ভোকেশনাল ৯ম শ্রেণির এগ্রোবেসড ফুড (১) ১ম পত্র ৪র্থ সপ্তাহের এসাইনমেন্ট সমাধান ২০২১

অ্যাসাইনমেন্ট : ধান সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা 

 শিখনফল/বিষয়বস্তু :  

  • ধানের পুষ্টি, জাত, ব্যবহার, সংরক্ষণ, সিদ্ধ করন ও মিলিং সম্পর্কে বর্ননা করতে পারবে

নির্দেশনা (সংকেত/ ধাপ/ পরিধি): 

  • *ধানের সংজ্ঞার বর্ননা করতে হবে
  • *জাত ও বৈশিষ্ট আলোচনা করতে হবে
  • *ধান সংরক্ষণ আলোচনা করতে হবে
  • *ক্ষতিকারক পোকা মাকড় দমন পদ্ধতি বর্ননা করতে হবে

এসাইনমেন্ট সম্পর্কে যে কোন প্রশ্ন আপনার মতামত জানাতে পারেন আমাদের কে YouTube : Like Page ইমেল : assignment@banglanewsexpress.com

  • *ধানের সংজ্ঞার বর্ননা করতে হবে

ধান (বৈজ্ঞানিক নাম Oryza sativa, Oryza glaberrima ) Poaceae(পূর্বনাম: Graminae) গোত্রের দানাশস্যের উদ্ভিদ । ধান উষ্ণ জলবায়ুতে, বিশেষত পূর্ব-এশিয়ায় ব্যাপক চাষ হয়। প্রাচীন চীনা ভাষার Ou-liz(অউ-লিজ) শব্দটি আরবিতে Oruz(অরুজ) ও গ্রিক ভাষায় Oryza(অরাইজা) হয়ে শেষে Ritz(রিট্‌জ) ও Rice(রাইস) হয়েছে। ধান বা ধান্য শব্দের উৎপত্তি অজ্ঞাত। ধানবীজ বা চাল সুপ্রাচীনকাল থেকে লক্ষ লক্ষ মানুষের প্রধান খাদ্য। চীন ও জাপানের রাজাদের পৃষ্ঠপোষকতায় প্রায় ১০,০০০ বছর আগে ধান চাষ শুরু হয়েছিল বলে জানা যায়। ব্যাপক অভিযোজন ক্ষমতার দরুন ধান উত্তর কোরিয়া থেকে দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়া, এমনকি সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ২,৬০০ মিটার উচ্চতায়ও (জুমলা, নেপাল) জন্মায়।

বাংলাদেশে আউশ, আমন এবং বোরো এই তিন মৌসুমে ধান চাষ করা হয়।

ধান সাধারণত একবর্ষজীবী উদ্ভিদ, কোন কোন অঞ্চলে বিশেষ করে নাতিশীতোষ্ণ অঞ্চলে ধান দ্বি-বর্ষজীবী উদ্ভিদ হিসেবে চাষ করা হয়। ধানকে ৩০ বছর পর্যন্ত চাষ করা যায়। ধানের বৃদ্ধি ও উৎপাদন অনেকসময় মাটির উর্বরতার উপর নির্ভর করে থাকে।

ধান গাছ সাধারণত ১-১.৮ মিটার (৩.৩-৫.৯ ফুট) পর্যন্ত লম্বা হয়ে থাকে। এর পাতা সরু, লম্বা আকৃতির হয়। পাতা ৫০-১০০ সে.মি. (২০-৩৯ ইঞ্চি) পর্যন্ত লম্বা ও ২-২.৫ সে.মি. (০.৭৯-০.৯৮ ইঞ্চি) প্রশস্ত হয়ে থাকে। সাধারণত বায়ুর সাহায্যে এর পরাগায়ন হয়ে থাকে। পুষ্পমঞ্জরীতে ফুলগুলো শাখান্বিত অবস্থায় উপর থেকে নীচ পর্যন্ত সাজানো থাকে। এক একটি পুষ্পমঞ্জরী ৩০-৫০ সেমি (১০-২০ ইঞ্চি) লম্বা হয়ে থাকে। বীজকে খাবার হিসেবে খাওয়া হয়, একে শষ্য বলা হয়। বীজ সাধারণত ৫-১২ মি.মি. লম্বা ও ২-৩ মি.মি. পুরু হয়ে থাকে। [১]

যেসব অঞ্চলে বৃষ্টিপাত বেশি কিংবা নিচু জমি, সেসব অঞ্চলে ধান ভালো হয়। পাহাড় কিংবা পাহাড়ের ঢালেও এর চাষ হয়ে থাকে। ধান চাষ অত্যন্ত শ্রমনির্ভর। অনেক শ্রমিক প্রয়োজন হয়, এ কারণে যেসব এলাকায় শ্রমিক খরচ কম সেসকল অঞ্চলে ধান চাষ করা সহজ। এর মাতৃ উদ্ভিদের বাসস্থান এশিয়া এবং আফ্রিকা।

ধান চাষ করতে হলে প্রথমে বীজতলা তৈরী করতে হয়, সেখানে বীজ ছিটিয়ে রেখে কয়েকদিন সেচ দিতে হয় তারপর ছোট চারা তৈরী হলে সেগুলোকে তুলে প্রধান জমিতে রোপন করা হয়। তাছাড়া সরাসরি বীজ প্রধান জমিতে ছিটিয়েও চাষ করা হয়। ধান চাষে প্রচুর পানির দরকার হয়। গাছের গোড়ায় অনেকদিন পর্যন্ত পানি জমিয়ে রাখা হয়। সাধারণত নল তৈরী করে, আইল বানিয়ে পানি ধরে রাখা হয়। আগাছা, রোগবালাই ও পোকামাকড় এর কারণে ধানের উৎপাদন কমে যেতে পারে। ধাড়ি ইঁদুর ধানের অন্যতম প্রধান শত্রু। সাধারণত জমিতে পানি আটকে রেখে আগাছাসহ এর উৎপাত কমানো যেতে পারে।

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

  • *জাত ও বৈশিষ্ট আলোচনা করতে হবে

আমন ধানের জাত : আমন ধান মূলত দুই প্রকার; রোপা আমন ও বোনা আমন। রোপা আমন অন্য জমিতে চারা প্রস্তুত করে, সেই চারা ক্ষেতে রোপণ করে ধান উৎপন্ন হয় বলে এর এরূপ নাম। রোপা আমন আষাঢ় মাসে বীজতলায় বীজ বোনা হয়, শ্রাবণ-ভাদ্র মাসে মূল জমিতে রোপণ করা হয় এবং কার্তিক-অগ্রহায়ণ-পৌষ (এলাকাভেদে) মাসে ধান কাটা হয়।
অনুকূল পরিবেশ উপযোগী জাতসমূহ : বিআর৪, বিআর৫, বিআর১০, বিআর১১, ব্রি ধান৩০, ব্রি ধান৩২, ব্রি ধান৩৩, ব্রি ধান৩৪, ব্রি ধান৩৯, ব্রি ধান৪৯, ব্রি ধান৬২, ব্রি ধান৭৯, ব্রি ধান৭১, ব্রি ধান৭২, ব্রি ধান৭৫, ব্রি ধান৮০, ব্রি ধান৮৭।

প্রতিকূল পরিবেশে চাষযোগ্য জাত : খরাপ্রবণ এলাকায় ব্রি ধান৫৬, ব্রি ধান৫৭ ও ব্রি ধান৬৬, ব্রি ধান৭১ বন্যাপ্রবণ এলাকার জন্য উপযোগী জাতগুলো হলো- ব্রি ধান৫১, ব্রি ধান৫২, ব্রি ধান৭৯। এছাড়া বিআর২২, বিআর২৩, ব্রি ধান৪৬ জাতগুলোর নাবি গুণ থাকার জন্য এদের বীজ ২০-৩০ শ্রাবণে বপন করে ৩০-৪০ দিনের চারা সর্বশেষ ৩১ ভাদ্র পর্যন্ত বন্যা প্রবণ এলাকায় রোপণ করা যায়।

লবণাক্ত এলাকায় বিআর২৩, ব্রি ধান৪০, ব্রি ধান৪১, ব্রি ধান৫৩, ব্রি ধান৫৪, ব্রি ধান৭৩, ব্রি ধান৭৮।
জোয়ার-ভাটা প্রবণ অলবণাক্ত এলাকার উপযোগী জাতগুলো হলো- ব্রি ধান৪৪, ব্রি ধান৫২, ব্রি ধান৭৬,ব্রি ধান৭৭ জলাবদ্ধ এলাকার জন্য উপযোগী জাত- বিআর১০, বিআর২৩, ব্রি ধান৩০, ব্রি ধান৭৯, ব্রি ধান৭৬, ব্রি ধান৭৮ বরেন্দ্র এলাকার জন্য জাতগুলো হলো- ব্রি ধান৫৬, ব্রি ধান৫৭, ব্রি ধান৬৬, ব্রি ধান৭১, ব্রি ধান৭৫, ও ব্রি ধান৮০। এছাড়া সুগন্ধি ব্রি ধান৩৪ সহ সমতল বরেন্দ্র অঞ্চলে অনুকূল পরিবেশের জন্য সুপারিশকৃত সব জাতই চাষ করা সম্ভব।

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

আউশ ধানের জাত: বর্তমানে অবমুক্তকৃত উচ্চফলনশীল জাতের চাষ করলে অধিক ফলন পাওয়া যায়।

আউশ ধান দুইভাবে চাষ করা হয়। বোনা আউশ এবং রোপা আউশ। বোনা আউশের জনপ্রিয় আধুনিক জাতসমূহঃ ব্রিধান৪৩, ব্রিধান৬৫, ব্রিধান৮৩ এবং বিনাধান-১৯। রোপা আউশ ধানের আধুনিক জাতসমূহঃ ব্রিধান৪৮, ব্রিধান৮২, ব্রিধান৮৫, বিনাধান-১৯ এবং ব্রি হাইব্রিড ধান৭।
আউশ ধানের জাতগুলোর বৈশিষ্ট্যসমূহঃ
বিনাধান-১৯ : প্রচÐ খরা সহিষ্ণু হওয়ায় খরা মাটি পছন্দ করে। বোনা ও রোপা উভয় পদ্ধতিতে চাষ উপযোগী। গাছ হেলে পড়ে না। জীবনকাল ৯৫-১০০ দিন। চাল সরু ও লম্বা। ফলন ৪-৫ টন/হেক্টর।

ব্রি ধান৪৩ : জাতটি বৃষ্টি প্রবন এবং খরা প্রবন উভয অঞ্চরের জন্য উপযোগী। আগাম জাত, জীবন কাল ১০০ দিন। খরা সহিষ্ণু। কাÐ বেশ শক্ত বলে সহজে হেলে পড়ে না। ফলন ৩.৫ টন/হেক্টর।
ব্রি ধান৪৮ : অধিক ফলনশীল এ জাতটি রোপা আউশ মৌসুমের জন্য উপযোগী। জীবনকাল ১১০ দিন। কাÐ শক্ত। চাল মাঝারী মোটা ও সাদা। ফলন ৫.০ টন/হেক্টর।

ব্রি ধান৬৫ : বোনা আউশ মৌসুমের খরা সহনশীল জাত। গাছ খাটো ও কাÐ শক্ত হওয়ায় হেওে পড়ে না। শীষ থেকে ধান সহজে ঝড়ে পড়ে না। চাল মাঝারী চিকন ও সাদা এবং ভাত ঝরঝরে। জীবনকাল ১০০ দিন। ফলন ৩.৫-৪ টন/হেক্টর।

ব্রি ধান৮২ : অধিক ফলনশীল এ জাতটি রোপা আউশ মৌসুমের জন্য উপযোগী। গাছের উচ্চতা ১১০ সেমি.। জীবনকাল ১০০-১০৫ দিন। কাÐ শক্ত। চাল মাঝারী মোটা ও ভাত ঝরঝরে। ফলন ৪.৫-৫.০ টন/হেক্টর।
ব্রি ধান৮৮৩ : বোনা আউশ মৌসুমের খরা সহনশীল জাত। গাছের উচ্চতা ১০০-১০৫ সেমি। কাÐ শক্ত হওয়ায় হেলে পড়ে না এমনকি ধান পাকার পরও গাছ হেলে পড়ে না। দানার রং লালচে যা স্থানীয় কটকতারা জাতের অনুরুপ। চাল মাঝারী মোটা ও সাদা এবং ভাত ঝরঝরে। জীবনকাল ১০৫ দিন। ফলন ৪-৫ টন/হেক্টর।

ব্রি ধান৮৫ : অধিক ফলনশীল এ জাতটি কুমিল্লা অঞ্চলসহ দেশের পূর্বাঞ্চলৈ রোপা আউশ মৌসুমের জন্য উপযোগী। জলাবদ্ধতা সহনশীর হওয়ায় আউশ মৌসুমে অপেক্ষাকৃত নিচু এলাকাতেও চাষ করা সম্ভব। গাছের উচ্চতা ১১০ সেমি.। জীবনকাল ১০৮-১১০ দিন। কাÐ শক্ত। চাল মাঝারী লম্বা ও চিকন এবং ভাত ঝরঝরে। ফলন ৪.৫-৫.০ টন/হেক্টর।
ব্রি হাইব্রিড ধান৭ : আউশ মৌসুমে চাষযোগ্য একমাত্র হাইব্রিড ধানের জাত। রোপা আউশ মৌসুমে প্রচলিত অন্যান্য জাতের চেয়ে অধিক ফলনশীন, ফলন ৬.৫-৭০ টন/হেক্টর। গাছের উচ্চতা ১০০-১০৫ সেমি। কাÐ শক্ত হওয়ায় হেলে পড়ে না। জীবনকাল ১০৫-১১০ দিন। ধানের আকৃতি সরু, লম্বা ও ভাত ঝরঝরে।

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

বোরো ধানের জাত: ধান বাংলাদেশের প্রধান খাদ্য শস্য। এ দেশ বিশ্বের ধান উৎপাদনকারী দেশগুলোর মধ্যে চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে। বাংলাদেশে ধানের হেক্টরপ্রতি গড় ফলন ৪.২ টন। আবহাওয়া ও জলবায়ুর ওপর ভিত্তি করে দেশের ধান উৎপাদনের তিনটি মৌসুম লক্ষ্য করা যায়, যথা- আউশ, আমন ও বোরো। বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট কর্তৃক বোরো ধানের প্রায় ২৭টি জাত উদ্ভাবন করা হয়েছে। জাতগুলোর উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্যগুলো নিম্নে তুলে ধরা হলো-

বিআর ৩
একটি উচ্চফলনশীল ধানের জাত, যা বোরো, আউশ এবং আমন তিন মৌসুমের জন্য অনুমোদিত। বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট ১৯৭৩ সনে জাতটি উদ্ভাবন করেছে। বিআর৩-এর জনপ্রিয় নাম বিপ্লব। এ জাতের উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্যগুলো হলো- গাছের উচ্চতা ৯৫ সেন্টিমিটার, এর চাল মাঝারি মোটা ও পেটে সাদা দাগ আছে, গাছ হেলে পড়ে না এবং ভাত ঝরঝরে। জাতটির জীবনকাল বোরো মৌসুমে ১৭০ দিন এবং ফলন হেক্টরপ্রতি ৬.৫ টন।

ব্রিআর ১৪
বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট উদ্ভাবিত ধান বিআর ১৪ বোরো এবং আউশ মৌসুমে চাষাবাদের জন্য ১৯৮৩ সনে জাতীয় বীজ বোর্ডের অনুমোদন লাভ করে। এ ধানের জনপ্রিয় নাম গাজী। এ জাতের বৈশিষ্ট্য হলো- গাছের উচ্চতা ১১৫-১২০ সেন্টিমিটার, কাণ্ড খুব মজবুত এবং পাতা খাড়া, কুশি গজানোর ক্ষমতা মাঝারি, ডিগপাতা কিছুটা হেলে যায়, ফলে শিষ উপরে দেখা যায় এবং দৃষ্টি আকর্ষণ করে, ছড়ার উপরিভাগের ধানে শুঙ আছে, চাল মাঝারি মোটা, সাদা এবং ভাত ঝরঝরে এবং এ জাতে প্রোটিনের পরিমাণ ৮.১%। এর জীবনকাল বোরো মৌসুমে ১৫৫-১৬০ দিন এবং ফলন- বোরো মৌসুমে হেক্টরপ্রতি ৬.০-৬.৫ টন।

বিআর ১৬
বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে এ জাতটি ইরি থেকে প্রবর্তন করেছে। এটি ১৯৮৩ সনে বোরো ও আউশ মৌসুমে চাষাবাদের জন্য বিআর ১৬ নামে জাতীয় বীজ বোর্ডের অনুমোদন লাভ করে। এ জাতের জনপ্রিয় নাম শাহীবালাম। ইহা বোরো মৌসুমের বালাম ধান। এ জাতের বৈশিষ্ট্য- গাছের উচ্চতা ৯০-৯৫ সেন্টিমিটার, গাছের কাণ্ড এবং পাতা খাঁড়া ও সবুজ, কুশি গজানোর ক্ষমতা মাঝারি, চাল লম্বা, চিকন এবং সাদা, ভাত ঝরঝরে এবং সুস্বাদু, চালে প্রোটিনের পরিমাণ ৭.৮%। এ জাতের জীবনকাল বোরো মৌসুমে ১৫৫-১৬০ দিন এবং উপযুক্ত পরিচর্যা পেলে বোরোতে হেক্টরপ্রতি ৫.৫-৬.০ টন ফলন দিয়ে থাকে।

বিআর ১৭
বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে এটিকে হবিগঞ্জ ও সুনামগঞ্জ হাওর এলাকার উপযোগী বলে চূড়ান্তভাবে নির্বাচন করে। এ জাতটি বিআর ১৭ নামে অনুমোদন লাভ করে। এ ধরনের জনপ্রিয় নাম হাসি। এ জাতের বৈশিষ্ট্য হলো- এটি আগাম জাত, গাছের উচ্চতা ১২৫ সেন্টিমিটার, চাল মাঝারি মোটা ও ভাত ঝরঝরে, ফুল ফোটার সময় শিষগুলো ডিগ পাতার উপরে থাকে। হাওর, বাঁওড় ও বিলাঞ্চলের জন্য এ জাতটি বিশেষ উপযোগী। কারণ গাছ লম্বায় ১২৫ সেন্টিমিটার, তাই ধান পাকার সময় হঠাৎ বন্যায় মাঠে কোমর পানি হলেও ফসল কাটা যায়। এ জাতের জীবনকাল ১৫৫ দিন এবং গড় ফলন হেক্টরপ্রতি ৬.০ টন।

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

  • *ধান সংরক্ষণ আলোচনা করতে হবে

ভাল ফলন পেতে হলে ভাল বীজের প্রয়োজন। এজন্য যে জমির ধান ভালোভাবে পেকেছে, রোগ ও পোকা-মাকড়ের আক্রমণ হয়নি এবং আগাছামুক্ত সে সব জমির ধান বীজ হিসাবে লাখতে হবে। এবার ধান কাটার আগেই বিজাতীয় (Off-type) গাছ সরিয়ে ফেলতে হবে। যেসব গাছের আকার-আকৃতি, শিষের ধরণ, ধানের আকার-আকৃতি, রঙ ও শুঙ এবং ধান পাকার সময় জমির অধিকাংশ গাছ থেকে একটু আলাদা সেগুলোই বিজাতীয় গাছ। সকল রোগাক্রান্ত গাছও অপসারণ করতে হবে। এরপর ফসল কেটে এবং আলাদা মাড়াই, ঝাড়াই করে ভালোভাবে রোদে শুকিয়ে মজুদ করতে হবে। বীজ ধান মজুদের সময় যেসব পদক্ষেপ নেয়া উচিত সেগুলো হলো:

  • রোদে ৫/৬ দিন ভালোভাবে শুকিয়ে নিতে হবে যেন বীজের আর্দ্রতা শতকরা ১২ ভাগের নিচে থাকে। দাঁত দিয়ে বীজ কাটলে যদি কটকট শব্দ হয় তাহলে বুঝতে হবে বীজ ঠিকমতো শুকিয়েছে।
  • পুষ্ঠ ধান বাছাই করতে কুলা দিয়ে কমপক্ষে দু’বার ঝেড়ে নেওয়া যেতে পারে।
  • বায়ুরোধী পাত্রে বীজ রাখা উচিত। বীজ রাখার জন্য ড্রাম ও বিস্কুট বা কোরোসিন টিন ব্যবহার করা ভাল।
  • মাটির মটকা বা কলসে বীজ রাখলে গায়ে দু’বার আলকাতরার প্রলেপ দিয়ে শুকিয়ে নিতে হবে।
  • আর্দ্রতা রোধক মোটা পলিথিনেও বীজ মজুদ করা যেতে পারে।
  • রোদে শুকানো বীজ ঠাণ্ডা করে পাত্রে ভরতে হবে। পুরো পাত্রটি বীজ দিয়ে ভরে রাখতে হবে। যদি বীজে পাত্র না ভরে তাহলে বীজের উপর কাগজ বিছিয়ে তার উপর শুকনো বালি দিয়ে পাত্র পরিপূর্ণ করতে হবে।
  • পাত্রের মুখ ভালোভাবে বন্ধ করতে হবে যেন বাতাস ঢুকতে না পারে। এবার এমন জায়গায় রাখতে হবে যেন পাত্রের তলা মাটির সংস্পর্শে না আসে।
  • প্রতি টন ধানে ৩.২৫ কেজি নিম, নিশিন্দা বা বিষ কাটালি পাতার গুঁড়া মিশিয়ে গোলাজাত করলে পোকার আক্রমণ হয় না।

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

  • *ক্ষতিকারক পোকা মাকড় দমন পদ্ধতি বর্ননা করতে হবে

বাংলাদেশে মোট ফসলী জমির প্রায় ৭৬% জমিতে ধান চাষ করা হয়।এর প্রায় ৭০% জমিতেই আধুনিক জাতের ধান চাষ করা হচ্ছ। বর্তমানে দেশে প্রায় ১০ লক্ষ হেক্টর জমিতে হাইব্রিড জাতের ধান আবাদ করা হচ্ছে। স্থানীয় জাতের তুলনায় এসব জাতে পোকামাকড়ের আক্রমণ বেশি হয়। এসব আধুনিক জাতের ভাল ফলন পাওয়ার জন্য স্থানীয় জাতের তুলনায় বেশি সার ও সেচ দিতে হয়। এজন্য পোকামাকড়ের আক্রমণও বৃদ্ধি পায়। ১৯৮৫ সালে এ দেশে ধান ফসলের জন্য ক্ষতিকর ১৭৫ প্রজাতির পোকাকে শক্ত করা হয় (করিম ১৯৮৫)। পরবর্তীতে২০০৩ সালে ২৬৬টি প্রজাতির পোকাকে ধানের ক্ষতিকর পোকা হিসেবে শনাক্ত করা হয়(ইসলাম ও অন্যান্য ২০০৩)।এর মধ্যে সব পোকা সব মৌসুমে বা সব জায়গার ধান ফসলে ক্ষতি করে না।২০ প্রজাতির পোকাকে ধান ফসলের সাধারণ ও গুরুত্বপূর্ণ ক্ষতিকর পোকা হিসেবে বিবেচনা করা হয়। তবে বাংলাদেশে মাজরা, পামরি, বাদামী গাছ ফড়িং ধানের প্রধান তিনটি ক্ষতিকর পোকা।  

১. ধানের পোকামাকড়
১.১ মাজরা পোকা

১.২ নলি মাছি
১.৩ পাতা মাছি

১.৪ পামরী পোকা
১.৫ চুংগী পোকা
১.৬ পাতা মোড়ানো পোকা
১.৭ লেদা পোকা
১.৮ লম্বাশুঁড় উড়চুঙ্গা
১.৯ ঘাস ফড়িং
১.১০ সবুজ শুঁড় লেদা পোকা

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]


মাজরা পোকা  
তিন ধরনের মাজরা পোকা বাংলাদেশের ধান ফসলের ক্ষতি করে। যেমন- হলুদ মাজরা। কালো মাথা মাজরা এবং গোলাপী মাজরা । মাজরা পোকার কীড়াগুলো কান্ডের ভেতরে থেকে খাওয়া শুরু করে এবং ধীরে ধীরে গাছের ডিগ পাতার গোড়া খেয়ে কেটে ফেলে। ফলে ডিগ পাতা মারা যায়। একে  ‘মরা ডিগ’ বা ‘ডেডহার্ট ’ বলে। গাছে শীষ আসার পূর্ব পর্যন্ত এ ধরনের ক্ষতি হলে মরা ডিগ দেখতে পাওয়া যায়। থোড় আসার আগে মরা ডিগ দেখা দিলে বাড়তি কিছু কুশী উৎপাদন করে গাছ আংশিকভাবে ক্ষতি পূরণ করতে পারে। 

ক্রিসেক রোগের অথবা ইঁদুরের ক্ষতির নমুনার সাথে মাঝে মাঝে মাজরা পোকা দ্বারা সৃষ্ট ক্ষত মরা ডিগ বলে ভুল হতে পারে। মরা ডিগ টান দিলেই সহজে উঠে আসে। এ ছাড়া ক্ষতিগ্রস্ত গাছের কান্ডে মাজরা পোকা খাওয়ার দরুণ ছিদ্র এবং খাওয়ার জায়গায় পোকার মল দেখতে পাওয়া যায়। 

শীষ আসার পর মাজরা পোকা ক্ষতি করলে সম্পূর্ণ শীষ শুকিয়ে যায়। একে ‘সাদা শীষ’, ‘মরা শীষ’ বা ‘হোয়াইট হেড’ বলে। খরায় বা ইঁদুরের ক্ষতির নমুনা হোয়াইট হেড-এর মত দেখা যেতে পারে। কীড়া যদি পাতার খোলের ভেতরে খায় এবং কান্ডের ভেতরের অংশ সম্পূর্ণভাবে কেটে না দেয় তাহলে ধানগাছের আংশিক ক্ষতি হয় এবং শীষের গোড়ার দিকের কিছু ধান চিটা হয়ে যায়।

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

মাজরা পোকার আক্রমণ হলে, কান্ডের মধ্যে কীড়া, তার খাওয়ার নিদর্শন ও মল পাওয়া যায়, অথবা কান্ডের বাইরের রং বিবর্ণ হয়ে যায় এবং কীড়া বের হয়ে যাওয়ার ছিদ্র থাকে। গাছে মাজরা পোকার ডিমের গাদা দেখলে বুঝতে হবে গাছের ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা আছে। হলুদ মাজরা পোকা পাতার ওপরের অংশে ডিম পাড়ে এবং গোলাপী মাজরা পোকা পাতার খোলের ভিতরের দিকে ডিম পাড়ে। হলুদ মাজরা পোকার ডিমের গাদার ওপর হালকা ধূসর রঙের একটা আবরণ থাকে। কালোমাথা মাজরা পোকার ডিমের গাদার ওপর মাছের আঁশের মত একটা সাদা আবরণ থাকে, যা ডিম ফোটার আগে ধীরে ধীরে গাঢ় রং ধারণ করে।

মাজরা পোকার কীড়াগুলো ডিম থেকে ফুটে রেরুবার পর আস্তে আস্তে কান্ডের ভেতরে প্রবেশ করে। কীড়ার প্রথমাবস্থায় এক একটি ধানের গুছির মধ্যে অনেকগুলো করে গোলাপী ও কালোমাথা মাজরার কীড়া জড়ো হতে দেখা যায়। কিন্তু হলুদ মাজরা পোকার কীড়া ও পুত্তলীগুলো কান্ডের মধ্যে যে কোন জায়গায় পাওয়া যেতে পারে।

আলোর চার পাশে যদি প্রচুর মাজরা পোকার মথ দেখতে পাওয়া যায় তাহলে বুঝতে হবে ক্ষেতের মধ্যে মথগুলো ডিম পাড়া শুরু করেছে। 
দমন ব্যবস্থাপনা
#    নিয়মিতভাবে ক্ষেত পর্যবেক্ষণের সময় মাজরা পোকার মথ ও ডিম সংগ্রহ করে নষ্ট করে ফেললে মাজরা পোকার সংখ্যা ও ক্ষতি অনেক কমে যায়। থোর আসার পূর্ব পর্যন্ত হাতজাল দিয়ে মথ ধরে ধ্বংস করা যায়।
#    ক্ষেতের মধ্যে ডালপালা পুঁতে পোকা খেকো পাখির বসার সুযোগ করে দিলে এরা পূর্ণবয়স্ক মথ খেয়ে এদের সংখ্যা কমিয়ে ফেলে।
#    মাজরা পোকার পূর্ণ বয়স্ক মথের প্রাদুর্ভাব যখন বেড়ে যায় তখন ধান ক্ষেত থেকে ২০০-৩০০ মিটার দূরে আলোক ফাঁদ বসিয়ে মাজরা পোকার মথ সংগ্রহ করে মেরে ফেলা যায়। 
#    যে সব অঞ্চলে হলুদ মাজরা পোকার আক্রমণ বেশী, সে সব এলাকায় সম্ভব হলে চান্দিনার (বি আর ১) মত হলুদ মাজরা পোকা প্রতিরোধ সম্পন্ন জাতের ধান চাষ করে আক্রমণ প্রতিহত করা যায়। 
#    ধানের জমিতে শতকরা ১০-১৫ ভাগ মরা ডিগ অথবা শতকরা ৫ ভাগ মরা শীষ পাওয়া গেলে অনুমোদিত কীটনাশক   (যেমন- ডায়াজিনন ৬০ ইসি, কার্বোফুরান ৫জি, ফেনিট্রথিয়ন ৫০ ইসি ইত্যাদি) ব্যবহার করা। 

গলমাছি বা নলিমাছি 
এ পোকার আক্রামণের ফলে ধান গাছের মাঝখানের পাতাটা পিঁয়াজ পাতার মত নলাকার হয়ে যায়। এ জন্য এ পোকার ক্ষতির নমুনাকে ‘পিঁয়াজ পাতা গল’ বা ‘নল’ বলা হয়ে থাকে। এ গলের বা নলের প্রথমাবস্থায় রং হালকা উজ্জ¦ল সাদা বলে একে ‘সিলভার শুট’ বা ‘রূপালী পাতা’ বলা হয়। পেঁয়াজ পাতা গল বড় বা ছোট হতে পারে। ছোট হলে সনাক্ত করতে অনেক সময় অসুবিধা হয়। গল হলে সে গাছে আর শীষ বের হয় না। তবে গাছে কাইচ থোড় এসে গেলে গলমাছি আর গল সৃষ্টি করতে পারেনা। 

গাছের মাঝখানের পাতাটা গল বা পিঁয়াজ পাতার মত হয়ে যায়। তারই গোড়ায় বসে গলমাছির কীড়াগুলো খায়। কীড়াগুলো এই গলের মধ্যেই পুত্তলীতে পরিণত হয় এবং এই গলের একেবারে ওপরে ছিদ্র করে পুত্তলী থেকে পূর্ণ বয়স্ক গলমাছি বেরিয়ে আসে। শুধু পুত্তলীর কোষটা সেখানে লেগে থাকে। পূর্ণ বয়স্ক গলমাছি দেখতে একটা মশার মত। স্ত্রী গলমাছির পেটটা উজ্জল লাল রঙের হয়। এরা রাতে আলোতে আসে, কিন্তু দিনের বেলায় বের হয় না। স্ত্রী গলমাছি সাধারণতঃ পাতার নীচের পাশে ডিম পাড়ে, তবে মাঝে মধ্যে পাতার খোলের উপরও ডিম পাড়ে।

গলমাছির বাৎসরিক বংশবৃদ্ধি মৌসুমী আবহাওয়ার ওপর নির্ভর করে। শুষ্ক মৌসুমে গলমাছি নির্জীব থাকে এবং ঝরা ধান বা ঘাসের মধ্যে পুত্তলী অবস্থায় বেঁচে থাকে। বর্ষা মৌসুম শুরু হলেই পূর্ণ বয়স্ক গলমাছি তৎপর হয়ে ওঠে এবং ঘাস জাতীয় বিকল্প গাছের খাদ্য খেয়ে এক বা একাধিক বংশ অতিক্রম করে।  ঘাস জাতীয় গাছে গলমাছির এক একটি জীবনচক্র সম্পূর্ণ হতে ৯-১৪ দিন এবং ধানের ওপর ৯-২৪ দিন সময় লাগে। ধানের চারা অবস্থা থেকে যদি আক্রমণ শুরু হয় তাহলে কাইচ থোড় অবস্থা আসা পর্যন্ত সময়ে এ পোকা কয়েকবার জীবনচক্র সম্পূর্ণ করতে পারে। যে সমস্ত অঞ্চলে শুধু শুষ্ক ও বর্ষা মৌসুম বিদ্যমান, সে সব অঞ্চলে বর্ষা মৌসুমের আগাম ধান ক্ষতি এড়িয়ে যেতে পারে। বর্ষা মৌসুমের শেষের দিকে রোপণ করলে সমূহ ক্ষতির সম্ভাবনা থাকে। বর্ষা মৌসুমে বেশী আক্রান্ত হয়ে থাকলে শুষ্ক মৌসুমে সেচের আওতাভুক্ত ধানক্ষেত আক্রান্ত হতে পারে। 

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল  কপিরাইট: (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

দমন ব্যবস্থাপনা
আলোক ফাঁদের সাহায্যে পূর্ণবয়স্ক গলমাছি ধরে ধ্বংস করা।
শতকরা ৫ ভাগ পিঁয়াজ পাতার মতো হয়ে গেলে অনুমোদিত কীটনাশক ব্যবহার করা।

পাতামাছি
পাতা মাছির কীড়া ধান গাছের মাঝখানের পাতা থেকে পুরোপুরি বের হওয়ার আগেই পাতার পাশ থেকে খাওয়া শুরু করে, ফলে ঐ অংশের কোষগুলো নষ্ট হয়ে যায়। মাঝখানের পাতা যত বাড়তে থাকে ক্ষতিগ্রস্থ অংশ ততই স্পষ্টভাবে দেখতে পাওয়া যায়। পাতামাছির এই ধরনের ক্ষতির ফলে কুশী কম হয় এবং ধান পাকতে বাড়তি সময় লাগতে পারে। চারা থেকে শুরু করে কুশী ছাড়ার শেষ অবস্থা পর্যন্ত ধান গাছ এই পোকা দ্বারা আক্রান্ত হতে পারে। যে সমস্ত ক্ষেতে প্রায় সব সময়ই দাঁড়ানো পানি থাকে সে সব ক্ষেতেই এই পোকা বেশী আক্রমণ করে।

পূর্ণ বয়স্ক পাতা মাছি ২ মিলিমিটার লম্বা হয়। এরা পাতার উপরে একটা করে ডিম পাড়ে। ডিম ফোটার পর কীড়াগুলো কান্ডের মাঝখানে ঢুকে কান্ডের ভেতরে অবস্থিত কচি মাঝ পাতার পাশ থেকে খেতে শুরু করে। কীড়াগুলো কান্ডের ভেতরে কচি পাতার রঙের মতোই সবুজ মিশ্রিত হলদে রঙের হয়ে থাকে। এরা গাছের বাইরের পাতার খোলে এসে পুত্তলীতে পরিণত হয়। পাতামাছির জীবনচক্র ৪ সপ্তাহে পূর্ণ হয়।

দমন ব্যবস্থাপনা
আক্রান্ত জমি থেকে দাঁড়ানো পানি সরিয়ে দেয়া।
শতকরা ২৫ ভাগ ধানের পাতা ক্ষতিগ্রস্ত হলে অনুমোদিত কীটনাশক ব্যবহার করা।

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল  কপিরাইট: (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

এসাইনমেন্ট সম্পর্কে যে কোন প্রশ্ন আপনার মতামত জানাতে পারেন আমাদের কে YouTube : Like Page ইমেল : assignment@banglanewsexpress.com

  • ২০২১ সালের SSC / দাখিলা পরীক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
  • ২০২১ সালের HSC / আলিম পরীক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
  • ২০২১ সালের ৯ম/১০ শ্রেণি ভোকেশনাল পরীক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
  • ২০২১ সালের HSC (বিএম-ভোকে- ডিপ্লোমা-ইন-কমার্স) ১১শ ও ১২শ শ্রেণির অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
  • ২০২২ সালের ১০ম শ্রেণীর পরীক্ষার্থীদের SSC ও দাখিল এসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
  • ২০২২ সালের ১১ম -১২ম শ্রেণীর পরীক্ষার্থীদের HSC ও Alim এসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
  • ৬ষ্ঠ শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১ লিংক
  • ৭ম শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১ লিংক
  • ৮ম শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১ লিংক
  • ৯ম শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১ লিংক

Leave a Comment