গাঁজা খেলে বৃদ্ধি পায় যৌন ক্ষমতা, গাঁজা খেলে বৃদ্ধি পায় যৌন ক্ষমতা,যৌন আনন্দের জন্য গাঁজা ব্যবহার করেন যে লোকেরা,গাঁজা সেবনে যেভাবে সন্তানধারণের ক্ষমতা নষ্ট হয় পুরুষের,প্রাপ্ত বয়স্কদের শরীর স্বাস্থ্য ভাল রাখতে নিয়মিত

আজকের বিষয়: গাঁজা খেলে বৃদ্ধি পায় যৌন ক্ষমতা, গাঁজা খেলে বৃদ্ধি পায় যৌন ক্ষমতা

গাঁজা খেয়ে সেক্স করলে নাকি যৌন ক্ষমতা অনেক গুণ বৃদ্ধি পায়, এমন উদাহরণ একাধিকবার দেখা গেছে। সেই পরিপ্রেক্ষিতে শোনা যাচ্ছে গাজার চাহিদা দিন দিন বাড়ছে কিন্তু বাংলায় গাঁজা নিষিদ্ধ। তাই কোন রকম ভাবে যাতে কেউ না পায় তার জন্য কঠোর পদক্ষেপ নিচ্ছে প্রশাসন।

ইতিমধ্যে একাধিক জায়গায় তল্লাশি করে গাঁজা চাষ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে এবং বিভিন্ন রাস্তা চেকিং করে জানা যাচ্ছে বাইরে থেকে যে গাঁজা ডুকতে না পারে বাংলায় তাও নাকা চেকিং এর মাধ্যমে ব্যবস্থা নিচ্ছে পুলিশ।

কিন্তু নতুন যুবক-যুবতীদের কাছে চিন্তার ভাঁজ কারণ গাঁজা খেয়ে সেক্স করলে যৌন ক্ষমতা বাড়ে এবং গাঁজায় নেশার ও প্রবণতা বাড়ছে।

গাঁজা খেলে বৃদ্ধি পায় যৌন ক্ষমতা, এমনটাই বলছে সমীক্ষা

গাঁজা সেবন ভারতে নিষিদ্ধ। কিন্তু গাঁজা খাওয়ার বেশ কয়েকটি উপকার রয়েছে। গাঁজা খেলে বৃদ্ধি পায় যৌন ক্ষমতা; এমনটাই বলছে সমীক্ষা। গাঁজা খেলে খিদে খুব বেশি পায়; এটা অনেকেই কমবেশি জানে। কিন্তু কেন এটা হয়; সে কথা জানা আছে কি?

পরিক্ষা করে জানা গেছে; গাঁজা খেলে শরীরের সব হরমোন গুলো সতেজ হয়ে ওঠে এবং হজম ক্ষমতা দ্বিগুণ বৃদ্ধি পায়; ফলে খাবার তাড়াতাড়ি হজম হয়ে যায় এবং খিদে পায়।

গাঁজা খেলে যৌন ক্ষমতা তিনগুণ বৃদ্ধি পায় বলে জানা গেছে ক্যানাডার এক সমীক্ষায়। গাঁজা সেবন করে যৌনতায় মত্ত হয়েছেন; এমন কয়েকজন যুগলের ওপর সমীক্ষা চালানো হয়। তাদের সবাই জানিয়েছেন; গাঁজা সেবন করার পর যৌন জীবন দারুণভাবে উপভোগ করেছেন তারা।

পুরুষের ক্ষেত্রে সঙ্গমের সময় বৃদ্ধি পায় অনেকক্ষণ। এবং মহিলারাও জানিয়েছেন; তারা বেশ আবেদনময়ী হয়ে ওঠে গাঁজা সেবন করে যৌন ক্রীড়ায় মত্ত হলে। শুধু তাই নয়; এক ঝটকায় মনের বয়স অনেকটাই কমিয়ে দিতে পারে গাঁজা। যৌবনের থেকেও গাঁজা সেবন করে মধ্য বয়েসে বেশি উত্তেজক যৌন জীবন কাটাচ্ছেন বলেও জানিয়েছেন কিছু যুগল।

সমীক্ষাতে দেখা গেছে; গাঁজা খেলে মন ও মস্তিষ্কে অনেক কিছু পরিবর্তন ঘটে। গাঁজা যেহেতু শুষ্ক নেশা; সেই কারণে দ্রুত শরীরের খুব একটা ক্ষতি করে না। তবে রোজ খাওয়ার অভ্যাস থাকলে; তা অবশ্যই ক্ষতিকর। গাঁজা সেবন অনেকের কাছে নেশার উপকরণ।

ক্যানাডার বিজ্ঞানীদের মতে; গাঁজা এমন এক উদ্ভিদ যা মনের ওপর প্রভাব ফেলে। অন্যান্য নেশাদ্রব্য ব্যবহার থেকে বাঁচতে বা মানসিক রোগের চিকিত্‍সাতেও গাঁজার ব্যবহারের প্রচলন রয়েছে। মারিজুয়ানা বা গাঁজা একধরনের ওষুধ হিসাবে ব্যাবহার হয়ে থাকে। গাঁজা মৃগীরোগের চিকিত্‍সায় ওষুধের কাজ করে।

তবে যেহেতু ভারতে গাঁজা নিষিদ্ধ নেশার বস্তু বলেই ধরা হয়; তাই এই দেশে গাঁজা খেয়ে যৌন ক্ষমতা বাড়ানোর বা যৌন জীবনকে আরও রঙিন করার কোন উপায় নেই। এক্ষেত্রে ভারতীয় নারী পুরুষরা বঞ্চিত গাঁজা সেবন করে যৌনতায় মত্ত হওয়াতে।

গাজার উপকারিতা ও অপকারিতা

গাজা এমন একটি উদ্ভিদ যা ১৯৮৫ সাল পর্যন্ত ভারত বর্ষে বৈধ ছিল। এটি বর্তমানে মাদক বলে গন্য করা হয়।আধুনিক শাস্ত্রে গাজা কে মহা ঔষধ বলে গন্য করা হয়।চলুন জেনেনি গাজার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত।

গাজার উপকারিতাঃ

গাজা হল একটি অতি উপকারি দ্রব্য। গবেসকরা বলছে পরিমাণমতো গাজা সেবনে অনেক রোগের উপসম কমে।গাঁজা ওষুধ হিসেবে সেবন করলে নাকি অনেক উপকার পাওয়া যায়৷অবশ্য চিকিৎসায় রোগের উপশম হিসেবে ক্যানাডা দেশটি ২০১১ সালেই গাঁজা ব্যবহারের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছিল। চলুন এর উপকার সম্পর্কে  আনেক তথ্য জেনে আসিঃ

ক্যানসার চিকিৎসাঃ-
নির্দষ্ট পরিমান গাজা সেবন করলে,মানব শরীরে ক্যানসার প্রতিরোধের কাজ করে।এই বিষয়টি যুক্তরাষ্ট্র সরকারিভাবেই স্বীকার দিয়েছে ৷ ২০১৫ সালে সে দেশের ক্যানসার বিষয়ক ওযেবসাইট ক্যানসার অর্গ-এ জানানো হয়।গাঁজা অনেক সময় টিউমারের ঝুঁকি কমিয়ে ক্যানসার প্রতিরোধকের ভূমিকা পালন করে ।

কেমোথেরাপির ক্ষতি কমায়ঃ
যুক্তরাষ্ট্রে এজেন্সি অফ ড্রাগ জানায় ক্যানসারে আক্রান্ত রুগীর এক পর্যায়ে কেমোথেরাপি দিতে হয়।এই কেমোথেরাপির অনেক ধরনের ক্ষতিকর দিক রয়েছে যা নির্দষ্ট পরিয়ান গাজা সেবন করলে  তা অনেক খানি কমে।

স্ট্রোক ঝুঁকি কমায়ঃ
গাজা মানব দেহের মস্তিষ্ক সুস্থ রাখতে সহায়তা করে ফলে স্ট্রোকের ঝুঁকি কমে যায়। যা যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অফ নটিংহ্যামের গবেষণার মাধ্যমে দেখেছেন।

মৃগীরোগ রোগ উপসমঃ
যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়া কমনওয়েলথ বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা জানিয়েছেন, নির্দিষ্ট মাত্রায় গাজা সেবনের ফলে মৃগী বা এ ধরণের কিছু স্নায়ুরোগ থেকে দূরে থাকা যায় ৷ গবেষকদের এই গবেষণালব্ধ তত্ত্ব ২০১৩ সালে বিজ্ঞান বিষয়ক সাময়িকী জার্নাল অফ ফার্মাকোলজি অ্যান্ড এক্সপেরিমেন্টাল থেরাপিউটিক্স-এ ছাপাও হয়েছে।

গ্লুকোমা সুস্থ রাখেঃ
গ্লুকোমা চোখের এমন এক রোগ যা চির অন্ধ করে দেয়। যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল আই ইন্সটিটিউট জানিয়েছিল, নির্দষ্ট পরিমান গাজা সেবন করলে, চোখের গ্লুকোমার ঝুঁকিও কমায়৷ এই বিষয়টি অনেক আগে জানা গেছে ।

অ্যালঝাইমার বা স্মৃতিভ্রংশ রোগ মুক্তিঃ
নির্দিষ্ট মাত্রায় গাজা সেবনের ফলে মস্তিষ্কের দ্রুত নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়াও রোধ করে৷ আর এভাবে আলৎসহাইমার ঝুঁকিও কমাতে পারে। এমনটাই জানিয়েছেন দ্য জার্নাল অফ আলৎসহাইমার’স ডিজিজে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে। অতি মাত্রায় গাজা সেবনের ফলে কিন্তু এর বিপরিত হতে পারে ।

মাল্টিপল সক্লেরোসিস রোধঃ
মানুষের স্নায়ুতন্ত্রে একটি বিশেষ স্তর ক্ষতিগ্রস্থ হলে ‘মাল্টিপল সক্লেরোসিস’ বা এমএস নামের এক ধরণের স্নায়ুরোগ হয়৷। আরএই রোগের ঝুঁকিও কমে পরামর্শ অনুযায়ী গাজা সেবন করলে ।

ব্যাথা দূর করেঃ
ডায়াবেটিস চরম রূপ নিলে রোগীদের অনেক সময় হাত-পা এবং শরীরের নানা অংশে জ্বালা-যন্ত্রণা হয়৷ গাজা সেবনে সেই যন্ত্রণা লাঘব করতে সক্ষম হয় বলে জানিয়েছে  ইউনিভার্সিটি অফ ক্যালিফোর্নিয়ার একদল গবেষকরা ।

[ বি:দ্র: নমুনা উত্তর দাতা: রাকিব হোসেন সজল ©সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত (বাংলা নিউজ এক্সপ্রেস)]

গাজার অপকারিতাঃ

গাঁজার ক্ষতি ও উপকারী দিক নিয়ে নানা সময়ই বিতর্ক হয়েছে। কমবেশি গাঁজা সেবন করলেই পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়, তবে বেশি পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া দেখা দেয় দীর্ঘদিন ধরে সেবন করলে। চলুন এখন দেখে আসি অপকার ও ক্ষতি কর দিকঃ

অণ্ডকোষে ক্যান্সার
যুক্তরাষ্ট্রের সাউদার্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞদের মতে,বেশি মার্তায় বা প্রতি দিন গাজা সেবনের ফলে অণ্ডকোষে ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি অনেকটাই বাড়ে যায়।

স্মৃতিশক্তি নষ্টঃ
গাঁজা মানুষের স্মৃতিশক্তি নষ্ট করে দেয়। কারণ, গাঁজা মস্তিষ্কের কোষ নষ্ট করে দেয়ার ক্ষমতা রাখে। ২০ বছর গবেষণা চালিয়ে ফলাফলে দাবি করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের নর্থওয়েস্টার্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা।

ধমনী ও শিরা নষ্ট করেঃ
গাঁজা সেবনের ফলে মানুষের শরীরের ধমনী ও শিরা অনেকাংশে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সিগারেটের মতো করে গাঁজা ধোঁয়া টানার ফলে মানুষের স্বাভাবিক রক্ত চলাচল প্রক্রিয়া বাধাপ্রাপ্ত হয়।আমেরিকান হার্ট এসোসিয়েশন’-এর গবেষণায় দেখা গেছে এই বিষয় টি।

প্রজনন ক্ষমতা ক্ষতিঃ
অতি বেশি গাঁজা সেবনের ফলে পুরুষের ও মহিলা দের প্রজনন ক্ষমতা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এক দল মার্কিন গবেষণায় বলা হয়েছে

হার্টঅ্যাটাকের ঝুঁকিঃ
আমেরিকান হার্ট এসোসিয়েশন’-এর গবেষণায় দেখা গেছে, গাঁজা সেবনের পর হার্টঅ্যাটাকের ঝুঁকি সাধারণ অবস্থার তুলনায় চার গুণ বেড়ে যায়।

প্রশ্ন ও মতামত জানাতে পারেন আমাদের কে ইমেল : info@banglanewsexpress.com

আমরা আছি নিচের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুলোতে ও

Leave a Comment