জজ ও ম্যাজিস্ট্রেট পার্থক্য, জজ ও ম্যাজিস্ট্রেট তুলনামূলক আলোচনা, ম্যাজিস্ট্রেট ও জজ মধ্যে পার্থক্য, জজ ও ম্যাজিস্ট্রেট কাকে বলে,তুলনা করি: জজ ও ম্যাজিস্ট্রেট আলোচনা

প্রশ্ন সমাধান: জজ ও ম্যাজিস্ট্রেট পার্থক্য, জজ ও ম্যাজিস্ট্রেট তুলনামূলক আলোচনা, ম্যাজিস্ট্রেট ও জজ মধ্যে পার্থক্য, জজ ও ম্যাজিস্ট্রেট কাকে বলে,তুলনা করি: জজ ও ম্যাজিস্ট্রেট আলোচনা

জজ এবং ম্যাজিস্ট্রেট দুজনই বিচারক এবং দুজনেরই বিচারিক ক্ষমতা রয়েছে। তবু জজ এবং ম্যাজিস্ট্রেটে মধ্যে কিছু পার্থক্য রয়েছে।

২০০৭ সালে যখন বাংলাদেশের নির্বাহী বিভাগ থেকে বিচার বিভাগ পৃথক করা হয় তখন দুই রকমের ম্যাজিস্ট্রেট তৈরি হয় যেমন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এবং জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কারা?

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বলতে সে সকল ব্যক্তিকে বুঝায় যে সকল ব্যক্তি আদালতে বিচারকার্য পরিচালনা করে না বরং তারা ভ্রাম্যমান আদালত বা Mobile Court এর মাধ্যমে তারা তাদের বিচারকার্য পরিচালনা করে থাকেন। এর উদাহরণ বলা যায় TNO এবং UNO। সুতরাং TNO এবং UNO কে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বলা যায়।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হতে চাইলে করনীয়ঃ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হতে চাইলে যেকোন বিষয়ে Honours পাশের পর BCS পরীক্ষায় প্রশাসন ক্যাডারে উত্তীর্ণ হতে হবে।


আরো ও সাজেশন:-

জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কারা?

জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বলতে সেসকল ব্যক্তিকে বুঝায় যারা আদালতে বিচার কার্য পরিচালনা করে থাকেন যাদের কে আমরা জজ বা Judge বলে থাকি।

জজ বা জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের সাথে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের অন্যতম পার্থক্য হলো জজ একজন আসামিকে মৃত্যুদন্ড বা যাবতজীবন কারাদণ্ড দিতে পারেন। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের সে ক্ষমতা নেই।

একজন জজের অবশ্যই আইনের উপর ডিগ্রি থাকে তবে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের আইনের উপর কোন ডিগ্রি থাকতেই পারে নাও পারে।

জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হওয়ার উপায়ঃ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হতে হলে HSC পাশের পর LLB বা আইন বিষয়ে পড়াশোনা করতে হবে ও পাশ করতে হবে। এবং পরবর্তীতে Bangladesh Judicial Service Commission কর্তৃক আয়োজিত BJS Exam এ উত্তীর্ণ হতে হবে।

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এর মধ্যে পার্থক্য

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটজুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট
সংজ্ঞানির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হলেন একজন সিভিল অফিসার যার কাছে আইন পরিচালনা ও প্রয়োগ করার ক্ষমতা রয়েছে। এছাড়া তার সীমিত বিচারিক ক্ষমতাও রয়েছে।ফৌজদারি আইন পরিচালনা ও প্রয়োগ করার সীমিত কর্তৃত্ব সহ একজন বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাকে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বলে।
প্রকারজেলা প্রশাসক (DC), অতিরিক্ত ডেপুটি কমিশনার (ADC), উপজেলা নির্বাহী অফিসার (UNO), সহকারী কমিশনার (AC)।চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট, অতিরিক্ত চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট, মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট।  
যোগ্যতাসাধারণত যেকোন সাবজেক্ট নিয়ে অনার্স/মাস্টার্স পাস হতে হবে।অবশ্যই আইন বিষয়ে ডিগ্রি থাকতে হবে। 
নিয়োগ প্রক্রিয়াবিসিএস পরীক্ষার মাধ্যমে বিসিএস (প্রশাসন) ক্যাডারে উত্তীন্ন হতে হয়।বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস (BJS) পরীক্ষা দিয়ে উত্তীন্ন হতে হয়।
বেতনবেতন স্কেল শুরুতে ৯ম গ্রেড (ব্যাসিক ২২,০০০ টাকা)।বেতন স্কেল শুরুতে ৬ষ্ঠ গ্রেড (ব্যাসিক ৩০,৯৩৫ টাকা)।
কার্যাবলীনির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটগণ বিভিন্ন সামাজিক সমস্যায় (যেমন খাদ্যে ভেজাল, ইভটিজিং, মাদকদ্রব্য চোরাচালান, সরকারি সম্পত্তি বেদখল ইত্যাদির জন্য) মোবাইল কোর্ট বা ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেনফৌজদারি অভিযোগ আমল, গ্রহণ ও বিচার করেন। এছাড়া আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা এবং অপরাধ দমন করার জন্য যেকোন আদেশ দিতে পারেন।
ক্ষমতাসর্বোচ্চ ২ বছরের কারাদণ্ড যোগ্য অপরাধের বিচার করতে পারেনমৃত্যুদন্ড ছাড়া সকল অপরাধের বিচার করার ক্ষমতা অর্পণ করতে পারবে।
পদবাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (প্রশাসন) থেকে নিয়োগপ্রাপ্তদের পদ হলো সহকারী কমিশনার। একটি জেলার সর্বোচ্চ প্রশাসনিক কর্মকর্তা জেলা প্রশাসকচিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের পদমর্যাদা সচিব মর্যাদাসম্পন্ন কর্মকর্তাদের সমান।  জেলার প্রধান ম্যাজিস্ট্রেট হচ্ছেন চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট।

প্রশ্ন ও মতামত জানাতে পারেন আমাদের কে ইমেল : info@banglanewsexpress.com

আমরা আছি নিচের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুলোতে ও

Leave a Comment