পড়াশুনার কোন বয়স নাই চলো সবাই পড়তে যাই

পড়াশুনা পড়াশুনা পড়াশুনা
“পড়াশুনার কোন বয়স নাই চলো সবাই পড়তে যাই”

ডি এস বিতে এসে নিজে ছাত্রী ছাড়া কিছুই ভাবতে পারছিনা। সেই হাইস্কুলের ছাত্রীর মতো মনে হচ্ছে। মনে হচ্ছে কত পড়া বাকি পড়ে আছে আর আমি এতদিন কি করছিলাম❓❓

একাডেমিক লেখাপড়া শেষ করে সবাই যেন হাঁপ ছেড়ে বাঁচি ভাবি যে লেখাপড়া থেকে মুক্তি। এরই মাঝে কেউ কেউ চাকুরীর পরিক্ষার জন্য ছাত্রত্ব ধরে রাখলেও বেশিরভাগেরই আমার মতো অবস্থা।
যার ফলশ্রুতীতে অনেক সহজ বিষয় গুলো মাথা থেকে বের হয়ে যায়। ঠিক যেন “অনভ্যাসে বিদ্যা নাশ”।

এমনিতে আমি গল্পের বই পড়তে পছন্দ করি। তা হোক না ছোট বই বা বড় বই।
প্রথম দ্বিতীয় শ্রেনীর বাংলা বই ও যেন বাদ পড়েনা।
ঠিক তেমনি আজ নবম দশম শ্রেনীর বাংলা বইয়ের প্রথম গল্প ঈশ্বররচন্দ্র বিদ্যাসাগরের “প্রত্যুপকার” গল্পটি পড়লাম।
কেন পড়লাম জানেন?

আমি প্রত্যুপকার শব্দের অর্থ মনে করতে পারতেছিলাম না।🙈🙈কেউ লজ্জা দিবেন না প্লিজ।।
তবে গল্পটি পড়ে ভালো লেগেছে।
প্রত্যুপকার অর্থ উপকারীর প্রতি উপকার।

গল্পে আলী ইবনে আব্বাস নামের এক ব্যক্তি ডেমাস্কাস নামক এক জায়গায় প্রাননাশের মতো অবস্থায় উপনীত হন। একব্যক্তি তার বাড়িতে আলী ইবনে আব্বাস কে একমাস নিরাপদে আশ্রয় দেন। এবং যখন অনেক লোক বাগদাদে ফিরতে ছিল তখন তিনি যেন নিরাপদে তাদের সাথে ফিরতে পারে তার জন্য ঘোড়া, স্বর্নের মুদ্রা এমনকি একজন ভৃত্য কেও সাথে দেন।

অনেক বছর পর আশ্রয়দাতা ব্যক্তি ষড়যন্ত্রের স্বীকার হয়ে বাগদাদের খলিফার কাছে বন্দী হয়ে আসেন। তাকে মেরে ফেলার আদেশ হয়। কিন্তু তার আগের রাতে আলী ইবনে আব্বাসের উপর দায়িত্ব পড়ে ঐ ব্যক্তিকে তার বাড়িতে রাখার।
ঘটনা চক্রে আলী ইবনে আব্বাস জানতে পারে ইনিই তার সেই আশ্রয়দাতা।তিনি তখন কৃতজ্ঞতা বশত তাকে পালিয়ে যাওয়ার সুযোগ দেন। কিন্তু ঐ ব্যক্তি বলেন একদিন যার প্রাণ বাচিয়েছি আজ নিজের জন্য তার প্রাণকে হুমকির সম্মুখীন করবো??💜💜

পরদিন আলী ইবনে আব্বাস খলিফা কে আগের সব ঘটনা বলে বোঝাতে সক্ষম হন যে ঐ ব্যক্তি আসলে একজন ভালো মানুষ।কিছু খারাপ মানুষ তার নামে মিথ্যা বলেছে।

খলিফা ঐ ব্যক্তি কে মুক্তি করে দেন।
শুধু মুক্তিই দিলেন না তাকে দেয়া হলো দামী পোশাক, দশটি ঘোড়া, দশটি খচ্চর,দশটি উট এবং অনেক টাকা পয়সা।
এইছিলো আমার আজকের অফলাইন লেখাপড়া।
ধন্যবাদ সবাইকে।

আমি আপনাদের রিকা আপু

জানা অজানা

Leave a Comment