বিষয়: চারু ও কারুকলা শ্রেণি: ৭ম ৪র্থ সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১

এ্যাসাইনমেন্ট বা নির্ধারিত কাজ:

চারু ও কারুকলা জীবন যাপনকে সুন্দর ও রুচিশীল করে এবং সমাজকে সুন্দরভাবে গড়তে সাহায্য করে- ব্যাখ্যা কর।

উত্তর:

জীবন ও সমাজে চারু ও কারুকলার প্রভাব

যে কলা বা কারুকাজ বাহ্যিক কাজে লাগে না, কিন্তু মনের তৃপ্তি পাওয়া যায়, তাকে চারুকলা বলে। অন্যদিকে যে কলা বা শিল্প প্রধানত দৈহিক ও ব্যবহারিক চাহিদা মেটানাের সঙ্গে আনন্দ দান করে, তাকে কারুকলা বলা হবে। এই দুইয়ের উদ্দেশ্য হলাে শিশুর দৈহিক, মানসিক, সামাজিক, আধ্যাত্মিক, নৈতিক, মানবিক ও নান্দনিক বিকাশ ঘটানাে এবং তাদের দেশাত্মবােধ, বিজ্ঞানসম্মত সৃজনশীলতা ও উন্নত জীবনের স্বপ্ন দর্শনে উদবুদ্ধ করা।

চারু ও কারুকলার গুরুত্ব

১. সাধারণ মানুষকে স্বাস্থ্যসেবা দিতে হবে এবং তাদেরকে বিভিন্ন রােগ থেকে নিরাময় পেতে হলে – ছবি
এঁকে পােস্টার তৈরি করে খুব সহজেই বােঝানাে যায়। যা বইপুস্তকে লেখালেখি করে বােঝানাে সহজ
নয়। কারণ দেশে লেখাপড়া জানা মানুষের সংখ্যা খুব কম।

২. সরকারের বিভিন্ন বিষয়ের প্রচার কাজে রাস্তায় হাঁটাচলা, বাস-ট্রাক চলাচলের নিয়ম-কানুন ইত্যাদির
জন্য পােস্টার ও প্রচারপত্রের জন্য শিল্পীর প্রয়ােজন হবে।

৩. সহজে চাষ করা, সেচ দেওয়া, পােকামাকড় থেকে সাবধান থাকা থেকে শুরু করে কীভাবে কৃষি ফলন
বাড়ানাে যায় তা ছবি এঁকে সাধারণ কৃষককে বােঝানাে যায়।

৪. মানচিত্র আঁকা, স্কুল-কলেজের পুস্তকের জন্য ছবি আঁকা, চিকিৎসাবিদ্যা ও কারিগরিবিদ্যার বই পুস্তকের জন্য শিল্পীর প্রয়ােজন জরুরি।

৫. সদ্য নতুন দেশে শিল্প কারখানা ধীরে ধীরে গড়ে উঠবে। এসব কারখানার উৎপাদনের পর বাজারে ও বিদেশে রপ্তানি করতে গেলে নানারকম রঙে মােড়ক তৈরি করতে হবে। নকশা ও ছবি আঁকতে হবে। ছবি এঁকে বিজ্ঞাপন করতে হবে।

সুতরাং দেশের কাজে, জনগণের প্রয়ােজনে ও কল্যাণে সমাজে চিত্রশিল্পীদের প্রয়ােজন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই শিল্পী তৈরি করার জন্য একটি কলেজ বা প্রতিষ্ঠান যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সরকারিভাবেই শুরু করতে হবে।

Leave a Comment