Google Adsense Ads
জিগুরাত হচ্ছে মন্দিরের ভিত্তি। এটি উচ্চ স্থানে অবস্থিত মন্দিরে পৌঁছানোর পথ হিসেবে কাজ করে। জিগুরাত শব্দটি এসেছে প্রাচীন মেসোপটেমিয়ার আক্কাদীয় ভাষার জাকারু বা জাগারু (zaqaru) শব্দ থেকে, যার অর্থ ওপরে ওঠানো। জাকারু থেকে পরবর্তী সময়ে জিকুরাতু বা জিগুরাত শব্দটির উদ্ভব হয়, যার অর্থ উচ্চ স্থানে নির্মাণ করা, পর্বতের চূড়া বা ওপরে উঠে যাওয়া স্থাপনা। আক্ষরিক অর্থেই জিগুরাতগুলো সুউচ্চ স্থাপনা, যাদের বেশির ভাগের উচ্চতা ৫০ মিটার বা তার চেয়েও বেশি। সর্বোচ্চ ৯২ মিটার উচ্চতাবিশিষ্ট জিগুরাতেরও সন্ধান পাওয়া গেছে। এর সর্বোচ্চ চূড়া সমতল হয়ে থাকে এবং এই চূড়ার ওপর একটি করে মন্দির থাকে।
সবচেয়ে প্রাচীন জিগুরাত নির্মিত হয়েছিল খ্রিস্টপূর্ব ৩০০০ অব্দের দিকে। সুমেরীয় শাসকরা জিগুরাত নির্মাণের প্রচলন করলেও পরবর্তী সময়ে ব্যাবিলনীয় এবং অ্যাসিরীয় রাজাদের সময়জুড়েও এগুলোর নির্মাণ অব্যাহত ছিল। সর্বশেষ জিগুরাত নির্মিত হয়েছিল খ্রিস্টপূর্ব ৬০০ অব্দের দিকে।
এগুলো দেখতে অনেকটা পিরামিডের মতো হলেও পিরামিডের সঙ্গে এদের বেশ কিছু পার্থক্য আছে। জিগুরাতের অভ্যন্তর পিরামিডের মতো ফাঁপা নয়, বরং পর্বতের মতো নিরেট। পিরামিডের মতো এর পৃষ্ঠ সমতল বা মসৃণ নয়, বরং একাধিক ধাপবিশিষ্ট। জিগুরাত তৈরি করা হয়েছে অসংখ্য ছোট ইট দ্বারা। এর ভূমি সাধারণত বর্গাকার, আয়তাকার বা উপবৃত্তাকার হয়ে থাকে। বেশির ভাগ বর্গাকার জিগুরাতের ভূমির বাহুর দৈর্ঘ্য মোটামুটি ৫০ মিটার এবং আয়তাকার জিগুরাতের দৈর্ঘ্য ৫০ মিটার ও প্রস্থ ৪০ মিটারের কাছাকাছি হয়ে থাকে। যদিও বর্তমানে কোনো জিগুরাতই সর্বোচ্চ ধাপ পর্যন্ত অক্ষত নেই; কিন্তু বিভিন্ন বিবরণ থেকে সর্বনিম্ন দুই থেকে সর্বোচ্চ সাত ধাপবিশিষ্ট জিগুরাতের সন্ধান পাওয়া গেছে। প্রতিটি ধাপের ক্ষেত্রফল তার নিম্নবর্তী ধাপের ক্ষেত্রফলের চেয়ে কম। প্রতিটি ধাপের ঢালু দেয়াল এবং উপরস্থ চত্বর বিভিন্ন গাছপালা দ্বারা সজ্জিত থাকত। মেসোপটেমিয়ার জিগুরাতগুলোর প্রতিটি ধাপ থেকে পরবর্তী ধাপে পৌঁছানোর জন্য একাধিক সিঁড়ির ব্যবস্থা ছিল। কিন্তু ইরানের জিগুরাতগুলোতে নিচ থেকে চূড়া পর্যন্ত একটি মাত্র সর্পিলাকার র্যাম্প বা ক্রমশ ঢালু পথ ছিল।
বর্তমানে খুব কমসংখ্যক জিগুরাতই তার অবিকৃত আকৃতি ধরে রাখতে পেরেছে। প্রত্নতাত্ত্বিকদের প্রচেষ্টায় সন্ধান পাওয়া জিগুরাতগুলোর মধ্যে আকারে সবচেয়ে বড় এবং সংরক্ষিত জিগুরাতগুলোর একটি হচ্ছে ইরানের চোগা জানবিল। খ্রিস্টপূর্ব ১২৫০ সালে নির্মিত এই জিগুরাতটির আসল নাম ছিল দুর উনতাশ।
শিক্ষা
Google Adsense Ads
- ‘ওয়ার্ল্ড হিজাব দিবস’ আজ
- “যতকাল রবে পদ্মা যমুনা,গৌরী মেঘনা বহমান,ততকাল রবে কীর্তি তোমার,শেখ মুজিবর রহমান।”—এই কবিতাটি কে লিখেছেন?
- এইচএসসি পরীক্ষা 2020 এর অব্যয়িত কেন্দ্র ফি এবং বোর্ড ফি ফেরত প্রদান
- ২০১৮ সালের ২য় বর্ষ অনার্স (বিশেষ) পরীক্ষা শুরু ১৮ ফেব্রুয়ারি
- ‘আমার ঘরে আমার মাদ্রাসা’ দ্বিতীয় সপ্তাহের (৩১.০১.২০২১ থেকে ০৪.০২.২০২১খ্রি পর্যন্ত) ক্লাস রুটিন
- ২০২০ সনের অনার্স ১ম বর্ষ নিয়মিত, অনিয়মিত ও মানোন্নয়ন পরীক্ষার ফরমপূরণ
- ২০১৯ সনের অনার্স ২য় বর্ষ (পুরাতন সিলেবাস) অনিয়মিত ও মানোন্নয়ন পরীক্ষার ফরম
- খতিয়ানে লিপিবদ্ধ এবং খতিয়ানের উদ্বৃত্ত দিয়ে রেওয়ামিল প্রস্তুত করো
- মুক্তিবেগের সংজ্ঞা লিখুন, মুক্তিবেগের রাশিমালা প্রতিপাদন করবে
- এইচএসসি ভোকেশনাল পদার্থ বিজ্ঞান অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর
Google Adsense Ads
1 thought on “ষষ্ঠ শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বইয়ের দ্বিতীয় অধ্যায়ে ‘জিগুরাত’-এর কথা উল্লেখ আছে”