প্রতিদিন ৭০ বা ১০০ বার এর চেয়ে বেশি সংখ্যায় ইস্তিগফার করা কি বিদআত?
প্রশ্ন: আমরা জানি, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম দৈনিক ৭০ থেকে ১০০ বার ইস্তিগফার পাঠ করতেন। কিন্তু কেউ যদি এর চেয়ে বেশি পড়ে, যেমনঃ ২০০, ৫০০, ১০০০,৫০০০ বার ইত্যাদি। তাহলে কি তা বিদআত হবে?
উত্তর:
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম প্রতিদিন প্রচুর পরিমান ইস্তিগফার বা আল্লাহর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করতেন। যেমন হাদীসে বর্ণিত হয়েছে-
💠 আবূ হুরাইরাহ বর্ণনা করেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -কে বলতে শুনেছিঃ
وَاللهِ إِنِّي لأَسْتَغْفِرُ اللهَ وَأَتُوبُ إِلَيْهِ فِي الْيَوْمِ أَكْثَرَ مِنْ سَبْعِينَ مَرَّةً
“আল্লাহর কসম! আমি প্রতিদিন আল্লাহর কাছে সত্তরবারেরও অধিক ইস্তিগফার ও তাওবাহ করে থাকি।” (সহীহ বুখারীহাদিস নম্বর/6307 -তাওহীদ প্রকাশনী ]
💠 রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সাহাবী আগার আল মুযানী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ
“إِنِّي لأَسْتَغْفِرُ اللَّهَ فِي الْيَوْمِ مِائَةَ مَرَّةٍ
“আমি দৈনিক একশ’ বার আল্লাহর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করে থাকি।” (সহীহ মুসলিম, (ইসলামী ফাউন্ডেশন প্রকাশনী হা/ ৬৬১২, ইসলামী সেন্টার প্রকাশনী হা/ ৬৬৬৬ অধ্যায়ঃ
বেশি বেশি ক্ষমা প্রার্থনা বা ইসতিগ্ফার করা মুস্তাহাব)
মোটকথা, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কনো দিন ১০০ বার আর কোন দিন ৭০ বার করে আল্লাহর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করতেন। এটি তার নিয়মিত আমল ছিলো।
সুতরাং আমরা যদি রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর অনুসরণের উক্ত সংখ্যার অনুসরণ করে প্রতিদিন ৭০ বা ১০০ বার ইস্তিগফার পাঠ করি তাহলে তা অধিক উত্তম।
আর আসলে এ সংখ্যাটি খুব বেশিও নয়; কমও নয় বরং মধ্যম। আর ইবাদতে মধ্যমপন্থায় থাকা প্রতিদিন নিয়মিত আমল করার জন্য সহায়ক।
তবে কেউ ইচ্ছা করলে এর চেয়ে কম বা বেশি করতে পারে। এতে শরীয়তগতভাবে কোন সমস্যা নাই। তবে বিশেষ কোন সংখ্যা বা পদ্ধতি আবিষ্কার করবে না।
যেমন প্রতিদিন সূর্য উঠার সময় সময় একহাজার বার, সূর্য ডুবার সময় একহাজার বার অথবা প্রতিদিন ৫০০ বার, অথবা প্রতিদিন ২০০ বার করে। এভাবে বিশেষ কোন সংখ্যা বা পদ্ধতিকে নিয়ম বানিয়ে নিলে তা বিদআত হিসেবে পরিগণিত হবে।
বরং স্বাভাবিকভাবে কখনো ইচ্ছে হলে কম বা বেশি করায় কোন আপত্তি নেই ইনশাআল্লাহ। আল্লাহু আলাম।
উত্তর প্রদানে:
আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আব্দুল জলীল
দাঈ, জুবাইল দাওয়াহ সেন্টার, সৌদি আরব
- আর্থিক রিপোর্টিং এর বাহ্যিক নিরীক্ষকের ভূমিকা আলোচনা কর
- আর্থিক বিবরণী পত্র কিভাবে শেয়ার হলো আরো বিনিয়োগকারীদের বিভ্রান্ত করে
- আর্থিক প্রতিবেদনে কর্পোরেট গভর্ন্যান্স এর ভূমিকা সমূহ আলোচনা কর
- আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশের সময় কর্পোরেট গভারমেন্ট এর কোন সম্পর্ক আছে কি মতামত ব্যাখ্যা কর
- নন এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর NEEDs কে কেন প্রধান চালিকাশক্তি বলা হয়