শুকরিয়া আদায়ের ফজিলত,আল্লাহর শুকরিয়া

শুকরিয়া আদায়ের ফজিলত,আল্লাহর শুকরিয়া

শুকরিয়া আদায়ের ফজিলত মানুষ চেষ্টা করে, আল্লাহ তায়ালা পূর্ণতা দেন, সফলতা দান করেন। জীবনের সব অর্জন প্রাপ্তিতে আল্লাহ তায়ালার তাওফিক সবার একান্ত সঙ্গী। তাই সব অর্জনের পর বান্দার কর্তব্য হলো আল্লাহ তায়ালার শুকরিয়া আদায় বা কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করা। শুকরিয়া ও কৃতজ্ঞতা আদায়ের ফলে আল্লাহ তায়ালা জীবনে আরও বেশি সফলতা দান করেন। 

আপনার জন্য: আল কোরআনের অনুবাদ ও প্রতিটি সূরার ফজিলত ও তরজমা

আল্লাহ তাআলা মানুষকে আশরাফুল মাখলুকাত হিসেবে সৃষ্টি করেছেন। বান্দা আল্লাহর কাছে আবেদন ছাড়াই মহামূল্যবান জীবন, প্রখর মেধা ও তীক্ষ্ণ জ্ঞান-বুদ্ধি, নাক, কান, চোখ, মুখ, জিহ্বা, হাত-পাসহ অসংখ্য নিয়ামাত লাভ করেছে।

আল্লাহর শুকরিয়া আদায়ের ফজিলত

পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘আর যখন তোমাদের রব ঘোষণা দিলেন, যদি তোমরা শুকরিয়া আদায় করো, তাহলে আমি অবশ্যই তোমাদের বাড়িয়ে দেব, আর যদি তোমরা অকৃতজ্ঞ হও, নিশ্চয়ই আমার আজাব বড় কঠিন।’ (সুরা ইবরাহিম, আয়াত : ৭)

যারা কোরআনের নির্দেশনা অনুযায়ী প্রসন্ন হৃদয়ে, বিনয়-নম্রতার সঙ্গে এবং আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞ থেকে জীবন অতিবাহিত করতে পারে তারাই আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করতে পারে। তাদের জীবন হয় সুখময়। আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘…শিগগিরই আল্লাহ শোকর আদায়কারীদের প্রতিদান দেবেন।’ (সুরা আলে ইমরান, আয়াত : ১৪৪)

আল্লাহর নিয়ামতের শুকরিয়া আদায়ের ফজিলত কি

আল্লাহর জিকির ও অন্য ইবাদতের মতো আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করাও ইবাদতের অন্তর্ভুক্ত। হাদিসে এসেছে, রাসুল (সা.) একবার মুআজ (রা.)-কে বলেছেন, হে মুআজ, আল্লাহর শপথ! আমি তোমাকে ভালোবাসি। অতঃপর হে মুআজ, আমি তোমাকে উপদেশ দিচ্ছি যে তুমি প্রত্যেক সালাতের শেষে এই দোয়া পাঠ করবে—‘আল্লাহুম্মা আইন্নি আলা জিকরিকা ওয়া শুকরিকা ওয়া হুসনে ইবাদাতিকা।’ অর্থ : হে আল্লাহ, তুমি আমাকে তোমার জিকির, শুকরিয়া (কৃতজ্ঞতা) এবং ইবাদত করতে সাহায্য করো। (আবু দাউদ, হাদিস : ১৫২৪)

আল্লাহর শুকরিয়া আদায়ের কত যে ফজিলত দেখুন

>> যখন তোমাদের পালনকর্তা ঘোষণা করলেন যে, যদি কৃতজ্ঞতা স্বীকার কর, তবে তোমাদেরকে আরও দেব এবং যদি অকৃতজ্ঞ হও তবে নিশ্চয়ই আমার শাস্তি হবে কঠোর। (সুরা ইবরাহিম : আয়াত ৭)

>> আমি লোকমানকে প্রজ্ঞা দান করেছি এই মর্মে যে, আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞ হও। যে কৃতজ্ঞ হয়, সে তো কেবল নিজ কল্যাণের জন্যই কৃতজ্ঞ হয়। আর যে অকৃতজ্ঞ হয়, আল্লাহ অভাবমুক্ত, প্রশংসিত। (সুরা লোকমান : আয়াত ১২)

>> অতএব, আল্লাহ তোমাদেরকে যেসব হালাল ও পবিত্র বস্তু দিয়েছেন, তা তোমরা আহার কর এবং আল্লাহর অনুগ্রহের জন্যে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ কর যদি তোমরা তাঁরই ইবাদাতকারী হয়ে থাকো। (সুরা নাহল : আয়াত ১১৪)

মহান আল্লাহ পাকের শুকরিয়া আদায়ের ফজিলত

সুতরাং এ কথা স্মরণযোগ্য যে, বান্দা যদি আল্লাহর নিয়ামাতের শুকরিয়া আদায় করে এবং তাঁর অবাধ্য কাজ থেকে বিরত থাকে তবে আল্লাহ তাআলা বান্দার প্রতি নিয়ামাত আরো বাড়িয়ে দেয়ার অঙ্গীকার করেছেন।

এ প্রসঙ্গে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের ছোট্ট একটি হাদিস উল্লেখ করা যায়, ‘যে ব্যক্তি কৃতজ্ঞতা প্রকাশের তাওফিক প্রাপ্ত হয়, সে ব্যক্তি আল্লাহর নিয়ামাত ও বরকত বৃদ্ধি থেকে বঞ্চিত হয় না।

আপনার জন্য: আল কোরআনের অনুবাদ ও প্রতিটি সূরার ফজিলত ও তরজমা

কৃতজ্ঞতা প্রকাশ মুমিনের এক অনন্য বৈশিষ্ট্য। পরকালীন সমৃদ্ধির পাশাপাশি দুনিয়ার জীবনেও আল্লাহ তায়ালার পক্ষ থেকে আরও অধিক পরিমাণ নেয়ামত লাভের মাধ্যম এ কৃতজ্ঞতা।রাসুল রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,

খেয়ে যে আল্লাহর শোকর আদায় করে সে ধৈর্যশীল রোযাদার ব্যক্তির সমান পুরস্কার লাভ করবে। (সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস ১৭৬৫)

অতএব, জীবনের প্রতিটি মুহুর্তে আল্লাহ তায়ালার শুকরিয়া আদায় করা সবার একান্ত কর্তব্য।

আর্টিকেলের শেষ কথাঃ শুকরিয়া আদায়ের ফজিলত,আল্লাহর শুকরিয়া

Leave a Comment