ডিপ্লোমা ইন কমার্স ব্যবসায় সংগঠন দ্বাদশ শ্রেণির ১৩তম সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট প্রকাশ 2021, diploma in commerce ১২শ শ্রেণির ১৩তম সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট ব্যবসায় সংগঠন এর সহজ উত্তর

শ্রেণি: ১২শ HSC ইন কমার্স-2021 বিষয়: ব্যবসায় সংগঠন এসাইনমেন্টেরের উত্তর 2021
এসাইনমেন্টের ক্রমিক নংঃ 09 বিষয় কোডঃ 1728
বিভাগ: ভোকেশনাল শাখা
বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস// https://www.banglanewsexpress.com/

এসাইনমেন্ট শিরোনামঃ রাষ্ট্রীয় ব্যবসায় গঠন ও পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় দিক বিশ্লেষণ

শিখনফল/বিষয়বস্তু :

  • রাষ্ট্রীয় ব্যবসায়ের ধারণা ব্যাখ্যা করতে পারবে।,
  • রাষ্ট্রীয় ব্যবসায়ের বৈশিষ্ট্য বর্ণনা করতে পারবে।,
  • রাষ্ট্রীয় ব্যবসায়ের অসুবিধা বর্ণনা করতে পারবে।,
  • বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় ব্যবসায় সম্পর্কে বর্ণনা করতে পারবে।,

নির্দেশনা :  

  • রাষ্ট্রীয় ব্যবসায়ের ধারণা ব্যাখ্যা করতে হবে।
  • রাষ্ট্রীয় ব্যবসায়ের বৈশিষ্ট্য বর্ণনা করতে হবে।
  • রাষ্ট্রীয় ব্যবসায়ের অসুবিধা বর্ণনা করতে হবে।
  • বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় ব্যবসায়ের সমস্যা সম্পর্কে বর্ণনা করতে হবে।

এসাইনমেন্ট সম্পর্কে প্রশ্ন ও মতামত জানাতে পারেন আমাদের কে Google News <>YouTube : Like Page ইমেল : assignment@banglanewsexpress.com

  • রাষ্ট্রীয় ব্যবসায়ের ধারণা ব্যাখ্যা করতে হবে।

রাষ্ট্র কর্তৃক গঠিত বা পরবর্তী সময়ে জাতীয়করণকৃত কোনো ব্যবসায়ের মালিকানা, পরিচালনা ও নিয়ন্ত্রণ রাষ্ট্রের অধীনে থাকলে তাকে রাষ্ট্রীয় ব্যবসায় বলে।

রাষ্ট্র কর্তৃক গঠিত পরবর্তী সময়ে জাতীয়করণকৃত কোনো ব্যবসায়ের মালিকানা, পরিচালনা ও নিয়ন্ত্রণ রাষ্ট্রের অধীনে থাকলে তাকে রাষ্ট্রীয় ব্যবসায় বলে। রাষ্ট্র সক্ষম না হলে দেশের জনগণ পরাধীন ও পরমুখাপেক্ষী হতে বাধ্য। রাষ্ট্র সক্ষম হওয়ার বিষয়টি বিভিন্ন ক্ষেত্রে সরকারের যোগ্যতা ও সামর্থ্য প্রমাণের সুযোগ এবং নিয়ন্ত্রণ আরোপের সামর্থ্যের ওপর নির্ভর করে। রাষ্ট্রীয় ব্যবসায় BRTC ও বাংলাদেশ রেলওয়ে যোগাযোগব্যবস্থায়, বাংলাদেশ ব্যাংক অর্থনীতিতে এবং BRTC ব্যবসায়ের ক্ষেত্রে সরকারের সক্ষমতা সৃষ্টি করে।

সি.বি.গুপ্ত (C.B.Gupta): The Term Public Enterprises Refcrs to Such Industrial and Commercial Enterprises Which are Owned and Controlled by Central and or State Governments. অর্থাৎ, রাষ্ট্রীয় ব্যবসায় বলতে ঐসব শিল্প ও বানিজ্যিক প্রতিষ্ঠানকে বোঝায়, যেগুলোর মালিকানা ও নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারের হাতে থাকে।

প্রফেসর এ.এইচ.হ্যানসন(Professor A.H.Hanson): public Enterprises Mean State Ownership and Operation of Industrial, Agricultural, Financial and Commercial Undertakings.অর্থাৎ,রাষ্ট্রীয় মালিকানায় ও পরিচালনা শিল্প, কৃষি, আর্থিক ও বানিজ্যিক সংক্রান্ত কাজকে রাষ্ট্রীয় ব্যবসায় বলে।

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

  • রাষ্ট্রীয় ব্যবসায়ের বৈশিষ্ট্য বর্ণনা করতে হবে।

রাষ্ট্রীয় কর্তৃক গঠিত বা পরবর্তীতে জাতীয়করণকৃত কোন ব‍্যবসায়ের মালিকানা, পরিচালনা ও নিয়ন্ত্রণ রাষ্ট্রের অধীনে থাকলে তাকে রাষ্ট্রীয় ব‍্যবসায় বলে। রাষ্ট্রীয় ব‍্যবসায়ের মূল উদ্দেশ্য হলো জনকল্যাণ সাধন করা।

অন্যান্য ব্যবসায়ের চেয়ে রাষ্ট্রীয় ব্যবসায়ের বেশ কিছু স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য রয়েছে। নিম্নে সেগুলো বিশ্লেষণ করা হলো –

  • রাষ্ট্র কর্তক গঠিত (Formed by The state): সরকারি উদ্দ্যোগের পাশাপাশি বেসরকারি বা ব্যক্তিমালিকানাধীন ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানকে জাতীয়করন করার মাধ্যমেও রাষ্ট্রীয় ব্যবসায় গঠিত হতে পারে। সরকারের বিশেষ আদেশ, রাষ্টপতির অধ্যাদেশ অথবা জাতীয় সংসদে বিশেষ আইন পাসের দ্বারা এ ব্যবসায় গড়ে ওঠে। আবার, সরকারি ও বেসরকারি যৌথ উদ্যোগেও এটি প্রতিষ্ঠিত হতে পারে।
  • জনকল্যাণ (Public Welfare): অন্যান্য ব্যবসায়ের প্রধান লক্ষ্য মুনাফা অর্জন। তবে রাষ্ট্রীয় ব্যবসায়ের মূল লক্ষ্য জনকল্যাণ। এ ব্যবসায়ের মাধ্যমে জনসাধারণের কল্যাণ ও সুবিধা নিশ্চিত করা হয়। সুষম অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং ন্যায্যমূল্যে উন্নতমানের পণ্য ও সেবা সরবরাহ করাও এর অন্যতম লক্ষ্য।
  • রাষ্ট্রীয় নিয়ন্ত্রণ (Controlled by The State): ব্যবসায় পরিচালনা নিযুক্ত ব্যক্তিবর্গ সরকারি কর্মচারী হিসেবে বিবেচিত হয়। সাধারণ রাষ্ট্রীয় ব্যবসায়ের ১০০% মালিকানা সরকারের হয়ে থাকে। তবে যৌথ মালিকানায় প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ে কমপক্ষে ৫১% শেয়ার সরকারের এবং সর্বোচ্চ ৪৯% শেয়ার বেসরকারি মালিকানায় থাকতে পারে। কিন্তু, ব্যবসায়ের নিয়ন্ত্রণ আনুপাতিক হারে সরকারের হাতে থাকে। এক্ষেত্রে সব ধরনের দায়ও সরকার বহন করে।
  • স্বায়ওশাসন (Autonomous): রাষ্ট্রীয় ব্যবসায়ের বেশির ভাগ ক্ষেএে স্বায়ওশাসন ভোগ করে। বিশেষ অধ্যাদেশ ও আইনের মাধ্যমে এগুলো পরিচালিত হয়। সরকারি নীতি ও প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব আইনের আওতায় এর স্বাভাবিক কাজ চললেও, এর দৈনন্দিন কাজে বেশ স্বাধীনতা লক্ষ করা যায়।
  • রাষ্ট্রীয় পরিচালনা ( Operated by The state): রাষ্ট্রীয় ব্যবসায়ের ব্যবস্থাপনা ও পরিচালনার ভার সরকারের। এ ব্যবসায়ের ধরন অনুযায়ী সরকারি বিভাগীয় সংগঠনগুলো মন্ত্রণালয় বা সরকারি বিভাগের অধীনে থাকে। আবার,বিধিবন্ধ সংস্থাগুলোও সরকার কর্তৃক নিযুক্ত নির্বাহী ও পরিচালনা পর্ষদের দ্বারা পরিচালিত হয়। এক্ষেত্রে ব্যবসায়ের সংখ্যাগরিষ্ঠ পরিচালক সরকার কর্তৃক নিযুক্ত হন।
  • মূলধন সরবরাহ ও মুনাফা বন্টন (Capital Supply and Profit Distribution): রাষ্ট্রীয় ব্যবসায়ের মোট পুঁজিকে সমান মূল্যের শেয়ারে ভাগ করা হয়৷ এসব শেয়ারের দায় লিখিত মূল্য (Face Value) দ্বারা সীমাবদ্ধ। সম্পূর্ণ শেয়ার সরকার কিনে নেওয়ায় জনগণকে কোনো দায় বহন করতে হয় না। এ ব্যবসায়ে অর্জিত মুনাফা সরকারি কোষাগারে জমা হয়। ক্ষতি হলেও তা সরকারকেই বহন করতে হয়।
  • আমলাতান্ত্রিক ব্যবস্থাপনা (Bureaucratic management): আমলাতান্ত্র এমন এক শাসন ব্যবস্থা যাতে স্থায়ী সরকারি কর্মকর্তারা দায়িত্ব বিভাজনের মাধ্যমে সরকারের সব কর্মকান্ড পরিচালনা করে থাকে। রাষ্ট্রীয় ব্যবসায়ের ব্যবস্থাপনার ভার সরকারি কর্মকর্ত ও কর্মচারীদের। সাধরণত সরকারি কর্মকর্তাদের আমলাতান্ত্রিক মনোভাব এর ব্যবস্থাপনায় প্রভাব ফেলে।
  • রাষ্ট্রীয় কর্তৃক গঠিত (Formed by The State): সরকারি উদ্দ্যোগের পাশাপাশি বেসরকারি বা ব্যাক্তিমালিকানাধীন ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানকে জাতীয়করন করার মাধ্যমেও রাষ্ট্রীয় ব্যবসায় গঠিত হতে পারে। সরকারের বিশেষ আদেশ, রাষ্ট্রপতির অধ্যাদেশ অথবা জাতীয় সংসদে বিশেষ আইন পাসের দ্বারা এ ব্যবসায় গড়ে ওঠে। আবার, সরকারি ও বেসরকারি যৌথ উদ্দ্যোগেও এটি প্রতিষ্ঠিত হতে পারে।
  • বৃহদায়তন প্রতিষ্ঠান (Large Scale Organization): রাষ্টীয় ব্যবসায় সাধারণত বড় আকারের হয়ে থাকে। যেসব ক্ষেএে মুনাফার পরিমাণ কম অথবা বৃহৎ আকারের পুঁজি বিনিয়োগ করতে হয়,সেসব ক্ষেএে উদ্যোক্তারা সাধারণত বিনিয়োগ করতে এগিয়ে আসেন না। এসব ক্ষেএে রাষ্ট্রীয় উদ্যোগই বেশি দেখা যায়। যেমনঃ কেন্দ্রীয় ব্যাংক, বিমান সংস্থা, পানি ও বিদ্যুৎ ব্যবস্থা, রেলওয়ে কোম্পানি, পয়ঃনিস্কাশন ব্যবস্থা প্রভৃতি।
  • চিরন্তন অস্তিত্বসম্পন্ন (Perpetual Entity): এ ব্যবসায় পাবলিক লিমিটেড কোম্পানির মতো চিরন্তন অস্থিত্বের অধীকারী। অনেক সময় জনগণের কল্যাণের দিক বিবেচনা করে লোকসান হওয়া সও্বেও সরকার এ ব্যবসায় বন্ধ করে না।তাছাড়া, বড় আকারের ব্যবসায় হওয়ায় এগুলোকে বন্ধ করে দেওয়াও অনেক ক্ষেএে সম্ভব হয় না।

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

  • রাষ্ট্রীয় ব্যবসায়ের অসুবিধা বর্ণনা করতে হবে।

ব্যবসায় একটি গতিশীল প্রক্রিয়া। বিশ্বায়ন ও তথ্য প্রযুক্তির এই যুগে সর্বোচ্চ দক্ষতা, মেধা ও ইচ্ছাশক্তি খাটিয়ে প্রতিযোগিদের সাথে প্রতিযোগিতায় অবর্তীণ হয়ে রাষ্ট্রীয় ব্যবসায় কতটুকু সফলতার সাথে এগিয়ে যাচ্ছে তা নিয়ে অনেকেই সন্দিহান। তাই রাষ্ট্রীয় ব্যবসায়ের বেশকিছু সীমাবদ্ধতা ও অসুবিধা পরিলক্ষিত হয়।

যা নিম্নরূপ:

১. বাংলাদেশের অধিকাংশ রাষ্ট্রীয় ব্যবসায়ই অলাভজনক প্রতিষ্ঠান। তাই এখানে সরকারকে প্রচুর লোকসান বহন করতে হয়।

২. এ ধরনের ব্যবসায়ে উৎপাদিত অধিকাংশ পণ্য ও সেবার মান উন্নত নয়। জনগণ এ ব্যবসায় পছন্দ করে না।

৩. ‘শূণ্য চেয়ারে কোট ঝোলে’ কথাটি রাষ্ট্রীয় ব্যবসায়ের ক্ষেত্রে বেশি শোনা যায়। এ ব্যবসায়ের দৈনন্দিন কার্যকলাপে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ পরিলক্ষিত হয়। ফলে রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব ও সংঘাতে রাষ্ট্রীয় ব্যবসায়ের উদ্দেশ্য অর্জন ব্যর্থ হয়।

৪. এ ব্যবসায়ের অধিকাংশ কর্মকর্তা ও কর্মচারী রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হয় যা উন্নয়নের বাধা হিসেবে কাজ করে।

৫. পর্যান্ত মূলধন বিনিয়োগের অভাবে এ ব্যবসায় সম্প্রসারণে অসুবিধা হচ্ছে।

৬. এ ব্যবসায়ে আমলাতান্ত্রিক জটিলতা বিদ্যমান থাকায় কার্যসম্পাদনে গতিশীলতার অভাব রয়েছে, যা উন্নয়নের অন্যতম অন্তরায়।

৭. এ ধরনের ব্যবসায়ে অধিক সরকারি নিয়ন্ত্রণ বজায় থাকে বিধায় কর্মকর্তা কর্মচারীরা স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারে না। এতে ব্যক্তিক উন্নয়নসহ প্রাতিষ্ঠানিক উন্নয়ন বাধাগ্রস্থ হয়।

৮. রাষ্ট্রীয় ব্যবসায়ের মালিক সরকার হওয়ায় এ ব্যবসায়ের উন্নয়নে কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের মধ্যে কোন ব্যক্তিগত উৎসাহ লক্ষ্য করা যায় না।

৯. সরকারি ব্যবসায়ে উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তা নিয়োগের ক্ষেত্রে দক্ষতার চেয়ে প্রায়ই রাজনৈতিক বিবেচনা প্রাধান্য পায়। এতে এর ব্যবস্থাপনা অনেক ক্ষেত্রেই অদক্ষ হয়ে থাকে।

১০. সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠান হিসেবে সংসদে রাষ্ট্রীয় ব্যবসায়ের বিভিন্ন কার্যক্রমগুলো নিয়ে আইন সভা বা সংসদে খোলাখুলি আলোচনা হয়, ফলে ব্যবসায় গোপনীয়তা রক্ষা করা যায় না।

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

  • বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় ব্যবসায়ের সমস্যা সম্পর্কে বর্ণনা করতে হবে।

রাষ্ট্রীয় ব্যবসায়ের ধারণা থেকে আমরা জেনেছি ব্যক্তি মালিকানায়ই এ বিশ্বে ব্যবসায়ের প্রচলন ও উন্নয়ন ঘটে। ফলে উনবিংশ শতাব্দীর প্রথম দিকে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে বিশেষ করে ফ্রান্সে অবাধ ব্যবসায় নীতি বা ইচ্ছেমত চলতে দেয়ার নীতি চালু হয়। এতে ধন বৈষম্যের সৃষ্টি হয়।

আর এ ধন বৈষম্য হ্রাস করার লক্ষ্যে সর্বপ্রথম রাশিয়া সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় ব্যবসায়ের উদ্ভব ঘটে।

বাংলাদেশে স্বাধীনতা লাভের পর সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে দেশের ব্যাংক, বীমাসহ গুরুত্বপূর্ণ শিল্প প্রতিষ্ঠানসমূহ রাষ্ট্রীয়করণ করা হয়।

এর প্রধান কারণ ছিল দেশে যাতে ধন বৈষম্য সৃষ্টি না হয়ে একটি সুষম, সুদৃঢ় ও ন্যায় ভিত্তিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থা গড়ে উঠে। এ ছাড়াও বাংলাদেশে রাষ্ট্রীয় ব্যবসায় স্থাপনের পিছনে আরো কিছু যৌক্তিকতা রয়েছে- যা নিম্নে তুলে ধরা হলো:

১. রাষ্ট্রীয় ব্যবসায়ের মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় সম্পদের বিকেন্দ্রীকরণ হয়। ফলে অধিকাংশ জনগোষ্ঠী এর সুবিধা লাভ করে এবং শোষণ ও বঞ্চনার শিকার হয় না।

২. বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো কেবলমাত্র দেশের উন্নত এলাকাসমূহে গড়ে ওঠে এবং লাভজনক খাতে বিনিয়োগ করে, কিন্তু রাষ্ট্রীয় ব্যবসায় দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে প্রতিষ্ঠিত হয়ে ভারসাম্য উন্নয়নের প্রতি গুরুত্বারোপ করে।

৩. রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলো বিভিন্ন জনকল্যাণধর্মী খাত, যেমন-ওয়াসা, বিদ্যুৎ, গ্যাস, ডাক ও তার ইত্যাদি প্রতিষ্ঠানের সেবা সমূহ সাশ্রয়ী মূল্যে প্রদান করে, কিন্তু বেসরকারীভাবে এসব সেবাসমূহ অনেক মূল্যের বিনিময়ে পেতে হতো।

৪. রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ব্যবসায় না থাকলে বেসরকারি ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানগুলো বাজারে পণ্য বা সেবার একচেটিয়া ব্যবসায় করতো। ফলে ভোক্তা সাধারণকে ন্যায্য মূল্যে মানসম্মত পণ্য পেতে ভোগান্তিতে পড়তে হতো।

৫. কিছু কিছু প্রচলিত ক্ষতিকারক পণ্য যেমন-মদ, প্যাথিড্রিন, আফিম ইত্যাদি রাষ্ট্রীয়ভাবে বাজারজাতকরণ না হলে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসমূহ বেশী মুনাফার আশায় বেপরোয়াভাবে বাজারজাতকরণ করত। ফলে দেশে নৈরাজ্য ও অকল্যাণ সৃষ্টি হতো।

৬. সুষম শিল্পায়ন ও আঞ্চলিক বৈষম্য দূরীকরণের জন্য সরকারি উদ্যোগে শিল্প কারখানা প্রতিষ্ঠা করা হয়।

৭. রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ব্যাংক, বীমা ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর মাধ্যমে দেশিয় মুদ্রাবাজার নিয়ন্ত্রণ, মুদ্রা ও নোট প্রচলন ও অর্থ বাজার নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হচ্ছে।

৮. রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ব্যবসায়ের মাধ্যমে মুনাফা এবং তা রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা রাখা হয়। রাষ্ট্রায়ত্ত্ব প্রতিষ্ঠান না হলে কর বা রাজস্ব আদায় করা সম্ভব হতো না।

৯. রাষ্ট্রীয় ব্যবসায় না থাকলে সরকারি বিভিন্ন ক্ষেত্র যেমন- প্রশ্নপত্র ও স্ট্যাম্প ছাপানো, সমরাস্ত্র উৎপাদন ও বিতরণ ইত্যাদি বিষয়ে গোপনীয়তা রক্ষ করা যেত না।

১০. জাতীয় আইন শৃঙ্খলা রক্ষা, দেশকে বহি:শত্রুর আক্রমন হতে রক্ষ করা রাষ্ট্রের দায়িত্ব। রাষ্ট্র ব্যতীত বেসরকারিভাবে গড়ে ওঠা কোন বাহিনী বা প্রতিষ্ঠান আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও জনগণের জানমালের নিরাপত্তা বিধান করতে সক্ষম হতো না।

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

সবার আগে Assignment আপডেট পেতে Follower ক্লিক করুন

এসাইনমেন্ট সম্পর্কে প্রশ্ন ও মতামত জানাতে পারেন আমাদের কে Google News <>YouTube : Like Page ইমেল : assignment@banglanewsexpress.com

অন্য সকল ক্লাস এর অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর সমূহ :-

  • ২০২১ সালের SSC / দাখিলা পরীক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
  • ২০২১ সালের HSC / আলিম পরীক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
  • ভোকেশনাল: ৯ম/১০ শ্রেণি পরীক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
  • ২০২২ সালের ভোকেশনাল ও দাখিল (১০ম শ্রেণির) অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
  • HSC (বিএম-ভোকে- ডিপ্লোমা-ইন-কমার্স) ১১শ ও ১২শ শ্রেণির অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
  • ২০২২ সালের ১০ম শ্রেণীর পরীক্ষার্থীদের SSC ও দাখিল এসাইনমেন্ট উত্তর লিংক
  • ২০২২ সালের ১১ম -১২ম শ্রেণীর পরীক্ষার্থীদের HSC ও Alim এসাইনমেন্ট উত্তর লিংক

৬ষ্ঠ শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১ , ৭ম শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১ ,

৮ম শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১ , ৯ম শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১

বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস// https://www.banglanewsexpress.com/

উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় SSC এসাইনমেন্ট :

উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় HSC এসাইনমেন্ট :

Leave a Comment