রোজা রেখে করোনা টিকা নেওয়া যাবে কি ?

আসন্ন রোজার মাস। গত বছর পুরো রোজার মাস পার হয়েছে করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের মধ্যে লকডাউনে। এ বছরও করোনা সংক্রমণ চলমান। তবে, দেশে করোনা টিকা প্রদান হচ্ছে। রমজান মাসে টিকার ব্যাপারে ইসলামিক ফাউন্ডেশন বলছে, এটি নিলে রোজা ভঙ্গ হবে না।

আজ সোমবার সকালে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সভা কক্ষে সংস্থার মহাপরিচালক ড. মো. মুশফিকুর রহমানের সভাপতিত্বে একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে অংশ নেন ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব জনাব মো. নূরুল ইসলাম। সভায় অংশ নিয়ে দেশ বরেণ্য উলামায়ে কেরাম এবং ফাউন্ডেশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ একই মত পোষণ করেন, করোনা টিকা নিলে রোজা ভঙ্গ হবে না।

দেশের জনগণের স্বাস্থ্য নিরাপত্তা ও জীবন রক্ষার স্বার্থে করোনার টিকা গ্রহণের প্রতি গুরুত্ব দিয়ে আলেমরা এক মত পোষণ করেন। তারা বলছেন, করোনাভাইরাসের টিকা মাংসপেশিতে গ্রহণ করা হয়। টিকা সরাসরি খাদ্যনালী ও পাকস্থলিতে প্রবেশ করে না। রমজান মাসেও টিকা প্রদান চলবে। রোজাদার ব্যক্তি দিনের বেলায় শরীরে করোনাভাইরাসের টিকা গ্রহণ করতে পারবেন। এতে রোজা ভঙ্গ হবে না।

উল্লেখ্য, একই মর্মে মুসলিম বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় আলেমগণও একই মত পোষণ করেছেন।

কিছুদিন পরই শুরু হবে পবিত্র মাহে রমজান। সবাই এই মাসে রোজা রেখে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের চেষ্টা করবেন। অন্যদিকে বিশ্বে চলছে মহামারি। তবে এই মহামারি থেকে রক্ষা পেতে বের হয়েছে ভ্যাকসিনও। এখন সব দ্বীনদার মুসলিমের মনে একটি প্রশ্নই উঁকি দিচ্ছে। আর সেটি হচ্ছে, রমজান মাসে রোজা রেখে করোনা টিকা নিলে রোজা ভাঙবে কি? কারণ অনেকে টিকার দ্বিতীয় ডোজ রমজানে নেবেন।
এ বিষয়ে বিশ্বের বিভিন্ন ফতোয়া বিষয়ক প্রতিষ্ঠান দিকনির্দেশান প্রদান করেছে।

আমিরাতের ফতোয়া বিভাগের প্রধান জানিয়েছেন, করোনা টিকা নিলে রোজা ভঙ্গ হবে না। এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছেন দেশটির ওয়াকফ ও ইসলাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ফতোয়া বিভাগীয় প্রধান শায়খ ও গ্র্যান্ড মুফতি ড. আহমেদ বিন আবদুল আজিজ আল হাদ্দাদ।

গালফ নিউজের এক প্রতিবেদনে গ্র্যান্ড মুফতির সূত্রে বলা হয়, করোনা টিকা নিলে কোনো ধরনের রোজা ভঙ্গ হবে না। কারণ তা অন্যান্য ইন্ট্রামাস্কুলার সূঁচের মতো নেয়া হয়। তাই রোজাদার ব্যক্তি করোনা টিকা গ্রহণ করতে পারবে।

আল হাদ্দাদ রোজার বিষয়ে ব্যাখ্যা করে বলেন, রোজদার ব্যক্তি মুখ, নাক ও অন্যান্য খোলা অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ দিয়ে কোনো খাবার, পানীয় ও অষুধ জাতীয় কোনো কিছু গ্রহণ করতে পারবে না।

আল হাদ্দাদ আরো জানান, নাকের শ্লেষ্মা বা রক্তের ফোঁটা থেকে করোনা পরীক্ষার সোয়াব নেয়া হলে রোজা ভঙ্গ হবে না। তাই রোজা অবস্থায় করোনা পরীক্ষাও করা যাবে। কারণ নাকের ভেতরে নরম কাঠির মাধ্যমে কোনো পদার্থ প্রবেশ করে না। বরং পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ হয়। এতে সামান্য রক্ত বের হয়। আর অধিকাংশ ইসলামী স্কলারদের মতে শ্লেষ্মা থাকলে রোজা ভঙ্গ হবে না।

ধর্ম কম