সেরা ১০ টি গোপন কৌশল ইংরেজিতে ভালো করার উপায়, নিজে নিজেই ইংরেজিতে পারদর্শী হবার ১০টি পদ্ধতি,ইংরেজিতে ভালো নম্বর তুলতে যেসব মাথায় রাখতে হবে

আজকের বিষয়: সেরা ১০ টি গোপন কৌশল ইংরেজিতে ভালো করার উপায়, নিজে নিজেই ইংরেজিতে পারদর্শী হবার ১০টি পদ্ধতি,ইংরেজিতে ভালো নম্বর তুলতে যেসব মাথায় রাখতে হবে,ইংরেজিতে ভালো করার মূলমন্ত্র,ইংরেজীতে কিভাবে ভালো ফলাফল করব?

শিক্ষার্থী কিংবা চাকরিজীবি যেই হোক না কেন, কিভাবে ইংরেজি শিখবো সবারই এটি নিয়ে দুশ্চিন্তা থাকে। শিক্ষার্থীদের পরীক্ষায় ভালো নম্বর তোলার জন্য ইংরেজি প্রয়োজন, অপরদিকে চাকরিজীবিদের কাজে প্রমোশনোর জন্য ইংরেজিতে দক্ষতা দরকার। মোট কথা, এই আধুনিক যুগের সাথে তাল মেলাতে সবারই ইংরেজি জানা বাধ্যতামূলক।

এখনকার সময়ে ইংরেজিতে দক্ষতা থাকলে ভালো চাকরি মেলে, পাওয়া যায় বিদেশে উচ্চ শিক্ষা গ্রহণের সুযোগ। এছাড়া কিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে যারা কেবল ইংরেজির ওপরই আলাদা স্কলারশিপ দিয়ে থাকে। সুতরাং বোঝাই যাচ্ছে, ইংরেজি শেখার প্রয়োজনীয়তা ও গুরুত্ব কতখানি।

যেই ইংরেজি শিখলে এত সুবিধা পাওয়া যায়, সেই ইংরেজি দেখলেই আমরা ভূত দেখার মত ভয় পাই। আমরা কয়েকটি সিনেমা দেখলে হিন্দী ভাষা শিখে যাই, অথচ ১০/১২ বছর পাঠ্যবইয়ে পড়ার পরও ইংরেজি শিখতে পারি না। ইংরেজি কি আসলেই এত কঠিন?

একদমই না। বাংলার মত ইংরেজিও একটি ভাষা, সহজ একটি ভাষা। কিছু কৌশল রপ্তের মাধ্যমে আমরা এ ভাষাটি আয়ত্বে আনা আরো সহজ করে তুলতে পারি। যেহেতু ইংরেজি আন্তর্জাতিক ভাষা এবং জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে এর প্রয়োজনীয়তা রয়েছে, তাই যেভাবেই হোক এ ভাষাটিতে দক্ষতার্জন করতে হবে।

কিভাবে ইংরেজি শিখবো?

আজকের এই আর্টিকেলে আমরা কিভাবে ইংরেজি শিখবো তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব। পাশাপাশি ইংরেজি শেখার ১০ টি সহজ ও তথ্যবহুল কৌশল তুলে ধরবো। আমি পূর্ণাঙ্গ আশাবাদি, এ কৌশলগুলো সঠিকভাবে অনুসরণ করলে ইংরেজি শেখা আপনার জন্য সহজ থেকে সহজতর হয়ে উঠবে। তাহল চলুন, শুরু করি।

১. গ্রামার গিলে খাবেন না

মনে করুন একজন লেখাপড়া না জানা ব্যক্তিকে যদি লন্ডন পাঠানো হয় তাহলে কি সে ৬ মাস থেকে ১ বছরের মধ্যে ইংরেজীতে মোটামুটি ফ্লুয়েন্ট হয়ে যায় না? এটা কি সে কি গ্রামার শিখে করে? নাকি জাস্ট কথা বলতে থাকে এবং অন্যদের সাথে ইংলিশে কমিউনিকেট করতে থাকে? অবশ্যই গ্রামারের থেকে কমিউনিকেটিং স্কিল এক্ষেত্রে বেশি গুরুত্ব রাখে।

সুতরাং আপনি যদি প্রথমেই গ্রামারের দিকে ফোকাস করতে যান তাহলে আপনার ইংরেজি শেখার গতি অনেক স্লো হয়ে যাবে এবং সহজেই হতাশ হয়ে পড়বেন। মজার ব্যাপার হচ্ছে ন্যাটিভ ইংলিশ স্পিকারদের ৮০% ই গ্রামার ভালো জানেন না। তাই ইংলিশ শিখতে গেলে শুরুতেই গ্রামারের দিকে ফোকাস করা বাদ দিতে হবে। হাঁ তবে একটু এফিসিয়েন্সী আসার পর তখন গ্রামার নিয়ে আগানো যেতেই পারে।

২. আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে কথা বলুন

কোন একটি ভাষায় জড়তা কাটিয়ে ওঠার সবচেয়ে কার্যকরী পদ্ধতি হচ্ছে আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজে নিজে কথা বলা। ইংরেজি আপনার জন্য একটি বিদেশি ভাষা। তাই এ ভাষায় জড়তা আসবে এটাই স্বাভাবিক। এ জড়তা দূর করতে আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে পড়ুন এবং নিজের দিকে তাকি ইংরেজিতে কোন বিষয় নিয়ে কথা বলতে থাকুন। এটি অনুশীলনের মাধ্যমে আপনার মুখেরর জড়তা কেটে যাবে। পাশাপাশি লজ্জাভাবটাও আয়ত্বে চলে আসবে।

৩. প্রচুর Vocabulary শিখুন

আপনি যখন কোন একটি ভাষা শিখতে যাবেন, সেই ভাষার শব্দ ভাণ্ডার আগে আপনাকে আয়ত্বে আনতে হবে। এমনকি মাতৃভাষা বাংলাও শব্দের ব্যবহার ছাড়া অসাড়। তাই ইংরেজিতে অনর্গল কথা বলার জন্য প্রচুর Vocabulary মুখস্থ রাখুন।

Vocabulary আপনার ভেতরে শব্দের এক শক্তিশালি বেজ তৈরি করবে। ফলে ইংরেজি বলার সময় কোন শব্দগুলো কোথায় ব্যবহার করতে হবে, তা সম্পর্কে আপনি নিশ্চিত হতে পারবেন। ইংরেজি গুরুত্বপূর্ণ শব্দ শেখার অতি প্রয়োজনীয় একটি বই হচ্ছে জনপ্রিয় লেখিকা মুনজেরিন শহিদের লেখা সবার জন্য ভোকাবুলারি।

দারুণ এ বইটি আপনাকে শেখাবে কিভাবে খুব সহজে ইংরেজি শিতে হয়। পাশাপাশি দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহৃত অতি গুরুত্বপূর্ণ শব্দগুলো শিখতে পারবেন এই বইটি থেকে। অনলাইনে টেন মিনিট স্কুলের এ বইটি প্রায় দেড় লক্ষের অধিক বিক্রি হয়েছে।

মাত্র ৬৫ টাকার এ বইটি কিনে আপনিও সফলভাবে ইংরেজি ভোকাবুলারি শেখার কাজটি সম্পন্ন করতে পারেন। যা পরবর্তী আপনার ইংরেজি শেখার গতিকে আরো বাড়িয়ে দেবে। নিচের বাটনে ক্লি করে বইটি মাত্র ৬৫ টাকায় (বিকাশ/নগদ) কিনে নিন।

৪. ইংরেজি শিখুন মোবাইল অ্যাপ দিয়ে

মোবাইল অ্যাপের মাধমে ইংরেজি অনুশীলনের থেকে ভালো আর কি হতে পারে? কেননা আপনি যখন খুশি, যেখানে খুশি, চলতে-ফিরতে আপনার ইংরেজি পাঠগুলো অনুশীলন করে নিতে পারেন।

সত্যিকার অর্থেই তাই। Google Play Store এ এমন অনেক English Learning Android App আছে, যা দিয়ে আপনি সহজে এবং বিনামূল্যে ইংরেজি শিখতে পারবেন। এ অ্যাপগুলো বেসিক থেকে এডভান্সড সবার জন্য বেশ সুবিধাজনক। এমন কিছু অ্যাপ হচ্ছে;

  • LearnEnglish Grammar (UK edition)
  • Knudge
  • Quizlet
  • Learn English Grammar
  • Busuu

উপরে উল্লেখিতে প্রতিটি অ্যাপ একদম ফ্রি এবং সারাবিশ্বের লাখ লাখ ব্যবহারকারীদের কাছে বেশ জনপ্রিয়। এর মধ্য কিছু অ্যাপ রয়েছে, যাতে আপনি টেস্ট দিতে পারবেন। আবার কিছু অ্যাপে বিশাল কমিউনিটির সাথে ইংরেজি কথা বলে প্রাকটিসও করতে পারবেন।

৫. ইংরেজি পত্রিকা পড়ুন

প্রত্রিকা যেকোন ভাষার অফুরন্ত এক তথ্য ভাণ্ডার। আপনি যখন কোন একটি ভাষার পত্রিকা পড়েন, তখন ওই ভাষার অনেক কিছুই আপনার জানা হয়ে যায়। ইংরেজির ক্ষেত্রেও ঠিক তাই। সুতরাং প্রতিদিন একটি করে ইংরেজি সংবাদপত্র পড়ার চেষ্টা করুন।

বাংলাদেশের প্রসিদ্ধ কিছু ইংরেজি সংবাদপত্র হচ্ছে The Daily Star, The Asian Age, The Bangladesh Observer ইত্যাদি। যেকোন একটি পত্রি সংগ্রহ করুন এবং অর্থ বুঝে বুঝে সম্পূর্ণ পত্রিকাটি পাঠা করুন। এতে করে আপনার ইংরেজি ঝালাই করা হবে, পাশাপাশি দেশ-বিদেশের সংবাদও জানা হবে।

৬. ইংরেজি মুভি বা সংবাদ দেখুন

ইংরেজিতে কথা বলার একটি স্মার্ট পদ্ধতি হচ্ছে ইংলিশ অ্যাকসেন্ট (বাচনভঙ্গি) অনুসরণ করা। ইংরেজি যাদের মাতৃভাষা, তাদের মত করে স্মার্টলি ইংরেজি বলতে চাইলে তাদের বাচনভঙ্গি আয়ত্বে আনতে হবে। যেমন আমরা বলি Education (এডুকেশন)। কিন্তু একজন আমেরিকান এই একি শব্দকে বলবে এজুকেশন। এখানেই পার্থক্য।

যেহেতু সরাসরি আপনার কোন ন্যাটিভ ইংলিশ স্পিকারের সাথে কথা বলার বা শোনার সুযোগ নেই, তাই ইংরেজি সিনেমা বা টেলিভিশন সংবাদ হতে পারে অন্যতম সুযোগ। সিনেমা দেখে আপনি ইংরেজি অ্যাকসেন্ট রপ্ত করতে পারেন। টিভি নিউজও এক্ষেত্রে বেশ কার্যকরি হবে।

এর ফলে বিদেশিরা ইংরেজি শব্দগুলো কীভাবে উচ্চারণ করে, আপনি তা অবগত হবেন। একই সাথে বিভিন্ন শব্দ উচ্চারণের সময় মুখের ভঙ্গিমা (Expression) সম্পর্কে জানতে পারবেন। যা আপনাকে ইংরেজি শেখার এডভান্স লেভেলে নিয়ে যাবে।

তবে শুরুতেই আমেরিকান মুভিগুলো না দেখাই ভালো। কারণ, শুরুতেই এসব এডভান্স মুভির ডায়লগ আপনার জন্য সহজ মনে হবে না। তাই শুরু করুন উপমহাদেশীয় ইংরেজি শর্টফিল্মগুলো দিয়ে। যেমন ভারতীয় অনেক শর্টফিল্ম রয়েছে, যা ইংরেজিতে তৈরি। এ ফিল্মগুলোর ডায়লগ নতুনদের জন্য অনেক সহজবোধ্য হয়ে থাকে।

৭. ইংরেজি কোর্স করুন

আপনি যদি মনে করেন কোন প্রতিষ্ঠানে কোর্স করার মাধ্যমে আপনার ইংরেজি আরো বেশি পারফেক্ট করা সম্ভব, তবে ইংরেজি কোর্স করতে পারেন। বর্তমানে ইংরেজি কোর্স করতে কোন ট্রেনিং সেন্টার বা কোচিংয়ে যেতে হয় না। অসংখ্য অনলাইন শিক্ষা প্লাটফর্ম রয়েছে, যারা খুব ভালো মানের ইংরেজি কোর্স প্রোভাইড করে থাকে।

বাংলাদেশে এমনই একটি জনপ্রিয় প্রতিষ্ঠান হচ্ছে টেন মিনিট স্কুল। এখানে আপনি প্রিয় শিক্ষক মুনজেরিন শহীদ এর সাথে আপনি সঠিকভাবে এবং সাবলীলভাবে দৈনন্দিন জীবনে ইংরেজিতে কথা বলা শিখে যাবেন।

এই কোর্সটির মূল্য রাখা হচ্ছে মাত্র 350 টাকা। যা আপনি বিকাশের মাধ্যমে খুব সহজেই পরিশোধ করতে পারবেন। নিচে দেওয়া ডাউনলোড বাটনে ক্লিক করে মুনজেরিন শহীদের ঘরে বসে Spoken English কোর্সটি এখনি কিনে নিন।

৮. বন্ধুদের সাথে গ্রুপ স্টাডি করুন

ভাষা শিক্ষা হোক অথবা অন্যকিছু; গ্রুপ স্টাডির বিকল্প কিছু নেই। গ্রুপ স্টাডি আপনাকে সাহায্য করবে সবার মতামত নিয়ে ইংরেজি শিখতে। সময় পেলে বন্ধু বা কাছের লোকদের নিয়ে বসুন এবং ইংরেজি প্রাকটিস করুন। একে অন্যকে প্রচুর প্রশ্ন করুন, বিভিন্ন বিষয় নিয়ে অালোচনা করুন।

এতে হয়তো অনেক ভুল বের হয়ে আসবে। এমনও হতে পারে, যা আপনি এতদিন সঠিক বলে জেনে এসেছেন, তা ভুল এবং সেই ভুল আপনার গ্রুপ মেম্বাররা আপনাকে ধরিয়ে দিল। তাই ইংরেজি শিখতে গ্রুপ স্টাডি করুন এবং সবার মতামত গ্রহণ করুন।

৯. স্পোকেন শিখুন

ইংরেজি শিখে তা প্রয়োগের চূড়ান্ত ধাপ হচ্ছে স্পোকেন। আপনি ইংরেজি জানেন, কিন্তু কোথাও বলার প্রয়োজন হলে তখন বলতে পারেন না। এর মানে আপনি ইংরেজির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ধাপটিতেই ব্যর্থ। স্পোকেনে ভালো করতে না পারলে আপনার ইংরেজি শেখা সম্পূর্ণ নিরর্থক হয়ে যাবে।

স্পোকেন কি? ইংরেজিতে স্বাচ্ছন্দ মত কথা বলাই স্পোকেন ইংলিশ। আপনি যখন কারো সাথে ইংরেজিতে কথা বলার মাধ্যমে মনের ভাব প্রকাশ করতে পারবেন, তখন তাকে স্পোকেন ইংলিশ বলা হয়। ভালো চাকরি পেতে কিংবা বিদেশে উচ্চ শিক্ষা গ্রহণ করতে হলে স্পোকেন ইংলিশে ভালো দক্ষতা থাকা বাধ্যতামূলক।

ইংরেজিতে স্পোকেন শেখার দুর্দান্ত একটি বই হচ্ছে ঘরে বসে স্পোকেন ইংলিশ। আপনি কোথাও কোচিং না করে শুধুমাত্র এ বইটির সাহাযে ইংলিশ স্পোকেনে অনেক এগিয়ে যেতে পারেন। এ বইটি আপনাকে শেখাবে:

  • কীভাবে ইংরেজিতে প্রশ্ন করতে হয়
  • কীভাবে প্রশ্নের উত্তর দিতে হয়
  • কীভাবে নতুন কারো সাথে পরিচিত হতে হয়
  • কর্মক্ষেত্রে কীভাবে ইংরেজি বলতে হয়

এগুলো ছাড়াও আমাদের জীবনে প্রতিদিন ব্যবহার করতে হয় এমন শত শত বাক্য এ বইয়ে আপনি পাবেন। সবচেয়ে মজার বিষয় হচ্ছে এর সবকিছুই আপনি পাচ্ছেন বাংলায় ব্যাখ্যাসহ। চমৎকার এ বইটির PDF মূল্য মাত্র ৬৫ টাকা। নিচের বাটনে ক্লিক করে বইটি কিনে আপনার স্পোকেন ইংলিশ শেখার যাত্রা আরো মসৃণ করে তুলুন।

১০. নিজের সাথে কথা বলুন

কোথাও কোন বক্তব্য প্রেজেন্ট করার থাকলে আগে নিজের কাছে প্রেজেন্ট করুন। একা একা কথা বলার সবচেয়ে বড় সুবিধা হচ্ছে আপনি নিজের সাথে নিজে যা খুশি তাই বলকে পারেন। ফলে আপনার ভেতরে কথার এক বিশাল ভাণ্ডার তৈরি হবে।

অনেক সময় দেখা যায়, আমরা ইংরেজিতে কথা বলার সময় জানা বাক্যগুলোও এলোমেলো করে ফেলি। কিন্তু আপনি যখন নিজে নিজে একবার অনুশীলন করবেন, এই সমস্যাটি হওয়ার সম্ভাবনা আর থাকবে না। এই অনুশীলনটি করলে আপনি কোথাও ইংরেজিতে স্পিকিং করার আগে নিজেকে প্রস্তুত করে নিতে পারবেন।

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

লিখিত পরীক্ষায় ইংরেজি একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করে আছে। এতে ভালো না করলে গড় নম্বর অনেক কমে যাবে। এখানে পার্ট এ এবং পার্ট বি মিলিয়ে মোট ২০০ নম্বর বরাদ্দ আছে। রিডিং কম্প্রিহেনশন থেকে ১০০ নম্বর; যা সাধারণ প্রশ্ন ৩০, ব্যাকরণ ৩০, পত্রিকা সম্পাদকের নিকট চিঠি ২০ এবং সারাংশ ২০ নম্বর যোগ করলে পাওয়া যায়। আর পার্ট বি–তে বাংলা থেকে ইংরেজি অনুবাদ ২৫, ইংরেজি থেকে বাংলা ২৫ এবং রচনায় ৫০ নম্বরসহ মোট ১০০ নম্বর। সর্বমোট ২০০ নম্বর। সময় পাওয়া যাবে ৪ ঘণ্টা। আর ইংরেজিতে রাতারাতি ভালো করা যায় না। আবার অনেক টপিক আছে, যা সরাসরি পরীক্ষায় আসবে না। অর্থাৎ কমন পড়বে না। অনেকের ধারণা, কমন যেহেতু পড়বে না, তাহলে পড়ে লাভ কী! লাভ হলো, আপনার চর্চা বহাল থাকলে সহজে পরীক্ষার হলে উত্তর দিতে পারবেন। একটা কথা মনে রাখবেন, কতগুলো অনুশীলন করলেন, তা গুরুত্বপূর্ণ নয়; গুরুত্বপূর্ণ হলো আপনি কতটা বুঝে বুঝে অনুশীলন করলেন। তাই বুঝে বুঝে অনুশীলন করা ছাড়া ভালো কিছু হবে না।

ভালো করার কিছু পরামর্শ:

ক) ১০ম থেকে ৪০তম বিসিএসের শুধু ব্যাকরণ অংশটি পড়ে নেবেন। বাকিগুলো না পড়লেও চলবে।

খ) কম্প্রিহেনশন যত পারেন, পড়ুন। পড়ার সময় চারটি বিষয় মাথায় রাখবেন। ১. অজানা শব্দের অর্থ অবশ্যই আয়ত্ত করবেন। ২. বাক্যের অর্থ বোঝার চেষ্টা করবেন। ৩. পুরো অনুচ্ছেদের মূলকথা বের করুন। ৪. সাধারণ প্রশ্নগুলোর উত্তর দেবেন। বাকি প্রশ্নগুলো অনুশীলন না করলেও চলবে। প্রয়োজনে অল্প কম্প্রিহেনশন চর্চা করবেন। কিন্তু ভাসা ভাসা করে দ্রুত শেষ করতে যাবেন না। এতে সব বৃথা যাবে। আরেকটা কথা, ইংরেজি পত্রিকার সমসাময়িক তাৎপর্যপূর্ণ কলাম বা লেখা পড়তে পারেন। তার অর্থ বোঝার চেষ্টা করুন। এটা পরোক্ষভাবে আপনাকে রিডিং কম্প্রিহেনশনে সাহায্য করবে। ৩৫তম বিসিএসে পত্রিকার একটি খবর থেকেই কম্প্রিহেনশন এসেছিল।

গ) ব্যাকরণ অংশে নতুন কিছু নেই। যা আপনি প্রিলিতে পড়েছেন, তা-ই। একবার চোখ বুলিয়ে নেবেন। ওয়ার্ড ফরমেশন, পার্টস অব স্পিচ চেঞ্জিং, পাংচুয়েশন, সেনটেন্স মেকিং, মিনিং অব ওয়ার্ডস গুরুত্বপূর্ণ।

ঘ) প্যাসেজ থেকেই সামারি করতে হয়। এ ক্ষেত্রে ভুলেও কোনো হুবহু বাক্য গ্রহণ করতে যাবেন না। নিজের মতো করে লিখবেন। বাসায় অনুশীলন করুন, ভুল কমে আসবে। আর এটা এত পড়ার কিছু নেই। যদি কেউ একান্ত না পারেন, তবে শব্দ পরিবর্তন করে সমার্থক শব্দ নেবেন, বড় বাক্য ছোট করে নেবেন।

ঙ) সম্পাদকের নিকট চিঠি পড়ার কিছু নেই। শুধু নিয়মকানুন জেনে রাখুন। তাতেই হবে। আর দুই পৃষ্ঠার বেশি অবশ্যই লিখবেন না। এখানে যেন কাটাকাটি, বানান ভুল বা অসুন্দর কিছু না হয়!

চ) ফ্রি–হ্যান্ড রাইটিং ইংরেজিতে খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

কোন কোন বিষয় আয়ত্তে থাকলে আপনি ইংরেজি লেখায় ভালো করবেন, তা বলা হলো:

১. শব্দের অর্থ শিখুন, যত পারা যায়। অনেকেই বলেন, মনে থাকে না। কিছু ভুলে যাবেন, এটাই স্বাভাবিক। সে জন্য পড়া থামাবেন না। যা গিয়ে, যা থাকে তা-ই লাভ। শব্দের অর্থ না জানলে আপনি লিখতে পারবেন না। তাই ফ্রি–হ্যান্ড রাইটিংয়ে ভালো করতে হলে আপনার শব্দভান্ডার মজবুত থাকতে হবে। আর এটি কিন্তু চলমান প্রক্রিয়া। শব্দ শেখার মধ্যেই থাকবেন। হোক অল্প।

২. মানসম্মত রাইটিংয়ের জন্য টেকনিক্যাল কিছু শব্দের অর্থ বা শব্দগুচ্ছ শিখবেন। যেমন ‘ধনী–গরিবনির্বিশেষে’—এর ইংরেজি হবে Irrespective of rich and poor. আপনি যদি অন্যভাবে বলেন, তাহলে মানসম্মত লেখা হবে না। আপনার লেখার মান ভালো হলে, নম্বর ভালো আসবে। এটা তো স্বাভাবিক।

৩. ইংরেজি বাক্য লেখার সময় আপনাকে Preposition ব্যবহার করতেই হয়। এতে অনেকেই ভুল করেন। তাই শুদ্ধ বাক্য লিখতে হলে এ সম্পর্কে ভালো ধারণা থাকতে হবে। এ জন্য Prepositionগুলোর বাংলা অর্থ ও সাধারণ ব্যবহার জেনে নেবেন। অবশ্যই বুঝে বুঝে পড়বেন। আর কিছু Appropriate Preposition পড়ে নেবেন। তাহল ধীরে ধীরে ভুল কমে যাবে।

৪. Tense সম্পর্কে ভালো ধারণা থাকতে হবে। এটা ছাড়া কিচ্ছু করার নেই। ১২টি টেন্সের বাংলা সংজ্ঞা, চেনার উপায়, গঠনপ্রণালিসহ ভালো করে পড়বেন যেন বাক্য দেখলেই আপনি বোঝেন কোন Tense অনুযায়ী লিখতে হবে। ধরুন, আপনি বলতে চাচ্ছেন, ‘কাল স্কুলে যাব’, এটি যদি এভাবে লেখেন, ‘I was go school’, তাহলে কী হলো? যিনি খাতা দেখবেন, তিনি অজ্ঞান হয়ে যাবেন। আপনার কাউকে অজ্ঞান করার অধিকার নেই। তাই ভালো করে Tense পড়ুন।

৫. প্রচুর অনুশীলন করুন। বুঝে বুঝে করুন। ফ্রি–হ্যান্ড রাইটিংয়ের জন্য অনুশীলন ব্যাপক কাজে দেয়। সম্ভব হলে যে ফ্রি–হ্যান্ডে ভালো, তাঁর সাহায্য নিতে পারেন। লেখার পর তাঁকে দেখাতে পারেন। তিনি ভুলগুলো চিহ্নিত করে দিলে বুঝে নিন। লজ্জার কিছু নেই।

৬. ইংরেজি পত্রিকা থেকে একটু সাহায্য নেবেন। প্রতিদিন দরকার নেই। কলামগুলো পড়ার সময় খেয়াল রাখবেন, কীভাবে ওরা বাক্য তৈরি করল। এটা মাঝেমধ্যে নিজেও অনুসরণ করবেন। আর নতুন শব্দ পেলে মুখস্থ রাখবেন।

৭. যদি সম্ভব হয়, প্রতিদিন একটা টপিক ধরে এক পৃষ্ঠা করে লিখবেন। চর্চা না করলে তো হবে না। প্রথম দিকে সহজ টপিক নিয়ে লিখবেন। আস্তে আস্তে কঠিন নেবেন।

৮. তথ্যভিত্তিক ইংরেজি লেখা হলে শুধু ইংরেজিই লিখবেন না, সঙ্গে তথ্য দেবেন। এতে লেখার মান বাড়বে। আর রিডার সন্তুষ্ট হলে আপনার লাভ।

৯. Tense ও Preposition সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণার জন্য চৌধুরী অ্যান্ড হোসাইনের এসএসসি ইংলিশ সেকেন্ড পেপার গাইডটা পড়তে পারেন। ইংরেজি পত্রিকা The Daily Star নিন।

ছ) অনুবাদের জন্য ফ্রি–হ্যান্ডের নিয়মগুলো বেশ কাজে দেবে। চর্চা করতে থাকুন। আর অনুবাদ শতভাগ মিলতে হবে, এমন কোনো কথা নেই। বড় বাক্য হলে ভেঙে একাধিক বাক্যও হতে পারে। বিষয়বস্তুটা বোঝাতে পারলেই নম্বর আসবে।

জ) রচনা কোনটা আসবে বলা কঠিন। তবে ১০টি সাধারণ বিষয় সম্পর্কে ধারণা নিয়ে যাবেন যা আপনার সাধারণ জ্ঞান এবং বাংলা রচনায়ও কাজে লাগবে। এসব বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করতে থাকুন। নোট করুন। ১. নারী (নির্যাতন, উন্নয়ন, ক্ষমতায়ন, মুক্তি) ২. শিক্ষা (সমস্যা, নীতি, সম্ভাবনা, হার) ৩. গণতন্ত্র (সমস্যা, সম্ভাবনা, বর্তমান চিত্র) ৪. দুর্নীতি চিত্র (টিআইবি, টিআই, বিভিন্ন খাতের অবস্থা) ৫. জ্বালানি পরিস্থিতি (বিদ্যুৎ, গ্যাস, খনিজ তেল, উৎপাদন, ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা) ৬. শিল্প ( পোশাক, চামড়া, পর্যটন এবং এগুলোর সার্বিক দিক) ৭. দারিদ্র্য পরিস্থিতি (হার, কারণ, চিত্র, সরকারের পরিকল্পনা ও উদ্যোগ) ৮. আইসিটি চিত্র (মুঠোফোন, ইন্টারনেট, পরিকল্পনা, সুবিধা, অসুবিধা) ৯. পরিবেশ অবস্থা (ভূমিকম্প, জলবায়ু পরিবর্তন, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পদক্ষেপ) ১০. সন্ত্রাসবাদ (ধর্মীয়, রাজনৈতিক, আইএস, বোকো হারাম, প্রেক্ষাপট—বিশ্ব ও বাংলাদেশ, গৃহীত পদক্ষেপ)।

ঝ) তিনটি রচনার মধ্যে যে রচনায় আপনি তথ্য বেশি দিতে পারবেন বা তথ্য বেশি দেওয়ার সুযোগ আছে, সেটা লেখার জন্য নির্বাচিত করবেন। তাত্ত্বিক বা আধ্যাত্মিক বিষয়ে লেখা খুব কঠিন। যেমন- Nature vs Nurture খুব কঠিন একটি রচনা। লিখতে বহুজনই স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করবেন না।

ঞ) বাজার থেকে যেকোনো একটি লিখিত ইংরেজি গাইড সংগ্রহ করে নিন। অনুশীলন ও বিগত প্রশ্ন পড়তে কাজে লাগবে।

ট) রাইটিং সেকশনগুলোয় সম্ভব হলে Phrase and Idiom ব্যবহার করবেন। এতে লেখার একঘেয়েমি দূর হয়; পাঠক পড়ে আপনার দক্ষতা সম্পর্কে ধারণা পাবে। তবে অপ্রাসঙ্গিক ব্যবহার যেন না হয়।

প্রশ্ন ও মতামত জানাতে পারেন আমাদের কে ইমেল : info@banglanewsexpress.com

আমরা আছি নিচের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুলোতে ও

Leave a Comment