মোবাইল, টেলিফোন ও সেলুলার নেটওয়ার্ক কমিউনিকেশনের সুবিধা আলোচনা।

শ্রেণি:HSC ভোকেশনাল -2021 বিষয়: কম্পিউটার অপারেশন এন্ড মেইনটেন্যান্স (১) ২য় পত্র এসাইনমেন্টের 2021
এসাইনমেন্টের ক্রমিক নংঃ 05
বিষয় কোডঃ 82521
বিভাগ: ভোকেশনাল

এসাইনমেন্ট শিরোনামঃ মোবাইল, টেলিফোন ও সেলুলার নেটওয়ার্ক কমিউনিকেশনের সুবিধা আলোচনা

শিখনফল/বিষয়বস্তু :

  • মোবাইল টেলিফোনের প্রাথমিক ধারণা
  • সেলুলার নেটওয়ার্ক এর সুবিধা 
  • মোবাইল ফোন প্রযুক্তির প্রকারভেদ 
  • সেলুলার সেটের প্রকারভেদ

নির্দেশনা (সংকেত/ ধাপ/ পরিধি): 

  • মোবাইল টেলিফোন এর ব্যবহার বর্ণনা করতে হবে
  • সেলুলার নেটওয়ার্ক এর সুবিধা বর্ণনা করতে হবে
  • মোবাইল ফোন প্রযুক্তির প্রকারভেদ বর্ণনা করতে হবে
  • সেলুলার সেটের প্রকারভেদ বর্ণনা করতে হবে।

এসাইনমেন্ট সম্পর্কে যে কোন প্রশ্ন আপনার মতামত জানাতে পারেন আমাদের কে YouTube : Like Page ইমেল : assignment@banglanewsexpress.com

  • মোবাইল টেলিফোন এর ব্যবহার বর্ণনা করতে হবে

স্মার্ট ফোনে ওয়াইফাই বা ডাটা সংযোগের মাধ্যমে ইন্টারনেটের সঙ্গে যুক্ত হয়ে বিনা মূল্যে হোয়াটসঅ্যাপ, মেসেঞ্জার, জুম, গুগল মিট, স্কাইপের মতো অ্যাপ্লিকেশনে কথা ও মিটিং সম্পন্ন করা যায়। জিপিএস-এর কার্যকরী অ্যাপ গুগল ম্যাপ ব্যবহার করে অপরিচিত জায়গা খুঁজে বের করা যায়। গুরুত্বপূর্ণ তথ্য, ছবি, ভিডিও, লিংক, পিডিএফ, ডকুমেন্ট সংরক্ষণ, আদান-প্রদান ও প্রয়োজনে ব্যবহার করা যায়। নোটিফিকেশনের মাধ্যমে ফোনে নতুন কোনো তথ্য ও ক্যালেন্ডারের অ্যাপয়েন্টমেন্ট মনে করিয়ে দেয়, এছাড়া ঘড়ি, অ্যালার্ম, নোটবুক, ক্যামেরা, অনুবাদক ইত্যাদি হিসেবে স্মার্ট ফোন ব্যবহার করা যায়।

শিশুদের কান্না থামাতে ও খাবার খাওয়ানোর সময় অনেক অভিভাবক স্বেচ্ছায় কম বয়সের সন্তানের হাতে স্মার্ট ফোন তুলে দিয়ে থাকে। এটিকে প্রথম অবস্থায় তেমন ক্ষতিকর মনে না হলেও পরবর্তীতে এটি শিশুর পূর্ণ মানসিক বিকাশে, পারস্পরিক যোগাযোগের দক্ষতায় ও লেখাপড়ার প্রতি মনোযোগে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।

অতিরিক্ত স্মার্ট ফোন ব্যবহারে চোখের সমস্যা হতে পারে। কম বয়স থেকে অবাধে স্মার্ট ফোন ব্যবহার করার ফলে স্মার্ট ফোনের প্রতি আসক্তি ও সাইবার অপরাধের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনাও থেকে যায়।

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

বর্তমানে স্মার্ট ফোনগুলোর অন্যতম প্রধান বিনোদন উত্স হচ্ছে গেমিং অ্যাপ্লিকেশন। আমরা প্রায়শ দেখি স্মার্ট ফোন হাতে কয়েকজন কিশোর, যুবক একত্রে গেম খেলতে ব্যস্ত। তারা গেম খেলতে এতই ব্যস্ত যে তাদের পারিপার্শ্বিক অবস্থান ও সময় সম্পর্কে কোনো জ্ঞান থাকে না। গেম খেলা নিষিদ্ধ নয়, তবে গেমের জন্য অযৌক্তিক ও অপরিমিত অর্থ অপচয় ব্যবহারকারীর চিন্তা ও আচরণের প্রভাব ফেলে।

স্মার্ট ফোনের ভালো খারাপ উভয় দিকই রয়েছে। আমাদের উচিত হবে যথাসম্ভব খারাপ দিকগুলো বর্জন করে চলা। আমাদের স্মার্ট ফোনের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত না হয়ে স্মার্ট ফোনকে নিয়ন্ত্রণ করা শিখতে হবে।

  • সেলুলার নেটওয়ার্ক এর সুবিধা বর্ণনা করতে হবে

সেলের আকার সাধারণত ১ মাইল হতে ১২ মাইল পর্যন্ত হয়ে থাকে, যা নির্ভর করে জনসংখ্যার ঘনত্বের উপর। সেল দেখতে সাধারণত ষড়ভূজাকার হয়। তবে বর্গাকার, বৃত্তাকার বা অনিয়মিত আকারেও হতে পারে। সেলুলার নেটওয়ার্কে রেডিও ফ্রিকুয়েন্সি ব্যবহার করা হয়। প্রত্যেক সেলের জন্য বিভিন্ন ফ্রিকুয়েন্সি বরাদ্দ থাকে, যার সমতুল্য রেডিও বেস স্টেশন থাকে।

একটি ফ্রিকুয়েন্সি শ্রেণি একটি সেলে এমন ভাবে ব্যবহৃত হয়, যেন পাশাপাশি সেল কখনাে একই ফ্রিকুয়েন্সি না থাকে। মােবাইল ফোন এর মাধ্যমে একাধিক বেস স্টেশনের সাথে সংযুক্ত থেকে যে কোন স্থানে যে কোন দুরত্বে ব্যবহার করা যায়। যােগাযােগকালীন অবস্থায় গ্রাহক বা প্রাপক যে কোন ব্যবহারকারী অথবা উভয়ই কল অর্থাৎ কল অবিচ্ছিন্ন রেখে এক বা একাধিক বেস স্টেশন পরিবর্তন করতে পারে। মােবাইল ফোন হতে পাবলিক টেলিফোন নেটওয়ার্কে অথবা অন্য মােবাইল ফোনে কল গ্রহণ বা প্রেরণ করা যায়।

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

  • মোবাইল ফোন প্রযুক্তির প্রকারভেদ বর্ণনা করতে হবে

শুরু থেকে এ পর্যন্ত আবিষ্কৃত মোবাইল প্রযুক্তিকে চারটি প্রজন্মে ভাগ করা হয়। যথাঃ

ক. প্রথম প্রজন্মঃ

১৯৮৩ সালে বাণিজ্যিকভাবে প্রথম প্রজন্মের মোবাইল ফোনের যাত্রা শুরু হয়। এই প্রজন্মে মূলত অ্যানালগ মোবাইল ফোন ব্যবহৃত হতো। প্রথম প্রজন্মের মোবাইল ফোনের নিম্নলিখিত বৈশিষ্ট্য রয়েছে-

১. রেডিও সিগন্যাল হিসেবে অ্যানালগ সিস্টেম ব্যবহৃত হয়।

২. সেমিকন্ডাক্টর এবং মাইক্রোপ্রসেসর প্রযুক্তির ব্যবহার।

৩. সেল সিগন্যাল এনকোডিং পদ্ধতি হলো FDMA.

৪. মোবাইল টেলিফোনি স্ট্যান্ডার্ড হিসেবে মোবাইল রেডিও টেলিফোন এর ব্যবহার।

৫. একই এলাকায় অন্য মোবাইল ট্রান্সমিটারের দ্বারা সৃষ্ট রেডিও ইন্টারফারেন্স নেই।

উদাহরণঃ Advance Mobile Phone System (AMPS), Nordic Mobile Telephone (NMT), Total Access Communication System (TACS) ইত্যাদি।

খ. দ্বিতীয় প্রজন্মঃ

দ্বিতীয় প্রজন্মের মোবাইল ফোনের যাত্রা শুরু হয় ১৯৯০ সালে ইউরোপে জিএসএম প্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে। দ্বিতীয় প্রজন্মের মোবাইল সিস্টেমের নিম্নলিখিত বৈশিষ্ট্য রয়েছে-

১. ওয়্যারলেস প্রযুক্তির ব্যবহার।

২. ভয়েসকে নয়েজ মুক্ত করা হয়।

৩. রেডিও সিগন্যাল হিসেবে ডিজিটাল সিস্টেমের প্রবর্তন

৪. টেক্সট মেসেজের প্রচলন শুরু হয়।

৫. সেল সিগন্যাল এনকোডিং পদ্ধতি হলো FDMA, TDMA এবং CDMA

৬. সর্বপ্রথম প্রিপেইড পদ্ধতি চালু হয়।

৭. মোবাইল ডেটা পরিচালনার জন্য কোর সুইচ নেটওয়ার্ক পদ্ধতির ব্যবহার।

উদাহরণঃ Code Division Multiple Access (CDMA), Time Division Multiple Access (TDMA), Frequency Division Multiple Access (FDMA), Global System for Mobil Communication (GSM) ইত্যাদি।

গ. তৃতীয় প্রজন্মঃ

তৃতীয় প্রজন্মের যাত্রা শুরু হয় ২০০১ সালে W-CDMA প্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে। তৃতীয় প্রজন্মের মোবাইল সিস্টেমের নিম্নলিখিত বৈশিষ্ট্য রয়েছে-

১. আন্তর্জাতিক রোমিং সুবিধা চালু হয়।

২. GSM, UMTS, CDMA 2000, EDGE প্রযুক্তির সমন্বয় ও সফল ব্যবহার

৩. উচ্চ স্পেকট্রাম দক্ষতা।

৪. ভিডিও কলের সুবিধা।

৫. ডেটা ট্রান্সমিশনে প্যাকেট সুইচিং প্রযুক্তির ব্যবহার।

৬. ইউএসবি মডেম সংযোগের সুবিধা।

৭. ইন্টারনেট ব্যবহার করার সুবিধা।

৮. সিগন্যাল চারদিকে সমানভাবে ছড়িয়ে পড়ার ব্যবস্থা।

ঘ. চতুর্থ প্রজন্মঃ

সর্বাধুনিক মোবাইল ফোন প্রযুক্তি হচ্ছে চতুর্থ প্রজন্ম প্রযুক্তি। এই ২০০৯ সালে চালু হয়। এর বৈশিষ্ট্য –

১. 4G এর গতি 3G এর চেয়ে ৫০ গুণ বেশী।

২. প্রায় ১০০ Mbps গতিতে ডেটা ট্রান্সফার।

৩. ত্রিমাত্রিক ছবি প্রদর্শনের ব্যবস্থা।

৪. টেলিভিশনে অপেক্ষাকৃত উন্নত মানের ছবি এবং ভিডিও লিঙ্ক প্রদান করবে।

৫. উন্নত মানের এন্টেনা সিস্টেমের ব্যবহার।

৬. সেলুলার ওয়্যারলেস স্ট্যান্ডার্ডের ব্যবহার।

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

  • সেলুলার সেটের প্রকারভেদ বর্ণনা করতে হবে।

মােবাইল ফোনের গঠনগত দিক, বহুমুখী ব্যবহার ও দামের ওপর ভিত্তি করে মােবাইল/সেলুলার ফোন সেটকে কয়েকটি ভাগে ভাগ করা যায়। যথা বেসিক ফোন, ক্যামেরা ফোন, মিউজিক/MP3 ফোন, ভিডিও ফোন, স্মার্টফোন, পিডিএ ফোন ইত্যাদি। মােবাইল ইউনিট বা মােবাইল/সেলুলার সেট মােবাইল বা সেলুলার টেলিফোন ইউনিটে মূল তিনটি অংশ থাকে।

১. একটি কন্ট্রোল ইউনিট (Control Unit)
২. একটি ইনপুট ট্রান্সিভার (Transceiver) এবং
৩. একটি এন্টেনা সিস্টেম (Antenna System)

এই তিনটি মূল অংশ ছাড়াও মােবাইল ফোনের আরও উপাদানগুলাে হলাে- একটি ব্যাটারি যা ফোনের সার্বিক কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করতে প্রয়ােজনীয় শক্তি প্রদান করে। একটি ইনপুট মেকানিজম (কিপ্যাড অথবা, টাচ স্ক্রিন)। জিএসএম মােবাইল ফোনের জন্য একটি SIM কার্ড এবং সিডিএমএ মােবাইল ফোনের জন্য R-UIM কার্ড থাকে।
মােবাইল বা সেলুলার ফোন প্রযুক্তির প্রকারভেদ: মােবাইল ফোন প্রযুক্তিকে দুভাগে ভাগ করা যায়। যথা-

১. GSM (Global System for Mobile Communication)
২. CDMA (Code Division Multiple Access)

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

এসাইনমেন্ট সম্পর্কে যে কোন প্রশ্ন আপনার মতামত জানাতে পারেন আমাদের কে YouTube : Like Page ইমেল : assignment@banglanewsexpress.com

অন্য সকল ক্লাস এর অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর সমূহ :-

  • ২০২১ সালের SSC / দাখিলা পরীক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
  • ২০২১ সালের HSC / আলিম পরীক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
  • ভোকেশনাল: ৯ম/১০ শ্রেণি পরীক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
  • HSC (বিএম-ভোকে- ডিপ্লোমা-ইন-কমার্স) ১১শ ও ১২শ শ্রেণির অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
  • ২০২২ সালের ১০ম শ্রেণীর পরীক্ষার্থীদের SSC ও দাখিল এসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
  • ২০২২ সালের ১১ম -১২ম শ্রেণীর পরীক্ষার্থীদের HSC ও Alim এসাইনমেন্ট উত্তর লিংক

৬ষ্ঠ শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১ , ৭ম শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১ ,

৮ম শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১ , ৯ম শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১

উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় SSC এসাইনমেন্ট :

বিজ্ঞান ১ম ও ২য় বর্ষের এসাইনমেন্ট, ব্যবসায় ১ম ও ২য় বর্ষের এসাইনমেন্ট, মানবিক ১ম ও ২য় বর্ষের এসাইনমেন্ট

উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় HSC এসাইনমেন্ট :

মানবিক ১ম ও ২য় বর্ষের এসাইনমেন্ট, বিজ্ঞান ১ম ও ২য় বর্ষের এসাইনমেন্ট , ব্যবসায় ১ম ও ২য় বর্ষের এসাইনমেন্ট

Leave a Comment