পুরোনো ফোন যা যা করতে পারি আমরা

আপনার পুরোনো ফোনটি ফেলবেন না। জানলে বিস্মিতই হবেন, আপনার কয়েক বছর পুরোনো হার্ডওয়ারটিও ব্যবহার উপযোগী হতে পারে। পুরোনো যন্ত্রটি এখন তার আসল কাজ না করতে পারলেও অন্যভাবে তা ব্যবহারের অনেক সুযোগ আছে। নিজ পছন্দের এমন কিছু আইডিয়া দিয়েছেন দ্য ওয়ারের প্রযুক্তি বিষয়ক লেখক ডেভিড নিল্ড। এর সঙ্গে নিজের কল্পনাশক্তি কাজে লাগিয়ে আপনিও তৈরি করতে একেবারে নতুন কিছু।

পুরোনো ফোন নিরাপত্তা ক্যামেরা হিসেবে ব্যবহার

স্মার্টফোনটি বেশি পুরোনো হয়ে গেলেও তা ফেলে দেবেন না। জরাজীর্ণ হলেও তাতে অনেক প্রযুক্তি থাকতে পারে, যা আপনি ভিন্ন কাজে লাগাতে পারেন। এমনই একটি কাজ হচ্ছে, সেটিকে নিরাপত্তা ক্যামেরা হিসেবে ব্যবহার করা।

পুরোনো ফোনটিতে শুধু ভিডিও ধারণ এবং সম্প্রচারের প্রযুক্তি কাজ করলেই যথেষ্ট। এবার তা নিজের ঘরে লাগিয়ে- পৃথিবীর যে কোনো স্থানে বসে ইন্টারনেট সংযোগের কল্যাণে দেখতে পারবেন, কে বা কারা আপনার ঘরে অনধিকার চর্চা করতে আসছে। 

ফোনটি ক্যামেরা হিসেবে ব্যবহারের জন্য আপনার দরকার হবে ট্রাইপড বা এ ধরনের কোনো ধারক। একটু বেশি সৃজনশীল হলে; বইয়ের তাকেও তা লুকিয়ে রাখতে পারেন।

সঙ্গে কিছু সফটওয়্যারও দরকার হবে। মেনিথিং ও আলফ্রেড এ ধরনের সফটওয়্যার, যা অ্যানড্রয়েড এবং আইওএস দুই ধরনের প্লাটফর্মেই ডাউনলোড করা সম্ভব। এ দুটি সবচেয়ে ভালো হলেও এমন আরও অনেক অ্যাপ আছে। নির্দেশনা মেনে সেগুলো ইনস্টল করাও জটিল কিছু নয়।

শুধু মুঠোফোন নয়, ট্যাবলেট ধাঁচের গ্যাজেটও এভাবে ব্যবহার করা যাবে। তবে একটু বেশি বড় হওয়ায় সেগুলো গোপন জায়গায় রাখা হয়তো একটু কঠিন হবে।

এখন আবার অধিকাংশ ফোন বা ট্যাবলেট ওয়াটারপ্রুফ। তাই চাইলে বাড়ির বাইরেও লাগানো যেতে পারে। ডিভাইস স্থাপনের পর, সেটি যেন সবসময় বিদ্যুৎ ও ইন্টারনেট সংযোগের আওতায় থাকে, ব্যস সেটি নিশ্চিত করলেই যথেষ্ট।

ফোন বা ট্যাবলেট দিয়ে বানিয়ে ফেলুন সম্প্রচার মাধ্যম আর রিমোট

গত কয়েক বছরে আমরা অনেক ধরনের ভিডিও স্ট্রিমিং দেখছি। ক্যামেরার নিপুণ কারসাজি আর চমৎকার দৃষ্টিনন্দন উপস্থাপনা দেখা যায় সেখানে। চাইলে আপনিও একজন বিখ্যাত মিডিয়া স্ট্রিমার হয়ে উঠতে পারেন। পুরনো ডিভাইসগুলো ওয়্যারলেস প্রযুক্তির সাহায্যে ক্যামেরা হিসেবে ব্যবহার করা হলে, আপনার ভিডিওতে যোগ হতে পারে নতুন নতুন কোণ। পছন্দের কৌণিক অবস্থানে শুধু সেগুলো স্থাপনের কৌশল বের করাটাই হবে আপনার নিজস্ব সৃজনশীলতা।

আবার অ্যাপলের এরায়প্লে এবং গুগলের ক্রোমকাস্ট সার্ভিসের সঙ্গীত শুনতে স্পিকার হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে ট্যাবলেট বা মুঠোফোন।

একাধিক ফোন থাকলে তা রিমোট হিসেবেও ব্যবহার করতে পারেন। নিজের অ্যাপল টিভি চালাতে রিমোটের চাইতে ভালো কাজ দেবে আপনার পুরোনো আইফোনটি-ই।  

Leave a Comment