৬জি প্রযুক্তি আসলে কি, আমরা কি ভাবে ৬জি প্রযুক্তি ব্যবহার করতে পারি,6G সুবিধা ও অসুবিধা,বাংলাদেশে 6G চালু,কবে আমাদের দেশ ৬জি প্রযুক্তি আসবে

আজকের বিষয়: ৬জি প্রযুক্তি আসলে কি, আমরা কি ভাবে ৬জি প্রযুক্তি ব্যবহার করতে পারি,6G সুবিধা ও অসুবিধা,বাংলাদেশে 6G চালু,কবে আমাদের দেশ ৬জি প্রযুক্তি আসবে

যদিও বর্তমানে পৃথিবীতে হাতেগোনা কয়েকটি দেশেই ৫জি নেটওয়ার্ক টেস্ট করা হয়েছে, তবে কয়েকটি দেশের কিছু টেকনোলজি কোম্পানি অলরেডি ৫জি এর পরবর্তী জেনারেশন, অর্থাৎ ৬জি নেটওয়ার্ক নিয়ে পরিকল্পনা করছে। কিন্তু কি এই ৬জি নেটওয়ার্ক এবং এটি ৫জি নেটওয়ার্ক এবং ৫জি নেটওয়ার্কের সাথে এটির ঠিক কি কি পার্থক্য থাকবে, আর কিভাবে কাজ করবে এই ৬জি নেটওয়ার্ক? চলুন আজ ধারণা নেওয়া যাক ৬জি নেটওয়ার্ক সম্পর্কে, যেটা হয়তো আমি বা আপনি আমরা কেউই লাইফে কখনোই ব্যবহার করার সুযোগ পাবো না।

তবে আলোচনা শুরু করার আগে জেনে রাখা ভালো, এই পোস্টটি লেখার সময় ৬জি নেটওয়ার্ক পৃথিবীর কোথাও নেই এবং কোথাও এমনকি প্রোপার টেস্টিং এর পর্যায়েও নেই। এটি এখনও পর্যন্ত এমন একটি টেকনোলজি যা  আগামী ২০ বছরের মধ্যেও প্রোপারলি কনজিউমার লেভেলে এভেইলেবল হবে কিনা তা নিশ্চিতভাবে বলা যায়না। তাই, আপনি যদি শুধুমাত্র ৬জি নেটওয়ার্ক কি এবং কিভাবে কাজ করবে এর পরিকল্পনার ব্যাপারে জানতে আগ্রহী হন, তাহলেই শুধুমাত্র এই লেখাটি পড়তে থাকুন। তবে গত বছরের নভেম্বর মাসে চীন একটি টেরাহার্জ ক্যাপেবল ৬জি স্যাটেলাইট আকাশে লঞ্চ করেছে, তবে সেটা শুধুমাত্র একটি এক্সপেরিমেন্ট।

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

৬জি নেটওয়ার্ক কি?

একেবারে বেসিক লেভেলে বলতে গেলে, ৬জি অবশ্যই ওয়্যারলেস কমিউনিকেশনে টেকনোলজির পরবর্তী জেনারেশন, যা ভবিষ্যতে কোন একসময় এভেইলেবল হবে। যেমনটা আপনি অলরেডি ধারণা করতে পারছেন, ৬জি এর সাহায্যে বর্তমানের সেলুলার নেটওয়ার্ক ইনফ্রাসট্রাকচারকে আরও বেশি উন্নত করার এবং আরও ফাস্ট এবং রিলায়েবল ইন্টারনেট সার্ভিস নিয়ে আসার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। তবে ৬জি কিভাবে স্পেশাল সে ব্যাপারে বিস্তারিত বলতে গেলে প্রথমে জানতে হবে যে, ৬জি টেকনোলজি কোন কোন দিক থেকে এখনকার সময়ের নেটওয়ার্কগুলো, অর্থাৎ ৪জি বা ৫জি নেটওয়ার্কের থেকে আলাদা হবে।

যদি শুধুমাত্র আরও ফাস্ট এবং রিলায়েবল ইন্টারনেটই একমাত্র পার্থক্য হয়ে থাকে, তাহলে আমরা এই নতুন টেকনোলজিটিকে জাস্ট Faster 5G বা Enhanced 5G কিংবা 5G+ কেন বলছিনা? এর কারণ হচ্ছে, ওয়্যারলেস নেটওয়ার্কের জেনারেশনের নামকরনের ক্ষেত্রে শুধুমাত্র নেটওয়ার্ক স্পিডটাই একমাত্র ফ্যাক্টর নয়। এই প্রত্যেকটি স্ট্যান্ডার্ডের জন্য হার্ডওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারারদেরকে আরও কিছু আর্কিটেকচার লেভেলের বিষয় খেয়াল রাখতে হয়।

৬জি কে আপগ্রেডেড ৫জি বা বলার কারণ হচ্ছে, ৬জি নেটওয়ার্ক নিয়ে কাজ করার জন্য ম্যানুফ্যাকচারারদেরকে তাদের সম্পূর্ণ নেটওয়ার্ক আর্কিটেকচার এবং তাদের প্রোডাক্টগুলোর কমিউনিকেশন স্যুট নতুন করে ডিজাইন করতে হবে। ঠিক এই একই কারণে ৫জি নেটওয়ার্ককে জাস্ট আপগ্রেডেড ৪জি বা এমন কোন স্ট্যান্ডার্ড দেওয়া হয়নি। কারণ,  ৫জি নেটওয়ার্ক প্রোভাইড করার জন্য ক্যারিয়ারদেরকে সম্পূর্ণ নতুন টেকনোলজিতে তৈরি টাওয়ার ব্যবহার করতে হয়েছে। আর এই কারণেই এখনো শুধুমাত্র হাতেগোনা কয়েকটি দেশের কিছু কিছু জায়গায় ৫জি নেটওয়ার্ক নিয়ে আসা সম্ভব হয়েছে।

 ৬জি নেটওয়ার্কের উদ্দেশ্য

এই মুহূর্তে ৬জি নেটওয়ার্কের কোর ফিচারস এবং নতুন কি কি থাকবে সে ব্যাপারে নিশ্চিতভাবে কোন কোম্পানিই কিছু জানাতে পারেনি, তবে পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তের টেলিকল কোম্পানিগুলো অলরেডি ৬জি নেটওয়ার্ক নতুন কি কি নিয়ে আসতে পারে সে ব্যাপারে ধারণা করছে। যদি ব্যান্ডউইথের কথা বলা হয়, ধারণা অনুযায়ী ৬জি নেটওয়ার্ক প্রায় ৯৫ গিগাবিট প্রতি সেকেন্ড ডাটা ট্রান্সফার স্পিড প্রোভাইড করতে পারবে। এছাড়া ৬জি নেটওয়ার্কে লেটেন্সি এবং নেটওয়ার্ক রিয়ালেবলিটিতেও অনেক বেশি ইম্প্রুভমেন্ট আনা হবে এমনটাই ধারণা করা হচ্ছে।

৫জি নেটওয়ার্কে মতোই ৬জি  নেটওয়ার্কও “ইন্টারনেট অফ থিংস” ইকোসিস্টেমের দিকে ফোকাস করেই তৈরি করা হবে। কারণ, অবশ্যই আমরা যারা বাসায় বসে ইন্টারনেটে ফেসবুক ব্রাউজ করি আর ইউটিউব ভিডিও দেখি, তাদের জন্য এই মুহূর্তে ৪জি নেটওয়ার্ক যে পরিমান ব্যান্ডউইথ প্রোভাইড করে, সেটাই যথেষ্ট। আমাদের মতো একজন ক্যাজুয়াল ইউজার স্পিডটেস্ট না করলে কখনোই ৫জি এবং ৬জি নেটওয়ার্কের স্পিডের মধ্যে পার্থক্য লক্ষ্য করতে পারবে না।  ৫জি এবং ৬জি এর মধ্যে পার্থক্য তখনই লক্ষ্য করা যাবে যখন একটি এরিয়াতে সাধারনের তুলনায় অনেক বেশি ইন্টারনেট কানেক্টেড ডিভাইসের সংখ্যা বেড়ে যাবে বা ইন্টারনেট ইউজার অনেক বেড়ে যাবে। আর এখন যে হারে পৃথিবীতে জনসংখ্যা বাড়ছে, তাতে এমন হওয়া হয়তো আর ১০-১৫ বছরের ব্যাপার।

যাইহোক, ৬জি এর ক্যাপেবলিটি এই সিচুয়েশনেই দেখা যাবে, কারণ- এমন সিচুয়েশনে নেটওয়ার্কের কোর ব্যান্ডউইথের থেকে নেটওয়ার্কের স্কেলেবলিটি অনেক বেশি ইম্পরট্যান্ট। এক্ষেত্রে ইউজারদেরকে সার্ভ করার জন্য ইন্টারনেট ব্যান্ডউইথের পরিমানের তুলনায় রেসপন্স টাইম বা লেটেন্সি কমানো বেশি প্রয়োজনীয়। আর ৬জি নেটওয়ার্কের প্রধান উদ্দেশ্যই হবে ইন্টারনেট ব্যান্ডউইথ বাড়ানোর পাশাপাশি লেটেন্সি এবং নেটওয়ার্ক রিলায়েবলিটি ইম্প্রুভ করা। এই কারণেই মূলত এটি অ্যান্ড টি বা স্যামসাং এর মত কোম্পানিরা ৬জি নেটওয়ার্ক নিয়ে আশাবাদী।

৬জি কিভাবে কাজ করে?

সত্যি কথা বলতে আমরা কেউই জানি না ৬জি কিভাবে তৈরি হবে এবং কিভাবে কাজ করবে। কারণ, অবশ্যই, ৬জি এখনও শুধুমাত্র একটি পরিকল্পনা। তবে নেটওয়ার্ক ইঞ্জিনিয়ার এবং রিসার্চাররা ৬জি কিভাবে কাজ করবে এর কিছুটা আইডিয়া দিতে পেরেছেন। সাধারন কনজিউমারদের বোধগম্য ভাষায় বলতে হলে, ৬জি মুলত আলট্রা-হাই-ফ্রিকুয়েন্সিতে ডাটা ট্রান্সমিট করবে। ইন থিওরি, ৫জি সর্বোচ্চ ১০০ গিগাহার্জ ফ্রিকুয়েন্সি পর্যন্ত যেতে পারে তবে এখনো কোন দেশেই ৫জি নেটওয়ার্কের ক্ষেত্রে ৩৯ গিগাহার্জের ওপরে যাওয়া হচ্ছে না। ৬জি এর ক্ষেত্রে রিসার্চাররা ধারণা করছেন যে, তারা ফ্রিকুয়েন্সি ১০০ গিগাহার্জের আরও অনেক ওপরে নিয়ে যেতে পারবেন, এমনকি টেরাহার্জ রেঞ্জেও নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। তবে ৬জি এর ওয়েভগুলো হবে খুবই ছোট এবং বেশিদূর ট্রাভেল করতে পারবে না। এর ফলে এক্ষেত্রে কিছু চ্যালেঞ্জের সম্মুখীনও হতে হবে।

লিমিটেশনস

একটি সাধারন ৪জি এলটিই নেটওয়ার্ক ট্রান্সিভার সর্বোচ্চ ১০ মাইল পর্যন্ত এর সেলগুলোকে ট্রান্সমিট করতে পারে। তাই কোন অপারেটর যদি চায় যে তাদের কাস্টোমাররা সবসময়ের জন্য স্ট্যাবল ৪জি সিগনাল পেতে থাকুক, তাহলে তাদেরকে প্রতি ১০ মাইল পরপর বা এরও কম দূরত্বে একটি করে ৪জি টাওয়ার বসাতে হবে। এবার অপারেটর যদি তাদের নেটওয়ার্ক ৫জি তে আপগ্রেড করতে চায় এবং ইউজারদেরকে একইরকম সার্ভিস দিতে চায়, তাহলে এবার তাদেরকে ১০ মাইলের পরিবর্তে প্রতি ১০০০ ফুট দূরত্বে একটি করে ৫জি ট্রান্সিভার বসাতে হবে। কারণ, ৪জি এর তুলনায় ৫জি এর ওয়েভ অনেক কম দূরত্ব ট্রাভেল করতে পারে।

এটা করা অসম্ভব নয়, তবে খুবই কষ্টসাধ্য এবং এক্সপেন্সিভ। এই কারণেই এখন পৃথিবীর খুব কম জায়গায় ৫জি সিগনাল আছে। এবার যদি ৬জি এর কথা চিন্তা করেন, তাহলে নিশ্চই ধারণা করতে পারছেন যে, এক্ষেত্রে ভালো সিগনালের জন্য ট্রান্সিভারগুলোকে একে অন্যের এত কাছাকাছি বসাতে হবে যে, খরচের কথা চিন্তা করলে সেটা যেকোনো দেশের জন্যই নেক্সট টু ইম্পসিবল একটি প্ল্যাণ হয়ে দাঁড়ায়। তবে রিসার্চাররা এই প্রবলেমটির বেটার কোন একটি সল্যুশন খোঁজার চেষ্টা সবসময়ের জন্যই করছেন এবং এটার কোন সল্যুশন খুঁজে পাওয়া গেলে খুব দ্রুতই ৬জি নেটওয়ার্কে প্ল্যান কার্যকর করার দিকে আরেক ধাপ এগিয়ে যাওয়া যাবে।

কবে পাওয়া যাবে ৬জি?

পৃথিবীর অন্যতম জনপ্রিয় টেক ইন্ডাস্ট্রি, স্যামসাং এর পাবলিশ করা একটি হোয়াইটপেপার অনুযায়ী, সবকিছু ঠিক থাকলে ‘Define a 6G Vision’ নামের এই প্রোজেক্টটিতে কাজ করা শুরু হতে পারে এবছরের মধ্যেই। আর স্যামসাং এর ধারন অনুযায়ী ৬জি নেটওয়ার্কের কাজ শেষ হতে পারে ২০২৮ সালে। আর তখনই আমরা ৬জি সাপোর্টেড প্রোডাক্টগুলো বাজারে আসতে দেখতে পারি। তবে স্যামসাং মনে করে, কনজিউমার লেভেলে ৬জি নেটওয়ার্ক এভেইলেবল হতে আরও কয়েকবছর সময় লেগে যাবে। সাধারন কনজিউমাররা ২০৩০ সালের দিকে ৬জি নেটওয়ার্ক ব্যবহার করার আশা রাখতেই পারে।

তবে আমি লেখা শুরুর আগে বলেছিলাম যে, ৬জি হয়তো এমন একটি টেকনলজি যেটা হয়তো আমি বা আপনি লাইফে কখনোই ব্যবহার করতে পারবো না। হ্যাঁ, আমার এটা মনে করার কারণ হচ্ছে, ২০৩০ সালের দিকে ৬জি কনজিউমার লেভেলে এভেইলেবল হলেও বাংলাদেশে ৬জি এভেইলেবল হতে কমপক্ষে আরও ৫০-৬০ বছর সময় লেগেই যাবে!

6G নেটওয়ার্কের ভবিষ্যত সুযোগ – 6G is coming 

প্রায় 10 বছর আগে, “Beyond 4G (B4G)” বাক্যাংশটি এলটিই স্ট্যান্ডার্ডের বাইরে 4G-এর বিবর্তনকে এগিয়ে নেওয়ার প্রয়োজনীয়তা বোঝাতে তৈরি করা হয়েছিল। 5G-তে কী অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে তা স্পষ্ট ছিল না এবং সেই সময়ে শুধুমাত্র প্রাক-মানক R&D স্তরের প্রোটোটাইপগুলি কাজ করছিল। B4G শব্দটি কিছু সময়ের জন্য স্থায়ী হয়েছিল, 4G এর বাইরে কী কী সম্ভব এবং সম্ভাব্য কার্যকর হতে পারে তা উল্লেখ করে। হাস্যকরভাবে, LTE মান এখনও বিকশিত হচ্ছে এবং কিছু দিক 5G-তে ব্যবহার করা হবে।

B4G এর মতো, Beyond 5G (B5G) কে 6G প্রযুক্তির পথ হিসেবে দেখা হয় যা পঞ্চম প্রজন্মের ক্ষমতা এবং 5G অ্যাপ্লিকেশন প্রতিস্থাপন করবে। এন্টারপ্রাইজ এবং শিল্প গ্রাহকদের জন্য এলটিই, 5জি এবং এজ কম্পিউটিং জড়িত 5G-এর অনেকগুলি ব্যক্তিগত ওয়্যারলেস বাস্তবায়ন 6G-এর ভিত্তি তৈরি করতে সাহায্য করেছে।

পরবর্তী প্রজন্মের 6G ওয়্যারলেস নেটওয়ার্কগুলি এটিকে আরও এক ধাপ এগিয়ে নিয়ে যাবে। তারা যোগাযোগ প্রদানকারীদের একটি ওয়েব তৈরি করবে — তাদের মধ্যে অনেকেই স্ব-প্রদানকারী — অনেকটা সেইভাবে যেভাবে ফটোভোলটাইক সৌর শক্তি স্মার্ট গ্রিডের মধ্যে সহ-প্রজন্ম নিয়ে এসেছে।

ভার্চুয়ালাইজেশন, প্রোগ্রামেবল নেটওয়ার্ক, এজ কম্পিউটিং এবং পাবলিক এবং প্রাইভেট নেটওয়ার্কগুলির একযোগে সমর্থন সম্পর্কিত সমস্যাগুলির মতো 5G-এর কারণে ডেটা সেন্টারগুলি ইতিমধ্যেই বড় পরিবর্তনগুলির সম্মুখীন হয়েছে৷ উদাহরণস্বরূপ, কিছু ব্যবসায়িক গ্রাহক হাইব্রিড অন-প্রিমিসেস এবং হোস্টেড কম্পিউটিং – যথাক্রমে প্রান্ত এবং কোর কম্পিউটিংয়ের জন্য – এবং ব্যক্তিগত ব্যবসায়িক নেটওয়ার্ক বা বিকল্প পরিষেবা প্রদানকারীদের জন্য ডেটা সেন্টার-হোস্টেড কোর নেটওয়ার্ক উপাদানগুলির সাথে অন-প্রিমিসেস RAN-এর সংমিশ্রণ চাইতে পারে। .

6G রেডিও নেটওয়ার্ক তথ্য সংগ্রহের জন্য প্রয়োজনীয় যোগাযোগ এবং তথ্য সংগ্রহ প্রদান করবে। যাইহোক, 6G প্রযুক্তি বাজারের জন্য একটি সিস্টেম পদ্ধতির প্রয়োজন। এতে HPC এবং কোয়ান্টাম কম্পিউটিং ব্যবহার করে ডেটা অ্যানালিটিক্স, এআই এবং পরবর্তী প্রজন্মের গণনার ক্ষমতা অন্তর্ভুক্ত থাকবে।

RAN-এর মধ্যে গভীর পরিবর্তনের পাশাপাশি, মূল যোগাযোগ নেটওয়ার্ক ফ্যাব্রিকও রূপান্তরিত করবে যত নতুন প্রযুক্তি 6G-এর সাথে একত্রিত হবে। উল্লেখযোগ্যভাবে, AI 6G-এর সাথে কেন্দ্রে থাকবে। এছাড়াও, একটি তথাকথিত ন্যানো-কোর একটি সাধারণ কম্পিউটিং কোর হিসাবে আবির্ভূত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে যা HPC এবং AI এর উপাদানগুলিকে অন্তর্ভুক্ত করে। এই দৃষ্টিভঙ্গিটি উপলব্ধি করা হয়েছে বলে ধরে নিলে, ন্যানো-কোরকে একটি শারীরিক নেটওয়ার্ক উপাদান হতে হবে না, বরং অনেক নেটওয়ার্ক এবং সিস্টেম দ্বারা ভাগ করা গণনামূলক সংস্থানগুলির একটি ওয়েবের একটি যৌক্তিক সংগ্রহ।

কবে আসছে 6G তার নেটওয়ার্কগুলি 5G নেটওয়ার্কগুলির তুলনায় যথেষ্ট পরিমাণে বেশি ডেটা তৈরি করবে এবং প্রান্ত এবং মূল প্ল্যাটফর্মগুলির মধ্যে সমন্বয় অন্তর্ভুক্ত করার জন্য কম্পিউটিং বিকশিত হবে। এই দুটি পরিবর্তনের প্রতিক্রিয়া হিসাবে, ডেটা সেন্টারগুলিকে বিকশিত করতে হবে। সেন্সিং, ইমেজিং এবং অবস্থান নির্ণয়ের ক্ষেত্রে 6G ক্ষমতাগুলি প্রচুর পরিমাণে ডেটা তৈরি করবে যা নেটওয়ার্ক মালিক, পরিষেবা প্রদানকারী এবং ডেটা মালিকদের পক্ষ থেকে পরিচালনা করতে হবে।

7G নেটওয়ার্ক কি এবং কেন এটি প্রয়োজন? – কবে আসছে 6G 

যদিও 6G নেটওয়ার্কগুলি কমপক্ষে 2032 সাল পর্যন্ত কার্যকর হবে বলে আশা করা হচ্ছে না, ইতিমধ্যে সপ্তম প্রজন্মের (7G) বেতার প্রযুক্তি নিয়ে গবেষণা শুরু হয়েছে। ইন্সটিটিউট অফ ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেক্ট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ার্স (IEEE), তার অত্যন্ত উচ্চ থ্রুপুট ওয়ার্কিং গ্রুপের মাধ্যমে, 7G এর জন্য 802.11be স্পেসিফিকেশন এবং ওয়াই-ফাই অ্যালায়েন্সের সাথে একত্রে একটি শিল্প সার্টিফিকেশন তৈরি করছে।

IEEE এর সংশোধিত মান 2024 সালের মে মাসে প্রত্যাশিত। এটি ডিভাইস নির্মাতাদের আন্তঃকার্যক্ষমতা এবং কর্মক্ষমতা নিয়ন্ত্রণের জন্য ডিজাইন স্পেসিফিকেশন প্রদান করবে।

কবে আসছে 6G তার একটি নেটওয়ার্কগুলি বাণিজ্যিক এবং ভোক্তা ডিভাইসগুলিতে দ্রুত গিগাবিট (Gb) ইথারনেট সংযোগ প্রসারিত করার চেষ্টা করছে। 6G যথেষ্ট উচ্চতর থ্রুপুট এবং ডেটা প্রবাহ প্রদান করবে বলে আশা করা হচ্ছে। যেমন কল্পনা করা হয়েছে, 6G নিম্নলিখিতগুলি সক্ষম করবে:

সর্বাধিক 9.6 Gbps ডেটা রেট প্রদান করুন — 3.5 Gbps প্রদানের জন্য 5G রেট করা হয়েছে;

তিনটি পর্যন্ত 160-মেগাহার্টজ ব্যান্ডউইথ চ্যানেল স্থাপন করুন; এবং

মাল্টিপ্লেক্স আটটি স্থানিক স্ট্রীম পর্যন্ত।

6GE (“E” মানে এক্সটেনশন) হল 6G এবং 7G-এর মধ্যে একটি অন্তর্বর্তী পদক্ষেপ। এই সংযোগগুলি একটি নতুন লাইসেন্সপ্রাপ্ত 6 GHz চ্যানেল ব্যবহার করে যা 6G সংকেত প্রেরণ করতে ব্যবহৃত উপলব্ধ ফ্রিকোয়েন্সিগুলিকে প্রসারিত করে৷ 2020 সালে FCC হল প্রথম নিয়ন্ত্রক সংস্থা যারা 6GE Wi-Fi ডিভাইসের উদ্ভাবনকে উৎসাহিত করতে 6 GHz স্পেকট্রামকে গ্রিনলাইট করেছে।

7G প্রযুক্তি আল্ট্রাডেন্স ওয়ার্কলোড সমর্থন করতে ব্যান্ডউইথের একটি কোয়ান্টাম লিপ প্রতিনিধিত্ব করবে। উদাহরণস্বরূপ, আর্থ ইমেজিং, টেলিকমিউনিকেশন এবং নেভিগেশনের জন্য স্যাটেলাইট নেটওয়ার্কগুলিতে একীকরণের মাধ্যমে 7G-তে ক্রমাগত বিশ্বব্যাপী বেতার সংযোগ সক্ষম করার সম্ভাবনা রয়েছে। এন্টারপ্রাইজগুলি উত্পাদন প্রক্রিয়াগুলিকে স্বয়ংক্রিয় করতে 7G প্রয়োগ করতে পারে এবং অ্যাপ্লিকেশনগুলিকে সমর্থন করতে পারে যার জন্য উচ্চ প্রাপ্যতা, অনুমানযোগ্য বিলম্ব বা পরিষেবার গ্যারান্টিযুক্ত মানের প্রয়োজন।

6G-এর তুলনায়, 7G নিম্নলিখিতগুলি করার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে:

  • 46 জিবিপিএস পর্যন্ত ডেটা সরবরাহ করে — 6জি প্রজেকশনের প্রায় পাঁচগুণ হারে;
  • চ্যানেলের আকার দ্বিগুণ করে 320 মেগাহার্টজ করুন; এবং
  • 6G-তে আটটির তুলনায় 16টি স্থানিক স্ট্রিম সামর্থ্য।

প্রশ্ন ও মতামত জানাতে পারেন আমাদের কে ইমেল : info@banglanewsexpress.com

আমরা আছি নিচের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুলোতে ও

Leave a Comment