যে ব্যক্তি আল্লাহ্ ও শেষ দিনের প্রতি বিশ্বাস রাখে, সে যেন ভালো কথা বলে; নচেৎ চুপ থাকে।

Advertisement

■ আবু হুরায়রা (রা:) হতে বর্ণিত, নবী (সা:) বলেছেন, “যে ব্যক্তি আল্লাহ্ ও শেষ দিনের প্রতি বিশ্বাস রাখে, সে যেন ভালো কথা বলে; নচেৎ চুপ থাকে।” -(সহীহুল বুখারী: ৬০১৮, ৩৩৩১; মুসলিম: ৪৭, ১৪৬৮)

■ আবু মূসা (রা:) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সা:) কে জিজ্ঞেস করলাম, ‘হে আল্লাহর রাসূল! সর্বোত্তম মুসলমান কে?’ তিনি বললেন, “যার জিহ্বা ও হাত থেকে মুসলিমরা নিরাপদ থাকে।” -(বুখারী, মুসলিম, রিয়াযুস স্বা-লিহীনঃ ১৫২০)

■ সাহল ইবনে সা’দ (রা:) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা:) বলেছেন, “যে ব্যক্তি দুই চোয়ালের মধ্যবর্তী (জিভ) এবং দুই পায়ের মধ্যবর্তী (গুপ্তাঙ্গ) সম্বন্ধে নিশ্চয়তা দেবে, আমি তার জন্য জান্নাতের নিশ্চয়তা দেব।” -(সহীহুল বুখারী: ৬৪৭৪, ৬৮০৭; তিরমিযী: ২৪০৮)

■ আবু হুরায়রা (রা:) হতে বর্ণিত, আল্লাহর রসূল (সা:) বলেছেন, “প্রত্যেক মুসলিমের রক্ত, সম্ভ্রম ও ধন-সম্পদ অন্য মুসলিমের জন্য হারাম।” -(সহীহুল বুখারী: ৫১৪৪, ৬০৬৬; মুসলিম: ২৫৬৩, ২৫৬৪)

■ হুযাইফা (রা:) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা:) বলেছেন, “চুগলখোর জান্নাতে যাবে না।” -(বুখারী, মুসলিম, রিয়াযুস স্বা-লিহীনঃ ১৫৪৪)

■ আবু হুরায়রা (রা:) হতে বর্ণিত, নবী (সা:) বলেছেন, “মানুষের মিথ্যাবাদী হওয়ার জন্য এতটুকুই যথেষ্ট যে, সে যা কিছু শোনে (বিনা বিচারে) তা-ই বর্ণনা করে।” -(মুসলিম, আবু দাউদ, রিয়াযুস স্বা-লিহীনঃ ১৫৫৫)

■ ইবনে মাসউদ (রা:) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা:) বলেছেন, “মুমিনগণ খোঁটাদানকারী, অভিশাপকারী, নির্লজ্জ ও অশ্লীলভাষী হয় না।” -(তিরমিযী: ১৯৭৭; আহমাদ: ৩৮২৯)

Advertisement

■ ইবনে মাসঊদ (রা:) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সা:) বলেছেন, “মুসলিমকে গালি দেওয়া ফাসেকী এবং তার সাথে লড়াই করা কুফরী। -(বুখারী, মুসলিম, রিয়াযুস স্বা-লিহীনঃ ১৫৬৭)

■ আয়িশা (রা:) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা:) বলেছেন, “তোমরা মৃতদেরকে গালি দিও না। যেহেতু তারা নিজেদের কৃতকর্মের পরিণতি পর্যন্ত পৌঁছে গেছে।” -(বুখারী: ৬৮৫৮; মুসলিম: ১৬৬০)

■ আবু হুরায়রা (রা:) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সা:) বলেছেন, “সে ব্যক্তি আমাদের দলভুক্ত নয়, যে আমাদের উপর অস্ত্র তোলে। আর যে আমাদেরকে ধোঁকা দেয়, সেও আমাদের দলভুক্ত নয়।” -(মুসলিম, ইবনু মাজাহ, রিয়াযুস স্বা-লিহীনঃ ১৫৮৭)

■ আবু হুরায়রা (রা:) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা:) বলেছেন, “যে কারো স্ত্রী অথবা কারো ভৃত্যকে প্ররোচনা বা প্রলোভন দ্বারা নষ্ট করবে, সে আমার দলভুক্ত নয়।” -(আবু দাউদ: ৫১৭০)

■ আবু হুরায়রা (রা:) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা:) বলেছেন, “কোন মুসলিমদের জন্য এ কাজ বৈধ নয় যে, তার কোন মুসলিম ভাইয়ের সাথে তিন দিনের ঊর্ধ্বে কথাবার্তা বন্ধ রাখবে। সুতরাং যে ব্যক্তি তিন দিনের ঊর্ধ্বে কথাবার্তা বন্ধ রাখবে এবং সেই অবস্থায় মারা যাবে, সে জাহান্নামে প্রবেশ করবে।” -(আবু দাউদ: ৪৯১২; মুসলিম: ২৫৬২)

■ ইবনে মাসঊদ, ইবনে উমার ও আনাস (রা:) হতে বর্ণিত, তাঁরা বলেন, নবী (সা:) বলেছেন, “কিয়ামতের দিনে প্রত্যেক বিশ্বাসঘাতকের জন্য একটি করে (বিশেষ) পতাকা নির্দিষ্ট হবে। বলা হবে যে, এটা অমুক ব্যক্তির (বিশ্বাসঘাতকতার) প্রতীক। -(বুখারী, মুসলিম, রিয়াযুস স্বা-লিহীনঃ ১৫৯৩)

■ ইবনে উমার (রা:) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সা:) বলেছেন, “যখন (কোন স্থানে) একত্রে তিনজন থাকবে, তৃতীয়জনকে ছেড়ে যেন দু’জন কানাকানি না করে।” -(বুখারী, মুসলিম, রিয়াযুস স্বা-লিহীনঃ ১৬০৬)

■ আনাস (রা:) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, ‘রাসূলুল্লাহ (সা:) জীব-জন্তুদের বেঁধে রেখে হত্যা করতে নিষেধ করেছেন।’ -(বুখারী, মুসলিম, রিয়াযুস স্বা-লিহীনঃ ১৬১০)

■ ইবনে আব্বাস (রা:) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সা:) বলেছেন, “যে ব্যক্তি নিজের দান ফিরিয়ে নেয়, সে ঐ কুকুরের মত, যে বমি করে, তারপর তা আবার খেয়ে ফেলে।” -(বুখারী, মুসলিম, রিয়াযুস স্বা-লিহীনঃ ১৬২০)

■ ইবনে মাসঊদ (রা:) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, ‘রাসূলুল্লাহ্ (সা:) সুদখোর ও সুদদাতাকে অভিশাপ করেছেন’ (মুসলিম)। তিরমিযী ও অন্যান্য গ্রন্থাকারগণ এ শব্দগুলি বর্ধিত আকারে বর্ণিত করেছেন, ‘এবং সূদের সাক্ষীদ্বয় ও সূদের লেন-দেন লেখককে (অভিশাপ) করেছেন’। -(রিয়াযুস স্বা-লিহীনঃ ১৬২৩)

■ জাবের (রা:) থেকে বর্ণিত, তিনি বললেন, আচমকা দৃষ্টি সম্পর্কে আমি রাসূলুল্লাহ (সা:) কে জিজ্ঞেস করলাম। তিনি বললেন, ‘তুমি তোমার দৃষ্টি ফিরিয়ে নাও।’ -(মুসলিম: ২১৫৯; তিরমিযী: ২৭৭৬)

■ আবু সাঈদ (রা:) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সা:) বলেছেন, “কোন পুরুষ অন্য পুরুষের গুপ্তাঙ্গের দিকে যেন না তাকায়। কোন নারী অন্য নারীর গুপ্তস্থানের দিকে যেন না তাকায়। কোন পুরুষ অন্য পুরুষের সঙ্গে একই কাপড়ে যেন (উলঙ্গ) শয়ন না করে। (অনুরূপভাবে) কোন নারী, অন্য নারীর সাথে একই কাপড়ে যেন (উলঙ্গ) শয়ন না করে। -(মুসলিম: ৩৩৮; রিয়াযুস স্বা-লিহীনঃ ১৬৩৫)

Advertisement 2

■ উক্ববা ইবনে আমের (রা:) হতে বর্ণিত, একদা রাসূলুল্লাহ (সা:) বললেন, “তোমরা (বেগানা) নারীদের নিকট (একাকী) যাওয়া থেকে বিরত থাক।” (এ কথা শুনে জনৈক আনসারী নিবেদন করল, ‘স্বামীর আত্মীয় সম্পর্কে আপনার অভিমত কী?’ তিনি বললেন, “স্বামীর আত্মীয় তো মৃত্যুসম (বিপজ্জনক)। -(বুখারী, মুসলিম, রিয়াযুস স্বা-লিহীনঃ ১৬৩৬)

■ ইবনে আব্বাস (রা:) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, “আল্লাহর রসূল (সা:) নারীর বেশ ধারণকারী পুরুষদেরকে এবং পুরুষের বেশ ধারণকারী মহিলাদেরকে অভিশাপ করেছেন।” -(বুখারী: ৫৮৮৫, ৫৮৮৬; তিরমিযী: ২৭৮৪; আবু দাউদ: ৪৯৩০)

■ ইবনে উমার (রা:) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সা:) বলেছেন, “তোমাদের কেউ যেন বাম হাত দিয়ে অবশ্যই আহার না করে এবং তা দিয়ে অবশ্যই পানও না করে। কেননা, শয়তান বাম হাত দিয়ে পানাহার করে থাকে।” -(মুসলিম: ২০২০; রিয়াযুস স্বা-লিহীনঃ ১৬৪৩)

■ ইবনে উমার (রা:) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সা:) অভিশাপ করেছেন (ঐসব মহিলাকে) যে মহিলা পরচুলা লাগিয়ে দেয় এবং যে মহিলা পরচুলা লাগাতে বলে, আর যে মহিলা অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে উলকি উৎকীর্ণ করে ও যে উলকি উৎকীর্ণ করতে বলে। -(বুখারী ও মুসলিম, রিয়াযুস স্বা-লিহীনঃ ১৬৫৩)

■ আমর ইবনে শুআইব (রা:) তাঁর পিতা হতে, তিনি তাঁর (আমরের) দাদা থেকে বর্ণনা করেছেন, নবী (সা:) বলেছেন, “তোমরা সাদা পাকা চুল উপড়ে ফেলো না। কেননা, তা মুসলিমের জন্য জ্যোতি হবে।” -(আবু দাউদ, তিরমিযী, নাসাঈ, রিয়াযুস স্বা-লিহীনঃ ১৬৫৫)

■ আবু কাতাদাহ (রা:) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সা:) বলেছেন, “যখন তোমাদের কেউ পেশাব করবে, তখন সে যেন পুরুষাঙ্গ ডান হাত দিয়ে না ধরে, ডান হাত দিয়ে ইস্তিঞ্জা না করে। আর (পান করার সময়) পানি পাত্রে যেন নিঃশ্বাস না ফেলে।” -(বুখারী: ১৫৩, ১৫৪; মুসলিম: ২৬৭)

Advertisement 2

■ ইবনে উমার (রা:) হতে বর্ণিত, নবী (সা:) বলেছেন, “যখন তোমরা ঘুমাবে, তখন তোমাদের ঘরগুলোতে আগুন জ্বালিয়ে রেখো না।” -(বুখারী ও মুসলিম, রিয়াযুস স্বা-লিহীনঃ ১৬৬১)

■ ইবনে মাসউদ (রা:) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা:) বলেছেন, “সে আমাদের দলভুক্ত নয়, যে (শোকের সময়) গালে আঘাত করে, বুকের কাপড় ছিঁড়ে এবং জাহেলিয়াতের ডাকের ন্যায় ডাক ছাড়ে।” -(বুখারী ও মুসলিম, রিয়াযুস স্বা-লিহীনঃ ১৬৬৭)

■ স্বাফিয়্যাহ বিনতে আবু উবাইদা নবী (সা:) এর কোন স্ত্রী (হাফসা (রা:) হতে বর্ণনা করেছেন, নবী (সা:) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি গণকের নিকট এসে কোন (গায়বী) বিষয়ে প্রশ্ন করে, তার চল্লিশ দিনের নামাজ কবুল করা হয় না।’ -(মুসলিম: ২২৩০, রিয়াযুস স্বা-লিহীনঃ ১৬৭৮)

■ ইবনে মাসঊদ (রা:) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সা:) কে বলতে শুনেছি যে, “কিয়ামতের দিনে ছবি বা মূর্তি নির্মাতাদের সর্বাধিক কঠিন শাস্তি হবে।” -(বুখারী: ৫৯৫০; মুসলিম: ২১০৯)

fb.com/abdulhimd.saifullah

Advertisement 5

Advertisement 3

Leave a Comment