৯ম-১০ম শ্রেণির বাংলা সাহিত্য বইয়ের ‘ফুলের বিবাহ’ গল্পে কবরী উল্লেখ আছে

করবী একটি লাল গোলাপী বা সাদা ফুলবিশিষ্ট চিরহরিৎ গুল্ম। এর বৈজ্ঞানিক নাম: Nerium oleander বা Nerium indicum, ইংরেজি নাম: Oleander, অন্যান্য নাম Adelfa, Alheli Extranjero, Baladre, Espirradeira, Flor de Sao Jose, Laurel de jardin, Laurel rosa, Laurier rose, Flourier rose, Olean, Aiwa, Rosa Francesca, Rosa Laurel, and Rose-bay। গোলাপী রঙের করবী ফুলকে রক্তকরবী বলা হয়।

সাহিত্যে রক্তকরবী, শ্বেতকরবী ইত্যাদি বিখ্যাত। সুন্দর দেখতে ও অত্যন্ত রুক্ষ পরিবেশে বাড়তে পারে বলে বহু জায়গায় সাজবার জন্য এটি চাষ করা হয়। কিন্তু গাছটির সর্বঙ্গ তীব্র বিষযুক্ত। একটি মাত্র পাতা খেলেই মানুষের, বিশেষত শিশুর মৃত্যু হতে পারে। পাতা তেতো বলে মানুষের ক্ষেত্রে বিষক্রিয়া কম দেখা যায়, অবশ্য TESS (Toxic Exposure Surveillance System) অনুসারে ২০০২ সালে আমেরিকায় ৮৪৭টি বিষক্রিয়ার ঘটনা লক্ষিত হয়। ঘাসে মেশা শুকনো করবী পাতা বা শাখা খেয়ে গবাদি পশুতে (বিশেষত ঘোড়ার) বিষক্রিয়া/মৃত্যু দেখা যায়- পূর্ণবয়স্ক ঘোড়ার মারাত্মক মাত্রা ১০০g,

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

করবী ভূমধ্যসাগরীয় ও এশীয় প্রজাতি। এরা ২-২.৫ মিটার উঁচু। এরা চিরসবুজ গাছ। গোড়া থেকে অনেকগুলো ডাল ঝোপের মত গজায়। পাতা ডালের আগার দিকে বেশি। গ্রীষ্ম ও বর্ষায় ফুল। লাল, গোলাপী, সাদা- তবে লাল ও সাদাই দেখা যায় বেশি। কলমে চাষ, ছাঁটা নিষ্প্রয়োজন। এদের বীজ বিষাক্ত।

করবী মাঝারি মানের উচ্চতাবিশিষ্ট গুল্ম জাতীয় ফুলগাছ। এর বৈজ্ঞানিক নাম Nerium oleander। সুন্দর দেখতে এবং রুক্ষ পরিবেশেও টিকে থাকতে পারে বলে বহু জায়গায় শোভাবর্ধনকারী উদ্ভিদ হিসেবে এর চাষ করা হয়।

কবরীর আদিবাস এশিয়া ও ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলে। গাছের উচ্চতা গড়ে ৫ থেকে ৬ মিটার হয়ে থাকে। প্রায় সারা বছর ফুল ফোটে। তবে বেশি ফোটে বসন্ত ও গ্রীষ্ম ঋতুতে। ঘণ্টা আকৃতির ৫ থেকে ৬টি নমনীয় কোমল পাপড়ির সমন্বয়ে করবী ফুলের সৃষ্টি। এ ফুলের রয়েছে বাহারি রং।

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

আমাদের দেশে উজ্জ্বল হলুদ, কমলা, গোলাপি ও সাদা রঙের করবী ফুল ফুটতে দেখা যায়। গাছের শাখা-প্রশাখা ঝোপালো এবং নরম প্রকৃতির হয়ে থাকে। পাতার রং গাঢ় সবুজ, চিরল পাতার ফাঁকে উঁকি দেওয়া গাছের শাখা-প্রশাখার অগ্রভাগে অসংখ্য ফুল ফোটে। ফুটন্ত ফুলগাছ দেখতে অত্যন্ত আকর্ষণীয় ও মনোরম। ফুল শেষে গাছে বীজ হয়। বীজ বা ডালের কলমের মাধ্যমে এর বংশবিস্তার করা যায়।

করবীর বেশ কিছু ভেষজ গুণাগুণ রয়েছে।  এই ফুলগাছের বাকল, পাতা বিভিন্ন রোগের ওষুধ হিসেবে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। অকালে চুল পাকা কমাতে করবীর মূলের ছাল উপকারী। খোসপাঁচড়া সারাতে এর মূল তিল বা নারকেল তেলের সঙ্গে মিশিয়ে নিয়মিত মাখলে বেশ উপকার পাওয়া যায়। ব্রণ কমাতে করবী মূলের ছাল বেশ উপকারী।

এই উদ্ভিদে উপস্থিত কিছু উপাদান যেমন ওলিয়ান্ড্রিন ও ওলিয়ান্ড্রিজেনিন নামের কার্ডিয়াক গ্লাইকোসাইড, যা সঠিক ও স্বল্প মাত্রায় ওষুধ হিসেবে কাজ করে। তবে অতিরিক্ত পরিমাণে প্রাণিদেহে প্রবেশ করলে বিষক্রিয়া ঘটায়।

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

পাখি ও ছোট প্রাণীদের মধ্যে এই বিষের তীব্রতা অধিক মাত্রায় দেখা যায়। এই উদ্ভিদের ফুল, কাণ্ড, পাতা বা অন্য যেকোনো অংশের মাত্রাতিরিক্ত সেবন মানবশরীরে পাচকতন্ত্র, কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্র ও হৃদযন্ত্রের ওপর বিষক্রিয়ার প্রভাব ফেলে। এর ফলে বমি ভাব, পেটের যন্ত্রণা, রক্ত আমাশয়, অতিরিক্ত লালাক্ষরণ, মাথা ঘোরার মতো প্রতিক্রিয়া হয়। এর মধ্যে কার্ডিয়াক গ্লাইকোসাইডের উপস্থিতি থাকায় অতিরিক্ত পরিমাণে সেবন হৃৎস্পন্দনকে অনিয়মিত করে তোলে। ফলে ফ্যাকাশে বর্ণ এবং শরীরের তাপমাত্রা কমে গিয়ে গা-হাত-পা ঠাণ্ডা হয়ে যাওয়ার প্রবণতা দেখা যায়।

1 thought on “৯ম-১০ম শ্রেণির বাংলা সাহিত্য বইয়ের ‘ফুলের বিবাহ’ গল্পে কবরী উল্লেখ আছে”

Leave a Comment