শিল্প বিশ্লেষণের জন্য কি কি তথ্যের প্রয়োজন তা লিখ, শিল্প বিশ্লেষণের পরিমাপগত দিকসমূহ আলোচনা কর

শিল্প বিশ্লেষণের জন্য কি কি তথ্যের প্রয়োজন তা লিখ, শিল্প বিশ্লেষণের পরিমাপগত দিকসমূহ আলোচনা কর

শিল্প বিশ্লেষণের জন্য কি কি তথ্যের প্রয়োজন তা লিখ ।

উত্তর : শিল্প বিশ্লেষণের জন্য যেসব তথ্য প্রয়োজন নিম্নে সেগুলো তুলে ধরা হলো :
১. পণ্যের সরবরাহের মাধ্যমে নির্ধারণ।
২. পণ্যের দাম নির্ধারণ।
৩. পণ্যের ধরন নির্ণয়
৪. ব্যষ্টিক ও সামষ্টিক অর্থনীতি
৫. ক্রেতা বিক্রেতার সমারহ।
৬. বাজার বিভক্তিকরণ।
৭. পণ্যের সীমা নির্ধারণ ।
৮. পণ্যের উৎপাদন বৃদ্ধি করা।
৯. পণ্যের উৎপাদন কৌশল নির্ধারণ ।
অতএব আলোচনার পরিশেষে বলা যায় যে, শিল্পে বিশ্লেষণের জন্য উক্ত তথ্যগুলো বিশেষভাবে প্রয়োজন ।

শিল্প বিশ্লেষণের পরিমাপগত দিকসমূহ আলোচনা কর। অথবা, ব্যবসায় বিশ্লেষণের উপাদানসমূহ বর্ণনা কর ।

উত্তর : ব্যবসায় বিশ্লেষণের গুরুত্বপূর্ণ কিছু উপাদান অথবা শিল্প বিশ্লেষণের কিছু পরিমাপগত দিক রয়েছে। আর এ পরিমাপগত দিকগুলো বিনিয়োগকারীকে শিল্পের ভবিষ্যত সম্পর্কে জানতে সাহায্যে করে থাকে। নিম্নে ব্যবসায় বিশ্লেষণের উপাদান/শিল্প বিশ্লেষণের পরিমাণগত দিকসমূহ আলোচনা করা হলো-

১. শিল্পের গঠন : শিল্পের আকার, গঠন, লাভার্জন ক্ষমতা ইত্যাদি বিনিয়োগকারী বিশ্লেষণ করবে। Porter-এর মতে, শিল্পের লাভার্জন ক্ষমতা শিল্পের গঠনের একটি অপেক্ষক ।

২. সরকারের প্রভাব : সরকারের নীতি, পদ্ধতি, আইনকানুন কার্যক্রম ইত্যাদি শিল্পকে নানাভাবে প্রভাবিত করে থাকে ।

৩. গঠনগত পরিবর্তন : অর্থনীতির গঠন প্রকৃতিও একজন বিনিয়োগকারীকে পর্যবেক্ষণ করতে হবে। যেমন- সাম্প্রতিককালে অনেক দেশ শিল্প নির্ভর সমাজব্যবস্থা থেকে টেলিকমিউনিকেশন নির্ভর সমাজব্যবস্থার দিকে ধাবিত হচ্ছে। এতে করে অনেক শিল্প ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। নতুন শিল্প টিকে থাকছে এবং পুরাতন শিল্প হারিয়ে যাচ্ছে। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, লৌহ শিল্প। নতুন শিল্পের মধ্যেও গঠনগত পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়। ১৯৮০ সালের প্রথম দিকে ব্যক্তিগত কম্পিউটার ছিল একটি নব উদ্দীপ্ত গতিশীল শিল্প। কিন্তু ১৯৮২ সালে IBM যখন বাজারে নতুন ব্যক্তিগত কম্পিউটার ছাড়ে তখন এ শিল্পের মধ্যে একটি প্রতিযোগিতামূলক পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়। অনেক সরবরাহকারী সফট্ওয়্যার, প্রিন্টার, মেমোরি ইত্যাদি সরবরাহের জন্য হুমড়ি খেয়ে পড়ল।

৪. অতীত কার্যফল : একজন বিনিয়োগকারী ঐ শিল্পের অতীত বিক্রয়, প্রবৃদ্ধি আয়, লাভ, মূল্য ইত্যাদি অবশ্যই বিবেচনা করবে।

৫. প্রতিযোগী : বিনিয়োগকারী অবশ্যই এ শিল্পের প্রতিযোগীদেরকেও পর্যবেক্ষণ করবে। বর্তমানে যে সকল প্রতিষ্ঠান রয়েছে সে সকল প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে তথ্যসংগ্রহ করবে। প্রতিষ্ঠানের কাঁচামাল সংগ্রহে কোনো সমস্যা আছে কিনা, প্রকল্প বিনিয়োগে সমস্যা আছে কিনা, লাভ করার জন্য যথেষ্ট উৎপাদন আছে কিনা ইত্যাদি পর্যবেক্ষণ করতে হবে। Michal Porter প্রতিযোগীদের অবস্থা বিশ্লেষণের জন্য নিম্নোক্ত পাঁচটি উপকরণের কথা উল্লেখ করেছেন । যথা :

১. সরবরাহকারীগণের দরকষাকষির ক্ষমতা

২. বিকল্প পণ্য বা সেবার হুমকি;

৩. নতুন প্রয়োগীর হুমকি:

৪. বর্তমান প্রতিযোগীদের মধ্যে শত্রুতা;
৫. ক্রেতাদের দরকষাকষির ক্ষমতা;

উপরিউক্ত আলোচনার পরিশেষে বলা যায় যে, বিনিয়োগকারী শিল্পে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে উপরিউক্ত উপাদানসমূহ যথাযথভাবে বিচার বিশ্লেষণ করে দেখা বাঞ্ছনীয়।

একাডেমিক শিক্ষা বিষয়ক লিখিত প্রশ্ন সমাধান পেতে ক্লিক করুন।

আর্টিকেলের শেষ কথাঃ শিল্প বিশ্লেষণের পরিমাপগত দিকসমূহ আলোচনা কর।, ব্যবসায় বিশ্লেষণের উপাদানসমূহ বর্ণনা কর

Leave a Comment