রাত কেন্দ্রিক ২৮টি কুসংস্কার

কুসংস্কারের অন্ধকারে জ্বলুক জ্ঞানের আলো…
রাত কেন্দ্রিক ২৮টি কুসংস্কার :

▬▬▬ ◈◉◈▬▬▬

১. রাতে বাঁশ কাটা যাবে না,
২. রাতে গাছের পাতা ছেঁড়া যাবে না

৩. রাতে কোনও প্রকার ফল-ফসল তোলা যাবে না
৪. রাতে নখ, চুল, গোফ ইত্যাদি কাটা যাবে না এতে শরীর রোগ সৃষ্টি হয়।
৫. রাতে কাউকে কোন কিছু ঋণ দেয়া যাবে না। এতে সংসারে দরিদ্রতা নেমে আসে।

৬. রাতে কাউকে আগুন দেয়া যাবে না। এতে ঘরের লক্ষ্মী চলে যায়!
৭. রাতে কাউকে চুন দিতে হলে তখন চুনকে চুন না বলে ‘দই’ বলতে হয়।
৮. রাতে কোনও কিছুর লেনদেন করা অমঙ্গল ডেকে আনে।
৯. রাতে আয়না দেখতে নেই। এতে কঠিন পীড়া হয়।

১০. ঘরের ময়লা পানি রাতে বাইরে ফেললে সংসারে অমঙ্গল হয়।
১১. রাতে কাউকে সুই-সুতা দিতে নেই।

১২. রাতের দোকানে সুই বেচা বা কেনা অমঙ্গলের কারণ।
১৩. রাতে কোনও কিছুর লেনদেন করা ভালো নয়।
১৪. অমাবস্যা ও পূর্ণিমার রাতে স্বামী-স্ত্রীর সহবাস করতে করতে নাই। এতে না কি স্ত্রী গর্ভবতী হলে গর্ভস্থ সন্তানের উপর তার কুপ্রভাব পড়ে।

১৫. রাতের বেলা কালোজিরার ভর্তা খেলে মায়ের জানাজা পায় না।
১৬. সূর্য ডোবার সাথে সাথে ঘরে সান্ধ্য বাতি না জ্বালালে ঘরে হলে বিপদ নেমে আসে।

১৭. রাতে কাক ডাকলে বিপদ আসে।
১৮. রাতে কুকুর কাঁদা বালা-মসিবতের পূর্বাভাস।
১৯. রাতে প্যাঁচার ডাক বিপদ সংকেত।

২০. গভীর রাতে পেঁচার ডাক ঝগড়া-বিবাদের সংকেত।
২১. শেষ রাতে শিয়ালের ডাক ফসলের ভাল মূল্য পাওয়ার ইঙ্গিত দেয়।
২২. গেঞ্জি ও গামছা ছিঁড়ে গেলে রাতে সেলাই করা অমঙ্গলজনক।
২৩. রাতের বেলা বা সন্ধ্যায় ঝাড়ু দিলে আয়-উন্নতি হয় না।

২৪. রাতে নখ, চুল ইত্যাদি কাটতে নাই। এতে চোখের জ্যোতি কমে যায়!
২৫. রাতে পান খাবার ‘খর’ বিক্রি করতে নেই। এমন কি নামও বলা যাবে না।
২৬. রাতের বেলা মাথায় কাপড় না দিয়ে বাইরে গেলে জিন-ভূত আক্রমণ করে বা অমঙ্গল হয়।

২৭. ঈদের রাতে, সবে বরাতের রাতে মৃত আপন জনের আত্মা ঘরে আসে।
২৮. রাতের বেলা রসুন কে রসুন না বলে ধলা (সাদা) গুটা বলতে হবে ।

▬▬▬ ◈◉◈▬▬▬
সংকলন ও গ্রন্থনায়:
আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আব্দুল জলীল
Abdullahil Hadi
দাঈ, জুবাইল দাওয়াহ এন্ড গাইডেন্স সেন্টার, সউদি আরব (সংক্ষিপ্ত) । কপি

Leave a Comment