তত্ত্বাবধানের কৌশলসমূহ আলোচনা কর, তত্ত্বাবধানের কৌশলসমূহ বিশ্লেষণ করে দেখাও

Google Adsense Ads

প্রশ্ন সমাধান: তত্ত্বাবধানের কৌশলসমূহ আলোচনা কর, তত্ত্বাবধানের কৌশলসমূহ বিশ্লেষণ করে দেখাও

ভূমিকা : তত্ত্বাবধান হচ্ছে এমন একটি প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে অপেক্ষাকৃত কম অভিজ্ঞতাসম্পন্ন ব্যক্তি অধিকতর দক্ষতা ও অভিজ্ঞতাসম্পন্ন ব্যক্তিদের নিকট থেকে জ্ঞান, নির্দেশনা ও দক্ষতা লাভ করে নিজেদের ত্রুটিবিচ্যুতি,ভুলভ্রান্তি দূর করতে পারে।আর যিনি তত্ত্বাবধানকার্য সম্পাদন করেন তাকে বলা হয় তত্ত্বাবধায়ক।
তত্ত্বাবধানের কৌশল
John D. Millet এর মতে, তত্ত্বাবধানের ছয়টি প্রধান কৌশল রয়েছে। তিনি এসব কৌশলকে একটি চিত্রের মাধ্যমে উপস্থাপন করেছেন।যথা:

Document 1 2

আরো ও সাজেশন:-

ফলপ্রসূ তত্ত্বাবধানের জন্য তত্ত্বাবধায়কের কিছু কৌশলের আশ্রয় নিতে হয়। নিম্নে এসব কৌশল আলোচনা করা হলো :
১. আদেশ দানের কৌশল : তত্ত্বাবধানের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কৌশল হলো আদেশ দানের কৌশল । কেননা, যথাযথ আদেশ দানের মাধ্যমেই প্রতিষ্ঠানের উদ্দেশ্য অর্জনে কর্মীরা তাদের জীবন উৎসর্গ করতে পারে।এক্ষেত্রে তত্ত্বাবধায়ককে কোন বিষয়ে আদেশ দানের পরিবর্তে কর্মীদেরকে পরিস্থিতি এমনভাবে বিশ্লেষণ করতে হবে, যাতে বিরাজমান অবস্থার প্রেক্ষিতে কর্মীরা নিজেরাই নিজেদের ভূমিকা বা করণীয় বুঝতে পারে এবং দায়িত্ব পালনে এগিয়ে আসে।


২. সিদ্ধান্ত গ্রহণের কৌশল : যে কোন প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীরা সবসময় তত্ত্বাবধায়কের কাছ থেকে তাৎক্ষণিক এবং সন্তোষজনক সিদ্ধান্ত প্রত্যাশা করে। অতএব, সিদ্ধান্ত গ্রহণের সময় তত্ত্বাবধায়ককে কর্মচারীদের মতামত ও তথ্যাবলির প্রতি গুরুত্বারোপ করতে হবে।


৩. সমালোচনা করার কৌশল : সমালোচনা করা তত্ত্বাবধানের একটি বিশেষ কৌশল । তবে তত্ত্বাবধায়ককে এমনভাবে কর্মচারীদের সমালোচনা করতে হবে, যাতে তাদের মধ্যে ক্ষোভ বা হতাশার সৃষ্টি না হয়ে দক্ষতা বৃদ্ধিতে সহায়ক হয় এবং এ সমালোচনা অবশ্যই গঠনমূলক হতে হবে। তত্ত্বাবধায়ক কর্তৃক সময়োপযুক্ত গঠনমূলক সমালোচনা কর্মচারীদের কাজে গুণগত উৎকর্ষ বিধানে সহায়ক।

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]


৪. ক্ষোভ নিরসনের কৌশল : অভিজ্ঞ এবং দক্ষ তত্ত্বাবধায়ক অধীনস্থ কর্মচারীদের দুঃখ-দুর্দশা, অভাব-অভিযোগ সম্পর্কে অবজ্ঞা প্রদর্শন করে না।যত তুচ্ছ ঘটনা বা চাহিদাই হোক না কেন, কর্মচারীদের সব ধরনের অভাব অভিযোগের প্রতি তাকে সদা সচেতন থাকতে হয়।


৫. দূরের কর্মচারীদের তত্ত্বাবধানের কৌশল : কোন কোন প্রতিষ্ঠানে এমন অনেক কর্মচারী আছে যাদেরকে তত্ত্বাবধায়ক সরাসরি বা প্রত্যক্ষভাবে তদারক করতে পারে না। সেসব ক্ষেত্রে নিয়মিত সভা-অনুষ্ঠান, পরিদর্শন, বুকলেট এবং কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন প্রভৃতি কৌশল অবলম্বন করা হয়।


৬. সমস্যাগ্রস্ত কর্মচারীদের সাথে আচরণ করার কৌশল : সমস্যাগ্রস্ত কর্মচারীরা যেমন তারা নিজের জন্য এবং প্রতিষ্ঠানের জন্যও বিভিন্ন ধরনের সমস্যা সৃষ্টি করে প্রতিষ্ঠানকে ক্ষতির সম্মুখীন করে। এসব সমস্যাগ্রস্ত কর্মচারীদের চিহ্নিত করে যথাযথ উপদেশ ও নির্দেশনা দান তত্ত্বাবধায়কের দায়িত্ব।


উপসংহার : উপর্যুক্ত আলোচনা থেকে বলা যায় যে, তত্ত্বাবধানের উপরে উল্লেখিত ছয়টি প্রধান কৌশল ছাড়াও আরো কিছু কৌশল রয়েছে।যেমন- অংশগ্রহণমূলক কৌশল, সমস্যা সমাধান কৌশল, শিখন কৌশল ইত্যাদি। এসব কৌশল প্রয়োগ করেই মূলত তত্ত্বাবধায়ক তার দায়িত্ব পালন করেন।

প্রশ্ন ও মতামত জানাতে পারেন আমাদের কে ইমেল : info@banglanewsexpress.com

আমরা আছি নিচের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুলোতে ও

Google Adsense Ads

Google Adsense Ads

Leave a Comment