বৈদেশিক বাণিজ্যের প্রয়ােজনীয়তা আলােচনা কর, বৈদেশিক বাণিজ্যের গুরুত্ব আলােচনা কর,বৈদেশিক বাণিজ্য ছাড়া অর্থনৈতিক উন্নয়ন সম্ভব কি ব্যাখ্যা করবে, বৈদেশিক বাণিজ্যের নতুন রোডম্যাপ তৈরি,বৈদেশিক বাণিজ্যের নীতি সহায়তার

প্রশ্ন সমাধান: বৈদেশিক বাণিজ্যের প্রয়ােজনীয়তা আলােচনা কর, বৈদেশিক বাণিজ্যের গুরুত্ব আলােচনা কর,বৈদেশিক বাণিজ্য ছাড়া অর্থনৈতিক উন্নয়ন সম্ভব কি ব্যাখ্যা করবে, বৈদেশিক বাণিজ্যের নতুন রোডম্যাপ তৈরি,বৈদেশিক বাণিজ্যের নীতি সহায়তার

সমাজ ও দেশ এখন একে অপরের উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে। জীবন ও চাহিদার ব্যাপকতা বৃদ্ধি পাওয়া আজকাল একে অন্যের সহযােগিতা ছাড়া চলতে পারছে না। আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে যে সমাজ বা দেশের যােগাযােগ নেই তার অস্তিত্ব উন্নয়ন কিংবা সমৃদ্ধি কল্পনাই করা যায় না। তাই এর গুরুত্ব ও প্রয়ােজনীয়তা হয়ে উঠেছে অপরিসীম। নিম্নে পর্যায়ক্রমে বৈদেশিক বাণিজ্যের প্রয়ােজনীয়তা আলােচনা করা হলাে

১. বিদেশ ভ্রমণ : পর্যটনের অংশ হিসাবে এক দেশের মানুষ অন্যদেশে গমনাগমন করে। জাতীয় অর্থনীতিতে এ পর্যটন বা ভ্রমণ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাছাড়া উচ্চ শিক্ষার জন্যও এক দেশে থেকে অন্য দেশ গমন করা এবং অবস্থান করার প্রয়ােজন হয়। ভ্রমণ কিংবা পর্যটন যে কোনাে কারণেই হােক, সেই ব্যয় নির্বাহ করার জন্য অর্থ বা মুদ্রার প্রয়ােজন হয়।

২. যাবতীয় লেনদেন নিষ্পত্তি : দেশে দেশে সরকারের সরকারে অথবা বেসরকারি পর্যায়ে বিদেশের সাথে বিভিন্ন ধরনের লেনদেন হয় যা বৈদেশিক বিনিময়ের আওতায় সুসম্পন্ন হয়ে থাকে।

৩. আন্তর্জাতিক সম্প্রীতি : বৈদেশিক বিনিময়ের ফলে বিভিন্ন দেশের মানুষে মানুষে যােগাযােগ বাড়ে, সরকারের সরকারে মতামত বিনিময় হয় এবং অর্থনৈতিক লেনদেন সম্পাদিত হয়। এর ফলে আন্তর্জাতিক সম্প্রীতিও প্রতিষ্ঠিত হয়। সুন্দর পৃথিবী তৈরিতে এ সম্প্রীতি অত্যন্ত প্রয়ােজনীয়। বৈদেশিক বিনিময় এক্ষেত্র অপরিসীম অবদান রাখে।

৪. আন্তর্জাতিক বিনিময় : প্রয়ােজনে এক দেশ অন্য দেশে পণ্যসামগ্রী আমদানি বা রপ্তানি করে থাকে। কোনাে দেশ তার প্রয়ােজনীয় পণ্যদ্রব্য দেশের তুলনায় কম দামে পাবার জন্য আমদানি করে। আবার তার পণ্যের বেশি দাম পাবার জন্য রপ্তানি করে।


আরো ও সাজেশন:-

৫. বৈদেশিক সাহায্য ; যেসব দেশ গরি ও মন তাদের জন্য বৈদেশিক সাহায্য অর্থ যােগান অপরিহার্য। এই সাহায্য বা সহযােগিতা মুদ্রায় প্রদান করা হয়ে থাকে। বৈনে বিনিময়ের মাধ্যমে এই অনুদান বা সাহায্য গ্রহণ করা হয়।

৬. উৎপাদন বৃদ্ধি : এক দেশ থেকে অন্য দেশ পণ্যসামী বা দ্রব্যাদি আসা-যাওয়ার ফলে সম্পৃক্ত দেশগুলোর উৎপাদন | বৃদ্ধি পায়। ফলে পৃথিবীর দেশে দেশে উৎপাদন প্রক্রিয়া সংগঠিত | ও তৃরান্বিত হয়।

৭. ব্যয় হ্রাস : যেসব দ্রব্য বা পণ্যের দাম দেশীয় বাজারে | বেশি তার ব্যয় খরচ কমানাের জন্য পণ্যটি কম মূল্যের আমদানি করা যেতে পারে। আন্তর্জাতিক বাণিজ্য এই সুযােগ সৃষ্টি করেছে।

৮. আন্তর্জাতিক বিনিময় ; আজকাল এক দেশের লােত্রে অন্য দেশে বিনিয়ােগ করে বাণিজ্য সম্প্রসারণ ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখে। এ বিনিয়ােগ গ্রহণ বা প্রদান বৈদেশিক বাণিজ্যের মাধ্যমেই সম্পন্ন হয়ে থাকে।

৯. শিল্পের উন্নয়ন : যেসব দেশ শিল্পে অনুন্নত তার শিল্প বিকাশের প্রয়ােজনে উন্নত বিশ্বের কাছে থেকে শিল্প-সামগ্রী আহরণ করতে হয়। তাছাড়া শিল্পের চাহিদা পূরণের জন্য | কাঁচামাল আমদানির প্রয়ােজন হয়। এছাড়াও অনুন্নত দেশে শিল্প প্রসারে ধনী দেশগুলাে শিল্পপ্রতিষ্ঠায় অর্থ এবং প্রযুক্তির | যােগান দিয়ে থাকে।

১০. কৃষির উন্নয়ন : বাংলাদেশসহ পৃথিবীর সব অনুন্নত দেশগুলাের কৃষি ব্যবস্থার উন্নয়নের লক্ষ্যে কৃষিসামগ্রী, যেমনকলকজা, সার, বীজ ইত্যাদি বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয় । আন্তর্জাতিক বাণিজ্য কৃষির এই অগ্রগতির পথকে সুগম করে দেয়।

প্রশ্ন ও মতামত জানাতে পারেন আমাদের কে ইমেল : info@banglanewsexpress.com

আমরা আছি নিচের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুলোতে ও

Leave a Comment