dakhil (দাখিল) কৃষি শিক্ষা ১৪তম সপ্তাহের এসাইনমেন্ট সমাধান ২০২২, dakhil krishi shiksha /agricultural education assignment answer 14th week 2022, দাখিল ১৪তম সপ্তাহের কৃষি শিক্ষা অ্যাসাইনমেন্ট ২০২২, dakhil krishi shiksha /agricultural education 14th week assignment answers 2022

শ্রেণি: দাখিল SSC/ 2022 বিষয়: কৃষি শিক্ষা এসাইনমেন্টেরের উত্তর 2022
এসাইনমেন্টের ক্রমিক নংঃ 02 বিষয় কোডঃ 113
বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস// https://www.banglanewsexpress.com/

এসাইনমেন্ট শিরোনামঃ “উত্তমরুপে জমি প্রস্তুত না করে ফসল নির্বাচনই ভূমিক্ষয়ের। একমাত্র কারণ”উক্তির পক্ষে বা বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে যুক্তি উপস্থাপন।

শিখনফল/বিষয়বস্তু :

  • ধাপ উল্লেখপূর্বক জমির প্রস্তুত পদ্ধতি বর্ণনা করতে পারবে। 
  • জমি প্রস্তুতির প্রয়ােজনীয়তা বিশ্লেষণ করতে পারবে। 
  • ভূমিক্ষয় ভূমিক্ষয়ের কারণ ও প্রকারভেদ ব্যাখ্যা করতে পারবে। 
  • ভূমিক্ষয়ের ক্ষতিকারক দিকগুলাে বর্ণনা করতে পারবে। 
  • ভূমিক্ষয়ের কার্যকরী উপায়সমুহ বিশ্লেষণ করতে পারবে। 

নির্দেশনা :  

  • প্রথম অধ্যায়।
  • প্রথম অধ্যায়ের ২য় ও ৩য় পরিচ্ছেদ 
  • জমি প্রস্তুতি কী ও গুরুত্ব 
  • ভূমিক্ষয়ের সঙ্গা 
  • ভূমিক্ষয়ের প্রকার।
  • ভূমিক্ষয়ের কারণ 
  • বিষয়ের সাথে সংশ্লিষ্ট করে উপস্থাপন

  • জমি প্রস্তুতি কী ও গুরুত্ব

উত্তর:

জমি প্রস্তুতি: জমি চাষ করে তা বীজের অংকুরোদগমের জন্য তথা ফসল উৎপাদনের জন্য সুনিপণ করে তোলা বেশ কিছু নিয়ামক দ্বারা নির্ধারিত হয়। যেমন- মাটির প্রকৃতি, জৈব পদার্থের উপস্থিতির মাত্রা, মাটির রস এবং সর্বোপরি ফসলের প্রকারভেদ। স্বভাবতই মাটি যদি দোআঁশ, বেলে কিংবা বেলে দোআঁশ প্রকৃতির হয় তাহলে অল্প চাষ ও মই দিয়ে ভূমিকে ফসল উৎপাদন তথা বীজের অংকুরোদগমের উপযোগী করা যায়। বিপরীতে কাদামাটির ক্ষেত্রে বেশি চাষের প্রয়োজন পড়ে। নিচে জমির প্রস্তুতির উদ্দেশ্য বর্ণনা করা হলো।

১) বীজের অঙ্কুরোদগমের জন্য অনুকূল পরিবেশ তৈরী: মাটিকে কর্ষন করে বীজের অঙ্কুরোদগম ও ফসল জন্মানোর উপযোগী করে ভাল জমি প্রস্তুতিকরণের অনুকূল পরিবেশ তৈরি করতে হবে। জমিতে বারবার চাষ দেওয়ার ফলে মাটি নরম হয়, আর তাতে বীজ গজানো ও ফসল জন্মানোর এক ভৌত অবস্থা সৃষ্টি হয়। জমি কিভাবে কতটুকু প্রস্তুত করা হবে তা নির্ভর করে মাটির প্রকারভেদ, মাটির জৈব পদার্থ ও রস এবং ফসলের প্রকারের উপর। দোআঁশ, বেলে বা বেলে দোআঁশ মাটির মতো হালকা মাটিতে ৩/৪ বার চাষ ও মই দিলে ভূমি কর্ষণ ফসল উৎপাদন উপযোগী হয়। কিন্তু কাদামাটির মতো ভারী মাটিতে ৫/৬ বার চাষের প্রয়োজন পড়ে। মাটিতে জৈব পদার্থের পরিমাণ বেশি থাকলে মাটির কণা দানাদার হয় ও সংযুক্ত থাকে। আর তাতে বীজের অবস্থান ভালো থাকে এবং সহজেই অঙ্কুরোদগম হয়।

২) রাসায়নিক এবং জৈব সার মিশ্রিতকরণ : মাটিতে রাসায়নিক এবং জৈবসার প্রয়োগ ফসল উৎপাদন ব্যবস্থাপনার একটি আবশ্যিক দিক। মাটির প্রকৃতি এবং ফসল বৈচিত্রের উপর ভিত্তি করে বিভিন্ন সময়ে কৃষকেরা জমিতে সার প্রয়োগ করে। ভূমি কর্ষণ করে এ সকল সার মাটির সাথে মেশানো এবং উদ্ভিদের বা ফসলের কাছে তা গ্রহনযোগ্য করে তোলা ভূমি কর্ষণের অন্যতম উদ্দেশ্য। এ উদ্দেশ্যে জমি হালকা চাষ দিয়ে সার জমিতে ছিটাতে হয় এবং পরবর্তিতে চাষের সময় সার মাটিতে মিশে যায়।

৩) ভূ-অভ্যন্তরস্থ বালাই দমন : কর্ষণের ফলে মাটির জৈব অবস্থার পরিবর্তন হয়। উপরের মাটি নীচে এবং নীচের মাটি উপরে উঠে আসে। এর ফলে মাটির অভ্যন্তরের বিরাজমান বিভিন্ন পতঙ্গ (যেমন, উই, উরচুঙ্গা, পিপিলিকা ইত্যাদি) এবং জীবাণুর ডিম, লার্ভা উন্মুক্ত হয়ে সূর্যালোকের সংস্পর্শে আসে এবং পরবর্তীতে ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়।

৪) পানি ধারণ ক্ষমতা বৃদ্ধিকরণ : অকর্ষিত জমির উপরিতল শক্ত হয়ে কঠিন হয়ে যায়। ফলে এ অবস্থায় পানি গড়িয়ে অন্যত্র চলে যায় এবং একই সাথে পানির বাস্পীভবন বেশী হয় ফলে পানির অপচয় হয়। জমি কর্ষিত হলে ঢেলার ফাকে পানি আটকা পড়ে যা প্রয়োজনীয় সময়ে গাছ গ্রহন করতে পারে। এ প্রক্রিয়ায় মাটির পানি ধারনক্ষমতা বৃদ্ধি পায় এবং যা বপনকৃত বীজের অঙ্কুরোদগম প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করে ফসলের বৃদ্ধিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে।

৫) অনুজীবের কার্যকারিতা বৃদ্ধি : মাটিতে অবস্থানরত বিভিন্ন উপকারী অনুজীব তথা ছত্রাক এবং ব্যাকটেরিয়া (যেমন রাইজোবিয়াম) মাটিকে সুস্থ এবং ফসলের উৎপাদনের সহায়ক করে তুলতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এসব উপকারী অনুজীব সমূহ জৈব পদার্থ পচনে সহায়তা করে, পুষ্টি উপাদানকে ভেঙ্গে ফসলের জন্য সহজলভ্য করে তুলে এবং ক্ষেত্র বিশেষ বায়ুর নাইট্রোজেন আবদ্ধকরন করে মাটিতেই এর অভাব পূরণ করে। ভূমি কর্ষণের ফলে এ সকল অনুজীবের কার্যকারিতা বৃদ্ধি পায় এবং ফসলের উৎপাদন ত্বরান্বিত হয়।

৬) ভূমিক্ষয় রোধ: ভূমি কর্ষণের ফলে উঁচু-নিচু জমি সমতল হয়। ফলে বৃষ্টি বা সেচের পানি গড়িয়ে অন্যত্র যেতে পারেনা। আর এতে একদিকে ভূমিক্ষয় রোধ হয় আর অন্যদিকে পানির সুব্যবহার হয়।

জমি প্রস্তুতির গুরুত্ব

ভূমি কর্ষণ জমি প্রস্তুতির প্রথম ধাপ। ভূমি কর্ষণের সংকীর্ণ অর্থ হলো ফসল ফলানোর উদ্দেশ্যে জমির মাটি যন্ত্রের সাহায্যে খুঁড়ে আলগা করা। কিন্তু ভূমি কর্ষণের সাথে নানা প্রযুক্তি জড়িত। যেমন, বীজকে অঙ্কুরোদগমের জন্য উপযুক্ত স্থানে ও সঠিক গভীরতায় স্থাপন করা, মাটিতে বায়ু চলাচলের সুবিধা সৃষ্টি করা, উপরের মাটি নিচে এবং নিচের মাটি উপরে নিয়ে আসা, মাটিতে অণুজীবের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি করা ইত্যাদি। এসব দিক বিবেচনা করে জমি প্রস্তুতির গুরুত্ব উপলদ্ধি করা যায়। আর এই গুরুত্ব অনুধাবনের জন্য ভূমি কর্ষণকে সংজ্ঞায়িত করা যায় যে “শস্যের বীজ মাটিতে সুষ্ঠুভাবে বপন ও পরবর্তী পর্যায়ে চারাগাছ বৃদ্ধির জন্য মাটিকে যে প্রক্রিয়ায় খুঁড়ে বা আঁচড়ে যে আগাছামুক্ত, নরম, আলগা ও ঝুরঝুরা করা হয় তাকে ভূমিকর্ষণ বলে”।
ভূমি কর্ষণ জমি প্রস্তুতির প্রাথমিক ধাপ। আদিকাল থেকেই মানুষ ভূমি কর্ষণ তথা জমি প্রস্তুতির গুরুত্ব উপলদ্ধি করতে পেরেছেন। তাই তারা কাঠের বা পাথরের তৈরি সুচালো যন্ত্রের সাহায্যে মাটি আলগা ও নরম করে ফসলের বীজ বুনতে বা চারা রোপণ করতেন। ফসলভেদে ভূমি কর্ষণের তারতম্য হতে পারে কিন্তু এর গুরুত্ব কখনো খাট করে দেখার বিষয় নয়।

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

  • ভূমিক্ষয়ের সঙ্গা 

উত্তর:

বৃষ্টি, নদী, বায়ুপ্রবাহ, হিমবাহ ইত্যাদির ক্রিয়ায় ভূভাগের ক্ষয় ঘটে এবং ভূমিপৃষ্ঠের উচ্চতা কমতে থাকে। ভূমিপৃষ্ঠের এভাবে ক্ষয়কে ভূমিক্ষয় বলে।

  • ভূমিক্ষয়ের প্রকার।

উত্তর:

ভূমিক্ষয়ের প্রকারভেদঃ-

ভূমিক্ষয় দুই প্রকার যথা:

« প্রাকৃতিক ভূমিক্ষয়

« মানুষ্য কর্তৃক ভূমিক্ষয়।

প্রাকৃতিক ভূমিক্ষয়: ভূমিক্ষয়ের প্রাকৃতিক হস্তক্ষেপ ব্যাপক। ভূ সৃষ্টির শুরু থেকেই এর ক্ষয় শুরু হয়েছে। দীর্ঘকালের এই ক্ষয়ের ফলেই নদীর মোহনায় বা সমুদ্রে চর সৃষ্টি হয়েছে বা দ্বীপ গড়ে উঠেছে। এই ভূমিক্ষয়ের ফলে পৃথিবীর অনেক অঞ্চল উর্বর হয়েছে আবার অনেক অঞ্চল অনুর্বর হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে অনবরত ভূমিক্ষয় হচ্ছে অথচ আমরা তা উপলদ্ধি করি না। বায়ুপ্রবাহ ও বৃষ্টিপাত প্রাকৃতিক কারণশুলোর মধ্যে অন্যতম। এগুলো চলার পথে ভূ পৃষ্ঠের মাটির কণা বহন করে নিয়ে যায়। এ জন্য যে পরিমাণ মাটির ক্ষয় হয় তা খুবই নগণ্য এবং দৃষ্টিগ্রাহ্যও হয় না। হয়তো তাই ভূমির এই ক্ষয়কে বলা হয় স্বাভাবিক ক্ষয়। প্রাকৃতিক ভূমিক্ষয় মাটি গঠন প্রক্রিয়ারই একটি অংশ বলে বিবেচতি হয়। মাটি গঠন ও ভূমিক্ষয়ের মধ্যে একটি ভারসাম্য রয়েছে। দীর্ঘকাল ভূমিয়ের ফলে কৃষিকাজ একটা বিপর্যয়ের মধ্যে পড়ে।

মানুষ কর্তৃক ভূমিক্ষয়: মানুষের বাচার জন্য খাদ্যের প্রয়োজন। খাদ্য উৎপাদনের জন্য মানুষ মাটিকে যথেচ্ছ ব্যবহার করে আসছে সভ্যতার সূচনালগ্ন থেকে। ভূমিকর্ষণ, পানি সেচ, পানি নিষ্কাশন ইত্যাদি কাজ কৃষিকাজের মুল অংশ। এ কাজগুলো দ্বারা মাটিকে প্রতিনিয়ত উৎপীড়ন করা হচ্ছে। ফলে ভূমিগুলো প্রাকৃতিক শক্তির তথা বৃষ্টি ও বাতাসের নিকট উন্মোচিত করছে এবং ক্ষয় হচ্ছে। মাটিকে যত ব্যবহার করা হবে ততই এর ক্ষয় হতে থাকবে।

ভূমিক্ষয়ের শ্রেণিবিভাগঃ-

ভূমিক্ষয়কে প্রধানত দুই শ্রেণিতে বিভক্ত করা যায়। যথা:

« বৃষ্টিপাতজনিত ভূমিক্ষয়

« বায়ুপ্রবাহজনিত ভূমিক্ষর

বৃষ্টিপাতজনিত ভূমিক্ষয়: বৃষ্টিপাতের কারণে বাংলাদেশে ব্যাপক ভূমিক্ষয় হয়। এই ভূমিক্ষয়কে নিচের চারটি শ্রেণিতে ভাগ করা যায়ঃ

« আস্তরণ ভূমিক্ষয়

« রিল ভূমিক্ষয়

« নালা বা গালি ভূমিক্ষয়

« নদী ভাঙন।

আস্তরণ ভূমিক্ষয়: যখন বৃষ্টির পানি বা সেচের পানি উঁচু স্থান থেকে ঢাল বেয়ে জমির উপর দিয়ে নিচের দিকে প্রবাহিত হয় তখন জমির উপরিভাগের নরম ও উর্বর মাটির কণা কেটে পাতলা আবরণের বা আস্তরণের মতো চলে যায়। এইটাকেই বলা হয় আস্তরণ ভূমিক্ষয়।

রিল ভূমিক্ষয়: রিল ভূমিক্ষর আস্তরণ ভূমিক্ষয়েরই দ্বিতীয় ধাপ। প্রচুর বৃষ্টিপাতের ফলে পানি বেশি হলে জমির ঢাল বরাবর লম্বাকৃতিয় রেখা সৃষ্টি হয়। যা অনেকটা হাতের রেখার মতো।

নালা বা গালি ভূমিক্ষয়: এই ভূমিক্ষয় আন্তরণ ভূমিক্ষয়ের তৃতীয় ধাপ। অর্থাৎ রিল ভূমিক্ষয় থেকেই নালা বা গালি ভূমিক্ষয়ের উদ্ভব।

নদী ভাঙন: নদী ভাঙন বাংলাদেশের ভূমিক্ষয়ের একটি উল্লেখযোগ্য কারন। চাদপুর, সিরাজগঞ্জ, গোয়ালন্দ প্রভৃতি অঞ্চলে প্রতি বৎসরই নদী ভাঙনে শত শত হেক্টর জমি নদী গর্ভে বিলীন হচ্ছে।

বায়ু ভূমিক্ষয়: যেসব এলাকায় গাছপালা কম এবং বৃষ্টিপাতের পরিমাণও কম, সেসব এলাকায় বাত্যাজনিত কারণে ভূমিক্ষয়ের প্রকোপ দেখা যায়।

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

  • ভূমিক্ষয়ের কারণ 

উত্তর:

বিভিন্ন কারণে ভূমিক্ষয় ঘটতে পারে। যথা- (১) বৃষ্টিপাত, (২) ভূমির ঢাল (৩) মাটির প্রকৃতি (৪) শস্যের প্রকার (৫) জমি চাষ পদ্ধতি (৬) অত্যধিক পশুচারণ (৭) মানব কার্যাবলি।

১। বৃষ্টিপাত : ভূমিক্ষয়ের প্রধান কারণ হলো বৃষ্টিপাত। এর তীব্রতা, সংখ্যা এবং পরিমাণ সরাসরি ভূমিক্ষয়ের মাত্রাকে প্রভাবিত করে। বড় আকারে বৃষ্টির ফোঁটা মাটিকে সজোরে আঘাত করলে মাটির কণা পানির সাথে স্থানান্তরিত হয়ে থাকে। ঘন ঘন এবং অনেক সময় ধরে মুষলধারে বৃষ্টিপাত হলে মৃত্তিকার শোষণ ক্ষমতা মারাত্মকভাবে হ্রাস পায়। এমন অবস্থায় অতিরিক্ত পানির সাথে মাটির কণা মিশে জমির উপর দিয়ে নিচের দিকে ধাবিত হয়। প্রবাহমান পানির বেগ যত বেশি হবে মাটির ক্ষয়ও তত বেশি হবে।

২। ভূমির ঢাল : ভূমির ঢাল মাটি ক্ষয়ের অন্যতম প্রধান কারণ। যে জমি যত বেশি ঢালু এবং ঢালের দৈর্ঘ্যও বেশি, সে জমির মাটি ক্ষয় তত বেশি হয় কারণ অধিকতর ঢালু জমিতে প্রবাহমান পানির বেগও অধিক হয়ে থাকে।

৩। মাটির প্রকৃতি : মাটির বুনট মাটি কণার দানাবন্ধন ও জৈব পদার্থের পরিমাণের উপর মাটির ক্ষয় অনেকাংশে নির্ভর করে, হাল্কা, দানাদার ও জৈব পদার্থযুক্ত মাটি রন্ধ্রবহুল বলে বৃষ্টির পানি সহজেই শোষিত হয়। এ ধরনের মাটির ক্ষয় কম হয়। অন্যদিকে অপেক্ষাকৃত ভারি এঁটেল জাতীয় মাটির রন্ধ্রতা কম থাকায়, এ মাটির পানি শোষণ ক্ষমতা কম, এ ধরনের মাটি অল্প বৃষ্টিতেও অধিক ক্ষয় হয়।

৪। শস্যের প্রকার: শস্য নির্বাচন করে মাটির ক্ষয় কমানো সম্ভব। চীনাবাদাম, খেসারি, বরবটি, সয়াবিন প্রভৃতি অধিক পাতাযুক্ত ফসলের চাষাবাদ করে ভূমিক্ষয় কমানো সম্ভব। অন্যদিকে ইক্ষু, ভূট্টা, তুলা প্রভৃতি কম পাতাযুক্ত ফসলের চাষাবাদে ভূমিক্ষয় বেশি হয়।

৫। জমির চাষ পদ্ধতি: জমির প্রকৃতি না বুঝে জমি চাষ করলে উপরিস্তরের উর্বর মাটির ক্ষয়সাধন বেশি হয়ে থাকে। যেমন- অসমতল বিশেষ করে পাহাড়ি জমিতে ঢালের আড়াআড়ি চাষ না করে ঢাল বরাবরে চাষ করলে ভূমিক্ষয় বেশি হয়।

৬। অত্যাধিক পশুচারণ : অত্যাধিক বা অনিয়মিত পশুচারণ ভূমিক্ষয়ের আর একটি অন্যতম কারণ। অত্যধিক পশুচারণে পশুর পা দ্বারা ভূমির মাটি অধিকহারে অপসারিত হয়।

৭। মানব কার্যাবলি : মানুষ ভূমিক্ষয় বৃদ্ধির অন্যতম প্রধান কারণ। সাধারন অবস্থায় বনজঙ্গল বা মাট-ঘাটে ভূমিক্ষয় ঘটে না। মানুষ অপরিকল্পিতভাবে ব্যাপকভাবে গাছপালা কেটে ফেললে জমি উন্মুক্ত হয়ে পড়ে এবং ভূমিক্ষয় বৃদ্ধি পায়।

  • বিষয়ের সাথে সংশ্লিষ্ট করে উপস্থাপন

উত্তর:

বিভিন্ন কারণে ভূমিক্ষয় ঘটতে পারে । বৃষ্টিপাত ভূমির ঢাল , মাটির প্রকৃতি। শস্যের প্রকার , চাষ পদ্ধতি , পশুচারণ ও মানুষ্য কার্যাবলী এর জন্য দায়ী। ভূমিক্ষয়ের ফলে যেহেতু পুষ্টি উপাদানের স্থানান্তর ঘটে , এ বিপর্যয় রােধের জন্য কার্যকরি পদক্ষেপ নেওয়াও জরুরী । পানি প্রবাহের গতিমুখ পরিবর্তন বা বেগ কমিয়ে ভূমিক্ষয় রােধ করা যায়। এছাড়া পানি নিস্কাশনের কার্যকরি।

ব্যবস্থা , বনভূমি সৃষ্টি , চাষ পদ্ধতির পরিবর্তন , বাঁধ বা আইল তৈরী করেও ক্ষেত্র বিশেষ ভূমিক্ষয় রােধ করা সম্ভব। এ পরিবর্তন, বাঁধ বা আইল তৈরী করেও ক্ষেত্র বিশেষ ভূমিক্ষয় রােধ করা সম্ভব। পরিবর্তন , বাঁধ বা কাজেই “ উত্তমরুপে জমি প্রস্তুত না করে ফসল নির্বাচনই ভূমিক্ষয়ের | একমাত্র কারণ।” এই উক্তিটির সাথে আমি একমত নই। কেননা | ভূমিক্ষয়ের অন্যন্য কারণেই মাঝে এটিই একটি কারণ মাত্র ।

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]


প্রশ্ন ও মতামত জানাতে পারেন আমাদের কে ইমেল : info@banglanewsexpress.com

আমরা আছি নিচের সামাজিক মাধ্যম গুলোতে ও


অন্য সকল ক্লাস এর অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর সমূহ :-

  • ভোকেশনাল ও দাখিল (১০ম শ্রেণির) অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
  • SSC ও দাখিল এসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
  • HSC ও Alim এসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
  • Class: 6 To 10 Assignment Answer Link

৬ষ্ঠ শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর , ৭ম শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর,

৮ম শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর , ৯ম শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর

১০ম শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর

বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস// https://www.banglanewsexpress.com/



Leave a Comment