নতুন কর্মক্ষেত্রে যেভাবে মানিয়ে নেবেন নিজেকে, নতুন চাকরিতে মানিয়ে নেওয়ার মন্ত্র,চাকরি জীবনের শুরুতে যা যা মানতে হবে,কর্মক্ষেত্রে মানিয়ে নেওয়ার উপায়

আজকের বিষয়: নতুন কর্মক্ষেত্রে যেভাবে মানিয়ে নেবেন নিজেকে, নতুন চাকরিতে মানিয়ে নেওয়ার মন্ত্র,চাকরি জীবনের শুরুতে যা যা মানতে হবে,কর্মক্ষেত্রে মানিয়ে নেওয়ার উপায়

 চাকরি যখন শুরু, ভাবনাটা একটু বেশিই। এ সময় হঠাৎ মুখোমুখি হতে হয় অন্যরকম সব অভিজ্ঞতার। ছাত্রজীবনে যে ধরনের জীবনধারায় অভ্যস্ত, তার অনেকটাই আটকে পড়ে নিয়মের বেড়াজালে। পরিবেশটাও একদম আলাদা। আর সেখানেই সমস্যার শুরু। নতুন চাকরিতে চড়াই-উতরাই পেরিয়েই তবেই তৈরি করে নিতে হয় নিজের অবস্থান। 

প্রথম চাকরি, নতুন অভিজ্ঞতা
জুতসই একটি চাকরি খুঁজে পেতেই তিন-তিনটি বছর কেটে গেল রাফসানের। আর যেই জুটল পছন্দসই একটি চাকরি, কিছুদিন পর সেটিই কিনা ভাল্লাগে না! চাকরিতে যোগ দেওয়ার পর নিজেকে মনে হলো ভিনগ্রহের বাসিন্দা! এমনটি হতে পারে আপনার বেলায়ও। কর্মক্ষেত্রে নতুন হলে সবচেয়ে বেশি সমস্যা হয় সহকর্মীদের ঘিরে। শুরুতে মনে হতে পারে সবাই যেন দূরের মানুষ! মনে হতে পারে এই সম্পর্কটা পেশাগত কৃত্রিমতার। কারণটাও সহজ, সহপাঠীদের সঙ্গে পরিচয় ও নিখাদ বন্ধুত্ব গড়ে ওঠার ছবি মিলবে না এ ক্ষেত্রে। কারণ কর্মক্ষেত্রে সবাই সমবয়সী কিংবা সমমনা হবে এমনটি ভাবা মোটেও ঠিক নয়। সহকর্মীদের কারও কারও সঙ্গে নিখাদ বন্ধুত্ব এখানেও সম্ভব; হয়তো খানিকটা সময় লাগবে। 

উল্টোরথের যাত্রী
নতুন চাকরিতে যোগ দেওয়ার পরপরই সহকর্মীদের কেউ হয়তো টিপ্পনী কাটছেন। সবার মনমানসিকতা তো আর সমান হয় না। নিছক মজা করার জন্যও টিপ্পনী কাটতে পারেন কেউ কেউ। বিষয়টিকে সহজভাবে নিন। এমন অবস্থা খুব বেশি দিন থাকে না। এমনও হতে পারে, আপনাকে দেখে হয়তো স্বাভাবিকভাবেই কেউ মুচকি হাসছে। এই স্বাভাবিক বিষয়টিই আপনার কাছে মনে হতে পারে হয়তো মজা করছে আপনাকে নিয়ে। নতুন কর্মক্ষেত্রে মনে হতে পারে সবাই পর। নিজেকে একা ভাবার কোনো কারণ নেই। সহকর্মীদের আপন করে নিন। এতে কেমন সময় লাগবে, নির্ভর করছে আপনার ওপরই! 

মানিয়ে নেওয়ার মন্ত্র
কর্মক্ষেত্রে নতুন পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার কাজটি আপনাকেই করতে হবে। হয়তো বুঝে উঠতে পারছেন না আপনার বসার জায়গাটি কোথায়, কী কাজ করতে হবে। এ ছাড়া কাজ করার কিছু অনুষঙ্গ, যেমন—কাগজ, পিন, স্ট্যাপলার ইত্যাদি কিংবা কম্পিউটারের পাসওয়ার্ড পেতেও সমস্যা হতে পারে। সহকর্মীর সহযোগিতা চান। পাবেন। এমন কয়েকজন থাকবেনই, যাঁরা আপনার যোগ দেওয়ায় হয়তো খুশি হতে পারেননি। ঔদ্ধত্য কিংবা উপেক্ষা করে বিরোধিতার আগুন উসকে দেবেন না। অফিসের সবার মন জয় করুন ব্যবহার দিয়েই। 

ওপরে ওঠার সিঁড়ি
চাকরির শুরুতে কাজের দক্ষতা না থাকাটাই স্বাভাবিক। ধীরে ধীরে কাজের জায়গাগুলো বুঝে নিতে হবে, বাড়িয়ে নিতে হবে দক্ষতা। নিজের দক্ষতা প্রমাণ করতে পারলেই দেখা মিলবে ওপরে ওঠার সিঁড়ির। অফিসে আসবেন নিয়মমতো। হাতের সব কাজ শেষ হয়ে গেলে সময়মতো অফিস থেকে বেরিয়ে পড়ুন। কর্তৃপক্ষকে খুশি করতে ছুটির সময় পেরিয়ে গেলেও অযথা বসে থাকবেন না। আপনার যোগ্যতা ঠিকমতো কাজে লাগানো হচ্ছে না, কাজের স্বীকৃতি পাচ্ছেন না, ভেঙে পড়বেন না। একসময় দেখবেন, কাজের মূল্যায়ন ঠিকই পেয়ে গেছেন। 

তৈরি করুন নিজেকে
অফিসই হয়তো আপনার প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করবে। অফিসের কর্তাব্যক্তিরা এ সময়টাতে নানা দিকনির্দেশনা দিতে পারেন। সবার পরামর্শ আমলে নেওয়ার চেষ্টা করুন। অফিসে আপনার কী কাজ, বসের কাছ থেকে শুরুতেই বুঝে নিন। শিক্ষানবিশ সময়ে কতটা লাভবান হলেন, তা কিন্তু আপনার ওপরই নির্ভর করছে। সবকিছু আয়ত্তে আনার চেষ্টা করুন। এ সময়টাতে আপনাকে হতে হবে মনোযোগী ছাত্র। দেখুন, শুনুন আর শিখুন। দেখবেন, কিছুদিনের মধ্যেই সবকিছু চলে এসেছে আপনার হাতের মুঠোয়। 

মাটিতে নামুন
যোগ্যতা ও পেশাদারি দক্ষতা আপনার থাকতেই পারে, এ নিয়ে অহমিকা করবেন না। চাকরিতে যোগ দেওয়ার পর এমন ভাব যেন আপনার মধ্যে থাকে, যাতে সবাই বুঝতে পারে আপনার উদ্দেশ্য সবকিছু শিখে নেওয়া। যত বেশি আর যত দ্রুত সম্ভব কাজ শিখে নিন। দায়িত্ব যা-ই হোক, নির্দিষ্ট গণ্ডির মধ্যে নিজেকে বেঁধে রাখবেন না। বাড়তি দায়িত্ব তুলে নিন নিজের কাঁধে। প্রতিষ্ঠানের অন্য দপ্তরে কী কাজ হচ্ছে, সেটাও বুঝে নেওয়ার চেষ্টা করুন। শিক্ষানবিশের ওপর কিন্তু ‘কর্তৃপক্ষ’ তীক্ষ্ণ নজর রাখে। 

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

যদি বদলে যায় কাজের ক্ষেত্র
কর্মক্ষেত্রে একদম নতুন না হলেও অফিস পরিবর্তন করলেও নিজেকে নতুন মনে হতে পারে! কাজ যদি একই হয়, কর্মক্ষেত্র নতুন হলেও অফিস সামলানো অনেক সহজ। চাকরি তো ছাড়লেন, নতুন অফিসের কাজও কি সঙ্গে করে এনেছেন? নাকি অফিসের মতো বদলে ফেলেছেন কাজের ক্ষেত্রও! যদি তা-ই হয়, শুরুটা তো করতে হবে আবারও নতুন করে। আগের শেখা বিষয়গুলোর বেশির ভাগই হয়তো কাজে লাগবে না, সবকিছু শিখে নিতে হবে নতুন করে। এ ক্ষেত্রে সিনিয়র কর্মকর্তা ও সহকর্মীদের সহযোগিতা দরকার হবে আপনার। 

কর্তাদের করণীয়
নতুন কাউকে স্বাচ্ছন্দ্যে কর্মক্ষেত্রে সবার সঙ্গে মিশতে দেওয়ার মতো পরিবেশ তৈরি করার জন্য কর্তাব্যক্তিদের কিছু করার আছে। অন্যদের সঙ্গে নতুনদের প্রথম পরিচয়টা করিয়ে দেওয়া উচিত কর্তাদেরই। তিনি তাঁর যোগ্যতা এমনভাবে তুলে ধরতে পারেন, যাতে সবার মধ্যে তাঁকে নিয়ে একটা ভালো ধারণা আসে। কাজে উৎসাহের খোরাকও জোগাতে পারে এটি। নতুন যোগ দেওয়া কর্মীর কাজ বুঝিয়ে দেওয়া, সেই সঙ্গে দরকারি প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করার দায়িত্বও কর্তাদের। প্রতিষ্ঠানের নীতিমালা, গঠন, কার্যবিধি, ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার বিষয়েও একটি ভালো ধারণা দিয়ে কর্তারা নতুন কর্মীর কাজের জায়গাটা সহজ করে দিতে পারেন।

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

চাকরি জীবনের শুরুতে এগুলো মেনে চলবেন

বহু কাঠখড় পোড়ানোর পর দেখা পেলেন চাকরি নামের সোনার হরিণের। আপনাকে অভিনন্দন। ভাবছেন, আসল কাজটাই তো সারা। ভুল! নতুন প্রতিষ্ঠানে প্রথম কয়েক মাস কিন্তু ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। এ সময় অফিস আপনার ব্যাপারে একটা প্রাথমিক ধারণা পেয়ে যায়, যার ওপর ভিত্তি করে আপনার ভবিষ্যৎ উন্নতি। আর তাই নতুন চাকরি পাওয়ার পর কিছু ব্যাপারে মনোযোগী হওয়া জরুরি।

নতুন কর্মক্ষেত্রে শুধু কাজ জানলেই হবে না, আচরণেও সংযত ও কুশলী হওয়া জরুরি। থাকতে হবে সময়ানুবর্তিতা আর নিষ্ঠা। আচরণে যেমন ঔদ্ধত্য থাকা যাবে না, তেমনি নিজেকে লুকিয়ে রাখাও একধরনের অযোগ্যতা। প্রত্যেকেই ভুল করে, আর কর্মক্ষেত্রে নতুন কর্মীদের ভুল করাই স্বাভাবিক। এসব ক্ষেত্রে কোনোভাবেই ভুল স্বীকার না করার ভুল করা যাবে না। নতুন চাকরিতে এমন অনেক ব্যাপার আছে, যা মেনে চললে সুগম হবে আগামীর পথচলা। আসুন জেনে নিই এ সম্পর্কে—

মানিয়ে নেওয়া
নতুন চাকরিজীবীদের জন্য কর্মক্ষেত্র একধরনের চ্যালেঞ্জ। ‘অফিস’—ব্যাপারটাই তো তাঁদের জন্য নতুন অভিজ্ঞতা! এ কারণে অনেকেরই মানিয়ে নিতে সমস্যা হয়। কিন্তু কর্মক্ষেত্রে যত দ্রুত সম্ভব মানিয়ে নিতে পারাটাও একধরনের যোগ্যতা। অফিস চায় যত দ্রুত সম্ভব আপনি তাদের ‘অংশ’ হয়ে উঠুন। সেই ‘অংশ’ হয়ে ওঠার পথে জ্যেষ্ঠ সহকর্মীদের মজাসুলভ টিপ্পনীকে নেতিবাচক দৃষ্টিতে না দেখাই বুদ্ধিমানের কাজ। প্রতিটি অফিসেরই ভেতরকার কিছু অনানুষ্ঠানিক আচরণবিধি রয়েছে, যার মধ্য দিয়ে একজন নতুন কর্মী নিজেকে মানিয়ে নেন। সহকর্মীদের মজা কিংবা টিপ্পনীকে সেই আচরণবিধির অংশ হিসেবে দেখুন। এভাবে একটি হঠাৎ খেয়াল করবেন, নতুন কর্মক্ষেত্রে আপনি কতটা মানিয়ে নিয়েছেন!

সময়ানুবর্তিতা
চাকরি জীবনে সময়ানুবর্তিতার বিকল্প নেই। শুরু থেকেই সঠিক সময়ে অফিসে আসার অভ্যাস তৈরি করুন। সেটা হতে পারে নির্ধারিত সময়ের পাঁচ-দশ মিনিট আগে। একান্ত বাধ্য না হলে দেরি না করাই ভালো। কোনোভাবে দেরি হয়ে গেলে সেটা আপনার ‘বস’কে জানানোও অফিস-আচরণের আওতাভুক্ত। মনে রাখবেন, মাঝেমধ্যে দেরি হওয়াটা অপরাধ নয়, যেটা আপনার ‘বস’ নিজেও বুঝতে পারবেন। কিন্তু অফিসে যেতে প্রায় প্রতিদিনই দেরি করলে, স্বয়ং ‘বস’ই আপনার ওপর থেকে আস্থা হারিয়ে ফেলবেন। তখন কোনো অজুহাতই কাজে আসবে না। আর হ্যাঁ, অফিসে সঠিক সময়ে যাওয়া যেমন জরুরি, তেমনি সঠিক সময়ে বেরিয়ে আসাও একধরনের ‘স্মার্টনেস’। দেরিতে অফিস ত্যাগ করা একধরনের ব্যক্তিত্বের দুর্বলতাও।

দক্ষতা বাড়ান
চাকরির শুরুতে আপনি সব কাজ পারবেন না, এটা কিন্তু অফিস জানে। আর শিক্ষানবিশ হলে তো কথাই নেই, কর্তৃপক্ষের শ্যেন দৃষ্টি থাকবে আপনার ওপর। এ কারণে চাকরিতে যোগদানের পর যত দ্রুত সম্ভব নিজের কাজ বুঝে নিন এবং সেসব কাজ সম্পাদনে নিজের দক্ষতা বাড়ান। মনে রাখবেন, সব কাজ পারবেন না, এটা অফিস জানে বলেই দেখতে চায়, কত দ্রুত আপনি নিজের দক্ষতা বাড়াচ্ছেন। নিজেকে নির্দিষ্ট গণ্ডির মধ্যে বেঁধে না রেখে বাড়তি দায়িত্ব নিতে শিখুন। এতে আপনার দক্ষতা বাড়বে বই কমবে না। দক্ষতা কম বলে কাজের স্বীকৃতি পাচ্ছেন না, কেউ সেভাবে দাম দিচ্ছে না—এসব নিয়ে একদম ভেঙে পড়বেন না। দক্ষতা বাড়াতে থাকুন, স্বীকৃতি কিংবা সাফল্য আপনাই ধরা দেবে।

ভালো সম্পর্ক গড়া
অফিস মানেই ‘টিমওয়ার্ক’। তাই কোনো কাজ সফলতার সঙ্গে শেষ করতে সহকর্মীদের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক রাখা জরুরি। এখানে ‘ভালো সম্পর্ক’ বলতে চাটুকারিতা কিংবা দেওয়া-নেওয়ার সম্পর্ক নয়; এটা আসলে ভালো বোঝাপড়ার সম্পর্ক। মনে রাখবেন, সহকর্মীদের মধ্যে ভালো বোঝাপড়ার সম্পর্ক থাকলে সবচেয়ে লাভবান হয় অফিস। কেননা, তখন যেকোনো কাজই নিখুঁত ও সফলভাবে শেষ করা যায়। এ কারণে একজন নতুন কর্মী হিসেবে সহকর্মীদের সঙ্গে ভালো বোঝাপড়ার সম্পর্ক গড়তে নিজের ভেতরটা উন্মোচন করুন। কেননা, সুসম্পর্ক গড়তে অন্যদের আগ্রহ না থাকলে নতুন কর্মীকেই এগিয়ে আসতে হবে। পরে এসব ক্ষেত্রে আপনি অন্তত দায়মুক্ত থাকতে পারবেন। কেউ বলতে পারবে না, অফিসের ওই নতুন ছেলে কিংবা মেয়েটা একেবারেই আত্মকেন্দ্রিক।

সমস্যা নয়, সমাধান খুঁজুন
কর্মক্ষেত্রে একজন নতুন কর্মীর কাজের আগ্রহটা সবাই দেখতে চায়। শুধুই রুটিনমাফিক কাজ করে যাওয়া ঠিক নয়। তার মানে আবার এটাও নয় যে বেশি বেশি কাজ করবেন। নতুন কর্মী নিয়োগের পর অফিস সবার আগে সেই কর্মীর আগ্রহের জায়গাটা নিশ্চিত হতে চায়। এতে অফিসের যেমন কাজের সুবিধা, তেমনি ওই কর্মীরও সুবিধা হয় কাজের ক্ষেত্রে। এ কারণে নিজস্ব গণ্ডির মধ্যে থেকেই নানা রকম কাজের প্রতি আগ্রহ বাড়ান। কখনোই সমস্যার ফিরিস্তি দেবেন না। অফিস সমস্যা সমাধানেই অভ্যস্ত, এ কারণে কর্মীদের কাছ থেকে সমস্যা নয়, অফিস সব সময় সমাধান চায়।

বসের কাছে সব সমস্যার সমাধান রয়েছে—এটা কখনোই ভাববেন না। চাকরির শুরুতেই অনেকেরই প্রবণতা থাকে বসের কাছে নানা রকম সমস্যা পেশ করা। কিন্তু বস তো আপনার কাছে সমস্যা নয়, সমাধান চান? তা ছাড়া সব সময় শুধু সমস্যার কথা শুনতে কারওই ভালো লাগার কথা নয়। অতএব নতুন কর্মী হিসেবে সমস্যা বোঝার চেষ্টা করুন, সম্ভাব্য সমাধান থাকলে সেটা বসকে বলুন। ঠিক হোক বা না হোক, দেখবেন বস খুশি হবেন। আর বস খুশি মানে তো অফিসও খুশি!

শেষ কথা
এই যুগে চাকরি পাওয়াটাই যেখানে যোগ্যতার পরিচায়ক, সেখানে নতুন কর্মী হিসেবে কখনো আত্মবিশ্বাসের সংকটে ভুগবেন না। মনে রাখবেন, অফিসের বিধিনিষেধ পালনে সৎ থাকাটা খুব বড় ধরনের যোগ্যতা। ধৈর্য ধারণও জরুরি। কেননা, ধৈর্যের ফল সব সময়ই মধুর। চাকরির পাশাপাশি নিয়মিত পড়ালেখা করুন। এটা আপনার অন্তর্দৃষ্টি খুলে দেবে। শেষ কথা হলো, সীমালঙ্ঘন না করে গণ্ডির মধ্যে থেকেই নিজেকে বিকশিত করুন। বাকিটা অফিসের ওপর ছেড়ে দিন।

প্রশ্ন ও মতামত জানাতে পারেন আমাদের কে ইমেল : info@banglanewsexpress.com

আমরা আছি নিচের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুলোতে ও

Leave a Comment