বাসর রাতের নামাজের নিয়ত,বাসর রাতে কি দোয়া পাঠ করতে হয়,বাসর রাতে বিড়াল মারার অর্থ কি

বাসর রাতের নামাজের নিয়ত,বাসর রাতে কি দোয়া পাঠ করতে হয়,বাসর রাতে বিড়াল মারার অর্থ কি

বাসর রাতে কি করলে বাচ্চা হয়

আপনি যদি না জেনে থাকেন বাসর রাতে কি করলে বাচ্চা হয় তাহলে আজকের এই পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়ার মাধ্যমে বিস্তারিতভাবে জেনে নিন যে কিভাবে এবং বাসর রাতে কি করলে বাচ্চা হয় বা হওয়া সম্ভব। কারণ এই বিষয়টা আপনার অত্যন্ত জরুরি যে কিভাবে বা কোন কোন প্রক্রিয়াগুলো মেইনটেইন করার মাধ্যমে বাসর রাতে পার করতে হয় অর্থাৎ যে নিয়ম কানুন গুলো মানার মাধ্যমে বাসর রাতের পর আপনি একজন বাবা হতে পারবেন সেই সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা নিয়া অত্যন্ত জরুরি। তাই চলুন যেনে নি বাসর রাতে কি করলে বাচ্চা হয় এ সম্পর্কে।

এতক্ষণ বাসর রাতে কি করলে বাচ্চা হয় এই সম্পর্কে শিরোনাম পড়ছিলেন এখন চলুন বিস্তারিতভাবে পড়ে নেয়া যাক। এখন  জানুন বাসর রাতে কি করার মাধ্যমে আপনার স্ত্রীর গর্ভে সন্তান আসে। বাসর রাতের দৈহিক সঙ্গ*মের মাধ্যমে বাচ্চা হয়ে থাকে।

আপনি যেহেতু প্রশ্ন করেছেন বাসর রাতে কি করলে বাচ্চা হয় তাহলে আপনাকে উত্তরটি দিয়ে দিচ্ছি।কিন্তু এটি যেহেতু সারা জীবনের ব্যাপার তা একটু চিন্তা ভাবনা করে ডিসিশন গ্রহণ করবেন। যে বাসর রাতেই বাচ্চা নেয়ার প্ল্যান করবেন কিছুদিন পর নিবেন এ সম্পর্কে আপনি এবং আপনার স্ত্রী অবশ্যই পরামর্শ করে মিলনে লিপ্ত হবে।

অনেক পুরুষ হয়ে আছে অনেকদিন থাকার ফলে বা ব্যাচেলার লাইফ পার করার ফলে বাসর রাতে যৌ*ন উত্তেজনা না থামতে পেরে অনেক ভুল পদক্ষেপ নিয়ে ফেলেন। কিন্তু এটি ঠিক না এর ফলে আপনাকে সারা জীবন আফসোস করতে হতে পারে। এবার জেনে নিন বাসর রাতে কি এমন করলে আপনার স্ত্রীর গর্ভে বাচ্চা জন্ম নেয়।

স্বামী স্ত্রী উভয়ের মতামতে যখন যৌ*ন মিলন হয় বা শারীরিক বা দৈহিক মিলন হয় সেই মিলনের ফলে যদি পুরুষের শুক্রানু মেয়েদের ডিম্বাণুতে প্রবেশ করে তাহলে একটি মেয়ের গর্ভে বাচ্চা জন্ম নেয়। ছেলেদের শুক্রানু মেয়েদের ডিম্বাণুতে প্রবেশ করার মাধ্যমে কিন্তু মেয়েদের গর্ভে বাচ্চা জন্ম নিয়ে থাকে। আর আপনি যদি না চান বাসর রাতে বাচ্চা নেবেন না।

এবং আপনি আপনার যৌ*ন উত্তেজনা থামাতে পারছেন না তাহলে। প্রটেকশন বা কনডম ব্যবহার করার মাধ্যমে সহ*বাস করেন তাহলে আপনার বীর্য বা শুক্রড়ানো আপনার স্ত্রীর যৌ*নাঙ্গে বা ডিম্বানুতে প্রবেশ করবে না। তার ফলে আপনার স্ত্রীর গর্ভে কোন সন্তান ও জন্ম নিবে না।

তাই আপনার চাওয়াটা যদি হয় কয়েক বছর পর বাচ্চা নেওয়ার তাহলে অবশ্যই কনডম ব্যবহার করার মাধ্যমে স্ত্রী সহ*বাস করুন। তাহলে আশা করছি জানতে পেরেছেন বাসর রাতে কি করলে বাচ্চা হয় এই সম্পর্কে।

বাসর রাতে কি করলে বাচ্চা হয় না

উপরে তথ্যটা পড়ার মাধ্যমে আশা করি জেনে গেছেন বাসর রাতে কি করলে বাচ্চা হয়। তাহলে এখন জেনে নিন বাসর রাতে কি করলে বাচ্চা হয় না এই সম্পর্কেও বিস্তারিত আলোচনা। আপনি যদি চান যে আপনার বাচ্চা বিয়ের এক থেকে দুই বছর পর হবে তাহলে বাসর রাতে শারীরিক সম্পর্ক করার পূর্বে অবশ্যই প্রটেকশন হিসেবে কনডম ব্যবহার করবেন।

কারণ কনডম ব্যবহার করার ফলে আপনার যৌ*ন ঘর্ষণের ফলে লিঙ্গ থেকে যে বীর্য নির্গত হয় সে বীর্য আপনার বউয়ের বা স্ত্রীর যৌ*নাঙ্গে প্রবেশ করবে না। আর বীর্য প্রবেশ না করার মাধ্যমে আপনার স্ত্রীর গর্ভে কোন বাচ্চা জন্ম নেয় না। আপনি হয়তো জেনে থাকবেন যখন কোন পুরুষের শুক্রানু মেয়ের ডিম্বাণুতে প্রবেশ করে তখনই একটি মেয়ের গর্ভে সন্তান জন্ম নেয়।

তাই আপনার শুক্রানুগুলোকে আটকানোর জন্য কনডম ব্যবহার করতে পারেন। তাহলে আশা করছি জেনে গেছেন বাসর রাতে কি করলে বাচ্চা হয় নাই সম্পর্কে। তাহলে এখন জেনে নিন বাসর রাতে কি কি করতে হবে এই সম্পর্কে।

বাসর রাতে কি কি করতে হবে

বাসর রাতে কি কি করতে হয় তা বিস্তারিত ভাবে জেনে নিন। বিয়ে হচ্ছে একটি নারী-পুরুষের আবদ্ধ পবিত্রময় একটি জীবন। আর এই জীবনটিকে ইসলামিক নিয়মে বা আল্লাহর বিধান অনুযায়ী সাজিয়ে নিতে পারলে অবশ্যই আপনার বিবাহিত জীবন সুখের হবে। এছাড়াও আপনি যদি প্রথম রাত টাই ইসলামের বিধান অনুযায়ী পার করতে পারেন তাহলে আপনার বিবাহিত পরবর্তী জীবনটা অনেক সুন্দর ও সুখীময় হয়ে উঠবে ইনশাআল্লাহ। 

তাই এ পোস্টটি পড়ার মাধ্যমে এখন জেনে নিন ইসলামিক নিয়মে প্রথম রাত বা বিয়ের পর বাসর রাতে কি করতে হয় এই সম্পর্কে। বাসর ঘরে প্রবেশ করার পর যদি দেখেন আপনার বউ বিছানায় বসে আছে তাহলে তাকে একটি সালাম প্রদান করবেন। এবং আপনার বউয়ের মতামত নিয়ে এবং তাকে আদেশ করবেন চলো আমরা দুই রাকাত নফল নামাজ আদায় করি। যদি আপনার বউ রাজি হয় তবেই তাকে নিয়ে দুই রাকাত নফল নামাজ আদায় করে নিবেন।

নামাজ আদায় করার পর তাই জায়নামাযে বসেই মোনাজাতের মাধ্যমে আল্লাহ তালাকে স্মরণ করবেন। এবং আপনার বিবাহিত জীবনে কি কি চাওয়া পাওয়া গুলো আছে। সেই সমস্ত চাওয়া পাওয়া গুলো আল্লাহর কাছে প্রকাশ করবেন। কারণ জায়নামাজে বসে থাকা অবস্থায় আল্লাহতালার কাছে কিছু চাইলে তিনি ফেরাজে না। আমি এরপর আপনার মোনাজাত শেষ হয়ে গেলে। 

আপনার বউয়ের মাথায় হাত রেখে নিম্নোক্ত দিয়া এই দোয়াটি পাঠ করবেন পাঠ করার পর তার মাথায় ফু দিয়ে দিবেন। কারণ নবী করীম এই দোয়াটি পাঠ করার কথা বলেছেন এমনকি এই দোয়াটি সম্পর্কে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করেছেন। এছাড়াও এ দোয়াটির গুরুত্ব অনেক। তাই অবশ্যই বাসর রাতে আপনার বউয়ের মাথায় হাত রেখে এই দেওয়াটি পাঠ করবেন। এরপর আপনার বউকে আপনার সম্পর্কে বা আপনার পরিবার সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে গল্প করুন। 

এবং আপনি স্বামী হিসেবে আপনার বউয়ের কাছে কি কি চাওয়া পাওয়া আছে সে চাওয়া পাওয়া গুলো সম্পর্কে তাকে জানিয়ে রাখুন। এবং তাকে কিছু উপদেশ মূলক কথাবার্তা বলে রাখুন। সমস্ত উপদেশমূলক কথাবার্তা শেষ করার পর বাকি অন্যান্য কাজগুলো করতে পারেন। তবে মাথায় রাখবেন বাসর রাত মিলনের রাত। 

এ রাতে আপনি আপনার বউকে যা শিক্ষা দিবেন তিনি সেটি সারাজীবন মাথায় রাখবে। কারণ মেয়েরা বাসর রাতের কথা কখনোই ভুলতে পারে না। তাই অবশ্যই প্রথম রাতে আপনার বউকে সৎ শিক্ষাগুলো দেয়ার চেষ্টা করবেন। তাহলে আশা করছি আপনি এতক্ষণে জেনে গেছেন বাসর রাতে কি কি করতে হয়।

ইসলামিক নিয়মে কিভাবে বাসর রাত করতে হয়

ইসলামিক নিয়মে বাসর ঘর করার নিয়ম হল। এ হচ্ছে একটি পবিত্র ময় নারী-পুরুষের আবদ্ধময় একটি জীবন। আর এই জীবনটিকে ইসলামিক নিয়মে বা আল্লাহর বিধান অনুযায়ী সাজিয়ে নিতে পারলে অবশ্যই আপনার বিবাহিত জীবন সুখের হবে। এছাড়াও আপনি যদি প্রথম রাত টাই ইসলামের বিধান অনুযায়ী পার করতে পারেন তাহলে আপনার বিবাহিত পরবর্তী জীবনটা অনেক সুন্দর ও সুখীময় হয়ে উঠবে ইনশাআল্লাহ। 

তাই এ পোস্টটি পড়ার মাধ্যমে এখন জেনে নিন ইসলামিক নিয়মে প্রথম রাত বা বিয়ের পর বাসর রাতে কি করতে হয় এই সম্পর্কে। বাসর ঘরে প্রবেশ করার পর যদি দেখেন আপনার বউ বিছানায় বসে আছে তাহলে তাকে একটি সালাম প্রদান করবেন। এবং আপনার বউয়ের মতামত নিয়ে এবং তাকে আদেশ করবেন চলো আমরা দুই রাকাত নফল নামাজ আদায় করি। যদি আপনার বউ রাজি হয় তবেই তাকে নিয়ে দুই রাকাত নফল নামাজ আদায় করে নিবেন। 

নামাজ আদায় করার পর তাই জায়নামাযে বসেই মোনাজাতের মাধ্যমে আল্লাহ তালাকে স্মরণ করবেন। এবং আপনার বিবাহিত জীবনে কি কি চাওয়া পাওয়া গুলো আছে। সেই সমস্ত চাওয়া পাওয়া গুলো আল্লাহর কাছে প্রকাশ করবেন। কারণ জায়নামাজে বসে থাকা অবস্থায় আল্লাহতালার কাছে কিছু চাইলে তিনি ফেরাজে না। আমি এরপর আপনার মোনাজাত শেষ হয়ে গেলে। 

আপনার বউয়ের মাথায় হাত রেখে নিম্নোক্ত দিয়া এই দোয়াটি পাঠ করবেন পাঠ করার পর তার মাথায় ফু দিয়ে দিবেন। কারণ নবী করীম এই দোয়াটি পাঠ করার কথা বলেছেন এমনকি এই দোয়াটি সম্পর্কে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করেছেন। এছাড়াও এ দোয়াটির গুরুত্ব অনেক। তাই অবশ্যই বাসর রাতে আপনার বউয়ের মাথায় হাত রেখে এই দেওয়াটি পাঠ করবেন। এরপর আপনার বউকে আপনার সম্পর্কে বা আপনার পরিবার সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে গল্প করুন। 

এবং আপনি স্বামী হিসেবে আপনার বউয়ের কাছে কি কি চাওয়া পাওয়া আছে সে চাওয়া পাওয়া গুলো সম্পর্কে তাকে জানিয়ে রাখুন। এবং তাকে কিছু উপদেশ মূলক কথাবার্তা বলে রাখুন। সমস্ত উপদেশমূলক কথাবার্তা শেষ করার পর বাকি অন্যান্য কাজগুলো করতে পারেন। তবে মাথায় রাখবেন বাসর রাত মিলনের রাত। 

এ রাতে আপনি আপনার বউকে যা শিক্ষা দিবেন তিনি সেটি সারাজীবন মাথায় রাখবে। কারণ মেয়েরা বাসর রাতের কথা কখনোই ভুলতে পারে না। তাই অবশ্যই প্রথম রাতে আপনার বউকে সৎ শিক্ষাগুলো দেয়ার চেষ্টা করবেন। তাহলে আশা করছি আপনি এতক্ষণে জেনে গেছেন ইসলামিক নিয়মে কিভাবে বাসর রাত করতে হয়।

বাসর রাতের নামাজের নিয়ত

উপরোক্ত তথ্যটাই পড়ার মাধ্যমে আশা করি জানতে পেরেছেন বাসর রাতে স্বামী স্ত্রী উভয়কেই নামাজ পড়তে হয়। কারণ বাসর রাতে স্বামী স্ত্রীর নামাজ পড়া মুস্তাহাব। আর বাসর রাতে দুই রাকাত নফল নামাজ পড়ে আল্লাহর কাছে যদি চান যে বিয়ের পরবর্তী জীবনটা সুখের ও আনন্দের হোক তাহলে আল্লাহ অবশ্যই আপনার মনের আশা পূরণ করবে। 

বাসর রাতে যে দুই রাকাত নামাজ আদায় করতে হয়। সেই নামাজটি কোন জটিল নামাজ না এমনি সাধারণ যে নফল নামাজ গুলো পড়ে থাকি সেই রকমি। নফল নামাজের যে নিয়ত করতে হয় একইভাবে বাসর রাতের নফল নামাজেও নিয়ত করতে হবে। 

তবে এই নামাজে একটি দোয়া আছে এই দোয়া সম্পর্কে আব্দুল্লাহ ইবনু মাসঊদ (রা.) বলেন, স্ত্রী স্বামীর কাছে গেলে স্বামী দাঁড়িয়ে যাবে এবং স্ত্রী তার পেছনে দাঁড়াবে। অতঃপর তারা একসঙ্গে দুই রাকাত সালাত আদায় করবে এবং বলবে: 

বাংলা অনুবাদঃ হে আল্লাহ! আপনি আমার জন্য আমার পরিবারে বরকত দিন এবং আমার ভিতরেও বরকত দিন পরিবারের জন্য। হে আল্লাহ! আপনি তাদের থেকে আমাকে রিযিক দিন আর আমার থেকে তাদেরকেও রিযিক দিন। হে আল্লাহ! আপনি আমাদের যতদিন একত্রে রাখেন কল্যাণেই একত্রে রাখুন। আর আমাদের মাঝে বিচ্ছেদ ঘটিয়ে দিলে কল্যাণের পথেই বিচ্ছেদ ঘটান।

বাসর রাতে কি দোয়া পাঠ করতে হয়

বিয়ের পর আপনি যখন বাসর রাতে প্রবেশ করবেন তখন বউয়ের মাথায় হাত রেখে অবশ্যই এই দোয়াটি পাঠ করবেন।এমনকি এই দোয়া সম্পর্কে অনেক হাদিস বর্ণিত হয়েছে তার মধ্যে একটি হাদিস হলো।

এই দোয়া পাঠ করা নিয়ে আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) বলেন, “তোমাদের কেউ যখন কোনো মহিলাকে বিয়ে করবে, সে যেন তার কপাল ধরে এবং আল্লাহ তাআলার নাম পড়ে এবং বরকতের দোয়া করে”। এছাড়াও আমাদের প্রিয় নবী আরেকটি দোয়ার কথাও বলেছেন সেই দোয়াটি হল।

اَللّهُمَّ بَارِكْ لِىْ فِىْ أَهْلِىْ وَبَارِكْ لَهُمْ فِىَّ، اَللّهُمَّ اجْمَعْ بَيْنَنَا مَا جَمَعْتَ بِخَيْرٍ و فَرِّقْ بَيْنَنَا إِذَا فَرَّقْتَ إِلَى خَيْرٍ

বাংলা উচ্চারণঃ “আল্লাহুম্মা বা-রিকলী ফী আহলী, ওয়া বা-রিক লাহুম ফিইয়্যা, আল্লাহুম্মাজমা’ বাইনানা মা জামা’তা বিখাইর, ওয়া ফাররিক বাইনানা ইযা ফাররাকতা ইলা খাইর”।

ইংরেজি উচ্চারণঃ Allahumma ba-rikli fi ahli, wa ba-rik lahum fiyyya, Allahummajma’ bainana ma jama’ta bikhair, wa farrik bainana iza farrakta ila khair

আরবীর বাংলা উচ্চারণঃ “আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকা মিন খাইরিহা ওয়া খাইরিমা ঝাবালতাহা আ’লাইহি; ওয়া আউজুবিকা মিন সাররিহা ওয়া সাররিমা ঝাবালতাহা আলাইহি”।

বাংলা অনুবাদঃ “হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে তার কল্যাণ ও যে কল্যাণের ওপর তাকে সৃষ্টি করেছেন, তা প্রার্থনা করছি। আর তার অমঙ্গল ও যে অমঙ্গলের ওপর তাকে সৃষ্টি করেছেন -তা থেকে আপনার কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করছি”।

বউয়ের মাথায় হাত রেখে এই দোয়াটি পাঠ করে ফু দেয়ার কথা বলা হয়েছে। তাই অবশ্যই আপনার বাসর রাতে আপনার বউয়ের মাথায় হাত রেখে এই দোয়াটি পাঠ করবেন। তাহলে আশা করছি জেনে গেছেন বাসর রাতে কি দোয়া পাঠ করতে হয় এই সম্পর্কে।

বাসর রাতে বিড়াল মারার অর্থ কি

উপরে যে তথ্যগুলো পড়ে আসলেন সেগুলো পড়ে আশা করি জানতে পেরেছেন বাসর রাতে কি করলে বাচ্চা হয় এবং বাসর রাতে কি কি করতে হবে এই সম্পর্কে। বিয়ের আগে বা বাসর রাতের আগে একটি কথা সবাই বলে যে বাসর রাতেই বিড়াল মারতে হবে আসলে এ কথাটার অর্থ কি অর্থটি জানানোর জন্যই আজকের এই পোস্টটি লেখা হয়েছে।

আসলে বাসর রাতে বিড়াল মারা বলতে বোঝায় স্ত্রীকে কথা দ্বারা বশ করে নেয়া। আবার বাসর রাতে বা প্রথম রাতে স্ত্রীর সাথে শারীরিক মিলন করা কে বোঝায়। প্রস্তুতির অংশ হিসেবে বরের বন্ধু-বান্ধব অথবা নানী দাদি এই সমস্ত পরামর্শ গুলো দিয়ে থাকে মজা করার জন্য। তবে একটি ভুল কথা জাস্ট এমনি মজা করার জন্য সবাই এ কথাটি বলে থাকে। তাহলে আশা করছি জেনে গেছেন বাসর রাতে বিড়াল মারার অর্থ কি সম্পর্কে।

বাসর রাত মানে কি

আপনি যদি না জেনে থাকেন বাসর রাত মানে কি তাহলে এই পোস্টটি পড়ার মাধ্যমে জেনে নিন। বাসর রাত মানে হল বিয়ের পর যে প্রথম রাত্রটি সবার জীবনে আসে তাকেই বলা হয় বাসর রাত। আর এই রাতের প্রতি সমস্ত অবিবাহিত ছেলে মেয়েদের ইন্টারেস্ট বেশি হয়। কারণ নতুন বিয়ে করার পর স্বামী স্ত্রী একই ঘরে একই বিছানায় রাত পার করবে। 

আর এই বিয়ের পর বাসর রাতে স্বামী তার স্ত্রীর সাথে কি কথা বলবে এবং স্ত্রী স্বামীর সাথে কি কথা বলবে এই নিয়ে অনেক প্রশ্ন মাথার মধ্যে চলে আসে। এমনকি এটাও মাথায় প্রশ্ন চলে আসে যে এ রাতকে সবাই কেন এত শ্রেষ্ঠ রাত বলে থাকে। এ রাত্রি হল আপনার বিবাহিত বউ এর সাথে বোঝাপড়ার একটি রাত। যে রাতে আপনি তাকে যেটি বোঝাবেন সে সেটি বুঝবে। 

বাসর রাতে আপনার বউকে যা যা উপদেশমূলক কথা বলবেন সে সমস্ত কথাগুলো অক্ষরে অক্ষরে পালন করবে। কারণ মেয়েরা বাসর রাতের কথা ভুলতে পারে না। তাহলে আশা করছি এতোটুকু পড়ার মাধ্যমে জেনে গেছেন বাসর রাত মানে কি। এমনকি উপরোক্ত তথ্যগুলো পড়ার মাধ্যমে জেনে গেছেন বাসর রাতে কি করলে বাচ্চা হয় এ সম্পর্কেও।

বাসর রাতের নিয়ম কানুন

আপনি যদি না জেনে থাকেন বাসর রাতে নিয়মকানুন গুলো তাহলে এই পোস্টটি পড়ার মাধ্যমে বিস্তারিতভাবে জেনে নিন। কারণ এই পোস্টটি পড়লেই আপনি জানতে পারবেন বাসর রাতের নিয়ম কানুন গুলো কি। পোস্টটি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়ার মাধ্যমে জেনে এসেছেন বাসর রাতে কি কি করতে হবে এবং ইসলামিক ভাবে বাসর রাত করার নিয়ম সম্পর্কে। 

এই নিয়ম কানুন গুলো ফলো করার মাধ্যমে বিয়ের পরের প্রথম রাত্রটি পার করতে হয়। তবে আপনি একজন মুসলমান হিসেবে ইসলামিক নিয়মে বাসর রাত পালন করাটাই আপনার জন্য শ্রেয়। কারণ বাসর রাত একটি পবিত্র ময় রাত আর এই রাতে আল্লাহর কালাম পড়ে বা আল্লাহর ইবাদত দিয়েই শুরু করা উত্তম। তাহলে বিয়ের পরবর্তী জীবনটা রহমত ও বরকতময় হয়ে যাবে।

বাসর রাতে বউকে কি উপহার দেওয়া যায়

আপনি হয়তো জেনে থাকবেন মেয়েরা সবচেয়ে বেশি খুশি গিফট অথবা উপহার পেলে। আর আপনি যদি চান প্রথম রাতেই আপনার বউয়ের মন জয় করবেন। তাহলে অবশ্যই বাসর রাতে তাকে স্পেশাল কিছু গিফট করবেন বা উপহার দিবেন। মেয়েরা সব চেয়ে পছন্দ করে বেশি ফুল আর অলংকার। তাই আপনি আপনার বউকে খুশি করার জন্য গোলাপ ফুল আর সোনার বা রূপার আন্টি, মালা, পায়েল ইত্যাদি উপহার করতে পারেন।

তাহলে প্রথম রাতেই আপনার বউ আপনার উপর অনেক খুশি হয়ে যাবে। অথবা আপনার বউ যদি দ্বীনদার হয় নামাজী হয় তাহলে সুন্দর একটি জায়নামাজ এবং কোরআন মাজীদ উপহার দিন। আপনার বউ যদি কোরআন পড়তে পারে এবং পাঁচ ওয়াক্ত নামাজী ওয়ালি হয়। তাহলে অবশ্যই এই গিফট বা উপহার পেয়ে আপনার প্রতি অনেক অনেক বেশি খুশি হবে। 

তাহলে আশা করছি বাসর রাতে আপনার বউকে কি গিফট বা উপহার দিবেন তা বুঝতে পেরেছেন। এর সাথে সাথে উপরোক্ত সমস্ত তথ্য মনোযোগ সহকারে পড়ার মাধ্যমে জানতে পেরেছেন যে বাসর রাতে কি করলে বাচ্চা হয় এবং বাসর রাতে কি কি করতে হবে এ সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা।

বাসর রাতে দীর্ঘ সময় সহ*বাস করার ওষুধের নাম

অনেকেই অনেক রকম ভাবে শারীরিক অক্ষমতার কারণে দীর্ঘ সময় ধরে তার স্ত্রীর সাথে সহ*বাস করতে পারে না। আর তাদের জন্যই আজকের এই আর্টিকেলটি লেখা হয়েছে তাদের জানানো হবে কিভাবে বা কোন ট্যাবলেট খেলে দীর্ঘ সময় ধরে তার স্ত্রীর সাথে মিলন ঘটাতে পারবে। আপনি যদি দীর্ঘ সময় ধরে আপনার স্ত্রীর সাথে শারীরিক সম্পর্ক বা সহ*বাস না করতে পারেন তাহলে আপনার স্ত্রী আপনার ওপর সন্তুষ্ট হবে না। 

স্ত্রীরা শুধু ভালো মন্দ খেতে ভালো মন্দ পড়তে চাই না তারা একটু শারীরিক সুখও চাই কিন্তু আপনি যদি সেই সুখটাও না দিতে পারেন তাহলে আপনার স্ত্রী আপনার উপর মনোবিগ্ন হয়ে আপনাকে ছেড়ে চলেও যেতে পারে। এখনকার সময়ে স্বামী তার স্ত্রীকে সন্তুষ্ট না করতে পারার কারণে অনেক সময় দেখা যায় স্ত্রীরা পরকীয়া করে বেড়ায় আর এই পরকিয়ার কারণেই এখনকার সময়ে ডিভোর্স এর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। 

ভাই আপনি যদি শারীরিকভাবে অক্ষমতা হয়ে থাকেন এবং আপনার স্ত্রীকে দীর্ঘ সময় ধরে শারীরিক সুখ না দিতে পারেন তাহলে এই ট্যাবলেটটি খাওয়ার মাধ্যমে আপনি আপনার শরীরে উত্তেজনা অনুভব করবেন এবং দীর্ঘ সময় ধরে আপনার স্ত্রীর সাথে সহ*বাসে লিপ্ত হয়ে থাকতে পারবেন। তাহলে চলুন জেনে নি কোন ট্যাবলেটটি খাওয়ার মাধ্যমে দীর্ঘ সময় ধরে স্ত্রীর সাথে সহ*বাস করা যায়। দীর্ঘ হোক সময় ধরে সহ*বাস করার ট্যাবলেট এর নাম হলো। 

ম্যানফোর্স‌ ২৫ এম জি ট্যাবলেট। এমনকি এই ট্যাবলেটটির পরিবর্তে আরো বিভিন্ন কোম্পানি বিভিন্ন রকমের ট্যাবলেট তৈরি করেছে যে ট্যাবলেট গুলোতে খাওয়ার মাধ্যমে আপনি আপনার স্ত্রীর সাথে দীর্ঘ সময় ধরে সহ*বাসে লিপ্ত হয়ে থাকতে পারবে। সেনা ট্যাবলেট গুলোর নাম দেখে নিন।

  • পেনেগ্রা এক্সপ্রেস ২৫ এম জি (Penegra Xpress 25 MG) 
  • ক্যাভেট্রা‌ ২৫ এম জি ট্যাবলেট (Caverta 25 MG Tablet)
  • সিল্না‌ফিল ২৫ এম জি ট্যাবলেট (Silnafil 25 MG Tablet) 
  • সুহাগ্রা ২৫ এম জি ট্যাবলেট (Suhagra 25 MG Tablet)

উপরোক্ত যে ট্যাবলেট গুলোর নাম দেয়া আছে সেই ট্যাবলেট গুলো সেবন করার পূর্বে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে সেবন করবেন কারণ আপনি যে কারণে সেবন করছেন সেই কারণে সেবন করার জন্য অবশ্যই একটি মাত্রা বা নির্দিষ্ট সময় বিধি-নিষেধ মেনে আপনাকে ট্যাবলেট গুলো গ্রহণ করতে হবে। নচেৎ আপনি যদি ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী গ্রহণ না করেন এবং নির্দিষ্ট পরিমাণ মতো না খান তাহলে আপনার উপকারের চেয়ে উপকার বেশি হবে। 

তাই অবশ্যই চেষ্টা করবেন ওষুধগুলো সেবন করার পূর্বে যে কোন একটি ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী অথবা যৌ*ন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী এ ধরনের ট্যাবলেট গুলো খাওয়ার। তবে আপনার জেনে রাখা অত্যন্ত জরুরি এ ধরনের ট্যাবলেট খাওয়ার মাধ্যমে আপনার শরীরে বিভিন্ন ধরনের ক্ষতি হতে পারে তাই এই ট্যাবলেট গুলো খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন।

পরিশেষে : বাসর রাতের নামাজের নিয়ত,বাসর রাতে কি দোয়া পাঠ করতে হয়,বাসর রাতে বিড়াল মারার অর্থ কি

আপনার জন্য স্বাস্থ্য বিষয়ক আরো কিছু পোস্ট

স্বাস্থ্য উদ্ভিদ ও প্রাণী ঔষধি গুন গোপন সমস্যা রূপচর্চা রোগ প্রতিরোধ

Leave a Comment