প্রশ্ন সমাধান: হার্জবার্গের দ্বি-উপাদান বর্ণনা কর, মাসলোর চাহিদা সোপান তত্ত্বটি আলোচনা কর,হার্জবার্গের দ্বি-উপাদান ও মাসলোর চাহিদা সোপান তত্ত্বটি সমালোচনা
হার্জবার্গের দ্বি-উপাদান বর্ণনা কর
শিল্পেপ্রতি প্রখ্যাত মার্কিন মনোবিজ্ঞানী হার্জবার্গ ও তার সহকর্মীগণ ১৯৫৯ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পিটার্সবার্গ নামক স্থানের ১১টি শিল্পপ্রতিষ্ঠানের ২০০ জন প্রকৌশলী ও হিসাবরক্ষকের উপর এক গবেষণা চালিয়ে কার্যক্ষেত্রে কর্মীদের সন্তুষ্টি ও অসন্তুষ্টির সাথে জড়িত দু’ধরনের উপাদান চিহ্নিত করেছেন।
→ নিম্নে এ দু’ধরনের উপাদান আলোচনা করা হলো : ১. রক্ষণাবেক্ষণমূলক উপাদান : রক্ষণাবেক্ষণমূলক উপাদান বলতে হার্জবার্গ নিম্নের বিষয়গুলোর কথা উল্লেখ করেছেন।
(ক) কোম্পানির নীতি ও পলিসি
(খ) কারিগরী তত্ত্বাবধান
(গ) সুপারভাইজারদের সাথে কর্মীদের অন্তঃব্যক্তিক সম্পর্ক
(ঘ) সহকর্মীদের সাথে সম্পর্ক
(চ) বেতন
(ছ) চাকুরির নিরাপত্তা
(জ) কার্য পরিবেশ
(ঝ) পদমর্যাদা
২. প্রেষণামূলক উপাদান : প্রেষণামূলক উপাদান বলতে হার্জবার্গ নিম্নের বিষয়গুলোর কথা উল্লেখ করেছেন ।
(ক) সাফল্যার্জন
(খ) স্বীকৃতি
(গ) সৃজনশীল কাজের মাধ্যমে অগ্রগতি অর্জন
(ঘ) কাজের দায়িত্ব
(ঙ) দায়িত্ব
(চ) উন্নতির সুযোগ
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, রক্ষণাবেক্ষণমূলক উপাদানসমূহের উপস্থিতি কর্মীদের মনে প্রেষণা যোগায় না। কিছু কার্যক্ষেত্রে তাদের অনুপস্থিত কর্মীদের মাঝে অসন্তুষ্টির জন্ম দেয়। কারণ তারা এরূপ উপাদানকে তাদের ন্যায্য পাওনা ও স্বাভাবিক বিষয় মনে করে। অর্থাৎ প্রেক্ষামূলক উপাদানসমূহের উপস্থিতি কর্মীদেরকে আত্মপ্রতিষ্ঠায় প্রেষণা বা অনুপ্রেরণা দিয়ে থাকে। তাই প্রেষণামূলক উপাদানসমূহের চাহিদাই কোন ব্যক্তিকে উদ্যোক্তা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে সাহায্য করে।
আরো ও সাজেশন:-
মাসলোর চাহিদা সোপান তত্ত্বটি আলোচনা কর
কর্মীরা এমনি এমনি স্বতঃস্ফূর্তভাবে কাজ করতে চায় না। তাদের মধ্যে স্বতঃস্ফূর্ততা আনতে গেলে প্রেষণা দান অপরিহার্য এবং এ ব্যাপারে কোনো দ্বিমত নেই। তবে কিভাবে প্রেষিত করলে কর্মীদের স্বতঃস্ফূর্ততা অধিক হারে বৃদ্ধি পাবে সে বিষয়ে মতভেদ রয়েছে এবং এ মতভেদ হতেই প্রেষণার বিভিন্ন তত্ত্বের উৎপত্তি হয়েছে।
Abraham it Maslow 1983 সালে “Theory of Human Motivation” নামক গ্রন্থে সুসমন্বিত রূপে চাহিদা সোপান তত্ত্বটি উপস্থাপন করেন যা মাসলোর চাহিদা সোপান তত্ত্ব নামে সারা বিশ্বে পরিচিত।
[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]
![হার্জবার্গের দ্বি-উপাদান বর্ণনা কর, মাসলোর চাহিদা সোপান তত্ত্বটি আলোচনা কর,হার্জবার্গের দ্বি-উপাদান ও মাসলোর চাহিদা সোপান তত্ত্বটি সমালোচনা 8 15](https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgfH2iwecWbHZkxFXLDhB14ddJBGByhBKwY3HZ-hQPx3F5gXTNYjIN0HvcX_DMsZ0VclJcdVUh834WEO_NPA8e7PhvWvc80o4WvZuwzrKA0sGOFWgyfBmoglGspio-maalcpzu-qksAokkkOqc0MXqdrIN92dESZANZGGAG08yKMMivXDL_u2iOyUjqoA/s1600/15.png)
নিম্নে চিত্রের সাহায্যে এরূপ তত্ত্বে উল্লিখিত চাহিদা সোপান প্রদর্শিত হলো-
১. দৈহিক চাহিদা : ন্যূনতম বাঁচার প্রয়োজনকে দৈহিক প্রয়োজন হিসেবে আখ্যায়িত করা যায়। খাদ্য, পানীয়, বাতাস, বস্তু ও বাসস্থানের মতো গুরুত্বপূর্ণ প্রয়োজন এ শ্রেণির চাহিদার অন্তর্ভুক্ত ।
২. নিরাপত্তা চাহিদা : দৈহিক প্রয়োজন পূরণের পর মানুষ সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন বোধ করে নিরাপত্তা রূপে নিজেকে ও তার পরিবারকে বর্তমান ও ভবিষ্যৎ অনিশ্চয়তা ও ঝুঁকির হাত হতে রক্ষা করতে চায় ।
৩. সামাজিক চাহিদা : মানুষ যখন নিরাপত্তাবোধে তৃপ্ত হয় তখন সে পরিবার, বন্ধু বান্ধব, সহকর্মী ও সমাজের অন্যদের সাথে মিলেমিশে চলতে ও অন্যদের ভালোবাসা পেতে চায়। এ পর্যায়ে সে বিভিন্ন সামাজিক ক্রিয়া কর্মে উৎসাহিত হয় ও নিজেকে সমাজের সাথে সম্পৃক্ত করতে চায় ।
৪. আত্মতৃপ্তির চাহিদা : উপরিউক্ত চাহিদাগুলো পূরণ হলে মানুষ কাজের মধ্যে আত্মতৃপ্তির প্রয়োজনীয়তা বোধ করে। আত্মতৃপ্তির প্রয়োজন একজন ব্যক্তির সুনাম-সুখ্যাতি, যশ অহংকারবোধ ইত্যাদির সাথে সংশ্লিষ্ট ।
৫. আত্মপ্রতিষ্ঠার চাহিদা : মানুষ চাহিদার শেষ পর্যায়ে যা মানুষকে আকর্ষিত করে তা হলো আত্মপ্রতিষ্ঠার প্রয়োজন। এ পর্যায়ে সে তার প্রতিভার সর্বাত্মক রূপায়ণে অগ্রসর হতে চায় ।
Paragraph/Composition/Application/Email/Letter/Short Stories | উত্তর লিংক |
ভাবসম্প্রসারণ/প্রবন্ধ, অনুচ্ছেদ/ রচনা/আবেদন পত্র/প্রতিবেদন/ চিঠি ও ইমেল | উত্তর লিংক |
সমালোচনা : এ তত্ত্বে যে সকল সমালোচনার সম্মুখীন হয়েছে সেগুলো নিম্নে তুলে ধরা হলো-
১. তত্ত্বটি ব্যাপক গবেষণা সমৃদ্ধ নয় এবং অনেকটা সাধারণ মানের ।
২. এ তত্ত্বে আত্মপূর্ণতার যে চাহিদার কথা বলা হয়েছে তা ব্যক্তি ও স্থানীয় কৃষ্টি নির্ভর। তাই দেশ-কাল পাত্র ভেদে এর গুরুত্বের তারতম্য পরিলক্ষিত হয়।
৩. এ তত্ত্বটি সাধারণভাবে গুরুত্বপূর্ণ হলেও এর কার্যগত মূল্য খুবই কম ।
৪. বর্তমান জটিল কার্য পরিবেশে প্রেষণা দানের উপাদান সম্পর্কে তার তত্ত্ব তেমন সহায়তা প্রদান করে না ।
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, বিভিন্ন রকমের সমালোচনা সত্ত্বেও প্রেষণার ক্ষেত্রে মাসলোর তত্ত্বটি প্রকৃত অর্থেই কার্যকরী। তত্ত্বটি জনপ্রিয়তা, ব্যাপকতা ও মৌলিকতার দিক দিয়েও অনন্য । প্রেষণা সম্পর্কে পরবর্তীকালের প্রত্যেক গবেষকের গবেষণায়ই তার তত্ত্বের প্রভাব কম বেশি লক্ষ্য করা যায় ।
প্রশ্ন ও মতামত জানাতে পারেন আমাদের কে ইমেল : info@banglanewsexpress.com
আমরা আছি নিচের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুলোতে ও
- বাংলাদেশে মাইক্রোফাইন্যান্স সম্পর্কিত সরকারি গাইডলাইন সমূহ উল্লেখ কর
- LC কি, LC কয় প্রকার,LC বিস্তারিত আলোচনা কর
- অপূর্ণ তথ্যের নমুনা তত্ত্বটি সমালোচনাসহ আলোচনা কর।, সমালোচনাসহ অপূর্ণ তথ্যের নমুনা তত্ত্বটি বর্ণনা কর ।
- দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের উৎসসমূহ আলোচনা কর,দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের উৎস সম্পর্কে যা জান লিখ
- স্বল্পমেয়াদি অর্থায়নের জামানতযুক্ত ও জামানতবিহীন উৎসসমূহ লিখ
- স্বল্পমেয়াদি অর্থায়নের বৈশিষ্ট্যসমূহ লিখ, স্বল্পমেয়াদি ঋণের বৈশিষ্ট্যসমূহ বর্ণনা কর