যে সকল কারনে আমরা শীতকালে আমলকী খাবো

আমলকী ঔষধি গুণে ভরপুর একটি ফল। আয়ুর্বেদ চিকিৎসায় এই ফলের নানাবিধ ব্যবহার দেখা যায়। চুলের বৃদ্ধি, রুক্ষতা কমানো, ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে, পেটের সমস্যা দূর করতে, শরীরে সতেজ ভাব ফিরিয়ে আনতে আমলকীর জুড়ি নেই।

শীতকালে অনেকেরই সর্দি-কাশির প্রবণতা বাড়ে। এ সময় আমলকী খেলে এ ধরনের সমস্যা থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। এছাড়াও শীতের সময় আমলকী খেলে আরও যেসব উপকারিতা পাওয়া যায়-

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়: আমলকীতে ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান থাকায় বিপাকের হার বাড়াতে সাহায্য করে। ভাইরাল এবং ব্যাক্টেরিয়ার আক্রমণের জন্য সর্দি কাশির সঙ্গে লড়াই করতে সাহায্য করে এসব উপাদান। সেই সঙ্গে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে ভূমিকা রাখে।

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখে: প্রচুর পরিমাণে ক্রোমিয়াম থাকায় আমলকী ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। এ কারণে নিয়মিত ওষুধের পাশাপাশি দিনের খাদ্যতালিকায় এই ফলটি রাখতে পারেন।

ভিটামিন সি-তে ভরপুর: কমলার চেয়ে আট গুণ বেশি ভিটামিন সি রয়েছে আমলকীতে। এছাড়া বেদানার চেয়ে ১৭ গুণ বেশি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান পাওয়া যায় এই ফলে। এক গ্লাস পানিতে দু চামচ আমলকী পাউডার, দু’চামচ মধু দিয়ে খেলে সর্দি-কাশিতে আরাম পাওয়া যায়। যারা শীতে এই সমস্যায় বেশি ভোগেন তারা দিনে তিন-চারবার এই মিশ্রণটি খেতে পারেন।

চুল এবং ত্বকের স্বাস্থ্য মজবুত রাখে: অসময়ে চুল পেকে যাওয়া রোধ করতে সহায়তা করে আমলকী। এছাড়া চুলের গোড়া মজবুত করতে, খুশকি দূর করতে এবং ত্বকের বুড়িয়ে যাওয়া কমাতেও সাহায্য করে আমলকী।

হজম শক্তি বাড়ায়: আমলকী বিপাকে সহায়তা করে, কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। বদ হজম এবং অ্যাসিডিটিতেও খুব কাজে দেয় এই ফলটি।

যে সকল কারনে আমরা শীতকালে আমলকী খাবো,
আমলকি খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা,
কবিরাজি গাছ গাছড়া ওষুধ,
আমলকির উপকারিতা ও অপকারিতা,
আমলকি কোন সময় পাওয়া যায়,
শুকনো আমলকির উপকারিতা,
শুকনো আমলকি খাওয়ার নিয়ম,
আমলকির জুস বানানোর নিয়ম,
আমলকি গাছের ছবি,

Leave a Comment