প্রশ্ন সমাধান: সাধারণ বীমা ও ইসলামী বীমা পার্থক্য, সাধারণ বীমা vs ইসলামী বীমা পার্থক্য, সাধারণ বীমা ও ইসলামী বীমা তুলনামূলক আলোচনা, ইসলামী বীমা ও সাধারণ বীমা মধ্যে পার্থক্য, সাধারণ বীমা ও ইসলামী বীমা কাকে বলে,তুলনা সাধারণ বীমা: সাধারণ বীমা ও ইসলামী বীমা আলোচনা
সাধারণ বীমা ও ইসলামী বীমার মধ্যে মৌলিক পার্থক্য:
ইসলামী বীমা (তাকাফুল) ও প্রচলিত বীমার মধ্যে বিভিন্ন পার্থক্য বিদ্যমান। লক্ষ্য-উদ্দেশ্য কর্মকাণ্ড ও কার্যপ্রণালীর দিক থেকে ইসলামী বীমা ও প্রচলিত বীমার মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। সেগুলো হলো-
১। ইসলামী শরিয়তের অনুশাসনের ভিত্তিতে তাকাফুল বা ইসলামী বীমা পরিচালিত হয়। অন্যদিকে প্রচলিত বাণিজ্যিক বীমা ব্যবস্থায় শরীয়াহ পালনের প্রতিশ্রতি নেই।
২। ইসলামী বীমার প্রাথমিক উদ্দেশ্য; পারস্পারিক কল্যাণ ও লাভ-লোকসানের সমান ভাগাভাগি। অন্যদিকে প্রচলিত বাণিজ্যিক বীমার উদ্দেশ্য কেবল মুনাফা অর্জন।
৩। শরীয়াহ মূলনীতি অনুসারে সকল প্রকার লেনদেন কর্মকাণ্ডে সুদ পরিহার করতে হয় ইসলামী বীমায়। অন্যদিকে প্রচলিত বীমা ব্যবস্থায় সুদভিত্তিক লেনদেন করা হয় এবং তাতে কোন বাধা নেই।
৪। ইসলামী বীমার সবকিছুতে সচ্ছতা ও পরিচ্ছন্নতা থাকতে হয়। অন্যদিকে প্রচলিত বীমা পলিসিতে অস্বচ্ছতা বা গারারের উপাদান থাকে।
৫। ইসলামী বীমা পলিসিতে জুয়ার কোন উপাদান থাকতে পারে না। অন্যদিকে প্রচলিত বীমায় জুয়ার উপাদান থাকার সুযোগ রয়েছে।
৬। ইসলামী বীমায় মানব কল্যাণের উদ্দেশ্যে যাকাত বা সাদকা তহবিল গঠন করা হয়। অন্যদিকে প্রচলিত বীমায় এ ধরণের কোন তহবিল গঠণের বিধান থাকে না।
৭। ইসলামী বীমায় শরীয়াহ পালন নিশ্চিত করার জন্য শরীয়াহ কাউন্সিল থাকে। অন্যদিকে প্রচলিত বীমায় এ ধরণের কোন প্রকার কাউন্সিল গঠন করা হয় না।
প্রশ্ন ও মতামত জানাতে পারেন আমাদের কে ইমেল : info@banglanewsexpress.com
আমরা আছি নিচের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুলোতে ও
- সরকারের উত্তম বিধি পালনের বিষয়টা বর্ণনা করে
- যুক্তরাজ্যের কর্পোরেট গভর্নেন্সের বিধি এবং গাইডলাইন সম্পর্কে আলোচনা কর
- কর্পোরেশন কাকে বলে, কর্পোরেট অর্থায়ন কাকে বলে উদাহরণসহ বুঝিয়ে লেখ
- মুদ্রা বাজার ও মূলধন বাজার পার্থক্য
- কোম্পানি সচিব ও একান্ত সচিব পার্থক্য
- আদর্শ কোম্পানি সচিবের গুণাবলি