বাংলা ১ম ও ২য় পত্র সাজেশন ৪১তম BCS/ বিসিএসের লিখিত ২০২১, বিসিএস প্রস্তুতি বাংলা ১ম ও ২য় পত্র – BCS Question Bank and Solution, ফাইনাল মডেল ৪১তম BCS লিখিত বাংলা ১ম ও ২য় পত্র সাবজেক্ট

আগামী ২৯ নভেম্বর থেকে ৪১তম বিসিএস লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এবার ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, সিলেট, রংপুর ও ময়মনসিংহে একই সময়ে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। তাহলে চলুন জেনে নেই এবারের লিখত পরীক্ষার সময়সূচি-

১। ২৯ নভেম্বর, সোমবার অনুষ্ঠিত হবে ‘ইংরেজি’ বিষয়ের পরীক্ষা। পরীক্ষা হবে ৪ ঘণ্টার। পরীক্ষায় নম্বর থাকবে ২০০।

২। ৩০ নভেম্বর, মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত হবে ‘বাংলাদেশ বিষয়াবলী’। এ পরীক্ষার জন্যও থাকছে ৪ ঘণ্টা সময়। পরীক্ষায় নম্বর থাকবে ২০০।

৩। ১ ডিসেম্বর, বুধবার অনুষ্ঠিত হবে আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী পরীক্ষা। এ পরীক্ষার জন্য সময় থাকবে ৩ ঘণ্টা। পরীক্ষায় নম্বর থাকবে ১০০।

৪। ২ ডিসেম্বর, বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত হবে সাধারণ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি পরীক্ষা। এ পরীক্ষার জন্য থাকবে ৩ ঘণ্টা সময়। নম্বর ১০০।

৫। ৪ ডিসেম্বর, শনিবার থাকছে বাংলা ১ম ও ২য় পত্র পরীক্ষা। এ পরীক্ষার জন্য সময় ৪ ঘণ্টা। নম্বর থাকছে ২০০।

৬। ৬ ডিসেম্বর, সোমবার অনুষ্ঠিত হবে গাণিতিক যুক্তি। পরীক্ষার সময় ২ ঘণ্টা। নম্বর ৫০।

৭। ৭ ডিসেম্বর, মঙ্গলবার মানসিক দক্ষতা পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। পরীক্ষার সময় ১ ঘণ্টা। নম্বর থাকবে ৫০।

এছাড়াও বাংলাদেশ কর্ম কমিশন প্রার্থীদের জন্য দিক নির্দেশনা দিয়েছে। 

এতে বলা হয়েছে, পরীক্ষাকেন্দ্রে বই, সব রকম ঘড়ি, মুঠোফোন, ক্যালকুলেটর, সব ধরনের ইলেকট্রনিক ডিভাইস, ব্যাংক বা ক্রেডিট কার্ড সদৃশ কোনো ডিভাইস, গয়না, ব্রেসলেট ও ব্যাগ আনা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। নিষিদ্ধ সামগ্রীসহ কোনো পরীক্ষার্থী পরীক্ষার হলে ঢুকতে পারবেন না।

পরীক্ষার হলের গেটে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশের উপস্থিতিতে প্রবেশপত্র ও মেটাল ডিটেক্টরের সাহায্যে মুঠোফোন, ঘড়ি, ইলেকট্রনিক ডিভাইসসহ নিষিদ্ধ সামগ্রী তল্লাশির মধ্য দিয়ে পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষার হলে ঢুকতে হবে।

পরীক্ষার দিন উল্লিখিত নিষিদ্ধ সামগ্রী সঙ্গে না আনার জন্য সব পরীক্ষার্থীর মুঠোফোনে এসএমএস পাঠানো হবে। এসএমএসের নির্দেশনা অনুসরণ করতে হবে।

পরীক্ষার সময় পরীক্ষার্থীরা কানের ওপর কোনো আবরণ রাখবেন না, কান খোলা রাখতে হবে। কানে কোনো ধরনের শ্রবণযন্ত্র ব্যবহারের প্রয়োজন হলে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শপত্রসহ আগেই কমিশনের অনুমোদন নিতে হবে।

প্রস্তুতি প্রস্তুতি ভাব, প্রস্তুতির অভাব নিয়েও বুঝে হোক, না-বুঝে হোক, লিখলেই রিটেনে পাস করে ফেলবেন, কিন্তু চাকরিটা না-ও হতে পারে।
কীভাবে লিখলে ভালো হয়, আর সে জন্য এ কদিনে যা যা করতে পারেন:

১) পরীক্ষা নিয়ে টেনশন হওয়াটা একটা সাধারণ বিষয় এবং না-পড়ার অজুহাতও হয়তো। তাই ওই মুহূর্তে আপনার পছন্দের বিষয়টি পড়ুন।

২) কোচিংয়ে যাওয়া, অপ্রয়োজনে বের হওয়া বাদ দিন। বাসায় পড়ার পেছনে সময় দিন, প্রতিদিন অন্তত ১৪-১৬ ঘণ্টা।

৩) ফেসবুকে আত্মপ্রেমকে ছুটি দিয়ে দিন।

৪) কে কী পড়ল, ভুলেও খবর নেবেন না। যাঁদের প্রস্তুতি আপনার চেয়ে ভালো, তাঁদের ক্ষমা করে দিন।

৫) সব প্রশ্ন পড়ার সহজাত লোভ সামলান।

৬) যাঁরা চাকরি করেন, তাঁরা এ মাসের জন্য হয় চাকরি অথবা ঘুমটুম বাদ দিন।

৭) মোবাইল ফোন যত সম্ভব অফ রাখুন। ল্যাপটপ থেকেও দূরে থাকুন।

৮) কিছু একটা পড়ছেন, পড়তে পড়তে ক্লান্ত! ভালো লাগে, এমন কিছু পড়ুন, ক্লান্তি কেটে যাবে। রাতে ঘুম কাটাতে ম্যাথস, গ্রামার, ট্রান্সলেশন, মেন্টাল অ্যাবিলিটি প্র্যাকটিস করুন।


৯) রাত দুইটার আগে ঘুমাবেন না, সকাল ছয়টার পরে উঠবেন না। চার ঘণ্টা ঘুম, ব্যস!

১০) বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি পড়বেন কম। বাকি চারটা বেশি বেশি পড়ুন।

১১) কোনো টপিক একেবারেই না পড়ে গেলে পরীক্ষায় বানিয়ে লেখাটাও সহজ হবে না। সবকিছু একবার হলেও ‘টাচ করে’ যান।

১২) রেফারেন্স বই পড়ার সময় নেই। কয়েকটি ডাইজেস্ট কিনে ফেলুন।

১৩) অন্য কারও নয়, সাজেশন তৈরি করুন নিজে।

১৪) প্রশ্ন কমন পেতে নয়, অন্তত বানিয়ে লেখার জন্য ধারণা পেতে প্রস্তুতি নিন।

১৫) প্রশ্নের গুরুত্ব ও নম্বরের ভিত্তিতে সময় বণ্টন আগেই ঠিক করে নিন।

১৬) ইচ্ছে মতো দাগিয়ে দাগিয়ে, লিখে লিখে বই পড়ুন। রিভাইজের সময় কাজে লাগবে।

১৭) ০.৫ মার্কসও ছেড়ে আসা যাবে না। যে করেই হোক, ‘ফুল অ্যানসার’ করে আসতে হবে। গড়ে প্রতি তিন-পাঁচ মিনিটে এক পৃষ্ঠা। অনেক বেশি দ্রুত লেখার চেষ্টা করুন।


১৮) প্রতি পেজে অবশ্যই অন্তত একটা প্রাসঙ্গিক চিহ্নিত চিত্র, ম্যাপ, উদ্ধৃতি, ডেটা, টেবিল, চার্ট কিংবা রেফারেন্স দিন।
১৯) সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন, টীকা, শর্ট নোট, সারাংশ, সারমর্ম, ভাবসম্প্রসারণ, অনুবাদ, ব্যাকরণ ইত্যাদি ভালোভাবে পড়ুন, নোট করে পড়ার প্রশ্নই ওঠে না!

২০) যত কষ্টই হোক, অবশ্যই বিভিন্ন দৈনিক পত্রিকার সম্পাদকীয়কে নিয়মিত অনুবাদ করুন।

২১) বিভিন্ন লেখকের রচনা, পত্রিকার কলাম ও সম্পাদকীয়, ইন্টারনেট, বিভিন্ন সংস্থার অফিশিয়াল ওয়েবসাইট, সংবিধানের সংশ্লিষ্ট ধারা ও ব্যাখ্যা, উইকিপিডিয়া, বাংলাপিডিয়া, ন্যাশনাল ওয়েব পোর্টাল, কিছু আন্তর্জাতিক পত্রিকা, বিভিন্ন রেফারেন্স থেকে নীল কালিতে উদ্ধৃতি দিলে মার্কস বাড়বে


২২) প্রশ্ন নির্বাচনের ক্ষেত্রে ১৫ মার্কসের একটি প্রশ্ন উত্তর করার চেয়ে ৪+৩+৩+৫=১৫ মার্কসের চারটি প্রশ্নের উত্তর করা ভালো।

২৩) বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে লেখেন, এ রকম ২৫-৩০ জনের নাম এবং তাঁদের ‘এরিয়া অব ইন্টারেস্ট’ ডায়েরিতে লিখে রাখুন। উদ্ধৃতি দেওয়ার সময় কাজে লাগবে।

২৪) যা অন্যরা পারে না কিংবা কম পারে, কিন্তু পারা দরকার, তা ভালো করে দেখুন।

২৫) পেপার থেকে বিভিন্ন পর্যালোচনা, নিজস্ব বিশ্লেষণ, সমসাময়িক প্রেক্ষাপটে সেটির প্রাসঙ্গিকতা ইত্যাদির সাহায্যে লিখলে আপনার খাতাটি আলাদা করে পরীক্ষকের চোখে পড়বে।


২৬) বেশি বেশি পয়েন্ট দিয়ে প্যারা করে করে লিখবেন। প্রথম আর শেষ প্যারাটি সবচেয়ে আকর্ষণীয় হওয়া চাই।

২৭) বিভিন্ন কলামিস্টের দৃষ্টিকোণ থেকে কোনো ইস্যুকে ব্যাখ্যা করে উত্তরের শেষের দিকে আপনার নিজের মতো করে নিজের বিশ্লেষণ দিয়ে উপসংহার টানুন। কোনো মন্তব্য কিংবা নিজস্ব মতামত থাকলে (এবং না থাকলেও) লিখুন।

২৮) গ্রন্থ-সমালোচনার জন্য কমপক্ষে ৩০টি সুপরিচিত বাংলা বই সম্পর্কে জেনে নিন।

২৯) স্পেলিং আর গ্রামাটিক্যাল মিসটেক না করে একেবারে সহজ ভাষায় লিখলেও ইংরেজিতে বেশি মার্কস আসবে।

৩০) শর্টকাটে ম্যাথস করবেন না, প্রতিটি স্টেপ বিস্তারিতভাবে দেখাবেন।

৩১) সাধারণ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির জন্য আগের বছরের আর ডাইজেস্টের সাজেশনসের প্রশ্নগুলো ভালোভাবে পড়ে ফেলুন।

৩২) ডাইজেস্টের পাশাপাশি তিন-চারটি আইকিউ টেস্টের বই আর ইন্টারনেটে মানসিক দক্ষতার প্রশ্ন সমাধান করুন।

৩৩) পুরো সংবিধান মুখস্থ না করে যেসব ধারা থেকে বেশি প্রশ্ন আসে, সেগুলোর ব্যাখ্যা খুব ভালোভাবে বুঝে বুঝে পড়ুন। ধারাগুলো হুবহু উদ্ধৃত করতে হয় না।

৩৪) আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি টপিকগুলো গুগলে সার্চ করে করে পড়তে পারেন। যে ইস্যু কিংবা সমস্যার কথা লিখবেন, সেটিকে বিশ্লেষণ করে নানা দিক বিবেচনায় সেটার সমাধান কী হতে পারে, আন্তর্জাতিক বিশ্লেষক এবং আপনার নিজের মতামত ইত্যাদি পয়েন্ট আকারে লিখুন।

৩৫) শতভাগ প্রস্তুতি নিয়ে কারও পক্ষেই লিখিত পরীক্ষা দেওয়া সম্ভব নয়। শতভাগ শিখেছি ভেবে তার ৬০ ভাগ ভুলে গিয়ে বাকি ৪০ ভাগকে ঠিকমতো কাজে লাগানোই আর্ট৷

কঠোর পরিশ্রম করুন, প্রস্তুতি নিতে না পারার পক্ষে অজুহাত দেখিয়ে কোনোই লাভ নেই। আপনি সফল হলে আপনাকে অজুহাত দেখাতে হবে না, আর আপনি ব্যর্থ হলে আপনার অজুহাত কেউ শুনবেই না। গুড লাক!

বাংলা ১ম ও ২য় পত্র সাজেশন

বিষয় কোড: ০০১
পত্রঃ প্রথম
নির্ধারিত সময়ঃ ৩ ঘন্টা
পূর্ণমানঃ ১০০
[দ্রষ্টব্য: প্রত্যেক প্রশ্নের মান প্রশ্নের শেষ প্রান্তে দেখানো হয়েছে।]

১। ক) বানান, শব্দ প্রয়োগ ও বিন্যাস, ভাষারীতি ইত্যদি শুদ্ধ করে নিচের বাক্যগুলো পুনরায় লিখুন: ০.৫x১২ = ৬১) দৈন্যতা প্রশংসনীয় নয়।
২) ছাত্রীগণের মধ্যে অনুপস্থিতের সংখ্যা কম।
৩) এমন অসহ্যনীয় ব্যাথা আমি আর কখনও অনুভব করি নাই।
৪) আকণ্ঠ পর্যন্ত ভোজনে স্বাস্থ্যহানি ঘটে।
৫) আবশ্যকীয় ব্যায়ে কার্পণ্যতা অনুচিত।
৬) তাহার বৈমাত্রেয় সহোদর অসুস্থ।
৭) সমুদয় সভ্যগণ আসিয়াছেন।
৮) পাতায় পাতায় পরে নিশির শিশির।
৯) ঝন্ঝা শেষ হইতে না হতে কুঝঝটি অনঢলটি ছাইয়া ফেললো।
১০) পৈত্রিক সম্পত্তির মাধ্যমে ভদ্রস্থতা রক্ষা হয়, মহদুপকারও হয়।
১১) সকলে একত্রিত হয়ে ধুমপান পরিত্যয্য ঘোষনা করিলেন।
১২) অনুবাদিত কবিতাটি পড়ে সে উচ্ছাসে উচ্ছল হয়ে উঠল।

খ। শূন্যস্থান পূরণ করুনঃ ৬
আজকের দুনিয়াটা আর্শ্যভাবে অর্থের না …… উপর নির্ভরশীল। লাভ ও লোভের দুর্নিবার গতি কেবল—যাবার নেশায় লক্ষ্যহীন প্রচন্ড—শুধুই আত্মাবিনাশের পথে এগিয়ে চলেছে; মানুষ যদি এই মূড়তাকে – না করতে পারে, তবে— কথাটাই হয়তো লোপ পেয়ে যাবে। মানুষের জীবন আজ এমন এক– এসে ৗেছেছে, যেখান থেকে আর হয়তো—উপায় নেই; এবার উঠবার সিঁড়িটা না খুঁজলেই নয়।

গ। ছয়টি পূর্ণবাক্যে নিচের প্রবাদটির নিহিতার্থ প্রকাশ করুনঃ- ৬
যে কহে বিস্তর মিছা, যে কহে বিস্তর।

ঘ। নিচের শব্দগুলো দিয়ে পূর্ণবাক্য রচনা করুনঃ ৬
অম্বয়, কমা, আনুনাসিক, ছাঁচ, টোকা, সারসংক্ষেপ।

ঙ। নির্দেশানুযায়ী বাক্যগুলো রূপান্তর করুনঃ ৬১) ধনীরা প্রায়ই কুপণ হয়। (জটিরল বাক্য)।
২) মিথ্যা বলার জন্র তোমার পাপ হবে। (যৌগিক বাক্য)।
৩) যিনি পরের উপকার করেন, তাঁকে সবাই শ্রদ্ধা করে। (সরল বাক্য)
৪) সবাই অধীনতার বন্ধন ছিন্ন করতে চায়। (প্রশ্নাত্মক বাক্য)
৫) আরও কথা আছে। (নেতিবাচক বাক্য)।
৬) তাঁর আদর্শ বিষ্মরণযোগ্য নয। (অস্তিবাচক বাক্য)।

২। যে কোনো একটি প্রবাদের ভাব-সম্প্রসারণ করুন (অনধিক ২০টি বাক্যে): ২০ক) জন্ম হোক যথা তথা কর্ম হোক ভাল।
খ) জ্ঞানহীন মানুষ পশুর সমান।

৩। সারমর্ম লিখুনঃ ১০x২ = ২০
ক)

সবার আগে Google News আপডেট পেতে Follower ক্লিক করুন

সবারে বাসিব ভাল, করিব না আত্মপর ভেদ
সংসারে গড়িব এক নতুন সমাজ।
মানুষের সাথে কভু মানুষের রবে না বিচ্ছেদ-
সর্বত্র মৈত্রীর ভাব করিবে বিরাজ।
দেশে দেশে যুগে যুগে কত যুদ্ধ কত না সংঘাত।
মানুষে মানুষে হল কত হানাহানি।
এবার মোদের পূন্যে সমুদিবে প্রেমের প্রভাত
সোল্লাসে গাহিবে সবে সৌহার্দের বাণী।

খ।

বিশ্বের যা কিছু মহান সৃষ্টি চির-কল্যাণকর।
অর্ধেক তার করিয়াছে নারী, অর্ধেক তার নর।
বিশ্বে যা কিছু এল পাপ-তাপ বেদনা অশ্র“বারি
অর্ধেক তার আনিয়াছে নর, অর্ধেক তার নারী।
নরককুন্ড বলিয়া কে তোমা করে নারী হেয়-জ্ঞান?
তারে বল, আদি-পাপ নারী নহে, সে যে নর-শয়তান।

অথবা,

পাপ যে, শয়তান যে .. নর নাহে নারী নহে,
ক্লীব সে, তার সে নর ও নারীতে সমান মিশিয়া রহে।
এ বিশ্বে যত ফুটিয়াছে ফুল, ফলিয়াছে যত ফল,
নারী দিল তাহে রূপ, রস-মধু-গন্ধ সুনির্মল।

৪। অতি সংক্ষেপে নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর লিখুনঃ ২x১৫ = ৩০ক) ‘সান্ধ্য ভাষা’ কী? এ ভাষায় কোন সাহিত্য রচিত হয়েছে, সংক্ষেপে লিখুন।
খ) বিখ্যাত চারজন বৈষ্নব পদকর্তার সংক্ষিপ্ত পরিচয় দিন।
গ) আলাওলকে পন্ডিত কবি’ বলা হয় কেন?
ঘ) ‘লায়লী মজনু’ কাব্যের প্রেমের স্বরুপ আলোচনা করুন।
ঙ) ‘মেঘনাদবধ’ কাব্যের সর্গ সংখ্যা কত এবং কী কী ?
চ) সংক্ষেপে কপালকুন্ডলা চরিত্রের স্বরুপ নির্ণয় করুন।
ছ) ‘গৃহদাহ’ উপন্যাসে সুরেশ চরিত্রটি সংক্ষেপে আলোচনা করুন।
জ) ‘সধবার একাদশী’ কি সার্থক প্রহসন? আলোচনা করুন।
ঝ) লোকসাহিত্য বলতে কী বুঝেন? এর প্রধান শাখা কী কী ?
ঞ) ‘পাখির কাছে ফুলের কাছে’ কার রচনা? তাঁর রচিত তিনটি কাব্যের নাম লিখুন।
ট) কবি কায়কোবাদের প্রকৃত নম কী? তাঁর লেখা ‘অশ্রমালা’ কাব্যের কাহিনী সংক্ষেপে লিপিবদ্ধ করুন।
ঠ) গ্রিক ট্রাজেডি ‘ইডিপাস’ বাংলায় অনুবাদ করেন কে ? তাঁর রচিত তিনটি কাব্যের নাম লিখুন।
ড) সৈয়দ মুজতবা আলীর চারটি গ্রন্থের নাম লিখুন।
ঢ) ‘নারী জাগরণের অগ্রদূত’ বেগম রোকেয়ার ‘সুলতানার স্বপ্ন’ রচনাটির কাহিনী সংক্ষেপে বিবৃত করুন।
ণ) মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক একটি উপন্যাস সম্বন্ধে সংক্ষেপে বর্ণনা করুন।

সাজেশন সম্পর্কে প্রশ্ন ও মতামত জানাতে পারেন আমাদের কে Google News <>YouTube : Like Page ইমেল : assignment@banglanewsexpress.com

বিষয় কোড: ০০২
পত্রঃ দ্বিতীয়
নির্ধারিত সময়ঃ ৩ ঘন্টা
পূর্ণমানঃ ১০০
[দ্রষ্টব্য: প্রত্যেক প্রশ্নের মান প্রশ্নের শেষ প্রান্তে দেখানো হয়েছে।]

১। যে কোন একটি বিষয়ে রচনা লিখুন:ক) মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পটভূমিতে গণতান্ত্রিক সমাজ;
খ) দুর্নীতিমুক্ত সমাজ গঠনে সমাজশক্তির ভূমিকা।
গ) বাংলাদেশে পাট শিল্পের ভবিষ্যৎ
ঘ) বাঙালিদের বুদ্ধির মুক্তি আন্দালন ও বাংলা সাহিত্য;
ঙ) বাংলাদেশে ফোকলোর চর্চা।

২। বন্ধনীর মধ্যে উল্লিখিত সংকেতের ইঙ্গিতে একটি প্রবন্ধ লিখুন;ক) পরিবেশ আন্দোলন:(পরিবেশের সংজ্ঞা, পরিবেশ আন্দোলনের সুচনা, পরিবেশ আন্দোলনের কারণসমূহ বিশ্ব পরিবেশ সচেতনতা, পরিবেশ আন্দোলনে বাংলাদেশের ভূমিকা, পরিবেশ আন্দোলনে বিশ্ব সমাজের করণীয়, পরিবেশ আন্দোলনে সরকারি-বেসরকারি সহযোগিতা, উপসংহার।

খ) নারীর ক্ষমতাযন:(সূচনা, বিশ্ব প্রেক্ষাপট, বাংলাদেশ প্রেক্ষাপট, প্রশাসনিক পর্যায়ে নারীর অবস্থান, নারীর ক্ষমতায়ন প্রক্রিয়া ও বাস্তব প্রেক্ষাপট, নারীর ক্ষমতায়নে প্রতিবন্ধকতা, নারীর ক্ষমতায়নে সরকারের গৃহীত পদক্ষেপ, উপসংহার।

গ) নিয়মাবর্তিতা ও শৃঙ্খলাবোধ:(ভূমিকা, নিয়মানুবর্তিতার প্রয়োজনীয়তা, সমাজ ও জাতীয় জীবনে নিয়মানুবর্তিতা, নিয়মানুশীলনের প্রস্তুতিকাল, নিয়মানুবর্তিতা ব্যক্তি স্বাধীনতার অন্তরায় নয়, নিয়মানুবর্তিতা ভঙ্গের পরিণতি, নিয়মানুবর্তিতার ফলাফল, উপসংহার।)

৩। যে কেন একটি বিষয়ে রচনা লিখুন:ক) বিদ্যালয়ে মহাবিদ্যালয়ের পাঠ্যপুস্তকে ইতিহাস বিকৃতিগত ত্র“টি সংশোধন ও সঠিক ইতিহাস সংরকষণে কতিপয় কার্যকর প্রস্তাব জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বরাবর একটি স্মারকলিপি রচনা করুন।
খ) আপনার অঞ্চলেরকৃষকদের কৃষিপণ্যের ন্যায়সঙ্গত মূল্য প্রাপ্তি নিশ্চিত করতে একটি কমিউনিটি খাদ্য গুদাম নির্মাণ প্রয়োজন’ মর্মে জাতীয় দৈনিকে প্রকাশের জন্য একটি পত্র লিখুন।
গ) মহল্লার পাশে শিশুদের খেলার মাঠে ইদানিং মাদকাসক্তদের আনাগোনা বেড়ে যাওয়ার উদ্বেগ প্রকাশ করে, পৌর মেয়রকে পত্র লিখুন।

সবার আগে Google News আপডেট পেতে Follower ক্লিক করুন

কোড নামঃ বৈশাখ
বিষয় কোড: ০০১
পত্রঃ প্রথম
নির্ধারিত সময়ঃ ৩ ঘন্টা
পূর্ণমানঃ ১০০
[দ্রষ্টব্য: প্রত্যেক প্রশ্নের মান প্রশ্নের শেষ প্রান্তে দেখানো হয়েছে।]

১।(ক) বানান, শব্দ প্রয়োগ ও বিন্যাস, ভাষারীতি ইত্যাদি শুদ্ধ করে নিচের বাক্যগুলো পুনরায় লিখুনঃ(১) এসব লোকগুলোকে আমি চিনি।
(২) তুমি আমার কাছে আরও প্রিয়তর।
(৩) শুধুমাত্র গায়ের জোরে কাজ হয় না।
(৪) তিনি নিরহঙ্কারী ও নিরপরাধী মানুষ।
(৫) সে গাছ হইতে অবতরণ করিল।
(৬) অচিরেই বাংলাদেশ একটি সমৃদ্ধশালী দেশে পরিণত হবে।
(৭) আসছে আগামীকাল কলেজ বন্ধ থাকবে।
(৮) তার দারিদ্র্যতায় কষ্ট পেয়েছি আর সৌজন্যতায় মুগ্ধ হয়েছি।
(৯) আমি অপমান হয়েছি।
(১০) ইতোমধ্যে
(১১) নিরপরাধী লোক কাকেও ভয় করে না।
(১২) অপরাহ্ন লিখতে অনেকেই ভুল করে।

(খ) শূন্যস্থান পূরণ করুনঃ-
বিদ্যা মানুষের মূল্যবান…………, সে বিষয়ে সন্দেহ নাই। কিন্তু………….তদপেক্ষাও মূল্যবান। অতএব, কেবল বিদ্বান বলিয়াই কোন লোক………….. লাভেরযোগ্য বলিয়া বিবেচিত হইতে পারে না। চরিত্রহীন লোক যদি নানা…………..আপনার………পূর্ণ করিয়াও থাকে, তথাপি তাহার………….পরিত্যাগ করাই শ্রেয়।

(গ) ছয়টি পূর্ণ বাক্যে নিচের প্রবাদটির নিহিতার্থ প্রকাশ করুনঃ-
পুষ্প আপনার জন্য কোটে না।

(ঘ) নিচের শ্বদগুলো দিয়ে পূর্ণবাক্য রচনা করুনঃ-
সান্ত্বনা, ঊর্দ্ব, ধিক্কৃত, আশস, অচিন্ত্য, কটূক্তি।

(ঙ) নির্দেশানুযায়ী বাক্যগুলো রূপান্তর করুনঃ-(১) শিক্ষক আমাকে উপদেশ দিলেন এবং বিদায় করলেন। (সরল বাক্য)
(২) যখন বিপদ আসে, তখন দুঃখও আসে। (যৌগিক বাক্য)
(৩) বিদ্বান লোক সর্বত্র আদরণীয়। (জটিল বাক্য)
(৪) সে যেমন কৃপণ তেমন চালাক। (যৌগিক বাক্য)
(৫) সে এমএ পাস করেছে বটে কিন্তু জ্ঞানলাভ করতে পারেনি। (জটিল বাক্য)
(৬) যখন বৃষ্টি থামলো, তখন আমরা স্কুলে রওনা হলাম। (যৌগিক বাক্য)

২। যে কোনো একটির ভাব-সম্প্রসারণ লিখুন (অনধিক ২০টি বাক্):-(ক) শৃঙ্খলিত সিংহের চেয়ে স্বাধীন গাধা উত্তম।
(খ) ক্ষুধার রাজ্যে পৃথিবী গদ্যময়।৩। সারমর্ম লিখুনঃ-

(ক) একদা ছিল না জুতা চরণযুগলে
দহিল হৃদয় মম সেই ক্ষোভানলে।
ঘীরে ধীরে চুপি চুপি দুঃখাকুল মনে
গেলাম ভজনালয়ে ভজন কারণে।
দেখি সেথা একজন পদ নাহি তার
অমনি জুতার খেদ ঘুচিল আমার।
পরের ধুঃখের কথা করিলে চিন্তন
আপনার মনে দুঃখ থাকে কতক্ষণ।

(খ) মহাসমুদ্রের শত বৎসরের কল্লোল কেহ যদি এমন করিয়া বাঁধিয়া রাখিতে
পারিত যে, সে ঘুমাইয়া পড়া শিশুটির মতো চুপ করিয়া থাকিত, তবে সেই নীরব মহাশব্দের সহিত এই লাইব্রেরির তুলনা হইত। এখানে ভাষা চুপ করিয়া আছে, প্রবাহ স্থির হইয়া আছে, মানবাত্মার অমর আলোক কালো অক্ষরের শৃঙ্খলে কাগজের কারাগারে বাঁধা পড়িয়া আছে। ইহারা সহসা যদি বিদ্রোহী হইয়া উঠে, নিস্তব্ধতা ভাঙ্গিয়া ফেলে অক্ষরের বেড়া দগ্ধ করিয়া আছে, প্রবাহ স্থির হইয়া আছে, মানবাত্মার অমর আলোক কঠিন বরফের মধ্যে যেমন কত কত বন্যা বাঁধা আছে, তেমনি এই লাইব্রেরির মধ্যে মানব হৃদয়ের বন্যা কে বাঁধিয়া রাখিয়াছে।
৪। অতি সংক্ষেপে নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর লিখুনঃ-(ক) চর্যাপদ কে আবিষ্কার করেন?
(খ) বাংলা গদ্যের জনক কে?
(গ) প্রাবন্ধিক হিসেবে হুমায়ুন আজাদের কৃতিত্ব আলোচনা করুন।
(ঘ) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত তিনটি ছোটগল্পের নাম লিখুন।
(ঙ) বড়ৃচণ্ডীদাস রচিত কাব্যের নাম লিখুন।
(চ) তিনটি মঙ্গল কাব্যের নাম লিখুন।
(ছ) ‘অবসরের গান’ কবিতাটি কার রচনা?
(জ) মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের তিনটি উপন্যাসের নাম লিখুন।
(ঝ) ভাষা আন্দোলনভিত্তিক দুটি কবিতার নাম লিখুন।
(ঞ) মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক তিনটি উপন্যাসের নাম লিখুন।
(ট) বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী সম্পর্কে তিনটি বাক্য রচনা করুন।
(ঠ) বাংলাদেশের তিনজন বিশিষ্ট নাট্যকারের নাম লিখুন।
(ড) বাংলা সাহিত্যের তিনজন শ্রেষ্ঠ উপন্যাসিকের নাম লিখুন।
(ঢ) বৈষ্ণব পদাবলির তিনজন শ্রেষ্ট পদকর্তার নাম লিখুন।
(ণ) কোন তিন কবির নাম যথাক্রমে কবিকণ্ঠহার, কবিকঙ্কন ও রায়গুণাকর।

সাজেশন সম্পর্কে প্রশ্ন ও মতামত জানাতে পারেন আমাদের কে Google News <>YouTube : Like Page ইমেল : assignment@banglanewsexpress.com

৯৬
দানিয়ুব
বাংলা দ্বিতীয় পত্র
বিষয় কোডঃ ০০২
নির্ধারিত সময়-৩ ঘণ্টা
পূর্ণমান-১০০
[দ্রষ্টব্যঃ- প্রত্যেক প্রশ্নের মান প্রশ্নের শেষ প্রান্তে দেখানো হয়েছে।]

১। যে কোনো একটি বিষয়ে রচনা লিখুনঃ- ৪০(ক) বাংলাদেশ রাষ্ট্রের উত্থানে নারীর অবদান;
(খ) তথ্য-প্রযুক্তি ও নতুন গণমাধ্যম;
(গ) বাংলাদেশের পোশাক-শিল্পে বৈদেশিক বিনিয়োগঃ সংকট ও সম্ভাবনা;
(ঘ) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরঃ কবি ও কর্মী;
(ঙ) বিকেন্দ্রীকরণ ও পল্লী-উন্নয়ন।

২। বন্ধনীর মধ্যে বর্ণিত সঙ্কেতের ইঈিতে একটি প্রবন্ধ লিখুনঃ- ৪০(ক) জনসংখ্যা সমস্যা জন-সম্পদে রূপান্তরে কর্মমুখী শিক্ষাঃ (কর্মমুখী শিক্ষা কী? বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থা; কর্মমুখী শিক্ষার গুরুত্ব;
বাংলাদেশে কর্মমুখী শিক্ষার বর্তমান পরিস্থিতি; যৃগোপযোগী নতুন নতুন ক্ষেত্রে কর্মমুখী শিক্ষার প্রসার; প্রশিক্ষিত জন-সম্পদের কর্মসংস্থানের উদ্যোগ; শ্রম বাজাওে প্রশিক্ষিত জন-সম্পদের ভূমিকা।)
(খ) সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও বাংলাদেশঃ (সাম্প্রদায়িকতা; অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ রাষ্ট্রের জন্ম; ধর্ম নিরপেক্ষতা ও বাংলাদেশের সংবিধান; ধর্ম ও রাষ্ট্রের সম্পর্ক; বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি; সম্প্রীতির লক্ষ্যে করণীয়।)
(গ) লৈঙ্গিক সমতাবোধঃ (লৈঙ্গিক সমতার ধারণা; কেন নিভাজন; অসমতা কি প্রাকৃতিক?; অসমতার উৎসে সমাজের ভূমিকা; সমতা ও সামাজিক প্রগতি; নারী-পুরুষ-যৌথতা ও ভবিষ্যতের বাংলাদেশ।)

৩। যে কোনো একটি বিষয়ে পত্র লিখুনঃ- ২০(ক) আপনার এলাকার অনুন্নত শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রভূত উন্নয়নকারী একজন
বিদ্যোৎসাহী প্রবীণ শিক্ষকের সংবর্ধনা উপলক্ষে একটি মানপত্র রচনা করুন।
(খ) আপনার শহরের ঐতিহ্যবাহী বৈশাখী মেলার মাঠ সরকারি স্থাপনার কাজে
ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত হওয়ার নাগরিক জীবনে সমন্বয়ধর্মী দেশজ সংস্কৃতির
চর্চার নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে-এ আশঙ্কা জানিয়ে এবং মাঠটির
সংস্কৃতিক গুরুত্ব ব্যাখ্যা করে একে রক্ষার জন্য সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সচিবের
নিকট আবেদনপত্র লিখুন।
(গ) রাজধানীর কোন বিশিষ্ট পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতার নিকট বিভাগভিত্তিক
অনুমোদিত এজেন্সি চেয়ে আবেদনপত্র লিখুন।

সবার আগে Google News আপডেট পেতে Follower ক্লিক করুন

২৯৪
থায়ামিন
বাংলা প্রথম পত্র
বিষয় কোডঃ ০০১
নির্ধারিত সময়-৩ ঘণ্টা
পূর্ণমান-১০০
[দ্রষ্টব্যঃ- ডান পাশে উল্লিখিত সংখ্যা প্রশ্নের পূর্ণমান জ্ঞাপক।]

১। (ক) বাক্যগুলো শুদ্ধ করুনঃ ১/২ x ১২ = ৬(১) তিনি স্বচ্ছল পরিবারের সন্তান।
(২) এ খবরটি অত্যান্ত বেদনাদায়ক।
(৩) মুখস্তবিদ্যা পরিহার করা দরকার।
(৪) তিনি পৈত্রিক ভিটায় বসবাস করেন।
(৫) সুশিক্ষিত ব্যক্তি মাত্রই সশিক্ষিত।
(৬) এটি একটি অনুবাদিত গ্রন্থ।
(৭) আমি অপমান হয়েছি।
(৮) এ ব্যক্তি সকলের মাঝে বয়স্ক।
(৯) এ তো তার দূর্লভ সৌভাগ্য।
(১০) তোমার সঙ্গে আমার একটা গোপন পরামর্শ আছে।
(১১) বালকটি আরোগ্য হয়েছে।
(১২) সাভার ট্র্যাজেডির শোকসভায় বিশিষ্ট বুদ্ধিজীবি, বিজ্ঞানী, দার্শনিক প্রমুখগণ শ্রদ্ধাঞ্জলী নিবেদন করেন।

(খ) যথার্থ শব্দ বা শব্দগুচ্ছ দ্বারা শূন্যস্থান পূরণ করুন: ১ x ৬ = ৬(১) সুখের দিনে অমন ——— মাছি কত দেখা যায়।
(২) পরীক্ষায় পাস করার জন্য সে ——— পণ করেছে।
(৩) তার সঙ্গে ———- দেখা হয়।
(৪) তাঁর অকাল মৃত্যু এ সংসারে ———– হয়ে দেখা দিল।
(৫) ছলের টাকা ———- যায়।
(৬) আমার কাঁধে ভারী জোয়াল, তুমি তো ভাই ———- ।

(গ) ছয়টি বাক্যে প্রবাদটির নিহিতার্থ ব্যাখ্যা করুন: ১ x ৬ = ৬
আগে-পিছে লন্ঠন, কাজের বেলা ঠন্ঠন্!

(ঘ) বাগধারা ব্যবহার করে বাক্যরচনা করুন: ১ x ৬ = ৬
টনক নড়া; ডামাডোল; কাষ্ঠহাসি; গোড়ায়; লেফাফা দুরস্ত; লেজে গোবরে।

(ঙ) বাংলা পরিভাষা লিখুন: ১ x ৬ = ৬
Abrogate; Booking; Bibliography; Execute; Agenda; Deed.

২। ভাব-সম্প্রসারণ করুন: ২০
মানুষের মৃত্যু হলে তবুও মানব থেকে যায়।

৩। সারমর্ম লিখুন: ১০ x ২ = ২০(ক) হে চিরদীপ্ত, সুপ্তি ভাসাও
জাগার গানে;
তোমার শিখাটি উঠুক জ্বলিয়া
সবার প্রাণে।
ছায়া ফেলিয়াছে প্রলয়ের নিশা,
আঁধারে ধরণী হারায়েছে দিশা।
তুমি দাও বুকে অমৃতের তৃষা
আলোর ধ্যানে!
ধ্বংস তিলক আঁকে চক্রীরা
বিশ্ব-ভালে।
হৃদয় ধর্ম বাঁধা পরিয়াছে
স্বার্থ-জালে।

(খ) নিন্দুকেওে বাসি আমি সবার চেয়ে ভালো
যুগ জনমের বন্ধু আমার আঁধার ঘরের আলো।
সবাই মোরে ছাড়তে পারে বন্ধু যারা আছে
নিন্দুক সে তো ছায়ার মত থাকবে পাছে পাছে।
বিশ্বজনে নিঃস্ব কওে পবিত্রতা আনে
সাধকজনে বিস্তারিতে তার মত কে জানে?

৪। অতি সংক্ষেপে উত্তর লিখুন: ২ x ১৫ = ৩০(ক) ‘চর্যাপদ’ কত সালে এবং কোন স্থান থেকে উদ্ধার করা হয়?
(খ) বাংলা লিপির উৎস কি?
(গ) ‘মোসলেম ভারত’ পত্রিকার সম্পাদক কে ছিলেন?
(ঘ) ‘চন্ডীদাস সমস্যা’ কী?
(ঙ) আরাকান রাজসভায় বাংলা সাহিত্য চর্চা করেছেন এমন দুই জন লেখকের নাম লিখুন।
(চ) বাংলা সাহিত্যে ‘ভোরের পাখি’ কে? কেন তাঁকে ভোরের পাখি বলা হয়েছে?
(ছ) ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের প্রকৃত নাম কী? কোন প্রতিষ্ঠান থেকে তিনি ‘বিদ্যাসাগর’ উপাধি
লাভ করেন?
(জ) বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে প্রতিনিধিত্বশীল চারটি ভাষাগোষ্ঠীর নাম লিখুন।
(ঝ) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের চারটি নাটকের নাম লিখুন।
(ঞ) বঙ্কিমচন্দ্রের ত্রয়ী উপন্যাসের নাম লিপিবদ্ধ করুন।
(ট) বাংলাদেশে প্রথম কোথায় ও কবে ছাপাখানা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল?
(ঠ) ‘মজলুম আদিব’ কে? এ নামে তিনি কোন গ্রন্থ রচনা করেন?
(ড) রশীদ করীমের চারটি উপন্যাসের নাম লিখুন।
(ঢ) ‘পৃথক পলঙ্কে’র লেখক কে? তিনি কোন সনে মৃত্যুবরণ করেন?
(ণ) ‘বুদ্ধিবৃত্তির নতুন বিন্যাস’ কী? এর লেখক কে?

সাজেশন সম্পর্কে প্রশ্ন ও মতামত জানাতে পারেন আমাদের কে Google News <>YouTube : Like Page ইমেল : assignment@banglanewsexpress.com

বেলী
বিষয় কোড ০০১
[সাধারণ এবং কারিগরি/পেশাগত ক্যাডারের জন্য]
নির্ধারিত সময়-৪ ঘণ্টা।
পূর্ণমান—২০০
[দ্রষ্টব্য :–প্রত্যেক প্রশ্নের মান প্রশ্নের শেষ প্রান্তে দেখানো হয়েছে।]

১। নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর লিখুন – ৬x৫=৩০(ক) বাংলা ভাষায় শব্দ গঠনের প্রক্রিয়াগুলো কী কী? উদাহরণসহ প্রক্রিয়াগুলো ব্যাখ্যা করুন।
(খ) বাংলা একাডেমি প্রণীত প্রমিত বাংলা বানানরীতি অনুসারে অ-তৎসম শব্দের ৬টি নিয়ম উদাহরণসহ লিখুন ।
(গ) নিচের শব্দগুলোর উৎসগত পরিচয় লিখুনঃ কিস্তি, পুলটিক্স, টোপর, সোহাগ, পাপড়, ভাত ।
(ঘ) প্রবাদ-প্রবচনের নিহিতার্থ লিখুনঃ হরি ঘোষের গোয়াল; ঘুঁটে পোড়ে গোবর হাসে; চিত্রগুপ্তের খাতা; ওঝার ব্যাটা বনগরু; শিখণ্ডী খাড়া করা; থোর বড়ি খাড়া খাড়া বড়ি থোর।
(ঙ) নিচের বাক্যগুলো নির্দেশ অনুসারে রূপান্তর করুনঃ(অ) যেমন কর্ম করবে, তেমন ফল পাবে । (সরল)
(আ) সন্ধ্যা হয়ে এলো কিন্তু ট্রেনের খোঁজ নেই এখনো। (জটিল)
(ই) পনের মিনিট পর তিনি এলেন। (যৌগিক)
(ঈ) পুকুরপাড়ে এখন কেউ নেই । (অস্তিবাচক)
(উ) কোথাও কি তিনি আছেন? (নেতিবাচক)
(ঊ) গোলাপটি অত্যন্ত সুন্দর! (বিস্ময়সূচক)

২। ভাব-সম্প্রসারণ করুন – ২০(ক) যে-আমির মধ্যে তুমি নেই, আর যে-তুমির মধ্যে আমি নেই—দুই-ই আমার পক্ষে সমান।
অথবা
(খ) স্মরণের আবরণে মরণের যত্নে রাখে ঢাকি।

৩। সারমর্ম লিখুন – নম্বর ২০(ক) আমারই চেতনার রঙে পান্না হল সবুজ,
চুনি উঠল রাঙা হয়ে ।
আমি চোখ মেললুম আকাশে-
জ্বলে উঠল আলো
পুবে পশ্চিমে ।
গোলাপের দিকে চেয়ে বললুম ‘সুন্দর’-
সুন্দর হল সে।

অথবা

প্রতিদিনের এই যে অভ্যস্ত পৃথিবী আমার কাছে জীর্ণ, অভ্যস্ত প্রভাত আমার কাছে ম্লান । কবে এরাই আমার কাছে নবীন ও উজ্জ্বল হয়ে ওঠে? যেদিন প্রেমের দ্বারা আমার চেতনা নবশক্তিতে জাগ্রত হয়। যাকে ভালোবাসি আজ তার সঙ্গে দেখা হবে এই কথা স্মরণ হলে কাল যা কিছু শ্রীহীন ছিল আজ সেই সমস্তই সুন্দর হয়ে ওঠে। প্রেমের দ্বারা চেতনা যে পূর্ণশক্তি লাভ করে সেই পূর্ণতার দ্বারাই সে সীমার মধ্যে অসীমকে, রূপের মধ্যে অরূপকে দেখতে পায়; তাকে নূতন কোথাও যেতে হয় না। ঐ অভাবটুকুর দ্বারাই অসীম সত্য তার কাছে সীমায়বদ্ধ হয়েছিল।

৪। নিচের প্রশ্নগুলোর সংক্ষিপ্ত উত্তর দিনঃ- ৩x১০=৩০(ক) চর্যাপদের ভাষা নিয়ে বিদ্যমান বিতর্ক সম্পর্কে আপনার ধারণা লিখুন।
(খ) বাংলা সাহিত্যে শ্রীচৈতন্য দেবের ভূমিকা পর্যালোচনা করুন।
(গ) বৈষ্ণব পদাবলি ধারায় বিদ্যাপতির বিশেষত্ব ব্যাখ্যা করুন ।
(ঘ) বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে রোসাঙ্গ রাজসভার প্রাসঙ্গিকতা পর্যালোচনা করুন।
(ঙ) রবীন্দ্র-ছোটগল্পভুক্ত তিনটি নারী চরিত্রের পরিচয় দিন।
(চ) ‘বিষাদ-সিন্ধু’র ঐতিহাসিকতা সম্পর্কে আলোকপাত করুন।
(ছ) বাংলা সাহিত্যে ‘কল্লোল যুগ’ সম্পর্কে ধারণা দিন।
(জ) মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক একটি বাংলা নাটকের মূল্যায়ন করুন ।
(ঝ) সাম্প্রতিক বাংলাদেশে লোকধারার গানের জনপ্রিয়তার কারণ ব্যাখ্যা করুন।
(ঞ) বাংলাদেশের সাহিত্যনির্ভর চলচ্চিত্র সম্পর্কে আপনার ধারণা ব্যক্ত করুন।

৫। বাংলায় অনুবাদ করুন – ১৫Tsunami is a Japanese word that means “harbor wave”. It is in harbors that tsunamis do the most damage. We sometimes call tsunamis tidal waves, though they’re not caused by tides. Oceanographers call tsunamis seismic sea waves. Whatever their name, those who have lived through them call them killers. What actually is a tsunami? It’s a wave of water that sometimes follows earthquakes, volcanic eruptions, or underwater landslides. Not all tsunamis are large or destructive. In fact, if you were out to sea, a tsunami could pass under your boat and you would hardly notice. That’s because the ocean bottom is so deep. But as the wave gets closure to land, the ocean becomes shallower and begins to cause the wave to crest. Some tsunamis can top 100 feet by the time they reach shore. The largest tsunami ever measured was 212 feet high.

৬। বছরের একটি ছেলে হারিয়ে গেছে । ছেলেটির মা-বাবা গেছেন থানায়। পুলিশ মামলা নিতে চাইছে না। ছেলেটির মা-বাবা এবং একজন পুলিশ কর্মকর্তার চরিত্র অবলম্বন করে এই পরিস্থিতির উপযুক্ত সংলাপ রচনা করুন। । ১৫

৭।(ক) বাঙালি সংস্কৃতির উন্নয়নে গণমাধ্যমের করণীয় সম্পর্কে পরামর্শ দিয়ে পত্রিকায় প্রকাশের জন্য একটি প্রতিবেদন রচনা করুন। ১৫
অথবা
(খ) একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে প্রকল্প কর্মকর্তা পদে নিয়োগপ্রাপ্তির জন্য জীবনবৃত্তান্তসহ একটি আবেদনপত্র লিখুন।

৮। সম্প্রতি প্রকাশিত ভাষা-আন্দোলন বা মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক একটি গ্রন্থের সমালোচনা লিখুন। ১৫

৯। যে কোনো একটি বিষয়ে প্রবন্ধ রচনা করুনঃ ৪০

(ক) দেশাত্মবোধ;
(খ) বাংলাদেশের পর্যটন শিল্প;
(গ) বার্ধক্য ও বৃদ্ধাশ্রম;
(ঘ) সড়ক দুর্ঘটনা;
(ঙ) যেদিন সবকিছু গোলমেলে।

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

নার্গিস
বিষয় কোড ০০১ এবং ০০২
[সাধারণ এবং কারিগরি/পেশাগত ক্যাডারের জন্য]
নির্ধারিত সময়-৪ ঘন্টা
পূর্ণমান-২০০
[দ্রষ্টব্য-প্রত্যেক প্রশ্নের মান প্রশ্নের শেষ প্রান্তে দেখানো হয়েছে।]
বিষয় কোড ০০১

১। নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর লিখুন ৬x৫=৩০ক। সাধিত শব্দ কাকে বলে ? সাধিত শব্দ গঠনের প্রক্রিয়াগুলো উদাহরণসহ ব্যাখ্যা করুন।
খ। বাংলা একাডেমি প্রণীত প্রমিত বাংলা বানানরীতি অনুসারে তৎসম শব্দের ৬টি নিয়ম উদাহরণসহ লিখুন।
গ। নিচের বাক্যগুলোর শুদ্ধরূপ লিখুন১. তাহার সৌন্দর্যবোধ আমাকে অভিভূত করেছে।
২. এ নির্মম হত্যাকান্ডে গ্রামবাসী নিস্তব্ধ হয়ে গেল।
৩. ইতিপূর্বেই তার বিরুদ্ধে কর্তৃপক্ষের কাছে নালিশ করা হয়েছে।
৪. মহাসমারোহে প্রধান অতিথিকে সুস্বাগত জানানো হলো।
৫. তার সাংঘাতিক আনন্দ হলো।
৬. ছেলেটি অহর্নিশি তার মাকে জ্বালাতন করে।

ঘ।নিচের প্রবাদ-প্রবচনের অর্থপূর্ণ বাক্য লিখুনঃ উড়নচন্ডী, খন্ড প্রলয়, আসলে মুষল নেই চেঁকি ঘরে চাঁদোয়া, যার কর্ম তার সাজে অন্য লোকের লাঠি বাজে, একাদশে বৃহস্পতি, আটে-পিঠে দড় তবে ঘোড়ার উপর চড়।

ঙ। নিচের বাক্যগুলো নির্দেশ অনুসারে রূপান্তর করুন ।১. ফের যদি আসি তবে সিঁধকাঠি সঙ্গে করিয়াই আসিব। (সরল)
২. তাকে নির্দয় মনে হয় না। (অস্তিবাচক)
৩. অধ্যয়নই ছাত্রদের তপস্যা। (জটিল)
৪. জামিল বাড়িতে আছে। (নেতিবাচক)
৫. যেহেতু তার ধনসম্পদ আছে, তাই সে গর্বিত। (যৌগিক)
৬. বিদ্যাসাগর বাংলা গদ্যের জনক। (প্রশ্নবোধক)

২। ভাব-সম্প্রসারণ করুন ২০ক। পথের প্রান্তে আমার তীর্থ নয়।
পথের দুধারে আছে মোর দেবালয়।
অথবা
খ। জাতীয় জীবনে সন্তোষ এবং আকাঙ্ক্ষা দুয়েরই মাত্রা
বাড়িয়া গেলে বিনাশের কারণ ঘটে।

৩। সারমর্ম লিখুনক।

হে চিরদীপ্ত, সুপ্তি ভাঙা ও
জাগার গানে
তোমার শিখাটি উঠুক জ্বলিয়া
সবার প্রাণে।
ছায়া ফেলিয়াছে প্রলয়ের নিশা,
আঁধারে ধরণী হারায়েছে দিশা,
তুমি দাও বুকে অমৃতের তৃষা
আলোর ধ্যানে।

অথবা

খ। সমাজের কাজ কেবল টিকে থাকার সুবিধা দেওয়া নয়, মানুষকেও বড় করে তোলা, বিকশিত জীবনের জন্য মানুষের জীবনে আগ্রহ জাগিয়ে দেওয়া। স্বল্পপ্রাণ, স্থূলবুদ্ধি ও জবরদস্তিপ্রিয় মানুষে সংসার পরিপূর্ণ। তাদের কাজ নিজের জীবনকে সার্থক ও সুন্দর করে তোলা নয়, অপরের সার্থকতার পথে অন্তরায় সৃষ্টি করা। প্রেম ও সৌন্দর্যের স্পর্শ লাভ করেনি বলে এরা নিষ্ঠুর ও বিকৃতবুদ্ধি। এদের একমাত্র দেবতা অহংকার। পারিবারিক অহংকার, জাতিগত অহংকার-এ সবের নিশান ওড়ানোই এদের কাজ।

৪. নিচের প্রশ্নগুলোর সংক্ষিপ্ত উত্তর দিন ৩ X ১০ = ৩০ক। চর্যাপদে নিম্নবর্গীয় মানুষের যে পরিচয় পাওয়া যায় তার বিবরণ দিন।
খ। শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্যে গ্রামীণ জীবনের কী পরিচয় পাওয়া যায় তা লিখুন।
গ। ব্রজবুলি কী ?
ঘ। রোমাঞ্চধারার একজন মুসলিম কবির কাব্য সম্পর্কে আলোচনা করুন।
ঙ। ভারতচন্দ্র রায় গুণাকরের কবি প্রতিভার মূল্যায়ন করুন।
চ। ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের সমাজসংস্কার আন্দোলন সম্পর্কে আলোচনা করুন।
ছ। বুদ্ধির মুক্তি আন্দোলন সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করুন।
জ। কাজী নজরুল ইসলামের ঔপন্যাসিক সত্তার পরিচয় দিন।
ঝ। ভাষা আন্দোলনভিত্তিক তিনটি গল্পের নাম লিখুন।
ঞ। মুক্তিযুদ্ধকেন্দ্রিক একটি উপন্যাসের মূল্যায়ন করুন।

বিষয় কোডঃ ০০২

১। বাংলায় অনুবাদ করুন । ১৫Traffic jam is not an uncommon phenomenon in our country, especially in the Dhaka City. Traffic jam, by definition, is the huddling up of too many vehicles in a specific place of a highway or in a street, with the result that the vehicles clog up, so to say, and cannot move ahead. This creates a great problem. People who are busy on urgent business miss their timetable. In the morning, for example, many people sail to attend their workplaces in time. The transportation of goods get delayed. Perhaps the worst consequence is suffered by patients being carried to hospitals or clinics. The mental and physical sufferings, too, are no less important. The number of vehicles, especially rickshaws, is a major cause of this nuisance.

২। একজন প্রবীণ মুক্তিযোদ্ধা এবং স্বাধীনতা-পরবর্তী প্রজন্মের এক তরুণের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে সংলাপ লিখুন। ১৫

৩।ক। সর্বস্তরে বাংলা ভাষার প্রচলন-বিষয়ে পত্রিকায় প্রকাশের উপযোগী একটি প্রতিবেদন লিখুন। ১৫

অথবা

খ। বাংলাদেশের একটি যাদুঘরের বর্ণনা দিয়ে বিদেশি বন্ধুর নিকট একটি পত্র লিখুন।

৪। বাঙালির ইতিহাস কিংবা লোকঐতিহ্য নির্ভর একটি গ্রন্থের সমালোচনা লিখুন।

৫।যে কোন একটি বিষয়ে প্রবন্ধ রচনা করুনঃ ৪০ক। বাংলাদেশের প্রাচীন ঐতিহ্য।
খ। জাতীয় উন্নয়নে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা।
গ। শিষ্টাচার ও সৌন্দর্য।
য। বাংলাদেশে পরিবেশ বিপর্যয় ও তার প্রতিকার।
ঙ। নারী উন্নয়ন।

[ বি:দ্র:এই সাজেশন যে কোন সময় পরিবতনশীল ১০০% কমন পেতে পরিক্ষার আগের রাতে সাইডে চেক করুন এই লিংক সব সময় আপডেট করা হয় ]

১। নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর লিখুনঃ ৬x৫=৩০
(ক) দৃষ্টান্তসহ দ্বিরুক্ত শব্দের সংজ্ঞার্থ লিখুন। প্রত্যেক প্রকার দ্বিরুক্ত শব্দের দৃষ্টান্তসহ পরিচয় দিন। 
(খ) অব্যয় পদ কাকে বলে? উদাহরণসহ বিভিন্ন প্রকার অব্যয়ের পরিচয় লিপিবদ্ধ করুন। 
(গ) নিচের বাক্যগুলোর শুদ্ধরূপ লিখুনঃ১. যে সমস্ত শিক্ষার্থী লেখাপড়ায় অমনযোগী সে সমস্ত শিক্ষার্থীরাই(একাধিক বহুবচন) পরীক্ষায় অকৃতকার্য হয় বেশি।
২. আপনি স্বপরিবার(সপরিবার=পরিবার সহ) ও সবান্ধবে আমন্ত্রিত।
৩. তার পরশ্রীকারতা(পরশ্রীকাতরতা) দেখে আমি মুগ্ধ(খারাপ জিনিস দেখে কেউ মুগ্ধ হয় না, তাই অন্য কোন বিশেষণ ব্যবহার করতে হবে।)।
৪. আজ রাতে বজ্রপতনের(‘বজ্রপাত’ নিজেই বিশেষ্য তাই ‘পতন’ ব্যবহার দরকার নেই।) সম্ভাবনা আছে।
৫. তোমার মত ব্যক্তির পক্ষে সদাসর্বদা কৃপণতা করা লজ্জাস্কর।(লজ্জাকর)
৬. জৈষ্ঠ্য মাসে তার সর্বজেষ্ঠ্য(জ্যেষ্ঠ মানেই সব থেকে বড়) ছেলের বিয়ে হয়।

(ঘ)নিচের প্রবাদ-প্রবচনের সাহায্যে অর্থপূর্ণ বাক্য লিখুনঃ
হরিষে বিষাদ, সুলুক সন্ধান, মন না মতি, সোনার কাঠি রূপোর কাঠি, ঘুঁটে পোড়ে গোবর হাসে, বিড়ালের ভাগ্যে শিকে ছেড়া। 
ঙ) নিচের বাক্যগুলো নির্দেশ অনুসারে রূপান্তর করুনঃ১. যে ভিক্ষা চায়, তাকে দান কর। (সরল)
২. ভালোবাসার দানে কোনো অপমান নেই। (অস্তিবাচক)
৩. যেহেতু গাড়ি আসে নাই, সেহেতু আমরা বিশ্রাম নিতে পারি। (যৌগিক)
৪. আজ চাঁদ উঠেছে। (নেতিবাচক)।
৫. বাংলাদেশ দলের লক্ষ্য ইংল্যান্ড দলকে অল-আউট করা। (জটিল)
৬. জীবনানন্দ দাশ বাংলাদেশে জন্মেছেন। (প্রশ্নবোধক)

২। ভাব-সম্প্রসারণ করুনঃ
(ক) জ্ঞান যেখানে সীমাবদ্ধ, বুদ্ধি যেখানে আড়ষ্টমুক্তি সেখানে অসম্ভব।

অথবা।

(খ) কালচার সমাজতান্ত্রিক নয়, ব্যক্তিতান্ত্রিক।

৩।
সারমর্ম লিখুনঃ
(ক)

‘বরং নিজেই তুমি লেখোনাকো একটি কবিতা-‘
বলিলাম স্লান হেসে; ছায়াপিন্ড দিলো না উত্তর;
বুঝিলাম সে তো কবি নয়- সে যে আরূঢ় ভণিতাঃ
পাণ্ডুলিপি, ভাষ্যটীকা, কালি আর কলমের ‘পর
ব’সে আছে সিংহাসনে-কবি নয়-অজর, অক্ষর
অধ্যাপক; দাঁত নেই- চোখে তার অক্ষম পিঁচুটি;
বেতন হাজার টাকা মাসে-আর হাজার দেড়েক
পাওয়া যায় মৃত সব কবিদের মাংস কৃমি খুঁটি;
যদিও সে-সব কবি ক্ষুধা প্রেম আগুনের সেঁক।
চেয়েছিলো-হাঙরের ঢেউয়ে খেয়েছিলো লুটোপুটি।

অথবা
(খ)

ধর্মের মতো মতবাদও মনের জগতে লেফট-রাইট করতে শেখায়। ধার্মিকের জীবন নিয়ন্ত্রণ করে ভয় আর পুরস্কারের লোভ। সংস্কৃতিবান মানুষের জীবনে ও-সবের বালাই নেই। তারা সব কিছু করে ভালোবাসার তাগিদে। সত্যকে ভালোবাসো , সৌন্দর্যকে ভালোবাসো , ভালোবাসা কে ভালোবাসো -বিনা লাভের আশায় ভালোবাসো , নিজের ক্ষতি স্বীকার করে ভালোবাসো -এরি নাম সংস্কৃতি। তাই ধার্মিকের পুরস্কারটি যেখানে বহুদূরে থাকে, সংস্কৃতিবান মানুষ সেখানে তার পুরস্কারটি পায় হাতে হাতে, কেননা, কাজটি তার ভালোবাসার অভিব্যক্তি বলে তার আনন্দ, আর আনন্দই তার পুরস্কার। সে তার নিজের স্বৰ্গটি নিজেই সৃষ্টি করে নেয়। বাইরের স্বর্গের জন্য তাকে হা করে তাকিয়ে থাকতে হয় না।

৪। নিচের প্রশ্নগুলোর সংক্ষিপ্ত উত্তর দিনঃ ৩ X ১০ = ৩০(ক) রোসাঙ্গ-রাজসভা কোথায় অবস্থিত ছিল? বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে এই রাজসভা কেন প্রাসঙ্গিক? 
খে) অন্ধকার যুগের সাহিত্যের নিদর্শন সম্পর্কে আলোচনা করুন। 
(গ) ‘বুড়োসালিকের ঘাড়ে রোঁ’ প্রহসনটির জমিদার চরিত্রের পরিচয় দিন।
(ঘ) ‘কৃষ্ণকান্তের উইল’ উপন্যাসের রোহিনী চরিত্রের বৈশিষ্ট্য ব্যাখ্যা করুন।
(ঙ) ‘পোস্টমাস্টার‘ গল্পে রবীন্দ্রনাথের জীবনদর্শনটি কী?
(চ) কাজী নজরুল ইসলামের ‘রাজবন্দীর জবানবন্দী’র মূল বক্তব্য কী?
(ছ) ‘ক্রীতদাসের হাসি’ উপন্যাসের রূপকাৰ্থ ব্যাখ্যা করুন।
(জ) মোতাহের হোসেন চৌধুরীর সংস্কৃতি-ভাবনার পরিচয় দিন।
(ঝ) ‘পায়ের আওয়াজ পাওয়া যায়’ কেন সফল?
(ঞ) ‘জাল স্বপ্ন স্বপ্নের জাল’ গল্পের মূল বক্তব্য উপস্থাপন করুন ।

বিষয় কোডঃ ০০২

১। বাংলায় অনুবাদ করুনঃ
Explorers and traders have sailed across the world in all kinds of ships. From the ancient trading boats, which relied on muscle and wind power, to the invention of the steamship, ship-building techniques and ways of navigating have changed dramatically. As boats became faster and better, explorer were able to journey farther. They discovered new lands and peoples, and opened up new trading routes. Slowly, the map of the world began to grow as land and sea borders were defined and claimed by different countries.

২। বিদেশে পড়াশুনা করে প্রবাসজীবন নির্বাচন এবং বাংলাদেশে লেখাপড়া করে স্বদেশেই। অবস্থান করা সম্পর্কে দুই বন্ধুর কথোপকথন বা সংলাপ লিখুন।

৩। (ক) সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখার উপর গুরুত্ব আরোপ করে দৈনিক পত্রিকার চিঠিপত্র কলামে প্রকাশের উদ্দেশ্যে একটি পত্র রচনা করুন।

অথবা

(খ) আপনার এলাকায় নদী ভরাট করে স্থাপনা নির্মাণের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের লক্ষ্যে যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে প্রদানের জন্য একটি দরখাস্ত লিখুন।

৪। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকেন্দ্রিক কোনো উপন্যাসের সমালোচনা লিখুন।।

৫। যে কোনো একটি বিষয়ে প্রবন্ধ রচনা করুনঃ

(ক) মানবসম্পদ।
(খ) বাংলাদেশের নগরায়ন।
(গ) সাইবার অপরাধ।
(ঘ) মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর।
(ঙ) চিত্ত যেথা ভয়শূন্য উচ্চ যেথা শির।

সবার আগে সাজেশন আপডেট পেতে Follower ক্লিক করুন

বিষয় কোড ০০১ ও ০০২
নির্ধারিত সময়-৪ ঘন্টা।
পূর্ণমান-২০০

বিষয় কোড ০০১
১। নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর লিখুন ৬x৫=৩০(ক) বাংলা একাডেমি প্রণীত প্রমিত বাংলা বানানের পাঁচটি নিয়ম লিখুন।
(খ) অর্থগতভাবে বাংলা শব্দ কত প্রকার ও কি কি? উদাহরণসহ লিখুন
(গ) নিচের বানানগুলো শুদ্ধ করে লিখুনঃ গিতাঞ্জলি, উপকারীতা, আষার, দারিদ্রতা, শান্তনা।
উত্তরঃ গীতাঞ্জলি, উপকারিতা, আষাঢ়, দরিদ্রতা বা দারিদ্র্য, সান্ত্বনা
(ঘ) নিচের বাগধারাগুলোর অর্থসহ বাক্য লিখুনঃঅক্কা পাওয়া- মারা যাওয়া।
তালপাতার সেপাই- অত্যন্ত কৃশ বা দুর্বল ব্যক্তি।
চাঁদের হাট- শিশুদের বা সুন্দরীদের একত্র সমাবেশ
তাসের ঘর- ক্ষণস্থায়ী বস্তু।
সাক্ষী গোপাল- যে ব্যক্তি স্বয়ং নিষ্ক্রিয় থেকে অন্যের কার্যকলাপ লক্ষ করে।

(ঙ) নিচের বাক্যগুলো শুদ্ধ করে লিখুনঃ(১) পূর্বদিকে সূর্য উদয় হয়। উদিত
(২) আসছে আগামীকাল কলেজ বন্ধ হবে।
(৩) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ভয়ঙ্কর কবি ছিলেন। প্রতিভাবান
(৪) সকল ছাত্রগণই পাঠে অমনোযোগী। সকল ছাত্র বা ছাত্রগণ
(৫) ইহার আবশ্যক নাই। ইহার আবশ্যকতা নাই।





২। ভাব-সম্প্রসারণ করুনঃ ২০(ক) শৈবাল দিঘিরে বলে উচ্চ করি শির,
লিখে রেখো, এক ফোটা দিলেম শিশির ॥
অথবা
(খ) উত্তম নিশ্চিন্তে চলে অধমের সাথে
তিনিই মধ্যম যিনি চলেন তফাতে ॥

৩। সারমর্ম লিখুনঃ ২০(ক) বহুদিন ধরে বহু ক্রোশ
দূরের বহু ব্যয় করি বহুদেশ ঘুরে
দেখিতে গিয়াছি পর্বতমালা,
দেখিতে গিয়াছি সিন্ধু।।

দেখা হয় নাই চক্ষু মেলিয়া,
ঘর হতে শুধু দুই পা ফেলিয়া
একটি ধানের শিষের উপর
একটি শিশির বিন্দু।

অথবা
(খ) আজকের দুনিয়াটা আশ্চর্যজনক ভাবে অর্থের বা বিত্তের উপর নির্ভরশীল। লাভ ও লোভের দুর্নিবার গতি কেবল আগে যাওয়ার নেশায় লক্ষ্যহীন। প্রচন্ড বেগে শুধু আত্মবিকারের পথে এগিয়ে চলেছে। মানুষ যদি এই মূঢ়তাকে জয় না করতে পারে তবে মনুষ্যত্ব’ কথাটাই হয়তো লোপ পেয়ে যাবে। মানুষের জীবন আজ এমন এক পর্যায়ে এসে পৌঁছেছে যেখান থেকে আর হয়তো নামবার উপায় নেই; এবার সিঁড়িটা না খুঁজলেই নয়। উঠবার সিঁড়িটা
খুঁজে পেলে আমাদের আত্মবিনাশের সম্ভাবনা যে অনিবার্য, তাতে আর কোনো সন্দেহ থাকে না।





৪। নিচের প্রশ্নগুলোর সংক্ষিপ্ত উত্তর দিন । ৩x১০=৩০(ক) বাংলা সাহিত্যের প্রথম নিদর্শন চর্যাপদের ভাষাকে কেন ‘সন্ধ্যা ভাষা’ বলা হয়।
(খ) বাংলা কাব্যের ‘ভোরের পাখি’ কাকে বলা হয়? এ কবির দুটি কাব্যগ্রন্থের নাম লিখুন।।
(গ) সনেট’ কি? বাংলা সাহিত্যে সার্থক সনেট রচয়িতার পরিচয় সংক্ষেপে উল্লেখ করুন।
(ঘ) চন্দ্রকুমার দে এবং দীনেশচন্দ্র সেনের নাম কেন লোকসাহিত্য প্রেমীর হৃদয়ে চিরদিন জেগে থাকবে?
(ঙ) কাজী নজরুল ইসলামের তিনটি উপন্যাসের নাম লিখুন।
(চ) কবি জসীম উদ্দীনের ‘নকশী কাঁথার মাঠ’ কাব্যগ্রন্থের বিষয়বস্তু সংক্ষেপে লিখুন।
(ঘ) কুবের, কপিলা,শশী, কুসুম চরিত্রসমূহ কোন উপন্যাসের অন্তর্গত? উপন্যাস দুটির রচয়িতা কে?
(জ) বাংলা ভাষায় যাঁরা আধুনিক কবিতা সৃষ্টি করেছিলেন, তাদের মধ্যে পাঁচজন প্রধান। এই পাঁচজন কবির নাম লিখুন।
(ঝ) বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘পথের পাঁচালী‘ উপন্যাসের উপজীব্য বিষয় সংক্ষেপে উল্লেখ করুন।
(ঞ) কবি শামসুর রাহমানের চারটি কাব্যগ্রন্থের নাম উল্লেখ করুন।

বিষয় কোড ০০২
১. বাংলায় অনুবাদ করুনঃ ১৫Poet Kazi Nazrul Islam Called himself a ‘rebel’, and declared that he would not cease to fight till all oppressionals in the world had been put to an end. He made friends with terrorists, young men and women who believed in armed struggle. He sang opening songs at political gatherings, addressed large conferences and travelled the length and breadth of Bengal inspiring people wherever he went. He brought out a bi-weekly that breathed and preached violence. As a result the British Government put him behind the prison bars. We have more than one reason to be grateful to Kazi Nazrul Islam.

২. বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন প্রবীণ শিক্ষক এবং অধ্যয়নরত একজন তরুণ শিক্ষার্থীর মধ্যে শিক্ষার অতীত ও বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে একটি কাল্পনিক সংলাপ রচনা করুন। ১৫

৩. (ক) বৃক্ষরোপণের প্রয়োজনীয়তা বিষয়ে জনমত সৃষ্টির লক্ষ্যে সংবাদপত্রে প্রকাশের নিমিত্তে একটি পত্র লিখুন। ১৫

অথবা
(খ) ফেসবুক ব্যবহারের সুফল এবং কুফল জানিয়ে আপনার ছোট ভাইয়ের কাছে। একটি পত্র লিখুন।




৪. ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ অথবা ‘কারাগারের রোজনামচা‘ গ্রন্থের গ্রন্থ-সমালোচনা লিখুন। ১৫

৫. যে কোনো একটি বিষয়ে প্রবন্ধ রচনা করুন ৪০(ক) বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম;
(খ) বাংলাদেশের পোশাক শিল্প;
(গ) পরিবেশ দূষণ ও তার প্রতিকার;
(ঘ) রোহিঙ্গা সমস্যা ও সমাধান;
(ঙ) স্বদেশ প্রেম।

সাজেশন সম্পর্কে প্রশ্ন ও মতামত জানাতে পারেন আমাদের কে Google News <>YouTube : Like Page ইমেল : assignment@banglanewsexpress.com

বিষয় কোডঃ ০০১ ও ০০২
নির্ধারিত সময়: ৪ ঘণ্টা
পূর্ণমান: ২০০
বিষয় কোডঃ ০০১

১। নিচের প্রশ্নগুলাের উত্তর লিখুন:
ক। শব্দগঠন বলতে কী বােঝায়? কী কী প্রক্রিয়ায় শব্দ গঠিত হয় উদাহরণসহ লিখুন।
খ। বাংলা একাডেমি প্রণীত প্রমিত বাংলা বানানের নিয়ম অনুসারে অ-তৎসম শব্দের ছয়টি বানানসূত্র লিখুন।

গ। নিচের বাক্যগুলাের শুদ্ধরূপ লিখুন:(১) দুর্বলবশত সে আসতে পারেনি।
(২) শুধুমাত্র অফিস চলাকালীন সময়ে দেখা হবে।
(৩) সামগ্রিক আলােচনার প্রেক্ষিতে সিদ্ধান্তটি গৃহীত হয়েছে।
(৪) দূরারােগ্য ব্যাধির স্বীকারে পরিণত হয়ে পৃথিবীতে বহু মানুষের মৃত্যু হয়।
(৫) এ স্মরণিটি কবি নজরুলের স্বরণে নামকরণ করা হয়েছে।
(৬) স্বাস্থ সকল সুখের মুল।

ঘ। নিচের প্রবাদ-প্রবচন ব্যবহার করে অর্থপূর্ণ বাক্য লিখুন:
আমড়া কাঠের টেকি; শাক দিয়ে মাছ ঢাকা; তামার বিষ; মিছরির ছুরি; ঠগ বাছতে গাঁ উজাড়; ননীর পুতুল।



ঙ। নিচের বাক্যগুলাে নির্দেশ অনুসারে রূপান্তর করুন:
(১) শহিদের মৃত্যু নেই। (অস্তিবাচক)
(২) ধনীরা প্রায়ই কৃপণ হয়। (জটিল)
(৩) তােমার সব জিনিসই দামি। (নেতিবাচক)
(৪) জ্ঞানী হলেও তিনি বিনয়ী নন। (যৌগিক)
(৫) ভুল সকলেই করে। (প্রশ্নবােধক)
(৬) তিনি ধনী ছিলেন কিন্তু সুখী ছিলেন না। (সরল)

২। ভাবসম্প্রসারণ করুন: ক। শৈবাল দিঘিরে বলে উচ্চ করি শির, লিখে রেখাে, এক ফোঁটা দিলেম শিশির।
অথবা
খ। কমল হীরের পাথরটাকে বলে বিদ্যে, আর তা থেকে যে আলাে ঠিকরে বেরােয়, তার নাম কালচার

৩। সারমর্ম লিখুন:
ক।
ওরে নবীন, ওরে আমার কাঁচা,
ওরে সবুজ, ওরে অবুঝ,
আধ-মরাদের ঘা মেরে তুই বাচা।
রক্ত আলাের মদে মাতাল ভােরে
আজকে যে যা বলে বলুক তােরে,
সকল তর্ক হেলায় তুচ্ছ করে।
পুচ্ছটি তাের উচ্চে তুলে নাচা।
আয় দুরন্ত, আয়রে আমার কাঁচা।



অথবা
খ। মৃত্যুর হাত হইতে বাঁচিবার উপায় জগতের একটি প্রাণীরও নাই। সুতরাং এই অবধারিত সত্যকে সানন্দে স্বীকার করিয়া নিয়াও মৃত্যুকে জয় করিবার জন্য একটি বিশেষ কৌশল আয়ত্ত করিতে হইবে। তাহা হইতেছে, অতীতের পূর্বপুরুষদের সাধনাকে নিজের জীবনে এমনভাবে রূপান্তর করা-যেন ইহার ফলে তােমার বা আমার মৃত্যুর পরেও সেই সাধনার শুভফল তােমার পুত্রাদিক্রমে বা আমার শিষ্যাদিক্রমে জগতের মধ্যে ক্রমবিস্তারিত হইতে পারে। মৃত্যু তােমার দেহকেই মাত্র ধ্বংস করিতে পারিল, তােমার আরব্ধ সাধনার ক্রমবিকাশকে অবরুদ্ধ করিতে পারিল না-এইখানেই মহাপরাক্রান্ত মৃত্যুর আসল পরাজয়।

৪। নিচের প্রশ্নগুলাের সংক্ষিপ্ত উত্তর দিন:
ক। চর্যাপদের ভাষাকে কেন সন্ধ্যা ভাষা’ বলা হয়?
খ। শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্যের পরিচয় এবং বিষয়বস্তু সম্পর্কে আলােচনা করুন।
গ। মনসামঙ্গল কাব্যের বেহুলা চরিত্রটির বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করুন।
ঘ। ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের তিনটি মৌলিক রচনার নাম লিখুন।
ঙ। আধুনিক কবি হিসেবে মাইকেল মধুদূদন দত্তের অবদান ব্যাখ্যা করুন।
চ। শওকত ওসমানের মুক্তিযুদ্ধকেন্দ্রিক তিনটি গ্রন্থের নাম লিখুন।
ছ। রােকেয়া সাখাওয়াত হােসেনের ‘অবরােধবাসিনী’ গ্রন্থের বিষয়বৈশিষ্ট্য বর্ণনা করুন।
জ। আবহমান বাংলার ছবি জীবনানন্দ দাশের কবিতায় কীভাবে চিত্রিত হয়েছে লিখুন।
ঝ। সৈয়দ শামসুল হকের ‘পায়ের আওয়াজ পাওয়া যায়’ কাব্যনাটকটি সম্পর্কে বিশ্লেষণ করুন।
ঞ। মধ্যযুগের রােমান্টিক প্রণয়ােপাখ্যানগুলাের বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে ধারণা লিপিবদ্ধ করুন।



বিষয় কোডঃ ০০২
১। বাংলায় অনুবাদ করুন:
Plato lamented the destruction of soils and forests in ancient Greece. Dickens and Engels wrote eloquently of the wretched conditions spawned by the ‘Industrial Revolution’. Whenever we encounter the term ‘pollution’ now, we mean environmental pollution, though the dictionary describes Pollution as “the act of making something foul, unclean, dirty, impure, contaminated, defiled, tainted, desecrated ….”. Environmental pollution may be described as the unfavorable alteration of our surroundings. It takes place through changes in energy, radiation levels, chemical and physical constitutions and abundance of organisms. It includes release of materials into atmosphere which make the air unsuitable for breathing, harm the quality of water and soil and damage the health of human beings, plants and animals.

২। পড়াশােনা শেষ করে চাকরিগ্রহণ এবং স্ব-উদ্যোগে গৃহীত কোনাে কাজের মাধ্যমে জীবিকানির্বাহকরণ সম্পর্কে দুই বন্ধুর মধ্যে একটি সংলাপ রচনা করুন।

৩।
ক। বাংলাদেশে পরিবেশ বিপর্যয়ের কারণ ও পরিণাম বর্ণনা প্রসঙ্গে এর প্রতিকারে পাঁচটি করণীয় বিষয় উল্লেখ করে সংবাদপত্রে প্রকাশের উপযােগী একটি প্রতিবেদন রচনা করুন।
অথবা
খ। মাদকাসক্তির কুফল সম্পর্কে সচেতন করে কলেজগামী ছােট ভাইকে একটি পত্র লিখুন।

৪। বাঙালির ইতিহাস-ঐতিহ্যভিত্তিক যে-কোনাে গ্রন্থের একটি সমালােচনা লিপিবদ্ধ করুন।
৫। যে-কোনাে একটি বিষয়ে প্রবন্ধ রচনা করুন:
ক। উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশ।
খ। একজন মহিয়সী নারী
গ। বাংলাদেশের পােশাক শিল্প
ঘ। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও রাষ্ট্রীয় অঙ্গীকার
ঙ। বাঙালির ঐতিহ্য ও কৃষ্টি

সবার আগে Google News আপডেট পেতে Follower ক্লিক করুন

বিসিএস পরীক্ষার সবচেয়ে বড় ধাপ হলো লিখিত পরীক্ষা। কারণ, এতে সর্বোচ্চ নম্বর অর্থাৎ ৯০০ বা বোথ ক্যাডার হলে ১১০০। এটি খুবই সাধারণ কথা, নম্বর বেশি হলে এর গুরুত্ব বেড়ে যায়। তা ছাড়া লিখিত পরীক্ষায় সবার জন্য সমমানের প্রশ্ন করা হয়, যাতে অসমতা হওয়ার সুযোগ থাকে না। প্রার্থীকে নিজের মতো চিন্তা ও লেখার স্বাধীনতা দেওয়া হয় এই লিখিত পরীক্ষায়। কেউ যদি কোনো বিষয় সম্পর্কে ভালো ধারণা রাখে, তবে সে তার নিজের মতো করে উপস্থাপন করার সুযোগ পায়, যেখানে প্রিলি ও ভাইভায় খুব অতিরিক্ত চিন্তা করার অবকাশ নেই। একটা কথা অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে, লিখিত পরীক্ষায় ভালো নম্বর না তুলতে পারলে ক্যাডার বা ভালো ক্যাডার বা কাঙ্ক্ষিত ক্যাডার পাওয়া সম্ভব হবে না অথবা কঠিন হবে। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষা কোনো সাধারণ পরীক্ষা নয়। তাই এতে নম্বর তুলতে হলে কৌশলপূর্ণ পরিশ্রম করতে হবে।

একটা বিষয় না বললেই নয়, সবাই লিখিত পরীক্ষায় অংশ নেয় এবং লিখেও আসে। কিন্তু নম্বর কম বা বেশি হয় এবং ফেল করে। এর কারণ কী? আমার কাছে মনে হয়, লিখিত পরীক্ষায় ফেল বা কম নম্বর পাওয়ার ১০টি কারণ আছে।

যেমন: ক) তথ্য কম থাকা বা না থাকা;

খ) ভুল তথ্য থাকা;

গ) বানান ও বাক্য ভুল এবং যতিচিহ্নের সঠিক ব্যবহার না থাকা;

ঘ) লেখায় অতিরিক্ত কাটাকাটি;

ঙ) হাতের লেখা অতিরিক্ত বড় বা ছোট;

চ) একই কথার পুনরাবৃত্তি;

ছ) রেফারেন্স না থাকা বা কম থাকা অথবা ভুল থাকা;

জ) নম্বরের সঙ্গে উত্তরের পরিধির সামঞ্জস্য না থাকা;

ঝ) আপডেট তথ্য না থাকা;

ঞ) অপ্রাসঙ্গিক বিষয়ের অবতারণা বেশি।

তাই শুধু পড়লেই হবে না; সতর্কভাবে তথ্য সংগ্রহ করার মানস থাকতে হবে। একটু চিন্তা করলেই বোঝা যাবে, এই ১০টি লিখিত পরীক্ষায় ভালো নম্বর পাওয়ারও উপায়। শুধু উল্টো করে নিন। মনে রাখবেন, লিখিত পরীক্ষাই আপনার স্বপ্নপূরণে সবচেয়ে বেশি অবদান রাখতে পারে। তাই সঠিকভাবে প্রস্তুতি নিন এবং উপস্থাপন করুন।

মনে রাখবেন, লিখিত পরীক্ষা হলো তথ্য উপস্থাপন করার পরীক্ষা। সাদামাটা লিখে আপনি কখনোই ভালো নম্বর পাবেন না। প্রাসঙ্গিক ও প্রয়োজনীয় সব তথ্যই লেখায় থাকতে হবে। অন্যথায় সামান্য নম্বর আসবে। কঠিন কথা। কিন্তু মানতে হবে।

লিখিত পরীক্ষায় দুই ধরনের প্রশ্ন করা হয়ে থাকে। একটি হলো ব্যাখ্যামূলক প্রশ্ন, যাতে পূর্ণ নম্বর পাওয়া যায় না। যেমন রচনা। আর অন্যটি হলো সুনির্দিষ্ট প্রশ্ন, যেখানে পূর্ণ নম্বর পাওয়া যায়। যেমন ব্যাকরণ। তাই পূর্ণ নম্বরের প্রশ্নের উত্তরগুলো ভালো করে করতে হবে। এতে দ্রুত এগিয়ে যাওয়া যায়।

আজ বাংলা নিয়ে আলোচনা করব। বাংলা প্রথম ও দ্বিতীয় পত্রে বিভক্ত হয়ে মোট ২০০ নম্বরের পরীক্ষা হয়। প্রথম পত্রে ব্যাকরণ ৩০, ভাব-সম্প্রসারণে ২০, সারমর্মে ২০, সাহিত্যে ৩০ এবং দ্বিতীয় পত্রে ইংরেজি অনুবাদে ১৫, কাল্পনিক সংলাপে ১৫, পত্রলিখনে ১৫, গ্রন্থ সমালোচনায় ১৫ ও রচনায় ৪০। এই ২০০ নম্বরের প্রস্তুতির জন্য কী করা যায় বলা যাক।

অ) দশম থেকে ছত্রিশতম বিসিএসের শুধু ব্যাকরণ ও সাহিত্য অংশ পড়ে নেবেন। বাকিগুলো আপাতত বাদ।

আ) নম্বর বিভাজনের দিকে ভালো করে খেয়াল করলে দেখবেন, ৭০ নম্বর পড়ার কিছু নেই (সারমর্ম, ভাব-সম্প্রসারণ, কাল্পনিক সংলাপ ও পত্র)। এগুলো না পড়লেও আপনি ভালো লিখতে পারবেন। কারণ, তা কমন পড়বে না। আর কমন পড়ারও কিছু নেই। এ ক্ষেত্রে যেটা করবেন তা হলো, এগুলো লেখার সাধারণ নিয়মগুলো জেনে যাবেন। তাতেই হয়ে যাবে।

ই) অনুবাদে যে ১৫ নম্বর বরাদ্দ আছে, তা মূলত ইংরেজির পড়া। এটি আপনি ইংরেজি অনুবাদ অংশ থেকে প্রস্তুতি নিতে পারবেন। আর কারও যদি ইংরেজির মৌলিক জ্ঞান ভালো থাকে, তবে সে এই অনুবাদ এমনিই পারবে। আর অনুবাদ কখনোই কমন পড়বে না।

ঈ) ব্যাকরণ অংশে কিছু টপিকস নির্দিষ্ট আছে। যেমন শব্দগঠন, বানান ও বানানের নিয়ম, বাক্য শুদ্ধি ও প্রয়োগ-অপপ্রয়োগ, প্রবাদের নিহিতার্থ ব্যাখ্যা ও বাক্যগঠন। মনোযোগ দিয়ে পড়লে অল্প সময়ে এর জন্য ভালো প্রস্তুতি নেওয়া যায়।

উ) সাহিত্য অংশটির পরিধি বেশ বড়। তাই যেটা করবেন, পিএসসি নির্ধারিত ১১ জন লেখক সম্পর্কে প্রথমে ভালো করে পড়বেন। তারপর বাছাই করে অন্য লেখকদের সাহিত্যকর্ম দেখবেন।

ঊ) সাহিত্য অংশ পড়ার জন্য ড. সৌমিত্র শেখরের বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা বইটি অনুসরণ করতে পারেন। অনেকে হয়তো এটি প্রিলিতেও পড়েছেন।

ঋ) গ্রন্থ সমালোচনা একটি কঠিন বিষয়। কারণ, গ্রন্থ সম্পর্কে না জানলে বা বইটি না পড়ে থাকলে তা আপনি লিখতে পারবেন না। তাই এই অংশে সময় দিতে হবে। এ ক্ষেত্রে সুপরিচিত গ্রন্থগুলোই পড়বেন। যদিও সুপরিচিত গ্রন্থের সংখ্যাও প্রচুর। তবে আশার কথা হলো, বিগত দুইটা বিসিএসে গ্রন্থের নাম সরাসরি উল্লেখ করেনি। থিম উল্লেখ করে প্রশ্ন করেছিল। গ্রন্থের নাম উল্লেখ করে দিলে বিপদে পড়বেন, যদি ভালো করে না পড়েন। তাই ভালো করে গুরুত্ব দিয়ে পড়বেন।

এ) মহসিনা মনজিলার শীকর বাংলা সাহিত্য থেকে গ্রন্থ সমালোচনা অংশটি পড়বেন।

ঐ) রচনার জন্য আপনাকে বাংলার চেয়ে বেশি জানতে হবে সাধারণ জ্ঞান। ধরুন, রচনা এল ‘জলবায়ু পরিবর্তন: বাংলাদেশ ও বিশ্ব’। এটি লিখতে হলে জলবায়ুর সব প্রয়োজনীয় তথ্যই লাগবে, যা মূলত সাধারণ জ্ঞান। তথ্য, পয়েন্ট, উক্তি ছাড়া রচনা লিখে খুব বেশি লাভ হবে না। ২০টি রচনা বাছাই করে পড়বেন। প্রয়োজন হলে ইংরেজি রচনার সঙ্গে সমন্বয় করে পড়বেন।

ও) বাজার থেকে যেকোনো একটি লিখিত গাইড সংগ্রহ করে নেবেন। সেখান থেকে বিগত প্রশ্ন, ব্যাকরণ, রচনা ও প্রয়োজনীয় জিনিস পড়ে নেবেন।

ঔ) মাঝে মাঝে নিজে নিজে পরীক্ষা দিয়ে যাচাই করে দেখবেন, ঠিক সময়ে সব শেষ করতে পারছেন কি না। লিখিত পরীক্ষায় সব লিখে আসাও একটা বিরাট সাফল্য।

এভাবে বাংলার জন্য প্রস্তুতি নিন। আশা করি, ভালো কিছু সম্ভব হবে। লিখিত পরীক্ষায় না পড়েও কিছু জিনিস ভালো লিখে আসা যায়। তাই এত চাপ নেওয়ার বা ভয় পাওয়ার কিছু নেই। স্বাভাবিকভাবে প্রস্তুতি নিন। আর সামনের দিনগুলো নিজেকে ও পড়ার কাজে দিন। সবার জন্য শুভকামনা।

লেখক: প্রশাসন ক্যাডার (২য় স্থান), ৩৪তম বিসিএস।

সবার আগে Google News আপডেট পেতে Follower ক্লিক করুন

লিখিত পরীক্ষায় ইংরেজি একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করে আছে। এতে ভালো না করলে গড় নম্বর অনেক কমে যাবে। এখানে পার্ট এ এবং পার্ট বি মিলিয়ে মোট দুই শত নম্বর বরাদ্দ আছে। রিডিং কম্প্রিহেনশন থেকে ১০০ নম্বর যা সাধারণ প্রশ্ন ৩০, ব্যাকরণ ৩০, সম্পাদকের নিকট চিঠি ২০ এবং সারাংশ ২০ নম্বর যোগ করলে পাওয়া যায়। আর পার্ট বি তে বাংলা থেকে ইংরেজি অনুবাদ ২৫, ইংরেজি থেকে বাংলা ২৫ এবং রচনায় ৫০সহ মোট ১০০ নম্বর। সর্বমোট ২০০ নম্বর। সময় পাওয়া যাবে চার ঘণ্টা। আর ইংরেজিতে রাতারাতি ভালো করা যায় না। আবার অনেক টপিকস আছে যা সরাসরি পরীক্ষায় আসবে না। অর্থাৎ কমন পড়বে না। অনেকের ধারণা, কমন যেহেতু পড়বে না তাহলে পড়ে লাভ কী! লাভ হলো, আপনার চর্চা বহাল থাকলে সহজে পরীক্ষার হলে উত্তর দিতে পারবেন। একটা কথা মনে রাখবেন, কতগুলো অনুশীলন করলেন তা গুরুত্বপূর্ণ নয়; গুরুত্বপূর্ণ হলো আপনি কতটা বুঝে বুঝে করলেন। তাই বুঝে বুঝে অনুশীলন করা ছাড়া ভালো কিছু হবে না। ভালো করার কিছু পরামর্শ—

ক. দশম থেকে ছত্রিশতম বিসিএসের শুধু ব্যাকরণ অংশটি পড়ে নেবেন। বাকিগুলো না পড়লেও চলবে।
খ. কম্প্রিহেনশন যত পারেন পড়ুন। পড়ার সময় চারটি বিষয় মাথায় রাখবেন। যথা-১. অজানা শব্দের অর্থ অবশ্যই আয়ত্ত করবেন।
২. বাক্যের অর্থ বোঝার চেষ্টা করবেন।
৩. পুরো প্যাসেজের মূল কথা বের করুন।
৪. সাধারণ প্রশ্নগুলোর উত্তর দেবেন।

বাকি প্রশ্নগুলো অনুশীলন না করলেও চলবে। প্রয়োজনে অল্প কম্প্রিহেনশন চর্চা করবেন। কিন্তু ভাসা ভাসা করে দ্রুত শেষ করতে যাবেন না। এতে সব বৃথা যাবে। আর একটা কথা, ইংরেজি পত্রিকার সমসাময়িক তাৎপর্যপূর্ণ কলাম বা লেখা পড়তে পারেন। তার অর্থ বোঝার চেষ্টা করুন। এটা পরোক্ষভাবে আপনাকে রিডিং কম্প্রিহেনশনে সাহায্য করবে। ৩৫তম বিসিএস পত্রিকায় একটি খবর থেকেই প্যাসেজ এসেছিল।

গ. ব্যাকরণ অংশে নতুন কিছু নেই। যা আপনি প্রিলিতে পড়েছেন তা-ই। একবার চোখ বুলিয়ে নেবেন।

ঘ. প্যাসেজ থেকেই সামারি করতে হয়। এ ক্ষেত্রে ভুলেও কোনো হুবহু বাক্য গ্রহণ করতে যাবেন না। নিজের মতো করে লিখবেন। বাসায় অনুশীলন করুন, ভুল কমে আসবে। আর এটা এত পড়ার কিছু নেই।

ঙ. সম্পাদকের নিকট চিঠি পড়ার কিছু নেই। শুধু নিয়মকানুন জেনে রাখুন। তাতেই হবে। আর দুই পৃষ্ঠার বেশি অবশ্যই লিখবেন না।

চ. ফ্রি হ্যান্ড রাইটিং ইংরেজিতে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কোন কোন বিষয় আয়ত্তে থাকলে আপনি ইংরেজি লেখায় ভালো করবেন তা বলা হলো।১. শব্দের অর্থ শিখুন। যত পারা যায়। অনেকে বলে মনে থাকে না। কিছু ভুলে যাবেন, এটাই স্বাভাবিক। তাই বলে পড়া থামাবেন না। যা গিয়ে যা থাকে তা-ই লাভ। শব্দের অর্থ না জানলে আপনি লিখতে পারবেন না। তাই ফ্রি হ্যান্ড রাইটিংয়ে ভালো করতে হলে আপনার শব্দভান্ডার মজবুত থাকতে হবে। আর এটি কিন্তু চলমান প্রক্রিয়া। শব্দ শেখার মধ্যেই থাকবেন। হোক অল্প।

২. মানসম্মত রাইটিংসয়ের জন্য টেকনিক্যাল কিছু শব্দের অর্থ বা শব্দগুচ্ছ শিখবেন। যেমন- ধনী গরিব নির্বিশেষে-এর ইংরেজি হবে Irrespective of rich and poor. আপনি যদি অন্যভাবে বলেন তবে মানসম্মত লেখা হবে না। আপনার লেখার মান ভালো হলে নম্বর ভালো আসবে। এটা তো স্বাভাবিক।

৩. ইংরেজি বাক্য লেখার সময় আপনাকে প্রিপোজিশন ব্যবহার করতেই হয়। এতে অনেকেই ভুল করে। তাই শুদ্ধ বাক্য লিখতে হলে এ সম্পর্কে ভালো ধারণা থাকতে হবে। এ জন্য প্রিপোজিশনগুলোর বাংলা অর্থ ও সাধারণ ব্যবহার জেনে নেবেন। অবশ্যই বুঝে বুঝে পড়বেন। আর কিছু Appropriate Preposition পড়ে নেবেন। তাহলে আস্তে আস্তে ভুল কমে যাবে।

৪. Tense সম্পর্কে ভালো ধারণা থাকতে হবে। এটা ছাড়া কিছু করার নেই। ১২টি টেন্স বাংলা সংজ্ঞা, চেনার উপায় ও গঠনপ্রণালিসহ ভালো করে পড়বেন যেন বাক্য দেখলেই আপনি বোঝেন কোন টেন্স অনুযায়ী লিখতে হবে। ধরুন, আপনি বলতে চাচ্ছেন, কালকে স্কুলে যাব। এটি যদি এভাবে লিখেন, I was go school. তাহলে কী হলো। তাই ভালো করে টেন্স পড়ুন।

৫. প্রচুর অনুশীলন করুন। বুঝে বুঝে করুন। ফ্রি হ্যান্ড রাইটিংয়ের জন্য অনুশীলন ব্যাপক কাজে দেয়। সম্ভব হলে যে ফ্রি হ্যান্ডে ভালো তার সহায়তা নিতে পারেন। লেখার পর তাকে দেখাতে পারেন। সে ভুলগুলো চিহ্নিত করে দিলে বুঝে নিন। লজ্জার কিছু নেই।

৬. ইংরেজি পত্রিকা থেকে সাহায্য নেবেন। প্রত্যেক দিন দরকার নেই। কলামগুলো পড়ার সময় খেয়াল রাখবেন কীভাবে ওরা বাক্য তৈরি করল। এটা মাঝে মাঝে নিজেও অনুসরণ করবেন। আর নতুন শব্দ পেলে মুখস্থ রাখবেন।

৭. যদি সম্ভব হয় প্রতিদিন একটা টপিক ধরে এক পৃষ্ঠা করে লিখবেন। চর্চা না করলে তো হবে না। প্রথম দিকে সহজ টপিক নিয়ে লিখবেন। আস্তে আস্তে কঠিন নেবেন।

৮. তথ্যভিত্তিক ইংরেজি লেখা হলে শুধু ইংরেজিই লিখবেন না, সঙ্গে তথ্য দেবেন। এতে লেখার মান বাড়বে। আর রিডার সন্তুষ্ট হলে আপনার লাভ।

৯. টেন্স ও প্রিপোজিশন সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণার জন্য চৌধুরী অ্যান্ড হোসাইনের এসএসসি ইংলিশ সেকেন্ড পেপার গাইডটা পড়তে পারেন। ইংরেজি পত্রিকা The Daily Star নিন।

ছ. অনুবাদের জন্য ফ্রি হ্যান্ডের নিয়মগুলো বেশ কাজে দিবে। চর্চা করতে থাকুন। আর অনুবাদ শতভাগ মিলতে হবে, এমন কোনো কথা নেই। বড় বাক্য হলে ভেঙে একাধিক বাক্যও হতে পারে। থিমটা বোঝাতে পারলেই নম্বর আসবে।


জ. রচনা কোনটা আসবে বলা কঠিন। তবে দশটি কমন টপিকস সম্পর্কে ধারণা নিয়ে যান, যা আপনার সাধারণ জ্ঞান ও বাংলা রচনায়ও কাজে লাগবে। এই বিষয়গুলোতে তথ্য সংগ্রহ করতে থাকুন। নোট করুন। যথা- ১. নারী (নির্যাতন, উন্নয়ন, ক্ষমতায়ন, মুক্তি) ২. শিক্ষা (সমস্যা, নীতি, সম্ভাবনা, হার) ৩. গণতন্ত্র ( সমস্যা, সম্ভাবনা, বর্তমান চিত্র) ৪. দুর্নীতি চিত্র (টিআইবি, টিআই, বিভিন্ন খাতের অবস্থা) ৫. জ্বালানি পরিস্থিতি (বিদ্যুৎ, গ্যাস, খনিজ তেল, উৎপাদন, ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা) ৬. শিল্প (পোশাক, চামড়া, পর্যটনের সার্বিক দিক) ৭. দারিদ্র্য পরিস্থিতি (হার, কারণ, চিত্র, সরকারের পরিকল্পনা ও উদ্যোগ) ৮. আইসিটি চিত্র (মোবাইল, ইন্টারনেট, পরিকল্পনা, সুবিধা, অসুবিধা) ৯. পরিবেশ অবস্থা (ভূমিকম্প, জলবায়ু পরিবর্তন, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পদক্ষেপ) ১০. সন্ত্রাসবাদ (ধর্মীয়, রাজনৈতিক, আইএস, বোকো হারাম, প্রেক্ষাপট- বিশ্ব ও বাংলাদেশ, গৃহীত পদক্ষেপ)।

ঝ. বাজার থেকে যেকোনো একটি লিখিত ইংরেজি গাইড সংগ্রহ করে নিন। অনুশীলন ও বিগত প্রশ্ন পড়তে কাজে লাগবে।

অনেক কিছু তো হলো আর দরকার নেই। এবার কাজে লেগে পড়ুন। আশা করি, আপনার ইংরেজির উন্নতি হবে। ধন্যবাদ।

সবার আগে Google News আপডেট পেতে Follower ক্লিক করুন

আজকে কথা বলব আমাদের ম্যাথের অন্যতম important অংশ, ত্রিকোণমিতি ও পরিমিতি নিয়ে। সারাজীবন এটিকে হয়ত আমরা একটু ভয় পাওয়া বিষয় হিসেবে ভেবে এসেছি। আসুন,মজার বিষয়টা জানা যাক।

মুলত ত্রিকোণমিতি ও জ্যামিতি খুব কাছাকাছি অবস্থান করে থাকে। জ্যামিতির ত্রিভুজের concept এই ত্রিকোণমিতিতে লুকিয়ে থাকে। আপনি যদি ত্রিভুজের প্রতি ভালবাসা বানাতে পারেন, তাহলে খুব সহজেই আপনি ত্রিকোণমিতি বুঝতে পারেন। আর একটু specific করে বললে বলতে হবে, সমকোনী ত্রিভুজ এর মধ্যেই ত্রিকোণমিতি লুকিয়ে আছে। আপনি হাতে খাতা কলম থাকলে একটা সমকোনী ত্রিভুজ আকতে পারেন। একদম খাড়া হয়ে থাকা দাগটি হচ্ছে লম্ব, যেটিকে আপনি একটি বিল্ডিং বলতে পারেন। তাহলে যদি বিল্ডিং এর পিছনে সূর্য মামা থাকে, তাহলে কিন্তু দালানের ছায়া হবে। যেটি কিনা দালানের সামনেত দিকে গিয়ে পড়বে। ছায়ার প্রান্ত থেকে দালানের নিচের প্রান্ত পর্যন্ত দাগ কাটলেই ভূমি পাবেন। আর যদি ছায়ার প্রান্ত থেকে দালানের উপড়ের প্রান্তে দাগ কাটেন, তবেই অতিভুজ পাবেন। তাহলে অনেক সহজে আমরা সমকোনী ত্রিভুজের হিসেব থেকে দালান, সূর্য, ছায়ার বিষয় নিয়ে আসতে পারি। ঠিক এইভাবেই ভাবতে হবে, তাহলে ম্যাথ মনে হবে ভাষা।

এবার আপনি তো জানেন, এখানে তিনটি কোন হয়েছে। আবার প্রতিটি কোনের দুটি বাহু আছে। এবার একটা জিনিস বলি ত্রিকোণমিতিতে বারবার শুনেছেন, উন্নতি কোনের কথা, এবার এটা একটু জানার চেষ্টা করা যাক। আবার অনেক সময় অবনতি কোন দেয়া হলেও সেখান থেকে উন্নতি কোন বের করতে হয়। যাই হোক মুলত ছায়ার যে প্রান্ত থেকে দালানের উপরে দিকে দাগ দিয়েছেন, সেটি হল উন্নতি কোন এর কারনে হয়েছে। দেখবেন ভূমি আর অতিভুজ মিলেই এই কোন বানিয়েছে। এবার যারা ম্যাথ নিয়ে কাজ করত, তাদের মাথায় আসল কিভাবে নামকরন করা যায়। ভূমি আর লম্বের যে relation, তার নাম দিল Tan, লম্ব আর অতিভুজের সম্পককে নাম দিল sin আর ভূমি আর অতিভুজের সম্পক কে নাম দিল cos. এভাবেই ত্রিকোণমিতি তে মানুষ পদক্ষেপ করল।

এবার আসল এদের মান গুলি বের করার পালা। এটা কিন্তু মানুষ দরকারে বের করেনি। সময় তাদের যথাযথভাবে বের করিয়েছে। আমরা বইয়ে অনেকেই না বুঝে এগুলো মুখস্ত করেছি। কিন্তু আমরা চাইলেই এগুলি নিজে বুঝে বুঝে মুখস্থ করতে পারি। এরপর মানুষ বুঝল যা দিয়ে আমরা কেবল দালানের উচ্চতা মাপি তা দিয়ে অনুপাতের সুত্র ব্যবহার করে চাঁদের দূরত্বও মাপতে পারি। আরো নানা কাজে ত্রিকোণমিতি ব্যবহার করা শুরু হল। কিন্তু সমস্যা হল অন্য জায়গাতে গিয়ে। sin 60 বের করা যায়। কিন্তু circle এর highest degree হল 360. অধিকিন্তু sin 540 এর মান বের করতে হবে, তখন কি করব!! ধীরে ধীরে মানুষ advance trigonometry বুঝতে শুরু করল। কিন্তু সমস্যা হল এত সমস্যা কি হাতে কলমে করা যায় নাকি, তখন সমস্যা মেশিন দিয়ে সমাধান করা শুরু করল। এইভাবে একটি সাধারন জিনিস কে complex করতে করতে advance level এ পর্যন্ত আসলো।

যা হোক,এবার আসি ত্রিকোণমিতির ম্যাথগুলি অনুশীলন করার ব্যাপারে। ক্লাস ৯ এর পুরানো সিলেবাসের জ্যামিতি,ত্রিকোণমিতি ও পরিমিতির একটা বই আছে। ওই বইয়ের অধ্যায় গুলির সূত্রগুলো ভালোভাবে বুঝে বুঝে ম্যাথগুলি করলে দেখবেন যে ম্যাথগুলি খুব সহজে নিজের দখলে চলে এসেছে।বুঝে বুঝে করতে একটু সময় বেশি লাগবে কিন্তু এতে আপনার ম্যাথ করার দক্ষতা বাড়বে এবং সহজে নিয়মগুলো মনে থাকবে।এরপর যেকোনো একটা গাইড বই থেকে এই related ম্যাথগুলো সমাধান করে ফেলুন।

এবার আসা যাক পরিমিতির ব্যাপারে।পরিমিতিতে ভাল করার জন্য একটু ভাল বেসিক তৈরি করাটা জরুরি।ত্রিভুজ, আয়তক্ষেত্র, সামান্তরিক, বর্গ, রম্বস, ঘনক, কোণ, সিলিন্ডার,বেলন- এগুলো থেকে ম্যাথ বেশি আছে।তাই এ বিষয়গুলো খুব ভালোভাবে শিখতে হবে। সূত্রগুলো মুখস্ত করার আগে সূত্রগুলো কিভাবে আসে, এটা ভাল করে বুঝতে হবে।যদি এটা শেখা যায়, তবে যত কঠিন ম্যাথ আসুক না কেন, solve করা যাবে। ক্লাস ৯ এর পুরানো সিলেবাসের জ্যামিতি, ত্রিকোণমিতি ও পরিমিতির বই থেকে সূত্রগুলো পাবেন ব্যাখ্যাসহ।

আরও ভালোভাবে সূত্রগুলো শিখতে ইন্টারনেট এর সাহায্য নেয়া যেতে পারে।এরপর ওই বইটার পরিমিতির ম্যাথগুলো একটু ভালোভাবে সমাধান করলে দেখবেন ভালো দক্ষতা চলে এসেছে পরিমিতির ব্যাপারে। এরপর যেকোনো একটা গাইড বই থেকে এই related ম্যাথগুলো সমাধান করে ফেলুন।

আসলে লেখার মাধ্যমে তো আর সূতগুলো সহজে ব্যাখ্যা করা সম্ভব না। ত্রিকোণমিতির ও পরিমিতির সূত্রগুলো খুব সহজে ভেঙ্গে ভেঙ্গে ব্যাখ্যা করা যায় এবং একটা সুত্রের সাথে অন্য সূত্রের সম্পর্ক বের করা যায়। এছাড়াও চিত্র এঁকে খুব সহজে ব্যাখ্যা করা যায়। সূতগুলো যত ভালভাবে ভেঙ্গে ভেঙ্গে চিত্রের মাধ্যমে বুঝা যাবে, তত ভালোভাবে এই সম্পর্কিত ম্যাথ গুলি করা যাবে। এটা সত্য, একটা জটিল বিষয় বুঝতে কঠিন, কিন্তু তার বেসিক থেকে এগিয়ে গেলে দক্ষতার সাথে জটিলতা দূর করা যায়।

সূত্রগুলো ভালো করে বুঝে ম্যাথ করতে বলা হয় এই কারনে যে, যেটুকু আমার শিখব, ওটুকু যেন আমাদের মাথায় খুব ভাল করে গেঁথে যায়,ওটুকু থেকে কোন কিছু পরীক্ষায় আসলে আমরা যেন ভুল না করি। ত্রিকোণমিতি ও পরিমিতি অংশে ভালো করার জন্য নিয়মিত অনুশীলন করার কোন বিকল্প নেই।যত বেশি বেশি অনুশীলন, তত বেশি পরীক্ষায় ভাল করার সম্ভবনা………………Simple math!!!!!!!!!!!!!!!!!

লক্ষ্য স্থির করে পড়াশুনা চালিয়ে যান। সফলতা আসবেই। আজ এ পর্যন্তই থাক। সবাই ভাল থাকবেন।

লেখা বিষয়ে কোন পরামর্শ থাকলে আমার ইনবক্সে যোগাযোগ করতে পারেন। ফেইসবুক আইডিঃ Avizit Basak

“Don’t spend time beating on a wall, hoping to transform it into a door. ” ― Coco Chane

বি দ্রঃ লেখাটাতে শুধু আমার নিজের আইডিয়া অনুযায়ী ধারণা দেয়া হয়েছে। আপনি আপনার মত করেও প্রস্তুতি নিতে পারেন। সফল হবার জন্য যে প্রস্তুতি দরকার, সেটা সম্পন্ন করাটাই মুখ্য কাজ।আর ছোটখাটো বা অনিচ্ছাকৃত কোনও ভুল থাকলে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন দয়া করে।

সবার আগে Google News আপডেট পেতে Follower ক্লিক করুন

লিখিত পরীক্ষা একদম সন্নিকটে । পরীক্ষা যত এগিয়ে আসতে থাকে একটু হলেও তো দুশ্চিন্তা বাড়তে থাকে । কিন্তু পরীক্ষা নিয়ে খুব বেশি দুশ্চিন্তা করা ঠিক হবেনা । লিখিত পরীক্ষায় ভালো করতে হলে অবশ্যই লিখার মান ভালো থাকতে হবে । একই সাথে সময়ের সঠিক ব্যবহারের দিকেও দিতে হবে বিশেষ নজর । যেকোনো পরীক্ষার প্রশ্নে আগে দেখতে হবে সেই বিষয়ে কতগুলো প্রশ্ন এসেছে , কোন প্রশ্নের নম্বর কত ইত্যাদির ওপর নির্ভর করে কোন প্রশ্নের উত্তর কতটুকু লিখবেন সেটা সিদ্ধান্ত নিবেন। লিখিত পরীক্ষার প্রতিটি বিষয়ের বিগত বছরের প্রশ্ন কেমন হয়েছে, প্রশ্নের ধরণ কেমন ছিল এসব জেনে একটা প্ল্যান অনুযায়ী পরীক্ষা দিতে গেলে পরীক্ষায় ভালো করাটা অনেকটা সহজ হবে । আপনি বিগত বছরের প্রতিটি পরীক্ষার প্রশ্নগুলো দেখে প্রত্যেকটা বিষয়ে আগে থেকেই সিদ্ধান্ত নিয়ে রাখবেন যে কোন প্রশ্ন দিয়ে আপনি উত্তর করা শুরু করবেন । আর কয় পৃষ্ঠা লিখবেন , উত্তর কত বড় লিখবেন এসব নির্ভর করে সেই প্রশ্নে নম্বর কত তার ওপর । তবে লিখিত পরীক্ষায় যেসব প্রশ্নের উত্তরে পূর্ণ নম্বর পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি সেদিকে বিশেষ নজর দিতে হবে যেমন গনিত, বুদ্ধিমত্তা, বাংলা ও ইংরেজি গ্রামার, যেকোনো টীকা ছোট ছোট প্রশ্নের উত্তর ইত্যাদি । এখন প্রতিটি বিষয় সময় ভাগ করে নিয়ে মোটামুটি একটা রিভিশন দিতে পারেন, এখন নতুন কিছু স্টাডি করার চেয়ে আপনার লিখার কৌশলগত দিকের প্রতি বেশি খেয়াল রাখতে হবে । গদবাধা পাতাভরা লিখার চেয়ে সুন্দর , তথ্যপূর্ণ গোছানো লিখাটা জরুরী । আপনার খাতা দেখে যেন স্পেশাল মনে হয় । এখন অল্প সময়ে যেভাবে স্টাডি করতে পারেন

১ — বাংলা বিষয়ে এর মধ্যে আশা করি মোটামুটি হলেও টুকটাক স্টাডি করেছেন । এখানে মূলত আপনাকে যেটা স্টাডি করতে হবে তাহল গ্রামার আর সাহিত্য । ভাব সম্প্রসারণ, সারমর্ম , অনুবাদ, সাহিত্য সমালোচনা , রচনা এসব বানিয়েই লিখতে হয় । বানিয়ে লিখার মধ্যে যেন রশদ থাকে সেদিকে খেয়াল রাখবেন । বিভিন্ন ধরণের পত্র লিখার ধরণটা দেখে যাবেন । যারা আগে মোটামুটি একটু প্রস্তুতি নিয়েছিলেন তাদের জন্য এখন একটু সুবিধা হবে , গ্রামার আর সাহিত্য ডাইজেস্ট টাইপ যেকোনো বই থেকে দেখে নিতে পারেন । আগে যদি সমিত্র শেখর স্যারের বই এর সাহিত্য অংশ পড়া থাকে তাহলে একটু সুবিধা হবে । বাংলায় কোন প্রশ্নের উত্তরে কতটুকু সময় ব্যয় করবেন সেটা আগে থেকেই সিদ্ধান্ত নিয়ে রাখবেন ।

২ — ইংরেজিতেও সময় নিয়ে গ্রামার একটু দেখে নিন, আপনার দেখা vocabulary গুলোও একটু রিভিশন দিন, letter বা application লিখার ধরণটাও দেখে নিন । কিছু অনুবাদ চর্চা করুন যেকোনো গাইড থেকে বা যে বই থেকে আপনি স্টাডি করেছেন ।

৩ — গনিতের বিভিন্ন সূত্রগুলো একবার ঝালাই করে নিন । বিগত বছরের কিছু প্রশ্ন সমাধান করুন । যেকোনো গাইড থেকে প্রতিটা অধ্যায় ভিত্তিক সূত্র আর যে টাইপের প্রশ্ন বিগত বছরগুলোতে এসেছে সেগুলো কিছু সমাধান করুন । বুদ্ধিমত্তাও যেকোনো ডাইজেস্ট টাইপ গাইড থেকে একবেলা ৩-৪ ঘণ্টা একটানা দেখুন । মানসিক দক্ষতা আসলে সামগ্রিক প্রস্তুতির সমন্বয় । এটা নিয়ে বেশি ভাববেন না, বিগত বছরগুলোর প্রশ্নগুলোও একবার দেখতে পারেন । পরীক্ষার হলে কোন math সমাধান করতে গিয়ে করতে না পারলে মাথা গরম না করে অন্য math শুরু করুন । যাইহোক আপনাকে মাথা ঠাণ্ডা রাখতে হবে। সব পারতে হবে, সবাই সব পারবে এমন নয় বিষয়টি ।

৪ — বিজ্ঞান সময় নিয়ে একটু দেখুন । যেকোনো গাইড থেকেই দেখুন । এখন আপনাকে শর্টকাট দেখতে হবে । এজন্য আগে যারা একটু details স্টাডি করেছেন তাদের জন্য লিখিত পরীক্ষায় ভালো করাটা সহজ হবে । সুযোগ পেলে অবশ্যই বিজ্ঞান প্রশ্নের উত্তরে চিত্র দিয়ে আসবেন । অনেক বেশি প্রশ্ন আসলে আপনাকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে যে গড়ে প্রতি প্রশ্নের উত্তরে কতটুকু সময় নিবেন । লিখিত পরীক্ষায় সময় এর সঠিক ব্যবহার খুবই গুরুত্বপূর্ণ । যেকোনো চিত্র দিতে HSC এর বই থেকে সাহায্য নিতে পারেন । বিজ্ঞান বিগত বছরের প্রশ্নগুলোও একবার দেখে নিন । প্রিলির সময় ভালমতো স্টাডি করা থাকলে সেটা লিখিত পরীক্ষায় অনেক সাহায্য করে । নতুন করে খুব বেশি কিছু দেখার দরকার নেই, এতদিন যা দেখেছেন সেটা ভালো করে দেখে যান ।

৫ — সাধারণ জ্ঞান ২ দিন দেখুন । বাংলাদেশ প্রসঙ্গ ২ দিন আর আন্তর্জাতিক একদিন দেখুন । সাধারণ জ্ঞান মূলত আপনাকে নিজের মত লিখতে হবে , তবে এখানে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে আপনি কততা গুছিয়ে তথ্যবহুল করে লিখতে পারলেন সেটা । অনেকেই কিন্তু অনেক ভালো প্রস্তুতি নিয়ে গিয়ে পরীক্ষার হলে সব লিখে আসতে পারেন না । মাথা বেশি ভারী করে পরীক্ষা দিতে গেলে পরীক্ষা খারাপ হবার সম্ভাবনা বাড়ে । বেশি দুশ্চিন্তা করলেও পরীক্ষা খারাপ হবার চান্স বাড়ে। সাধারণ জ্ঞানের কিছু প্রশ্ন আসে চিরন্তন আর কিছু আসে সাময়িক ঘটনাবলী থেকে । এজন্য এখন যেকোনো ডাইজেস্ট টাইপ গাইড থেকেই দেখে নিন । গাইড থেকে আপনি ধারণা নিবেন কিন্তু লিখবেন নিজের মত । টপিক তো সীমিত তা আপনি জানেন যেমন নারী, পরিবেশ, বিশ্ব অস্থিরতা, জাতিসংঘ , সংবিধান, মুক্তিযুদ্ধ , উপমহাদেশের ইতিহাস, সামাজিক উন্নয়ন, দুর্নীতি ইত্যাদি । এসব টপিক থেকে কোন ধরণের প্রশ্নের উত্তর কিভাবে লিখা শুরু করবেন তা আগে থেকেই প্ল্যান করে রাখুন ।

সংজ্ঞা নাকি কবিতার লাইন, নাকি সংবিধানের অনুচ্ছেদের উদাহরণ নাকি কোন ঘটনার উল্লেখপূর্বক লিখা শুরু করবেন তা সিদ্ধান্ত আগেই নিয়ে রাখবেন । তাহলে লিখতে সুবিধা হবে । সাধারণ জ্ঞান বেশি প্রশ্ন আসলে প্রতিটি প্রশ্নে কম সময় নিয়ে এর মাঝে বিভিন্ন reference দিয়ে গুছিয়ে লিখার চেষ্টা করবেন । সুযোগ সুবিধামত ছক, ম্যাপ, বিখ্যাত ব্যক্তির অবদান , পত্রিকার reference , বিখ্যাত বই এর reference ইত্যাদি দিতে পারেন । আন্তর্জাতিকেও তাই, সাম্প্রতিক ঘটনাবলী নিয়ে যেকোনো গাইড থেকে দেখে নিন, কিন্তু reference দিবেন নিজের মত । reference লিখার সময় নীল কালি ব্যবহার করতে পারেন । প্রশ্নের নম্বর অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নিবেন যে কতটুকু লিখবেন । সংবিধানের উল্লেখযোগ্য অনুচ্ছেদগুলো দেখুন, হুবুহু লিখতে না পারলে অনুচ্ছেদ এর নম্বর ঠিক রেখে নিজের মত করে লিখুন, তবে খেয়াল রাখবেন আপনার লিখা যেন মূলকথা থেকে যেন বিচ্ছিন্ন না হয় ।

** এখন জাস্ট প্ল্যান করা, খুব বেশি স্টাডি করে মাথা গরম করা বা নতুন অনেক বেশি কিছু পড়তে যাওয়া এসব করা যাবেনা । প্রেশার নিবেন না খুব বেশি, তাহলে পরীক্ষা খারাপ হবার সম্ভাবনা বাড়বে । পরীক্ষার হলে যাওয়ার আগে কয়েকটি কলম নিয়ে যান , পুড়নো কলম মানে কিছু কালি খরচ করা কলম হলে ভালো হয়, অনেকসময় নতুন কলমে জোরে লিখতে সমস্যা হয় । সাথে পেন্সিল, ইরেজার , স্কেল, নীল কালির কলম ইত্যাদি নিয়ে যাবেন । খাতা পাওয়ার পর ঠাণ্ডা মাথায় সবকিছু পূরণ করুন । প্রশ্নপত্র হাতে পাওয়া মাত্র লিখা শুরু করতে যাবেন না , আগে ঠাণ্ডা মাথায় একবার দেখুন প্রশ্নপত্রটি , কয়টি উত্তর করতে হবে, কোন বাধ্যবাধকতা আছে কিনা দেখে নিন ভালমতো । কয়টা প্রশ্ন ভালো পারেন আর কয়টি বানিয়ে লিখতে হবে তখনই সিদ্ধান্ত নিবেন । যেটা সবচেয়ে ভালো পারবেন সেটা দিয়ে উত্তর করা করবেন ।


পরীক্ষায় সব প্রশ্ন কমন পাবেন এমনটি নয়, ৫০% স্টাডি থেকে পাবেন আর ৫০% নিজের লব্ধ জ্ঞান থেকে আপনাকে লিখে আসতে হবে । কোন কিছু না পারলে নার্ভাস হবেন না, দেখা যাবে আপনি যা পারছেন না অনেকেই তা পারছে না । কে কি উত্তর করছে , কে কেমন পরীক্ষা দিচ্ছে এসবের চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল আপনি কেমন পরীক্ষা দিচ্ছেন। সব পরীক্ষা সমান ভালো দেয়া সম্ভব না, কিন্তু চেষ্টা করবেন গড়ে যেন সব পরীক্ষাই মোটামুটি ভালো হয় । কোন প্রশ্ন ছেড়ে আসার চেষ্টা করবেন না, কিছু হলেও লিখে আসবেন । ভালো প্রস্তুতি নিয়ে খারাপ পরীক্ষা না দিয়ে , খারাপ প্রস্তুতি থাকা সত্ত্বেও ভালো পরীক্ষা দেয়ার চেষ্টা করবেন, এতে লাভ বেশি। কনফিডেন্স রাখুন নিজের ওপর । এই অল্প সময়ে প্রতিটি বিষয় মোটামুটি দেখে যাওয়ার চেষ্টা করবেন । অবশ্যই খেয়ে পরীক্ষা দিতে যাবেন , পারলে সাথে ছোট এক বোতলে গ্লুকোজ পানি , মাথাব্যথার ওষুধ আর এসিডটির ওষুধ নিয়ে যেতে পারেন, অনেককে সমস্যায় পড়তে দেখেছি তো তাই বললাম । বেশি প্রেশার নিতে যাবেন না এখন, বেশি স্টাডি করার চেয়ে প্রতিটি পরীক্ষা প্ল্যান করে দেয়ার চেষ্টা করবেন । আর কি বলবো, মাথায় আসছে না, ভালো থাকবেন সবাই, good luck guys.

সবার আগে Google News আপডেট পেতে Follower ক্লিক করুন

সেজন্য ক্ষমা চাচ্ছি। প্রথমে একটা কথা বলি মনে রাখুন বিসিএস ক্যাডার দু‘ভাবে হওয়া যায়

  1. ক্যাডার হয়ে( ট্যাকটিকালি পড়ে)
  2. বিসিএস বিশেষজ্ঞ হয়ে ( অনেক পড়ে ) এরা অনেক সময় ই ফেল মারে।(বিসিএস বিশেষজ্ঞ হওয়ার বা অনেক কিছু জানার জন্য অনেক সময় পাবেন ।)

এখন ডিসিশন নিন কোনটা করবেন ।
বিসিএস সিলেবাস যেহেতু অনেক বড় সেহেতু একটি কথা মনে রাখুন ‘‘কিছু কিছু বিষয়ের সব কিছু আর সব কিছু বিষয়ের কিছু কিছু‘‘ । এইটায় আপনাকে খুঁজে বাহির করতে হবে যে কোন কোন টপিকস গুলো বেশি গুরুত্বপূর্ণ । আবার এমন কিছু টপিকস আছে যা বার বার আসে ও এক সাবজেক্ট এর বিষয় অন্য সাবজেক্টে মিল থাকে। যেমন: বাংলাদেশ, আন্তর্জাতিক এর কিছু কিছু বিষয় মিল আছে , আবার এদের সাথে বাংলা ২য় পত্রের রচনা মিল আছে । সুতরাং এইক্ষেত্রে আপনাকে সমন্বয় করতে হবে। পড়া শুরু করার সবার আগে সিলেবাস নিয়ে বসুন , পড়ুন। এবার বিগত সালের প্রশ্ন গুলো ভালো করে দেখুন ও সিলেবাসের টপিকসের মেলানোর চেষ্টা করুন এবং অধ্যায় ভিত্তিক সাজেসন্স তৈরি করুন। সবার আগে নিজের সাজেসন্সটা সবচেয়ে বেশি কার্যকরী হয় কারণ Only the Wearer knows where the Shoes pinches. অধ্যায় ভিত্তিক সাজেসন্স করার পর পড়ালেখা শুরু এবং ডেটা কালেকশন শুরু। মনে রাখবেন সঠিক পরিকল্পনা ছাড়া রিটেনের সিলেবাস শেষ করা যায় না । কথায় আছে Well plan ,Half done . আবার ভালো পরিকল্পনা ও কৌশল দিয়ে বিসিএস ভালো করার রেকর্ড বেশি ।সেদিকে নজর দিন।

এখন আসি , কি কি বই পড়বেন ? বা কি কি বই কিনবেন । এক কথায় উত্তর দিতে বললে বলব প্রফেসর‘স কিংবা ওরাকল বা অ্যাসুরেন্স সিরিজ গুলোর মধ্যে যেকোন দুই সেট বই কিনলেই হবে। আর যদি খুঁতখুতে ভাব থাকে তাহলে তাদের জন্য বলব…….

১।বাংলা
———-
সৌমিত্র শেখরের জিজ্ঞাসা ও দর্পন, হায়াদ মামুদের ভাষা ও শিক্ষা (ব্যাকরণ পাঠের জন্য ) , গ্রন্থ সমালোচনার জন্য মোহসিনা নাজিলার শীকর এবং প্রফেসর‘স বাংলা / ওরাকল বাংলা ।>> বিগত সালের সাহিত্য প্রশ্ন গুলোর জন্য

২। ইংরেজি
———–
ভালো মানের গ্রামার যেটা আপনি ভালো বোঝেন (বেসিক রুলসের জন্য), ১১-১২শ্রেণির ইংরেজি কম্প্রিহেসন বই , প্রফেসর‘স ইংরেজি/ সেলফ অ্যাসেসমেন্ট ইংরেজি। নিয়মিত ইংরেজি পত্রিকা পড়া ,কিছু নোট করা , আর ফ্রি হ্যান্ড রাইটিং জোর দেওয়া। নিয়মিত ৩ ঘণ্টা করে সময় দিন ইংরেজিতে । মনে রাখবেন ইংরেজি আর গণিত ই আপনাকে ক্যাডার পাওয়া দৌড়ে এগিয়ে রাখবে। বাকি সাব গুলো কিছু দিন মনোযোগ দিয়ে পড়লেই পেরে যাবেন।

৩। বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী
———————————————-
প্রফেসর‘স বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী ভালো ও নির্ভরযোগ্য তথ্য পাবেন। । অর্থনৈতিক সমীক্ষা -২০১৫ মুল টার দাম অনেক কয়েকজন কিনে ফটোকপি করেন।। আরিফ খানের > সংবিধান। টাকা থাকলে মিলারস প্রকাশনীর বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক এর দুটো কিনতে পারেন ওখানে পয়েন্ট আকারে দেওয়া অনেক বিষয় । তাছাড়া আন্তর্জাতিকের জন্য কিছু বেসিক কনসেপ্টর জন্য উচ্চমাধ্যমিকের পৌরনীতি বই ও আব্দুল হাইয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক , সংগঠন,ও পররাষ্ট্রনীতি বইটা কাছে রাখা ভালো।

পত্রিকা কাটিং , উক্তি , ম্যাপিং নিয়মিত অনুশীলন করা ভালো।
এই পার্টে খুব বেশি সময় না দেওয়াই ভালো । ম্যাটেরিয়ালস রেডি রাখবেন । শেষের দিকে জোর দেওয়া ভালো মনে থাকবে। আর চোখ কান খোলা রাখা ভালো কোথায় কি হচ্ছে সে দিকে।

৪। বিজ্ঞান
—————–
৯-১০শ্রেণির সাধারণ বিজ্ঞান(মানবিকের টাতে রিটেনে ৬টা চ্যাপ্টার পাবেন। ) তবে সিলেবাসের কিছু কিছু টপিকসের জন্য ৯-১২শ্রেণির পদার্থ, রসায়ন ও জীববিজ্ঞান বই থেকে পড়তে হবে , তাই কাছে রাখা ভালো। গাইড কিনলে ওরাকল বিজ্ঞান টা ভালো ।

কম্পিউটার ,ও তথ্য প্রযুক্তির জন্য ১১-১২শ্রেণির তথ্য প্রযুক্তি বই থেকে কিছু কিছু পাবেন। আর বাকিগুলো অ্যাসুরেন্সর বিজ্ঞান গাইড থেকে শুধু কম্পিউটার ও তথ্য প্রযুক্তি অংশটা ফটোকপি।

৫।গণিত
———–
পাটিগণিত যে ৩টা আসবে তা বিগত সালের গুলোকে ভালো করে আয়ত্বকরতে হবে। বীজগণিতের জন্য ৯-১০শ্রেণি বই থেকে টকিস ধরে ধরে পড়া ভালো। তাছাড়া বিগত সালের জ্যামিতি গুলো কণ্ঠস্থ করা উচিত যদি অংক কম পারেন।
বিন্যাস সমাবেশ > ১১-১২ শ্রেণির আফসারউজ্জামানের বীজগণিত ও ত্রিকোণোমিতি বই থেকে প্রাকটিস করতে হবে।
কার্তেসীয় জ্যামিতি >> ১১-১২ শ্রেণির আফসারউজ্জামানের জ্যামিতি বই থেকে দুটো চ্যাপ্টার করতে হবে। যারা কম বোঝেন তারা ১১-১২শ্রেণির পাঞ্জেরি গণিত গাইড থেকে দুটো চ্যাপ্টার ফটোকপি করতে পারেন ও ছোট ভাই বোনদের সাহায্য নিতে পারেন। গণিত শিখার জন্য কারো কাছে কোন সংকোচ বোধ না করাই ভালো
সাথে থাকবে >> প্রফেসর‘স গণিত ।

যদিও আপনি অনেক পারেন তবুও নিয়মিত ২ ঘণ্টা করে গণিত চর্চার বিকল্প নাই ।

৬। মানসিক দক্ষতা
—————
ওরাকল মানসিক দক্ষতা । সাথে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইভিনিং এমবিএ এ্যাডমিশন গাইড।

আর পরীক্ষার আগে যেকোন দুটো সিরিজের ডাইজেস্ট কিনা ভালো । বই কিনে কেউ কখনও দেওলিয়া হয় না।

অনেকেই জিজ্ঞাসা করেন কোচিং করব কিনা ? যারা ১ম বার তারা কোচিং করতে পারেন। আবার যাদের আলসেমি স্বভাব আছে তারাও যেতে পারেন । মনে রাখবেন কোচিং মানে নির্দেশনা নেওয়া তার মানে এই নয় যে তারা যা কিছু গলাদ করণ করতে বলবে সেটা করা । কোচিং গুলো বেহুদায় কোটি কোটি তথ্য মুখস্ত করতে বলে যেগুলো কাজে দেয় না শুধু পেইন দেয় । কোচিং এ যাবেন নির্দেশনার জন্য আবার সেই নির্দেশনাকে নিজের মতো করে নিবেন । সারা দিন পড়ে কোচিং এ যাবেন রিলাক্সের জন্য কিংবা যা পড়লাম তা মনে আছে কিনা তা যাছাইযের জন্য।

কয়েকজন ভালো বন্ধুর সাথে যোগাযোগ রাখুন যারা বিসিএস নিয়ে সিরিয়াস ও শেয়ারিং মানসিকতা আছে। পারলে গ্রুপ স্টাডি শুরু করতে পারেন। তবে পণ্ডিতদের কাছ থেকে ১০০ হাত দূরে থাকুন, কেননা এরা আপনার মনোবল কে দূর্বল করে দিবে। পারলে ছোট ভাইবোন/ গার্লফ্রেন্ড/ বয়ফ্রেণ্ড/ হাজব্যান্ড/ ওয়াইফের হাতে বই দিয়ে বলুন আমি এগুলো পড়েছি আমাকে ধর ত দেখি পারি কিনা । কিংবা আয়না সামনে দাঁড়িয়ে পঠিত বিষয়গুলো জায়র কাটতে পারেন। এটা ভীষন উপকারে দিবে।

ও হ্যাঁ একটা কথা বলতে ভুলেই গেছিলাম আর তা হল দ্রুত লেখার অভ্যাস করা সেজন্য প্রতিদিন কমপক্ষে ৪-৫ পৃষ্টা করে ঘড়ি ধরে লিখবেন কেননা আপনি অনেক কিছু জানেন কিন্তু সময়ের অভাবে লিখতে পারলেন না সেটা কোন কাজেই দিবে না। তাই আগেই থেকেই সর্তক হওয়া ভালো নইলে পরে পস্তাতে হয় ।খাতায় একটু ভিন্নভাবে উপস্থাপনে জন্য নিজস্ব কৌশল বাহির করুন। নিজেকে একটু ভিন্ন করে গড়ে তুলুন। খাতার পরিচ্ছনতার দিকে নজর দিন।
.

ভালো ভাবে প্রিপারেশন নিতে হলে আপনাকে টাইম ম্যানেজমেন্ট করতে হবে ভালভাবে। ঘোরা ঘুরি , টোনাটুনি ৫মাসের জন্য বন্ধ। ৫মাস পড়ে যদি ৩০বছর ভালো ভাবে লাইফ লিড করা যায় তাহলে কে না পড়ে থাকবে? আমার মনে হয় বিসিএস ক্যাডার হতে হলে আপনাকে আবার স্কুল লাইফে কিংবা ভার্সিটি এডমিশনের সময়ে ফিরে যেতে হবে। মনে করুন ত আপনি তখন কিভাবে , কত ঘণ্টা পড়েছিলেন । তাহলেই কেল্লা ফতে ।তখন পারলে এখনও পারবেন । ইস্টামিনাটা ওখান থেকে নিন।

‘‘কঠোর পরিশ্রম প্রতিভাকে হারাতে পারে , কিন্তু প্রতিভা কঠোর পরিশ্রমকে হারাতে পারে না।‘‘
’‘স্বপ্ন সেটা নয় ,যেটা মানুষ ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে দেখে, স্বপ্ন সেটাই যা মানুষকে ঘুমাতে দেয় না’’
.

আপনার বিসিএস ক্যাডার হওয়ার স্বপ্ন টা শুধু আপনার একার নয় ওটার সাথে জড়িয়ে আছে আপনার পরিবার , বন্ধু, শিক্ষকদেরও স্বপ্ন। আপনি কেন এই মানুষগুলোকে মিথ্যা স্বপ্ন দেখিয়েছেন ২৫ বছরে ধরে ! আপনার কারণে তাঁদের চোখে কেন জল আসবে ? আপনিত নিজের সাথেও প্রতারণা করতে পারেন না। এইসব কথা ভাবুন দেখবেন পড়াশুনায় গতি আসবে। সাথে সাথে স্রস্টার দিকে রজু হন। তিনি অব্যশই সাহায্য করবেন ।

যদি লক্ষ্য থাকে অটুট, বিশ্বাস হৃদয়ে; হবে হবেই দেখা, দেখা হবে বিজয়ে। সেই দিনটার অপেক্ষায় রইলাম। ভালো থাকবেন। মাঝে মাঝে আপনাদের একটু জ্বালাবো।

আল্লাহ হাফেজ।

সবার আগে Google News আপডেট পেতে Follower ক্লিক করুন

* কোন প্রশ্নে কত সময় দেব, সেটা প্রশ্নের গুরুত্ব এবং সময়বণ্টন অনুযায়ী ঠিক করে ফেলতাম।

* কে কী পড়েছে, সে খবর কিছুতেই নিতাম না। এ সময়ে মনমেজাজ খারাপ করার তো কোনো মানেই হয় না।
* যা যা পড়েছি, তার তেমন কিছুই মনে থাকবে না, এটা মেনে নিতাম।

* পরীক্ষায় বেশির ভাগ প্রশ্নের উত্তরই ওই মুহূর্তে মাথায় যা আসে তা-ই, কিংবা মাথায় কিছু না এলেও জোর করে এনে, লিখে দিয়ে আসতে হয়। তাই এত দিন যত কিছু পড়েছি, সেসব কিছুতে খুব দ্রুত চোখ বুলিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করতাম, যাতে পরীক্ষার হলে কোনো প্রশ্ন একেবারে আনকোরা মনে না হয়!

* পেনসিল, কলম, রাবার, চৌকোনা স্কেল, ক্যালকুলেটর এসব গুছিয়ে রাখতাম। পরীক্ষার হলে কয়েকটা ‘চালু কলম’ নেওয়া ভালো। (আমি মূল খাতাটির পৃষ্ঠাগুলোতে চারদিকে মার্জিন করে, অতিরিক্ত পৃষ্ঠাগুলোর চারদিকে ভাঁজ করে দিয়েছিলাম।)

* গড়ে প্রতি তিন-পাঁচ মিনিটে এক পৃষ্ঠা লিখে, পরীক্ষার হলে সবার আগে আমিই ‘লুজ শিট’ নেব, এ ব্যাপারটা মাথায় রাখতাম। লিখিত পরীক্ষা নিঃসন্দেহে ছোটবেলার ‘যত বেশি সম্ভব তত বেশি’ লেখার পরীক্ষা।

* বাসা থেকে বের হওয়া, ফেসবুকে ঘন ঘন লগইন করা, কোচিংয়ে যাওয়া, অনাবশ্যক ফোনে গল্প করা, এসব মাথাতেও আনতাম না।

* লিখিত পরীক্ষা সুস্থ শরীরে মাথা ঠিক রেখে তিন-চার ঘণ্টা না থেমে নিজের সর্বোচ্চটুকু দিয়ে একনাগাড়ে উত্তর লেখার পরীক্ষা। তাই, পরীক্ষার আগের রাতে অবশ্যই খুব ভালো একটা ঘুম দরকার।

* প্রস্তুতি ভালো কিংবা খারাপ যা-ই হোক না কেন, পরীক্ষায় ভালো করার একটা সিক্রেট হলো, পরীক্ষার হলে ‘আই অ্যাম দ্য বেস্ট!’ এ ভাবটা যতক্ষণ পরীক্ষা দিচ্ছি ততক্ষণ মনেপ্রাণে বিশ্বাস করে ধরে রাখা। এটা সত্যিই ম্যাজিকের মতো কাজ করে। আমার চেয়ে কেউ বেশি পারে, কিংবা আমার চেয়ে কেউ ভালো লিখছে, এটা মাথায় রাখলে আত্মবিশ্বাস কমে যাবে। ভালো পরীক্ষা দেওয়ার জন্য প্রস্তুতির চেয়ে পরীক্ষার হলে আত্মবিশ্বাসটাই বেশি কাজে লাগে।

* আমার অভিধানে ‘আনকমন প্রশ্ন’ বলে কিছু নেই। পরীক্ষায় প্রশ্ন কমন না এলে বানিয়ে লিখে দিয়ে আসতে হবে, বানাতে না পারলে কল্পনায় আনতে হবে, কল্পনায় না এলে জোর করে কল্পনা করতে হবে। আমি উত্তর করছি না, এটা কোনো সমস্যা না। সমস্যা হলো, কেউ না কেউ সেটা উত্তর করছে।

* আমি বিশ্বাস করি, ভালো প্রস্তুতি থাকলেই যেমনি ভালো পরীক্ষা দেওয়া যায় না, তেমনি খারাপ প্রস্তুতি থাকলেই খারাপ পরীক্ষা দেওয়া যায় না। ফলাফল সব সময়ই চূড়ান্ত ফলাফল বের হওয়ার পর, আগে নয়। এর আগ পর্যন্ত আমি কিছুতেই কারও চেয়ে কোনো অংশেই কম নই।

* আগে কী পড়েনি যা পড়া উচিত ছিল, সেটা নিয়ে মাথা খারাপ না করে, কী কী পড়েছি, সেটা নিয়ে ভাবতাম বেশি।

* লিখিত পরীক্ষায় এত দ্রুত আর এত বেশি লিখতে হয় যে মাঝেমধ্যে লিখতে লিখতে মনে হয় যেন হাতের আঙুলের জয়েন্টগুলো খুলে পড়ে যাবে। তবুও লিখেছি; ননস্টপ, আক্ষরিক অর্থেই। ওই তিন-চার ঘণ্টাতেই ছিল আমার জীবিকার ছক গাঁথা। বিসিএস পরীক্ষা মূলত লিখিত পরীক্ষায় বেশি মার্কস পাওয়ার পরীক্ষা।

* সংবিধানের সব ধারা আমার মুখস্থ ছিল না, অর্থনৈতিক সমীক্ষার তথ্য-উপাত্ত অত ভালো জানতাম না, মুখস্থবিদ্যা ছিল না, তবুও আমি চাকরি পেয়েছি। তবে আপনি পাবেন না কেন?

* এ সময়ে কিছু অভিনব প্রশ্নসমৃদ্ধ ‘টাচ অ্যান্ড পাস’ টাইপের সাজেশন পাওয়া যায়। এসব থেকে ১০০ হাত দূরে থাকতাম, নিজের সাজেশনসের ওপর নির্ভর করাই ভালো।

* যেসব প্রশ্ন বারবার পড়লেও মনে থাকে না, সেসব প্রশ্ন আমি বরাবরই এড়িয়ে গেছি। সবাই সবকিছু পারে না, সবকিছু সবার জন্য নয়।

* টেনশন থাকবেই। পরীক্ষা দিয়ে টেনশন করাটাও একটা সাধারণ ভদ্রতা। আমাকে না হয় কয়েকজন মানুষের প্রত্যাশার চাপ সামলাতে হয়, কিন্তু একজন সৌম্য সরকারকে তো অন্তত ১৬ কোটি মানুষের প্রত্যাশার চাপ মাথায় রেখে খেলতে হয়। ও পারলে আমি কেন পারব না?

* বেশি পড়া হলে ভালো পরীক্ষা দেওয়া যায়, এমনটা নাও হতে পারে। ভালো প্রস্তুতি নেওয়ার চেয়ে ভালো পরীক্ষা দেওয়াটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ।

* হাতের লেখা সুন্দর হোক বা না হোক, হাতের লেখা যাতে পড়া যায়। নীল কালিতে কোটেশন আর রেফারেন্স দিয়ে সবকিছু উত্তর করে হাতের লেখা সুন্দর রাখাটা রীতিমতো দুঃসাধ্য!

* কোন প্রশ্নের উত্তর কত পৃষ্ঠা লিখতে হবে, সেটা নির্ভর করে প্রশ্নটির নম্বর, গুরুত্ব, সময় আর আপনার লেখার দ্রুততার ওপর। সময় সবার জন্যই তো সমান, এটার সঠিক ব্যবস্থাপনাই আসল কথা।
‘এবার যা হয় হোক, পরেরবার একদম ফাটায়ে পরীক্ষা দেব’ এটা প্রতিবার পরীক্ষা দেওয়ার সময়ই আপনার মনে হতে থাকবে। এর আগে প্রথম আলোতে বিভিন্ন টপিক নিয়ে ছয়টি বিষয়ভিত্তিক লেখা এবং ৩৫টি পয়েন্টে ৩৫তম বিসিএস লিখিত পরীক্ষায় ভালো করার প্রস্তুতিকৌশল নিয়ে আমার লেখা এসেছিল। প্রয়োজনে সেগুলো পড়ে নিন। গুডলাক!

লেখক: ৩০ তম বিসিএেস প্রথম।

সবার আগে Google News আপডেট পেতে Follower ক্লিক করুন

চাকুরি

    Leave a Comment