বাংলা গ্রন্থ সমালোচনা- হাঙর নদী গ্রেনেড, হাঙর নদী গ্রেনেড কাব্যের সার্থকতা আলোচনা,বিসিএস লিখিত পরীক্ষার বিষয়ভিত্তিক প্রস্তুতি হাঙর নদী গ্রেনেড,হাঙর নদী গ্রেনেড বিসিএস গ্রন্থ সমালোচনা,হাঙর নদী গ্রেনেড

প্রশ্ন সমাধান: বাংলা গ্রন্থ সমালোচনা- হাঙর নদী গ্রেনেড, হাঙর নদী গ্রেনেড কাব্যের সার্থকতা আলোচনা,বিসিএস লিখিত পরীক্ষার বিষয়ভিত্তিক প্রস্তুতি হাঙর নদী গ্রেনেড,হাঙর নদী গ্রেনেড বিসিএস গ্রন্থ সমালোচনা,হাঙর নদী গ্রেনেড

গ্রন্থসমালোচনা
উপন্যাস: হাঙর নদী গ্রেনেড
লেখক: সেলিনা হোসেন
চরিত্র: বুড়ি, গফুর, সলীম , কলীম, রইস (বাক ও শ্রবণপ্রতিবন্ধী), রমিজা

১৯৭১ সালের বাংলাদেশের মুক্তি সংগ্রামকালের কাহিনী নিয়ে রচিত ‘হাঙ্গর নদী গ্রেনেড’ উপন্যাসটি সেলিনা হোসেনের এক অসাধারণ রচনা। এ উপন্যাসে তিনি মুক্তিযুদ্ধকালে গ্রামীণ জীবনের ঘটনা প্রবাহের
সুনিপুণ ছবি অঙ্কন করেছেন।

উপন্যাসের কেন্দ্রবিন্দুতে আছে ‘বুড়ি’ চরিত্রটি। হলদিগাঁ গ্রামের দুরন্ত কিশোরী বুড়ি। কৈশোর থেকেই সে চঞ্চলতায় ও উচ্ছলতায় ভরপুর। নিস্তাতই অল্প বয়সে বিয়ে হয় বিপত্নীক চাচাত ভাই গফুরের সাথে। গফুরের সাথে বিয়ে হওয়ায় সে রাতারাতি মা হয়ে যায় গফুরের আগের ঘরের দুই ছেলে সলীম ও কলীমের।


কিছুদিন পর বুড়ির নিজেরও একটি ছেলে সন্তান হয়। কিন্তু সে ছেলে আর দশটা শিশুর মত
নয়। সে বাক ও শ্রুতিপ্রতিবন্ধী। তার নাম রইস। এরই মধ্যে মারা যায় গফুর।


আরো ও সাজেশন:-

ছেলেরা বড় হয়, বুড়ি সলীমকে বিয়ে দেয় রমিজার সাথে, কলীমের বিয়ে পাকিপাকি করার সময় শুরু হয় মুক্তিযুদ্ধ। বন্ধ হয়ে যায় বিয়ের আলোচনা। যুদ্ধের ঢেউ হলদিগাঁ গ্রামেও লাগে। লণ্ডভণ্ড হয়ে যায় বুড়ির সাজানো গোছানো সংসার।

সলীম মুক্তিযুদ্ধে যায়। সলীমের তথ্য ও মুক্তিবাহিনীর খবর উদ্ধার করতে না পেরে কলীমকে পাকিস্তানী সৈন্য ও দোসররা বুড়ির সামনে নির্মমভাবে হত্যা করে।


একদিন হাফেজ ও কাদের নামের দুই মুক্তিযোদ্ধা যুদ্ধ করতে করতে শত্রুপক্ষের চোখ ফাঁকি দিয়ে আশ্রয় নেয় বুড়ির ঘরে। পিছু পিছু শত্রুরাও আসে বাড়িতে। সেই সময় বুড়ি মুক্তিযোদ্ধাদের বাঁচাতে নিজের প্রতিবন্ধী ছেলে রইসের হাতে এলএমজি তুলে দেয়।

মিলিটারীরা মুক্তিযোদ্ধা ভেবে রইসকে মায়ের সামনে গুলি করে হত্যা করে। নিজের সন্তানের জন্য দুঃখ না করে, মুক্তিযোদ্ধাদের বাঁচানোর আনন্দে বুড়ি পরিতৃপ্তির হাসি হাসে। বুড়ি বলে- ‘ওরা না বাঁচলে আমাদের বাঁচাবে কে?’

উপন্যাসের এই বুড়ি চরিত্রটির পরিণতি ও আকাঙ্ক্ষা, পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর অত্যাচার, রাজাকার বাহিনীর অপতৎপরতা অতি সূক্ষ্মভাবে তুলে ধরা হয়েছে।

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে অনেকেই উপন্যাস রচনা করেছেন। তবে সেলিনা হোসেনই প্রথম একজন নারীকে কেন্দ্র করে স্বাধীনতার যুদ্ধে সাধারণ মানুষের সংগ্রামের চিত্র তুলে ধরেছেন।

কত মা ছেলেকে যুদ্ধে পাঠিয়েছে, কত মা মুক্তিযোদ্ধাদের সাহায্য করেছে, কত মা দেশের স্বার্থে নানাভাবে নিজের স্বার্থ বিলিয়ে দিয়েছে। সব মায়ের সকল স্বার্থ ত্যাগকে ঔপন্যাসিক প্রতীকায়িত করেছেন। বুড়ি চরিত্রের মধ্য দিয়ে।

১৯৭১-এ সন্তানহারা মা বুড়ি বারবার আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয় এক সাগর রক্তের বিনিময়ে আমরা পেয়েছি স্বাধীনতা।
উপন্যাসে চরিত্র প্রকাশের প্রয়োজনে সংলাপ নির্মাণে আঞ্চলিক ভাষা ব্যবহার করেছেন।

লেখিকার অনায়াসলব্ধ লেখনীর কারণে মুক্তিযুদ্ধের এক ব্যতিক্রমী গল্প হিসেবে উপন্যাসটি আজও ব্যাপকভাবে জনপ্রিয়। চাষী নজরুল ইসলাম একই নামে উপন্যাসটির চলচ্চিত্রায়ণ করেন। চলচ্চিত্রটি ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করে।


Paragraph/Composition/Application/Email/Letter/Short Storiesউত্তর লিংক
ভাবসম্প্রসারণ/প্রবন্ধ, অনুচ্ছেদ/ রচনা/আবেদন পত্র/প্রতিবেদন/ চিঠি ও ইমেলউত্তর লিংক

✅ চলুন আরেকটু জানি:

মূলত একটি সত্য ঘটনা অবলম্বনে উপন্যাসটি রচিত। সেলিনা হোসেনের এক সাক্ষাতকার থেকে জানা যায়- ঘটনাটি ঘটেছিল যশোরের কালীগঞ্জ গ্রামে। ঘটনা এবং ঐ নারীকে যিনি দেখে এসেছেন। তার নাম অধ্যাপক আব্দুল হাফিজ।

মুক্তিযুদ্ধের সময় বিভিন্ন অঞ্চলে সাংবাদিক হিসেবে কাজ করেছেন। রাজশাহী মহিলা কলেজে সেলিনা হোসেন তার ছাত্রী ছিলেন। বিজয় দিবসের দিন সকালে তিনি সেলিনা হোসেনের সায়েন্স ল্যাবরেটরী কলোনির বাসায় এসেছিলেন এবং বলেছিলেন- একটা ঘটনা বলার জন্য এসেছি। তুমি এটা নিয়ে গল্প লিখবে। সেলিনা হোসেন ১৯৭২ সালে এ ঘটনা অবলম্বনে গল্প লিখেন। গল্পটি সমকালীন গল্পটি লেখিকা উপন্যাস আকারে লিখেন।

প্রশ্ন ও মতামত জানাতে পারেন আমাদের কে ইমেল : info@banglanewsexpress.com

আমরা আছি নিচের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুলোতে ও

Leave a Comment