শুধু শেখানো নয়, শিশুর খাতিরে বদলাতে হবে আপনাদেরও। শৃঙ্খলা শিখতে হবে শিশুর সাথেই

শুধু শেখানো নয়, শিশুর খাতিরে বদলাতে হবে আপনাদেরও। শৃঙ্খলা শিখতে হবে শিশুর সাথেই!

দৃশ্য ১: চিৎকার করে রাস্তার মাঝে শুয়ে পড়ে তুমুল কান্না ২ বছরের তোজোর! খেলনার দোকানে ডিসপ্লেতে রাখা রিমোট কন্ট্রোল গাড়িটাই এখনই চাই তার। বেচারি মা সামলাতেই পারছেন না বাচ্চাটিকে। রাস্তার লোকজন তাকাচ্ছে বাঁকা দৃষ্টিতে। একহাতে ব্যাগ, একহাতে নাছোড়বান্দা বাচ্চাকে আর কতক্ষণ সামলাবেন মা? দিলেন এক থাপ্পড় বসিয়ে।

দৃশ্য ২: বাড়িতে দু-তিনজন অতিথি এসেছেন। বাড়ির খুদে সদস্যটির সাথে আলাপ করার বড্ড ইচ্ছে তাদের। কিন্তু ৩ বছরের ছোট্ট জোজো কিছুতেই আসবে না সামনে। কোলে আসা তো দূরের কথা, একজন অতিথি আদর করে গাল টেপায় জোজো রেগেমেগে কামড়ে দিয়েছে তাকে। মা-বাবা তো লজ্জায় লাল!

দৃশ্য ৩: ছোট্ট রাইকে নিয়ে বিয়েবাড়ি বেড়াতে গেছেন ওর মা-বাবা। সুন্দর একটা প্রিন্সেস ফ্রক পরে সে তুরতুর করে ঘুরে বেড়াচ্ছে সারা বিয়েবাড়ি। কিন্তু সারাক্ষণ একটা আঙুল নাকে ঢুকিয়ে রেখেছে, নাক খুঁটেই চলেছে অবিরাম। মা হাজার চোখ পাকালেও কোনও ভাবান্তর নেই তার মধ্যে। রাইয়ের মাকে বিনা কারণেই দু’কথা শুনতে হল যে, সে বাচ্চাকে মানুষ করতে পারছে না।
ওপরের দৃশ্যগুলো বড্ড পরিচিত আমাদের কাছে। বাড়িতে যদি একটা এমন বাচ্চা থাকে, যে সবে বড় হতে শুরু করেছে, চারপাশের পৃথিবীটা নিজের মতো করে বুঝতে শিখছে, তা হলে এই ঘটনাগুলো প্রায় প্রত্যেক বাড়িতেই হয়ে থাকে। সব বাচ্চার ব্যবহার, বোধ-বুদ্ধি, পরিস্থিতি বিচারের ক্ষমতা এক হয় না।

কেউ নিজে নিজেই সুন্দর সহবত মেনে চলতে পারে, আবার কেউ মোটেও শৃঙ্খলা পছন্দ করে না। কেউ বাবা-মায়ের অত্যন্ত বাধ্য, আবার কেউ ২৪ ঘণ্টায় ২৫ বার অহেতুক ঝোঁক বা বায়না করে।

একগুঁয়ে, জেদি বা বদমাইশ; এই বিশেষণগুলো কিন্তু কখনই একটা ছোট্ট বাচ্চার নামের আগে জুড়ে দেওয়া যায় না। ভবিষ্যতে একজন সুন্দর চিন্তাধারার এবং রুচিবোধসম্পন্ন মানুষ হিসেবে তাকে গড়ে তোলার দায়িত্ব কিন্তু বাবা মায়েরই। ছোট বয়স থেকেই সহবত শিক্ষার বীজ শিশুমনে বপন করে দিলে তা সারাজীবনের সম্পদ হয়ে থাকে। মার্জিত রুচি, ভদ্র ব্যবহার এবং শিষ্টতা প্রত্যেক মানুষের গুণের মাপকাঠির বিচারে এখনও সবার আগে আসে।

শান্ত হোক বা দুরন্ত, বাধ্য হোক বা জেদি, শিশুকে সঠিকভাবে মানুষ করতে শৃঙ্খলাবোধ ও সহবতের পাঠ দেওয়া শুরু করুন ছোট্ট বয়স থেকেই। কেউ হয়তো জলদি শিখে নেবে, কেউ একটু দেরিতে। একটু ধৈর্য ধরলে কিন্তু ভবিষ্যতে আপনিই সন্তানগর্বে গর্বিত হবেন। ছোট্ট বাচ্চাকে শৃঙ্খলার পাঠ দেবেন কীভাবে?

কীভাবে শৃঙ্খলার হাত ধরেই জন্ম নেবে সহবত? রইল কিছু টিপস!
শৃঙ্খলা বা ডিসিপ্লিন আসলে কী?

সাদামাটা বাংলায় বললে শৃঙ্খলা বা ডিসিপ্লিন মানে ‘শেখানো এবং শেখা’ । নিজের সন্তানকে আপনি কীভাবে গড়ে তুলতে চান, তার মধ্যে রুচিবোধ, ব্যবহার, শিষ্টাচারের বীজ কীভাবে পুঁতে দিতে চান, সেটাই আপনার কাছে ডিসিপ্লিন। একটা নির্দিষ্ট ছন্দে জীবন এগোয় এই শৃঙ্খলার হাত ধরেই। আর এর থেকেই জন্ম নেয় সহবত। শিশু অন্যদের সাথে কীভাবে মিশবে, কীভাবে বিস্তার করবে তার মানবিক পরিচয়, সবকিছুই আসে ডিসিপ্লিন থেকেই। শুধু শিশুকে শেখানো নয়, শিশুর খাতিরে বদলাতে হবে আপনাদেরও, শিখতে হবে শিশুর সাথেই।

শৃঙ্খলার পাঠকে কী কী ভাগে ভাগ করতে পারি?

শৃঙ্খলা বোধ বা ডিসিপ্লিনের পাঠকে মনস্তত্ত্ববিদরা প্রধান ৫ ভাগে ভাগ করে থাকেন। আমি বেশি জটিলে ঢুকবো না, উদাহরণের মাধ্যমেই সহজ করে বলে দিচ্ছি ডিসিপ্লিন বা শৃঙ্খলা শিক্ষার পাঁচটি ভাগ ।
ধরুন, বাচ্চা কিছুতেই বিকেলের খাবার খেতে চায় না। আপনি কতরকম ভাবে ওকে বোঝাতে পারেন দেখুন;

1. ইতিবাচক পাঠ:

এটা হল মিষ্টি কথায় কাজ আদায়। আপনি ওকে বলুন যে “জানি তো তোমার খেতে ভালো লাগে না, কিন্তু না খেলে তুমি বড় হবে কীভাবে? বড় হলে তোমাকে একটা সাইকেল কিনে দেব ভাবছিলাম, সেটা মনে হয় দেওয়া যাবে না আর!” এখনই খা, না খেলে মারবো বা খেতে হবে না, এই ধরনের কথার থেকে এরকম মিষ্টি “হ্যাঁ” বাচক কথায় বেশি লাভ হবে।

2. শর্ত বাঁধা পাঠ:

এই ক্ষেত্রে একটু শর্ত দেওয়া দরকার। যেমন, না খেলে কিন্তু আজ কার্টুন দেখা পুরোপুরি বন্ধ। বাচ্চা বুঝবে যে না খেলে ও ওর কিছু প্রিয় কাজ করতে পারবে না।

3. পুরষ্কারের শর্ত বাঁধা পাঠ:

বাচ্চা মানুষ, মাঝে মাঝে একটু উপহারের লোভ দেখাতে হয় বই কি! ওকে বলুন যে, প্রত্যেকদিন ভালো হয়ে খাবার খেয়ে নিলে একমাস পরে ওর জন্য আনবেন একখানা ফুটবল বা ডল হাউস। প্রত্যেক ক্ষেত্রে উপহারের লোভ না দেখালেও মাঝে মাঝে উপহার দিন শিশুকে। উপহার যেন শিশুর বিকাশে সহায়ক হয়।

4. জেন্টল ডিসিপ্লিন:

আপনি বাচ্চাকে বললেন “ জানি খাবারটা খেতে তোমার খুব খারাপ লাগে। খেতে হবে না, এক কাজ কর, বাবাকে একটা চিঠি লিখে জানাও তুমি কেন খেতে চাও না। দেখি আমরা কী করতে পারি!” এইরকম কথা বললে শিশু বোঝে যে তার অনুভূতিকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। তার ইচ্ছের সম্মান করা হচ্ছে। পরবর্তীকালে সেও অন্যের ইচ্ছার সম্মান দেবে।

5. অনুভূতি কাজে লাগিয়ে শেখানো:

আবার ধরুন পুঁচকেটাকে বললেন, “জানি খাওয়াটা খুব গোলমেলে বিষয়। তোমার খুব কষ্ট হচ্ছে বুঝতে পারছি। তুমি এক কাজ কর, তোমার এখন কেমন লাগছে একটা ছবিতে আঁকো দেখি। আমি তোমাকে এক চামচ করে খাওয়াই, আর তুমি তোমার মনে কতটা দুঃখ হচ্ছে ছবিতে আঁকো!” জোর করা, চেঁচামেচি করা ইত্যাদির থেকে অনেক বেশি কাজ করে এই পদ্ধতিগুলো।

সন্তানকে শৃঙ্খলা বোধ এবং সহবত শেখানোর ১০ টি টিপসঃ

এতক্ষণে আশা করি বুঝেই গেছেন, একটা বাচ্চাকে যথার্থভাবে মানুষ করা মানে আপনার ধৈর্যের পরীক্ষা। তবে প্রথম কয়েক বছর ধৈর্য ধরলে আখেরে লাভ কিন্তু আপনার থুরি আপনার সন্তানেরই।

1. সবসময় “না” বলবেন না:

জানেন তো, নিষিদ্ধ জিনিসের ওপর মানুষের কৌতূহল বেশি। ছোট হলে কী হবে, ওই বাচ্চাগুলোর এসব জ্ঞান টনটনে। ওদের কোনও কাজের বিরোধিতা বকে ধমকে করলে বা সরাসরি না বললে ওদের জেদ আরও বেড়ে যায়। তাই সরাসরি “না” বলবেন না। মিষ্টি কথায় অন্যভাবে চেষ্টা করুন।

2. বাচ্চার মতো করে ভাবুন:

বাচ্চাকে বাচ্চার মতো করে বুঝুন। ওই একরত্তির কাছে সবকিছু নতুন। সবকিছু নেড়ে ঘেঁটে আপাদমস্তক দেখার বাসনা ওর মধ্যে। মায়ের কোল থেকে বেরিয়ে সবে নতুন চিনছে বাইরের জগত। কাজেই ওর এবং আপনার দৃষ্টিভঙ্গির মধ্যে আকাশ-পাতাল ফারাক থাকবে বই কি! বাচ্চার অনুভূতিকে গুরুত্ব দিন। ওকে নিয়ম বোঝান আদর করে। ধরুন, বাচ্চা কিছুতেই ব্রাশ করতে চায় না। জোর করে কোলে নিয়ে মুখে ব্রাশ না ঘষিয়ে ওকে বলুন “ব্রাশ না করলে মুখের মধ্যে পোকারা বাসা বাঁধে এবং রোজ দুবেলা ব্রাশ করা একটা নিয়ম। আমারও ভালো লাগে না কিন্তু পোকার ভয়ে রোজ ব্রাশ করি।” এতে বাচ্চার ওপর জোর করে কিছু চাপানো হল না আবার ও ব্রাশের গুরুত্ব বুঝে গেলো।

3. বদল আনুন বোঝানোর ভঙ্গিমায়:

মেরেধরে, চেঁচিয়ে, রাগ করে কিন্তু বাচ্চা মানুষ হবে না। সাময়িক ভাবে এসবে কাজ হয়ে গেলেও এইসব অশান্তির ফলে ভবিষ্যতে মা এবং বাচ্চার মধ্যের সমীকরণ বিগড়ে যেতে পারে। তাই আদর করে বোঝান। বারবার বোঝান। আপনার বাচ্চাকে সবথেকে ভালো চেনেন আপনি। তাই ও যেভাবে পছন্দ করে সেভাবেই বোঝান।

4.পরিস্থিতির গুরুত্ব বিচার করে কাজ করুন:

বাচ্চারা বড় হওয়ার সময় অনেক আবদার করে, যার দু-একটা মেনে নিলে বিশাল কোনও ক্ষতি হয়ে যায় না। আর সবসময় বাচ্চাকে শাসনও করতে হয় না। যে কাজগুলো করা অশোভন, সেগুলো কিছুতেই যেমন মেনে নেবেন না; সেরকম সবসময় শিশুকে চোখ রাঙাবেন না। কখনও কখনও একটু বাচ্চার মতোই ছেড়ে দিন ওকে।

5.মোটামুটি একটা রুটিন মেনে চলুন:

রেগুলার কাজগুলোকে একটা রুটিনের মতো মেনে চলুন। বাচ্চার সাথে সাথে নিজেরাও। এই নিয়ম তৈরি করুন সহবত শেখানোর ক্ষেত্রেও। বাচ্চাকে বোঝান যে, রোজ খাবার খাওয়া, ব্রাশ করা, ঘুমনো যেমন আমাদের রুটিন; ঠিক সেরকমই কয়েকটা সহবত আমাদের মানা উচিত। উদাহরণ হিসেবে বলতে পারি, কারও সামনে নাক না খোঁটা, কারও গায়ে পা না দেওয়া বা বাড়িতে কেউ এলে সবার আগে তাকে হাসিমুখে আপ্যায়ন করা। এই সহবতগুলো ছোট থেকেই ঢুকিয়ে দিন শিশুর মধ্যে।
#6.উত্তেজনার পরিস্থিতি থেকে শিশুকে সরিয়ে আনুন:
বাচ্চা যদি কোনও কারণে প্রচণ্ড উত্তেজিত হয়ে যায় বা ভীষণ ঝোঁক শুরু করে। চেষ্টা করুন সেই জায়গা বা পরিস্থিতি থেকে ওকে সরিয়ে আনতে। ওর মন অন্যদিকে ঘুরিয়ে দিন কোনও জিনিস দেখিয়ে বা ছেলেভোলানো গল্প বলে।

7. মাঝে মাঝে একদম পাত্তা দেবেন না:

কখনও কখনও পাতি এড়িয়ে যেতে শিখুন। বাচ্চা জেদ করুক, কাঁদুক, অন্যায় আবদার কখনই মেনে নেবেন না। এক্ষেত্রে আপনাকে একটু শক্ত হতেই হবে। বাচ্চারা বেশিরভাগ সময় কিন্তু মনোযোগ আকর্ষণ করতেই ইচ্ছে করে কাঁদে। সেরকম বুঝলে কাঁদতে দিন বাচ্চাকে। বাচ্চা কাঁদলেই যদি ওর হাতের কাছে সব চলে আসে, তা হলে বাচ্চা মজা পেয়ে যাবে। যে কোনও কিছুতে কান্নাই হবে ওর একমাত্র অস্ত্র।

8. প্রাণ খুলে প্রশংসা করুন:

ভরে ভরে আদর করুন এবং প্রশংসা করুন। বাচ্চা কোনও ছবি এঁকেছে (হয়তো সেটা কতগুলো হিজিবিজি দাগ); তাতে শুধু ভীষণ ভালো হয়েছে এটা না বলে বলুন, “তুমি যেভাবে লাইনগুলো দিয়েছ বা রং আলাদা আলাদা করেছ, সেটা খুব অন্যরকম ভালো হয়েছে। আমাকে একটু শিখিয়ে দেবে?” বাচ্চা এতে নিজেকে গুরুত্বপূর্ণ মনে করে. আপনি তার কাছে শিখতে চাইলে সে হয়তো তার বাচ্চা মনের মাধুরী মিশিয়ে আরও সৃজনশীল হয়ে আপনাকে শেখাতে চেষ্টা করবে। বাচ্চার কাজের প্রাণখোলা প্রশংসা করলে বা তার সামনে অন্যের কাজের সমাদর করলে বাচ্চা দরাজ মনের হয়। ভবিষ্যতে সেও অন্যের গুণের সম্মান করবে।

9. উদাহরণের সাহায্য নিন:

না, তুলনা করতে বলছি না এক্কেবারে। উদাহরণ মানে তুলনা টেনে বকাবকি নয়। বাচ্চার প্রিয় কোনও মানুষের ভালো গুণ বা তার বন্ধুর কোনও ভালো দিক ওকে উদাহরণ দিয়ে বোঝান। কীভাবে বোঝাবেন? “দেখেছিস, তোর বন্ধু কেমন রোজ হোম ওয়ার্ক করে আসে, তোর মতো বদমাইশ নয়।” -এই পদ্ধতি সম্পূর্ণ ভুল। ওকে বলুন এভাবে, “কাল মিস তোমার বন্ধুকে খুব আদর করছিলেন, ও রোজ নিজের হোম ওয়ার্ক করে আসে। তুমি রোজ হোম ওয়ার্ক করলে তোমাকে আরও বেশি আদর করবে সব্বাই।” পুঁচকে মানুষ আদরের লোভেই হয়তো সব কাজ করে ফেলবে।

10. প্রয়োজনে শাসন করুন:

সবসময় আদরে বাঁদর করার কিন্তু কোনও প্রয়োজন নেই। দরকারে শাসন করবেন অবশ্যই। বাচ্চা যাতে বুঝতে পারে যে, অন্যের ভাবনা বা অনুভূতিরও সম্মান করা প্রয়োজন। তবে শাসন মানে ওই ছোট্টটাকে মারধর নয়। ওর সাথে কথা বলবেন না কয়েক ঘণ্টা বা খেলবেন না, আদর তো ভুলেও না। ও যাতে বুঝতে পারে, মায়ের ইচ্ছেরও সম্মান করা উচিত। আপনাকে ভালোবেসেই হয়তো সুড়সুড় করে যা বলবেন তাই করবে ও।

বাচ্চাকে সহবত শেখানো বা শৃঙ্খলা পরায়ণ করে তোলা কিন্তু সহজ কাজ নয়। আবার বাচ্চা বিশেষে এর ব্যতিক্রমও আছে। কেউ জলদি সব শিখে যায়, আবার কেউ সময় নেয়। তাই বাবা মায়েদের বলছি, ধৈর্য ধরুন। বাচ্চার বয়স মাথায় রেখে আপনার এক্সপেকটেশন তৈরি করুন। প্রত্যেক বাচ্চা একটা নিজস্ব ব্যক্তিত্ব এবং ভাবধারা নিয়ে জন্মায়। সেটাকে গড়েপিটে নিতে হবে বাবা মাকেই। অতিরিক্ত শাসনে বাঁধতে গিয়ে বাচ্চার নিজস্বতা যেন হারিয়ে না যায়। তবেই বাচ্চা পরিপূর্ণ, রুচিশীল এবং সুন্দরভাবে মানুষ হয়ে উঠবে।

গোপান রোগ

Leave a Comment