যারলেসের মাধ্যমে বা তার ব্যাবহার করে আপনার লোকাল নেটওয়ার্ক এবং আপনার বন্ধুর লোকাল নেটওয়ার্ক একসাথে কানেক্টেড করতে হবে, রাইট? এভাবে আপনার যতগুলো বন্ধু একে অপরের সাথে ফাইল আদান প্রদান করতে চাইবেন, সবার লোকাল নেটওয়ার্কের সাথে তার বা বেতারে সংযুক্ত করতে হবে, এই তো?

এখন এই একই ব্যাপারটাকে আপনার পুরো মহল্লার উপরে ভাবুন, তারপরে আপনার পুরো থানার উপরে ভাবুন, ধীরেধীরে এটাকে আপনার বিভাগ লেভেল ভাবুন, তারপরে ভাবুন আপনার সম্পূর্ণ দেশ জুড়ে এমন একটা নেটওয়ার্ক এর সাথে আরেকটা নেটওয়ার্ক যুক্ত। এখানে সবাই সবার লোকাল নেটওয়ার্কের সাথে যুক্ত হয়ে বিশাল এক নেটওয়ার্ক তৈরি হয়ে গেলো, যেখানে সবার ডিভাইস একসাথে কানেক্টেড রয়েছে। তো কি বুঝলেন? হ্যাঁ, এটাই হচ্ছে ইন্টারনেট, এটা আপনার দেশের নিজস্ব ইন্টারনেট! এভাবে দুনিয়ার আলাদা আলাদা দেশ গুলো আবার আলাদা আলাদা দেশের সাথে তাদের নেটওয়ার্ক শেয়ার করে। আর যার ফলে তৈরি হয় আসল গ্লোবাল ইন্টারনেট সিস্টেম!

তো এই জিনিসের কোন অথোরিটি নেই বা কেউ কিন্তু কিছু নিয়ন্ত্রণ করছে না, কিংবা এর কোন নির্দিষ্ট সোর্সও নেই! আপনি ইন্টারনেট ব্যাবহার করছেন, এরমানে আপনিও ইন্টারনেটের একটি সোর্স। এখন আপনার পিসিতে ওয়েব সার্ভার সফটওয়্যার ইনস্টল করলে, আপনি ও দুনিয়াকে কনটেন্ট প্রোভাইড করতে পারবেন। ইন্টারনেটের বাপ বলে কেউ নেই, যে সে মাথা থেকে হাত উঠিয়ে নিলে ইন্টারনেট রাতারাতি গায়েব হয়ে যাবে!

তো বুঝলেন, আপনি নিজেও একজন সোর্স! এই আর্টিকেল যারা পড়ছেন তাদের অনেকই হয়তো টরেন্ট ব্যাবহার করে থাকেন। এটা নিশ্চয় জেনেও থাকবেন যে সরাসরি আপনার পিসি থেকেই অনেক ফাইল টরেন্টের মাধ্যমে অন্য ইউজাররা ডাউনলোড করতে পারে। তো এখানে আপনিও এক সোর্স, কথা ক্লিয়ার?

ইন্টারনেট ডাটার উৎপত্তি কোথায়?

এখন অনেকে আমাকে জিজ্ঞেস করেন, আমরা যে প্রতিনিয়ত ডাটা প্যাক কিনছি সেগুলো খরচ করছি, তো এই ডাটা গুলো আসে কই থেকে আবার ডাটা গুলো খরচ হয়ে যাই-ই বা কোথায়?

মূল কথা হচ্ছে, আপনি ইন্টারনেটে কোন ডাটা খরচও করেন না, আর ডাটা কোথাও উৎপন্নও হয় না। সাধারণ দৃষ্টিতে ব্যাপারটা যেরকম লাগে সেরকম মোটেও না, তাহলে আপনি বলবেন, ফোন থেকে নির্দিষ্ট কোড ডায়াল করলে যে অবশিষ্ট ডাটা ব্যালেন্স দেখানো হয় সেটা আসলে কি?

আপনার সিম ডাটা অ্যাকাউন্টে যতো ডাটা প্রদর্শিত করানো হয়, সেটা হচ্ছে জাস্ট একটা লিমিট, অর্থাৎ আপনি মোট কতোটুকু ব্যান্ডউইথ খরচ করতে পারবেন। আপনার ফোনে ডাটা ব্যালেন্স ১ জিবি রয়েছে এর মানে কোথাও থেকে কেটে আপনাকে ১ জিবি জমা করিয়ে দেয়নি, জাস্ট আপনি ১ জিবি ডাটা ট্র্যান্সফার করতে পারবেন সেটা বুঝানো হচ্ছে।

ইন্টারনেট এক বিশাল কম্পিউটারের সমষ্টি, আমি উপরেও ব্যাপারটা বুঝিয়েছি, আরো জানতে — ইন্টারনেট কি? কিভাবে কাজ করে? — এই আর্টিকেল টি পড়ুন। ধরুন আপনার বাড়িতে রাউটারের সাথে আপনার ৩টি ফোন, ২টা ল্যাপটপ এবং ১টি পিসি কানেক্টেড রয়েছে, আপনি জানেন কি এই ডিভাইজ গুলো একসাথে কানেক্ট করে আপনি নিজের এক ছোট্ট পার্সোনাল ইন্টারনেট তৈরি করেছেন? যদিও একে সরাসরি ইন্টারনেট বলা হয় না বরং লোকাল এরিয়া নেটওয়ার্ক বলে। আসলে এই লোকাল এরিয়া নেটওয়ার্ক আর ইন্টারনেটের মধ্যে তেমন কোন পার্থক্যই নেই, বেসিক গুলো সব সেইম!

আপনি নিশ্চয় শেয়ারইট ইউজ করে এক ফোন থেকে আরেক ফোনে ডাটা/গান/পিকচার শেয়ার করেন তাই না? আপনি কি জানেন, এভাবেই ইন্টারনেট কাজ করে? তাহলে এই ডাটা গুলো কই থেকে আসছে? আসলে এগুলো আরেক কম্পিউটারে স্টোরড থাকা ফাইল যেগুলো আপনি আপনার ডিভাইজে চাচ্ছেন। আর এই ফাইল গুলো সার্ভার থেকে আপনার ডিভাইজে পার করার জন্য ইন্টারনেট কাজ করে জাস্ট!

এখন যারা আপনাকে ইন্টারনেট কানেকশন দিয়ে রেখেছে তারা এই ডাটা পার করতে আপনার থেকে কিছু অর্থ নেয়, এই ডাটা তাদের কাছে নেই, তারা জাস্ট লিমিট সেট করে আপনি কতোটুকু ডাটা ট্র্যান্সফার করতে পারবেন। যেটা হতে পারে যেকোনো ফাইল, জাস্ট এক সার্ভার থেকে আপনার ফোনে বা যেকোনো কম্পিউটারে মুভ করলেই সেটার হিসেব হয়ে যাবে।

তো এবার পরিষ্কারভাবে বুঝলেন তো, ইন্টারনেটের সোর্স কোথায়? বা আপনার আপনার ফোনে যে ডাটা প্যাক গুলো কেনেন সেগুলো আসলে কিভাবে কাজ করে? — আশা করছি যেমনটা ওয়াদা করেছিলাম ঠিক তেমন সহজেই ব্যাপার গুলো বুঝাতে পেরেছি। আরো কোন প্রশ্ন থাকলে নিচের কমেন্ট সেকশন সর্বদা খোলা রয়েছে!

প্রশ্ন ও মতামত জানাতে পারেন আমাদের কে ইমেল : info@banglanewsexpress.com

আমরা আছি নিচের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুলোতে ও

Leave a Comment