মঙ্গল শোভাযাত্রা প্রতি বছর বাংলা নববর্ষের প্রথম দিনে আয়োজিত একটি তুলনামূলকভাবে নতুন বর্ষবরণ উৎসব। … ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের উদ্যোগে প্রতিবছরই পহেলা বৈশাখে ঢাকা শহরের শাহবাগ-রমনা এলকায় এই মঙ্গল শোভাযাত্রার আয়োজন করা হয়।
মঙ্গল শোভাযাত্রা বাংলা নববর্ষের প্রথম দিনে আয়োজিত বর্ষবরণ উৎসব। ১৯৮৬ সালে যশোরে প্রথমবারের মতো নববর্ষ উপলক্ষে এই শোভাযাত্রার আয়োজন করে চারুপীঠ নামের একটি প্রতিষ্ঠান। এই উদ্যোগ নিয়েছিলেন চারুশিল্পী মাহবুব জামাল শামিম। তিনি ঢাকার চারুকলা থেকে সর্বোচ্চ ডিগ্রি নিয়ে যশোরেই চারুপীঠ নামের এই প্রতিষ্ঠান খোলেন। উদ্দেশ্য ছিল দেশের লোকজ সংস্কৃতি উপস্থাপনের মাধ্যমে সব মানুষকে এক করা। প্রথম বছরের মঙ্গল শোভাযাত্রায় চিত্র, মুখোশ আর প্রতীকের মাধ্যমে তুলে ধরা হয় বাঙালি সংস্কৃতির নানা দিক।
[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]
১৯৮৬ সালের পর প্রথমবারের মতো ১৯৮৯ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউটের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সমন্বয়ে পহেলা বৈশাখে মঙ্গল শোভাযাত্রা বের করা হয়। ধর্ম-বর্ণ-নির্বিশেষে নারী-পুরুষ-শিশু সবাই অংশ নেয় এই শোভাযাত্রায়। সেই বছরের শোভাযাত্রার মূল ভাব হয় ‘রাজাকার মুক্ত বাংলাদেশ, মুক্তিযুদ্ধ অনিঃশেষ’। এই মূল ভাব সামনে রেখেই বর্ণিল আর রঙিন করা হয় শোভাযাত্রা। বিশাল আকৃতির এক সরীসৃপ আর এর বিপরীতে শান্তির পায়রার প্রতিকৃতি শোভাযাত্রায় অশুভের বিনাশের কথা বলেছে। আর বাংলার রয়েল বেঙ্গল টাইগারের দিকে ধেয়ে আসা এক কুিসত দানব বলে দিয়েছে দেশের তৎকালীন পরিস্থিতির কথা।
সেই বছরের পর থেকে প্রতিবছরই পহেলা বৈশাখে মঙ্গল শোভাযাত্রার আয়োজন করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউট। প্রতিবছরই এই শোভাযাত্রার আলাদা মূলভাব থাকে। সেই মূলভাব প্রতিবাদের, ভালোবাসার ও দ্রোহের। সেখানে অশুভের বিনাশ কামনা করা হয়। প্রার্থনা করা হয় সত্য ও সুন্দরের জন্য। এই শোভাযাত্রাগুলোর অন্যতম আকর্ষণ হলো বিশালকায় চারুকর্ম পাপেট, ময়ূূর, পুতুল, হাতি, বাঘ, কুমির, ঘোড়াসহ বিভিন্ন মূর্তি এবং বিচিত্র মুখোশ, সাজসজ্জাসহ বাদ্যযন্ত্র ও নৃত্য। শোভাযাত্রায় হাতি, ঘোড়া, মুখোশ, নানা ধরনের পাখি, সরাচিত্র—সব কিছুই বাঙালির চিরায়ত সংস্কৃতিকে তুলে ধরে।
প্রথমে এটি আনন্দ শোভাযাত্রা হিসেবে পরিচিতি পেলেও ১৯৯৬ সাল থেকে এর নাম দেওয়া হয় মঙ্গল শোভাযাত্রা। ২০১৬ সালের ৩০ নভেম্বর বাংলাদেশ সরকারের সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের আবেদনক্রমে এই ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’ জাতিসংঘ সংস্থা ইউনেসকোর মানবতার অধরা বা অস্পর্শনীয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের তালিকায় স্থান লাভ করে।
[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]
H.S.C
- বাণিজ্যিক ভূগোল মানুষের জীবন যাত্রার মান উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন বাস্তবতার আলোকে যুক্তি প্রদান করো
- আমাদের দৈনন্দিন জীবনে অর্থনীতির ১০টি মৌলিক নীতি কার্যকর ভূমিকা রাখে
- এইচএসসি প্রস্তুতি ইংরেজি দ্বিতীয় পত্র Grammar (60 Marks)
- এইচএসসি-২০২০-২১ শেষ মুহুর্তের প্রস্তুতি কিভাবে নিবে
- Hsc -ICT তৃতীয় অধ্যায়: জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তরসমূহ পাঠ -২
- Hsc -ICT তৃতীয় অধ্যায়: জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তরসমূহ পাঠ -১
- HSC Vocational Chemistry Assignment ,এইচএসসি ভোকেশনালইলেক্ট্রিক্যাল ওয়ার্কস এন্ড মেইন্ট্যানেন্স ১৯ (খ) ৩ নং উত্তর এ্যাসাইনমেন্ট
- সোনার তরী : রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
- HSC Vocational Specialization Electrical and Electronics (81318) Trade-1 Assignment Answer
- এইচএসসি ভোকেশনাল স্পেশালাইজেশন ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স(৮১৩১৮) ট্রেড -১ এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর
1 thought on “৯ম-১০ম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বইয়ের দ্বিতীয় অধ্যায়ে মঙ্গল শোভাযাত্রার উল্লেখ আছে”