২০২১ এসাইনমেন্ট ১ম সপ্তাহের ৭ম শ্রেণীর হিন্দু ধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা এসাইনমেন্ট সমাধান

Advertisement

ঈশ্বর এক ও অদ্বিতীয় এবং নিরাকার। তবে সব সাকার রূপ একই ঈশ্বরের বিভিন্ন। প্রকাশ”- যুক্তি বিশ্লেষণ পূর্বক ব্যাখ্যা কর।
সংকেত: ১। ঈশ্বরের স্বরূপ ২। ঈশ্বরের একত্ব

উত্তর :

ঈশ্বর এক ও অদ্বিতীয় এবং নিরাকার। তবে সব সাকার রূপ একই ঈশ্বরের বিভিন্ন প্রকাশ।”- নিচে উক্তিটির যর্থাথতা বিশ্লেষণ করা হলাে :-

ঈশ্বর অর্থ প্রভু। তিনি সর্বশক্তিমান ও সর্বশ্রেষ্ঠ। তিনি সব কিছুর নিয়ন্তা। জীব ও জগতের ওপর তিনি প্রভুত্ব করেন বলে তাকে ঈশ্বর বলা হয়। তিনিই সকল শক্তি ও গুণের আধার। তাঁর আদি নেই, তাই তিনি অনাদি।

তাঁর অন্ত নেই, তাই তিনি অনন্ত। তাঁর বিনাশ নেই, তাই তিনি অবিনশ্বর। তিনি নিজেকে নিজেই সৃষ্টি করেছেন, তাই তাকে স্বয়ম্ভ বলা হয়। ঈশ্বরকে পরমেশ্বর নামেও ডাকা হয়। তিনি জগতের সৃষ্টিকর্তা, পালনকর্তা এবং ধ্বংসকর্তা। তিনিই জীবের মধ্যে আত্মারূপে অবস্থান করেন। ঈশ্বরের অনন্ত গুণ, অনন্ত রূপ, অনন্ত ভাব এবং বিচিত্র তার লীলা।

জ্ঞানীর কাছে তিনি ব্রহ্ম, যােগীর কাছে তিনি পরমাত্মা এবং ভক্তের কাছে ভগবান। হিন্দু ধর্মে একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য হলাে ঈশ্বরতত্ত্ব। এই বৈশিষ্ট্য দ্বারা বােঝানাে হয়েছে ঈশ্বর নিরাকার। তিনি এক এবং অদ্বিতীয়। তবে তিনি প্রয়ােজনে সাকার রূপ ধারণ করতে পারেন। সাকার রূপ ধরে তিনি পৃথিবীতে অবতীর্ণ হন। তখন তাঁকে অবতার বলা হয়।

যখনই ধর্মের গ্লানি উপস্থিত হয় অথ্যা অন্যায় অবিচারে বিপর্যস্ত হয় মানবজীবন এবং অধর্মের অভ্যুত্থান ঘটে তখন। ঈশ্বর কোনাে না কোনাে রূপ ধারণ করে পৃথিবীতে অবতীর্ণ হন। যেমন- দ্বাপর যুগে ঈশ্বর বা ভগবান স্বয়ং কৃষ্ণরূপে পৃথিবীতে এসেছিলেন।

Advertisement

অন্যান্য অবতারও ঈশ্বরেরই অংশ। আর শ্রীকৃষ্ণ ঈশ্বরের পূর্ণ অবতার। আর তাইতাে বলা হয়েছে

‘কৃষ্ণস্তু ভগবান্ স্বয়ম্’- অথ্যাৎ শ্রীকৃষ্ণ স্বয়ং ভগবান।

বিভিন্ন দেব-দেবী এক ঈশ্বরেরই ভিন্ন ভিন্ন গুণ বা ক্ষমতার প্রকাশ মাত্র। এই এক ঈশ্বরকেই আমরা বিভিন্ন নামে অভিহিত করি। অথ্যাৎ দেব-দেবীরা ঈশ্বরের এক বিশেষ গুণ বা শক্তির সাকার রূপ। যেমন- ব্রহ্মা সৃষ্টির দেবতা, বিষ্ণুরূপে ঈশ্বর জীবজগৎকে রক্ষা ও প্রতিপালন করেন, শিবরূপে তিনি ধ্বংস করে পৃথিবীর ভারসাম্য রক্ষা করেন। অপরদিকে দুর্গা শক্তির দেবী, সরস্বতী বিদ্যার দেবী, লক্ষী ধন-সম্পদের দেবী ইত্যাদি।

আবার, ঈশ্বর যখন জীবের মধ্যে আত্মারূপে অবস্থান করেন তখন তাকে জীবাত্মা। বলে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর জীবের মধ্যে ঈশ্বরের অবস্থান সম্পর্কে বলেছেন –

“সীমার মাঝে অসীম তুমি বাজাও আপন সুর ” আমার মধ্যে তােমার প্রকাশ তাই এত মধুর।

অথ্যাৎ দেহের সীমায় জীবাত্মারূপে পরমাত্মা বা ঈশ্বর বিদ্যমান থাকেন। সুতরাং বলা যায়- ঈশ্বর নিরাকার; তিনি সাকার রূপ ধারণ করতে পারেন। সব সাকার রূপই ঈশ্বরের বিভিন্ন প্রকাশ মাত্র। ঈশ্বর এক ও অদ্বিতীয় এবং নিরাকার ।

Advertisement 5

Advertisement 2

Advertisement 2

Advertisement 3

1 thought on “২০২১ এসাইনমেন্ট ১ম সপ্তাহের ৭ম শ্রেণীর হিন্দু ধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা এসাইনমেন্ট সমাধান”

Leave a Comment