শঙ্করের ব্রহ্ম তত্ত্ব সংক্ষেপে বর্ণনা কর, রামানুজের জ্ঞানতত্ত্ব সংক্ষেপে বর্ণনা কর

প্রশ্ন সমাধান: শঙ্করের ব্রহ্ম তত্ত্ব সংক্ষেপে বর্ণনা কর, রামানুজের জ্ঞানতত্ত্ব সংক্ষেপে বর্ণনা কর

রামানুজের জ্ঞানতত্ত্ব সংক্ষেপে বর্ণনা কর।


উত্তর৷ ভূমিকা :
 ভারতীয় দর্শনে আস্তিক সম্প্রদায়গুলোর মধ্যে বেদান্ত দর্শন অত্যন্ত প্রাচীন। বেদান্ত দর্শনের প্রতিষ্ঠাতা বাদরায়ন বেদান্ত দর্শনের যে সূত্রগুলো ব্যাখ্যা করেছেন তা খুবই সংক্ষিপ্ত বলে বিভিন্ন ভাষ্যকর বিভিন্ন ব্যাখ্যা দিয়েছেন। এ সকল ব্যাখ্যার মধ্যে শঙ্করাচার্য ও রামানুজ প্রদত্ত ব্যাখ্যা প্রাধান্য লাভ করেছে। অন্যান্য মতবাদের ন্যায় জ্ঞানতত্ত্বেও শঙ্করাচার্য ও রামানুজ নিজস্ব স্বকীয়তা দিয়ে আলোচনা করেছেন।
রামানুজের জ্ঞানতত্ত্ব : রামানুজ তাঁর জ্ঞানতত্ত্বে তিনটি উৎসের কথা বলেছেন। যথা : ক. প্রমাণ; খ. সত্যতা এবং গ. ভ্রম।


ক. প্রমাণ : রামানুজ তিন প্রকার প্রমাণের উপর বিশেষ গুরুত্বারোপ করেছেন। যথা : ১. প্রত্যক্ষ, ২. অনুমান এবং ৩. আগম।


১. প্রত্যক্ষ : রামানুজের মতে, প্রত্যক্ষ হলো সাক্ষাৎ জ্ঞান। তাই অনুমানলব্ধ জ্ঞান এবং শব্দ জ্ঞান হতে প্রত্যক্ষ জ্ঞান পৃথক। তাঁর মতে, প্রত্যক্ষ জ্ঞানই যথার্থ জ্ঞান। রামানুজের মতে, প্রত্যক্ষ জ্ঞান দুই প্রকার। যথা : নিত্য ও অনিত্য। সর্বশক্তিমান পরমেশ্বর সকল সময় সকল বস্তু প্রত্যক্ষ করেন। তাই তাঁর প্রত্যক্ষ নিত্য প্রত্যক্ষ। আর মানুষ ইন্দ্রিয়ের সাহায্যে যে প্রত্যক্ষ করে তা হলো অনিত্য প্রত্যক্ষ। অনিত্য প্রত্যক্ষ আবার দুই প্রকার। যথা : যোগজ ও অযোগজ। যোগীরা ইন্দ্রিয় ছাড়াও যোগ সাধনালব্ধ শক্তির দ্বারা সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম বস্তুকে প্রত্যক্ষ করতে পারে। তার এ প্রত্যক্ষকে বলা হয় যোগজ প্রত্যক্ষ। আর চক্ষু, কর্ণ, নাসিকা প্রভৃতি ইন্দ্রিয়ের সাহায্যে মানুষ যা প্রত্যক্ষ করে তা হলো অযোগজ প্রত্যক্ষ। এগুলো ছাড়াও রামানুজ নির্বিকল্প এবং সবিকল্প নামে প্রত্যক্ষের আরো দুটি ভাগকে স্বীকার করেন। যখন কোন বস্তুকে সর্বপ্রথম প্রত্যক্ষ করা হয় সে প্রত্যক্ষ নির্বিকল্প। নির্বিকল্প প্রত্যক্ষে জ্ঞেয় বস্তুর বিশেষ কয়েকটি ধর্মের ধারণা হয় মাত্র। নির্বিকল্প প্রত্যক্ষে জ্ঞেয় বস্তুর বিশেষ কয়েকটি ধারণা হয় মাত্র। নির্বিকল্প প্রত্যক্ষে জ্ঞেয়বস্তুর সামান্য ধর্ম প্রত্যক্ষ করা হয় বটে, কিন্তু সে সামান্য ধর্ম যে ঐ জাতীয় সব বস্তুর সামান্য ধর্ম তা অজ্ঞাত থাকে। কিন্তু যখন ঐ বস্তুকে তৃতীয়বার প্রত্যক্ষ করা হয় তখন নির্বিকল্প প্রত্যক্ষজাত ধারণা সাথে সাথে মনে জাগে এবং উপলব্ধি জাগে যে, উক্ত সামান্য ধর্ম ঐ জাতীয় প্রতিটি বস্তুর মধ্যে বিদ্যমান। এ দ্বিতীয় বা তৃতীয়বারের প্রত্যক্ষ হলো সবিকল্প। যেমন একটি শিশু সর্বপ্রথম গরু প্রত্যক্ষ করে তখন গরুর সামান্য ধর্ম ‘গুরুত্ব’ সম্পর্কে তাঁর ধারণা জন্মে। এ ‘গরুত্ব’ যেসব গরুর সামান্য ধর্ম তখন সে বুঝে না। সুতরাং তার এ প্রত্যক্ষ নির্বিকল্প, শিশুটি যখন দ্বিতীয় বা তৃতীয়বার গরুটি প্রত্যক্ষ করে তখন তার নির্বিকল্পজাত ‘গরুত্ব’ ধর্মের ধারণা মনে জাগে এবং সে উপলব্ধি করে যে, ‘গরুত্ব’ সব গরুরই সামান্য ধর্ম। শিশুটির এ প্রত্যক্ষ স্ববিকল্প।


২. অনুমান : রামানুজের মতে, সাধারণ সত্য হতে যে জ্ঞান পাওয়া যায় তাকেই অনুমান বলে। তিনি বলেছেন, সাধারণ সত্যে পৌছাতে একাধিক দৃষ্টান্তের প্রয়োজন হয় না। বস্তুত একটি দৃষ্টান্ত হতে সাধারণ সত্য লাভ কর যায়। একাধিক দৃষ্টান্তের সাহায্যে আমরা আমাদের সংশয়কে দূর করি। তর্কের সহায়তা এবং সদর্থক ও নঞর্থক দৃষ্টান্ত প্রয়োগ করে অপ্রয়োজনীয় বিষয়কে বর্জন করি এবং সাধারণ সত্যটিকে প্রতিষ্ঠা করি ।


আগম : রামানুজের মতে, শাস্ত্রলব্ধ জ্ঞানই আগম। তাঁর মতে, অতীন্দ্রিয় বিষয় সম্পর্কে জ্ঞান কেবলমাত্র শাস্ত্রের মাধ্যমেই পাওয়া যায়। চরম সত্যকে শাস্ত্র ছাড়া অন্য কোন প্রমাণের সাহায্যে জানা যায় না। তবে শাস্ত্রকে সমর্থন করার জন্য বিচারবুদ্ধিকে ব্যবহার করা হয়।


আরো ও সাজেশন:-


খ. সত্যতা : রামানুজ বলেন, আমাদের সব জ্ঞানই সব বস্তুর জ্ঞান। তবে সাধারণত আমাদের জ্ঞান আংশিক ও অপূর্ণ হয়। যেমন- রজ্জুতে যখন সর্প ভ্রম করে তখন রজ্জুতে সর্পের কোন কোন বৈশিষ্ট্য প্রত্যক্ষ করে, যদিও সর্পের সব বৈশিষ্ট্য প্রত্যক্ষ করে না। রামানুজ সম্প্রদায়ের মতে, যে জ্ঞান ব্যবহারের উপযোগী নয় তাকে প্রমা বা যথার্থ জ্ঞান বলা যায় না। যে বস্তু যেমন তাকে সেভাবে জানাই হলো সত্য জ্ঞান। আর একটি বস্তুকে ভিন্ন বস্তুরূপে জানাই মিথ্যা জ্ঞান। যেমন— রজ্জুকে যখন রজ্জু বলে জানি তখন জ্ঞান সত্য হয়, কিন্তু রজ্জুকে যখন সৰ্প বলে জানি, তখন সে জ্ঞান মিথ্যা হয়। সত্য জ্ঞান প্রয়োজন সিদ্ধ করতে পারে, কিন্তু ভ্রান্ত জ্ঞান তা পারে না। যেমন- মরীচিকায় যে জল প্রত্যক্ষ করি সে জলের দ্বারা পিপাসার নিবৃত্তি হয় না। রামানুজ বলেছেন, সব জ্ঞান সদ্বম্ভর জ্ঞান হলেও ব্যবহারিক জগতে জ্ঞান অপূর্ণ থাকে। একমাত্র মোক্ষ লাভের পর জীবের জ্ঞান পূর্ণ হয়। ঐ জ্ঞানই জ্ঞানের চরম স্তর এবং তা ব্রহ্ম সাক্ষাৎকার।


গ. ভ্রম : রামানুজের মতে, সব জ্ঞানই সদ্বম্ভর জ্ঞান। এমনকি ভ্রান্ত জ্ঞানও সদ্বম্ভর জ্ঞান। রজ্জুতে যখন সৰ্প প্রত্যক্ষ করি তখন সর্প কাল্পনিক নয়। রজ্জুতে সর্পের যে অংশগুলো আছে তাদের উপর ভিত্তি করে ঐ জ্ঞানের উদয় হয়। রামানুজের মতে, প্রতিটি জড় বস্তুই ক্ষিতি, অপ ও তেজ- এ তিনটি ভূতের সংমিশ্রণে গঠিত। কাজেই এ মৌলিক উপাদানগুলো কম-বেশি মাত্রায় প্রতিটি জড় বস্তুতেই বিদ্যমান। সে কারণে রজ্জুতে যখন সর্প ভ্রম হয়, তখন রজ্জুতে সর্পের অংশ আছে বলে মনে হয়। সুতরাং ভ্রমও সদ্বম্ভর জ্ঞান। ‘ভ্রম’ সম্পর্কে রামানুজের মতবাদকে ‘সৎখ্যাতিবাদ’ বলা হয়। রামানুজ বলেন, ভ্রান্ত জ্ঞানে জ্ঞেয় বস্তুর দ্বারা কোন ব্যবহারিক প্রয়োজন সিদ্ধ হয় না বলে ভ্রান্ত জ্ঞান মিথ্যা। যেমন— মরীচিকার যে জল প্রত্যক্ষ করা হয় তার দ্বারা তৃষ্ণা নিবারণ বা অন্য কোন ব্যবহারিক প্রয়োজন সিদ্ধ হয় না। তাই মরীচিকায় জলের প্রত্যক্ষ জ্ঞান মিথ্যা।


উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, রামানুজ বেদান্ত দর্শনের ভাষ্যকার হিসেবে যে তত্ত্ব দিয়েছেন তা অনেকাংশে গ্রহণযোগ্য। তাইতো রামানুজের জ্ঞান দর্শনের আলোচনায় গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করে আছে।

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

শঙ্করের ব্রহ্ম তত্ত্ব সংক্ষেপে বর্ণনা কর।


ভূমিকা :
 মহর্ষি বাদরায়ন (আনু. ৫০০ খ্রি. পূ.) প্রণীত বেদান্তসূত্রে (৫৫৫টি সূত্র) ব্রহ্মতত্ত্ব প্রতিপাদিত হয়েছে বলে একে ব্রহ্মসূত্র বলে। আবার জীবের স্বরূপ বর্ণিত হওয়ায় একে শারীরিকসূত্রও বলা হয়। ব্রহ্মসূত্রের সাতটি ভাষ্যের (শঙ্করের শঙ্কভাষ্য, রামানুজের শ্রীভাষ্য, বল্লভের অনুভাষ্য, মাধ্বের পূর্ণপ্রজ্ঞাভাষ্য, নিম্বার্কের বেদান্তমপারিজাতসৌরভ, ভাস্করের ব্রহ্মসূত্রভাষ্য এবং বলদেবের গোবিন্দভাষ্য) মধ্যে শঙ্করের শঙ্করভাষ্য এবং রামানুজের শ্রীভাষ্য অন্যতম। শঙ্করাচার্য ও রামানুজ উভয়ে বাদরায়নকে অনুসরণ করে অদ্বৈতবাদ প্রচার করলেও শঙ্কারাচার্যের অদ্বৈতবাদ কেবলাদ্বৈতবাদ এবং রামানুজের অদ্বৈতবাদ বিশিষ্টাদ্বৈতবাদ নামে পরিচিত।


ব্রহ্ম সম্পর্কে শঙ্করের মত : শঙ্করের মতে ব্রহ্মই একমাত্র সত্য, জগৎ মিথ্যা এবং জীব ব্রহ্ম স্বরূপ। শঙ্কর ব্রহ্মের সত্তা ছাড়া আর কোন কিছু স্বীকার করেন নি। সেকারণে শঙ্করকে ‘কেবলাঅদ্বৈতবাদী’ বলা হয়। ব্রহ্মের স্বরূপ বর্ণনা প্রসঙ্গে শঙ্কর বলেন, ব্রহ্ম নিত্য, শুদ্ধ ও মুক্ত। ব্রহ্ম অসীম অনন্ত ও নির্গুণ। তাঁর মতে, আত্মাই ব্রহ্ম, ব্রহ্ম ও আত্মার মধ্যে কোন পার্থক্য নেই। শঙ্কর বলেন, ব্রহ্ম সৎ চিৎ ও আনন্দ স্বরূপ। ব্রহ্ম সৎ অর্থ তিনি অসৎ নয়। ব্রহ্ম চিৎ অর্থ তিনি জড় নয় এবং ব্রহ্ম আনন্দস্বরূপ অর্থ তিনি দুঃখ স্বরূপ নয়।

ব্রহ্ম নির্বিশেষ অর্থাৎ তার কোন বিশেষ নেই। তাই ব্রহ্মকে উপলব্ধি করতে হলে তিনি এ নয়, তিনি ঐ নয় ইত্যাদির সাহায্যে উপলব্ধি করতে হবে। শঙ্করের মতে, দুই প্রকার দৃষ্টিভঙ্গি হতে ব্রহ্মকে বর্ণনা করা যায়। যথা : ব্যবহারিক দৃষ্টিভঙ্গি ও পারমার্থিক দৃষ্টিভঙ্গি। ব্যবহারিক দৃষ্টিভঙ্গি হলো অজ্ঞানতা প্রসূত। এ দৃষ্টিভঙ্গিতে জগত সত্য এবং ব্রহ্ম এ জগতের সৃষ্টিকর্তা, রক্ষাকর্তা ও সংহারকর্তা। এ দৃষ্টিভঙ্গিতে ব্রহ্ম নানাবিধ গুণে সমন্বিত। তিনি সর্বত, সর্বশক্তিমান এবং সর্বত্র বিরাজমান পুরুষ।

এ গুণবান ব্রহ্মকেই শঙ্কর সগুণ ব্রহ্ম বা ঈশ্বর বলে আখ্যায়িত করেছেন। এ ঈশ্বরেরই পূজা অর্চনা হয়। অন্যদিকে, পারমার্থিক দৃষ্টিভঙ্গি হলো জ্ঞান প্রসূত। এ দৃষ্টিভঙ্গিতে ব্রহ্ম জগতের স্রষ্টা, রক্ষক বা সংহার কিছুই নয়। তিনি নিরাকার ও নির্গুণ। তার কোন প্রকার প্রকারভেদ নেই। অর্থাৎ ব্রহ্মের স্বজাতীয়, বিজাতীয় ও স্বগত ভেদ নেই। পারমার্থিক দৃষ্টিভঙ্গিতে ব্রহ্ম সত্য-জ্ঞানও অনন্ত। এটি ব্রহ্মের স্বরূপ লক্ষণ।


Paragraph/Composition/Application/Email/Letter/Short Storiesউত্তর লিংক
ভাবসম্প্রসারণ/প্রবন্ধ, অনুচ্ছেদ/ রচনা/আবেদন পত্র/প্রতিবেদন/ চিঠি ও ইমেলউত্তর লিংক

শঙ্করের মতো পারমার্থিক দৃষ্টিতে ব্রহ্মকে পরব্রহ্ম বলা হয়। উপনিষদে ব্রহ্মের দুটি রূপের কথা বলা হয়েছে। যথা : পরব্রহ্ম ও অপরাব্রহ্ম। শঙ্করের পরব্রহ্ম হলো নির্জন আর অপরাব্রহ্ম হলো সগুণ ব্রহ্ম। উপনিষদে বলা হয়েছে ব্রহ্ম বিশ্বজগৎ ও বিশ্বাতীত। এর ব্যাখ্যা প্রসঙ্গে শঙ্কর বলেন, যতক্ষণ জগৎ প্রপঞ্চ বিদ্যমান থাকে ততক্ষণ জগৎ ব্রহ্মেই অধিষ্ঠিত থাকে এবং ব্রহ্মও বিশ্বজগৎ হন। যেমন- ভ্রমাত্মক জ্ঞানবশত মিথ্যা সর্প রজ্জুতে অধিষ্ঠিত থাকে এবং রজ্জু ও সর্পকে অভিন্ন মনে হয়। সর্প যেমন রজ্জুকে কলুষিত করতে পারে না তেমনি জগত প্রপঞ্চও ব্রহ্মকে কোন রকমে কলুষিত করতে পারে না।

আলোর সাক্ষাতে রজ্জু হতে মিথ্যা সর্প যেমন বিলুপ্ত হয় এবং রজ্জু স্বরূপে অধিষ্ঠিত হয়। তেমনি বিজ্ঞ ব্যক্তির নিকট জগত প্রপঞ্চ বিদ্যমান থাকে না এবং ব্রহ্ম স্বরূপে অধিষ্ঠিত হন। সুতরাং বিজ্ঞ ব্যক্তিদের চিন্তায় ব্রহ্ম বিশ্বাতীত। এখানে দেখা যাচ্ছে যে, ব্যবহারিক দৃষ্টিতে ব্রহ্ম সগুণ হলেও পারমার্থিক দৃষ্টিতে তিনি নির্গুণ। শঙ্করের মতে পারমার্থিক দৃষ্টিভঙ্গিই সত্যিকারের দৃষ্টিভঙ্গি। তবে সগুণ ব্রহ্ম বা ঈশ্বরের উপাসনার উপকারিতা শঙ্কর অস্বীকার করেন নি। তাঁর মতে, ঈশ্বরের উপাসনার দ্বারা চিত্ত শুদ্ধ হয় এবং চিত্ত শুদ্ধ ব্যতিরেকে নির্গুণ ব্রহ্মের কোন ধারণাই হয় না।


উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, ব্রহ্মের স্বরূপ সম্পর্কে শঙ্কর ও রামানুজের মতের মধ্যে ব্যাপক পার্থক্য বিদ্যমান। তবে পার্থক্য থাকলেও উভয়ের মধ্যে একটি বিষয়ে মিল আছে। আর তা হলো তারা উভয়ই ব্রহ্মকে সত্য বলে স্বীকার করেছেন । ব্রহ্মের উপাসনাকেই জীবের মুক্তির উপায় বলে বর্ণনা করেছেন।

প্রশ্ন ও মতামত জানাতে পারেন আমাদের কে ইমেল : info@banglanewsexpress.com

আমরা আছি নিচের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুলোতে ও

Leave a Comment