সূরা ক্বারিয়াহ কতো বার পাঠ করলে কোন আলম ও ফজিলত, সূরা ক্বারিয়াহ নাযিলের কারন গুলো কি কি ,কুরআন ১০১ সূরা আল – ক্বারিয়াহ

আজকের বিষয়: সূরা ক্বারিয়াহ কতো বার পাঠ করলে কোন আলম ও ফজিলত, সূরা ক্বারিয়াহ নাযিলের কারন গুলো কি কি ,কুরআন ১০১ সূরা আল – ক্বারিয়াহ

নামকরণ :

প্রথম শব্দ ( আরবী —————–) কে এর নাম গণ্য করা হয়েছে। এটা কেবল নামই নয় বরং এর বক্তব্য বিষয়ের শিরোনামও । কারণ এর মধ্যে শুধু কিয়ামতের কথাই বলা হয়েছে।

নাযিলের সময় – কাল

এর মক্কী হবার ব্যাপারে সবাই একমত। বরং এর বক্তব্য বিষয় থেকে প্রকাশ হয় , এটিও মক্কা মু’ আযযমার প্রথম যুগে নাযিল হয়।

বিষয়বস্তু ও মূল বক্তব্য

এর বিষয়বস্তু হচ্ছে কিয়ামত ও আখেরাত । সর্বপ্রথম লোকদেরকে একটি মহাদুর্ঘটনা ! বলে আতংকিত করে দেয়া হেয়েছে , কি সেই মহাদুর্ঘটনা ? তুমি কী জানো সেই মহা দুর্ঘটনাটি কী ? এভাবে শ্রোতাদেরকে একটি ভয়াবহ ঘটনা অনুষ্ঠিত হবার খবর শোনার জন্য প্রস্তুত করার পর দু’টি বাক্যে তাদের সামনে কিয়ামতের নকশা এঁকে দেয়া হয়েছে। বলা হয়েছে , সেদিন লোকেরা আতংকগ্রস্ত হয়ে এমনভাবে চারদিকে দৌড়াদৌড়ি করতে থাকবে যেমন প্রদীপের আলোর চারদিকে পতংগরা নির্লিপ্তভাবে ছুটাছুটি করতে থাকে। পাহাড়গুলো সমূলে উৎপাটিত হয়ে স্থানচ্যূত হবে । তাদের বাঁধন থাকবে না। তারা তখন হয়ে যাবে ধূনা পশমের মতো। তারপর বলা হয়েছে , আখেরাতে লোকদের কাজের হিসেব নিকেশ করার জন্য যখন আল্লাহর আদালত কায়েম হবে তখন কার সৎ কাজ তার অসৎকাজের চাইতে ওজনে ভারী এবং কার সৎকাজ তার অসৎকাজের চাইতে ওজনে হালকা , এরি , ভিত্তিতে সেখানে ফায়সালা অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম ধরনের লোকেরা আরামের ও সুখের জীবন লাভ করে আনন্দিত হবে। আর দ্বিতীয় ধরনের লোকদেরকে এমন গভীর গর্তের মধ্যে ফেলে দেয়া হবে যেগুলো থাকবে শুধু আগুনে ভরা।


আল কোরআনের সূরা সমূহ বাংলা অনুবাদ, ফজিলত, আয়ত, রুকু আরবি ও বাংলা উচ্চারণ  


بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَٰنِ الرَّحِيمِ  

উচ্চারণ বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম  

অনুবাদ পরম করুণাময় অতি দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি।

 الْقَارِعَةُ101.1  

উচ্চারণ ১০১.১। আল্ক্ব-রি‘আতু  

অনুবাদ ১০১.১ মহাভীতিপ্রদ শব্দ।

 مَا الْقَارِعَةُ101.2  

উচ্চারণ ১০১.২। মাল্ক্ব-রি‘আহ্।  

অনুবাদ ১০১.২ মহাভীতিপ্রদ শব্দ কি?

وَمَا أَدْرَاكَ مَا الْقَارِعَةُ101.3  

উচ্চারণ ১০১.৩। অমা য় আদ্র-কা মাল্ক্ব-রি‘আহ্।  

অনুবাদ ১০১.৩ তোমাকে কিসে জানাবে মহা ভীতিপ্রদ শব্দ কি?

 يَوْمَ يَكُونُ النَّاسُ كَالْفَرَاشِ الْمَبْثُوثِ101.4  

উচ্চারণ ১০১.৪। ইয়াওমা ইয়াকূনুন্না-সু কাল্ফার শিল্ মাব্ছূছি।  

অনুবাদ ১০১.৪ যেদিন মানুষ হবে বিক্ষিপ্ত পতঙ্গের মত,

 وَتَكُونُ الْجِبَالُ كَالْعِهْنِ الْمَنْفُوشِ101.5  

উচ্চারণ ১০১.৫। অতাকূনুল্ জ্বিবা-লু কাল্ ই’হ্নিল্ মান্ফূশ্।  

অনুবাদ ১০১.৫ আর পর্বতরাজি হবে ধুনা রঙিন পশমের মত।

 فَأَمَّا مَنْ ثَقُلَتْ مَوَازِينُهُ101.6  

উচ্চারণ ১০১.৬। ফাআম্মা-মান্ ছাকুলাত্ মাওয়া-যীনুহূ।  

অনুবাদ ১০১.৬ অতঃপর যার পাল্লা ভারী হবে,

فَهُوَ فِي عِيشَةٍ رَاضِيَةٍ101.7  

উচ্চারণ ১০১.৭। ফাহুওয়া ফী ঈ’শার্তি রা-দ্বিয়াহ্  

অনুবাদ ১০১.৭ সে থাকবে সন্তোষজনক জীবনে;

وَأَمَّا مَنْ خَفَّتْ مَوَازِينُهُ101.8  

উচ্চারণ ১০১.৮। অআম্মা- মান্ খাফ্ফাত্ মাওয়া-যীনুহূ।  

অনুবাদ ১০১.৮ আর যার পাল্লা হালকা হবে,

فَأُمُّهُ هَاوِيَةٌ101.9  

উচ্চারণ ১০১.৯। ফাউম্মুহূ হা-ওয়িয়াহ্।  

অনুবাদ ১০১.৯ তার আবাস হবে হাবিয়া।

وَمَا أَدْرَاكَ مَا هِيَهْ101.10  

উচ্চারণ ১০১.১০। অমা য় আদ্রা-কা মা-হিয়াহ্  

অনুবাদ ১০১.১০ আর তোমাকে কিসে জানাবে হাবিয়া কি?

 نَارٌ حَامِيَةٌ 101.11  

উচ্চারণ ১০১.১১। না-রুন্ হা-মিয়াহ্।  

অনুবাদ ১০১.১১ প্রজ্জ্বলিত অগ্নি।

Leave a Comment