২০২২ সালের এসএসসি ভোকেশনাল পরীক্ষার্থীদের ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা (২) ১ম সপ্তাহের এসাইনমেন্ট সমাধান ২০২১

শ্রেণি: ১০ম ভোকেশনাল 2022 বিষয়: ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা (২) এসাইনমেন্টেরের উত্তর 2021
এসাইনমেন্টের ক্রমিক নংঃ 01 বিষয় কোডঃ 1212
বিভাগ: ভোকেশনাল শাখা
বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস// https://www.banglanewsexpress.com/

এসাইনমেন্ট শিরোনামঃ আখিরাতের জীবনের স্তরসমূহের সংক্ষিপ্ত বিবরণ দাও।

শিখনফল/বিষয়বস্তু :

  • আখিরাতের জীবনের স্তরমৃত্যু ও কবর সম্পর্কে বলতে পারবে
  • আখিরাতের জীবনের স্তর- কিয়ামত, হাশর ও মিযান সম্পর্কে বলতে পারবে 
  • আখিরাতের জীবনের স্তর -শাফায়াত, সিরাত, জান্নাত ও জাহান্নাম সম্পর্কে বলতে পারবে

নির্দেশনা (সংকেত/ ধাপ/ পরিধি): 

  • আখিরাতের স্তর গুলোর নাম বর্ণনা করতে হবে
  • কিয়ামতের বিবরণ বর্ণনা করতে হবে
  • শাফায়াতের বিবরণ বর্ণনা করতে হবে

এসাইনমেন্ট সম্পর্কে প্রশ্ন ও মতামত জানাতে পারেন আমাদের কে Google News <>YouTube : Like Page ইমেল : assignment@banglanewsexpress.com

আখিরাত হলো পরকাল। মৃত্যু পরবর্তী জীবনকে আখিরাত বলে। এ জীবন চিরস্থায়ী ও অনন্ত। এ জীবনের কেনো শেষ নেই। আখিরাত বা পরকালের বেশ কয়েকটি স্তর বা পর্যায় রয়েছে। যেমন:
মৃত্যু : আখিরাত বা পরকালীন জীবনের শুরু হয় মৃত্যুর মাধ্যমে। সুতরাং মৃত্যু হলো পরকালের প্রবেশদ্বার। আল্লাহ তায়ালা সকল প্রাণীর মৃত্যু নির্ধারণ করে রেখেছেন। তিনি বলেন, ” প্রত্যেক প্রাণীকেই মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতে হবে”। (সূরা আল ইমরান, আয়াত ১৮৫)।

কবর: মৃত্যুর পর থেকে পুনরুত্থান পর্যন্ত সময়কে কবরের জীবন বলা হয়। দুনিয়াতে মানুষকে মৃত্যুর পর কবরস্থ করা হয়। এসময় মুনকার-নাকির নামক দুজন ফেরেশতা কবরে আসেন। তাঁরা মৃত ব্যক্তিকে তিনিটি প্রশ্ন করেন।

কিয়ামত: আকাইদ শাস্ত্রে কিয়ামত বলতে দুটি অবস্থাকে বোঝানো হয়। প্রথমত, কিয়ামত অর্থ মহাপ্রলয়, দ্বিতীয়ত, কিয়ামতের অন্য অর্থ দাঁড়ানো।

হাশর: হাশর হলো মহাসমাবেশ। আল্লাহ তায়ালার নির্দেশে সকল মানুষ ও প্রাণীকুল মৃত্যুর পর পুনরায় জীবিত হবে। মানুষের এ মহাসমাবেশকেই হাশর বলা হয়।

মিযান: মিযান অর্থ পরিমাপক যন্ত্র বা দাঁড়িপাল্লা। হাশরের ময়দানে মানুষের আমলসমূহ ওজন করার জন্য আল্লাহ তায়ালা যে পাল্লা প্রতিষ্ঠা করবেন তাকে মিযান বলা হয়।

সিরাত: ইসলামি শরিয়তের ভাষায় সিরাত হলো হাশরের ময়দান হতে জান্নাত পর্যন্ত জাহান্নামের উপর দিয়ে চলমান একটি উড়াল সেতু। (তিরমিযি) এ সম্পর্কে মহানবী (স.) বলেন, “জাহান্নামের উপর সিরাত স্থাপিত হবে” (মুসনাদে আহমাদ)।

শাফাআত: ইসলামি শরিয়তের পরিভাষায় কল্যাণ ও ক্ষমার জন্য আল্লাহ তায়ালার নিকট নবি-রাসুল ও নেক বান্দাগণের সুপারিশ করাকে শাফাআত বলে।

জান্নাত: ইসলামি পরিভাষায় পরকালীন জীবনে পুণ্যবানগণের জন্য পুরস্কার স্বরূপ যে আরামদায়ক স্থান তৈরি করে রাখা হয়েছে তাকে বলা হয় জান্নাত। আল্লাহ তায়ালা মুমিনদের জন্য আটটি জান্নাত তৈরি করে রেখেছেন। জান্নাত চরম সুখের আবাস

জাহান্নাম: পরকালে মুমিনদের জন্য যেমন জান্নাতের ব্যবস্থা রয়েছে তেমনি পাপীদের জন্য রয়েছে শাস্তির স্থান। আর জাহান্নামই হলো সে শাস্তির জায়গা। জাহান্নামকে (নার) বা আগুনও বলা হয়। পাপীদের শাস্তি দানের জন্য আল্লাহ তায়ালা সাতটি দোযখ তৈরি করে রেখেছেন।

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

১) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের এর আগমণ ও মৃত্যু বরণ

২) চন্দ্র দ্বিখন্ডিত হওয়া

৩) বায়তুল মাকদিস (ফিলিস্তীন) বিজয় ৪) ধন-সম্পদ বৃদ্ধি পাবে

৫) কিয়ামতের পূর্বে অনেক ফিতনার আবির্ভাব হবে

৬) ভন্ড ও মিথ্যুক নবীদের আগমণ হবে

৭) হেজায অঞ্চল থেকে বিরাট একটি আগুন বের হবে

৮) আমানতের খেয়ানত হবে

৯) দ্বীনী ইল্ম উঠে যাবে এবং মূর্খতা বিস্তার লাভ করবে

১০) অন্যায়ভাবে যুলুম-নির্যাতনকারীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে

১১) যেনা-ব্যভিচার বৃদ্ধি পাবে

১২) সুদখোরের সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে

১৩) গান বাজনা এবং গায়িকার সংখ্যা বেড়ে যাবে

১৪) মদ্যপান হালাল মনে করবে

১৫) মসজিদ নিয়ে লোকেরা গর্ব করবে

১৬) দালান-কোঠা নির্মাণে প্রতিযোগিতা করবে

১৭) দাসী তার মনিবকে প্রসব করবে

১৯) সময় দ্রুত চলে যাবে

২০) মুসলমানেরা শির্কে লিপ্ত হবে

২১) ঘন ঘন বাজার হবে

২৩) আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্ন করা হবে

২৪) লোকেরা কালো রং দিয়ে চুল-দাড়ি রাঙ্গাবে ২৫) কৃপণতা বৃদ্ধি পাবে

২৬) ব্যবসা-বাণিজ্য ছড়িয়ে পড়বে

২৭) ভূমিকম্প বৃদ্ধি পাবে

২৮) ভূমিধস ও চেহারা বিকৃতির শাস্তি দেখা দিবে

২৯) পরিচিত লোকদেরকেই সালাম দেয়া হবে

৩০) বেপর্দা নারীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে

৩১) মুমিনের স্বপ্ন সত্য হবে

৩২) সুন্নাতী আমল সম্পর্কে গাফিলতী করবে

৩৩) নতুন মাসের চাঁদ উঠার সময় বড় হয়ে উদিত হবে

৩৪) মিথ্যা কথা বলার প্রচলন বৃদ্ধি পাবে

৩৫) মিথ্যা সাক্ষ্য দেয়ার প্রচলন ঘটবে

৩৬) মহিলার সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে এবং পুরুষের সংখ্যা কমে যাবে

৩৭) হঠাৎ মৃত্যুর বরণকারীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে

৩৮) আরব উপদ্বীপ নদ-নদী এবং গাছপালায় পূর্ণ হয়ে যাবে

৩৯) প্রচুর বৃষ্টিপাত হবে, ফসল হবেনা ৪০) ফুরাত নদী থেকে স্বর্ণের পাহাড় বের হবে

৪১) জড় পদার্থ এবং হিংস্র পশু মানুষের সাথে কথা বলবে

৪২) ফিতনায় পতিত হয়ে মানুষ মৃত্যু কামনা করবে ৪৩) কাহতান গোত্র থেকে একজন সৎ লোক বের হবে

১) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের এর আগমণ ও মৃত্যু বরণ

কিয়ামতের সর্বপ্রথম আলামত হচ্ছে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামএর আগমণ। কেননা তিনি হলেন সর্বশেষ নবী। তাঁর পর কিয়ামত পর্যন্ত আর কোন নবীর আগমণ হবেনা। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামএর দুনিয়াতে আগমণের অর্থ হলো, দুনিয়ার বয়স শেষ হয়ে আসছে, কিয়ামত অতি নিকটবর্তী হয়ে গেছে। তিনি বলেনঃ

بُعِثْتُ أَنَا وَالسَّاعَةُ كَهَاتَيْنِ قَالَ وَضَمَّ السَّبَّابَةَ وَالْوُسْطَى

‘‘আমি এবং কিয়ামত এক সাথে প্রেরিত হয়েছি। একথা বলে নবী (সাঃ) হাতের শাহাদাত আঙ্গুল এবং মধ্যমা আঙ্গুলকে একত্রিত করে দেখালেন’’।[1]

ফুটনোটঃ[1] — মুসলিম, অধ্যায়ঃ কিয়ামতের আলামত।

২) চন্দ্র দ্বিখন্ডিত হওয়া

আল্লাহ তাআলা বলেনঃ اقْتَرَبَتْ السَّاعَةُ وَانْشَقَّ الْقَمَرُ‘‘কিয়ামত নিকটবর্তী হয়ে গেছে এবং চন্দ্র দ্বিখন্ডিত হয়েছে’’। (সূরা কামারঃ ১)

হাফেয ইবনে রজব বলেনঃ ‘‘আল্লাহ তাআলা চন্দ্র দ্বিখন্ডিত হওয়াকে কিয়ামত নিকটবর্তী হওয়ার অন্যতম আলামত হিসাবে নির্ধারণ করেছেন।[1]

আলেমদের সর্বসম্মত অভিমত হলো রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামএর যামানায় চন্দ্র দ্বিখন্ডিত হওয়ার ঘটনা সংঘটিত হয়ে গেছে। এ ব্যাপারে একাধিক সহীহ হাদীছ বর্ণিত হয়েছে। আনাস (রাঃ) বলেনঃ মক্কাবাসীরা যখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামএর কাছে নবুওয়াতের প্রমাণ চাইল তখন তিনি চন্দ্রকে দ্বিখন্ডিত করে দেখালেন’’।[2]

ফুটনোটঃ

[1] — الحكم الجديرة بالإذاعة: ص ১৯

[2] — মুসলিম, অধ্যায়ঃ সিফাতুল মুনাফিকীন।

৩) বায়তুল মাকদিস (ফিলিস্তীন) বিজয়

নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেনঃ কিয়ামতের পূর্বে ছয়টি বস্ত্ত গণনা করো। তার মধ্যে বায়তুল মাকদিস বিজয় অন্যতম।[1]

উমার ইবনুল খাত্তাব (রাঃ)এর শাসনামলে হিজরী ১৬ সালে বায়তুল মাকদিছ বিজয়ের মাধ্যমে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামএর ভবিষ্যৎ বাণী বাস্তবায়িত হয়েছে।

ফুটনোটঃ[1] — বুখারী, অধ্যায়ঃ কিতাবুল জিযইয়্যাহ।

৪) ধন-সম্পদ বৃদ্ধি পাবে

কিয়ামতের অন্যতম আলামত হচ্ছে মানুষের ধন-সম্পদ বৃদ্ধি পাবে। ফকীর-মিসকীন খুঁজে পাওয়া যাবেনা। সাদকা ও যাকাতের টাকা নিয়ে খুঁজা-খুঁজি করেও নেয়ার মত কোন লোক পাওয়া যাবেনা। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেনঃ

لَا تَقُومُ السَّاعَةُ حَتَّى يَكْثُرَ فِيكُمُ الْمَالُ فَيَفِيضَ حَتَّى يُهِمَّ رَبَّ الْمَالِ مَنْ يَقْبَلُ صَدَقَتَهُ وَحَتَّى يَعْرِضَهُ فَيَقُولَ الَّذِي يَعْرِضُهُ عَلَيْهِ لَا أَرَبَ لِي

‘‘ততক্ষণ পর্যন্ত কিয়ামত প্রতিষ্ঠিত হবেনা যতক্ষণ না মানুষের ধন-সম্পদ বৃদ্ধি পাবে। মানুষ যাকাতের মাল নিয়ে সংকটে পড়বে। যাকাতের মাল মানুষের কাছে পেশ করা হলে সে বলবেঃ এতে আমার কোন প্রয়োজন নেই’’।[1]

কিয়ামতের এই আলামতটি একাধিক সময়ে প্রকাশিত হবে। উমার ইবনে আব্দুল আযীযের শাসন আমলে তা প্রকাশিত হয়েছিল।

ইয়াকূব ইবনে সুফিয়ান বলেনঃ ‘‘উমার ইবনে আব্দুল আযীযের শাসন আমলে লোকেরা প্রচুর সম্পদ নিয়ে আমাদের কাছে আগমণ করতো। তারা আমাদেরকে বলতঃ তোমরা যেখানে প্রয়োজন মনে কর সেখানে এগুলো বিতরণ করে দাও। গ্রহণ করার মত লোক না পাওয়া যাওয়ার কারণে তাদের কাছ থেকে কেউ মাল গ্রহণ করতে রাজী হতোনা। পরিশেষে মাল ফেরত নিতে বাধ্য হত। মোট কথা তাঁর শাসন আমলে যাকাত নেয়ার মত লোক ছিলনা’’।[2] কিয়ামতের এই আলামতটি ইমাম মাহদীর আমলে পুনরায় প্রকাশিত হবে।

ফুটনোটঃ[1] — মুসলিম, অধ্যায়ঃ কিতাবুয্ যাকাত।[2] — ফাতহুল বারী, (১৩/৮৩)

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

পরকালে মানুষের মুক্তিতে শাফায়াত বা সুপারিশ করবে কে? নবি ব্যতিত আর কেউ কি মানুষের জন্য সুপারিশ করতে পারবে? শাফায়াতের একচ্ছত্র ক্ষমতাই বা কার? এ সম্পর্কে সুস্পষ্ট জ্ঞান থাকা সবার জন্য আবশ্যক। কুরআনুল কারিমে আল্লাহ তাআলা বিষয়টি সুস্পষ্ট করে দিয়েছেন।

পরকালে শুধুমাত্র প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামই সুপারিশ করবেন না বরং সেখানে অন্যদেরকেও সুপারিশ করার ক্ষমতা আল্লাহ তাআলা প্রদান করবেন। আর তারা হলো- ফেরেশতা, আল্লাহর প্রিয় বান্দা, নিষ্পাপ মাছুম বান্দা, রমজানের রোজা এবং কুরআন ও কুরআন তেলাওয়াতকারী।

তবে প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হলেন বিশ্ব মানবতার জন্য সর্বোচ্চ প্রথম শাফায়াতকারী। হাদিসে এসেছে-
হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘কেয়ামতের দিন আমি আদম সন্তানের নেতা হব। সর্ব প্রথম আমাকেই কবর থেকে ওঠানো হবে। কেয়ামতের দিন আমিই সর্ব প্রথম সুপারিশ করবো এবং আমার সুপারিশই সর্ব প্রথম গ্রহণ করা হবে।’ (মুসলিম)

কারা প্রিয়নবির সুপারিশ লাভে ধন্য হবে তাও তিনি সুস্পষ্ট ভাষায় ঘোষণা করেছেন-

‘কেয়ামতের দিন আমার শাফায়াত দ্বারা সবচেয়ে ভাগ্যবান হবে ওই ব্যক্তি যে ইখলাসের সঙ্গে (একনিষ্ঠভাবে) বলেছে, ‘আল্লাহ তাআলা ব্যতিত কোনো উপাস্য নেই।’ (বুখারি)

তাই বলে…

নবি-রাসুল, ফেরেশতা, ওলি, পীর, ছোট ছোট মাছুম বাচ্চাসহ রোজা, কুরআন ও কুরআন তেলাওয়াতকারীর কাছে শাফায়াত বা সুপারিশ লাভে আবেদন করা যাবে না।

যদি কেউ উল্লেখিত ব্যক্তিদের কাছে শাফায়াত বা সুপারিশ কামনা করে তবে তা হবে তাদের উপসনায় নিজেকে জড়িয়ে ফেললে। যাদের উপাসনা আল্লাহ তাআলা মানুষের জন্য হারাম ঘোষণা করেছেন।

তাহলে শাফায়াতের একচ্ছত্র অধিপতি কে?

আল্লাহ তাআলা কুরআনুল কারিমের একাধিক স্থানে শাফায়াতের একচ্ছত্র অধিপতির কথা ঘোষণা করে জানিয়ে দিয়েছেন কার কাছে

শাফায়াত লাভের আবেদন করা যাবে। তিনি হলেন শুধুমাত্র আল্লাহ তাআলা। তিনি বলেন-
‘(হে রাসুল!) আপনি বলুন, সব প্রকারের শাফায়াতের একচ্ছত্র অধিপতি হচ্ছেন আল্লাহ।’ (সুরা যুমার : আয়াত ৪৪)

তবে আল্লাহ তাআলা নবি-রাসুল, ফেরেশতা, নেক বান্দা, ছোট ছোট নিষ্পাপ বাচ্চা, কুরআন, রোজা ও কুরআন তেলাওয়াতকারীসহ অনেককেই সুপারিশের অনুমতি প্রদান করবেন। তার অনুমতি ব্যতিত কোনো শাফায়াত অনুষ্ঠিত হবে না। তাও সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে কুরআনে-

‘তাঁর (আল্লাহর) অনুমতি ব্যতিত তাঁর সামনে সুপারিশ করবে কে আছে এমন ব্যক্তি?’ (সুরা বাকারা : আয়াত ২৫৫)

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামও আল্লাহর নির্দেশিত ব্যক্তির জন্য শাফায়াত করবেন। সে বিষয়টিও কুরআনে ওঠে এসেছে-
‘আর আল্লাহ যার সম্পর্কে মর্জি করেন সে ব্যক্তি ব্যতিত অন্য কারো জন্য সুপারিশ করবে না।’ (সুরা আম্বিয়া : আয়াত ২৮)

সর্বোপরি কথা হলো-

শাফায়াত তারাই লাভ করবে যারা একমাত্র আল্লাহর ইবাদত করেছে, নির্ভেজাল ইসলাম গ্রহণ করেছে। এ ছাড়া অন্য কারো জন্য শাফায়াতও অনুষ্ঠিত হবে না। আল্লাহ তাআলা বলেন-

‘বস্তুত ইসলাম ব্যতিত অন্য কোনো দ্বীনের উদ্দেশ্য করবে যে ব্যক্তি, তার পক্ষ থেকে আল্লাহর আদালতে তা (কোনো সুপারিশ) গৃহীত হবে না।’ (সুরা আল-ইমরান : আয়াত ৮৫)

সুতরাং বুঝা গেল শাফায়াতের একচ্ছত্র অধিপতি হলেন মহান আল্লাহ তাআলা। আর তিনিই নবি-রাসুলসহ ওলি, শহিদ, ছোট বাচ্চা, কুরআন, রোজা ও কুরআন তেলাওয়াতকারীসহ অন্যান্য নেক বান্দাদেরকে সুপারিশ করার অনুমতি দেবেন।

বিশেষ করে

প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে সর্ব প্রথম শাফায়াত করার নির্দেশ দেবেন। প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামও সর্ব প্রথম শাফায়াত করবেন। আর তাঁর শাফায়াতই সর্ব প্রথম গ্রহণযোগ্য হবে। এ ঘোষণাও রয়েছে কুরআন এবং হাদিসে।

তাই কারো শাফায়াত বা সুপারিশ লাভের আশায় না ঘুরে তাওহিদ রেসালাত ও আখেরাতে বিশ্বাসী হয়ে যথাযথভাবে কুরআন-সুন্নাহ অনুযায়ী জীবন পরিচালনা করাই শ্রেয়। আর তাতে শাফায়াতের একমাত্র অধিকারী আল্লাহ তাআলা মানুষকে পরকালে কামিয়াবি দান করবেন।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে কেয়ামতের কঠিন সময়ে চূড়ান্ত ফয়সালায় শাফায়াতের মাধ্যমে সফলতা লাভ করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

সবার আগে Assignment আপডেট পেতে Follower ক্লিক করুন

এসাইনমেন্ট সম্পর্কে প্রশ্ন ও মতামত জানাতে পারেন আমাদের কে Google News <>YouTube : Like Page ইমেল : assignment@banglanewsexpress.com

অন্য সকল ক্লাস এর অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর সমূহ :-

  • ২০২১ সালের SSC / দাখিলা পরীক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
  • ২০২১ সালের HSC / আলিম পরীক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
  • ভোকেশনাল: ৯ম/১০ শ্রেণি পরীক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
  • ২০২২ সালের ভোকেশনাল ও দাখিল (১০ম শ্রেণির) অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
  • HSC (বিএম-ভোকে- ডিপ্লোমা-ইন-কমার্স) ১১শ ও ১২শ শ্রেণির অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
  • ২০২২ সালের ১০ম শ্রেণীর পরীক্ষার্থীদের SSC ও দাখিল এসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
  • ২০২২ সালের ১১ম -১২ম শ্রেণীর পরীক্ষার্থীদের HSC ও Alim এসাইনমেন্ট উত্তর লিংক

৬ষ্ঠ শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১ , ৭ম শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১ ,

৮ম শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১ , ৯ম শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১

বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস// https://www.banglanewsexpress.com/

উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় SSC এসাইনমেন্ট :

উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় HSC এসাইনমেন্ট :

Leave a Comment